নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছন্নছাড়া উন্নাসিক। আমার ফটোগ্রাফিঃ https://www.flickr.com/photos/nuvan_buet/

নুভান

আমি তোমায় এত বেশি স্বপ্ন দেখেছি যে- তুমি তোমার বাস্তবতা হারিয়ে ফেলেছো... আমি তোমায় এত বেশি স্বপ্ন দেখেছি যে-হয়তো আমার পক্ষে আর জাগাই সম্ভব হবেনা।। -রবার্ট ডেসনস

নুভান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারমানবিক বিদ্যুৎ শক্তি নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪



ব্লগটির উৎস "পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে কতটা জরুরী? " এই পোষ্টটা কে কেন্দ্র করে। পারমানবিক শক্তি অবশ্যই এখন প্রয়োজনীয় কিন্তু অনেকেই এই প্রযুক্তিটিকে সন্দেহের চোখে দেখেন। পোষ্টে ব্লগার "দিনমজুর " ও আরোও কিছু সহব্লগারদের পারমানবিক বিদ্যুৎ সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি।



দিনমজুরপ্রশ্নঃ ১। অন্য দেশসমূহের অভিজ্ঞতা কি? নিউক্লিয়ার এ্যাকসিডেন্ট কি কমেছে? উন্নত বিশ্বেই যেখানে দুর্ঘটনা মুক্ত নয়- সেখানে আমরা কতখানি নিশ্চিন্ত থাকতে পারি? পরিবেশের উপর প্রভাব বিবেচনায়- জার্মানী কিন্তু এরই মধ্যেই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কমানো শুরু করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও এখন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট না বাড়িয়ে অন্য সেক্টরগুলোর মাধ্যমে পাওয়ারের চাহিদা মেটানোয় আগ্রহী।

=> উত্তরঃ => ধনী দেশ গুলোর উদাহরন সম্পর্কে বলার আর কিছুই নেই। কারন ওরা নিজেদের আখের অনেক আগেই গুছিয়ে নিয়েছে। তাই জার্মানী ও অন্যন্য ধনি দেশগুলোর উদাহরন বাংলাদেশের জন্য কতখানি প্রযোজ্য হবে সেটি ভেবে দেখার বিষয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাংলাদেশের শুধু নয় সমস্ত বিশ্বের সমস্যা, কিন্তু এতে বাংলাদেশের কন্ট্রিবিউশান দশমিকের পরে তিন-চারটা শুণ্য দিলে যা হবে % তত ভাগও নয়। এযেন পরের পাপে নিজের শাস্তি।। তাই বাংলাদেশ তার দেশের উন্নতির জন্য যদি একটু পরিবেশ দুষন করে, তবে সেটা বৈশ্বিক ভাবে ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না, কারন যা ক্ষতি করার যুক্তরাষ্ট্র করে এখন সে অরন্যের রোদনে দরিদ্র দেশগুলোকে আমেরিকার মধু পিয়াসী বিশ্বব্যঙ্ক ও আই.এম.এফ-দের দিয়ে পরিবেশ সচেতন করানোর মহান তালিমে নেমেছেন, কিন্তু নিজেই কিওটো প্রটোকল মানছে না। মানুষ হিসেবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য এ বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে উদ্ধার করা, কিন্তু বাংলাদেশী হিসেবে আমি মনে করি, পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করে হলেও আমাদের উন্নয়নের পথ ধরা উচিত। এ কেবল-ই আমার ব্যক্তিগত মতামত।



দিনমজুরপ্রশ্নঃ ২। হাই কস্টিং সামাল দিব কি করে? এই নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি রপ্তানী বাণিজ্যের পাশাপাশি চলা ঋণ বাণিজ্যটাও চলে হরদম। ব্রাজিল সহ আরো কয়েকটি দেশের উদাহরণ এখানে দেখা যেতে পারে- ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছা থাকলো।

উত্তরঃ => হাই কস্টিং? বেশ ডিবেটেবল ইস্যু। আসলে আমরা অনেকটা না জেনেই পারমানবিক শক্তির বিরোধিতা করি, টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো না বুঝে এর বিরোধিতা করা শুরু করি আমরা, যা অনুচিত। মার্কিন একটি বিশেষজ্ঞ দলের সমীক্ষার ফলাফল তুলে দিচ্ছি, এটা নিয়ে আরো কথা লিখবার ইচ্ছে ছিল, আপাতত সময়ের অভাবে তা দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত।



কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ পড়ে প্রায় ০.৬ থেকে ১.৬ সেন্ট প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসে খরচ পড়ে প্রায় ০.০৭ থেকে ১.১ সেন্ট প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় এবং জ্বালানী তৈল থেকে ১.২ সেন্ট।

এবার নবায়ন যোগ্য শক্তির প্রসঙ্গে আসা যাক, সৌর শক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের খরচ প্রায় ৫০ থেকে ৮০ সেন্ট প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় আর বায়ু শক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের খরচ প্রায় ৫.৫ থেকে ১৩ সেন্ট প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায়, কিন্তু আমাদের দেশের একমাত্র কিছু উপকূলীয় এবং দ্বীপাঞ্চল ছাড়া বায়ু শক্তি কাজে লাগানোটা দুস্কর, তার ওপর এই উপকূলে ঝড়-ঝঞ্ঝার পরিমান বেশী হবার দরূন সব উপকূলীয় এলাকায় এগুলো স্থাপন করাটাও কতটুকু সমীচীন সেটা বিবেচনায় আনাটা জরুরী। কিন্তু নিউক্লীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ বেশ কম, আর তা মাত্র ০.২৫ থেকে ০.৬ সেন্ট প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায়।

প্রজেক্ট রিপোর্টটি এখানে গিয়ে দেখতে পারেন।



নিউক্লিয়ার প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ যেখানে স্ট্যাবল আছে বহু বছর হল, গ্যাস আর তেলের দাম বাড়ছেই। তার ওপর আছে ফসিল ফুয়েল পোড়ানোর জন্য পরিবেশ বিপর্যয় আর গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রকোপ।



দিনমজুর প্রশ্নঃ ৩। বর্জ্য আসলেই একটা বিশাল সমস্যা- আমরা এটা কোথায় পাঠাবো? কি করবো? বর্জ্য পরিশোধনের প্রতিষ্ঠান গুলোর ব্যাপারে আপনার কাছে আরো কিছু শুনতে পারলে ভালো হতো- তারা কি করে- কিভাবে পরিশোধন করে- কোথায় ফেলে- চার্জ কেমন.. ইত্যাদি। ভবিষ্যতে কিছু বলার আগ্রহ থাকলো।

উত্তরঃ => বর্জ্যের ব্যাপারে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তদারক করে। আর বলা বাহুল্য তারা আফ্রিকায় এগুলো ডাম্পিং করে। হ্যাঁ শুনে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি। পৃথিবীর সব জাতিই উঠেছে আরেকজনকে ব্যাবহার করে। আজ পিরামিড দেখে আমরা বিমূর্ত আনন্দ লাভ করি, কিন্তু সেগুলো কিন্তু আরেক জাতির রক্ত ঝড়ানো ইতিহাসের প্রতিবিম্ব। চায়নার দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা নিজেদের সমাজতান্ত্রিক বললেও আফ্রিকাকে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে নিজেদের প্রয়োজনে। আমাদেরও ইউরোপিয়ানরা ব্যবহার করেছে ২০০ বছর, এখন আমাদের এর শোধ দেয়ার পালা, এর জন্য কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে হলেও তা নেয়া উচিৎ।

কথা প্রসঙ্গে বলা উচিৎ, দক্ষিন কোরিয়া এখন নিউক্লিয়ার ফুয়েল রিসাইকেল করে পুণঃ জ্বালানী তৈরীর কাজ হাতে নিয়েছে । তাই বর্জ্য খুব কম উৎপন্ন হয়।



দিনমজুর প্রশ্নঃ ৪। আমাদের মত জনবহুল দেশে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বসানোর মত লোকেশন আদৌ আছে কি? এর সামান্য একটা একসিডেন্টের ফলাফল কি হতে পারে?

