নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদগাজী সমস্যা!

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৪



আমি ব্লগে পুরনো নই। মাত্র দুমাস আগে ব্লগে এসেছি।
ব্লগে প্রথম পোস্ট দেবার পর হতেই ব্লগারদের অভূতপুর্ব সাড়া পাচ্ছিলাম। আমার লেখা তখন প্রথম পাতায় আসতো না, অথচ সেসময় আমার পোস্টে এতো মন্তব্য পেতাম, সেফ হবার পরের কোন কোন পোস্টে আমি অত মন্তব্য পাইনি।
সবাই কি চমৎকার মন্তব্য করতো। প্রত্যেকের মন্তব্য ছিল আদর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। আমি তো মহাখুশি, হায় আল্লাহ, এতো ভালোবাসা তো মনে হয় আমার পরিবারের লোকেরাও দেয়না!

এনিওয়ে, তখন আমার কোন এক পোস্টে চাঁদগাজী একদিন দুম করে শক্ত একটা কমেন্ট দিয়ে বসলেন। সেই কমেন্টে সোজাসুজি বলে দিলেন আমার ধারণা ভুল। আমি তো হতবাক, কিরে, লোকটা এ কেমন মন্তব্য করল। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে, ইউফেমিজম দিয়ে তো বলতে পারতো আমার বক্তব্যে ভুল আছে। তা না করে প্রকাশ্যে ডাউন দিলেন। সেই পোস্টে চাঁদগাজীর আগে আরও বারোজন মন্তব্য দিয়েছিলেন, কেউ ভুল ধরেননি, উনি ধরলেন। এমন রাগ লেগেছিল, আমার পোস্টটাই ডিলিট করে দিলাম। তখন এই কাজ করতাম, কেউ অপ্রিয় মন্তব্য করলে আস্তে করে পুরো পোস্ট হাওয়া করে দিতাম। এই চাঁদগাজীর উপর সেদিন আমার খুব রাগ লাগলো। কেনই বা রাগ লাগবে না? সব ব্লগার আমাকে এতো সুন্দর প্রশংসা করেন, আর চাঁদগাজী ঠিক উল্টো কাজ করলেন। বাপরে বাপ, নিজেকে কত জ্ঞানী মনে করে এই লোক, আমার ভুল ধরে! আমি নতুন বলে এমন করলো? জেনোফোবিয়া আছে নাকি লোকটার? এটা যদি ব্লগ না হয়ে ফেসবুক হত আমি সেদিনই চাঁদগাজীকে ব্লকলিস্টে ঢুকিয়ে দিতাম।

অচিরেই টের পেলাম চাঁদগাজী শুধু আমার পোস্টে চাঁছাছোলা মন্তব্য করেন তা নয়, এমনকি সিনিয়র ব্লগারদের বেলায়ও তিনি একই রকম। সে যাক, আমার বড় দুর্বলতা হল কাউকে বন্ধু মনে করলে তাঁকে আর শত্রু বানাতে পারি না। আর কাউকে একবার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে ফেললে সহজে তাকে মেনে নিতে পারি না। চাঁদগাজী শত্রু না হলেও তাঁকে শত্রুভাবাপন্ন মনে করতাম। কখনো যদি কেউ চাঁদগাজীকে বাঁশ দিয়ে মন্তব্য দিতো আমি বেশ মজা পেতাম, বুঝো ঠেলা। আমার ভুল ধরে। বিরদ্ধ মন্তব্য করলে কেমন লাগে তুমিও টের পাও!

এর মাঝে সেফ হলাম। সেফ হবার খুশিতে যথারীতি বড় এক পোস্ট দিয়ে ফেললাম। সেখানে চাঁদগাজী আমাকে স্বাগত জানিয়ে মন্তব্য করলেন। যাক, কাঠখোট্টা হলেও লোকটার সৌজন্যতাবোধ আছে দেখছি। ধীরে ধীরে ব্লগের সাথে পরিচিত হচ্ছি। এর মাঝে টের পেলাম চাঁদগাজী একজন বয়স্ক লোক। তারপর আরও তথ্য পেলাম, তিনি মুক্তিযোদ্ধা! ও গড, তাহলে এই লোক তো আমার বাবার চেয়েও বড়!
সময় যেতে থাকে, চাঁদগাজীর প্রতি আমার প্রিজুডিস হালকা হতে থাকে। এক ব্লগারকে নিয়ে না ভাবলেও আমার দিন চলবে।
আমি পোস্ট দিয়ে যাচ্ছি, আর তাতে চাঁদগাজী যথারীতি হুল ফুটিয়ে দেন। ব্যপার না, এই হুলের বিষ এখন আর আগের মত অসহ্য লাগে না, সয়ে গেছে। যথারীতি তাঁর পোস্টে অন্যদের ফোটানো হুল দেখে সান্ত্বনা পেতাম।

চাঁদগাজীর রাজনৈতিক পোস্টে আমি কখনো যাই না। রাজনীতি বড় নোংরা জায়গা, সেখানে পা ফেলে নিজেও নোংরা হতে চাই না। কিন্তু ভাবতাম এই চাঁদগাজী কোন কোরামের লোক? তাঁকে কখনো মনে হয় আওয়ামী লীগ, আবার কখনো মনে হত নন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের লোকেরা এই সরকারের ভুল খুঁজে পায়না। কিন্তু চাঁদগাজী সবসময় সরকারের দোষত্রুটি নিয়ে উচ্চকন্ঠ! অদ্ভুত ক্যারেক্টার! একদিন জিজ্ঞেস করেই ফেললাম, তিনি উত্তর দিলেন- ‘আমি নিজেকে সোশ্যালিজমে বিশ্বাসী মনে করি।’ সেদিন বুঝলাম, ঘটনা তাহলে এই! আমার বাবাও মাঝে মাঝে নিজেকে সোশ্যালিজমে বিশ্বাসী লোক বলে মনে করেন। চাঁদগাজীর সাথে বাবার একটা মিল খুঁজে পেলাম। এই একটা কারণে চাঁদগাজীর প্রতি আমার মনে একটা সফট কর্ণার তৈরি হল। ভেবে দেখলাম, ব্লগার চাঁদগাজীকে মাত্র একটি কারণে আমি অপছন্দ করি, তা হল তিনি কড়া কড়া মন্তব্য করেন। কিন্তু তাঁকে ভালো লাগার মত আরও দশটি কারণ তো রয়েছে। কাজেই শুধু এক ছুতায় আমি উনাকে ঘৃণা করতে পারি না।

এরপর আগের মত তাঁর কথায় চুলকানি বোধ করতাম না। আগে তাঁকে কেউ কটাক্ষ করে কথা বললে ভালো লাগতো। এখন ভালো লাগে না। এতদিন যেই লোকের মাঝে শুধু গোঁয়ার গোবিন্দকে খুঁজে পেতাম, এখন তাঁর মাঝে আমি অনেক পজেটিভ বৈশিষ্ট্য পেতে থাকি। চাঁদগাজীর সবচেয়ে বড় যে বৈশিষ্ট্য আমার ভালো লাগে, তা হল- তাঁকে যতভাবেই পচানোর চেষ্টা করা হোক, তিনি কখনো রেগে গিয়ে বকাবকি করেন না (যা অনেক সিনিয়র ব্লগার করেন)।
কিন্তু অ-নে-ক ব্লগার চাঁদগাজীকে পছন্দ করেন না। কেন যে সবাই তাঁর উপরে বিরক্ত এটা বুঝতে বেশি চালাক হতে হয় না। যে কারণে চাঁদগাজীকে আমার কাছে অসহ্য লাগতো ঠিক সেকারণেই উনার উপর সবাই বিরক্ত। চাঁদগাজীর স্পষ্ট মন্তব্য কেউ পছন্দ করেন না। বিষয়টা উনিও বোঝেন-

