নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপিটাফ

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

আমার দিদার মৃত্যুবার্ষিকী কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়নি। এবার টাইমিংটা ভালো ছিল, দিদার মৃত্যুর তারিখটা পড়ল ছুটির দিনে। বাবা মায়ের হাতে অবসর থাকায় তাই দিদার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে আমরা গ্রামের বাড়ি গেলাম।
দিদা মানে আমার বাবার আম্মা। বাবার মাকে দিদা বলে- এই কথাটি পাঠকদের শিখিয়ে দিতে হবে না আমি জানি। কথাটি উল্লেখ করেছি অন্য কারণে। আমার পরিচিত জনদের মাঝে বাবার মাকে দিদা ডাকতে আমি কাউকে দেখিনি। সবাই দাদু বা দাদি বলে ডেকে থাকে। আমাদের পরিবারে ‘দিদা’ শব্দটি কিভাবে ঢুকেছে কে জানে। সেই ডাকে আমি অভ্যস্ত। বাবা মায়ের পর আমার সবচেয়ে আপনজন ছিলেন দিদা। আমার বাবা মা রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে কাজে চলে যেতেন, মা কখনো দুপুরে ফিরতেন, কখনো ফিরতেন বিকেল বেলায়। সারাদিন আমার একমাত্র সাথী ছিলেন দিদা। দিদার সাথে একা কত দিন যাপন করেছি, আশ্চর্যের ব্যপার হল সেই দিনগুলোর স্মৃতি অত ভালো করে মনে পড়ে না। তবে দিদার সাথে শেষদিন চোখাচোখি হবার স্মৃতিটি খুব ভালো করে মনে আছে।

আমার দিদা অসুস্থ, হাসপাতালে এক সপ্তাহ যাবত পড়ে আছেন। একদিন মা বাসায় এসে বললেন, চল তোর দিদাকে দেখতে যাবো। আমি তো মহাখুশি, মায়ের সাথে হাসপাতালে যাবো। মা তো আমাকে নিয়ে কোথাও যেতে পারেন না, আজ নিয়ে যাবেন। মায়ের সাথে খুশিমনে নাচতে নাচতে চলে গেলাম।
হাসপাতালের একটা কেবিনে সাদা বিছানার উপর দিদা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন। মনে হচ্ছিল যেন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মাঝেমাঝে বড় বড় করে শ্বাস নিচ্ছেন। কেবিনের একপাশে বসে মা আর আন্টি (বাবার বড় বোন) নিচুস্বরে কথা বলছিলেন। অচিরেই আমার বিরক্তি এসে গেল। ভেবেছিলাম এখানে দিদা, আন্টি আর মা একসাথে বসে গল্প করবেন, আমি মাঝখানে বসে উনাদের আলাপ সালাপ দেখবো। কিন্তু এখানে এই একঘেয়ে পরিবেশ দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো। চুপচাপ দিদার পাশে বসে রইলাম। মনে মনে অপেক্ষা করছি মা কখন বলবেন, চল যাই। অমনি আমি একলাফে এই রুম থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যাবো। কিন্তু মা যেভাবে আন্টির পাশে গ্যাঁট হয়ে বসেছে, আজ তো মনে হয় সহজে ফেরা হবে না। মন খারাপ করে চুপচাপ ঘুমন্ত দিদার পাশে বসে রইলাম। কিছুক্ষণ পর দিদার গলার গোঙানির আওয়াজ শুনে দিদার দিকে তাকাই। দিদার এই আওয়াজ আমার পরিচিত, ঘুম থেকে জেগে উঠার আগে দিদার গলায় এরকম আওয়াজ হতে অনেক শুনেছি। সুস্থ থাকা অবস্থায় আমি যখন দিদার পাশে শুয়ে বা বসে থাকতাম তখন এই আওয়াজ শুনে বুঝতাম দিদার ঘুম শেষ হয়ে এসেছে, এখনি তিনি জেগে উঠবেন। স্বাভাবিকভাবে সেদিনও ভাবলাম দিদা এখন উঠবেন। কিন্তু না, তিনি উঠছেন না। আমি ডাক দিলাম, ‘দিদা’। দিদা তখনই চোখ মেলে আমার দিকে তাকালেন। ঘোলাটে চোখে আমার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন, তবে খুব অল্প সময়ের জন্য, হয়ত কয়েক সেকেন্ড হবে, তারপর আবার খুব স্বাভাবিকভাবে চোখ বন্ধ করে ফেললেন।
মা আর আন্টি কাছে এসে আমাকে ইশারা করলেন যেন কথা না বলি। আমি ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলাম।
দিদার সাথে জীবনে আমার কত মাখামাখি ছিল, কতগুলো দিন ঘুম থেকে জেগেছি উনার মুখ দেখে, ঘুমিয়েছি তাঁর মুখ দেখে দেখে, সেই স্মৃতিগুলো মনে নেই । মনে আছে শুধু হাসপাতালে কয়েক সেকেন্ডের চোখ মেলে তাকানোর দৃশ্যটা । কি আশ্চর্য!
হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে মায়ের কাছে জানতে চাইলাম দিদাকে কখন ফেরত আনা হবে। মা বলেছিলেন দিদা সেরে উঠলেই উনাকে আবার আমরা বাসায় নিয়ে আসবো । সুস্থ আর হননি, দুই দিন পর দিদা মারা গেলেন। আমার দিদা আর বাসায় ফিরেননি। দিদার বডি সোজা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমাদের গ্রামের বাড়িতে, যেখানে তিনি এখনো আছেন। এবার তাঁর মৃত্যুর দিনটিতে আমরা সেখানে গেলাম।

