নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নুসরাত মারিয়া

নুসরাত মারিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মামার গল্প

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫১

গল্পটা আমি আমার এক মামার কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের পাশের গ্রামে বিড়াট এক জঙ্গল ছিল। গ্রামটিতে তখন বেশি বাড়ি ঘর ছিলনা। জঙগলের পাশে একটা ছোট ঘর ছিল,ঐ ঘরে এক বৃদ্ধ থাকত। এক দিন তাঁর ভাগ্নে আসলো। মামার সাথে কথা বলে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ফেরার পথে ঐ জঙ্গলের বাঁশঝারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল । কে যেন একজন বাঁশঝারের একটি বাঁশ টেনে নামিয়ে পথ আটকে ওপারে দাড়িয়ে ছিল। বাঁশ ডিঙানোর সময় যদি বাঁশের মাথা ছেড়ে দেয় তাহলে বাঁশটি তাকে ছিটকে ফেলে দিবে ।

ভাগ্নে যতই বলছিল পথ ছাড়তে কিন্তু ভয়ংকর মূর্তিটি নড়ছিল না,এরকমভাবে দু্জনের মাঝে বাদানুবাদ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যাচ্ছিল। এদিকে মামা কোন এক প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরহলে জঙ্গল থেকেঅস্পষ্ট কথার আওয়াজ শুনতে পেল তখন সে আওয়াজের দিকে গেল ,দেখল তার ভাগ্নে কার সাথে যেন তর্ক করছে। সামনে গিয়ে দেখল এক মূর্তি ভাগ্নের পথ আটকে আছে। তখন মামা বুঝতে পারল এটি আর কিছুই না , বাঁশঝাড়ের ভুত । ভাগ্নে বাঁশটি ডিঙ্গানোর সময় তাকে মেরে ফেলবে। তখন মামা ভুতটিকে মন্ত্র পড়ে লতা দিয়ে গাছের সাথে বেধে ফেল্ল। তখন বাঁশটি সজোরে শব্দ করে রাতের আধার ভেদ করে আকাশের ছিটকে গেল।

পরে গ্রামে লোকবসতি বাড়ার কারনে জঙ্গলটি কেটে ফেলা হয়,গাছ কাটার সময় ভূত বাধা গাছটিও কেটে ফেলা হয়। তখন ভূতটি মুক্তি পায়। কিন্তু তার শরিরে লতাগুলো রয়ে যায়। আজো যখন ভূতটি মধ্যরাতে আকাশে উরতে থাকে তখন টিনের চলের উপর সেই লতা বারি খায় আর সে আওয়াজে গ্রাম বাসিদের ঘূম ভেঙে যায়।

লিখালিখিতে একেবারে নতুন হওয়ায় কি লিখব বুঝতে পারছিলাম না ।তাই মামার বলা গল্পটাই লিখে দিলাম।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৬

ভাঙ্গন বলেছেন: বাপ্রের্হ।
কী ভয়ানক গল্প!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৪

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: চাপাবাজি হলেও ভয়ানক

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮

ইমন০০৭েবস্ট বলেছেন: আপু দারুন লিখেছেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৫

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৫

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: কি বলেন আমিতো একদিন সুন্দরবনে গিয়া একটা বাঘেরে কান ধইরা দুই চটকানা মারতেই সে পেন্ট নষ্ট করে ফেলল। থুক্কু বাঘতো পেন্ট পরে না :(

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২১

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: আপনিতো তাহলে আমার মামার মত হয়ে গেলেন।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬

ওসমানজি২ বলেছেন: দারুন চাঁপাবাজী। চালিয়ে যান।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৩

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

নানু বলেছেন: আপনার মামার গপ্লটার লেখা পরে ভাল লাগল,ভাল থাকবেন

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৪

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: হাহাহা। ভূত বলে কিছু নেই, কিছু নেই! :)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৬

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: তাই নাকি? :)

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৯

স্বপ্নকথক বলেছেন: গ্রামে এমন প্রচুর গল্প চালু থাকে...সবাই নিজের নামে চালানোর চেস্টায় থাকে...

আরো লিখুন, নইলে প্রথম পাতায় আসতে পারবেন না...

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩২

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৩৭

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: আগের লোকজন প্রায়ই এরকম গল্প করত, শুনে ভয়ন্কর মজা লাগত।

যাহোক বেশ ভাল লাগল

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৪

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মুখ ও মুখোশ ভালথাকবেন।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪৩

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: ভুতের গল্প মজা লাগলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৬

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।শুনে আমিও মজা পেয়েছিলা.

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯

ফেরারী... বলেছেন: চাপাবাজি হলেও ভয়ানক :P

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৩৬

নুসরাত মারিয়া বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১০

দিপ বলেছেন: ফেসবুকে শেয়ের করলেম।

১২| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১২

অনিক বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগলো।

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩

এম এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম। নতুন হিসেবে ভালই লিখেছেন। তবে এধরণের গল্প আরো বিশ্বাসযোগ্য হতে পারতো যদি আপনি প্রথম লাইনে আপনার মামার সাথে চাপাবাজ শব্দটা না লিখতেন। গল্প লিখার পর ভাল করে বেশ কয়েক বার পড়ুন। গল্পের দূর্বলতা তাহলে প্রকাশ হবে। আর সৃজনশীল কিছু লেখার চেষ্টা করুন। পাশে থাকবো।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৬

আমিনুর রহমান বলেছেন: ভাগ্নের সাথে ভুতের বাদানুবাদ এর সময় একটু ভয় পাইছিলাম :p

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.