নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে ও শুনতে এ পথচলা। কুসংস্কার ও কুরসম দূর হয়ে সত্যের শুভ সকাল হোক; এমনটাই কামনা করি। ইহকাল পরকালে যা কিছু সত্য তা-ই আমার ধর্ম; আমার বিশ্বাস।
(অনেক দিন বিরাম থাকার পর আজ থেকে ফের অবিরাম লেখে যাওয়ার প্রত্যায়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হওয়া।)
আজকে বাংলা যতিচিহ্ন নিয়ে কথা বলবো। কথা বলতে গেলে যেমন আমরা থামি, দম নিই; তেমনি লেখতে গিয়েও মনের ভাব যথাযথভাবে প্রকাশ করতে থামার প্রয়োজন হয়। এমনকি বাক্যের অর্থ সঠিকভাবে প্রকাশ করতেও বাক্যের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বিরতি দিতে হয়। যে চিহ্ন দ্বারা এই বিরতি বা থামার সময়কাল নির্দেশ করে, তাকে বিরামচিহ্ন বা যতিচিহ্ন বলে। বাংলাতে প্রায় মোট পনেরটি যতিচিহ্নের ব্যবহার দেখা যায়। ইনশা আল্লাহ ক্রমাগতভাবে সব গুলো নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে।
(এক)
দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ= (।) : বাক্যের সমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণেচ্ছেদ চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
যেমন- রহিম স্কুলে যায়। বাগানে ফুল ফুটেছে।
(দুই)
কমা বা পাদচ্ছেদ= (,) : বাক্যের বা শব্দের মধ্যে অল্প বিরতির প্রয়োজনে যে চিহ্ন ব্যবহার হয়, তাকে কমা বলে। কমার ব্যবহার অনেক প্রকারে হয়ে থাকে।
(ক) একজাতীয় একাধীক পদ পরপর (বিশেষ্য বা বিশেষণ) থাকলে শেষ পদটি ছাড়া অন্যগুলোর পর কমা বসে। যেমন- এখানে বই, খাতা, কলম, পেন্সিল সব'ই আছে।
(খ) সম্বোধন পদের পরে কমা বসে। যেমন- লাকী, এখানে আসো তো। অ্যাই, শুনতে পাচ্ছো না?
(গ) উদ্ধৃতি চিহ্নের আগের পদের শেষে কমা বসে। যেমন- লাকী বললো, 'আমি তোমাকে ঘৃণা করি।'
(ঘ) বাক্যের দুটি অংশকে পৃথক করতে কমা বসবে। যেমন- তার এক হাতে খাতা, অন্য হাতে কলম।
(ঙ) অনেক সংখ্যা যদি পরপর লেখতে হয়, তাহলে হাজার, লাখ, কোটি বোঝাতে কমার প্রয়োজন হয়। যেমন- 54,21,63,457; 12,300 ইত্যাদি।
(চ) তারিখ লেখার ক্ষেত্রেও অনেক সময় কমার প্রয়োজন হয়। যেমন- ডিসেম্বর 12, 2014।
(দ্রষ্টাব্য : তারিখ ও সাল পাশাপাশি বসলে তবেই কমা হবে। অন্যথায় নয়।)
অধমের ভুল হলে অবশ্য'ই ধরে দিবেন। আর ভালো লাগলে উত্সাহিত করবেন, যাতে নিয়মিত আসতে পারি। ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.