উত্তরঃ => লোকেশন একটা বিশাল সমস্যা, এটা অস্বীকার করার জো নেই। কিন্তু তাই বলে সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে উন্ন্যাসিক হওয়াটাও ভালো চিহ্ন নয় বিলক্ষণ। এমন স্থান নির্বাচিত করা উচিৎ যেখানে জনসংখ্যা আপেক্ষাকৃত কম। দুর্ঘটনা ও ব্যাবস্থাপনার ব্যপারে পরে আলোচনা করছি।



এখানে দেখুন, ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ক্যাজুয়ালিটির হার দেয়া আছে, যেখানে স্পশটতই দেখা যাচ্ছে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি কতটা নিরাপদ। আর এখন তো আরও ২ যুগ পরে দুর্ঘটনার কথা চিন্তাও করা যায় না।



দিনমজুর প্রশ্নঃ ৫। প্ল্যান্টের অর্থায়ন, প্ল্যান্ট বসানো ও মেইনটেইনেন্সের টেকনিক্যল এক্সপার্টিজ এবং জ্বালানি- তিনটার কোনটারই আমাদের হাতে নেই- মানে আমরা পুরোটাই বাইরের প্রভু রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। ফলাফল কি?

উত্তরঃ =>" প্ল্যান্টের অর্থায়ন, প্ল্যান্ট বসানো ও মেইনটেইনেন্সের টেকনিক্যল এক্সপার্টিজ এবং জ্বালানি- তিনটার কোনটারই আমাদের হাতে নেই- মানে আমরা পুরোটাই বাইরের প্রভু রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল।"

আচ্ছা, গ্যাস প্ল্যান্ট যেগুলো আমাদের দেশে আছে, এগুলো কি আমাদের দেশের অর্থায়নে বা ডিজাইনে তৈরী? সবগুলোই আপনার কথিত প্রভূ রাষ্ট্রের কারিগরী সহায়তায় তৈরী। এপর্যন্ত জ্বালানীর অভাবে কোন রিয়েক্টর শাট-ডাউন হয়েছে বলে শুনেছেন (ইরানের কথা বাদ দেন, ওইটা ভিন্ন কেইস) আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউরেনিয়াম এর গ্রেড আর উইপন্স গ্রেড এক না, এইটা সবাই জানে। আর আই.এ.ই.এ-র কাছ থেকে জ্বালানী শর্ত সাপাক্ষে নেয়া যাবে, এমনকি পারমানবিক বর্জ্য ডাম্পিং করার কাজ-ও। আমরাতো আর পারমানবিক অস্ত্র বানাচ্ছিনা, শুধু বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবো, আমাদের আর কি ভয়?



মাত্র দুটি দুর্ঘটনা (তাও কিনা অপারেটরদের দোষে) বাদ দিয়ে আর কোন দুর্ঘটনা হয়নি, আর ভবিষ্যতে হবার সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ। বর্তমানে প্রযুক্তিক উৎকর্ষতার পরিধি এত বিস্তার লাভ করেছে, নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরের দুর্ঘটনা এখন শুধুই ইতিহাস! বিশ্বের ৩০ টি দেশে ৪৩৭ টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনা আছে, আর ৫০ টি নির্মানাধিন।



দিনমজুর প্রশ্নঃ৬। এমন হাইলি টেকনিক্যল ও সফিসটিকেটেড প্রযুক্তি আনার মত টেকনিক্যল এক্সপার্টিজ আমাদের আছে? আনলে এক্সপার্টিজ গ্রো করবে? বাংলাদেশে নর্মাল গ্যাসচালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট বিস্ফোরণ হলে সেটার রিপেয়ার করার জন্য প্ল্যান্ট বসানো কোম্পানির সহায়তা চাওয়া হলে তারা আসতে চায় ৬ মাস পরে। জাপানের মত দেশে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে দুর্ঘটনা ঘটলে তারা মার্কিন কোম্পানীকে তলব করলে- সেই কোম্পানী তিনমাসের মধ্যে হাজির হতে অপরাগতা জানায়।

বাংলাদেশে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের এমন কিছু ঘটলে তা সামাল দিতে পারবো?


উত্তরঃ => বাংলাদেশের দক্ষ লোকের ব্যাপারটা আগের পোষ্টেই আলোচনা হয়েছে। হাইলি সফিসটিকেটেড টেকনলজির ব্যপারটা বোধগম্য নয়! নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর থেকে শুধু আমরা শক্তি পাব, বাকি পুরোটাই কনভেনশনাল বয়লারে পানি গরম করে স্টিম বানিয়ে টার্বাইন ঘোড়ানো। প্রায় সত্তর-আশি বৎসর আগের একটা প্রযুক্তিকে আপনি হাইলি সফিসটিকেটেড বলতে পারেন না এখন আর। বর্তমানে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্র যে সকল পারমানবিক চুল্লি বন্ধ করে দিচ্ছে, সেগুলো পুরাতন প্রযুক্তির। নিউ জেনারেশন নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর যেগুলো জাপান-কোরিয়া ব্যাবহার করে সেগুলো ১০০% নিরাপদ আর প্ল্যান্ট লাইফ ৭০ বৎসর! তার মানে পুরো এক প্রজন্মের বিদ্যুৎ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। আর নিউ জেনারেশন নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর 'পিবল বেড' টাইপ। সেই প্রাচীন মান্ধাতা নিউক্লিয়ার ফুয়েল রড দিয়ে চেইন বিক্রিয়া করানো হয় না যার কারনে আরেকটা চেরনোবিল বা থ্রি মাইল আইল্যান্ডের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বলা যায় এটি শতভাগ সেইফ।

কিন্তু আমি রাশিয়ান টেকনোলজি সম্পর্কে কিছু জানিনা। তারা এখনোও প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করে কিনা। ব্যক্তিগত ভাবে এজন্য আমি রাশান প্রযুক্তির বিরোধী, আর সরকার একটু সস্তা দেখে যদি তাদের প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পরে, তাহলে ব্যাপারটা ভালো হবে বলে মনে হয় না। এর চেয়ে জাপানী বা দক্ষিন কোরিয়ান প্রযুক্তি অনেক উন্নতমানের ও নির্ভরযোগ্য। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ডিজাইন, কন্সট্রাকসন, কস্টিং সবকিছু সম্পর্কে ধারনা পেতে চাইলে এম.আই.টি -র একটা প্রসেস ডিজাইন অভিসন্দর্ভ 'নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিজাইন ' দেখতে পারেন।



মূলত মার্কিন প্রভূরা জানেন যদি পারমানবিক শক্তি জনপ্রিয় হয় তাহলে তাদের তেলের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে আর তাদের একচ্ছত্র আধিপত্ত থাকবেনা। ঠিক এই কারনেই তারা পারমানবিক শক্তির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাতে পটু। এ নিয়ে হলিউডে কিছু ফিল্ম-ও বানানো হয়েছে। কিন্তু আশা রাখি, অতি সত্বর সরকার পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন আর আমরা লোডশেডিং এর কবল থেকে রক্ষা পাব।



রেফারেন্সঃ লিঙ্ক এমবেড করা আছে।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৩৭/-১

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

সেতূ বলেছেন:
ধন্যবাদ ও সহমত -
"রাশান প্রযুক্তির" - সরকার একটু সস্তা দেখে যদি তাদের প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পরে, তাহলে ব্যাপারটা ভালো হবে বলে মনে হয় না। এর চেয়ে জাপানী বা দক্ষিন কোরিয়ান প্রযুক্তি অনেক উন্নতমানের ও নির্ভরযোগ্য।

+++

০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৪১

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ সেতু ভাই। দক্ষিন কোরিয়ার সহায়তায় পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের তাগিদ বাংলাদেশের।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

নাজনীন১ বলেছেন: সব পদ্ধতিরই কিছু সীমাবদ্ধতা বা অপকারিতা আছে, কিন্তু শুধু তেল - গ্যাসের উপরও সারাজীবন নির্ভর করা যাবে না, এটাও বাস্তবতা। তাই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে যাওয়াটা যুক্তিযুক্ত বা সময়ের দাবী। তবে সাবধানতাও জরুরী অনেক, কারণ বাংলাদেশে সিষ্টেম লস বেশি হয় আমাদের সচেতনতার অভাবে।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৭

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ নাজনীন আপু। স্প্রিং ফেস্টিভ্যালের শুভেচ্ছা।

সেদিন শুনলাম, সার কারখানার গ্যাস সরবরাহ করে দিয়ে ওই গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে, অথচ সার সংকট দেখা দিলে যে চাউলের দাম বাড়বে সেদিকে খেয়াল নেই আমাদের। আজ থেকে ১৫ বৎসর পর কি হবে যখন দেশে কোন গ্যাস থাকবে না?

