নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউঃ দি ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩



পাঠকগণ ব্লগে সাধারণত মজার বিষয়গুলো পড়তে আসেন। তত্ত্বীয় আলাপ আলোচনা দেখে সময় নষ্ট করার জন্য কেউ আগ্রহী থাকেন না। বুক রিভিউ জিনিসটাও একঘেয়ে ব্যপার। বুক রিভিউতে পাঠক থাকেন কম। লাইক তো থাকেই না, আর যে কয়েকটি মন্তব্য আসে সেগুলো হয় দায়সারা গোছের। ব্লগে অন্যদের বুক রিভিউগুলো দেখে এরকমই মনে হয়েছে। তবুও প্রিয় উপন্যাসের উপর একটি রিভিউ দেবার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে পারিনি।

ব্লগের জন্য এটা আমার প্রথম বুক রিভিউ। হয়ত এটি সবার ভালো লাগার মত নাও হতে পারে। আগেই তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি একটি উপন্যাসের নাম, লিখেছেন আমেরিকান সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। আমাদের চেনা উপন্যাসগুলোর মত এই গ্রন্থের নায়ক বিশিষ্ট কোন ব্যক্তি নন, খুবই সাধারণ একজন জেলে। এই উপন্যাসে কোন প্রেম-ভালোবাসা নেই, যৌনতা নেই, এমনকি কোন নারী চরিত্রও নেই! আপনি হয়তো ভাবছেন, ওমা; এটা আবার কেমন উপন্যাস, একদম নিরামিষ। এরকম যদি ভেবে থাকেন তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ এটি বিশ্ব সাহিত্যের প্রথম সারির একটি উপন্যাস। বলা যায়, এই উপন্যাসের কারণেই ১৯৫৪ সালে লেখক নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।

গল্প সংক্ষেপঃ
সান্টিয়াগো একজন পোড়খাওয়া বৃদ্ধ কিউবান জেলে। তার সহকারী হল ম্যানোলিন নামক একটি ছেলে, বারো তেরো বছর বয়সী। বৃদ্ধ এবং বালক দুজনে মিলে সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত ।

বৃদ্ধ জেলেটি সমুদ্রে মাছ ধরায় ওস্তাদ। কিন্তু ভাগ্য তো সবসময় এক রকম হয় না। ভাগ্যটা খারাপ হবার কারণে বৃদ্ধ জেলে মাছ ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এলো, এভাবে একদিন দুইদিন করতে করতে টানা প্রায় তিনমাস সে কোন মাছ ধরতে পারেনি। দীর্ঘ দিন যাবত মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফেরার কারণে লোকটাকে সবাই ‘অপয়া’ হিসেবে গণ্য করতে থাকে। অপয়া হবার কারণে বৃদ্ধের সহকারী বালক ম্যানোলিনকে তার মা-বাবা বৃদ্ধের সাথে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করে দেয়। ম্যানোলিন বৃদ্ধ জেলের সাথে সাগরে না গেলেও সবসময় বৃদ্ধের খোঁজ খবর রাখে। প্রতিদিন বৃদ্ধ জেলে মাছের আশায় যখন সাগরে নৌকা ভাসায়, তখন ম্যানোলিন বৃদ্ধকে যথাসম্ভব সহায়তা করে এবং বৃদ্ধের ভাগ্য ফেরার আশায় সে প্রার্থনা করতে থাকে।