তবুও কেন তিনি এরকম ঠোঁটকাটা লোক? খুব সহজ, তিনি একজন স্পষ্টবাদী। কারো লেখায় ভুলচুক পেলে তিনি স্বজনপ্রীতি না দেখিয়ে সরাসরি বলে দেন। এটা কি দোষ হতে পারে? এই মহান গুণ যার আছে, তার দুনিয়াভরা শত্রু থাকে। কি আশ্চর্য! কেউ যদি উপরে বন্ধুত্বের ভাব রেখে ভেতরে ভেতরে আমাদের মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে তাকে আমরা শুধু বাহ্যিক আচরণের কারণেই বন্ধু বানিয়ে রাখি। আর কেউ যদি মুখের উপর আমার ভুল ধরে দেয় তাকে আমি মনে করি কপট লোক।
চাঁদগাজী কখনো মিষ্টিমধুর পামপট্টি জাতীয় মন্তব্য করেন না। একে তো ঋজু কথা বলেন। তার উপরে মন্তব্যে তিনি কখনো ইমোটিকন ব্যবহার করেন না। একটা ছোট্ট ইমোটিকন কত ভাব প্রকাশ করতে পারে। ইমোটিকন দেখে আমরা বুঝে নিই ওপাশের ব্লগার হাসার অথবা কান্নার ভাব প্রকাশ করছে। আমাদের অভ্যাস এমন খারাপ হয়ে গেছে, ইমোটিকন ছাড়া কোন মন্তব্যকে আমরা পরিপূর্ণ মনে করি না। চাঁদগাজী এই ব্যপারে ফ্লপ। উনি হাসি কান্না সবই মন্তব্যে প্রকাশ করে দেন। কোন পোস্ট ভালো লাগলে সেখানেও পাম দেবার মত কথা বলেন না, খুব সংক্ষেপে বলে দেন ভালো লেগেছে।

ইমোবিহীন মন্তব্য হওয়াতে তাঁর সহজ সরল মন্তব্যকে আরও কাঠখোট্টা মনে হয়।
চাঁদগাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা। জীবন বাজি রেখে একাত্তরে যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন সেই দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পাননি। এখন শেষ বয়সে এসে তিনি যদি ক্ষুব্ধ হন, তাঁকে কি দোষ দেয়া যায়?
আসলে সমস্যা চাঁদগাজীর নয়। সমস্যাটা আমাদের। আমরাই চাঁদগাজীকে বুঝতে ভুল করছি।
চাঁদগাজীকে সবাই মিলে সালাম করতে থাকুন এই কথা আমি বলব না। কিন্তু তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাবেন কেন? তিনি আপনার মন্তব্যে অপ্রিয় কমেন্ট করেন? চাঁদগাজী সবার পোস্ট পড়েন না।

তিনি আপনার পোস্টে মন্তব্য করেছেন মানে আপনার পোস্ট পড়েছেন, পড়ার যোগ্য মনে করেছেন। সেখানে আপনাকে যদি সংশোধনী দেয় আপনি রেগে যান। সমস্যাটা কার? আপনার নাকি চাঁদগাজীর?
আমার আরেকজন শ্রদ্ধ্যেয় সিনিয়র ব্লগার কাওসার চৌধুরী চাঁদগাজীকে নিয়ে একদিন বেশ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। আমার খুব খারাপ লেগেছিল। কাওসার ভাইয়াকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করতাম। আমি ব্লগিং শিখেছি উনার মত অল্প কয়েকজনের উৎসাহ পেয়ে। তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যেগুলো উনার পার্সোনালিটির সাথে যায় না। উনাদের বাক বিতণ্ডা শুরু হয়েছে শুধুমাত্র ইগো প্রবলেমের কারণে। চাঁদগাজীর মন্তব্যকে কাওসার ভাইয়া সহজভাবে গ্রহণ করলে এতকিছু হত না। আমি আশা করব কাওসার ভাইয়া তাঁর ইগোকে দূরে ঠেলে চাঁদগাজীর সাথে আগের মত স্বাভাবিক ব্লগিয় সম্পর্ক বজায় রাখবেন। যদি কাওসার ভাইয়া নিজের অহংবোধ দূরে রাখতে পারেন, আবার যদি চাঁদগাজী এবং তাঁকে স্বাভাবিকভাবে দেখি তাহলে বুঝব কাওসার ভাইয়া আমাদের কাছে অনেক সম্মানের যোগ্য।

শুধু কাওসার চৌধুরীর জন্য আমি এতো বড় পোস্ট দিচ্ছি না। সম্প্রতি মডারেটরের একটি পোস্টে দেখলাম সবাই মিলে চাঁদগাজীর ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার মতামত দিলেন। সবার অভিযোগ, চাঁদগাজী খোঁচাখুঁচি করেন। অপ্রিয় মন্তব্য যদি খোঁচাখুঁচি হয়, তাহলে তিনি তো তা করবেনই। সবাই আপনার লেখা পড়ে খালি প্রশংসা করবে- এই দুরাশা কেন করছেন জনাব? আমি, আপনি, আমরা কেউই রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল নই, আমাদের লেখায় ভুল থাকবেই। এই ভুল শুধরে যদি নিতে পারেন তবে ব্লগার হিসেবে আপনি পারফেক্ট। চাঁদগাজী আপনাকে সেই ভুল শুধরে নিতেই সাহায্য করছে।

আমি আবারো বলছি, সমস্যা চাঁদগাজীর নয়, সমস্যাটা আমাদেরই। আমরা কেবল ব্লগে মিষ্টি মধুর প্রশংসাবাণী খুঁজে বেড়াচ্ছি, তাই কেউ গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তা আমাদের সহ্য হয় না।

আমি ব্লগে একদম নতুন। একজন সিনিয়র ব্লগারকে সমর্থন করতে গিয়ে অ-নে-ক লোকের শত্রু হবার আমার ইচ্ছে নেই। যদি অন্য কেউ এই কথাগুলো বলে ফেলতেন আমি এই পোস্ট দিতাম না। কিন্তু সবাইকে নীরব থাকতে দেখে আমি মুখ খুলতে বাধ্য হলাম।

মন্তব্য ১৩৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (১৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

বলেছেন:
সুখী মানুষরা যা চায় তার সম্পর্কে অধিকাংশ সময় চিন্তা করে এটি কিভাবে পেতে হয়।
এইভাবে একটি ইতিবাচক মনোভাব সত্যিই আপনার সমগ্র জীবন পরিবর্তন করতে পারে।

THINK POSITIVE

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪০

বলেছেন: একটি নেতিবাচক মন কখনও আপনাকে ইতিবাচক জীবন দিতে পারে না.

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০১

অচেনা হৃদি বলেছেন: দুঃখিত! আমার মনে হচ্ছে আপনার মন্তব্য এই পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

ভাইয়ু বলেছেন: বাহ! তাহলে তো আমি সৌভাগ্যবান বলতে পারি৷ আমার ব্লগিংয়ের প্রথম পোষ্টের প্রথম কমেন্টটাই ছিল চাঁদগাজী স্যারের ♥

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: আশা করি সেই কমেন্টটা কড়া ছিল না, যেমনটা ঘটেছিল আমার বেলায়। :)

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: 8-| ধন্যবাদ!

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ব্লগিং পছন্দ করি; বিশ্বাস করি, ব্লগারেরা বাংগালীদের মাঝে নতুন একটা জেনারেশন,যাঁরা নতুন ও সঠিক ভাবনার জন্ম দেবেন; এঁদের থেকে নতুন ধরণের কবি, লেখক, ভাবুক, চিন্তাশীল লেখকের সৃষ্টি হবে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩২

অচেনা হৃদি বলেছেন: নিচে খায়রুল আহসান যে মন্তব্য করেছেন তা আমার মনের কথা। আপনি কি একটু ডাইনামিক হতে পারেন না? এমন কেন হবে যে সবসময় আপনার পেছনে কিছু লোক লেগে থাকে?

