নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিন ও মানুষের বিয়ে

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪


আমাদের বাসার ছাদে কিছুদিন অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে । যেমন গভীর রাতে কেউ যেন ছাদে হাঁটছে, কিংবা গান গাইছে, এমনকি আমার মা নাকি শুনতে পেয়েছেন কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে । বাবাকে উদ্বিগ্ন মা বললেন, ‘এই শুনছো ? ছাদে কে যেন হৃদি হৃদি বলে ডাক দিয়েছে ! ছাদে গিয়ে একটু দেখে আসো তো কেউ আছে কিনা ।’
বাবা অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছাদে গেলেন । তারপর নেমে এসে গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘ছাদে কেউ নেই । মেয়ের চিন্তায় তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, এখন বাতাসের হিসহিসানি শুনে তোমার মনে হয় মেয়ের নাম ধরে কেউ ডাকছে ।’

কয়েকদিন পরের ঘটনা ।
আমি সন্ধ্যাবেলা ছাদ হতে কাপড় আনতে গেলাম । ছাদে গিয়ে তো আমি অবাক ! জুব্বা গায়ে দেয়া লম্বা একজন লোক ছাদে পায়চারী করছেন । দেখে মনে হল তিনি ইমাম সাহেব । আরে, উনি ছাদে উঠলেন কিভাবে ? আমাদের ছাদের আশেপাশে কোন গাছপালা নেই । স্পাইডারম্যান ছাড়া আর কারো পক্ষে এই ছাদে ওঠা সম্ভব নয় । আমি বললাম, ‘হুজুর, মাগরিবের আজান দিয়ে ফেলেছে তো, আপনি মসজিদে না গিয়ে আমাদের ছাদে হাঁটাহাঁটি করছেন কেন হুজুর ? আর এখানে আপনি উঠে এসেছেন কিভাবে ?’
তিনি আমার দিকে এগিয়ে এসে গভীর দৃষ্টিতে তাকালেন । উনার চোখদুটো বাতির মত জ্বলছিল । বজ্রের মত কঠিন কন্ঠে বললেন, ‘তুর নাম হৃদি ?’
আমি বললাম, ‘জী হুজুর । আপনি আমার নাম জানেন ?’
তিনি বললেন, ‘হ জানি, তুই আমার পোলার বউ অইবি আর তুর নাম জানুম না এইডা কেমতে অয় ।’
আমি থতমত খেয়ে বললাম, ‘আমি আপনার ছেলের বউ মানে ? এটা কি বললেন হুজুর ?’
লোকটা মৃদু ধমকের সুরে বলল, ‘ওই মাইয়া ! আমি হুজুর না, আমি একজন জিন । আমার পোলার লগে তুর শাদি অইব, চল আমার লগে ।’
আমার গা কাঁপতে শুরু করল । এটা তাহলে জিন ! আমি তো মনে করেছিলাম সামু ব্লগের বিশিষ্ট অতিপ্রাকৃতিক ব্লগার সিগন্যাস ছাড়া কেউ কোনদিন জিন দেখেনি, দেখবেও না । আমি সিগন্যাসের জিন বিষয়ক ব্লগ পড়ে হাসতাম, এখন দেখি আমাকে জিনের ঘরেই যেতে হবে । হায় কপাল ।
আমি সাহস সঞ্চয় করে বললাম, ‘আমি একটু আমার মায়ের সাথে দেখা করে আসি ।’
জিন বিরক্ত হয়ে বলল, ‘মায়ের লগে দেখা করন লাগবো ? দরকার কি, আইচ্ছা যা, তুর মায়ের লগে মুলাকাত কইরা চইলা আয় ।’

আমি এক দৌড়ে ছাদ থেকে নেমে মায়ের কাছে গেলাম । মা রান্নাঘরে রাতের খাবার পাক করছিলেন । আমি মাকে সব ঘটনা খুলে বললাম । মা বললেন, ‘তোর মাথা ঠিক আছে ? কি সব আবোল তাবোল বকছিস ?’
আমি কেঁদে মাকে বললাম, ‘আমার সাথে একবার ছাদে চল । তাহলে তুমি নিজে বুঝবে আমি যা বলছি তা সত্য নাকি মিথ্যা ।’
মা রান্নার খুন্তি নিয়ে আমার সাথে ছাদে চললেন ।

আমরা ছাদে গিয়ে দেখি জিন বাবাজী দাঁড়িয়ে আছেন । আমার মা কোন ভয় পেলেন না, হনহন করে হেঁটে জিনের কাছে গিয়ে মা বললেন, ‘এই যে ভাই, আপনি নাকি জিন ? আপনি নাকি আমার মেয়েকে আপনার ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চান ।’
জিন বললেন, ‘অও, আপনি এই মাইয়াডার মা ? বেয়াইন সাহেবা আপনার নসিব বড় ভালা । আমার নাম খানবাদশা, আমি এই শহরের হগল জিনের সর্দার । আমার পোলা আপনাগো এই এলাকার মাদ্রাসায় মাইনষের সুরতে পড়ালেখা করে । সে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে আপনের মাইয়ারে দেখে পসন্দ কইরা ফালাইছে । আপনাগো বাসার ছাদে আইসা সে ডেইলি হাঁটাহাঁটি করে, আপনের মাইয়ার নাম ধইরা নাকি মাজে মইধ্যে ডাকাডাকিও করে । ওরে আমি কত বুঝাইলাম, দেখ তুই জিনের পোলা, তুর লাইগা জিনের মাইয়া লাগবো । মানুষ বড় খারাব জাত, মানুষের কাছে যাইস না । হে আমার কুনো কতাই হুনে না । আপনের মাইয়ারে না পাইলে হেয় নাকি বাঁচবো না । তয় কি আর করুম । আপনের মাইয়ারে নিতে আইছি । কুনো চিন্তা নাই বইন, আমরা নিজেরা যা খাই আপনের মাইয়ারে আমরা হেইডাই খাবামু । আপনাগো বাঙালি জাতের প্রধান খাইদ্য ভাত আর মাছ, আমগো জিন জাতের প্রধান খাইদ্য গোবর আর হুকনা হাড্ডি । আমি কতা দিতাছি আপনের মাইয়ারে ভালা জাতের গরুর তাজা গোবর আর মরা রামছাগলের হুকনা হাড্ডি খাওয়ামু ।’
আমার মা বললেন, ‘তুই আমার মেয়েকে নিতে চাস ? তুই আমাকে চিনিস ?’
জিন আংকেল মনোযোগ দিয়ে মায়ের চেহারা দেখে বললেন, ‘না, চিনতে ত পারতাছি না । তয় গলার টোন হুইন্যা মনে অইতাছে আপনে স্বয়ং জিন জাতির আম্মু !’
মা আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না । হাতের খুন্তি দিয়ে জিন বাবাজীকে এলোপাথাড়ি উত্তম মধ্যম দিতে শুরু করলেন । খুন্তির বাড়ি সহ্য করতে না পেরে জিনটা চোখের পলকে একটা বাদুড় হয়ে গেলেন । তারপর উড়ে চলে যেতে লাগলেন । কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি । বিদ্যুতের তারের সাথে লেগে জিন বাদুড় কারেন্টের শক খেয়ে মরে গেলেন ।

সেই তারে মরা বাদুড়টি দীর্ঘদিন ঝুলেছিল । আমি ছাদে উঠে বিদ্যুতের তারে জড়ানো সেই বাদুড়টা দেখতাম, আর মনে মনে ভাবতাম কেউ জানতেও পারবে না এই বাদুড় সাধারণ কোন বাদুড় নয় ।


[গল্পের ডায়ালগে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করতে আমার ভালো লাগে না । কিন্তু গল্প লেখার পর নিজে যখন পড়ছিলাম তখন জিন সাহেবের মুখে শুদ্ধ বাংলা দেখতে কেমন যেন ‘অড’ লাগছিল । তাই জিনের ডায়ালগ হতে শুদ্ধ বাংলা কেটে অশুদ্ধ বাংলা লিখে দিলাম । ;) ]

উৎসঃ কল্পনাপ্রবণ মন হইতে উৎসারিত । এই ঘটনার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই । ছবিঃ অন্তর্জাল
উৎসর্গঃ আমার মাকে । যিনি জন্মের পর থেকে সকল প্রকার দানব হতে আমাকে আগলে রেখেছেন ।

মন্তব্য ১১৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (১১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

সিগন্যাস বলেছেন: এটা কি ঠিক হলো? /:)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: কোনটা বেঠিক হল সিগন্যাস ভাই ? শিরোনাম, নাকি গল্প, নাকি ভাষা, নাকি উতসর্গ, নাকি ছবিগুলা ? কিসের কথা বললেন বুঝি নাই তো !
আর হ্যাঁ, আপনি নাকি ঘণ্টায় দেড় হাজার পৃষ্ঠা পড়ে ফেলতে পারেন ! কিন্তু আজ একটু স্লো গতিতে পড়েছেন মনে হয় । আজ স্লো হবার কারণটা কি ? গল্প ভালো ছিল না ? :(

এনিওয়ে, পাঠ ও মন্তব্যে নিরন্তর শুভেচ্ছা ! ;)

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

পল্লব কুমার বলেছেন:

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: :-<

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

সিগন্যাস বলেছেন: আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? X(

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আরে, আপনি যা বললেন এটা তো এই গল্পে আমার মায়ের ডায়ালগ ছিল ! পুরো গল্পে ঐ একটা ডায়ালগ আপনার ভালো লেগেছে ভাইয়া ? :(
আমি দুঃখিত ।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

আবদুল মমিন বলেছেন: আপনার মাকে একটা সাহসি সালাম কারন এই মানুষ টায় জীনকেও খুন্তি দিয়া দাবড়াইছে , বাপরে বাপ .।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপাতত মায়ের পক্ষ থেকে সালামের জবাবটা আমি দিয়ে দিলাম (ওয়ালাইকুম সালাম) ।
:)

জিনের সাথে বড় কিছু আসলে সেটাকেও আমার মা দাবড়াইতে পারে । যদি কোনদিন সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্যক্রমে আমার মাকে দেখে ফেলেন তাইলে আপনিও বুঝবেন উনি যে রিয়েলি দাবড়ানি দিতে পারেন ।
=p~

পোস্ট পড়ে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ ।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সিগন্যাস বলেছেন: আহা আপনার বিয়ে আসলেই জিনের সাথে হওয়া উচিত । আমার উচিত আপনাকে কালা জাদু করা =p~

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...
আমার বিয়ে জিনের সাথে হলে আপনারা কেউ শান্তিতে থাকতে পারবেন ? আমার জিন জামাইরে দিয়ে সবাইকে একদম হোয়াইট ওয়াশ করে ছাড়বো । :)
আমার প্রত্যেকটা শত্রুকে গাছে গাছে ঝুলিয়ে দেব, আর দেশে যত গয়না অলংকার আছে সব জিন জামাইকে দিয়ে আমার কাছে হাজির করব ! ;) আমার একটা জিন জামাই দরকার !

আচ্ছা ভাইয়া, একটা প্রশ্ন ছিল । কালা জাদু কি কালো রঙের লোকেরা করে ? নাকি এর ইফেক্ট শুধু কালোদের উপর পড়ে । জানা থাকলে উপকার হত ।

আমাকে কালাজাদু করার আশা প্রকাশ করায় আপনাকে কালো গোলাপ শুভেচ্ছা । =p~

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

মোগল সম্রাট বলেছেন: ভাগ্যিস উৎস পরযন্ত পড়ছিলাম; তার আগ পরযন্ত কতো কি ভাবছিলাম !!!!!!!!!!!!!!!

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওএমজি !
কি ভাবছিলেন ভাইয়া ?
মনে মনে আমাকেও জিন মনে করেছিলেন নাকি ? :((
ভাবছিলেন জিনেরাও আজকাল ব্লগিং করে ? :(

আশা করি বুঝতে পারছেন গল্পটা নিছক গল্প । ;)

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: জীবিত বা মৃত কারো চরিত্রের সাথে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র!!!!! হা হা হা

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

অচেনা হৃদি বলেছেন: :P




আমি ঠিক এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম । জিনের জায়গাতে পাঠকগণ যদি মানবজাতির কাউকে কল্পনা করে তাহলে কিন্তু কাহিনী অন্যদিকে মোড় নেবে । প্লিজ ভাইয়া, গল্পকে গল্প হিসেবে নেন । এটা কোন ঘটনার ছায়া নয় । আমার মাথায় এই গল্পের প্লট এসেছে জাস্ট গতকাল বিকেলে, সিগন্যাস নামক উক্ত ব্লগারের জিন দর্শনের ঘটনা পড়ে আমার মাথায় এই গল্পের প্লট এসেছিল ।
দয়া করিয়া জীবিত বা মৃত কাহারো সঙ্গে এই ঘটনা সম্পৃক্ত করিবেন না । :)

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

লায়নহার্ট বলেছেন: {স্পাইডারম্যান ছাড়া আর কারো পক্ষে এই ছাদে ওঠা সম্ভব নয়, তারপরও কথা বলা বেমানান না?...ছোট প্লট, প্রডিক্টেবল কাহিনী কিন্তু উপভোগ করা যায়। গুড}

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাহঃ আমাদের ছাদে পারমিশন ছাড়া হাঁটাহাঁটি করছিল আর আমি বুঝি জিজ্ঞেস করব না কিভাবে ছাদে উঠেছে !


গল্পটা সম্পর্কে অল্প কথায় বেশ সুন্দর মন্তব্য করলেন, ধন্যবাদ ভাইয়া ।

একটা প্রশ্ন ছিল, আপনি {ব্র্যাকেট} ছাড়া মন্তব্য দেন না কেন ভাইয়া ? বিশেষ কোন কারণ আছে ? (কম গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন, তবে জানতে পারলে ভালো লাগতো ।)

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

রক বেনন বলেছেন: আমিও একদিন জিনের বাদশার সাথে কথা বলেছিলাম। মোবাইলে!!!! :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: জী, ওরা আরেক ফানি ক্যারেক্টার । একদিন আমার বান্ধবীর মাকে ফোন দিয়ে বলে টাকা পাঠাতে, আমার বান্ধবীর মা তো বিশ্বাস করে ফেলেছিলেন প্রায় । উনি তো টাকা পাঠাতেও রাজি! =p~
আমার প্রশ্ন, জিনেরা টাকা দিয়ে করেটা কি ? =p~

ইশ, আমার মাকে যদি কোনদিন জিনের বাদশা ফোন দিতো তাহলে চরম মজা হত, জিন বুঝে নিতো হাউ মেনি রাইস, হাউ মেনি পেডি (কত ধানে কত চাল =p~ )

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, আমার আপুটা সত্যি সত্যি জ্বীনের সাথে মোলাকাত করেছে B-))৷গল্পে জীনের সাথে মায়ের কথোপকথন অংশটি বেশ ভাল লেগেছে, B-) চমৎকার রম্য :D;) গল্পটি পড়ে মনে হলো আন্টি বাস্তব জীবনে হৃদির জন্য কতটুকু সতর্ক দৃষ্টি রাখেন; এর আগের কয়েকটি লেখায়ও তার আঁচ পেয়েছি ৷ মায়ের জন্য অনেক আশীর্বাদ রইলো। ;) গল্পে অনেক ভাল লাগা, শুভ কামনা প্রিয় হৃদি আপুর জন্য। ;)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই যে আপনি আসছেন ? দুই তিনদিন ছিলেন কোথায় ? আপনাকেও কি জিন ধরে নিয়ে গেছিল নাকি ? =p~

গল্পটার প্লট গতকাল বিকেলে মাথায় এসেছিল । আজকে সারাদিন ভাবলাম কিভাবে এটা লেখা যায় । ল্যাপটপে বসে খটাখট লিখে ফেললাম । বাস্তবে জিন আমার অধরা রয়ে গেলো ! আহ, একটা যদি পাইতাম ! :(

গল্পটি পড়ে মনে হলো আন্টি বাস্তব জীবনে হৃদির জন্য কতটুকু সতর্ক দৃষ্টি রাখেন ভাইয়া যে কি বলেন, এই গল্প পড়েও বাস্তব জীবন আঁচ করে ফেলা যায় ? তাহলে তো বিপদ, সামনে থেকে খুব সাবধানে লিখতে হবে ! =p~

গল্প ভালো লেগেছে জেনে ধন্য অনুভব করলাম । :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: একটু আধুনিক হোন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওমা ! এটা কি মন্তব্য !
আপনার কাছে আমাকে মধ্যযুগীয় মহিলা মনে হচ্ছে নাকি ? =p~
জিনের গল্প যদি অনাধুনিক হয় তাহলে একদিন যে সিগারেট নিয়ে গল্প লিখেছিলাম সেদিন তো আমি অতি আধুনিক হয়ে গিয়েছিলাম । =p~

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: দিলেন তো মি. সিগন্যালের রাডার টা নস্ট কইরা; আহা-রে.. আবে হালায় চুল ছিড়তাছে নিহি ক্যাডা জানে! মগর আফনের ছাদের ঠিকানায় আবার নি চিগনাল পাঠ্যায়া দ্যায় :P

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: মোর ছাদে বাক্কা বালা এক রাডার আছে ভাইজান । উলটা পালটা সিগনালরে ব্যাক করায়া দিতে জানে ! ;)

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর কল্পনা। পড়তে কোথাও বাঁধলো না।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করলেন ভাইয়া । আপনি সম্ভবত এই প্রথম আমার ব্লগে মন্তব্য করছেন । হৃদির ব্লগে সু স্বাগতম ! :)

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কিছু একটা গোপন করছেন, ঘটনা কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে, মনে হচ্ছে; আপনি ঘটনা হজমও করতে পারছে না, আবার পুরোটা বলতেও চাচ্ছেন না।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি....



