নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস " মারিজুয়ানা" পর্ব ২ -নুরুন নাহার লিলিয়ান

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮



গুঞ্জনের কাছে সব কিছু কেমন এলো মেলো লাগতে শুরু করল ।গুঞ্জনের স্বামী ডঃ নেশাম ভীষণ আত্ম ভোলা ধরনের মানুষ । কথা কম বলে। তার সাথে মানিয়ে চলা সত্যি অনেক কঠিন ।মনে মনে অনেক কিছুই মিলাতে পারছে না । গুঞ্জনের স্বামী বলেছিল শফিক সাহেব এর জাপানি স্ত্রী এবং জাপানি মেয়ে আসছে উনাদের সাথে কিছুদিন থাকবে । জাপানি মেয়েকে পেলেও জাপানি স্ত্রী কোথায় । আর এই অপরূপা কালো সুন্দরি মারিজুয়ানা নিজেকে মিসেস শফিক সাহেবের স্ত্রী বলে নিজেকে পরিচয় দিল । সব কিছু কেমন উল্টা পাল্টা হয়ে যাচ্ছে । গুঞ্জন আড় চোখে তাকিয়ে দেখে সামনেই দুই জন লোক দাঁড়ানো আছে । যারা তাদের ডিনার সার্ভ করবে ।
তবুও ফিস ফিস করে নেশাম কে বলল , তুমি না বললে উনার জাপানি স্ত্রী । তাহলে ওই মহিলা নিজেকে মিসেস শফিক সাহেবের স্ত্রী বলছে কেন?
ডঃ নেশাম কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলল ,” উনি এখন উনাকে নিয়ে এখানে বসবাস করে । এসব কথা বাসায় গিয়ে বলা যাবে । এখন চুপ কর।”
গুঞ্জন বার বার ভিতরের দিকে তাকায় । কখন মারিজুয়ানা কে দেখা যাবে । কিন্তু তাকে দেখা গেল না । গুঞ্জনের ভিতরে অদম্য কৌতূহল তৈরি হল । কিছুক্ষন পর শফিক সাহেব আবার এলেন । খুব সুন্দর আন্তরিক হাসি দিয়ে বলল , “আরে আপনারা দেরি করছেন কেন । বসে পড়ুন ।”
ডঃ নেশাম বলল , “আমরা তো আপনাদের জন্যই অপেক্ষা করছি ।”
শফিক সাহেব বললেন ,সরি আপনারা দেরি করছিলেন তো রিপন ভাইদের সাথে হাল্কা খেয়ে নিয়েছি । আপনাদের সাথে বসছি । নো প্রবলেম শুরু করুন ।”
গুঞ্জন খুব উচ্ছল আর আন্তরিকতার সাথে বলল , ভাবি কে ডাকেন । আমাদের সাথে ডিনার করুক।
নেশাম হাল্কা করে গুঞ্জন কে থামাল ।
শফিক সাহেব বেশ স্বাভাবিক ভাবে বলল ,”সরি ভাবি আমাদের সুন্দর একটা প্লান ছিল । সময় টা সঠিক ভাবে ম্যানেজ করা যায়নি । ওর হঠাৎ মাথা ব্যথা করছে । তাই শুয়ে পড়েছে ।”
নাতালি হাসি মুখে ওদের সাথে বসেই সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে । তারপর দুজনের সাথে নাতালি বসল ডিনার করতে ।ত্রিশ রকমের বাহারি খাবারের মধ্যে সতের রকমের দেশি বিদেশি মাছই রয়েছে ।
এদিকে মারিজুয়ানার প্রতি গুঞ্জনের অদম্য কৌতূহল খাবারের স্বাদটা নষ্ট করে দিল । মনে মনে ভাবতে লাগলো কখন তার সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে । একটা অস্থির অপেক্ষা মস্তিস্কের নিউরন গুলোকে নাড়াচাড়া করতে লাগলো ।

শফিক সাহেবের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আরও একবার তাকিয়ে নিল। মনে মনে ভেবেছিল মারিজুয়ানা হয়তো বিদায় দিতে আসবে। কিন্তু অনেকটা সময় গেল। নাতালি আর শফিক সাহেব খুব বিনয়ের সাথে লিফট পর্যন্ত বিদায় দিয়ে গেলেন। লিফটে উঠেই গুঞ্জন ঝগড়া শুরু করলো নেশামের সাথে। তুমি আমাকে সব জায়গায় থামাও। নেশাম বিরক্ত না হয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় বুঝালো, “তুমি এতো অবুঝ কেনো? সব জায়গায় এতো কৌতুহলী হতে নেই। ”
গুঞ্জন বলল,” অবুঝের কি আছে? সে আসবে না কাছে?
নেশাম বলল,” হয়তো হঠাৎ সমস্যা হয়েছে। ”
গুঞ্জন বলল,” সেটা ঠিক আছে। তোমাকে বললাম শাহবাগ থেকে ফুল নেই। জাপানিরা ফ্লাওয়ার পছন্দ করে। তুমি নিলে দই মিষ্টি। ”
নেশাম বলল,” আরে ও তো বাচ্চা একটা মেয়ে এতো কিছু ভাবার দরকার আছে। আর দই মিষ্টি তো আমাদের আমাদের ঐতিহ্য। ”
গুঞ্জনের মাথায় একবার কিছু একটা ঢুকলে সেটা নিয়েই বার বার বলতে থাকে। কিংবা কোন কাজ মাথায় একবার ভাবনায় এলে সেটা সে করবেই। খুব জেদি আর একরোখা গুঞ্জন। আর এসব কারনে দুজনের সব সময় খুনসুটি লেগেই থাকে।
সেই ছোটবেলা থেকে গুঞ্জন অদ্ভুত মানসিক রোগে আক্রান্ত। এতো মিষ্টি একটা মেয়ে। দেখলে কেউ বুঝবে না। হঠাৎ করে সে এলোমেলো হয়ে যায়। নেশাম প্রচন্ড ভালবাসে। তাই নিরবে সব সয়ে যায়।
একবার ওর মতের বিরুদ্ধ হলে চরম ক্ষেপে যায়। তারপর….. চলবে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ব্লগে দিতে থাকুন।
পড়ছি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্ব পাঠে এখনো গল্পের ভেতর ঢুকতে পারি নাই। কাঠামোগত মজবুত হয়তো আরেকটু সময় নিতে পারে। সাথে পরের পর্বও যখন দেওয়া হয়ে গেছে পড়ে নেই। ভাল থাকবেন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: জি ভাই উপন্যাসটা একটু বড় । অনেক গুলো পর্ব ।সামনের পর্ব গুলো জমজমাট হবে । পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.