![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাবি হতে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর । আগ্রহের বিষয় কবিতা-দর্শন-বিজ্ঞান । ১৯৯০'র দশকের শুরু থেকে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনীর জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ,পাক্ষিক ও মাসিক সাময়িকী সমুহে প্রবন্ধ-উপসম্পাদকীয় নিবন্ধ-প্রতিবেদন-ফিচার লিখছি । লেখার বিষয় বিচিত্র -রাজনীতি ,অর্থনীতি,শিল্প-বানিজ্য ,কৃষি,বিজ্ঞান-প্রযুক্তি,তথ্য - প্রযুক্তি,মহাকাশ বিজ্ঞান -গবেষণা,পরিবেশ-প্রকৃতি,স্বাস্থ্য,শিল্প-সংস্কৃতি , ফ্যাশন-বিনোদন,ইন্টেরিয়র , ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা ইত্যাদি।
“আমি ইসলামের সন্তান। আদমের বংশধর।” বংশ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ইসলাম গ্রহণের পর এভাবে যিনি উত্তর দিতেন দ্ব্যর্থকণ্ঠে তিনি হলেন ধার্মিক, রহস্যময়, ফকীহ, জ্ঞানী এবং দরবেশ হযরত সালমান ফারসী (রাঃ)। তিনি ছিলেন প্রবীণতম সাহাবী। তিনি হিজরতের পরপর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সালমান ফারসী নামেই সর্বাধিক পরিচিত।
ফারেস বলা হয় পারস্যকে, যার অপর নাম ইরান। পারস্যের কোন্ স্থানে সালমানের জন্ম সে সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, তার জন্মস্থান রামহরমুজ যা আহওয়াজ, শওর ও ইস্পাহানের মিলন পথে ফোজিস্থানে অবস্থিত। আবার কারো কারো মতে ইস্পাহান এলাকায় অবস্থিত ‘জী’ নামক একটি গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। প্রথমে তার নাম ছিল মাবা ইবনে বুজ খাতান ইবনে মোরসালান ইবনে বাহবুজান ইবনে ফিরোজ। ইসলাম গ্রহণের পর তার কুনিয়াত বা ডাকনাম হয় আবু আবদুল্লাহ।
হযরত সালমান ফারসী (রা)ঃ এর পিতা ছিলেন গ্রাম প্রধান। সে ছিল ঐ এলাকার সবচেয়ে ধনী এবং বৃহৎ অট্টালিকার বাসিন্দা। তার পিতা তাকে এতবেশী ভালবাসতো যে তাকে এক প্রকার গৃহবন্দী করে রাখতো ফারসী (রাঃ) কে হারানোর ভয়ে।
জানা যায়, সালমান (রাঃ) প্রথমে অগ্নি উপাষক ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তার জাতির লোকেরা ‘আবলাক’ নামক অভিজাত ঘোড়ার পূজা করত। আগেই বলা হয়েছে, তার পিতা অত্যন্ত ধনী ছিলেন। তার ছিল বিপুল জায়গা-জমি যা দ্বারা প্রচুর পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হতো। তিনি নিজেই তার জায়গা-জমি দেখাশুনা করতেন।
ইসলাম গ্রহণের পূর্বে সালমানের (রাঃ) অবস্থা ও চিন্তাধারা সম্পর্কে এটুকু জানা যায় যে, তার দেশে অবস্থানকালে একজন সন্ন্যাসীর সাথে তার ভালবাসা হয়ে যায় এবং তিনি এই সন্ন্যাসীর মতবাদ বিশ্বাসকে উত্তম মনে করতে থাকেন। তাই সাধারণতঃ তিনি সন্ন্যাসীর খেদমতে নিয়মিত উপস্থিত হতে থাকেন। তাকে তিনি এত গভীরভাবে ভালবাসতে থাকেন যে, এক সময় তিনি নিজের ঘরবাড়ী ত্যাগকরতঃ সন্ন্যাসীর সঙ্গী হয়ে যান। ঘটনাচক্রে তিনি রাস্তা ভুলে গিয়ে সন্ন্যাসী হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং মদীনা হতে সিরিয়া আগত খ্রীষ্টানরা তার সাথে প্রতারণা করতঃ তাকে মদীনায় নিয়ে গোলাম করে রাখে।
অপর বর্ণনা মোতাবেক, সালমান দ্বীনের সন্ধানে সফরে বের হন এবং সর্বপ্রথম তিনি নাসারা খ্রীস্টানদের ধর্মে দীক্ষিত হন। তাদের বই পুস্তকাদি পাঠ করেন এবং এই ধর্মে বহু কষ্ট নির্যাতন ভোগ করেন। অতঃপর তিনি আরবদের হাতে বন্দী হন। তারা তাকে ইহুদীদের হাতে বিক্রি করে। আরও একটি বর্ণনা হতে জানা যায় যে, হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) সিরিয়া গমন করার পর একজন খ্রীষ্টান পাদ্রীর নিকট অবস্থান করেন। সেখানে তিনি খ্রীস্ট ধর্মে দীক্ষিত হন।
