নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোঁজে আছি।

নিরীক্ষক৩২৭

আমরা সবাই পাপী, আপন বাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি

নিরীক্ষক৩২৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যাক্ট, হাইপোথিসিস, থিওরি এবং ল

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৯


ফ্যাক্ট, ল, থিওরি, হাইপোথিসিস আমরা সাধারণ ভাষায় যেভাবে ব্যবহার করি সায়েন্টিফিক জার্নাল অথবা বিজ্ঞানীরা তা সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় এই শব্দগুলি গুলিয়ে যায় অথবা ব্যবহৃত হয় না ঠিকমত, কিন্তু শব্দগুলি একে অপরের সাথে ভালভাবেই সম্পর্কযুক্ত।

ফ্যাক্টঃ সরাসরি কোন ঘটনা দেখা, পর্যবেক্ষণ করা হল ফ্যাক্ট। মনে করেন, কোন এক সকালে জানালা খুলে দেখলেন বাইরে আলো,এটি একটি ফ্যাক্ট।

হাইপোথিসিসঃ কোন ঘটনা বিশ্লেষণ করতে যে ব্যাখ্যা দাড় করানো হয় সেটি হাইপোথিসিস। কখনো একটি ঘটনার এক বা একাধিক হাইপোথিসিস থাকতে পারে। হাইপোথিসিস হল এমন কিছু হতে হবে যা পরীক্ষা করা যায়। পরে গবেষণা অথবা তদন্ত করে অসম্ভব হাইপোথিসিসগুলিকে বাদ কার্যকরী হাইপোথিসিস নিয়ে সামনে আগানো হয়। মনে করেন, জানালা খোলার পর মনে প্রশ্ন আসলো বাইরে কিসের আলো? হাইপোথিসিস দাঁড়া করালেন হয়ত কেউ অনেক পাওয়ারফুল লাইট জানালায় তাক করে রেখেছে, হয়ত খুব কাছেই কোন সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটেছে, হয়ত সূর্যের আলো। এরপর বাইরে গিয়ে দেখলেন সূর্য উঠেছে, তাহলে 'সূর্যের আলো' হাইপথিসিস গ্রিন লাইট পেয়ে গেলো।

থিওরিঃ অনেকজনকে হয়ত বলে শুনেছেন 'আমার একটা থিওরি আছে অমুক কেন ঘটে, তমুক কেন হয়'। আসলে তারা যা বলতে চেয়েছে তা হল তারা একটা হাইপোথিসিস তৈরি করছে। প্রথমে ফ্যাক্ট নিয়ে তার উপর ভিত্তি করে হাইপোথিসিস তৈরি করা হয়। হাইপোথিসিসকে নানাভাবে পরীক্ষা করে যখন দেখা যায় যে হাইপোথিসিসটি কোন যেকোনো সিনেরিওতে ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে তখন সেই হাইপোথিসিসকে থিওরির মর্যাদা দেওয়া। হাইপোথিসিস যখন তার সকল অগ্নিপরীক্ষা পাস করে নিশ্চয়তা দেয় যে ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটলেও তার আউটকামটি সে প্রেডিক্ট করতে পারবে তখন থেকে সেই হাইপোথিসিস থিওরিতে রূপান্তরিত হয়। এজন্য কোন থিওরিকে 'জাস্ট অ্যা থিওরি' বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোন স্কোপ নেই। সে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেই থিওরি হয়েছে।
যেমন, থিওরি অফ ইভল্যুশন বাই ন্যাচারাল সিলেকশন একটি থিওরি।

লঃ 'ল' হল কোন ঘটনা কিভাবে ঘটে গণিত ব্যবহার করে ঘটে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাখ্যা করা ।যেমন গ্যাসের অণুগুলির নাড়াচাড়া তাপের সাথে সম্পর্কিত অথবা শক্তির নিত্যতা। 'ল' কোন কিছু কেন ঘটল তার ব্যাখ্যা দেয় না। শুধুবলে কিভাবে ঘটল , অনেক ক্ষেত্রে গণিত ব্যবহার করে পাই-টু-পাই আগাম বলেও দিতে পারে কি ঘটতে যাচ্ছে। 'ল' থিওরি হতেও পারে নাও পারে।

'ল' অফ গ্রাভিটি একটি থিওরি এবং 'ল' , কারণ F=Gm1m2/r² সূত্র থেকে নির্ভুলভাবে জানা যায় বস্তু তার দূরত্ব ও ভর অনুযায়ী অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে আর থিওরি অফ গ্রাভিটি আমাদের জানাচ্ছে কেন বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। আবার বিবর্তন একটি থিওরি কারণ 'কেন' 'কিভাবে' এর ব্যাখ্যা করতে পারলেও ১০০% নির্ভুলভাবে তা আমাদের কিছু প্রেডিক্ট করে দিতে পারবে না।