সারাদিন দিদার বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্য অনেক কিছু করা হল। আমাদের বাড়িতে অনেক মানুষ এসেছিলো। সবাই মিলে খতম পড়ানো, দোয়া-কলমা, খাওয়া-দাওয়া অনেক কিছু হল।
দিনশেষে আবার আমাদের বাড়িটা নির্জন হয়ে গেলো।

মা বললেন চল তোর দিদার কবর দেখে আসি। মায়ের সাথে কবরস্থানের দিকে রওয়ানা হলাম। বৃষ্টিভেজা পিচ্ছিল পথ, সাবধানে মা মেয়ে দিদার কবরের কাছে হেঁটে গেলাম। দিদা এখানে অবশ্য একা নন, তাঁর পাশেই দাদাসহ আরও কয়েকজনের কবর আছে।
এতক্ষণ যা বললাম সব ছিল ভূমিকা। এবার আসল কথায় আসি, দিদার কবরের কাছে দাঁড়িয়ে আমার কেমন অনুভূতি হয়েছিল আজ সেটাই বলব।
দিদার কবরের উপর রূপালি পাতের একটি এপিটাফ আছে। আমি এপিটাফ পড়ছিলাম, এখানে শায়িত আছেন শ্রদ্ধ্যেয়....
আর পড়তে পারলাম না, দুচোখ ঝাপসা হয়ে এলো। চোখ মুছে আবার সেই রূপালি এপিটাফে তাকালাম, এপিটাফ আবার চোখের জলে ডুবে যায়।

দিদা আমাকে অনেক গল্প বলতেন। সেই গল্পের বেশিরভাগ ছিল ধর্মীয় গল্প। একদিন দিদা ইসরাফিল নামক এক বড় ফেরেশতার গল্প বলেছিলেন। সেই ফেরেশতার হাতে বিরাট এক বিউগল আছে। পৃথিবীর যেদিন আয়ু শেষ হয়ে যাবে আল্লাহ ইসরাফিলকে সেই বিউগল বাজাতে নির্দেশ দিবেন। ফেরেশতা তিনবার ফুঁ দিয়ে বাজাবেন। বিউগলের প্রথম সুরে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আর শেষবার যখন বাজবে তখন সব মানুষ পুনর্জীবন লাভ করবে। যে যেখানে শায়িত আছে সেখান হতে সোজা উঠে দাঁড়াবে। তারপর মানুষের বিচার হবে, বিচার শেষে সব ভালো মানুষ বেহেস্তে যাবে। মজার ব্যপার হল বেহেস্তে সবার বয়স হবে সমান। দিদা এবং তাঁর নাতনী দুজনেই যুবতী হয়ে যাবে। কারণ সেখানে তো কেউ আগে কেউ পরে জন্মাবে না, সবাই ইসরাফিলের বিউগলের সুর শুনে একই সময়ে নতুন জীবন শুরু করবে। বিউগলের সুর শুনে একই সময়ে আমি আর দিদা উঠে দাঁড়াবো, আমরাও সমবয়সী হয়ে যাবো। একদম বান্ধবীর মত! মজার ব্যপার, এই জীবনে যত না বলা কথা আছে আমি আর দিদা তখন সব বলতে পারবো। বয়সের কোন বাঁধা থাকবে না। কিন্তু সেই দিনটা কখন আসবে? মানুষ লাখো বছর ধরে মরছে, লাখো বছর তারা ইসরাফিলের সেই সুরের অপেক্ষায় কবরে শুয়ে আছে। মিশর, গ্রিস আর পারস্যের কত রাজা প্রজার চিহ্নিত কবর আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমার দিদার কবরের উপর যে এপিটাফ আমাদের ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তা কত বছর থাকবে? পঞ্চাশ বছর? একশো বছর? ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে, আমি নিজে কোথায় থাকবো একশো বছর পর?