কি চমৎকার মনোবিশ্লেষণ !
:) আরে বাবা, আগের মন্তব্যে (৭ নং) কি প্রতিমন্তব্য দিয়েছি তা কি মিস করলেন ? নাকি অন্যদের মন্তব্য আপনি পড়েন না ? =p~

গল্পের চরিত্র চিত্রায়নে এবং উতসর্গ করার ঢং দেখে মনে করলেন ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে । :)

জী না জনাব ! এটা গল্প, এই গল্পের প্লট মাথায় এসেছে গতকাল বিকেলে । বাস্তব ঘটনাকে আমি রূপক অর্থেও এই গল্পে প্রকাশ করিনি ।

আর হ্যাঁ, সব মেয়ের জীবনে কিছু কমন বিব্রতকর ঘটনা ঘটে । এরকম ঘটনাগুলোকে হৃদি পাত্তা দেয় না । এরকম ঘটনা নিয়ে গল্প লিখে আমি কখনো সময়ও নষ্ট করব না । :)

১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

ক্স বলেছেন: আপনি বোধহয় নিমরাজি ছিলেন না, কিন্তু গোবর আর শুকনা হাড্ডির কথা শুনে পেছনে দৌড় দেন। দুঃখ করবেন না, আপনার নসীবে হয়ত এর চেয়ে ভাল শ্বশুর আছে।

আচ্ছা জ্বিনের বাংলা কোন ভাষারীতি অনুসরণ করেছিল? নদীয়ার পরিশীলিত ভাষা নাকি কোল্কাতার ঋদ্ধ ভাষা? অসমীয়া ভাষাও কিছুটা জ্বীনের ভাষার মত শোনায়।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...



আহা, কত বুদ্ধিমান পাঠক ! কত রূপক কথা দিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি ! :)

গোবর আর শুকনা হাড্ডির কথা শুনে পেছনে দৌড় দেন।; আপনার নসীবে হয়ত এর চেয়ে ভাল শ্বশুর আছে। ;
আচ্ছা জ্বিনের বাংলা কোন ভাষারীতি অনুসরণ করেছিল ? ... মন্তব্য তো নয় যেন এক একটা Irony ! ;)

যদি আপনিও এই গল্পকে কোন বাস্তব ঘটনার ছায়া মনে করেন তাহলে কি আর বলব ! ৭ নং এবং ১৫ নং মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে চোখ বুলিয়ে নিন ।
আর যদি তা না হয় তাহলে বলতে হবে আপনার সেন্স অব হিউমার বেশ চমৎকার ।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি ! :)

১৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


এই যে আপনি আসছেন ? দুই তিনদিন ছিলেন কোথায় ? আপনাকেও কি জিন ধরে নিয়ে গেছিল নাকি ? =p~

একটু বেশী বিজি ছিলাম, তবে জ্বীন-পরী জাতীয় কিছু না B-))

গল্পটি পড়ে মনে হলো আন্টি বাস্তব জীবনে হৃদির জন্য কতটুকু সতর্ক দৃষ্টি রাখেন ভাইয়া যে কি বলেন, এই গল্প পড়েও বাস্তব জীবন আঁচ করে ফেলা যায় ? তাহলে তো বিপদ, সামনে থেকে খুব সাবধানে লিখতে হবে ! =p~

ভাইয়া বলেই একটু ফান করলাম B-) B-)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: অক্কে, ফান করার ক্ষেত্রে হৃদি উদার । হৃদি তার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর ফান এর স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে । :)

জ্বীন-পরী জাতীয় কিছু না, যাক বাবা, খুশি হলাম শুনে ।

(বিয়ে শাদিও পরী/পুরিঘটিত ঘটনা, আশা করি এরকম কিছু হয়নি । কিছু হলে আমাদের জানাবেন কিন্তু । ;) )

১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সুন্দর।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন:
:) হৃদির ব্লগে স্বাগতম (সম্ভবত আমার ব্লগে আপনি আর আসেননি ।)

আমার গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য মাস্টার সাহেবকে ধন্যবাদ ।

১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: গল্পটি পড়ে মজা পেলাম।

গল্পটি টি কে একটি অতি সাধারন গল্পের পর্যায়ে ফেলতে পারলাম না যখন গল্পের উৎসর্গ টা পড়লাম। কারন গল্পটি তেমন কিছু না হলেও আপনি গল্পটির মাধ্যমে যা বোঝাতে চেয়েছেন সেটি অনেক বেশী মূল্যবান। আমাদের সকল মায়েরা সেই শিশুকাল থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর সন্তানদের যেভাবে আগলে রাখে তাঁর কোন তুলনা নেই।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার মন্তব্যের ঘরে সুন্দর কথার ফুলঝুরি ছড়ানোয় আপুকে শুরুতেই একটা ধন্যবাদ দিচ্ছি । :)

আপনার কাছে একটা কথা শেয়ার করি, আপনি মেয়ে হবার কারণেই আপনাকে কথাটা বলার সাহস পাচ্ছি । :) এই ব্লগে প্রতিদিন কত লেখা দেখি, অনেকে আবার উনাদের লেখাকে অন্য সহব্লগারের নামে উতসর্গ করে থাকেন । আমাকে উতসর্গ করেও অনেকে লিখেছেন । আমাকে নিয়ে কেউ উতসর্গ করে গল্প কবিতা লিখলে এতো ভালো লাগে যে, ইচ্ছে করে তাঁর প্রেমে পড়ে যাই । =p~
মজার ব্যপার হল এখনো আমি ব্লগের কোন আপুকে নিজের লেখা অন্যের নামে উতসর্গ করতে দেখিনি । আমি নিজেও এই ট্রাডিশনের বাইরে যেতে চাই না । যতদিন দেখব না সিনিয়র কোন আপু কোন সহব্লগারকে নিজের লেখা উতসর্গ করছেন ততদিন আমিও কাউকে লেখা উতসর্গ করব না । কাকে উতসর্গ করব ? এতো কষ্ট করে লিখলাম নিজে, অন্যকে খুশি করার জন্য উতসর্গ করে দেবো ? উতসর্গ করতে হলে হলে তো মাকে উতসর্গ করা উচিৎ, বাবাকে করা উচিৎ । আমি এই গল্পটা তাই মাকে উতসর্গ করলাম । এখন দেখছি অনেকে এই উতসর্গের কারণে গল্পের সত্যতা খুঁজে নিচ্ছেন ! =p~

আপনাকে এই পোস্টে পাশে পেয়ে ভালো লাগলো আপু । অনেক অনেক শুভকামনা । :)

১৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

মিঠু পারভেজ বলেছেন: ভালা জাতের গরুর তাজা গোবর আর মরা রামছাগলের হুকনা হাড্ডি খাওয়ামু :D :D

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: জী ভাইয়া, বড় পুষ্টিকর খাবার। :)

তবে হৃদি গরুর গোবর খায় না, গরুর রান্না করা মাংশ খায়। আবার ছাগলের নরম কুড়কুড়ে হাড্ডি তার খুব পছন্দ।

২০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুজুর জ্বীনের জন্য এই ভাষাই ঠিক আছে।
পরের বার একজন হাই অফিসিয়াল জ্বীনের ছেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার মনের সুপ্ত আশা পূরণ হবার সম্ভাবনা আছে। তাদের খানা-খাদ্য, চাল-চলন আরো উন্নতমানের হবে, সম্ভবতঃ!

বেস্ট অফ লাক। ;)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১২

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি......

জী নারে ভাইয়ু, জিন জাতির প্রধান খাদ্য নাকি গোবর। সেটা হুজুর জিন হোক আর অফিসিয়াল জিন হোক। গোবরই খায়। হয়ত দেশি জিনেরা দেশি জাতের গরুর গোবর খায়, আর অফিসিয়াল জাতের জিনেরা অস্ট্রেলিয়ান উন্নত গরুর গোবর খায়, পার্থক্য এতটুকুই। ;)

আর হ্যা, হুজুরদের জন্য এই ভাষা ঠিক আছে বললেন, তাহলে যদি শিক্ষিত জিনদের কথা লিখি তাহলে তাদের ডায়ালগ কোন ভাষায় হবে ভাইয়া? বলে দিলে ভালো হত। :)

২১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আগে মেয়েরা শুধু পুরুষ মানুষ মারতো এখন জ্বীনও মারে ;)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: হুম্ম, কি মনে করছেন?