দিন শেষে, একটি আপেল হাত থেকে ফেলে দেন, আপেল নিচে পরবে।( ফ্যাক্ট )
কত গতিতে , কত সময় নিয়ে নিচে পরবে সেইটা আপনি সূত্র ব্যবহার করে জানতে পারবেন। ( 'ল' )
কেন আপেল নিচে পড়ল, হয়ত কিছু তাকে নিচের দিকে টানছে। ( হাইপোথিসিস কাম থিওরি )

আগামীতে কাউকে এই শব্দগুলি ভুল ব্যবহার করতে করতে দেখলে ধরিয়ে দিতে নিশ্চয় ভুলবেন না ;) :D

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৩

আব্দুল্লাহ ইথার খান বলেছেন: দারুন লেগেছে পড়ে
তবে একটা প্রশ্ন, ডারউইন এর দেওয়া বান্দর থেকে মানুষ তো একটা থিওরি।
এটা কেন থিওরি ফ্যাক্ট নয়? আর এটা মিথ নাকি প্রমানিত .। জানা থাকলে কিছু আলোকপাত করবেন প্লিজ।

অথবা কোন ইউটিউব লিংক ..

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৩

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: এটা একটা থিওরি কারণ এটা দিয়ে যেমন ফসিলগুলি যত প্রাচীন হয় কেন সরল হয়, কেন ব্যাকটেরিয়ার উপর অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না, কেন প্রাণীদের একে অপরের সাথে মিল এরকম অনেক কেন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। আর ব্যাপারটি অনেক সময় সাপেক্ষ বলে সরাসরি প্রাণীদের ক্ষেত্রে বোঝা না গেলেও ব্যাকটেরিয়া কালচারে তাদের পরিবর্তন সহজেই বোঝা যায়।

https://www.youtube.com/watch?v=lIEoO5KdPvg&list=PLInNVsmlBUlQT_peuWctrmGMiLngK-6fb&index=1

http://bigganjatra.org/ten_myths_about_evolution/ আর এই সাইটটি চেক করতে পারেন।


২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩০

একটি পেন্সিল বলেছেন: ভালই লাগল। এবার বুঝলাম, হাইপোথেসিস ও থিওরির মধ্যে পার্থক্য।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

একটি বালুকণা বলেছেন: একটু ভালোভাবে জানার সুযোগ হল।অসাধারন।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

রমিত বলেছেন: আপনার লেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে লেখা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
তবে কয়েকটি রিমার্কস
১। আল হাইয়াম-এর মেথড অব ইনভেস্টিগেশন-টি উল্লেখ করলে লেখাটি পূর্ণাঙ্গতা পেত।
২।' থিওরী অব এভোলুশন' কি থিওরী? (না কি এটা এখনো হাইপোথিসিস পর্যায়ে রয়ে গেছে?)
৩। 'ল অব নেচার' বিষয়টি হলো এমন যে, এই মহাবিশ্বের যে কোন ন্যাচারাল ফেনোমিনাকেই ম্যাথমেটিকালী এক্সপ্রেস করা যায়। তবে সেই ম্যাথমেটিকাল এক্সপ্রেশন-টা খুঁজে বের করাই হলো বিজ্ঞানীদের কাজ। একবার যদি সেটা যথাযথ পথ ধরে খুঁজে বের করে ভেরিফাই করা যায়, তাহলে তাকে 'ল' হিসাবে বিজ্ঞান গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: পোস্টটি ছোট রাখার জন্য বিস্তারিত লিখিনি।
হ্যাঁ , থিওরি অফ ইভোল্যুশন একটি থিওরি।
আর 'ল' অংশটুকু আরো পরিষ্কারভাবে বলেছি এডিট করে। সুন্দরভাবে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

বিবর্তনবাদকে অনেকেই ধর্মীয় কারনে হাইপোথিসিস মনে করে। বিশেষ করে চার্চের লবিস্ট টাইপ বিজ্ঞানীরা অনেক বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল লাগলো পোস্টটি পড়ে। সহজ সরল ভাষায় কিছু বিষয় জানা হলো। পোস্টের জন্য এ রকম একটি বিষয় বেছে নেওয়ায় লেখককে ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

অশ্রুকারিগর বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো।
ফ্যাক্টের ক্ষেত্রে তো আপনি না দেখলেও সেটা যদি প্রতিষ্টিত সত্য হয় অন্য কেউ দেখার ফলে তাহলে তাকেও ফ্যাক্ট বলে, তাইনা ?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: হ্যাঁ সেটিও ফ্যাক্ট।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বুঝলুম। ধন্যবাদ। :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: :D

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খুবই চমৎকার পোষ্ট! এসব জিনিস বুঝতে এর থেকে সহজ ভাবে বোঝানো সম্ভব নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.