মাছ না পাবার পঁচাশিতম দিনে বৃদ্ধ তার হার্পুন দিয়ে বড় একটি মার্লিন (সোর্ডফিশ) আটকায়। এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন, কিউবান মৎস্য শিকারিরা যে পদ্ধতিতে মাছ ধরে থাকে তা আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের মনে হতে পারে পুকুরে বড়শি ফেলে মাছ ধরার মত সাগরের মাছ ধরাও খুব সহজ। আসলে মোটেই তা নয়। এই মাছগুলো ধরে নৌকাতে তুলে উপকূলে নিয়ে আসতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। বৃদ্ধ জেলের হার্পুনে ধরা পড়া মাছটা এতো বড় সাইজের ছিল, ওটাকে নৌকাতে তোলাই সম্ভব হয়নি। নৌকার চেয়ে বড় মাছ!
এই মাছ উপকূলে নিতে পারলে জেলের উপর আরোপিত অপয়ার অপবাদ ঘুচবে। মাছটা বেচে অনেক টাকাকড়ি পাওয়া যাবে। এসব কথা ভেবে বৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিল মাছটাকে নৌকাতে না তুলে নৌকার সাথে বেঁধে উপকূলে টেনে নিয়ে যাবে। মাছটাকে মারতে অনেক বেগ পেতে হয়। এই মাছ কিভাবে টেনে নিবে? উল্টো মাছটাই নৌকাসমেত বৃদ্ধকে টেনে মাঝ সাগরে নিয়ে যেতে থাকে। তিনদিন তিনরাত যুদ্ধ করে অবশেষে মাছটাকে বৃদ্ধ বাগে আনতে পারে। এই তিনদিনে বৃদ্ধ কি কি কাজ করল সবকিছুর চমৎকার ধারাবিবরণী রয়েছে উপন্যাসে। মাছটার জন্যে বৃদ্ধের মায়া, নৌকায় বসে তার একা কথোপকথন, সহকারী বালক ম্যনোলিনকে মাঝসাগরে স্মরণ করা কিংবা সামান্য খাবার লবণের জন্য বৃদ্ধের হাহাকার সবই লেখক আশ্চর্য দক্ষতা নিয়ে বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু মাছ নিয়ে বৃদ্ধ লোক নির্বিঘ্নে উপকূলে ফিরতে পারলো না। মাঝপথে হামলা করল ক্ষুধার্ত হাঙরের পাল। শিকার করা মার্লিন মাছটাকে হাঙরের মুখ থেকে রক্ষা করতে বৃদ্ধ নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে থাকে। কিন্তু বাঁচানো যায় না, সবশেষে যখন বৃদ্ধ উপকূলে ফিরে আসে তখন মার্লিন মাছের কংকালটাই কেবল অবশিষ্ট থাকে। ক্লান্ত বৃদ্ধলোক নিজের ঘরে গিয়ে বিছানায় ঢলে পড়ে। গভীর ঘুমে হারিয়ে যায় বৃদ্ধ। এদিকে অন্য জেলেরা বৃদ্ধের নৌকার সাথে বাঁধা বড় মাছের কংকালটা অবাক চোখে দেখে নেয়, সেই সাথে বৃদ্ধের জন্য সবাই সহানুভূতি প্রকাশ করতে থাকে।

বেচারা বৃদ্ধ লোক মাছটাকে আনতে না পারলেও মাছের কংকালের কল্যাণেই তার উপর আরোপিত অপয়া অপবাদ ঘুচে যায়, বৃদ্ধ লোক তার হারানো সম্মান আবার ফিরে পায়। ম্যানোলিন সিদ্ধান্ত নেয় সে আবার বৃদ্ধের সাথে মাছ ধরবে।

কাহিনীর বাস্তবতাঃ
উল্লেখ করার মত একটি তথ্য হল, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কয়েক বছর কিউবাতে ছিলেন। যে উপকূলের কথা উপন্যাসে পাওয়া যায় সেই উপকূলে তিনি হেঁটে বেড়িয়েছেন। সেখানে এক বৃদ্ধ জেলের সাথে লেখকের দেখা হয়েছিল, যে বৃদ্ধ মাঝ সাগরে গিয়ে বড় একটা মাছ শিকার করেও অক্ষত অবস্থায় কূলে তুলতে পারেনি। এই বাস্তব ঘটনার ছায়ায় লেখক লিখেছিলেন দি ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি।

আমার মূল্যায়নঃ
মাঝসাগরে একজন বৃদ্ধ মৎস্য শিকারির সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনাকে লেখক এতো নিখুঁতভাবে বর্ননা করেছেন, পড়লে মনে হবে যেন লেখক নিজেই সেই বৃদ্ধ লোক। এমনকি একজন ভালো পাঠকের মনে হবে পাঠক নিজেই বৃদ্ধলোকের সাথে নৌকায় অবস্থান করছেন। মজার ব্যপার হল উপন্যাসের লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কখনো সাগরে মাছ ধরতে যাননি। কিন্তু তিনি কিভাবে এতো সুন্দর ঘটনাপঞ্জী সাজালেন? এটাই একজন লেখকের কৃতিত্ব। লেখকের কল্পনাশক্তি এমনই প্রখর হওয়া উচিৎ। হতে পারে লেখক কোন এক বৃদ্ধ জেলের কাছে তার মাঝসাগরে একাকী ভেসে থাকার ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু একজন জেলের বর্ণনা নিশ্চয়ই এতো চমকপ্রদ হবে না। সেই শোনা বর্ণনাকে লেখক নিজের মত করে শিল্পসম্মত রুচি অনুযায়ী সাজিয়ে তুলেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে এই উপন্যাসের গল্পে যেন সেই বার্তাটিই আমরা পাই- সারভাইভাল ফর দ্যা ফিটেস্ট, যোগ্যতমই টিকে থাকে।