যারা পারমানবিক শক্তির বিরোধিতা করেন তারা নিজেরাও ভালো করে যাচাই করেন না তুলনামূলক জ্বালানীর ব্যাবহার সম্পর্কে।

দেশের উইন্ড ডিরেকশন ঠিক নেই। আর এজন্য বায়ুকল স্থাপন পুরোপুরি অনির্ভর যোগ্য। উপকূলিয় কিছু অঞ্চলে হালকা সম্ভবপর হলেও সেখানে মাঝে মধ্যেই সাইক্লোনের তান্ডব দেখা যায়। আর সোলার প্যানেল, এইটা মরিচিকার মতই! বর্ষার দিনে সব সিসটেম বন্ধ আর ভোল্টেজ আউটপুট খুব সামান্য, বসত-বাড়ির ফ্রিজ বা ইস্ত্রী চালালেই দিনের চার্জ খতম!

একমাত্র পারমানবিক শক্তি-ই এখন ভরসা।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

অবাঞ্চিত বলেছেন: সহমত

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৮

নুভান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০১

শ।মসীর বলেছেন: ভাল বিশ্লেষন.............।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৯

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ শ|মশীর ভাই :)

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৩

লুকার বলেছেন:

দূর্ঘটনার ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না।
চেরনোবিলের কথা স্মরণ করুন।
এমনকি ভারতে ইউনিয়ন কার্বাইডের কেমিক্যাল প্ল্যান্টে যা হয়েছিল, সেটাও বিবেচনা করুন। তৃতীয় বিশ্বের দেশে এসব প্ল্যান্টের রিস্ক অনেক বেড়ে যায়। এসব দেশের মানুষ উন্নত বিশ্বের কাছে পোকামাকরতূল্য।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নুভান বলেছেন: লুকার, প্রযুক্তি ও দুর্ঘটনার ব্যাপারটা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৬ নং প্রশ্নে। ভারতের ইউনিয়ন কার্বাইডের দুর্ঘটনা ছিলো 'মিথাইল আইসো সায়নাট' গ্যাস লিকের জন্য। সেটার সাথে পারমানবিক কেন্দ্রের কোন সম্পর্কই নেই।
বিশ্বের ৩০ টি দেশে ৪৩৭ টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনা আছে http://www.euronuclear.org/info/npp-ww.htm
কোথাও কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, শুধু রাশিয়া আর ত্রি মাইল আইল্যান্ডেরটা বাদ দিয়ে। চেরনবিলের দুর্ঘটনার জন্য ইঞ্জিনিয়াররা দায়ী, তারা নতুন একটা পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গিয়েছিলেন। আর ত্রিমাইল আইলযান্ডের জন্য দায়ী প্ল্যান্ত অপারেটর, ক্যুল্যান্ট এর যোগান ঠিক মতন যায়নি, সেটা সে লক্ষ্য করেনি। কিন্তু এখন সবকিছুই অটম্যাটিক। তাই হিউম্যান অপারেটরের ওপর নির্ভর করতে হয়না, আর ফুয়েল রডের কাহিনীও নেই যা দিয়ে ক্রিটিক্যাল ম্যাসে আসার পর বিস্ফোরন হবে।
তাই নতুন প্রযুক্তির পারমানবিক রিয়্যাক্টরে দুর্ঘটনা, এক অলিক কল্পনা।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৩

কাঠের খাঁচা বলেছেন: ভাল পোস্ট।

প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে অনেক কিছু উঠে আসল। জানতে পারলাম।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৪

নুভান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:০৯

এস এইচ খান বলেছেন:
ভাল বিশ্লেষন+++++++++++++

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩১

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১১

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সাগরে ভাসমান অবস্থায় পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব কি ? যদি সম্ভব হয়, তবে দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানি হবে না।
পারমাণবিক প্রযুক্তি দিন দিন নিরাপদ হচ্ছে বলে আমি জানি।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

নুভান বলেছেন: শামীম ভাই, জিনিসটা অবশ্য চিন্তার বিষয়, কিন্তু সেটা বোধ হয় সম্ভব নয়। কেননা, বড় বাধা হবে কুলিং টাওয়ার এগুলোকে সাগরে স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। আর সাগরের পানিতে সবসময় টার্বুলেন্স আর ক্রিপিং ফ্লো থাকে। একারনে সাগরে ভাসমান বডি সবসময় দুলতে থাকে। অফশোর গ্যাস/তেল প্ল্যান্ট ছোট দেখে করা যায়, বার্জ মাউন্ট ও সম্ভব, কিন্তু এই কুলিং টাওয়ারের জন্য সাগরের বুকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনাটাতে সমস্যা দেখা দেবে।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১১

কাঠের খাঁচা বলেছেন: @লুকারঃ আমি এই নিয়ে সাপ্তাহিক ২০০০ এ একটা ফিচার পড়েছিলাম। চেরনোবিলে যা হয়েছিল তা এখন ঘটবে সেটা চিন্তা করা মোটামুটি হাস্যকর।

টেকনলজি যে কোথায় এগিয়ে গেছে।

এখন অনেক সেইফ টেকনো ইউজ করা হয়। দুর্ঘটনার প্রোবাবিলিটি অনেক অনেক অনেক কম। বলতে গেলে নেইই।

আমাদের ভার্সিটিতে এই নিয়ে একটা সেমিনারও হয়েছিল। ওখানে এ্যাটোমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান বা উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা বলছিলেন ওনারা এই মূহুর্তে ১০০% প্রস্তুত প্লান্ত স্থাপনের জন্য, শুধু সরকারি উদ্যোগ দরকার। সরকারের দুই মন্ত্রীও ছিলেন। ওনারা টু দা পুয়েন্ট এ্যান্সাএ না করে ধানাই পানাই করসিলেন।

ভারতের ক্যামিকেল প্লান্টের উদাহরন দিলেন। ভারতে বর্তমানে ১৯ টা নিউক্লিয়ার প্লান্ট আছে। আমাদের একটাও নাই।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪১

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুচিন্তিত ও গঠনমূলক মতামতের জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৮

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আমরাও একদিন এ প্রযুক্তিতে যাব..........কিন্তু তখন দেখাযাবে সবাই তখন তারচেয়েও আধুনিক বিকল্প জ্বালানীর দিকে ঝুকে পড়েছে।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

নুভান বলেছেন: বিকল্প জ্বালানী নিয়ে আমার ল্যাবে কাজ হচ্ছে, তাই আমি জানি এর ফিউচার কি :P
পারমানবিক শক্তিতে আপনি যেমন মাস প্রোডাকশন পাচ্ছেন, আর কোন টেকনোলজিতে আপনি সেটা পাবেন না। পারমানবিক শক্তির বিকল্প রূপে এক সময় ধরা হয়েছিলো 'কোল্ড ফিউশন রিয়্যাক্টর'-কে। কিন্তু অনেক আগে একবার মাত্র একটি রিসার্চ টিম এর সফলতা পেয়েছিলো, এর পর আর কেউ পায়নি। তাই ধারনা করা হয়, এটা একধরনের ভাওতাবাজী। তাই এখন পর্যন্ত, পারমানবিক শক্তির বিকল্প শুধু পারমানবিক শক্তি-ই।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৯

ধ্রুবো বলেছেন: বুঝলাম যে এই পারমানবিক শক্তিতে উত্পাদিত বিদ্যুত আমাদের দেশে এখন অতি প্রয়োজন।

কিন্তু এই প্লানট স্হাপন করতে যে টাকা এবং প্রযুক্তি দরকার তা কিভাবে যোগাড় করা হবে? এ ব্যাপারে কিছু কি বলবেন?