সকল ব্লগারকে আপনি ভালোবাসেন- এটা একটা ইউনিক ব্যপার। কিন্তু কোন কোন ব্লগার আপনার উপর খুব বীতশ্রদ্ধ ভাব দেখায়- এটাও ইউনিক হয়ে যাচ্ছে। আমি জানি আপনি যদি আপনার বিরুদ্ধ মতবাদের রাজনৈতিক নেতাদের কটু কথা না বলেন এতে ঐ নেতাদের লাভ ক্ষতি কিছু হবে না। কিন্তু কিছু লোক একারণে স্থায়ীভাবে আপনার শত্রু হচ্ছে, এটা তো ভালো নয়।

অবশ্য আপনাকে পরামর্শ দিয়ে/অনুরোধ করে লাভ নেই। সোশ্যালিজমে বিশ্বাসী লোকদের ছায়ার নিচে আমি বাস করি। আমি জানি তাঁরা অবিমৃষ্য প্রকৃতির লোক।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চাদগাজী ব্লগার হিসেবে আমার জুনিয়র। যেটুকু সমস্যা আছে সেটা সময়ে ঠিক হয়ে যাবে। তার ম্যাচুরিটি তার বয়স বেশি সেখান থেকে।তিনি একজন সম্মানিত বীর মুক্তিযুদ্ধা ।

আমার দোষ ত্রুটি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েন। তাহলে নিজের দোষগুলো শুধরে নিতে পারবো ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: উনি ঠিক হয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন! কিন্তু উনার যে বয়স, উনি আর কখন ঠিক হবেন?

আমার দোষ ত্রুটি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েন। :P কি বলব বুঝতে পারছি না। কবিদের দোষ বের করা খুবই কঠিন! তাঁদের দোষ তো কবিতার লাইনের মাঝে লুকিয়ে থাকে, তাঁদের গুণও কবিতার মত। নিজে যদি একজন কবিতাবোদ্ধা না হয়ে থাকি তাহলে কিভাবে কবির দোষ ধরতে পারি বলুন? :)

তবে ব্লগে যেহেতু আছেন, মুক্তি নেই আপনার! দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করে ফেলবোই কোন এক সময়!
=p~

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। + +
একজন বর্ষীয়ান ব্লগার এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উনি অবশ্যই শ্রদ্ধার পাত্র, তবে তার চেয়ে বেশী কৃতিত্ব উনি পেতে পারেন ওনার সহ্যশক্তির জন্য এবং ব্লগারদের প্রতি ওনার সহমর্মিতার জন্য। উনি যতই কাঠখোট্টার মত খোঁচাখুচি করেন না কেন, একজন ব্লগার বিপদে পড়েছে শুনলে উনি অকুন্ঠচিত্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ওনার এই সৎ গুণটা আমার ভাল লাগে।
বিশ্ব রাজনীতি সম্বন্ধে উনি খুব ভাল জ্ঞান রাখেন। দেশীয় রাজনীতি সম্পর্কে ওনাকে ওনার অপছন্দের রাজনীতিকদের নিয়ে অত্যন্ত রূঢ় ও অশালীন মন্তব্য করতে দেখা যায়, ষা উনি পরিহার করতে পারলে ওনার শত্রুসংখ্যা অনেক কমে যাবে। সমালোচনা তো অতটা রূঢ় ভাষা ব্যবহার না করেও করা যায়।
যাহোক, আপনার এ পোস্টে আপনি একজন সহব্লগার সম্পর্কে যে নির্মোহ, ইতিবাচক মন্তব্য করলেন, তার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার কথাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। যে কারণে উনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে আপনার মন্তব্যটাকে মার্ক করলাম।

যে লোক এতো ধৈর্য ধরে ব্লগিং করতে পারে, তিনি রাজনিতিকদের ব্যপারে অশালীন কেন হবেন? সমালোচনা তো অতটা রূঢ় ভাষা ব্যবহার না করেও করা যায়। এই কথাটা কি উনি বুঝবেন? উনার যে বয়স, এই কথা বুঝার আগেই তো তিনি অফলাইনে চলে যাবেন মনে হয়।

আমি চাঁদগাজী ছাড়া আর কাউকে নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে এই ব্লগে দেখিনি। সেটা যদি গঠনমূলক হয়, যদি সেখানে অশালীন আক্রমন না থাকে তবে বিরোধী পক্ষ কি সেই আলোচনা ফেলে দিতে পারবে?

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২১

ভাইয়ু বলেছেন: হালকা কড়া ছিলো :P

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

অচেনা হৃদি বলেছেন: অয়েলকাম টু দ্যা মিলিটারি ক্যাম্প! ;)

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ হয় নাই। পোস্টে অন্য একজন ব্লগারের উল্লেখ করলেও পোস্টটা মূলত একজনকে নিয়েই, এবং প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে, যতখানি তাঁর প্রাপ্য নয়।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!



পোস্ট তো একজনকে নিয়েই, এখানে আমি আর কাকে এড করবো বলুন? কাওসার চৌধুরী আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার বলে তাঁর নাম উল্লেখ না করে পারিনি। নয়তো তাঁকেও এখানে টেনে আনার প্রয়োজন ছিল না।
প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে আশ্চর্য! উনি যে আমার পোস্টে র‍্যাগমার্কা কমেন্ট করতেন সেই আলোচনাই তো এখানে বেশি করেছি, সেটাও কি প্রশংসা?

নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ হয় নাই। কিভাবে বললে আপনি সেটাকে নিরপেক্ষ বলবেন বলুন? আপনি হয়তো চাচ্ছেন এই পোস্টে আমি উনাকেও 'সুপথে' চলার পরামর্শ দিই, যেন তিনি ব্লগারদের না ঘাঁটান। আচ্ছা, উনার কি এখন সংশোধন হবার বয়স আছে? যতটুকু শোনা যায় তিনি নাকি খুবই বয়োজ্যেষ্ঠ! কখন তিনি চিরতরে এই ব্লগ ছেড়ে অফলাইনে চলে যাবেন তাও তো বলা যায় না। এখন কি উনাকে কিছুদিন টলারেট করে থাকা উচিৎ নয় সবার?

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




যারা উনার মন্তব্য সহ্য করতে পারেনি তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। উনি আমার কিছু কবিতায় খুবই কড়া মন্তব্য করেছিলেন। অনেক সময় আমিও রাগ করেছি। আমিও কড়া জবাব দিয়েছি। এখন মনে হচ্ছে ঠিক করিনি! তবে আমার অনেক লেখায় উনার উদার মন্তব্য পেয়েছি। তখন বুঝেছি আমি ভুল ছিলাম। আমি উনাকে শ্রদ্ধা করি। উনি উপরে যতই কঠিন ভেতরে ততই নরম। উনার গভীর জ্ঞান আছে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতিতে! তবে ৭ নং মন্তব্যে সুপ্রিয় লেখক জনাব খায়রুল আহসান স্যার উনার ওই বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। আমি আরেকটু এ্যাড করতে চাই। সেটা হল উনি তথ্য উপাত্তে কম বিশ্বাস রাখেন। হিসেবও কম রাখেন। এটা ঠিক নয়। তথ্য বর্তমান যুগে অনেক শক্তিশালী বিষয়। কেউ চাইলেই তা ইচ্ছেমত বসিয়ে দিতে পারে না। উনি দেশের তথ্যগুলো ঘেটে দেখেননি! উনার উচিত এই তথ্যগুলো উনার বিশ্লেষণ করা, সেগুলোর ভুলত্রুটি তুলে ধরা। আমার বিশ্বাস এটা উনি করলে আমরা অনেক কিছুই উনার থেকে পেতে পারি। আর ইতিহাস নিয়ে কেউ বসে থাকে না। উনি বারবার ইতিহাসে ফিরে যান। আধুনিক যুগে মানুষ ব্যস্ততা নিয়ে আছে।এখানে অর্থনৈতিক বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উনি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কম লেখেন।এটা নিয়ে উনার স্টাডি করা উচিত।


অনেক সমালোচনা করে ফেলেছি। আশাকরি জনাব গাজী বিষয়গুলো পজেটিভলি নেবেন। আর আমি আশা করব উনি যেমন আছেন তেমনি থাকুন (কমেন্ট করার বেলায়)! উনার কমেন্ট যথেষ্ট বিনোদনদায়ক এবং ঝাঁঝালো! আমরা উপভোগ করতে চাই!