তিনি লোকদেরকে দান-খয়রাত করার উপদেশ দিতেন। সালমান (রাঃ) লক্ষ্য করলেন ঐ পাদ্রী মহোদয় দুর্নীতিগ্রস্ত ও অসৎ। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার জন্য তার কাছে লোকজন যা দিতো তা জমা রাখতেন তিনি নিজের কাছে। এভাবে তিনি পুঞ্জিভূত করেন অনেক স্বর্ন মুদ্রা। পাদ্রী যখন মারা যান, তখন সালমান (রাঃ) লোকজনকে তার দুর্নীতির কথা প্রকাশ করেন। এরপর সালমান (রাঃ) নতুন পাদ্রীর কাছে বায়াত হন। নতুন পাদ্রীও যখন মারা যান তখন তিনি মোসেল, নিসিবিস, আমুরিয়া প্রভৃতি স্থানে ঘুরে বেড়ান। আমুরিয়ার একজন খ্রীষ্টান সাধক তাকে জানান যে, শেষ নবীর আগমন হয়েছে যার কথা “নিউ টেস্টামেন্ট (জোহান ১ঃ১৯ঃ২৫) এ বলা হয়েছে। যিনি ‘‘জাতুন নাযল’ ভূখণ্ডে হিজরত করে আসবেন। তিনি সদকা গ্রহণ করবেন না। আমুরিয়া হতে কতিপয় ইহুদী সালমানকে (রাঃ) ওয়াদিউল কোরা নামক স্থানে নিয়ে আসেন এবং সেখান হতে বনী কোরাইজার এক ব্যক্তি তাকে মদীনায় নিয়ে আসে। (উল্লেখ্য, তখন মদীনার নাম ছিল “ইয়াছরিব” যার কথা আমেরিকার খ্রীষ্টান সাধক বর্ণনা করেছিলেন।) মদীনায় তার অবস্থানকালেই হিজরতের ঘটনা ঘটে। সালমান (রাঃ) সব খবরাখবর শোনার পর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হন এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। মদীনায় আগমনের পর সালমান ফারসী (রাঃ) কিভাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হন - এ সম্পর্কে আরো বর্ণনা পরিলক্ষিত হয়।
মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে সালমান (রাঃ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খন্দকের যুদ্ধে তিনি নিজেকে একজন যুদ্ধ কৌশলের উদ্ভাবক/ প্রবক্তা হিসাবে প্রমাণ করেন। তিনিই খন্দকের ধারণা দেন। তাই যখন কোরেশ নেতা আবু সূফিয়ান খন্দকে অবলোকন করলেন তখন মন্তব্য করেন- “এই কৌশল আরবরা আগে ব্যবহার করেনি।” এরপর সালমান (রাঃ) মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে অন্য সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) খুব সাদাসিধে জীবন-যাপন করতেন। তার কোন স্থায়ী আবাসস্থল ছিল না। তিনি হয় গাছের নীচে নতুবা দেয়ালের পাশে রাত্রী যাপন করতেন। বাগদাদের নিকটে একটি এলাকার গভর্নর হিসাবে তিনি পাঁচ হাজার দিরহাম বৃত্তি পেতেন। কিš' তিনি পুরোটাই সদকা হিসাবে বিতরণ করতেন। তিনি সবসময় নিজ উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন। একবার কিছু লোক মদীনায় এসে যখন সালমান (রাঃ) খেজুর গাছের নীচে কাজ করতে দেখলেন, তখন তারা বললেন, “আপনি এখানকার নেতা এবং আপনার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত তবুও আপনি এই সমস্ত কাজ করছেন?” সালমান (রাঃ) উত্তরে বললেন- “আমি নিজ হাত কাজ দ্বারা অর্জিত আয় দ্বারা খেতে পছন্দ করি।”
সালমান ফারসী (রাঃ) সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সালমান আমার আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত এবং তিনি তাদের একজন জান্নাত যাদের আগমনের প্রত্যাশী।
সালমান (রাঃ) এর প্রজ্ঞা ও জ্ঞান সম্পর্কে হযরত আলী (রাঃ) মন্তব্য করেন- “সালমান (রাঃ) ছিলেন হযরত লোকমান (আঃ) এর মত জ্ঞানী।” অবশ্য ইমাম জাফর সাদেকের (র) মতে, “তিনি লোকমান (আঃ) এর চেয়েও বেশী জ্ঞানী ছিলেন।” সালমান (রাঃ) জরথ্রস্টবাদ, খ্রীষ্টান ধর্ম এবং ইসলাম- এই তিনটি প্রধান ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানী ছিলেন। কোরানের কিছু অংশ তিনি ফারসী ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি কোরান বিদেশী ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