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৯

নুভান বলেছেন: প্রযুক্তির ব্যাপারতা তো আগেই বললাম। জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, চায়না, ফ্র্যান্স, রাশিয়া সহ অনেক দেশ-ই আগ্রহী রিয়্যাক্টর তৈরীর জন্য।
কোরিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমীক্ষা।

টাকা কোথা থেকে আসবে! আমাদের মহান নেতা-নেত্রী আর তাদের সুযোগ্য পুত্র-পুত্রী গণ আমাদের যে টাকা লুটপাট করে খয়েছে তা দিয়ে যে কটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানো যেত, তা সমস্ত দক্ষিন এশিয়াতে সাপ্লাই দেয়া যেত!

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৯

মঈনউদ্দিন বলেছেন:
ভাল বিশ্লেষন

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:০০

নুভান বলেছেন: :D :D :D

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২১

শয়তান বলেছেন: বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন গ্রহনযোগ্য বিশ্লেষন আজ অবধি পেলাম না । অথচ এটাই সবচেয়ে ভাইটাল ইস্যু /:)

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:২৩

নুভান বলেছেন: হুমম এটা একটা বড় ইস্যু। নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট কম্পানী গুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাধা পায় মাঝে মধ্যেই (সন্ত্রাসীদের কাছে বর্জ্য চলে যাবার ভয়ে)। তবুও কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে যারা বর্জ্য ডাম্পিং না করে রিসাইকেল করে। আর কন্সট্রাকশন কম্পানী-ও বর্জ্য পরিশোধনের দ্বায়ীত্ব নিয়ে থাকে, কিন্তু এটা অবশ্য কম্পানী থেকে কম্পানি ভ্যারি করে।

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২২

লাল সাগর বলেছেন: এখন ঘটনা হৈলো ইন্ডিয়া কি চাইবো বাংলাদেশ পারমানবিক প্রযুক্তি পাক (হোক সেটা আইএইএ এর মাধ্যমে)।

আর আমাদের আমাদের ভারত ঘেষা সরকার কি চাইবে দাদাদের অখুশি করে এটমিক প্লান্ট বানাতে।


ভালো করে চিন্তা করে দেখেন।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:২৪

নুভান বলেছেন: দাদা বৈলা কথা !

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৮

লাল সাগর বলেছেন: কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের সাথে ভারতের একটা চুক্তি হয়েছিল। তাদের বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এবং আমাদের বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড একসাথে কাজ করবে। ভারত বাংলাদেশে কয়েকটি প্ল্যান্ট বানিয়ে দিবে কিন্তু এসবের নিয়ন্ত্রন থাকবে তাদের হাতে। আর আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষব।

সুতরাং এটমিক প্ল্যান্ট বানালে তার কি হবে কে জানে। ব্যাপারটা ভাবনার বিষয়।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩১

নুভান বলেছেন: ব্যাপারটা তো দুঃচিন্তার। ভারত ইতিঃমধ্যে ১৮--১৯ টা পারমানবিক কেন্দ্র বসিয়ে ফেলেছে, আর আমরা এখনোও বসে আছি, আর বিকল্প জ্বালানীর আশা করে বসে আছি!

পাকিস্তানের পাগলা বিজ্ঞানী প্রফেসর আব্দুল কাদেরের কথা মনে পড়ছে এখন, তার জ্বীন দিয়ে বিদ্যুৎ বানানোর থিওরী (যেহেতু জ্বীন আগুনের তৈরী)! হা হা হা

পারমানবিক প্রযুক্তি গ্রহন না করলে ওই জ্বীন-পরী দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা লাগবে কিছুদিন পর :P

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৯

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ভাল পোস্ট।

০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:২৫

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন ধর্মী লেখা।

আর এক্সপার্টের কথা বলছেন,

সব পাওয়ার প্লান্টের মেকানিজমই ৬০% সেইম পার্থক্য শুধু আপনি হিট উৎপাদন করবেন কি দিয়া।

সেই দিক দিয়া আমার কাছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টই ঝামেলা মুক্ত মনে হয় কারন মেইন ফুয়েলের ওয়েট বা কোয়ান্টিটি খুবই কম।


ঝামেলা শুধু প্লেস, এইটা হতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন নির্জন স্হানে যেখানে লোক বসতি নেই।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩

নুভান বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি সঠিক ভাবে মুল্যায়ন অ অনুধাবনের জন্য।

১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫২

নাজনীন১ বলেছেন: স্প্রিং ফ্যাস্টিভ্যালের শুভেচ্ছা জানালেন!? আমাদের এখানে তো এখনো একটাও ফুল ফোটেনি! কিছুইতো টের পাচ্ছি না। :( বরং আজকে আবার প্যানপ্যানানি বৃষ্টি হচ্ছে।

যাই হোক, আপনাকেও শুভেচ্ছা।

পোস্ট প্রসঙ্গে আসি, শুনেছি বাংলাদেশের উত্তর সীমান্ত বরাবর ভারতের অনেক বায়ুকল আছে, তারা বাতাস পায় কোথা থেকে?

তবে বায়ুকল বা সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে সাপ্লিমেন্টারী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, যেমন ধরুণ যেখানে জাতীয় গ্রীড নেই, এক্ষেত্রে আমাদের দ্বীপাঞ্চল বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, অর্থনৈতিকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অথবা সাময়িক লোডশেডিং সামাল দেবার জন্য আইপিএস-এর বদলে...... ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু ভারী শিল্প-কারখানার জন্য বা শহরাঞ্চলের দৈনন্দিন চাহিদার তুলনায় সেটা একেবারেই অপ্রতুল, এমনকি কস্ট ইফেক্টিভও না। গবেষণা চলছে ন্যানো সোলার ফয়েল উৎপাদনের ক্ষেত্রে, তখন যদি আরো দাম কমে......

তবে পারমাণবিক বর্জ্যের শোধনপ্রযুক্তি কতখানি পরিবেশবান্ধব হয়েছে, সেটা একটা ব্যাপার। কিন্তু তাই বলে তো উন্নত বিশ্ব এর জন্য বসে থাকেনি, যদিও সমুদ্রে ফেলার চেয়ে মাটিচাপা দেয়ার মতো কিছু করা যায় কিনা......তবে বিকিরণ মনে হয় পুরোপুরি এড়ানো যাবে না। সভ্যতার যে কোন উন্নয়ন কাজেই দূষণ আছে।





৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

নুভান বলেছেন: স্প্রিং এর ফুল এখনোও ফুটেনি এখানেও। ম্যাগনোলিয়া আর চেরির শুধু কলি এসেছে। আমাদের এখানেও বৃষ্টি হচ্ছে। :D

ভারতের উত্তর সীমান্ত বরাবর যে উইন্ডমিল গুলো আছে তা দিয়ে মাত্র 1.10 MW বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এটা আমার কাছে জাস্ট আইওয়াশ মনে হয়, আর কিছু না।

সৌর বা বায়ু, কোনটাই পারমানবিক প্রকল্পের বিকল্প হিসেবে আসতে পারেনা। আপনার কথা ঠিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্ষেত্রে সৌর বা বায়ু পুরোপুরি অচল, আর আমাদের দরকার এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলুশন।

বর্জ্যের ব্যাপারটাই সবথেকে বড় বাধা। আফ্রিকায় ডাম্পিং, দুঃখজনক, কিন্তু করবার কিছুই নেই।

[অঃটপিকঃ আপনাদের ইনহা থেকে গত সেমিস্টারে আমাদের ডিপার্টমেন্টে ২ জন ভিয়েতনামিজ ভর্তি হয়েছে, একজন আমার ল্যাবে। ও নাকি ইনহার সব বাংলাদেশীদের-ই চেনে। আপনার ফেইসবুক থাকলে আপু প্লিজ এ্যাড করে নেবেন আমাকে] ।

১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:০৪

আমি হনুমান বলেছেন: আমার ঠিক মনে নাই সমভবত যায় যায় দিনে ১ বার তুলছিলাম এই পারমানবিক বিদ্যুতের কথা এরপর শফিক রেহমান ও এর পক্ষে সাফাই দিছিল

যাউকগা, বিডিতে ১৬ কোটি লোক থাকতে কুন হালায় মাইনষের চিনতা কইরা পারমানবিক প্ল্যান্ট বসাইতে বাধা দিবার চায় দেখতে চাই।

পারমানবিক প্ল্যান্ট ছাড়া কোন উপায় নাই, কবে পারমানবিক ব্যাটারি [টারমিনেটর ৩] আসব সেই অপেক্ষায় থাকলাম।

তবে কমিশন খেকো সরকারের কাছে অনুরোধ লেটেস্ট টেক. নেয়ার জন্য।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নুভান বলেছেন: পারমানবিক প্ল্যান্ট ছাড়া কোন উপায় নাই, আবার জিগায়!