যারা আমার মত নতুন লেখক তাদের জন্য এই উপন্যাস একটি মডেল হতে পারে। এই উপন্যাসে ভাষার জটিলতা নেই, সুগভীর কোন তত্ত্বকথা নেই, আছে শুধু একাকী বৃদ্ধের মাঝসাগরে ভেসে থাকার বর্ণনা। সেই বর্ণনা এতো চমৎকার, পড়তে কেউ মোটেই একঘেয়ে অনুভব করবে না। এই বর্ণনা কৌশল ফলো করলে যে কেউ লেখালেখিতে সফল হতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

জেলেদের নিয়ে আমাদের ভাষায় উপন্যাস আছে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝি। তবে পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে যেভাবে জেলে সমাজের সামগ্রিক ছবি চিত্রিত হয়েছে ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি তেমন নয়। ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি কেবল একজন বৃদ্ধ মৎস্য শিকারির সংগ্রামের প্রতিচিত্র ।
ছোট একটি রিভিউ হতে উপন্যাসের প্রকৃত মজা পাওয়া যায় না, সবাইকে উপন্যাসটি পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল।

একনজরে
বইয়ের নামঃ দি ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি
লেখকঃ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
ভাষাঃ ইংরেজি (আমেরিকান)
বইয়ের ধরনঃ ছোট উপন্যাস, কল্পকাহিনী
প্রকাশঃ নিউ ইয়র্ক, ১৯৫২

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


মাঙা থা কুছ আর, অর মিলা কুছ অর, লেকিন জো কুছ মিলা আচ্ছা হে... :D

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই উপন্যাসের ভাষা ইংরেজি, আমার রিভিউটা বাংলা, আর আপনি মন্তব্য দিলেন কোন ভাষায়? =p~

উপন্যাস পড়ে মন্তব্য দিয়েছেন? নাকি রিভিউ পড়ে? কষ্ট করে মন্তব্যটা একটু বাংলায় অনুবাদ করে দেন প্লিজ। যেই ভাষায় মন্তব্য দিয়েছেন এটা আমি তো দূরে থাক, আমার বাপেও জানে না। :(

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বাহ্,, প্রশংসা পাওয়ার মতোই ভালো একটি বুক রিভিউ লিখেছেন। অনেক বছর আগে পড়েছিলাম। হেমিংওয়ে। +++

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া! হেমিংওয়ে আমার প্রিয় ঔপন্যাসিক। যদি বুক রিভিউ এই উপন্যাসের উপর না লিখে অন্য কোন উপন্যাসের উপর লিখতাম তাহলেও হেমিংঅয়ের কোন একটা বইয়ের উপরেই লিখতাম। :)

মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

সিগন্যাস বলেছেন: আহারে আমি আপাতত জুল ভার্নের বই নিয়ে ডুবে আছি ।গত সপ্তাহে নীলক্ষেত থেকে পুরো সমগ্র কিনে এনেছিলাম । কিছুক্ষণ আগে জার্নি টু দি সেন্টার অব দ্য আর্থ পড়ে উঠলাম । মনে হচ্ছিল আমি নিজে পৃথিবীর কেন্দ্রে যাচ্ছি । আপনাকেও পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম । আরেকটা কথা রিভিউটা কিন্তু জোস হয়েছে । যদি জুলু বাবুর বই না পড়তাম তবে এখনই আপনার বইটা নিয়ে বসতাম ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) জুল ভার্ণের গল্পের সাথে হেমিংঅয়ের গল্পের অনেক পার্থক্য আছে। জুল ভার্নের লেখা যদি আপনার বেশি ভালো লেগে থাকে তাহলে মনে হয় হেমিংঅয়ের লেখা ভালো লাগবে না। জুলের লেখা পুরো কাল্পনিক, সায়েন্স ফিকশন। কিন্তু হেমিংওয়ে মানুষের বাস্তব জীবনের সুখ দুঃখ নিয়ে লিখেছেন। আপনি তো ঘণ্টায় দেড় হাজার পৃষ্ঠা পড়তে পারেন, জুল ভার্ন শেষ করে হেমিংঅয়ের বই পড়ে দেখবেন আশা করি।
:)
মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



অনুবাদ করব না। শিখে নিয়েন। আর কাল ওল্ড বুড়ি আজ ওল্ড ম্যান! কাহিনী কিছুই বুঝলাম না। আপনি এডাল্ট হয়ে ওল্ড ভক্ত হয়ে গেলেন নাকি?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