মা পাশ থেকে বলে উঠেন, বৃষ্টি আসবে মনে হয়, যাওয়া উচিৎ।
মাকে বললাম, তুমি যাও, আমি একটু পরে আসছি ।

মা গেলেন না। তিনি আমার পাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন। হয়তো আমাকে এই নির্জন জায়গাতে একা রেখে যেতে তাঁর সাহস হচ্ছে না। আজ আমি বেঁচে আছি বলে মা আমাকে রেখে ফিরে যেতে চাইছেন না। যদি দিদার মত মরে যেতাম তখন ঠিকই এখানে রেখে চলে যেতেন। আমার উপর বৃষ্টি, রোদ, চাঁদের আলো সব পড়ত। আমার মাথার কাছে একটি এপিটাফে হয়তো লেখা থাকতো, এখানে শায়িত আছে স্নেহের...
আর ভাবতে পারি না, নিজের কবরের এপিটাফে কি লেখা থাকবে তা তো আমি দেখতে পাবো না। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে সেটা দেখতে কেমন হবে। আমার চোখে যেন অশ্রুর বান ডাকে। ভেজা চোখে মায়ের দিকে তাকালাম। হঠাৎ মনে হয় যেন সামনে দাঁড়ানো আমার মা হলেন সেই না দেখা এপিটাফ। মায়ের কাঁধে কপাল ঠেকিয়ে দাঁড়াই, শ্রাবণের ধারার মত অশ্রুতে ভিজতে থাকে শুভ্র এপিটাফ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: :((

খুব সুন্দর।

প্রীশু জানায় আপনাকে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রীশু? বুঝিনি।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: একটু চিন্তা করে দেখুন।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রীশু জানায় আপনাকে। জানায়? প্রীশু জানায়?

স্টিল নাথিং... :(

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইস্রাফিলের বিউগলের আওয়াজে সবাই জেগে উঠবে

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছে সবাই। দিনটি আসবে কবে?

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছে সবাই। দিনটি আসবে কবে? "

-এই দিনটির কথা কোন যুগে বলা হয়েছে? সেই যুগের মানুষের চিন্তাভাবনা কি আজকের মতো সঠিক ছিলো?

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: জানি না, এতো গভীর করে কিছু ভাবতে ইচ্ছে করে না। শুধু বিশ্বাস হতে সান্ত্বনা পেতে মন চায়।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার দিদা নাই।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: :(
তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আসলে এটাই জীবন; প্রতিটি প্রাণীর-ই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হয়, এটাই নিয়তি। আমার বাবা মারা যান যখন আমি বিদেশে ছিলাম; সেদিনই বুজেছিলাম আপনজন হারানো বেদনা কি? আমার আম্মু এখনো পুরোপুরি সুস্থ আছেন; আমি চাই না, আম্মুকে অসুস্থ দেখতে....... আর তারচেয়ে বেশি কিছু মাথায় আনতে চাই না। দাদা দাদীকে কোনদিন দেখিনি; আমার জন্মের আগেই উনারা মারা গেছেন, এজন্য আপনার মতো স্মৃতি আমার নেই।