নীল কমল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা। এটা আগে জানা ছিল না।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৯
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ...... অনেক ধন্যবাদ
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০০
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৯
রকবাজ বলেছেন: পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা)। তাঁর সহচার্যে যারা ছিলেন নিসন্ধেহে তারা পৃথিবীর শেষ্ঠ মানুষ। তাদের জীবনে রয়েছে সকল দেশের, সকল মানুষের জন্য জীবন চলার পাথেয়।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২০
আমিই রূপক বলেছেন: ভালো লাগলো। তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৫
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
+++++++
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৬
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪০
নির্বাসন বলেছেন: আফসোস এমন মুস্লিম এখন আর আর দেখা যায়না যার জীবনাচরণে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণাগুলি ভেঙ্গে যায়।
৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
ইসানুর বলেছেন: +
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৯
শুভ৭৭ বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।
লেখা ভাল লেগেছে।
তবে লেখায় কোন তথ্যসূত্র নাই, তাই মাইনাস।
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪২
মইনুল িমঠু বলেছেন: লেখায় কোন তথ্যসূত্র নাই, +++++
১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৮
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ, সুন্দর লেখা, এরকম লেখা আরও চাই । প্রিয়তে নিলাম ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ েশখসাদী
১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: Click This Link
এই পোষ্টের লিংকটির সাহায্য নিয়েছি। ধন্যবাদ।
১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৫
কুটুশ মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সালমান ফার্সিকে রাঃ নিয়ে লেখার জন্য।
খোদ হুযুর সঃ এর সময় যেসব সাহাবি রাঃ ফতোয়ার কাজ করতেন তাদের মধ্যে সালমান ফার্সি রাঃ অন্যতম।তার উপাধি ছিলো আল খায়ের।
যতদুর মনে পড়ে একটি হাদিসের ভাবার্থ হলো আরবদের মধ্যে থেকে মুহাম্মদ সঃ,পার্সিয়ানদের মধ্য থেকে সালমান রাঃ,রোমানদের মধ্য থেকে সুহাইব রাঃ এবং হাবসিদের মধ্য থেকে বেলাল রাঃ জান্নাতিদের নেতৃত্ব দিবেন।
হুযুর সঃ বলেন ইমান যদি সুরাইয়া নক্ষত্রেও থাকত তাহলে সালমানের রাঃ দেশের(পারস্যের) কিছু লোক সেখান থেকে ইমানকে নিয়ে আসত।(ভাবার্থ)।ওলামারা বলছেন এ উক্তির দ্বারা ইমাম আবু হানিফাকে রহঃ ইংগিত করা হয়েছে।
আরেকটি হাদিস থেকে জানা যায় প্রত্যেক নবির আঃ ৭জন করে সাহায্যকারি ও রক্ষক বা পর্যবেক্ষক থাকেন আর হুযুরকে সঃ দেয়া হয়েছে ১৪জন।এদের মধ্যে সালমান রাঃ অন্যতম।