যার হাতে যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করা বাঙালি জাতির বৈশিষ্ট্য। এতোদিন তো এলুমিনিয়ামের খুন্তির ছেঁকা খেয়েছেন, সামনে যে কিসের ছেঁকা আপনাদের ভাগ্যে আছে তা শুধু উপরওয়ালা জানেন। বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে হয়ত অটোমেটিক খুন্তি এসে যাবে। তখন ভূত-জিন, পুরুষ-কাপুরুষ সবার উপরে অপারেশন চলবে।
সাবধান হয়ে যান। :) ;)

২২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা! বাবা! ভাবলাম জ্বিনের বিয়ের দাওয়া খামু ;)

যেই রেসিপি শুনাইলেন :P ওয়াক :-P

বালা অইছে শাদী হয় নাইক্যা! =p~ =p~ =p~

গল্প মজার। মন্তব্য প্রতিমন্তব্য সেইরাম মজার ;)

+++

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~



ভাইয়া দেখছি পুরা আনস্মার্ট লোক, ডিসকভারি চ্যানেলে বিয়ার গ্রিলস এর ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠান দেখেছেন ? একদিন দেখলাম বিয়ার গ্রিলস হাতির গোবর চিবিয়ে পানি খেতে খেতে এর গুনাগুণ বর্ননা করছে । হাতির গোবর খেতে পারলে গরুর গোবর কি দোষ করল বুঝলাম না ! ;)

গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । ভাইয়ালে শুভেচ্ছা ! :)

২৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @মজার ব্যপার হল এখনো আমি ব্লগের কোন আপুকে নিজের লেখা অন্যের নামে উতসর্গ করতে দেখিনি । আমি নিজেও এই ট্রাডিশনের বাইরে যেতে চাই না । যতদিন দেখব না সিনিয়র কোন আপু কোন সহব্লগারকে নিজের লেখা উতসর্গ করছেন ততদিন আমিও কাউকে লেখা উতসর্গ করব না । কাকে উতসর্গ করব ? এতো কষ্ট করে লিখলাম নিজে, অন্যকে খুশি করার জন্য উতসর্গ করে দেবো ?--- হাহা! =p~ সৎ সাহস নিয়ে সত্য কথা বলার জন্য ধন্যবাদ হৃদি আপু।

কি জানি আমি এই বিষয়টি নিয়ে ভাবিনি কখনো যে কে কাকে কি উৎসর্গ করলো। কারন আমি শুধুমাত্র এটা নিয়ে ভাবি যে, আমার লেখা পাঠক কিভাবে নিলো, আমার লেখা তাদের ভালো লাগলো কি লাগলো না, কেন লাগলো না , কিভাবে লিখলে আরও ভালো হবে এসব। উৎসর্গ করলো কি করলো না তাতে কি আসে যায়। এসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না আপু । তবে হা কেউ উৎসর্গ করলে অবশ্যই ভালো লাগে বৈকি ।

আর আমি আমার সব লেখার মধ্যে একটা লেখাই শুধু উৎসর্গ করেছিলাম আমার একজন বিশেষ মানুষকে কারন লেখাটি সেই মানুষের জন্মদিন উপলক্ষে লিখেছিলাম তাই ।

উৎসর্গ বিষয় নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না তাই এসবে যাইও না :P

কিন্তু বৃষ্টি বিন্দু আপু বৃষ্টি নিয়ে তাঁর একটা কবিতায় আমাকে বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লেখার জন্য খুব উৎসাহ দিয়েছিল। সেই উৎসাহ নিয়ে আমি বৃষ্টি নিয়ে একটা কবিতা লিখেও রেখেছি অর্ধেক। কিন্তু সময়ের অভাবে শেষ করতে পারছিনা । আর অপেক্ষায় আছি যেদিন বৃষ্টি হবে সেদিন সেটি পোস্ট দিব এবং যেহেতু বৃষ্টি বিন্দুর আপুর উৎসাহে লেখা কবিতা তাই অবশ্যই তাঁকে উৎসর্গ করবো আমি ভেবে রেখেছি।

বিঃ দ্রঃ আমি সেই লেখাটি আগে পোস্ট করে দিলে এখন হৃদি আপু এটা বলতে পারতো না যে কোন মেয়ে কাউক লেখা উৎসর্গ করেনা :P তবে আপু, আমি কিন্তু অনেক আগেই ভেবে রেখেছি বৃষ্টি বিন্দু আপুকে আমার সেই বৃষ্টি নিয়ে কবিতা উৎসর্গ করার কথা :P

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :P


এটা একটা ক্রিটিকাল ব্যপার আপু । আমি তো বলেছি কেউ আমাকে উতসর্গ করে কিছু লিখলে আমি বেশ উৎসাহ পাই । আসলে আমি ব্লগে এসেছি মাত্র দুই মাস । এই সময়ের ভেতরে আমি ব্লগে পোস্ট উতসর্গ করার ছড়াছড়ি দেখলাম । কিন্তু সবই ছিল ভাইয়া ব্লগারদের উতসর্গ । আমি ব্লগে আসার এক সপ্তাহ পরেই কাওসার চৌধুরী ভাইয়া আমাকে উতসর্গ করেছিলেন । কি যে ভালো লেগেছিল তা বলে বোঝানর মত নয় ।
তবে আপুরা কাউকে উতসর্গ করতে দেখিনি, হয়ত আমি আসার আগেই আপুরাও তাঁদের লেখা উতসর্গ করেছিলেন ।
আমিও নিশ্চয়ই সহব্লগারগনকে উতসর্গ করব । :)
আপনার বৃষ্টির কবিতা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম । :)

২৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে ছোটবেলার এক কাকুর কথা মনে পড়লো। উনি বাবার ভালো বন্ধু ছিলেন, কাকা বলেই ডাকতাম। ওনার বাবা রাজেন্দ্র কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, অনেক সহায় সম্পত্তি ছিলো। তার এক মেয়ে ছিলো আমার বোনের চেয়ে কয়েকবছরের ছোট হবে। আমরা মাঝে মধ্যেই তাদের বাসায় যেতাম। ঐ মেয়ের বয়স যখন ১২ ছিলো তখন একটা বিয়ের সম্বন্ধ এসেছিলো। তিনি বিয়ে দেননি কারন তিনি চেয়েছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। তার স্ত্রী চাইতেন মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন। তার কিছু দিন পর উনি তাবলীগে যুক্ত হন এবং এক বছরের মাথায় সবাই পুরো ইসলামী তরিকায় চলতে শুরু করলেন। বাসার টিভি বেঁচে দিলেন, পত্রিকা রাখা বন্ধ করলেন। তার স্ত্রী পুরো বোরখার নীচে। কিছুদিন পর শুনি ব্যাবসা বন্ধ করে জমি জমা বেচতে শুরু করলেন। তার মেয়ের বয়স যখন ১৫ শুনলাম তাবলীগের কোনো এক হুজুরের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। তার তিন বছরের মাথায় শুনি তার ঐ মেযেটিকে বিভিন্ন ছুঁতোয় ঐ হুজুর নিয়ম করে পেটায়। আব্বা অনেক ভর্তসনা করলে তিনি ইসলামের বানী শুনিয়ে হালাল করতেন। আমি আর তাদের বাসায় কোনোদিন যাইনি।

শুধু ভাবতাম তার মা এর কথা ভেবে.. যে মহিলা তার মেয়েকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন সে কি এমন লৌকিক মোহে তার মেয়ের জীবন গলা টিপে নস্ট করলেন!! এ কেমন মা!!

আপনার মা অবশ্যই সাহসী এবং প্রশংসার পাত্রী।

যেখানেই থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আশা করি এমন বাস্তববাদী স্বপ্ন দেখা মা বাংলার ঘরে ঘরে হোক। দেশটা বাল্যবিবাহ নামের দানবীয় লৌকিকতা থেকে মুক্তি পাক

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ভাইয়া ।


আপনি যে মন্তব্য করলেন তা যদি ঐ মানের কোন লোক দেখে তবে সবাই আপনাকে নাস্তিক বানিয়ে ছাড়বে । আর আমি আপনার পোস্ট পড়ে মনে মনে যা ভাবছি তা যদি লিখে প্রকাশ করে ফেলি তাহলে আমাকে সবাই তসলিমা নাসরিন বলবে । জানেন ? অলরেডি একদিন একজন আমাকে ২য় তসলিমা নাসরিন বলে ফেলেছে । :(

ধার্মিক লোক আমার ভালো লাগে । তবে ধার্মিক হবার মানে তো মধ্যযুগে বসবাস করা নয় । ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ তো একজন ধার্মিক লোক ছিলেন । কই উনাকে তো উনার পরিবার সমেত মধ্যযুগে চলে যেতে হয়নি । উনার প্রতিটি সন্তান একেকজন আধুনিক মানুষ । আর আপনার চাচারা কেন যে এমন হয়ে যান তা কেবল উপরওয়ালা জানেন । সেই চাচাতো বোনের জন্য আমার খারাপ লাগছে । :(

মায়েদের নিয়ে আপনার মন্তব্য খুব ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:
ধূর সালা!
আমার জ্বীনটা বাহির হয়না ক্যান??:P

পিচ্চি হিরোইন,
গল্পটা সুন্দর হয়েছে।
তবে জিন ও জ্বীনে ঝামেলা তৈরী হয়েছে।

আমি নেটে একটু পড়লুমঃ
জ্বীন অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুকায়িত।
জিন :
১. /বিশেষণ পদ/ যিনি জয়লাভ করিয়াছেন, জয়ী, জয়শীল।
২. /বিশেষ্য পদ/ ঘোড়ার পিঠে আরোহীর পেতে বসবার আসন;/ঘোড়ার সাজ
৩. জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী ক্ষুদ্রতম একক।


প্রশ্নঃ বৈদ্যুতিক তারে বাদুড় মারা যায় কেন?;)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই আলাদিন সাহেব ! আপনি জাদুর চেরাগখানা কোথায় রেখেছেন ? ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে এই মুল্যবান চেরাগটাকে ইউরিনালের উপর রেখেছেন ! =p~ সেখানে রাখলে জিন জীবনেও বের হবে বলে তো মনে হয় না !