অচেনা হৃদি বলেছেন: হায় হায়, এটা কি বলেন? আমি কি খালি বুড়া বুড়ি নিয়ে লিখছি? :P
নাহ, বুড়ো বাদ। এরপর শুধু নাবালকদের নিয়ে লিখবো। আশা করি আপনি খুশি হবেন! =p~

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বইটা আমি বেশ কয়েকবার পড়েছি।
দারুন বই।
এই বই সবার প্রতি বছর একবার করে পড়া উচিত।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া যদি একটা রিভিউ দিতেন ভালো হত, তাহলে আপনার মূল্যায়ন জানতে পারতাম। :)

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @রাজিব নুর--মুভিটা পারলে দেইখেন--মুই 99 সালে পড়ছিলাম ; তয় অনুবাদের জন্য ম্যাডামকে ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ অনুবাদের মন্তব্য প্রাণহীন হয় ব্লগে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) আমি অবশ্য ছবিটা দেখিনি। অনেক উপন্যাস আছে যেগুলো উপন্যাস হিসেবেই সুন্দর, সেগুলোর কাহিনী দিয়ে মুভি বানালে অত সুন্দর লাগে না। আমার ধারণা এই উপন্যাসের কাহিনী দিয়ে যে মুভি হয়েছে সেটাও তেমন হৃদয়গ্রাহী হবে না।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

:((
আবার অপমান......




আমি যে সিনিয়র ব্লগার আপনি ভুলে যান কেন! সবসময় স্যালাম আর স্যালুট দিবেন কইলাম। নাইলে র‍্যাগিং চলবে কইয়া দিলাম... X((

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: হাহ, উনি র‍্যাগ দিবে!
আপনি কোন আমলের র‍্যাগিং জানেন? র‍্যাগের অনেক আপডেট সিস্টেম আছে, এই ব্যপারে জানেন নাকি?
দেইখেন আবার, র‍্যাগ দিতে আইসা নিজেই র‍্যাগ খেয়ে যাইয়েন না। ;)

=p~

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

সাগর শরীফ বলেছেন: আমার পড়া হয়নি। পড়ব , অবশ্যই পড়ব। মাথা থেকে প্রেসার নেমে গেলেই পড়ব।
রিভিউটা তো ভালই দিয়েছেন। এরকম রিভিউ হলে মানুষ পড়বে না কেনো ?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: ইংরেজি ভাষায় যদি পড়তে ভালো না লাগে তাহলে বাংলায় অনুবাদকৃত কপি পড়ুন। সেটা পড়েও মজা পাবেন।

রিভিউটা তো ভালই দিয়েছেন। :) ধন্যবাদ।

এরকম রিভিউ হলে মানুষ পড়বে না কেনো ? আসলে একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গী একেক রকম, কে কেমন রিভিউ পছন্দ করে তা তো বলা মুশকিল, এই রিভিউ আপনার কাছে ভালো লেগেছে, আপনার কাছে অন্য রকম হলে হয়ত ভালো লাগতো না, আবার এরকম রিভিউ অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে।

সবার কাছে গল্প কবিতা এসব জিনিস পড়তে ভালো লাগে, রিভিউ ভালো লাগে এরকম লোকের সংখ্যা খুব কম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। :)

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




ঠিক আছে তবে লাইগ্যা গেলাম! আজই আপনার র‍্যাগিং পোষ্ট বাইর করব! হি হি হি হি.....


তখন বুঝবেন! আমার ভয়ে সামু পাগলী আর প্রপোজ পোষ্ট দিল না আর আপনি তো পিচ্চি হৃদি =p~

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওরে বাপরে! র‍্যাগিং পোস্ট! =p~

হয়েছে, দেখা যাক! অপেক্ষায় রইলাম ।

সামু পাগলী অফলাইনে যাবার আগে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন, আমি যেন আপনাকে সামলে রাখি! ;) উনি আসার পর আবার টের পাবেন হাউ মেনি পেডি হাউ মেনি রাইস (কত ধানে কত চাল =p~ )

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাগর শরীফ বলেছেন: চেষ্টা করব, দেখি কোনটাতে ভাল লাগা কজ করে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) শুভকামনা রইল।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ! বুক রিভিউ লেখা খুব ভালো হয়েছে হৃদি আপু। গল্প টি কি পড়েছিলাম নাকি মনে নেই ঠিক কিন্তু গল্পের নামটি অনেক পরিচিত। হয়তো পড়েছিলাম। আর না পড়লেও ক্ষতি নেই কারন আপনার লেখা থেকেই জানা গেল গল্পের কথা।