আমার বাড়ির পাশে আব্বু ও দুই চাচার কবর পাশাপাশি আছে; উল্লেখ্য মেঝ চাচা সচিব ছিলেন। বাড়িতে গেলেই উনাদের কবরের পাশে যাই, অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি, চোখের পানি আটকাতে পারি না; এটাই নিয়তি, এটাই জীবন।

একটা সময় আমি, আপনি কেউ আর বেঁচে থাকবো না, বেঁচে থাকবে আমাদের কর্ম। যদি বেঁচে থাকার মতো কোন কাজ করে যেতে পারি। জীবনের সফলতা আসে তখনই যখন মৃত্যুর পরও মানুষ আপনার কর্ম থেকে উপকৃত হয়; না হলে মৃত্যুর সাথে সাথে একটি প্রাণীর অস্তিত্ব বিলীন হবে মাত্র।

আমার আপুমণির লেখাটি খুব ভাল লেগেছে; ভবিষ্যতে একজন সফল মানুষ হিসাবে দেখতে চাই।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: একটা সময় আমি, আপনি কেউ আর বেঁচে থাকবো না, বেঁচে থাকবে আমাদের কর্ম। যদি বেঁচে থাকার মতো কোন কাজ করে যেতে পারি।
সেই কাজ কিভাবে, কখন করব ভাইয়া? সারাদিন যা করি সবই তো আপাতত বেঁচে থাকার জন্য। সারাদিন ঘুরছি একটা ডেসিগনেশনের পেছনে। এই ডেসিগনেশনকে সফলতা হিসেবে ধরেছি, যদি তা পাই তবে আপাতত বেঁচে থাকা যাবে। মৃত্যুর পর বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, কিন্তু আসলে কর্মের ফলে কয়জনে বেঁচে থাকে। প্রতি বছর শত শত ভিআইপি মরছেন, উনারা অনেক বড় মাপের মানুষ, মনে রাখার মত অনেক ভালো ভালো কাজ করে গেছেন, কিন্তু কই? কেউ তো তাঁদের মনে রাখছে না।

আফটার অল, এখানে কিছুদিন হাসি আনন্দ করতে পারলেই তা লাভ। কবিতাটা মনে আছে?
নগদ যা পাও হাত পেতে নাও
বাকীর খাতায় শুন্য থাক,
দূরের বাদ্য কি লাভ শুনে?
মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক।

:(

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

অন্ধকার দিগন্ত বলেছেন: বাস্তবতা নিয়ে চিন্তা করছেন দেখে ভাল লাগলো। আজকালকার দিনে মানুষ বাস্তবতা থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। সবই এখন ভার্চুয়াল।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এলোমেলো মম্তব্যঃ
আজকে বিরাম চিহ্নের ব্যবহার ঠিক আছে। :)

দাদিকে আমি বুবু বলি।

মরার কথা শুনলে তো আমার সেরাম ভয় লাগে। :(

তোমার দিদা(আমার দিশা); ভালো থাকুক।

বেহেস্তে গিয়ে সবাই আমরা বন্ধু হব। আমি হব হিরো....:P


প্রীশু=প্রীতি +শুভেচ্ছা।
@স্রাঞ্জি সে,
আপু নিকধারী ভাইয়া! নো টেনশান। তোমার প্রীশু শব্দটা জ্নপ্রিয় করেই ছাড়ব।।;)



প্রশ্নঃ দিশা মানে কী??:P
(এর উত্তর দেয়া যাবে না, ঠ্যাঙানিসহ ব্লগ থেকে বিতাড়িত হবার সম্ভবনা আছে)

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: তোমার দিদা(আমার দিশা); ভালো থাকুক।

বেহেস্তে গিয়ে সবাই আমরা বন্ধু হব। আমি হব হিরো...
এই একটা বাক্যের জন্য আপনার পুরো মন্তব্যটিকে লাইক করলাম ভাইয়া।

দাঁড়ি কমা ঠিক মত দিতে শেখানোয় আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। জানেন তো আমি নতুন, আমি আপনাদের থেকে শিখেই তো ব্লগ চালাবো। আমার লেখায় কোন ত্রুটি পেলে অসংকোচে জানিয়ে দেবেন, আমি শুধরে নেবো।

মেয়ের নিক দিয়ে কোন পুরুষ যদি ব্লগিং করে এতে অবশ্য আমার আপত্তি নেই। আমার প্রিয় সামুপাগলা আপু যদি ছেলের মত নিক দিয়ে ব্লগ মাতিয়ে রাখতে পারে তাহলে স্রাঞ্জি সে নিক নিয়ে উনিও চালাতে পারেন। তবে এই নিক যে মেয়েদের তা কে বলল?