ভাইয়াজানগো, আমি তো অর্থ ভালো জানি না ! তবে যতদূর জানি বাংলা একাডেমীর নতুন নিয়ম অনুযায়ী সকল বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার করতে হয় । তাই জ্বীন শব্দটাকে জিন লিখলাম ।

প্রশ্নঃ বৈদ্যুতিক তারে বাদুড় মারা যায় কেন ?
উত্তরঃ উহারা জিন বলে মারা যায় ! =p~
আর যদি কেতাবি কথা জানতে চান তাহলে সংক্ষেপে বলি- পাখিদের পায়ে প্রবহমান রক্ত থাকে না । তাই কারেন্টের তারে বসলেও উহাদেড় দেহে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয় না এবং তারা আহত বা নিহত হয় না । তবে বাদুড় কোন পাখি নয়, বাদুড় হল ডানাওয়ালা স্তন্যপায়ী প্রাণী । তাদের সাড়া গায়ে রক্ত আছে । যে কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাদুড় মারা যায় ! :)

২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

জুন বলেছেন: দিন কয়েক আগে সিগন্যাসের গল্পে পড়লাম রাতদুপুরে পুরো বিল সেচে জিনেরা মাছ খাচ্ছে আর আপনি বলছেন গোবর আর শুকনা হাড্ডি তাদের খাবার :-* এখন কার কথা বিশ্বাস করবো অচেনা হৃদি !
আপনাকে নাকি ব্লগের ভুতবাবু সিগ্ন্যাসকে #:-S

তবে গল্প পড়ে অনেক মজা পেলাম এটা সত্যি, বিশেষ করে আপনার হতে হতেও বাতিল শ্বশুড় আদুর বাদুর চালতা বাদুরটাকে তারের সাথে ঝুলতে দেখে =p~
+

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, সিগন্যাস ভাইয়া অতিপ্রাকৃতিক ব্যপার নিয়ে ইন্টারেস্টেড ঠিক, তবে উনার এই জাতীয় পোস্টগুলো দেখে আমার মনে হয় তিনি মে বি স্পষ্ট ধারণা রাখেন না । আমি নিজে যদিও এসব ব্যপারে আগ্রহী নই তবে একসময় এসব নিয়ে প্রচুর পড়েছি । আমার কাছে এসব অতিপ্রাকৃতিক এবং ভৌতিক ব্যপার বেশ ভালো লাগতো ।

ইসলামিক মিথোলজি অনুযায়ী, জিন হল এক ধরনের অশরীরী প্রাণী । এরা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং ফেরেশতাদের ছাড়া আর সকল প্রাণীর অগোচরে থাকতে পারে । এরা চাইলে যে কোন আকৃতিও ধরতে পারে । স্বাভাবিকভাবে জিনেরা গোবর এবং শুকনো হাড়ের নির্যাসকে খাদ্য হিসেবে কনজিউম করে থাকে । তবে যখন তারা অন্য প্রাণীর আকার ধারণ করে তখন সেই প্রাণীর খাদ্যকে নিজের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে । জিনেরা মাছ খায় এই কথা কোথাও লেখা নেই । আবার বিশেষ কোন খাবারের প্রতি জিনদের আগ্রহও নেই ।
গ্রামিন ফোকলর অনুযায়ী ভূতেরা মাছ খেতে ভালোবাসে, তবে ভূত এবং জিন এক জাতীয় নয় । বিশ্বাস অনুযায়ী মানুষ অপঘাতে মরে ভূত হয়, কিন্তু জিন এভাবে সৃষ্টি হয় না । বরং জিনেরা অন্যান্য প্রাণীর মত দৈহিক মিলনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে থাকে ।

জুন আপুর কাছে লেখার প্রশংসা পেয়ে বেশ উতসাহিত হলাম । শুভেচ্ছা আপুকে । :)

২৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @কাওসার চৌধুরী
কাওসার ভাইয়ের আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম।

@লায়নহার্ট,
{} এটা উনা স্টাইল।

@সিগন্যাস,
ওহে ভূতের বাদশা?
একি মন্তব্যে ছিরি?:P
আপনি পাঠক নামের কলঙ্ক।.

@কথার ফুলঝুরি!
কথা আপু!
ব্লগের আপুরা হিংসুক, তাই অন্য কারো নামে কোন কিছু জবাই (উৎসর্গ) দেয় না। :P আপনাদের জান্টুস হিরো থাকতে আপনারা কাউকেও খুঁজে পাচ্ছেন না কেন?X(

@লেখক,
এতকিছু থাকতে জ্বীনেরা হাড্ডি আর গোবর খাবে কেন??:(
নতুন প্রোপিক দেখে লেখককে পিচ্চি থেকে বালিকাতে প্রমশন দেয়া হল!:P

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই মিয়া, আপনার নিজের চেরাগের জিনটাকে জিজ্ঞেস করে দেখেন না ওরা গোবর কেন লাইক করে ? =p~

আগের প্রোপিকের কারণে লেখক ইভটিজিংএর শিকার হয়েছিল । তাই বাধ্য হয়ে সেটা খুলে নতুন পিক লাগালাম । আমার আগের পিকটা অনেক পছন্দের পিক ছিল ভাইয়া ! :(

ব্লগের আপুরা হিংসুক না ভাইয়া, আশা করি আপুদের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই উতসর্গ লাভ করবেন ! ;)

২৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @কাওসার চৌধুরী
কাওসার ভাইয়ের আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম।

@লায়নহার্ট,
{} এটা উনা স্টাইল।

@সিগন্যাস,
ওহে ভূতের বাদশা?
একি মন্তব্যে ছিরি?:P
আপনি পাঠক নামের কলঙ্ক।.

@কথার ফুলঝুরি!
কথা আপু!
ব্লগের আপুরা হিংসুক, তাই অন্য কারো নামে কোন কিছু জবাই (উৎসর্গ) দেয় না। :P আপনাদের জান্টুস হিরো থাকতে আপনারা কাউকেও খুঁজে পাচ্ছেন না কেন?X(

@লেখক,
এতকিছু থাকতে জ্বীনেরা হাড্ডি আর গোবর খাবে কেন??:(
নতুন প্রোপিক দেখে লেখককে পিচ্চি থেকে বালিকাতে প্রমশন দেয়া হল!:P

পুনশ্চঃ মন্তব্য যাচ্ছে না কেন?

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~


মন্তব্য যাচ্ছে না ? যাচ্ছে তো যাচ্ছে দুইবার যাচ্ছে !!!

২৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৪

করুণাধারা বলেছেন: কিম্ভূত গল্প, কিন্তু পড়ে মজা লাগলো- তাই প্লাস। জন

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫২

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) একটু আগে শায়মা আপুর মন্তব্য পড়ে বুঝলাম আপনিও মেয়ে, জানতাম না ।
আমার ব্লগে স্বাগতম আপু ।
গল্প পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ! শুভেচ্ছা আপুকে ।

৩০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সনেট কবি বলেছেন: খুব গুড।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)



ধন্যবাদ সম্মানিত সনেট কবি ! হৃদিপূর্ণ শুভেচ্ছা রইল !

৩১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হুজুরদের জন্য এই ভাষা ঠিক আছে বললেন, তাহলে যদি শিক্ষিত জিনদের কথা লিখি তাহলে তাদের ডায়ালগ কোন ভাষায় হবে ভাইয়া? বলে দিলে ভালো হত। কেন, আমাদের আরজে রা যেই ভাষায় কথা বলে! বাংলা-ইংলিশ মিশিয়ে ত্যাড়াব্যাকা করে যেভাবে কথা বলে, সেভাবে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~
ভাইয়া, আর জে মানে কি ? রকিং জিন ? হিহিহি

একদম ঠিক বলেছেন, ওদের ভাষাটা জিনের ভাষার মত কিম্ভুত ভাষা । তবে ভাইয়া ভূত প্রেত নিয়ে রেডিও ফুর্তিতে রাসেল নামক একজন আরজে খুব সুন্দর করে ভূত এফএম নামে একটি অনুষ্ঠান চালায় । ঐ আরজের কন্ঠ বা ভাষা কিন্তু মোটেই জিনের মত নয় । তাঁর উপস্থাপনা আমার বেশ ভালো লাগে ।

৩২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

শায়মা বলেছেন: এই মজাদার গল্প পড়িয়া আমিও একটি গল্প লিখেছি :)

জ্বীনের বউ হৃদি B-))

শেষমেষ হৃদি মেয়েটার জ্বীনের সাথে বিবাহ হইয়া গেলো। যদিও জ্বীন মরে ভূত হওয়া বাদুড় ও তাহার বর্নিত খানা খাদ্য হৃদির পছন্দ না হওয়ায় এক সন্ধ্যায় হৃদি তাহার মায়ের খ্যাংরার বাড়ি দিয়ে মরহুম জ্বীন শ্বশুরকে ল্যাংড়া করিয়া বাড়ি ছাড়া করিয়া থুক্কু ছাদ ছাড়া করিয়া ইলেক্টরিক তারে টাঙ্গাইয়া রাখিয়াছিলো। তবুও কথায় বলে জ্বীন সে কি আর এত সহজে মরে!!! তাই বাদুড় হইয়া চামশি হইয়া ঝুলিয়া ঝুলিয়াও এক চোখ মিটিমিটি খুলিয়া সে ঠিকঠাক তার কেরামতী ওরফে মেরামতী বুদ্ধি খাটাইয়াই চলিয়াছিলো। তাই শেষমেষ নিয়তীর অকাল পরিনতীতে জ্বীন শ্বশুর ওরফে বাদুড়বাবার পুত্র চামচিকা বাবার ফান্দে পড়িয়া হৃদিমনি তাহার গলায় মাল্য দান কয়া ফেলিলো.... :)