২০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১২

আবু সালেহ বলেছেন:
ভালো বিশ্লেষন....................

৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ

২১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৯

এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: আমরা পিছিয়ে কারন, নতুন কোন প্রযুক্তিকে আমাদের দেশের সরকার ও বিরোধী দল ভাল ভাবে মেনে নিতে পরেনা। কেউ বিনা মুল্যে দিতে চাইলে ও তাদের আপত্তি থাকে। পরে যখন বুঝতে পরে তখন তো হাতে আর সময় থাকেনা .......................।
সব দেশ তার নিজের ভালটা ভালই বোঝে শুধু আমাদের দেশের সরকার ও বিরোধী দল বোঝেনা।
পারমানবিক শক্তিতে উত্পাদিত বিদ্যুত আমাদের দেশে এখন অতি প্রয়োজন।

সময়ের দাবি, যেটা হওয়ার কথা ছিল আরো ৫-১০ বছর আগে।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নুভান বলেছেন: পারমানবিক শক্তিতে উত্পাদিত বিদ্যুত আমাদের দেশে এখন অতি প্রয়োজন।

২২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৬

নন্দনপুরী বলেছেন: পারমানবিক শক্তিতে উত্পাদিত বিদ্যুত আমাদের দেশে এখন অতি প্রয়োজন।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নুভান বলেছেন: হক কথা :)

২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
আমি একটু কনজার্ভেটিভ এখানে।
বাই এনি চান্স, যদি কোনো একসিডেন্ট (জংগী হামলা/ভূমিকম্প/স্যাবোটাজ) হয়!!!!

বাংলাদেশের অস্তিত্বই তো থাকবে না।
সোনার এই দেশে সোলার এনার্জি দিয়াই চলার চেস্টা করা উচিত, গ্রাসরুট হোম লেভেল।

ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিদ্যুত হয় ইমপোর্ট করতে হবে।
অথবা, গ্যাস ফিল্ড খুজে নিতে হবে।
বা, এনি নিউ রিসার্চ।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮

নুভান বলেছেন: বাই এ্যানি চান্সের কথা ধরলে আমাদের মুক্তির উপায় কি জানেন? আত্মহত্যা! ঘরের বাইরে বের হওয়াটাই তো তাহলে ঠিক না, বাই এ্যনি চান্স যদি ট্রাক চাপা পড়ি! যাই হোক, একটু মজা করলাম।
আপনাকে একটা সমীক্ষা দিচ্ছি, এরপর বাকিটা আপনিই ডিসিশন নিন, কোন পদ্ধতি বেশী সেইফ!
সোনার বাংলায় সোলার এনার্জি দিয়ে পাওয়ার প্রডাকশনের কথা চিন্তা করলে, অচীরেই আমরা নব্য প্রস্তর যুগে প্রবেশ করব, আর যদি ভাবেন দেশে কোন ইন্ডাস্ট্রির দরকার নেই, কোন কিছু উৎপাদনের দরকার নেই, শুধু সোলার এনার্জি দিয়ে রাতের বেলা একটা টিমটিমে বাত্তি জ্বালিয়ে রাখবো, তাহলে অন্য ব্যাপার, আমার বলার কিছুই নেই।

২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: ফিল্ড খুজে নিতে হবে

গ্যাস নাই গ্যাস নাই

৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:১৮

নুভান বলেছেন: গ্যাস আর পাইছেন! সমুদ্রসীমা রক্ষা করতে না পারলে অফশোর গ্যাস যা পাইতেন হেইডাও আর পাইবেন না।

২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৬

আমি হনুমান বলেছেন: বিডিতে অনেক ফ্যাকটরি/মেশিন চলে যা এর উতপাদকরাও চলতে পারে চিনতা করেনা

বাঙলাদেশে দুরঘটানা ঘটার কোন সমভনা অনেক কম

৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:২০

নুভান বলেছেন: আমি দেশে থাকতে একটা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড প্ল্যান্টে ছিলাম। পুরো প্ল্যান্টটা ছিলো ইউরোপের একটা স্ক্র্যাপ প্ল্যান্ট, ভাঙ্গা নষ্ট যন্ত্র-পাতি দিয়ে ভরা, কিন্তু কোন রকম দুর্ঘটনা ছাড়াই তো চালাইছি আমরা। মাঝে ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ার গুলো আইসা মাতবরি করতো অবশ্য।
ওই প্ল্যান্ট যদি দেশে চলতে পারে, আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে মানুষের ভয়! হাহা হাসি পায়!

২৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জাতি জানতে চায় বলেছেন: অন্যদেশ গুলার অবস্থার সাথে তুলনা করে লাভ নাই!! বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ভাল কোন বিকল্প দেখা যাচ্ছে না! আর এটা যদি তুলনামূলক কম জায়গায় ও খরচে বেশি বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারে, তাহলে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া! নাম বদলে সহস্রাধিক কোটি টাকা আর বিদেশে রোডশোয়ের নামে কোটি-কোটি টাকা অপচয়ের কোন কারনই দেখি না!!

৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৪২

নুভান বলেছেন: অবশ্যই সরকারের উচিৎ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া!

২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কে এম তানভীর আহম্মেদ বলেছেন: দারূণ বিশ্লেষণ হয়েছে, অন্যরা আর কি কি সমস্যার কথা তোলেন সেটা দেখা যাক।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৪৮

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ তানভীর।

২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২১

সাধারণমানুষ বলেছেন: পারমানবিক বিদ্যুতের কোন বিকল্প আমাদের আপাতত আমাদের নাই ।
বিদ্যূত প্রকল্পের ফান্ডের ব্যাপারে একটা বুদ্ধি মাথায় এসেছিল নিচের লিংকে একটা ঢু মাইরা দেখেন
পরমানু বিদ্যুৎ প্রকল্প অর্থায়ন এর এক আজাইরা বুদ্ধি

০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৮

নুভান বলেছেন: দেখছি... :D

২৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:১১

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি রাশান প্রযুক্তি এড়িয়ে চলাই ভাল। এদের সব কিছু মান্ধাত্মার আমলের আর ইয়া বড় বড়, ডাম্বল ডাম্বল। আমার ফিজিক্স ল্যাবের যন্ত্রগুলি সেই সোভিয়েত আমলের। যদিও ঐগুলি দিয়া কাজ চলে যায়, সাধারণ যন্ত্রপাতি, তারপরেও পুরান যন্ত্রপাতি দেখতে ভাল লাগে না। সার্কিট ল্যাবের কতগুলি বক্সে মাঝে মাঝে থাপ্পর দিতে হয়। :(

আর শামীম ভাইয়ের ভাসমান বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যাপারটাও দেখছি। রাশিয়ার কতগুলি পুরানা ভাসমান জাতীয় বস্তু আছে। ওরা ঐগুলি গছাইতে চেষ্টা করব প্রথমে তারপরে অভাসমানগুলি আনব। এমনকি ওরা এই ব্যাপারে সব কাগজ টাগজ রেডী কইরা রাখছে। এইটার অর্থনৈতিক সমীক্ষাও করাইয়া রাখছে আমাদের এক বাঙ্গালী ভাইরে দিয়া। উনার পি এইচ ডির বিষয় আছিল এইডা। বাংলাদেশ খালি ডাক দিলেই হয়। একটানে সব কাগজ বাইর করব। কইব দেখ তোদের লোক দিয়াই সব কিছু করাইছি। ইউনিভার্সিটিগুলিতে সব কাগজ, ডিজাইন রেডী। কিন্তু চায়নার ভার্সিটিগুলাও বইসা নাই। ওরাও সব কইরা রাখছে। ওরা নাকি আরো সস্তায় কইরা দিতে চায়। অনেক পেচগি আছে রে ভাই.........