লেখার মূল্যায়নের অংশটুকু ভালো লেগেছে। আসলেই একজন লেখক কে একটা চরিত্র কিংবা গল্প একদম বাস্তবরুপে ফুটিয়ে তুলতে অনেক কষ্ট করতে হয়। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকলে হয়তো একটু সহজ হয় আর যদি না থাকে তবে তাতো বিশাল কঠিন। তাই আমার মতে, লেখকদের উচিত বেশী বেশী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: লেখকদের উচিত বেশী বেশী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। একটা ঘটনা শুনেছিলাম। হুমায়ুন আহমেদ নাকি নুহাশ পল্লীতে বেড়াতে গিয়ে খালি গায়ে হাফপ্যান্ট পরে রোদে দাঁড়িয়ে রয়েছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল তিনি কেন এমন করছেন। তিনি হেসে উত্তর দিলেন, টোকাইদের কাছে কেমন লাগে তা অনুভব করার চেষ্টা করছি।
এই অনুভূতিগুলো তিনি লেখাতে প্রকাশ করতেন। তাই হয়তো তাঁর লেখাতে বাস্তবের আঁচ পাওয়া যায়।

সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য কথা আপুকে ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

এখওয়ানআখী বলেছেন: অসাধারণ একটা বইয়ের রিভিউ। ভাল লাগল। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মত কল্পনায় বাস্তব দেখা লেখক বাংলা ভাষায় তেমন একটা চোখে পড়ে না। মানিকতো বাস্তব অভিজ্ঞতা জেলে পাড়ায় নিতে গিয়ে জীবনটাই খোয়াতে বসেছিল।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: সুন্দর একটি মত প্রকাশ করেছেন ভাইয়া। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সাথে তুলনীয় লেখক বাংলা সাহিত্যে নেই। এমনকি পৃথিবীর অন্যান্য প্রধান ভাষাগুলোতেও হেমিংওয়ের সাথে তুলনা করা যায় এমন সাহিত্যিক খুব সম্ভবত নেই।
আমাদের বাস্তববাদী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছিলেন তা তো আপনি বলেই দিলেন। :)

ভাইয়াও সাহিত্যপ্রেমিক, বুঝতে পারছি। নয়ত অল্প কথায় এই সুন্দর মতামত দেয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: কত অসংখ্যবার এই বইয়ের নাম শুনেছি, কিন্তু কখনো পড়া হয়নি আর গল্পও ডিটেইলস জানতাম না। ভালো লাগলো রিভিউ দিয়েছো, জানতে পারলাম। ধন্যবাদ হৃদি।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ গৃহীত হল আপু। এই বইটির নামটাই চমৎকার, একারণে অনেকে মুখে মুখেই বইয়ের নাম উচ্চারণ করে থাকে। আপনি কি চিরকুমার সংঘ নাটকটি কখনো দেখেছিলেন? দেখে থাকলে সেখানেও হয়ত এই বইয়ের নাম শুনে থাকবেন। ঐ নাটকে সুমাইয়া শিমু হাসান মাসুদের কাছে বইটি খুঁজছিল। :) এভাবে অনেক নাটকে সিনেমায় বইটির কথা উঠে এসেছে।

ভীষণ ভালো থাকুন আপু।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোবোন,

সুন্দর পোষ্ট লাইক দিয়েছি। কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। অসাধারন একটি নভেল হেমিংওয়ের। তবে আমরা ব্যক্তিগত ভাবে টু হুম দ্য বেলস টুলস বেশি ভালো লাগে। যাইহোক রিভিউ এর আবার রিভিউ দিতে হবে। গল্পে অনেকগুলি বিষয়কে লেখক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন। একদিকে ৮০ শতাংশ জনগনের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ ক্যাথলিক উদার মনের। যেখানে ধর্মীয় ও সংস্কার জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত, সেখানে বৃদ্ধ স্যান্টিয়াগো অনেকটা সংস্কার মুক্ত। তিনি আবার নিজের সমস্ত বিদ্যা বুদ্ধিকে মনোলিনকে শেখাতে চান। মনোলিনও গুরুর প্রতি অসম্ভব টান। বাড়ির অমতে তাই প্রয়োজনীয় সাহা্য্য করেগেছে।

বৃদ্ধ স্যান্টিয়াগোর মৎস শিকারের পথটিও ভিন্ন। সবাই যখন চেনা স্রোত ফলো করতেন উনি যেতেন সরাসরি সমুদ্রে। যেটাও গল্পে তুলে ধরার একটি দিক।

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি দেখে কি যে ভালো লাগলো ভাইয়া বলে বোঝাতে পারবো না। আপনিও আমার মত হেমিংওয়ের লেখার ভক্ত। মানে, আমিও আপনার মত হেমিংওয়ের ভক্ত। হিহিহি.....