বিবাহের পরে হৃদির নাম হইলো জ্বীদী। ইহাই জ্বীন জগতের নিয়ম। :) বিবাহের পরে মেয়েদের যে কাহারো নামের আগের অক্ষর বদলাইয়া জ্বী বসাইতে হয়। যেমন ধরো ওমেরা হবে জ্বীমেরা, মনিরা হবে জ্বীনিরা, ফাতেমা হবে জ্বীতেমা, নীলপরি হবে জ্বীলপরি, করুণাধারা হবে জ্বীরুনাধারা এমন আর কি। জুন আপুর নাম অবশ্য বদলাইতে হইবে না কারণ সেখানে অলরেডী জ অক্ষরটা আছে এখন যদি সেখানে জু=জ্বী দেই তাইলে জ্বীনদিগের পুরা বংশের হদিসই বিলুপ্ত হইয়া যায়। :( যাহা হৌক সাত কান্ড বাদ দিয়া আসল গল্পে আসি। তো বিবাহের পরে নিয়ম হইলো জ্বীদিকে এইবার থেকে কালো কুচকুচা জ্বীন জাতির ন্যাশনাল ডেরেস, মুখের উপরে বিশেষ কায়দায় গোল্লা গোল্লা ফুটা করে চোখের নিকাব ও হাত ও পায়ে লম্বা নখর যুক্ত গ্লাভস পরিতে হইবেক।

জ্বীদি তো অবাক! এমন কিম্ভূত কিমাকার ডেরেস তো সে কোনোদিন কোনো কালেই কোনো ফ্যাশনে দেখে নাই। তবুও অতীব কৌতুহলী হইয়া সে সেই ডেরেস পরিয়া নিজেকে আয়নায় দেখিলো। তারপর এদিক ওদিক দেখিয়া আহলাদে বলিয়া উঠিলো বাহ! এরপর সে নতুন ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া আকাশ পথে উড্ডয়ন করিয়া চলিলো। সোজা বাবার বাড়িতে বেড়াইয়া আসার উদ্দেশ্যেই জ্বীদি সো করিয়া উড়িয়া আসিয়া নামিলো তাহাদের বাড়ির বিশাল গেইটের সামনে। দারোয়ান বাবাজীর সামনে গিয়া দুষ্টামীর ছলে চিকন গলায় ডাকিয়া উঠিলো, চাচাজী......... দারোয়ান চাচাজী তখন মনের সুখে মধ্য দুপুরে গেইটের সামনে বসিয়া খৈনী টিপিতেছিলেন। জ্বীদির নব্য প্রাপ্ত চিক্কন স্বরে সামনে মুখ তুলিয়া তাকাইয়া এই কিম্ভুত কিমাকার জ্বীনিও ড্রেসের ধকল সামলাইতে না পারিয়া গো গো করিয়া মাটিতে পড়িয়া গেলেন.........

হৃদি ওরফে জ্বীদি যদি পারমিশন দেয় তো গল্পটা টু বি কনটিনিউড হইবেক ...... :) :) :)

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: সকল প্রটোকল ভাঙিয়া উপরের মন্তব্যগুলা রাখিয়া হৃদি সবার পূর্বে শায়মা আপার মন্তব্যের জবাব দেয়া আবশ্যক মনে করিয়াছে।
শায়মা আপা যেহেতু আজিকে প্রথম বেলার মতো জ্বীদি ওরফে হৃদির পোস্টে আসিয়াছে, কাজেই জ্বীদির উচিত ছিল আপাকে ওর গরিবি গৃহে স্বাগত সম্ভাষণ করা। কিন্তু যেহেতু এই পোস্ট হইল প্রটোকল ভাংগার পোস্ট তাই জ্বীদি আনুষ্ঠানিক সম্ভাষণ রাখিয়া সরাসরি শায়মা আপাকে আরজ করিল, আপা আপুনি সুন্দর একখানা গল্প লিখিতেছিলেন, হঠাত করিয়া থামিয়া গেলেন কেন? এই সুন্দর গল্পখানা শেষ করিতে অনুমতি তথা পারমিশন লাগিবে কেন? এই পোস্টে যতজন ব্লগার অক্ষি রাখিয়াছে সকলের পক্ষ হইতে হৃদি থুক্কু জ্বীদি শায়মা আপাকে গল্পটি সমাপ্ত করিতে অনুরোধ করিল। :)

৩৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মোটামুটি...

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)

৩৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৩

ওমেরা বলেছেন: গল্প ভাল লাগল আপু ।

আমার একটা কবিতা উৎসর্গ করেছিলাম বিজয় রয় ভাইয়া। শায়মা আপু ও তো অনেককেই উনার লিখা উৎসর্গ করেছেন ।

হৃদি আপু ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)


এই মন্তব্য পড়ে আমি বুঝলাম ওমেরা আপু আমার গল্প তো পড়েছেন, প্লাস মন্তব্যগুলিও পড়েছেন ! ধন্যবাদ আপু । আপনি তো ব্লগে আমার সবচেয়ে পুরনো আপু । আমি যখন সেফ হইনি তখন আপনি আমার ব্লগে গিয়ে ঘুরে আসতেন । আমার পোস্টে খুব সুন্দর মন্তব্য রেখে আসতেন । নিজ থেকে আপনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন । আমি জানি এখনো নীরবে আপনি আমার লেখাগুলো পড়েন । কিন্তু মন্তব্য করেন না । জানি না, আমার উপর আপনি রাগ কি না ? এরকম কোন কারণ আছে বলে তো মনে হয় না আপু ।
আমার ব্লগে আপনাকে নতুন করে স্বাগতম জানালাম আপু ।
একটা কথা না বললেই নয়, আমি কিছুটা শুনেছি আপনার নাকি মা নেই । :( সহানুভুতির ভাষা জানা নেই ।

৩৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৪

জুন বলেছেন: @শায়মা তাহলে জানা, জানা আপুর নাম কি হবে :-* :-*
=p~

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~

সুন্দর একটা কথা বলেছেন আপু । কিন্তু আপু, শায়মা আপুর নাম কি হবে তা তো একবারও বললেন না ।

৩৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের বোন,

এসেছিলাম কমেন্ট করতে। নিজের ভালোলাগা ও লাইক দিয়ে ঝটপট বিদায় নিচ্ছি । এখানে আমাদের বাড়ির সবাই হাজির। ওদিকে বাড়ি খালি যে একেবারে। সিগন্যাস ভাই আবার না কোনও ঝামেলা করে বসে। ব্লগের হিরো চলে এসেছে। ২২নং বিদ্রোহী ভৃগু ভাই থেকে ৩৫ নং জুন আপু পর্যন্ত সবাই ঠায় দাঁড়িয়েযে । ++

উৎসর্গ প্রসঙ্গে বলতেই হয়, বাবামা আমাদের কাছে বটবৃক্ষের ন্যায়। আমরা আজীবন এহেন বটবৃক্ষের সুশীতল ছায়া পেতে চাই। কেউবা ইতিমধ্যে সে সুযোগ হারিয়েছে। তবে কোনও কিছুর বিনিময়ে যে ঋন কখনও শোধ হবার নয়। আপনার মায়ের শীতল ছায়া আপনি আজীবন পেয়ে যান, কামনাকরি। ওনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

অনেক শুভকামনা প্রিয় বোনকে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: জী ভাইয়া, এমন সময় সবাই এসেছিলেন যখন আমি ব্লগে থাকতে পাড়ি না ! :(
আমার ব্লগে একঝাক গুণী ব্লগার মন্তব্য করে গেলেন । আফসোস লাগছে, যদি আমি অনলাইনে থেকে সবার মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করতে পারতাম বেশ ভালো লাগতো । :(

বাবা মায়ের ব্যপারে অমুল্য একটি কথা বলেছেন । মা বাবাকে ছায়ার সাথে তুলনা করাটা চমৎকার !
আমার মায়ের ব্যপারে আপনার প্রার্থনা যেন কবুল হয় সেই দোয়া করছি মনে প্রাণে ।

হৃদিপূর্ন ভালোবাসা জানাচ্ছি ভাইয়াকে ।

৩৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

শায়মা বলেছেন: হা হা হা ভাবলাম হৃদি আবার জ্বীনের সাথে বিয়ে দেওয়ায় খেপে গিয়ে আমাকে না আবার কামড় দিতে আসে.... তাই গল্প অর্ধ সমাপ্ত রাখিয়াছি !!!!!! :P

জুন আপুনি তোমার নাম তো সোজা জ্বীন জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ আর জানা আপুর নাম জ্বীন জাতিতে গেলে তো তাদের জ্বীনা হারাম হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে কাজেই তুমি আর জানা আপু জ্বীন বংশে বিবাহ হইবার ভয় হইতে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত! :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~
আপু যে কি বলেন ! আপনি আমাকে ব্লগে যদি এভাবে বড় কোন জিনের কাছে বিয়ে দিয়ে দেন কোন আপত্তি থাকবে না । কামড় দেবো কেন ? জিনেরা কামড় দেয় না তো ! জ্বীদীও কামড় দেবে না । :) আপনার আর্ধ সমাপ্ত গল্প বেশ ভালো লেগেছে ।