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

অচেনা হৃদি বলেছেন: সীমাহীন ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। বিকেল ৪টার পর আসছি, কথা হবে সবার সাথে।

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আমি উনাকে একবার অনুরোধ করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা ইতিহাস নিয়ে লেখতে। উনি গোলন্দাজ বাহিনীতে ছিলেন। আমি সেই ইতিহাস উনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। আফসোস জানা হয়নি! উনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখলে, উনার ইউনিট নিয়ে লেখলে সেটা হত জীবন্ত দলিল! আমরা সেটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি!

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি শুধু এটুকু জানি তিনি মুক্তিযোদ্ধা, তিনি কি নিয়মিত সৈন্য ছিলেন নাকি অনিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা তা জানি না। গোলন্দাজ ইউনিটে তো অনিয়মিতদের থাকার কথা নয়। এনিওয়ে, এব্যপারে আমার ধারণা ক্লিয়ার নয়। তিনি যদি লিখতেন আমাদের জানা হত। অনেকেই এই একই অভিযোগ করেন চাঁদগাজী কখনো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক লেখা লিখেন না।
আপনার মন্তব্যের পর তিনিও মন্তব্য করেছেন। আপনি যেসকল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আশা করি তার প্রতিফল ঘটবে, আমি আশাবাদী।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার সাথে অনেকখানি একমত। উনাকে আমি ও পছন্দ করি যদিও উনি আমার লিখা পছন্দ করেন না । উনার অনেক ভালগুন ও আছে তবে উনার নেগেটিভ মন্তব্য গুলো গঠনমুলক নয়, উনি মন্তব্যে করেন মানুষকে হেয় করে এতে মানুষ মনে কষ্ট পা্য ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

অচেনা হৃদি বলেছেন: সহমত আপু, আশা করি সহব্লগারদের মনের ভাষা চাঁদগাজী বুঝবেন।

আপু, আমি তো খেয়াল করিনি, তবে চাঁদগাজী আমাদের যেভাবে কঠোর মন্তব্য করেছেন আপনাকে সেরকম কোন মন্তব্য করেছেন বলে তো মনে হয়নি। হয়ত আমি আসার আগে আপনিও কোন শক্ত মন্তব্য ফেস করেছিলেন। তাই বলছেন তিনি আপনার লেখা পছন্দ করেন না।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো মূল্যায়ন করেছেন। ওনার যে বয়স, ডেডিকেশন ব্লগের প্রতি সেখানে দাঁড়িয়ে ওনার এমন চাঁছাছোলা ভাষায় মন্তব্য করাটা আমার ব্যক্তিগত ভাবে বাড়ির বড়দের ছোটোদের প্রতি নির্দেশকা বলে মনে হয়। আমি ওনাকে ব্লগে নুতন থেকে পুরানো প্রায় সব পোষ্টে একবারে যুক্তিযুক্ত কমেন্ট করা দেখে অবাক হই। কাওসারভাইও আমার অত্যন্ত কাছের, আমার বন্ধু।এমন দুজন গুনি মানুষের দ্রুত বৈরিতার অবসান কামনা করি।

আর ওনার সম্পর্কে শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যার যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। বর্তমানে উনি চোখের সমস্যায় ভুগছেন। ওনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

অনেক শুভকামনা আমার ছোটোবোনকে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার শুভকামনা সত্য হোক ভাইয়া।

খায়রুল আহসান স্যারের কথা আমারও ভালো লেগেছে। আসলে চাঁদগাজীর মত বয়জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে আদেশ উপদেশ পরামর্শ দেয়া আমার জন্য মানানসই নয়। তাঁর জন্য খায়রুল আহসানের বক্তব্যই যথাযথ। আমি কেবল এই প্লাটফর্ম দিয়েছি মাত্র। বুঝের লোক অবশ্যই তাঁর করণীয় বুঝবেন।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কি হে প্রিয়?
এটা গাজী বন্দনা? :P (ট্রাক্টরের মালিকের আসল নাম কিন্তু চাঁদগাজী নয়!);)


চাঁচাছোলা মন্তব্য কাকে বলে? উদাহরণ সহ দিচ্ছিঃ
গাজী গাজী করো কেন?
সে আস্ত একটা পাজী..:P
এতই যদি দরদ, তাকে
হতে বলো হাজী। :P

★ চাঁদগাজীর চেয়ে খোঁচাখুঁচি বা লুলামিতে আমি এগিয়ে। তবে ইমো ব্যবহার করায় আমার সমস্যা হয় না। এমন কি যাকে গালি দেবার জন্য আমি ব্যান খেলাম সেও আমার ভক্ত।:P কিন্তু চাঁদগাজীর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।

@ আমি আবারো বলছি, সমস্যা চাঁদগাজীর নয়, সমস্যাটা আমাদেরই।
এটা তোমার ভুল ধারণা।
চাঁদগাজীরও ভুল আছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ধরাকে সারা জ্ঞান করেন।

উনি শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি। ব্লগের আইকন। কমেন্ট করার সময় অবস্যই তাকে সাবধান থাকতে হবে। বিশেষত, কোন লেখক যদি উনাকে সহ্য করতে না পারেন, তার পেজে। তা না করে তিনি সবার পেজে হিরোগিরি দেখাবেন, সবাইকে উল্টা পাল্টা জ্ঞান দিয়ে বেড়াবেন, সেটা কি সবাই মেনে নেবে??X(

আমাদের ব্লগে শিক্ষক আছে, সচিব আছে, আরো নানা পেশার মানুষ আছেন। উনি কাইজা করে বেড়াবেন, আর উনাকে সবাই সমীহ করবে?X( (উনি এক জাপানি আপার সাথেও ঝামেলা করেছেন।)


@রাজনীতি বড় নোংরা জায়গা, সেখানে পা ফেলে নিজেও নোংরা হতে চাই না।
... রাজনীতি না জানার কারণেই দেশের এই হাল। চাঁদগাজী গঠনমূলক রাজনৈতিক সমালোচনায় পিছিয়ে। তাকে কমেন্ট করলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট প্রতিউত্তর করবেন না আবার গ্যাপে নিলেই বলবেন, একটার বেশী কমেন্ট করা যাবে না। যত্তোসব ম্যাওপ্যাও ধারণা!!X(

চাঁদগাজীর ভালোগুণঃ
১. উনি ব্লগে যথেষ্ট অ্যাক্টিভ।
২. রকেট গতিতে প্রতিউত্তর করেন।
৩. মন্তব্য করতে কার্পন্য করেন না।(অর্ধেক পড়ে হলেও:P)
৪. যতোই হোক পাজী, চন্দ্রাবতী ছাড়া ব্লগটাই পানসে।:P
৫. উনার সহ্যক্ষমতা প্রসংসনীয়। (৫-৭টা নিক ব্যান হবার পরও উনি অপ্রতিরোধ্য, গন্ডারও..... :P)


উনি বোধহয় আমার মত একরোখা। কাউকেও বেল দিতে চান না। যেভাবেই হোক আমি হতে চাই হিরো আর উনাকে বানাবো ভিলেন...:P

সারমর্মঃ
লেখকরা ব্লগারদের মানুষ হিসেবে দেখুক। কোন লেখকের মোসাহেবি বা বিরোধীতা কোনটাই আমাদের কাম্য নয়। :)

পুনশ্চঃ
এই সুযোগে চাঁদগাজীর উপর রাগটা ঝাড়া হলো। ;)

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...