ফর হুম দ্যা বেল টোলস আমার অন্যতম ফেভারিট। এই উপন্যাসেও শেষ অংশে গিয়ে এক ধরনের ট্রাজিক অনুভূতি আসে। অবশ্য পাঠককে এই দুঃখবোধ দিতে পারাটা হেমিংওয়ের একটি বিশেষ কৃতিত্ব। ফেয়ারঅয়েল টু আর্মস উপন্যাসেও এরকম একটি দুঃখময় এন্ডিং আছে।

ভাইয়া, মজার কথা হল আপনি উপন্যাসের যে অংশগুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো আমার মাথায় ছিল। কিন্তু বাদ দিতে হয়েছে কাহিনীটাকে সংক্ষেপ করার জন্য।

রিভিউটা লিখতে লিখতে আমি ভাবছিলাম এই পোস্টটা একটি ফ্লপ পোস্ট হতে যাচ্ছে। কারণ ব্লগে রিভিউগুলো ফ্লপই থাকে। কিন্তু আপনার মত একজন সাহিত্যপ্রেমীকে পেয়ে মনটা ভরে গেল। বুঝতে পারলাম এই রিভিউটা ভালো পাঠকগণ ঠিকই পছন্দ করেছেন।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বৃদ্ধ স্যান্টয়াগোর অপয়া দিনে খাবার দিয়ে সাহায্য করা টেরেসা মালিক মার্টিনের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। সেই সঙ্গে ঐ মহিলা পর্যটকের রোলটাও কৃতিত্বের দাবি রাখে।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার এলাম ,

এখানে লেখক দুরকমের মানুষকে দেখিয়েছেন। একজন মহান, সাহসী, বা হিরো। যিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে নিজেকে এক্সপোজ করেন। মৎসকুলের গ্রেট মার্লিন ওদের সমাজের প্রতিনিধি। যে কারনে উভয় হিরোর একটি সংলাপও আছে, you are killing me,fish... But u have a right to. Never have I seen a greater, or more beautiful or calmer or a more noble thing than u, brother. Come on & kill me.

দ্বিতীয় শ্রেণি হল সাধারন মানুষ । আবার মৎসকুলেও সার্ক শ্রেণি । এসম্পর্কে ১৯৫২ সালে সম্ভবত প্রথম রিভিউটি উইলিয়াম ফুকনার করেছিলেন। the old man who had to catch the fish and then lose it, the fish that had to be caught and then lost, the shark which had to rob the old man of his fish, made them all and loved them all and pitied them all . It is all right..

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) আবার পেয়ে ভালো লাগলো।

এটা সত্যিই চমৎকার, বৃদ্ধ ঐ মাছটিকে মারার সময় এমনভাবে তাঁকে সম্বোধন করছিলেন যেন এটা মাছ নয়, জীবন্ত একজন প্রতিনিধি।
আবার হাঙরগুলোকে যেভাবে বৃদ্ধ ফেস করছিল তাও চমকপ্রদ।

আমি ভাবি অন্য কথা, আসলে কি একজন মৎস্যশিকারি বা জেলে এতো হৃদয়গ্রাহী কথা বলতে পারে? এগুলো তো আসলে লেখকেরই কল্পনাশক্তির ফসল। এমনভাবে লেখক দৃশ্যপট এবং কথোপকথন সাজালেন যেন এই ঘটনা বাস্তবে পৃথিবীর কোথাও নয়তো কোথাও ঘটেছিল।

আবার একজন জেলেকে উপন্যাসের নায়ক বানিয়ে তাকে অমর করে তুলতে পারা কি সহজ? :)

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

সাগর শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ হৃদি

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: স্বাগতম। হ্যাপি ব্লগিং। :)

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার একটি উপন্যাস নিয়ে লিখেছ। এই হেমিংওয়ে ভদ্রলোক আমার বহুবার চোখের পানি ঝরিয়েছে। আমার অন্যতম ফেবারিট রোমান্টিক উপন্যাস উনার 'অ্যা ফেয়ারওয়েল টু আর্মস' ।

ক্যাথরিনের জন্য ফ্রেডরিকের সেই হাসপাতালে বসে হাহাকার কি ভোলা যায়। হোয়াট ইফ সি স্যুড ডাই? আহ কি কষ্টের উচ্চারন।
ক্যাথির মারা যাওয়া আমি সেসময় মেনেই নিতে পারছিলাম না। বেশ কেঁদেছি।

হেমিংওয়ের লেখাতে একটা জাদু আছে। না হলে ওল্ড ম্যান...মতো আপাতদৃষ্টিতে বোরিং একটি লেখাও কীভাবে এত চমৎকার হতে পারে।