আমি আজ পোস্টে আপুকে প্রথমবারের মত পেলাম । আমার ইচ্ছে ছিল দ্রুত আপনার মজার মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করতে । কিন্তু আমার টাইপিং এর গতি খুব স্লোওওও.... এখন প্রতিমন্তব্য লিখলে কি আপনার চোখে পড়বে ? আপনি পরের বার যখন আসবেন তখন এই প্রতিমন্তব্য দেখতেও পারেন, আবার ব্যস্ততার কারণে নাও দেখতে পারেন ! :(

এনিওয়ে, একটা কথা লিখে রাখি । আপুর মন্তব্যে জ্বীদী শব্দটা দেখে আমি বেশ শক খেয়েছিলাম ! আমার এক আন্টি আমাকে দুষ্টুমি করে হৃদি না ডেকে জীদি বলে ডাকতো ! =p~

৩৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: গল্প পড়ে খুব হাসলাম হৃদি =p~ । সিগন্যাস নাকি নিজেই একটা জিন, সে আবার তার বাপরে তোমাদের ছাদে পাঠায় নাই তো ;)
তোমার কল্পনাশক্তি ভালো আর লেখো খুব সুন্দর করে। একেবারে সুখপাঠ্য।
অন্যদের মন্তব্য না পড়েই মন্তব্য করলাম। এখন পড়বো।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...
আপনি গল্প পড়ে যতটা হেসেছেন তাঁর চেয়েও মনে হয় আমি এই কমেন্ট পড়ে হেসেছি । সিগন্যাস তাঁর বাবাকে যদি পাঠিয়ে থাকেন তাহলে তো লজ্জার কথা, আমার মা যেভাবে তুলোধুনো করেছেন... =p~
আমার লেখা নিয়ে বেশ উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য করেছেন আপু । অনেক ভালো লাগলো ।
আপুকে হৃদিপুর্ন ভালোবাসা !

৩৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৫

শায়মা বলেছেন: ৩৮. ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৯ ১

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: গল্প পড়ে খুব হাসলাম হৃদি =p~ সিগন্যাস নাকি নিজেই একটা জিন, সে আবার তার বাপরে তোমাদের ছাদে পাঠায় নাই তো ;)



হা হা হা হা হা হা হা এই কমেন্ট পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ!!!!!

আমারও এখন সন্দেহ হচ্ছে এখন একটু একটু। সিগন্যাস জ্বীনই মনে হয়!

যাক এতদিনে আমরা একটা জ্বীন ব্লগার ভাইয়ু পেলাম! :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি....
আপু আমি কামনা করছি সেই জিন যেন সিগন্যাস ভাইয়ার বাবা না হয় ।
সিগন্যাস ভাইয়ের বাবা খুন্তি ট্রিটমেন্ট পাক তা আমি চাই না ! :P
(মাফ করেন সিগন্যাস ভাই)

=p~

৪০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জিন ও মানুষের বিয়ে! আজব শিরোনা। তবে ভিতরে সুন্দর লিখনি।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫১

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার প্রতিটি মন্তব্যে সত্যের ছায়া বিজড়িত থাক ! অনেক শুভেচ্ছা রইল । :)

৪১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আজকাল ব্লগে হচ্ছে কি? সবজায়গায় অলৌকিক কিছু লেখার ধুম পরে গিয়েছে! আমাদের ব্লগারদের মধ্যে জ্বীন, ভূত, পেত্মী, আত্মা লুকিয়ে আছে নাকি? :P

হৃদি আপু, আপনার এই লেখাটিই প্রথম পড়লে হয়ত অনেক বেশি ভালো লাগত। কিন্তু আমি আপনার অনেক লেখাই পড়েছি। এই পোস্টে সবচেয়ে ভালো উৎসর্গের অংশটুকু। তবে পুরো পোস্টের বিষয় নির্বাচন এবং কাহিনীর বুনন খুব স্ট্রং ছিলনা। মানে ভালো ছিল, কিন্তু আপনার অন্য লেখা থেকে জানি যে আপনার লেখায় পরিপক্কতা, ও প্রান্জলতা কতখানি থাকে। অন্য কারো তুলনায় নয়, আজ মনে হলো নিজের তুলনায় একটু পিছিয়ে ছিলেন। যাই হোক, পরের পোস্টে ডাবল ভালো লিখে পুষিয়ে দিয়েন। :)

মন্তব্যে খুব উন্নতমানের কিছু ব্লগারের উন্নত কথা পড়ার সৌভাগ্য হলো। আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও জোশ এজ ইউজাল!
শুভকামনা সকল!

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, আমি চেয়েছিলাম আপনি অনলাইনে থাকতে থাকতে প্রতিমন্তব্য করতে, যেন আপনি এটা দেখে যান । আমার স্লো গতির টাইপিংকে যত দ্রুত বাড়ানো যায় বাড়িয়ে বড় সুন্দর একটা মন্তব্য টাইপ করেছিলাম । ভাগ্যটা এমন খারাপ ছিল, মন্তব্য প্রকাশ করার মুহুর্তে ধুম করে নেট চলে গেল । সেই সাথে এতো সময় নিয়ে টাইপ করা লেখাটাও হাওয়া হয়ে গেল । :( যখন আবার কানেকশন এলো তখন আপনি নেই ।

কি আর করা, উপরের কমেন্টগুলো শেষ করে এখন আবার আপনার জন্য প্রতিমন্তব্য টাইপ করছি । সংক্ষেপে বলে ফেলি, এই গল্পটাকে অন্যগুলোর সাথে মেলালে দুর্বলতা পাবেন কারণ আমি এই গল্পের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারিনি । কাল মাথায় প্লট এলো, আজ গটাগট লিখে পোস্ট দিয়ে দিলাম ।
আপু অনুরোধ করব সবসময় এভাবে আমার লেখার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দেবেন । তাহলে পরের লেখাটা নিশ্চয়ই আরও সতর্ক হয়ে লিখতে পারবো ।

আমি তো মন্তব্যে আপনাকে ধন্যবাদ দিই না ! =p~
অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল আপু ।

৪২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: যাহ..
বিয়েটা হইল না!!! :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: কেন ভাইয়া ? আমার বিয়ে জিনের সাথে হলে আপনার লাভ হত ? গোবরের রেসিপি দিয়ে দাওয়াত খেতে চান নাকি ? =p~

আপনি মনে হয় আজ প্রথম এসেছেন আমার ব্লগে ! স্বাগতম ! :)

৪৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @শায়মা,
শামা আপা?
তোমাদের লাল বাত্তি/সিগনাল(সিগন্যাস) আসলেই ভূত! X(
সে নাকি ঘন্টায় ১৫০পৃষ্ঠা পড়ে?X(

আমি আজকে কিছুক্ষণ পড়লাম,
৩৬-৪০পৃষ্ঠা বড় বই/বোর্ড বই!
৬০-৭০পৃষ্ঠা ছোট বই/উপন্যাসের বই!

আমার তো মনে হয়,
সিগন্যাস মিয়া বাচ্চাদের বই পড়ে,
নয় তো সে ফাঁকিবাজ/অর্ধের বাদ দিয়ে পড়ে! :P

বিশ্বাস না হলে, তোমরা নিজেরাই ১৫মিনিট পড়ে দেখ!!

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: :P



হাসি ধরে রাখতে পারলাম না, ভাইয়া তাহলে টেস্ট করে ফেলেছেন !!!!
হায় আল্লাহ, এই লোকটার প্রতি রহম করো ! =p~

৪৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৩

ওমেরা বলেছেন: না আপু আপনার সাথে রাগ করব কেন!! এমনিতেই আমার মন খারাপ ছিল তাই কয়েকদিন ঠিকমত ব্লগেই আসা হয়নি তাই হয়ত কমেন্ট ও করা হয়নি। আমি কলেজে সেকেন্ড ইয়ারের প্রথমদিকে ২০১৩ তে আমার আম্মু হঠাৎ করে ক্যানসারে মারা যান।মৃত্যুর উপর তো কারো হাত নেই আপু এটা আল্লাহর ডিসিশন আমাদের মেনেই নিতে হয় ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: আবার আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো আপু ।
আল্লাহ আপনার আম্মুকে পরজীবনে ভালো রাখুক ।
আমার মাকে আল্লাহ আমার কাছ থেকে এতো অল্প সময়ে না নিয়ে যাক । আমার জীবনে মা বাবা ছাড়া কেউ নেই । আমার ভাইয়া আপুরা আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় । আমার ভাইয়া ও আপু অনেক আগে বিয়ে করে পৃথক হয়ে গেছে । বলা যায় আমি অনেকটা একসন্তানের মত মা বাবার কাছে বড় হয়েছি/হচ্ছি । আমি আপনার মত মা/বাবাকে ছেড়ে জীবন কাটাতে পারবো না । আপনি অনেক সাহসী বলে পেরেছেন ।

৪৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মাঝ রাইতে ব্লগে জিনের গল্প পেয়ে খুশি হইছিলাম। পড়েছি। কিন্তু ভয়ডর কিছু অনুভূত হয় নাই।
ফিলিং- বুইড়া হইয়া গেছি।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)


তাহলে ঠিক আছে চাচা (আপনার বয়স হয়ে গেছে তাই চাচা বললাম ;) ), এই গল্প জিনের গল্প হলেও ভয়ের গল্প না। আপনি ভয় না পেলে সঠিক পথেই আছেন।

গল্পটা পড়ে মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ!