এই সুযোগে রাগ ঝেড়ে নিলেন। মণ্ডল বাড়ির ছেলে রাগ ঝাড়ার চান্স মিস দেয় না তা জানতাম!

আমি আপনার সারমর্মের মর্মটা বুঝে একটু চোট পেলাম। আমি মোসাহেবি করিনি কিন্তু! :(

চাঁদগাজী সাহেবকে নিয়ে যা বলেছেন তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে যাক। অলরেডি চাঁদগাজী সুন্দর একটা কনফেস করেছেন। আশা করি চেঞ্জ আসবে, সবাই আর তাঁর উপর নাখোশ থাকতে হবে না।

এই যে হিরো, ট্রাক্টরের মালিকের নাম চাঁদগাজী নয় তা কিন্তু আমি জানি! আমাকে এতো পিচ্চি ভাববেন না কিন্তু। আমি... থাক পরে বলবো। (আপনি যদি আসল হিরো হন তাহলে না বলা কথা বুঝে নিয়েন। ;) )

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৬

এখওয়ানআখী বলেছেন: এটা একটা ইতিবাচক পোস্ট। আমি ব্লগে আড়াই বছর হলেও এমাস থেকে নিয়মিত। চাঁদগাজী সম্পর্কে বলব, সত্য বলেন। যারা সত্য বলে তারা মিথ্যাকে ভয় পায়না। আরেকটা কথা, রবীঠাকুর অথবা নজরুল - কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে ছিলেন না। এই ব্লগে আরো অনেক সম্মানিত ব্লগার আছেন। আমার লেখার হাত ভাল নয়। আশা করি তাঁদের নিয়েও এমন পোস্ট পাবো। ধন্যবাদ

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, সত্যি কথা হল ব্লগে একের পর এক ব্লগারের জীবনী লিখে যাবো- ব্যপারটা কিন্তু এমন নয়। আমার সাথে চাঁদগাজীর ব্লগিয় ব্যপার কিছুটা কমপ্লিকেটেড, তবুও তাঁকে নিয়ে লেখার কারণ হল তিনি ভালোমনের মানুষ। উনার যে সমস্যা তা যদি ক্লিয়ার হয় তবে একজন উচ্চ ব্যক্তিত্বের ব্লগার হতে পারেন। আবার কিছুদিন আগে মডারেটর কাভা ভাইয়ার পোস্টে তাঁর নামে সবার বিষোদগার দেখে খারাপ লেগেছিল। যে কারণে উনার ব্যপারে আমার আশাবাদ ব্যক্ত করার জন্যই এই পোস্টের অবতারনা করতে হল।

তবে কাউকে নিয়ে একদম লিখব না তা নয়, হয়ত সময়ের প্রয়োজনে আবার আমি লিখব, হয়তো আপনি বা অন্য কাউকে নিয়ে।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: চুপ নয়, সময়ে সময়ে অনেকেই বলেছেন উনাকে নিয়ে। তোমার এই দুই মাসে কাউকে দেখোনি, তাই ভেবেছো কেউ কিছু বলছে না। উনি মুক্তিযোদ্ধা, কবি সাহিত্যিকদের নিয়েও ভালো কথা বলেন, অথচ উনি একবার বললেন, একাত্তরে কবি সাহিত্যিকরা নন্দলাল হয়ে বসে ছিল। আমি যখন প্রথম আসি, তখন এমন মন্তব্য পেয়ে দ্ব্যর্থবোধক চাঁদগাজী নামে একটা ছড়া লিখেছিলাম। আমি তখন জানতাম না উনি মুক্তিযোদ্ধা। তো সেখানে উনার মন্তব্য পড়ে আমার ভুল বুঝতে পেরে একদিন পরেই অনুতপ্ত হয়ে আবার লিখলাম স্পষ্টভাষী চাঁদগাজী । দুটো ছড়াতেই উনার সব বৈশিষ্ট্য আছে। চাইলে পড়তে পারো। আমার অবশ্য তোমার মত এত শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব কখনো হয়নি :P । তোমার পোস্টটা ভালো লাগলো :)

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: ছড়াগুলো চমৎকার, চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্যও চমৎকার!
:)
আমার পোস্ট ভালো লাগায় আপুকে ধন্যবাদ!

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় হৃদি আপুর আজকের এ পোস্টটি ব্যতিক্রমী হলেও আমার ভাল লেগেছে; একজন গুণী মানুষকে নিয়ে পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি চাঁদগাজী সাহেবের প্রতিটি লেখা মনযোগ দিয়ে পড়ি; এমনকি বিষয়টি পছন্দ না হলেও। যদিও অনেক সময় মন্তব্য করি না; তারপরও গুণী মানুষের লেখা থেকে ইতিবাচক কিছু খোঁজার চেষ্টা করি।

আমি ব্লগে সেফ হওয়ার আগের বেশিরভাগ লেখায় জনাব চাঁদগাজী খুব সুন্দর মন্তব্য করতেন; যে বিষয়ের সমালোচনা করতেন আমি এগুলোকে খুব পজেটিভভাবে নিতাম; এতে আমার ভুল সংশোধন করার সুযোগ হতো। আর তখন থেকেই উনার প্রতি আমার একটি রেসপেক্ট আসে। আসলে ব্লগে তো পার্সোনালি আমরা একে অন্যকে চিনি না; আমাদের লেখার মান ও কমেন্টের মানের উপর নির্ভর করে সহ ব্লগারদের মূল্যায়ন করি।

আর কমেন্ট ও প্রতিউত্তরে আমরা ব্লগারদের মূল্যায়ন করি; এজন্য ব্লগে লেখার পাশাপাশি কমেন্টও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগে কত মানসিকতার, কত কোয়ালিটির লেখক আছেন; সব লেখা আমাদের পছন্দ নাও হতে পারে; লেখাটি অনেকের কাছে মানহীন মনে হতে পারে। কিন্তু যিনি লেখেন তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন লেখার মানটি উন্নীত করতে; হয়তো সব লেখা মানসম্মত নাও হতে পারে। এজন্য একজন সহ ব্লগার হিসাবে লেখাটির গঠনমূলক সমালোচনা করলে; অথবা ভদ্রভাবে ভুলটি ধরিয়ে দিলে লেখক খুশি হন।

একটি শিক্ষিত সমাজের ভাষায় ভদ্র ভাব থাকাটি বাঞ্ছনীয়; এছাড়া লেখাটি না পড়ে মন্তব্য করাও ঠিক নয়। কিন্তু কেউ যখন বিষয়ের উপরে আলোকপাত না করে সরাসরি লেখককে আক্রমণ করে বসেন তখন তা মোটেও কাম্য নয়; আর ব্লগে সমস্যাটি শুরু হয় এখান থেকেই। গঠনমূলক বিষয়ভিত্তিক কমেন্ট আর ব্যক্তি আক্রমণ এক বিষয় নয়; বিষয়ের গঠনমূলক সমালোচনা লেখকের লেখার মান উন্নয়নে সহায়ক; কিন্তু বিষয়ের বাইরে গিয়ে ব্লগারকে আক্রমণে লেখক অপমাণিত হন। একজন সহ ব্লগারের প্রতি সম্মান রাখাটাও ব্লগীয় রীতির অন্তরগত। কারণ, এখানে সবাই সাধারন ব্লগার, কেউ কারো শিক্ষক নয়।