এনিওয়ে, প্রীশু শব্দটিকে আমি ডিসলাইক করলাম। প্রীতি ও শুভেচ্ছা কথাটি বললে কি অনেক সময় লস হয়ে যাবে। সামান্য প্রীতি জানাতে এতো কৃপণতার কি আছে?

প্রশ্নঃ দিশা মানে কী?
শব্দটা কি দিশা হবে? আমার মনে হয় এই শব্দটাকে আপনার বুশা বলা উচিৎ। :)

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার লেখার প্রশংসা যতই করি কম হবে। লেখার ধাঁচ ও বর্ণনা পড়ে কখনোই মনে হয়নি অখ্যাত কারো লেখা পড়ছি। শুভেচ্ছা!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার আজকের এই মন্তব্যটা পুরোপুরি অন্যরকম ভাইয়া। কথাটি এতো চমৎকার লেগেছে, যে কারণে আমার নিজের লেখা এই মুহুর্তে আমি নিজে একবার পড়লাম।

মন্তব্যে নিরন্তর ভালোলাগা ভাইয়া।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ এমন একটি পোষ্ট পড়লাম, আমার মায়ের শেষ চিত্রটি ভেসে উঠলো। কীআর করা যাবে। আমাদের কঠিন বাস্তবের মধ্যে দিয়েই যে যেতে হবে। আমরা আমাদের রুটিন জীবনধারা বজায় রাখবো। বাকিটা উপরওয়ালার উপর ভরসা। আপনার দিদা যেন বেহেস্তবাসী হন , কামনা করি।

আর এপিটাফের কথা নিশ্চয় ভাববেন। কিন্তু জীবনের অপূর্ণ কাজটাও যে করতে হবে। যে কর্মফলেই নির্ভর করবে আমাদের এপিটাফ স্বর্ণ না রৌপ্যে তৈরী হবে।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়বোনকে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০

অচেনা হৃদি বলেছেন: বিশ্বাস করুন ভাইয়া, আমি আমার ধর্মকে কতটুকু বিশ্বাস করি নিজেও জানি না। তবে বেহেস্তে আমরা থাকবো এটা আমার বিশ্বাস করতে মন চায়। সেই বেহেস্তে শুধু মুসলিমরা থাকবে না, আমার আশা সেখানে সব ধর্মের ভালো লোকেরা থাকবে।

প্রিয়জন হারিয়ে পৃথিবীতে আমি আপনি আমরা যত কষ্ট পেয়েছি/পাবো পরকালে সেই কষ্ট যেন ঘুচে যায়।

আপনার মায়ের জন্য আমার ভালোবাসা জানবেন।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর লেখা। ভালো লাগল।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: অল্প কথায় সুন্দর একটি মন্তব্য করলেন ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: (আমি কিন্তু লজ্জা পাইছি!):`>:``>>
তবে আমার কাছে দিশা শব্দটাই শুনতে ভালো লাগছে। কি মিষ্টি নাম....:P

আচ্ছা হিরোইন,
সেই প্রথম থেকেই দেখছি, মায়ের প্রতি তোমার একটা চাপা অভিমান আছে। কবিতা নিয়ে বাবার প্রতি একটা ক্ষোভ। কেন ভাই?