তোমার রিভিউ সুন্দর হয়েছে। মনে হচ্ছে না অার্লিটিনের একজন কেউ এইটা লিখেছে।

শুভকামনা থাকল।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২০

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, আসলে আমার নিজের পড়ালেখার খাতিরেও বুক রিভিউ করতে হয়, সেগুলো ইংরেজিতেই করি । এটা একটু নেড়েচেড়ে বাংলায় করলাম এই যা। আমি দেখেছি অনেকে বুক রিভিউ করতে গেলে সোজা ভাষায় একটি রচনার আকারেই শেষ করে দেয়, কিন্তু ইংরেজিতে তো অনেক যত্ন করে বুক রিভিউ করা হয়। আমি ইংরেজির ধাচে বাংলা রিভিউ দেবার চেষ্টা করলাম।

অ্যা ফেয়ারওয়েল টু আর্মস আমার নিজেরও মন খারাপ করিয়েছিল। ক্যথরিনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বেচারা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল! উহ, বিশেষ করে ঐ কথাটা, পাথরের মুর্তি থেকে বিদায় নিয়ে কি লাভ? :(

আমার লেখায় ভাইয়ার প্রশংসা দেখলে খুব ভালো লাগে! :)

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: বাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো বুক রিভিউ। লিখে যান... শুভকামনা প্রিয় লেখিকা।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: মন্তব্য ভালো লেগেছে, শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আর্নেস্ট হেমিংওয়ে "The Sun Also Rises" বইটি ২০১৫ সালে ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে বসে পড়েছিলাম; তবে, "দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি" বইটি পড়া হয়নি; আপনার বুক রিভিউটা খুব ভাল হয়েছ; সময় সুযোগে এই বইটি পড়বো।

শুভ কামনা রইলো, প্রিয় আপুর জন্য।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

অচেনা হৃদি বলেছেন: পড়ুন ভাইয়া, আপনার গল্প লেখায় এই বইটা নতুন মাত্রা দিতে পারে।
The Sun Also Rises আরেকটি ভালো গ্রন্থ।

শুভকামনার জন্য ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভ্রমর ভায়ের ১ নং কমেন্টটি দারুণ ! চেয়েছি এক , পেয়েছি আর এক। কিন্তু যা পেয়েছি ভালোই পেয়েছি ।

পোষ্ট প্রসঙ্গে আবার এলাম, এমন সাহিত্যিকের চলে যাওয়াটা বড্ড ট্রাজিক। পুলিৎজার, নোবেলজয়ী সাহিত্যিককে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করাটা বড্ড বেদনার। আসলে মনের মধ্যেও যে আর একটি মন থাকে।

আপনি গতকাল সন্দেহ ছিলেন পোষ্টটি ফ্লপ করবে কিনা। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে এসব ভাবলে পোষ্টের নিজস্বতা চলে যেতে বাধ্য। আমি নিজে এই পোষ্টে এমন মজা পেলাম যে মনের কথা বলে গেলাম। অন্যের জন্য নয়, নিজের ভালোর জন্য লিখবো - এটাই আমাকে স্বাভাবিক রাখে। অন্যের কথা ভাবলে অসম্ভব চাপ চলে আসতে বাধ্য।

অনেক অনেক শুভকামনা স্নেহেরবোনকে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওহ, আচ্ছা! ভ্রমরের ডানা এটা বলেছেন। ভালো!

আপনি পশ্চিম বঙ্গের লোক জেনে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনাকে আমি দাদা না বলে আমাদের দেশের 'ভাইয়া' সম্বোধন দিয়ে কথা বলব। আশা করি আপনার আপত্তি নেই।
এই প্রথম সরাসরি কোন পশ্চিমের বাঙ্গালির সাথে আমার যোগাযোগ হল। ডিসেম্বরের দিকে আমরা আপনার শহরে (কলিকাতায়) আসতে পারি, সময় অনুকূলে থাকলে দেখা হয়ে যেতে পারে।

আমার পোস্ট আপনার ভালো লাগায় আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