এই অল্প দিনে আমার ব্লগ যারা পড়েছেন; কমেন্ট করে পরামর্শ দিয়েছেন; গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন উনারা জানেন আমি এ বিষয়গুলো কতটুকু পজেটিভভাবে নেই। কিন্তু আমার অনেক পরিশ্রমের একটি লেখায় আপনি বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যদি ব্যক্তি আক্রমণ করে বসেন তাহলে এ বিষয়টি আমাকে আহত করে; কষ্ট পাই। এগুলোকে ইগো প্রবলেম বলে না; এগুলো অপমাণিত করে।

চাঁদগাজী সাহেবের সাথে আমাদের একটি জেনারেশন গ্যাপ আছে; এজন্য আমাদের চিন্তা চেতনায় এবং লেখায় কিছুটা পার্থক্য আছে। আমি একদিন উনাকে বলেছিলাম, নতুন প্রজন্ম আপনার কাছ থেকে দিকনির্দেশনা চায়; তিরস্কার নয়। আশীর্বাদ করি, উনি যাতে আরো দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকেন; ব্লগে সুন্দর লেখা পোস্ট করতে পারেন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার পরিবারে সোশ্যালিজমে বিশ্বাসী লোক আছে বলে চাঁদগাজীকে কাছের কেউ মনে হয়েছিল, আমার পরিবারে কিন্তু আপনার মত শিক্ষকও আছেন!

আমি আপনার কাছে ব্লগের শুরু থেকে ভালো বিহেভ দেখে এসেছি। এমনকি আমি আপনাকে একদিন অপ্রিয় মন্তব্য দেবার পরেও আপনি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছিলেন। আপনার কাছে আমি সবসময় ভালো ম্যানার আশা করে এসেছি।
চাঁদগাজীর সাথে আপনার যা হয়েছে আমি সব জানি। আমি শুধু আপনাকে সংযত হবার পরামর্শ দিলে সেটা সুন্দর দেখায় না। অন্যদিকে চাঁদগাজী শুরু থেকে আমার থেকে দূরে দূরে থেকেছেন। আপনার এবং চাঁদগাজীর যে রিলেশন ছিল তা আমার এবং আপনার ব্লগিয় সম্পর্কের চেয়েও ভালো ছিল। আপনি কি একটু সহনীয় ভাব দেখাতে পারতেন না? আপনার কাছে এটা তো আশা করেছিলাম।

চাঁদগাজী এই পোস্টে যে কনফেস করে গেছেন তারপরে উনাকে আর কিছু বলার যৌক্তিকতা থাকে না। আশা করব আপনারা স্বাভাবিকভাবে ব্লগিং করে যাবেন।

আমার কিছু বলার নেই ভাইয়া, আমি আপনাকে আমার পোস্টের সবচেয়ে ভালো সমঝদার হিসেবে পেয়েছি। আমি জানতাম আমার এই এক পোস্টের কারণে আপনার মত একজন ভালো ব্লগারকে হারাতে পারি। তবুও বিবেকের দায় থেকে এই পোস্ট দিতে বাধ্য হয়েছি। আপনার মন্তব্য দেখে আশ্বস্ত হয়েছি, যে আশংকা করেছিলাম তা হয়নি।

সবাই বলে ব্লগে আপনিও নবীন, কিন্তু আমার কাছে তো আপনি নবীন নন। অভিজ্ঞ হিসেবে ব্লগে বিচরণ করতে থাকবেন এই আশা করছি।

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫২

আলআমিন১২৩ বলেছেন: চাদগাজী কে আপনার ভাল লেগেছে ভালো কথা।আপনার বাবার কিছুটা মিল পেয়েছেন এটাও হয়তো ভালো লাগার একটি অন্যতম কারন হতে পারে।তবে আমি তার মাঝে ভালো লাগার কোন কারন খুজে পাইনা।অবশ্য আমি তাকে ব্যত্তিগত ভাবে চিনিনা। ভাল না লাগার অন্যতম কারন হচ্ছে তার অহংবোধ ,সৌজন্যতার অভাব,সুপেরিয়রিটি কমপ্লেক্স,মন্ত্যবের ক্ষেএে ভাষার ব্যবহার ইত্যাদি।আমি ব্লগার হিসাবেই বিবেচনা করি তাকে।একজন সিনিয়র সিটিজেন বা মুত্তিযোদ্ধা হিসাবে নয়। এ প্লাটফমে সবাই সমান।
আজকাল শিক্ষিত মুত্তিযোদ্ধারা নিজকে এ পরিচয়ে লুকিয়ে রাখেন।কারন যে কোন সময়ে তিনি ফেইক হয়ে যেতে পারেন।মুত্তিযোদ্ধারা যে কোন অবস্হায় নিজ দেশে থাকাই পছন্দ করার কথা।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: দেখুন, পড়ুন, তারপর লিখুন।

মুত্তিযোদ্ধারা যে কোন অবস্হায় নিজ দেশে থাকাই পছন্দ করার কথা। খুব চমৎকার বলেছেন তো!
আপনার মাঝেও আমি মুক্তিযুদ্ধের আবেগ দেখতে পাচ্ছি ভাইয়া। আপনিও মুক্তিযোদ্ধা নাকি?

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভেবেছিলাম আপনাকে একটা কড়া জবাব দিব, তা আর হলো না :(

আমি চাঁদগাজী ভাইয়ের স্পষ্টবাদিতার উদাহরণ দেয়ার জন্য ঐ কমেন্টটা করেছি। স্পষ্টবাদিতা কী? সহজ কথায় মুখের উপর উচিত কথা বলে দেয়া। এই উচিত-অনুচিতেরও তো সংজ্ঞা আছে, তাই না? আমার কাছে যেটা উচিত মনে হয়, আপনার কাছে সেটা উচিত না-ও মনে হতে পারে। তবে, অধিকাংশ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য কথাটাকেই সার্বজনীন উচিত বা স্পষ্ট কথা বলা যেতে পারে। চাঁদগাজী ভাইয়ের কথাগুলো খুব স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। তিনি কমেন্ট করেন তাঁর মত অনুযায়ী। কিন্তু ওটা যে চিরসত্য, বা সঠিক, তা কে বলেছে? আমি ব্লগে তাঁর কমেন্ট যতখানি পড়েছি, তাতে ব্লগারদের বিভিন্ন পোস্টে তাঁর কমেন্ট, বিতর্ক, কিংবা তাঁর পোস্টে অন্যান্যদের কমেন্টে তাঁর উত্তর দেখে আমার মনে হয়েছে, তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মূল উত্তর এড়িয়ে গেছেন, কিংবা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছেন, অথবা ভুল উত্তর দিয়েছেন। যাঁরা তাঁর উপর ক্ষেপেছেন, আমার মনে হয় এগুলোই সেই ক্ষেপার প্রধান কারণ। অথচ, তার হাবভাব দেখে মনে হয় তিনিই সঠিক, এবং বাকিরা সঠিক নন।

শুরু থেকেই চাঁদগাজী ভাইকে আমার পোস্টে নিয়মিত পেতাম। তাঁর কমেন্ট ভালো লাগতো। তাঁর কমেন্ট আমার কাছে কখনো চাঁছাছোলা মনে হয় নি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা - এটা জানার পর তাঁকে আমি 'সেলুট' দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছি। তাঁর প্রতি কোনো সম্মানের কমতি কখনো ঘটে নি। কোনো এক পোস্টে তাঁর সাথে অন্য এক ব্লগারের বাক-বিতণ্ডা দেখে আমি সেই ব্লগারের উপর একটু মনক্ষুণ্ণ হই এবং সেই ব্লগারের পোস্টে অনেকদিন যাই নি (দেখুন, ঝগড়া লাগলো চাঁদগাজীর সাথে, আর বয়কট করলাম আমি :) ) এবং আমার পোস্টে চাঁদগাজী ভাইয়ের কোনো অসঙ্গত কমেন্ট কখনো পাই নি। চাঁদগাঁজী ভাই যদি পুরোনো (অন্যান্য নিকে) হয়ে থাকেন, এবং এখনো যাঁরা পুরোনো ব্লগার আছেন, তাঁরা জানেন, ব্লগে আমি কতখানি ধারালো/ঝাঁঝালো/পাতলুন-খোলা কমেন্ট করে থাকি। আমি যতখানি কড়া কমেন্ট করেছি, একটা লেখার রগে-রগে ঢুকে ব্যবচ্ছেদ করেছি, চাঁদগাজী ভাই কখনোই অতোখানি যান নি, এবং সহজাতভাবে সেই কারণেই তাঁর (কিংবা যাঁরা স্রোতের বিপরীতে ভিন্ন মত পোষণ করেন) কোনো কমেন্টকে আমার কাছে কখনো নেগেটিভ মনে হয় নি, মনে হয়েছে গঠনমূলক, যেটা আমি সবার কাছ থেকেই প্রত্যাশা করি।