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৩

নুভান বলেছেন: খাইছে, আপনের কাছে তো পুরা হাড়ির খাবর পাইলাম বস! আমারও মনে হয়, রাশিয়া থেকে চায়না ভালো, চায়না থেকে জাপান/দঃকোরিয়ার প্রযুক্তি ভালো হবে। এখন দেখা যাক সরকারের নীতিনির্ধারকগণ কি সীদ্ধান্ত নেন!

৩০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:১৩

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আর বিষয়টা আমার মনে হয় যতটা না প্রযুক্তিগত তার থেকে বেশী রাজনৈতিক। গরীব লোকরে এক কেজি চাল কেনার আগেও দশবার ভাবতে হয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:১৯

নুভান বলেছেন: এক্কেবারে সত্য কথাটা কইছেন বস। তবে রাজনৈতিক দিকটা চিন্তা করলেও রাশিয়া থেকে টেকনলজি নেয়ার খুব একটা বুদ্ধিমানের মতন কাজ হবে না। এর থেকে আমেরিকার দোস্ত জাপান/কোরিয়া থেকে এ ধরনের স্পর্শকাতর প্রযুক্তি গ্রহণ করা ভালো :)

৩১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৭

মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: বাংলাদেশের মত এত ছোট একটা দেশ যার ইলেকট্রিসিটি ডিমান্ড ৭০০০ মেগা ওয়াটও না, সেখানে তো মাঝারী ধরনের একটা প্লান্ট হলেই অফুরন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। শুনেছি এখন নাকি গিগা ওয়াটে প্লান্ট তৈরী হয় (ভুল হলে মাফ করবেন)।

গিগাওয়াট না হোক আমরা যদি অন্ততঃ ১০-১৫ হাজার মেগা ওয়াটের একটা প্লান্ট করতে পারি তাহলে তো দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানীও করা যেতে পারে। আপনার মতামত কি?

ভাল লাগল, শোকেসে রাখলাম এবং +++

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

নুভান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মামুনুর রহমান খাঁন। কোরিয়ার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের বর্তমান ক্যাপাসিটি প্রতিটি ১৩৫০ মেগা ওয়াট করে (সিন সিরিজের)।

কিন্তু নতুন ন্যাচারাল গ্যাস পাওয়ার প্ল্যান্টের বেইসলোড ক্যাপাসিটি সর্বোচ্চ ৫৪০ মেগা ওয়াট । আর পার মেগাওয়াটের প্রডাকশন কস্টের ব্যাপারে আগেই বলা হয়েছে। নিউক্লিয়ারে মাত্র ০.২৫ সেন্ট/কিলোওয়াট করে পড়ে। তাহলে অবশ্যই আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী করতে পারি।
মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৫

ওমর নাসিফ বলেছেন: নুভান ভাই, I'm someone from business discipline. তবুও বলি, ইন্টার পর্যন্ত সাইন্স পড়ছি তো তাই কিছুটা বুঝি। Well, I've always been a strong supporter of Nuclear Power Plant. তাই, পোষ্টটা পড়ে আপনাকে ধন্যবাদ দেয়ার লোভ সামলানো গেল না।

আগে + খান লয়া লন বেরাদার।

Got to know a lot from the post about feasibility of nuclear plant and staff.
কিন্তু ব্রো, ২ নং উত্তর খুব কমপ্লিট লাগনা। পার ইউনিট এর যে খরচ দেখিয়েছেন তা বোধগম্য হল, কিন্তু পুরো পোষ্টে কিন্তু স্বয়ং প্লান্ট বসানোর খরচ নিয়ে কিছু লিখলেন না (লিঙ্ক গুলো অবশ্য পড়িনি)। আই মিন, এই মূহুর্তে প্লান্ট বসানোর ক্ষেত্রে সরকার ক্যাপাবল কি না, না কি পরিশেষে হাত পাততেই হবে এইসব আর কি? জাষ্ট একটু রাফ কাট গ্লিম্পস থাকলে পোষ্টটা সম্পূর্ণ হত। আর এই ক্ষেত্রে বারামদী ভাইয়ের সাথে সম্ভবত: আমরা দু'জনেই একমত that the issue is more political than technical.
শেষ করি। টাইমলি এবং অসাধারণ পোষ্টটার জন্য একখান Ocean size complement লন প্রিয় ভাই।

দেশ ছেড়ে এত দুরে ভাল থাকুন সবসময় এই কামনা করছি

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭

নুভান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নাসিফ ভাই। প্ল্যান্ট কনস্ট্রাকশন কস্ট যদি হিসেব করেন তাহলে বলা যায় মার্কিন প্রযুক্তিতে ১২০০-১৫০০ মেগা ওয়াটের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বানাতে প্রায় খরচ পড়বে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (পোস্টে এমএইটির রিপোর্ট দৃষ্টব্য)। অপরদিকে প্রচলিত যে গ্যাস টার্বাইন আছে, তার খরচ প্রায় ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য । অর্থাৎ কন্সট্রাকশন খরচ প্রায় সমান কিন্তু, মার্কিন প্রযুক্তি সবসময়ই দামী। কিন্তু জাপানী বা কোরিয়ান প্রযুক্তি তুলনামূলক ভাবে কম আর প্ল্যান্ট লাইফ ৭০+ বৎসর ! এদিকে নিদেন পক্ষে চায়নিজ প্রযুক্তি রাশিয়ার পরে সবথেকে সস্তা বলা যায়। মোটের ওপর বলা যায়, পারমানবিক প্রযুক্তি গ্রহণ করলে আমাদের মুল্যবান গ্যাস পুড়িয়ে নষ্ট না করে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ও সার উৎপাদনের কাজে লাগানো যাবে, যা বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের পূর্বশর্ত।
বারামদি ভাই একদম সত্যি কথা বলেছেন।
"That the issue is more political than technical"
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৯

ওমর নাসিফ বলেছেন: *stuff

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯

নুভান বলেছেন: দয়া করে এই আর্টিক্যালটা দেখতে পারেন ঃ
"Construction Costs of New Nuclear Energy Plants "

৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫

ওমর নাসিফ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও। লিঙ্কগুলো কাজে লাগছে।আবারো ++
আমার প্রথম কমেন্টের সাথে একটা লিঙ্ক দেয়া আছে। সময় পেলে পড়বেন আশা করি।

ভাল থাকুন

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৮

নুভান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। পড়লাম আপনার চমৎকার লেখাটি, যেন নিজের প্রতিচ্ছবি। শুভকামনা রইল।

৩৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বলেছেন: অনেক ভালো বিশ্লেষণ ..........

১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪০

নুভান বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিস্সঙ্গ যোদ্ধা :)

৩৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এমআইটির এক রিসার্চ পেপারে দেখানো হইছিলো যদি কার্বন ইমিশনের উপর কার্যকরী ট্যাক্স ধরা হয় তাইলে এই কয়লা বিদ্যুৎ আর পরিবেশ বিপর্যয়ের উপর ক্ষতি ধরা হয় তাইলে পানি বিদ্যুৎ হইলো সবচেয়ে কস্টলি। কিন্তু আমাগো মহাজ্ঞানী দিনমজুর ভাইরে বুঝাইবো কে? তার সাথে তর্ক করনের ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু যেই মানুষ ইস্যু নিয়া কথা কয় সেই মহাজ্ঞানী মানুষের সাথে তর্কে ভালো লাগে না! আরো অনেক নতুন ডাটা আছে যেগুলান দিলে সব উত্তরের ডিটেল সমাধান পাওন যাইবো যদিও কিছু ড্রব্যাকস থাকবোই, কিন্তু কে শোনে কার কথা!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩০

নুভান বলেছেন: @উদাসী স্বপ্নঃ সহমত। পারমানবিক শক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্জ্য উৎপন্ন হয়, কিন্তু সেইটা রিসাইকেল এর ব্যবস্থাও আছে। কিন্তু ফসিল ফুয়েলে যে পরিমান COX, NOX আর SOX ও কার্বন সুট উৎপন্ন হয়, পরিবেশের বারোটা বাজানের জন্য ওইগুলাই যথেষ্ট, আর জলবিদ্যুতের পরিবেশ বিপর্যয়ের সাক্ষি তো আমাদের পার্বত্য চট্রগ্রাম।
হুমম, পারমানবিক বিদ্যুতের ড্র-ব্যাকস অবশ্যই থাকবে, কিন্তু তার পরেও এর বিকল্প নাই।
[অটঃ সুইডেনের খবর কি? ঠান্ডা কেমুন অহন?]