রসুলের সঃ সমস্ত সাহাবি রাঃ এর মতোই সালমান রাঃ ছিলেন অসংখ্য গুনের আধার।ইবনে বুরাইদাহ রাঃ বলেন তিনি নিজ হাতে উপার্জন করতেন আর সেই উপার্জন দিয়ে গোস অথবা মাছ খরিদ করে কুস্ঠ রোগিদের দাওয়াত করে তাদেরকে নিয়ে একসাথে খেতেন।সাবেত রহঃ বলেন,সালামান রাঃ মাদায়েনের আমীর ছিলেন।এক ব্যাক্তি একটা বোঝা নিয়ে আসলো।সালমান রাঃ উচু পাজামা আর আরবি আবা পড়েছিলেন।এজন্য ঐ ব্যাক্তি চিনতে না পেরে বললো এসো আমার বোঝাটি পৌছে দাও।তিনি তখন সেটা উঠিয়ে নিয়ে চলা শুরু করলেন।পথে লোকজন চিনতে পেরে বললো আরে ইনি তো আমাদের আমির ।তখন ঐ ব্যক্তি লজ্জা পেয়ে বললো আমি তো আপনাকে চিনতে পারি নাই।কিন্তু সালমান রাঃ বললো না আমি তোমার এ বোঝা তোমার গন্ত্যবে পৌছে দেবো এবং তিনি পৌছে দিলেন।আব্দে কায়েসের এক ব্যক্তি বলেন, আমি সালমান রাঃ এর সাথে ছিলাম তখন তিনি এক জামাতের আমির ছিলেন।তিনি সৈন্যদের মধ্য দিয়ে কয়েকজন যুবকের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় তারা সালমান রাঃ কে তার সাধারন বেশ-ভুষা দেখে হেসে উঠে বললো এই হলো তোমাদের আমির!আমি বললাম,হে আবু আবদুল্লাহ আপনি দেখছেন না এরা কি বলছে?তিনি বললেন ছাড়ো তাদেরকে ভালো মন্দের বিচার আগামিকাল(আখেরাত) হবে।আসলে এরকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে।
মুসলমানদের পারস্য জয়ের সময় সালমান রাঃ কিভাবে দাওয়াত দিয়েছিলেন তার কিছু নমুনা:
আবুল বাখতারি রহঃ হতে বর্নিত,সালমান রাঃ এক মুসলিম বাহিনির আমির ছিলেন।তারা পারস্য সম্রাজ্যের একটি দুর্গ অবরোধ করলেন।মুসলমানরা সালমান রাঃ কে বললেন,হে আবু আবদুল্লাহ! আমরা তাদের উপর হামলা করব কি?সালমান রাঃ বললেন,আমাকে একটু সময় দাও,আমি তাদেরকে সেভাবেই দাওয়াত দিবো যেভাবে রসুল সঃ কে দাওয়াত দিতে শুনেছি।তারপর সালমান রাঃ সেই দুর্গবাসিদের লক্ষ্য করে বললেন,আমি তোমাদের মতোই পারস্যের লোক,তোমারা নিজেরাই দেখছো যে,আরবের লোকেরা আমাকে কিভাবে মেনে চলছে।যদি তোমরা মুসলমান হয়ে যাও তবে আমাদের মতো তোমারাও সকল অধিকার লাভ করবে এবং আমাদের উপর যেসকল দায়িত্বভার ন্যস্ত হয়েছে তোমাদের উপরও তাই হবে।আর যদি ইসলাম গ্রহন করতে অস্বীকার করো আর নিজেদের ধর্মের উপর থাকতে চাও তবে আমরা তোমাদেরকে নিজ ধর্মের উপর থাকতে দিবো;কিন্তু আমাদের জিযিয়া প্রদান করতে হবে।আর যদি জিযিয়া দিতে অস্বীকার করো তবে তোমাদের সাথে প্রকাশ্যে যুদ্ধ করবো।
তারা বললো,আমরা ইমানও গ্রহন করব না,জিযিয়াও প্রদান করবো না,আমরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করব।মুসলমানরা সালমান রাঃ কে বললেন,হে আবু আবদুল্লাহ,আমরা তাদের উপর হামলা করব কি?সালমান রাঃ বললেন,না।অতঃপর তিনি একইভাবে ৩দিন দাওয়াত দিলেন।তারপর বললেন,তোমরা হামলা কর।(আবু নুআঈম)
আবুল বাখতায়রি রহঃ হতে অপর এক রেওয়াতে আছে,সালমান রাঃ মুসলমানদের অগ্রগামি দলের নায়ক ছিলেন।পারস্যবাসিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য তাকেই মনোনিত করা হলো।বর্ননাকারি আতিয়া রহঃ বলেন,বাহরশীর শহরের লোকদের দাওয়াত দেবার জন্য তাকেই আমির বানানো হয়েছিলো ও পারস্যরাজের মহল কাসরে আবিয়াব বিজয়ের দিনও তাকেই আমির বানানো হয়েছিলো।তিনি ৩দিন যাবৎ দাওয়াত দিয়েছিলেন।আর পারস্য জয়ের সময় দজলা নদী কিভাবে পার হওয়া যায় এ ব্যাপারে সাদ ইবন আবি ওয়াক্কাসকে রাঃ দেয়া তার বিখ্যাত পরামর্শতো ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে!
১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
েমাহাম্মদ কামরুল হাসান বলেছেন: জাজাকাল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩০
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: আমার এই রচনাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকে ১০ জুন ২০০৫ তারিখে ।
লিন্ক হল -
Click This Link