পদাতিক ভাইয়ের পোস্টের ঘুমের ঘোরে রাগ ঝাড়ার আইডিয়াটা দারুন। ট্রাই করে দেখতে পারো। ;)

তবে সাবধান, তোমার আম্মু কিন্তু ভয়ংকর বুদ্ধিমান। ঠিকমত অভিনয় করতে না পারলে ঠ্যাঙানি খাওয়ার ভয় আছে।.:P

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩২

অচেনা হৃদি বলেছেন: এহ, শুধু কি আম্মুই বুদ্ধিমান নাকি? আমার বুদ্ধিও কম না। ঘুমের মধ্যে এমন পাক্কা অভিনয় করব, পরদিন হয়তো আম্মু আমাকে মেন্টাল হাসপাতালেই ভর্তি করিয়ে দিবেন। ;)

সেই প্রথম থেকেই দেখছি, মায়ের প্রতি তোমার একটা চাপা অভিমান আছে। কবিতা নিয়ে বাবার প্রতি একটা ক্ষোভ। কেন ভাই? দেখুন ভাইয়া, সেদিন বাবার প্রতি যে ক্ষোভ দেখিয়েছি ওটা আসলে সিরিয়াস নয়। ফান বলতে পারেন। বাবার প্রতি কোনদিন কোন কারণে আমার ক্ষোভ ছিল না।

হ্যাঁ, মায়ের কথা বলা যায়। কিছু কারণে মায়ের উপর রাগ আসে। তবে আমি মনে হয় ব্লগের লেখাগুলোতে মায়ের উপর বেশি ক্ষোভ দেখিয়ে ফেলছি। এখন থেকে লাগাম টেনে ধরতে হবে।
মায়ের উপর চাপা অভিমানের কারণটা আপনিও বুঝবেন। আমার মা সব সময় সব ব্যপারে উনার কথাকে উপরে রাখতে চান। উনার এই ইগোর কারণে আমাদের পরিবারে অনেক ঝামেলা গেছে। কোনদিন মা যদি বাবার সাথে ঝগড়া শুরু করেন সেদিন আমার আর কিচ্ছু ভালো লাগে না। খুব কষ্ট পাই, মরে যেতেও ইচ্ছে করে। মায়ের কারণে যে কষ্ট পাই তা মা বোঝেন, ঝগড়াঝাটি সব শেষে তিনি আবার বোঝাতে চান তিনি যা করেন তা ভালোর জন্য করেন, তখন রাগ আরও বেশি লাগে।
এছাড়া আরও কিছু ব্যপার আছে যেগুলো বললে আপনি মনে করবেন আমি অযথা অভিমান দেখাই। আমার সিচুএশনে থাকলে আপনি তখন বুঝতেন।

এনিওয়ে, আবার এই পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে বেশ খুশি হয়েছি। :)

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রতিটি মৃত্যুই খুব কষ্টদায়ক।
মানুষের মৃত্যু আমাকে খুব কষ্ট দেয়।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: তবু তো যেতে হবে ভাইয়া। কেউ আগে কেউ পরে। সবার পরজিবন সুখের হোক, এই কামনা করি।

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।
আপনার দিদার জান্নাতবাস কামনা করছি।
ও হ্যা আমি আমার দাদা দাদী কাউকে দেখিনি। আমার দুই সন্তানও তাদের দাদাকে দেখেনি।
রাব্বিরহাম হুমা কা'মা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: রাব্বিরহাম হুমা কা'মা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা। খুব সুন্দর দোয়া, কবুল হোক।

আপনার প্রার্থনা কবুল হোক, দিদা জান্নাতি হোক।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে পুরানা ব্লগার এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্না আর বৃষ্টিধারার কথা মনে পড়ে

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: :) ধন্যবাদ!



যে দুজনের কথা বলেছেন আমি উনাদের এই দুমাসে দেখিনি। উনারা কি ভালো ব্লগার নাকি তা নয় জানি না। আপনি আমার লেখা পরে উনাদের স্মরণ করছেন, কথাটি দিয়ে আমি কি বুঝলাম জানেন?-
১. হয়তো আমার লেখা উনাদের মত চমৎকার, অথবা উনাদের মত তেনা প্যাঁচানো। একারণে আপনি উনাদের কথা এক ঝলক ভেবে নিলেন।
অথবা,
২. আপনি ভাবছেন আমি আসলে উনাদের কেউ একজন! নিক পাল্টে আবার লেখালেখি করছি।

অপশন ১ যদি কারেক্ট হয় তাহলে কিছু বলার নেই। আর যদি ২ কারেক্ট হয় তাহলে আমি গর্বিত। কারণ আমার আনকোরা নতুন নিককে শুধু লেখার বৈশিষ্ট্যের কারণে আপনি পুরনো কেউ ভাবছেন।

আমার ব্লগ পরিদর্শন করায় আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.