৩৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:০৯

নাজনীন১ বলেছেন: আচ্ছা, পরিবেশের কথা যখন আসছে, আরেকটু বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।
কিছু নিউজ দেখলাম রেডিওএক্টিভ লিকেজের উপর, যেটা ভূ-গর্ভস্থ পানিতে বা নদীর পানিতে মিশে আশপাশের বসতির মানুষদের ক্যান্সার জাতীয় রোগ বাড়াতে পারে।

Click This Link

Click This Link

Click This Link



এটার ব্যাপারে আরো কিছু কি বলা যাবে? যেসব জায়গায় ইতিমধ্যে পারমাণবিক প্ল্যান্ট আছে, সেখানকার স্বাস্থ্যঝুঁকি কেমন, কোন ডাটা বা বিশ্লেষণ?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪২

নুভান বলেছেন: এই ব্লগটি দেখুনঃ Click This Link

৩৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:২৩

শয়তান বলেছেন: পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে :) পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১১

নুভান বলেছেন: ধন্যবাদ লিঙ্ক শেয়ারের জন্য। আবার সেই রাশান প্রযুক্তি!!!
বারামদি ভাই একদম সত্যি কথাটাই বলেছেন দেখা যাচ্ছে। কি আর বলবো, তবুও মন্দের ভালো!

৩৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৮

দিনমজুর বলেছেন: অনেক দেরীতে চোখে পড়ল। যাই হোক, বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মতামত নীচে তুলে ধরা হলো:

১) ধনী দেশ প্রসংগে: ধনী দেশগুলোর নিউক্লিয়ার বিদ্যুত ব্যাবহার কমানোর উদাহরণটা আনা হয়েছে এই কারণে না যে তারা কোন কিছুর ব্যাবহার কমিয়ে ফেললেই আমাদেরকেও তা কমিয়ে ফেলতে হবে বরং এই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য যে যারা নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি ডেভেলাপ করেছে তারাই এখন সেটাকে নিরাপদ এবং অর্থনৈতিক/পরিবেশগত ইত্যাদি নানান বিবেচনায় লাভজনক মনে করছে না, সেখানে আমাদের মতো দেশে যেখানে নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ে কোন দক্ষতা গড়ে তোলা হয়নি সেখানে স্রেফ আমদানী করে বিদেশী শক্তির উপর নির্ভর করাটা কতটা নিরাপদ- সেই প্রশ্নটা তুলেছিলাম আমরা।

আমরা মনে করি নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ক বিতর্কে নিজস্ব সক্ষমতার বিষয়টি সবার আগে মীমাংসীত হওয়া উচিত।

২) খরচ প্রসংগ: আপনি বলেছেন “আমরা অনেকটা না জেনেই পারমানবিক শক্তির বিরোধিতা করি, টেকনিক্যাল ব্যাপার গুলো না বুঝে এর বিরোধিতা করা শুরু করি আমরা, যা অনুচিত।” তো আপনি জেনেশুনে একটি রিপোর্টের দোহাই দিয়ে বললেন: “নিউক্লীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ বেশ কম, আর তা মাত্র ০.২৫ থেকে ০.৬ সেন্ট প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায়।” ঠিক বোঝা গেলনা এটা কি শুধু অপারেটিং কষ্ট, নাকি এর সাথে ক্যাপিটাল কষ্ট, ডি-কমিশনিং কস্ট, ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি হিসেব করে এর কষ্ট হিসেব করা হয়েছে।

অথচ আমাদের হাতে তথ্য আছে শুধু ক্যাপিটাল কস্ট-ই পড়ে ১৭-২২ সেন্ট প্রতি কিলোয়াট ঘন্টায়। আর অপারেশন ও মেনটেনেন্স কস্ট ধরলে তো খরচ দাড়ায় ২৫-৩০ সেন্ট।

নীচের লিংকটি দেখার আহবান রইল---
সূত্র: The Staggering Cost of New Nuclear Power
Click This Link

আমাদের পরবর্তী কিস্তিতে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার আশা রাখি।

৩)বর্জ্য প্রসংগে: আপনার কথা মতো “পৃথিবীর সব জাতিই উঠেছে আরেকজনকে ব্যাবহার করে”- ফলে আমাদেরকেও একই পথ ধরতে হবে-“এখন আমাদের এর শোধ দেয়ার পালা” এই জংলী এবং জন্তুসুলভ নীতি-তে বিশ্বাসী নই। তাছাড়া আরেক দেশে ডাম্পিং করলেই মামলা খালাশ হয় না- বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের মধ্যদিয়েই কিন্তু এটা পরিবহন এবং স্থানান্তরের প্রশ্ন রয়েই যায়। ফলে আমরা মনে করি নিউক্লিয়ার বর্জ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করে আমরা যতই বিদ্যুত সংকট হউক, নিউক্লিয়ার বিদ্যুতের ঝুকির মধ্যে পরতে রাজি নই।
৪) দুর্ঘটনা প্রসংগে: আপনি নিউক্লিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্রের দুর্ঘটনার সাথে অন্যান্য বিদ্যুত কেন্দ্রের দুর্ঘটনার তুলনা করে বলেছেন:
“১৯৯২ সাল পর্যন্ত ক্যাজুয়ালিটির হার দেয়া আছে, যেখানে স্পশটতই দেখা যাচ্ছে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি কতটা নিরাপদ। আর এখন তো আরও ২ যুগ পরে দুর্ঘটনার কথা চিন্তাও করা যায় না।”

প্রথমত, নিউক্লিয়ার দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায় কিন্তু অন্যান্য দুর্ঘটনায় এরকম তেজস্ক্রিয়তার কোন ঝুকি নেই। কাজেই নিউক্লিয়ার দুর্ঘটনার সাথে অন্যন্য দুর্ঘটনার ক্যাজুয়ালটির সংখ্যাগত তুলনা একেবারেই মুর্খতা।
দ্বিতীয়ত, আপনি ১৯৯২ এর “২ যুগ পরে দুর্ঘটনার কথা চিন্তাও” করতে না পারলে কিংবা “বর্তমানে প্রযুক্তিক উৎকর্ষতার পরিধি এত বিস্তার লাভ করেছে, নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরের দুর্ঘটনা এখন শুধুই ইতিহাস!” মনে হলেও দুর্ঘটনা কিন্তু ঘটেই চলেছে।

আমরা এখানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার প্ল্যান্টে ঘটা দুর্ঘটনার উদাহরণ দিচ্ছি, ১৯৮৬ সালে নিউক্লিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটে ২,৮৩৬ টি এবং ১৯৮৭ সালে ঘটে ২,৮১০ টি। যুক্তরাষ্ট্রে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের দুর্ঘটনার তারিখের আরও তালিকা দিচ্ছি:

3 January 1961
24 July 1964
19 November 1971
March 1972
27 July 1972
28 May 1974
22 March 1975
28 March 1979
1981
11 February 1981
July 1981
1982
25 January 1982
15-16 January 1983
25 February 1983
9 December 1986
1988
28 May 1993
15 February 2000
6 March 2002
Nov 2005

দয়া করে বিস্তরিত দেখুন নীচের লিংকে:
http://www.lutins.org/nukes.html

৫) নির্ভরশীলতা প্রসংগে: গ্যাস/বিদ্যুত/কয়লা ইত্যাদি যেসব প্ল্যান্ট আমাদের দেশে আছে, আমরা সেসব ক্ষেত্রেও বিদেশী নির্ভরতার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি যে বিষয়টি বারবার বলা জরুরী সেটা হলো অন্যান্য যে কোন ক্ষেত্রের বিদেশী নির্ভরতার সাথে নিউক্লিয়ার বিষয়ে বিদেশী নির্ভরতার ঝুকি কে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। সেজন্যই আমরা বলেছি:

“চেরোনবিল, থ্রি মাইল আইল্যান্ড এর মত বড় বড় দূর্ঘটনাগুলো ঘটেছে প্রযুক্তির দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থানকারী দেশগুলোতে । যারা নিজস্ব দক্ষতাকে কেন্দ্র করে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছিল। আর আমাদের মত দেশে যেখানে গ্যাস-কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো দু’দিন পর পর বিকল হয়ে যায় এবং মেরামতের অভাবে পড়ে থাকে দিনের পর দিন সেখানে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রযুক্তি সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বেশ ভালোভাবে চলবে এটা ভাবতে একটু কষ্টকল্পনা করতে হয়।“

আর “এপর্যন্ত জ্বালানীর অভাবে কোন রিয়েক্টর শাট-ডাউন হয়েছে বলে শুনেছেন” বলে যে প্রশ্নটি আপনি ছুড়েছেন তার জবাবে বলবো, শাট-ডাউন হয়েছি কি-না জানিনা কিন্তু ইউরেনিয়াম সর্বরাহের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য নানান অধীনতামূলক এবং শর্তযুক্ত চুক্তি করতে হয়েছে সেটা জানি। ভারত-মার্কিন নিউক্লিয়ার চুক্তি তারই উদাহরণ।

সব চেয়ে বড় কথা, জ্বালানী আমদানী করেই যদি নিউক্লিয়ার বিদ্যুত উতপাদন করতে হয়, তাহলে আমরা কয়লা আমদানী করে বিদ্যুত উতপাদন করবো না কেন(ধরলাম দেশে কয়লা মজুদ শেষ!)? আর কিছু না হউক, নিউক্লিয়ার ঝুকির হাত থেকে তো নিরাপদ থাকা যাবে এবং আর যদি মনে হয়, না এক পর্যায়ে নিউক্লিয়ার বিদ্যুত উতপাদনে যেতেই হবে, তাহলেও সেটার জন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের সময় পাওয়া যাবে।

৬) টেকনিক্যাল এক্সপার্টিজ এর প্রসংগে:
আপনি বলেছেন: “প্রায় সত্তর-আশি বৎসর আগের একটা প্রযুক্তিকে আপনি হাইলি সফিসটিকেটেড বলতে পারেন না এখন আর। বর্তমানে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে।“ ভাই আমরা তো বলিনি যে প্রযুক্তি আগায় নি, আমাদের বক্তব্য হলো, প্রযুক্তি যতটা আগায় ততটা সফিস্টিকেটেড হয় এবং সেই সাথে এর ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রেও তত বেশী সফিস্টিকেশানের দরকার পরে। কিন্তু যে থার্ড জেনারেশান বা ফোর্থ জেনারেশান নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের কথা বলা হচ্ছে, সেটা আপনার দাবী মতো যদি ১০০% নিরাপদও হয়, সেই নিরপত্তা কার্যকর থাকাটা নির্ভর করবে ম্যানেজম্যন্টের উপর, নিখুত সুপারভিশানের উপর। চেরনিবিল দুর্ঘটনা ঘটার কারণ হিসেবে বলা হয় ম্যানেজম্যানট ফেইলিওর, থ্রি মাইল দুর্ঘটনার কারণ হিসেবেও ম্যানেজমেন্ট ফেইলিউরের কথা বলা হয়, প্রশ্ন হলো আমাদের এ বিষয়ে টেকনিক্যাল এবং ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা কতটুকু যার উপর নির্ভর করে আমরা আমদানি করা নিউক্লিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্র কে নিরাপদ ভাবতে পারবো? বিদেশী টেকনিশিয়ান বা ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভরকরলে কি হতে পারে তাতো আমারা টেংরাটিলা/মাগুড়ছড়া গ্যাস-ক্ষেত্র দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখেছি। নিউক্লিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ঐরকম দুর্ঘটনা ঘটলে কিন্তু আর এই বিষয় নিয়ে তর্ক করার সুযোগও থাকবে না!

৪০| ২০ শে মে, ২০১০ রাত ১০:৩১

নাফ বলেছেন: ধনী দেশ গুলোর উদাহরন সম্পর্কে বলার আর কিছুই নেই। কারন ওরা নিজেদের আখের অনেক আগেই গুছিয়ে নিয়েছে। তাই জার্মানী ও অন্যন্য ধনি দেশগুলোর উদাহরন বাংলাদেশের জন্য কতখানি প্রযোজ্য হবে সেটি ভেবে দেখার বিষয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাংলাদেশের শুধু নয় সমস্ত বিশ্বের সমস্যা, কিন্তু এতে বাংলাদেশের কন্ট্রিবিউশান দশমিকের পরে তিন-চারটা শুণ্য দিলে যা হবে % তত ভাগও নয়। এযেন পরের পাপে নিজের শাস্তি।। তাই বাংলাদেশ তার দেশের উন্নতির জন্য যদি একটু পরিবেশ দুষন করে, তবে সেটা বৈশ্বিক ভাবে ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না, কারন যা ক্ষতি করার যুক্তরাষ্ট্র করে এখন সে অরন্যের রোদনে দরিদ্র দেশগুলোকে আমেরিকার মধু পিয়াসী বিশ্বব্যঙ্ক ও আই.এম.এফ-দের দিয়ে পরিবেশ সচেতন করানোর মহান তালিমে নেমেছেন, কিন্তু নিজেই কিওটো প্রটোকল মানছে না। মানুষ হিসেবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য এ বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে উদ্ধার করা, কিন্তু বাংলাদেশী হিসেবে আমি মনে করি, পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করে হলেও আমাদের উন্নয়নের পথ ধরা উচিত। এ কেবল-ই আমার ব্যক্তিগত মতামত।

tobe amar motamot holo...dhumaia joto koyla gas(jibasso jalani) ase...sob puraia electricity banao.... unnoto desh gula 2 emnei utse... amgo ahon utte ditase na...

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

নুভান বলেছেন: You are absolutely right.

৪১| ১৪ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:২৯

কিষান বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য লগইন করলাম

১৫ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

নুভান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ কিষান।

৪২| ০১ লা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২০

কাকপাখি ২ বলেছেন: কিছু বিষয় যোগ করতে চাই।

১। বাংলাদেশ এর লোড সেন্টার মুলত: ঢাকা। ঢাকা থেকে যত দুরে প্লান্ট বসবে, সিসটেম লস তত বাড়বে।

২। নিউক্লয়ার প্লান্টের একটা বড় সমস্যা হল, বেইজ-লোড থেকে বেশি capacity'র প্লান্ট বসাতে পারবেন না। এই ধরনের প্লান্ট একবার চালু করলে ২/৩ বছরের মধ্যে ব্ন্ধ করা হয় না। constant load এ মেসিন চালাইতে হয়। বাংলাদেশ এর বেইজ লোড ২-২.৫ গিগাওয়াট।

৩। আরেকটা সমস্যা হল, আমাদের দেশে AGC (Automatic Generation Control) নাই। গ্রীডের system frequency ২-৩ হার্টজ ব্যান্ড নিয়ে অনবরত বাম্প করতে থাকে। আমাদের দেশের মত এত খারাপ Electrical System দুনিয়াতে কমই আছে। নিউক্লিয়ার মেসিন সাধারনত: frequency sensitive হয়। ০.২ হার্টজ frequency deviation এ ইউরোপের অনেক নিউক্লিয়ার প্লান্ট ট্রিপ করে যায়। আমাদের দেশে এই সমস্যা কিভাবে সমাধান হবে কে জানে?

৪৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:২৮

কাজিম কামাল বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

৪৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: এই লিখাটা আমার দরকার ছিল জানার জন্যে। + এবং প্রিয়তে

৪৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:০২

জোবাইর বলেছেন: আপনার চমৎকার লেখাটি ব্লগে অনিয়মিত হওয়ায় মিস্‌ করেছিলাম। আমাদের দেশের অনেক লোক বিস্তারিত না জেনে গুজুগে লাফালাফি করে। আপনার যুক্তিসংগত উত্তরগুলো আমারও কাজে আসবে। ধন্যবাদ।

৪৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

Observer বলেছেন: আমরা পারমাণবিক বোমাও বানাবো :#) বানাইয়া ভারত, পাকিস্তান আর মায়ানমারের দিকে টার্গেট নির্ধারণ করে রাখবো ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.