লায়নহার্ট বলেছেন: {ইদানিং লগইন করতে ভালো লাগে না, তবে দেখছি আপনি বেশ অ্যাক্টিভ, ভালো। একটা ইউনিক টিপস দেই, যখন ব্লগে কোন বুক রিভিউ দিবেন তখন শুরুতে বইটি সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা, কোন স্মৃতি বা মজার গল্প থাকলে তা লিখুন, এতে রিভিউ প্রানবন্ত হবে, পাঠক রিভিউ এর ভিতরে ঢুকতে পারবে। আবার অনেকে আছেন যারা বইটি পড়েছেন তারা বইটি সম্পর্কে আপনার স্মৃতি শুনে তাদের ঘটনা জানাতে আগ্রহী হবেন। যেমন এই লেখাটিতেই আপনি এডিট করে একটা প্যারা লিখলেন। বইটি কবে পড়েছেন, বইটি নিজের না কালেক্ট করেছেন, কিনেছেন তো কোথা থেকে কিনেছেন এই সব টুকিটাকি। রিভিউ ভালো হয়েছে}

২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১১

লায়নহার্ট বলেছেন: {একের অধিক কমেন্ট করলে অনেকে বিরক্ত হয়, তবুও...বিদেশি লেখকদের বই রিভিউ করলে, লেখার শেষে লেখকদের ছবি দিয়ে দিলে লেখা আরো ডায়নামিক দেখাবে}

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: দুটো মন্তব্যই ভালো লেগেছে। পরামর্শ ভালো লেগেছে। তবে এভাবে লিখতে গেলে তো রিভিউ অনেক দীর্ঘ হয়ে পড়বে। আর কখনো যদি বুক রিভিউ লেখি তবে আপনার পরামর্শ ফলো করে দেখব।

আমি কতদিন একটিভ থাকি ঠিক নেই। ব্লগে নতুন বলে বেশি সময় দিচ্ছি, পরে হয়ত এতো আগ্রহ থাকবে না।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

এ.আর. শ্রাবণ বলেছেন: অসাধারণ বই,চমৎকার রিভিউ ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ, না পড়ে থাকলে পড়ে দেখুন ভাইয়া, আরও ভালো লাগবে।

২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়বোন,

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমরাও বাইরে যাই। সাধারনত (২৬-২৯) পর্যন্ত। এই কটা দিন বাদ দিলে অবশ্যই দেখা হবে, বারাসাতে ভাইয়ার বাড়িতে। আমি আমার ওপারের বোনের জন্য অপেক্ষায় থাকবো।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: ইনশাল্লাহ আমাদের দেখা হবে ভাইয়া! বাঙালিদের দেশ বাংলাদেশেও আপনাকে স্বাগতম ভাইয়া।

২৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

গরল বলেছেন: ২৮ বছর আগে পড়েছিলাম স্কুলে থাকতে, এটা নিয়ে মুভি হয়েছিল সেটাও দেখেছিলাম মনে হয় ২০ বছর আগে। ঐ সময় সবচেয়ে ভালো লেগেছিল কাউন্ট অব মন্টে ক্রিস্টো, আলেকজান্ডার দুমার। এছাড়াও গ্যালিভার্স ট্রাভেলস, ফ্রাংকেস্টাইন, দ্যা ব্লু লেগুন ছোটদের জন্য ভাল বই, পড়ে দেখ, মজা পেলেও পেতে পার।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১০

অচেনা হৃদি বলেছেন: গ্যালিভার্স ট্রাভেলস, ফ্রাংকেস্টাইন, পড়া হয়ে গেছে। :) গ্যালিভার্স ট্রাভেলস এর উপর ইংরেজিতে আমার লেখা একটা রিভিউ আছে।
কাউন্ট অব মন্টে ক্রিস্টো, দ্যা ব্লু লেগুন পড়িনি। পড়ব ইনশাল্লাহ। ব্লু লেগুন নামে একটি মুভি দেখেছিলাম, মুভিটা কি বই এর কাহিনী দিয়ে বানানো হয়েছিলো?

ওল্ডম্যান এন্ড দ্যা সি মুভিটি দেখার ইচ্ছে হয়নি ভাইয়া। যে সকল মুভি উপন্যাস হতে বানানো হয় আমার কাছে কেন যেন ঐগুলা ভালো লাগে না।

২৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

মিথী_মারজান বলেছেন: আমার খুব খুব খুব প্রিয় একটা উপন্যাস।
বেশ কয়েকবার পড়েছি।
প্রতিটি ছোট ছোট বর্ণনা, প্রতিটি অনুভূতি বিশেষ করে সান্টিয়াগোর ফিরে আসার লড়াই এবং মোট কথা জীবনের উপলব্ধি!
মোট কথা অসাধারণ একট বই।
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উপন্যাাসগুলো আমার কাছে ভালো লাগে।
রিভিউ খুব সুন্দর হয়েছে হৃদি আপু।:)

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু সম্ভবত ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন! :)

আমার রিভিউ মিথী আপুর কাছে ভালো লাগলো! আমি গর্বিত! :)

অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ভালো লাগলো বুক রিভিউ।
শুভেচ্ছা

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.