ব্লগে আমাদের স্বাভাবিক প্রত্যাশা হলো- আপনি পোস্ট পড়ে প্রশংসা করবেন। স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলো- যে-কেউ একটা নেগেটিভ/গঠনমূলক কমেন্ট করলেই আপনি তাঁর তের-হাত নিয়ে নেবেন। এবং এ কথা বলতে ছাড়বেন না- 'আপনি মনোযোগ দিয়ে আরেকবার পড়ে বুঝতে চেষ্টা করুন, আমি কী বলতে চেয়েছি।' এ হলো একজন পাঠকের বুদ্ধিমাত্রার উপর চপেটাঘাত করা। যাঁদের অনুভূতি খুব সূক্ষ্ম, তাঁরা কোনো লেখকের কাছ থেকে এমন প্রত্যত্তর পেলে আর কোনোদিনই ঐ ব্লগারের পোস্টে যেতে মনস্ক হবেন না। চাঁদগাজী ভাইয়ের পোস্টে কোনো কোনো সময়ে কমেন্টের উত্তর এমন হয়ে যায়। ফলে, কমেন্টদাতাদের ইগো-তে আঘাত লাগে।

তিনি খুব সংক্ষিপ্ত কথা লেখেন, যেমন তাঁর পোস্টও যতখানি হওয়া প্রয়োজন ততোখানি হয় না। তাঁর যুক্তি হয়ত এটাই, যে বড়ো পোস্ট আমরা পড়বো না। হয়ত, পাঠক আকৃষ্ট করার এটা তার একটা চালাকি/কূটনীতিও হয়ে থাকতে পারে। তাঁর কমেন্ট/পোস্ট সংক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে অনেক সময়েই মূল উদ্দেশ্য অব্যক্ত থেকে যায়। গণ্ডগোল বাঁধে সেখান থেকে।

তাঁর সবচেয়ে বড়ো গুণ হলো তিনি অসীম ধৈর্যের অধিকারী। এ কথা তাঁর পোস্টে/অন্যদের পোস্টে বেশ কয়েকবার বলেছি। আমি নিজেও তাঁর উত্তর দেয়ার বিষয়ে বিরক্ত হয়ে তাঁকে রাগানোর চেষ্টা করেছি। উনি রাগেন নি বলে আমি নিজেই নিস্তেজ হয়ে ফিরে এসছি :(

তাঁর খারাপ দিকগুলো ব্লগার খায়রুল আহসান, ভ্রমের ডানা, ওমেরা, পদাতিক চৌধুরী, পাঠকের প্রতিক্রিয়া সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। যাঁরা তাঁর সম্পর্কে জানেন, বিশেষ করে নূর মোহাম্মদ নুরু ভাই, আহমেদ জী এস ভাই, তাঁরা টু দ্য পয়েন্ট তাঁর নেগেটিভ পয়েন্টগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হবেন।

চাঁদগাজী ভাইকে ভাব নেয়া ভাবটা ছাড়তে হবে। বিচার মানি না, গাভীগুলো আমার ভাব নিয়া থাকলে তিনি তোপের মুখ থেকে কখনোই ফিরতে পারবেন না।

ও, তাঁকে রাগানোর চেষ্টা করেছিলাম। প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দেখান নি ঠিকই, কিন্তু তাঁর নীরব প্রতিবাদ হলো- আমার পোস্টে এখন তাঁকে দেখি না :(

আমার এই কমেন্টের সাইজটা চাঁদগাজী ভাইয়ের যে-কোনো পোস্টের চাইতে বড়ো হয়ে গেছে :( আমি আগে এর চাইতেও লম্বা কমেন্ট করতাম কিন্তু। (এখন সময় নাই। )

ভালো থাকবেন।


২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা নেগেটিভ কমেন্ট করলে পোস্টদাতার কেমন লাগে, এবং রিয়্যাকশন কীরকম হয়, তা দেখার জন্য ছিল আমার প্রথম কমেন্ট। চাঁদগাজী ভাইয়ের কমেন্টেও সবার এরকম রিয়্যাকশন হবার কথা।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার কি ধারণা ছিল? আমি চাঁদগাজীর মত রেগে গিয়ে রূঢ় প্রতিমন্তব্য করবো?
:)
ভালো, আমি অনেক কিছুই লিখতাম, তবে চাঁদগাজী স্বয়ং এসে সুন্দর মন্তব্য করে গেছেন। আশা করি আপনার ক্ষোভ প্রশমিত হবে ভাইয়া।
ছোট্ট একটা পরামর্শ দিই আপনাকে, আমাকে অন্য কারো আয়নাতে জাজ করবেন না প্লিজ।

ভেবেছিলাম আপনাকে একটা কড়া জবাব দিব, তা আর হলো না =p~ কড়া জবাবটা কেমন হত জানতে মন চায়, মিস করলাম!

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি সহব্লগারদের মন্তব্যগুলো পড়ছি; আশাকরি, আমার সমস্যাগুলো শোধরাতে সাহায্য করবে। আমার মনে হয়, আমার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, আমি যখন ভাবি, আমি নিজকে মোটামুটি ঠিক করেছি, তখন নতুন সমস্যা ধরা পড়ে।

প্রায় সাড়ে ৩ বছর পুর্বে, একজন রাজনৈতিক লেখক ব্লগার আমার "ব্যান" চেয়ে এক পোষ্ট দেন; ৩/৪ ঘন্টায়, ১৬০ জনের বেশী কমরন্ট করেন ও আমার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন; আমি ব্যান ম্যানকে খুবই ভয় পাই; আমি নিজকে বদলাতে থাকলাম। এর ১৫/২০ দিন পরে, ততকালীন সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত গল্পকার আমার ব্যান চেয়ে পোষ্ট দেন; ওখানেও কমেন্টে ভরে গেছে; আমি ভয়ে বদলাতে শুরু করলাম; কমেন্ট করে, উহাকে বারবার পড়ে টড়ে তারপর বাটন টিপছিলাম। মাসখানেক পরে, এক ধর্মীয় ব্লগার আবার আমার "ব্যান" চেয়ে পোষ্ট দেন; আমার নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো; যাক, নিজকে বদলায়ে মদলায়ে, আমি কোনভাবে টিকে গেছি।

এখনকার ব্লগারদের ভালো দিক হলো, কেহ কারো "ব্যান" চেয়ে জিহাদ ঘোষণা করে না; ব্লগিং'এ এটা বিরাট পরিবর্তন; আমি নিজকে বদলানোর চেষ্টা করছি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: ব্লগে নাকি বয়সের কোন ব্যপার থাকে না। এই কথাটির সাথে আমি খাপ খেতে পারছিনা, বয়সের ব্যবধানের কারণে আমি আপনাকে কোন প্রকার পরামর্শ দেবার মত হিম্মত পাচ্ছি না। আমি কেবল আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। রুঢ়তার ব্যপারে সিনিয়র ব্লগারেরা কি বলছে তা যদি আপনি দেখে থাকেন তবেই আমার চেষ্টা সফল হবে।