৪৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একটু কমেডি হয়ে গেলনা।

তবুও এক প্রকার ভাল লাগলো।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: 'একটু' কমেডি হয়ে গেল?
হায় হায়, :(
আমি তো একটু কমেডি করতে চাইনি, আমি চেয়েছি পুরা কমেডি করতে। ভয়ের গল্প লেখার ইচ্ছে ছিল না।

এনিওয়ে ভাইয়া, ধন্যবাদ ;) :)

৪৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: জিন জাতির ইতিহাস - নামে একটা বই আছে নেটে খোজাখুজি করলে পেয়ে যাবেন। পুরো বইটা পড়ার পর আর কোন আতঙ্ক থাকার কথা না; যদি এই ব্লগে মি. সিগনাল --তাঁর গুনকর্ম জাহির করার জন্য সর্বদা ব্যাকুল থাকে; আচ্চা আপু আপনি কি সিলোডি!

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

অচেনা হৃদি বলেছেন: না-আ-আ!
:(
প্লিজ ভাইয়া, আমাকে আঞ্চলিক বানিয়ে ফেলবেন না। আমি সিলডি টিলডি নই। আমি বাংলাদেশী! ;)

মন্তব্যে আবার আসায় আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ! :)

৪৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



জিন ভাবনা পড়লাম। ভাল লাগলো। ডায়ালগগুলোও ভাল হয়েছে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)



ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার লেখাও আমার ভালো লাগে। একদিন আপনার একটা ছড়া পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বেশ অনভিপ্রেত অবস্থায় পড়েছিলাম। :(

আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো! :)

৪৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

তারেক ফাহিম বলেছেন: উৎসর্গ সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো।

প্রতিটি মা’ই চায়, জন্মের পর থেকে সকল প্রকার দানব থেকে তার মেয়েকে আগলে রাখতে।


জ্বিনের গল্প পড়তে পড়তে অনেক হাসলাম।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)



ধন্যবাদ ভাইয়া। উতসর্গ করতে গিয়ে আমি বেশ যত্নের সাথে ভাষা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। এমনকি এই গল্প লিখতে গিয়েও শব্দ প্রয়োগে এতো যত্নবান ছিলাম না।

মন্তব্য ভালো লেগেছে ভাইয়া।

৫০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্লট দুর্বল হলেও রম্য হিসেবে চলনসই। তবে হৃদির স্কিলের সাথে যায় না। আরও ম্যাচিউরিটি আশা করি। সামনের জন্য শুভকামনা!

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)



সত্যি বলতে কি ভাইয়া, গল্পটা আমি পর্যাপ্ত সময় নিয়ে লিখলে হয়ত আরো সুন্দর বা ভালো হত। খুব দ্রুত লিখে পোস্ত করে দিয়েছিলাম। যদি গল্পটা আজ পোস্ট করতাম এতে আরো নিপুণতা থাকতো।
প্রশংসায় ভাসিয়ে না দিয়ে সুন্দর একটি সংশোধনী দেয়ায় ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনারা আমার লেখাকে ভালো মানের হবে বলে আশা করেন, ভাবতেই ভালো লাগে। বুঝতে পারছি, হৃদির ভালো লেখার ব্যপারে আপনাদের বিশ্বাস আছে। সামনে লিখতে গেলে আপনাদের আশা অনুযায়ী লেখার ব্যপারে সচেষ্ট হব।
ভালোবাসা রইল ভাইয়া :)

৫১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওমা ! এটা কি মন্তব্য !
আপনার কাছে আমাকে মধ্যযুগীয় মহিলা মনে হচ্ছে নাকি ? =p~
জিনের গল্প যদি অনাধুনিক হয় তাহলে একদিন যে সিগারেট নিয়ে গল্প লিখেছিলাম সেদিন তো আমি অতি আধুনিক হয়ে গিয়েছিলাম ।


কুসংস্কার বিশ্বাসী মানুষ বলে মনে হচ্ছে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমাকে কুসংস্কার বিশ্বাসী মনে হচ্ছে?
হিহিহি......


ভাইয়া, আপনি অনেক সিনিয়র একজন ব্লগার। আপনাকে কোন পরামর্শ দেয়া হয়ত আমার উচিৎ হবে না, নয়ত আমি আপনাকে পরামর্শ দিতাম গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আমার মনে হয় কারো ব্লগ ভালো করে পড়ে অত:পর মন্তব্য রাখা উচিৎ।
;)
অনেক ভালো থাকবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

৫২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

রাকু হাসান বলেছেন: হুম বুঝা গেল সিগন্যাস এর ভূত /জিনরা এখন হৃদিতাদের বাসার ছাদেও যায় । সাবধান ;) , কল্পনা কিন্তু বাস্তবে রুপ নেয় অনেক সময় #:-S ,এখন থেকে সন্ধ্যায় ছাদে গেলেই দেখতে পারেন ,এমন নজির অনেক আছে :|
যারা ভূত করে তাদের ভূতে বেশি ধরে । ;)

হৃদিপু ,কল্পনা হলেও ভাল হলো ..........

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি....
অসুবিধা নেই আমার ছাদে জিন আসলে আমি খুশিই হব, জিনের সাথে দেখা করার আমার খুব ইচ্ছে ।
কল্পনা যে বাস্তব রূপ নেয় তা আমি জানি । তাই তো ভূত জিনের গল্প টল্প কম পড়ি । :)

লেখার প্রশংসা করেছেন দেখে খুব উৎসাহ পেলাম ভাইয়া । ধন্যবাদ !

৫৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

অন্তরন্তর বলেছেন: গল্প ভাল লাগল। জিন বা ভূতের গল্প শোনার একটা বয়স থাকে কিন্তু ব্লগের কল্যাণে কিছু গল্প শুনছি বা পড়ছি সেই বয়সটা আমার নেই জেনেও।
পৃথিবীর সব মা ভাল থাকুক, আনন্দে থাকুক।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ব্লগ থেকে বের হবার মুহুর্তে নিজের পোস্টে একটি মন্তব্য পাওয়া ভালো । :)

ধন্যবাদ ভাইয়া, এই গল্পটা পড়ে ভালো মন্তব্য দিয়েছেন । ভাইয়া এই গল্পটাতো আসলে হরর গল্প নয়, রম্য হিসেবে এটাকে ধরতে পারেন !

এনিওয়ে, আমার ব্লগে স্বাগতম ! :)

৫৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৩

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: ;) :P :)

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই মিয়া কুঁড়ের বাদশা, শুধু ইমোটিকন কেন আপনার মন্তব্যে ? উফফ, এমন অলস, সুন্দর একটা মন্তব্য লিখতে পারে না ! X(

৫৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

এ.এস বাশার বলেছেন: অসাধারন... লেখায় বেশ মাদকতা আছে.... আশা করি অনেক কিছু শিখতে পারব.......

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) ধন্যবাদ ।


হৃদির ব্লগে স্বাগতম !

৫৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শশুর আব্বার কুলখানি দেন, আমরাও খাই--- =p~
আমি কিন্তু ভুতের গায়ে হলুদেও গেছিলাম। বিশ্বাস না হইলে 'ব্লগ অনুসন্ধানে' আজ খ্যাংরার গায়ে হলুদ লিখে সার্চ দেন :P

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) পড়েছি, ওখানে তো ভূতের কথা নেই কঙ্কাল! =p~

অনেক আগের লেখা! কমেন্টে দুই জন ছাড়া আর কোন পরিচিত ব্লগার দেখিনি!

৫৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: এখনও মাথায় প্লটটি আছে.....

জ্বীনের বউ হৃদি ওরফে জ্বীদী! :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০

অচেনা হৃদি বলেছেন: জ্বীনের গল্পে অপ্সরা আপুকে স্বাগতম! (অপ্সরা হিসেবে স্বাগতম ;) )

আপু, খালি প্লট থাকলে হবে? সেটা শেয়ার করা থেকে আমাদের কেন বঞ্চিত করছেন? :(

আশা করি গল্পটা এসে যাবে কোন এক সময়! :)

৫৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

পিকো মাইন্ড বলেছেন: নয়ন হৃদিকে পায় না দেখিতে
রয়েছে নয়নে নয়নে,
হৃদয় হৃদিকে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছে গোপনে।
---বাণীতে জনৈক রোমিও ওরফে জ্বীন।
বি.দ্র. হৃদি অনেক কঠিন নাম, টাইপ করতে গিয়ে জীবন শেষ। অতঃপর এক জ্বীনের সহায়তায় লিখে ফেললাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

অচেনা হৃদি বলেছেন: হৃদির আরেক নাম জিদী।
নামটা শায়মাপু রেখেছেন, এটা বানান করা সহজ। ট্রাই করে দেখতে পারেন। :)

(হৃদি কোন জ্বীনকে কোনদিন বিবাহ করিবে না। ;) সেই জিনকে এতো কঠিন নাম লিখতে না বলে সহজ একটা নাম লিখতে বলেন।)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.