২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:১৭

খনাই বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি ভুলেই যাই চাঁদ গাজী নিকটা কোনো বয়স্ক ব্লগারের !
সমালোচনা ঠিক আছে I কঠিন হলেও ঠিক আছে I কিন্তু শ্লীল অশ্লীলের মাত্রাটা থাকতেই হবে ব্লগের লেখায় I উনার লেখায়, সামলোচনায় সেটা থাকেনা প্রায়ই I খায়রুল আহসান ভাই যেটা উনার প্রসঙ্গে যা বলেছেন "ওনাকে ওনার অপছন্দের রাজনীতিকদের নিয়ে অত্যন্ত রূঢ় ও অশালীন মন্তব্য করতে দেখা যায়" সেটা খুবই সত্যি I কেউ সেটা সহ্য করবে কি করবে না সেটার চেয়েও বড় কথা হলো এটা কোনো সুব্লগারের বৈশিষ্ঠ্য হতে পারেনা I এই বৈশিষ্ট্যটাই উনার লেখায়, মন্তব্যে আছে, খুব প্রকট ভাবেই আছে I আর দেশীয় ও বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে চাঁদগাজী সাহেবের জ্ঞান খুব বেশি অনেকেই বলেন, কেন বলেন আমি জানি না I উনার লেখায় খুব বেশি স্ট্যাটিস্টিক্সতো কখনো থাকেনা যা উনার বক্তব্য জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে I কোনো ব্যাক আপওতো থাকেনা এক্সপার্ট এনালালিস্টের বক্তব্য দিয়ে I বরং খায়রুল আহসান ভাইয়ের মন্তব্যটা এখানেও সত্যি যে উনার রাজনৈতিক লেখাগুলো খুবই বায়াস উনার নিজস্ব পছন্দ দিয়ে I উনার রাজনৈতিক লেখাগুলোকে সমসাময়িক রাজনীতির কোনো ভারসাম্যমূলক কোনো এনালাইসিস না, আমি বরং একান্তই উনার নিজের মন্তব্য হিসেবেই দেখতে পছন্দ করি I যেহেতু লেখাগুলো উনার পুরোপুরি ব্যক্তিগত মতামত তাই সেটা নিয়ে সমালোচনার কিছু আছে বলেও আমি ভাবি না যতক্ষণ শালীনতার রেখা না অতিক্রম করে I তবে অন্যান্য সহ ব্লগাররা ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়লে তাদের সমর্থন দেবার কাজটা চাঁদগাজী সাহেব খুব আন্তরিকভাবেই করেন যেটা আমাদের অনেক সিনিয়র ব্লগার করতে পারেন না I শুধু এই কারণেই বড় একটা ধন্যবাদ উনার সব সময় প্রাপ্য ব্লগারদের কাছ থেকে I এছাড়া সম্ভবত সব ব্লগারের সেফ হবার পরের প্রথম লেখাতেই উনার গ্রিটিংস থাকে I সেটাও খুব ভালো দিক উনার ব্লগার হিসেবে I

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি সত্যি বলছি, অশালীন মন্তব্যের পোস্ট আমি দেখিনি। বলেছি তো তাঁর রাজনৈতিক পোস্ট আমি খুব একটা পড়ি না।

আচ্ছা বলুন তো, অশালীন মন্তব্য করার সুযোগ কে ছেড়ে দেয়? এমন অনেকেই আছেন, নিজের নিক থেকে কড়া ভাষায় মন্তব্য না করে আরেক মাল্টি নিক থেকে রাগ ঝাড়েন, সেই রাগ ঝাড়তে গিয়ে তাঁরা শালীনতার মাত্রাটা প্রায়ই লঙ্ঘন করেন। চাঁদগাজী নিক তো একটাই, ভালো হলেও তিনি, আবার (আপনার বক্তব্য অনুযায়ী) অশালীন হলেও তিনি। উনি লুকিয়ে অন্য নিকে গিয়ে রাগ ঝারাঝারি করেন না। এই বিষয়টা কি আপনার খেয়ালে আছে।

আর বেশি কিছু বলতে চাই না, আপনার আগের মন্তব্যে চাঁদগাজী কি বলেছে সেটা দেখুন, হয়তো আপনার ক্ষোভ প্রশমিত হতে পারে।

২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০৩

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট! অভিনন্দন অচেনা হৃদি আপু।
সামুতে আমার অল্প কজন প্রিয় ব্লগারদের মধ্য চাঁদগাজী ভাই একজন। আমি ব্লগে যতোটা পড়ি, তারচে কম মন্তব্য করি, লিখি তারচেয়েও কম। সৌভাগ্যের বিষয় প্রায় শুরু থেকেই চাঁদ গাজী ভাই আমার লেখায় মন্তব্য করতেন। সব সময় যে তাঁর মন্তব্যের সাথে একমত হতাম তাও কিন্তু নয়। একটা সময় পোষ্টে রাজীব নুর ভাই আর চাঁদগাজী ভাইএর মন্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত কেমন যেন একটা অপূর্ণতা থেকেই যেতো মনের ভেতর। যদিও ইদানিং তিনি আমার ব্লগে গেলেও (সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন, থেকে বুঝি) মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছেন অজানা কারণে। সেটা নিয়ে এ মন্তব্যে ভাবনা নয়।
রান্নায় অনেকে বেশি তেল পছন্দ করেন, বেশি তেলের খাবার সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চাঁদগাজী ভাইএর রান্না তেলবিহীন স্বাদের দিক দিয়ে তা তেমন সুস্বাদু না হলেও স্বাস্থ্যপ্রদ। যে বুঝার, সে বুঝে। মানুষের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, চাঁদগাজী ভাইএর সীমাবদ্ধতা এটাই। তিনি প্রয়োজনে পরিমিত তেলও ব্যবহার করেন না। তাই বলে অস্বাস্থ্যকর কুখাদ্য হয় না তাঁর রান্না। অনেকে তো তেল মেরে মেরে তেলতেলা জঘন্য রান্না করে বসে থাকেন। তেলের ভক্তরা তা ই অবলীলায় গ্রহণ করে বদ হজমে ভোগেন।
আমার ছোট্ট ভাবনায়, চাঁদগাজী ভাই সাদাকে সাদা দেখেন, কালোকে কালো। কেউ তাতে রঙ মেশালে মিশাতে পারেন বা বলতে পারেন, চাঁদগাজী ভাই যা দেখেছেন তিনি তা ই বলে থাকেন। এবং সহজভাবে অবলীলায় বলেন। এটাকে যদি আমরা তাঁর দুর্বলতা মনে করি, করতে পারি। কিন্তু আমি ব্যাক্তিগতভাবে একে তাঁর বৈশিষ্ট্য বা স্বকীয়তা বলেই ভাবি। এবং চাই এটা কেউ পছন্দ করুক বা না করুক চাঁদগাজী ভাই তাঁর বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রাখুক। এটাই আমার প্রিয় চাঁদগাজী ভাইয়ের স্বকীয়তা বা অস্তিত্ব। তিনি যেন তাঁর অস্তিত্ব না হারান।
মানুষের শেখার শেষ নেই। তিনি দেখে, পড়ে, শুনে, বুঝে এবং অভিজ্ঞতার আলোকে যা শেখার তা শিখে নিবেন। (মাঝে মাঝে তিনি কিছু বানান ভুল করে থাকেন, সেটা যে কিছুটা অসাবধানতা বসত হয়, তাতে সন্দেহ নেই। একটু সচেতন হলে তিনি তা শুধরে নিতে পারেন। আর ব্লগে মন্তব্যের ঘরে একবার ভুল হলে সংশোধনের সুযোগ আছে কিনা তা জানা নেই আমারো। হয়তো প্রকাশ করার পর আমার এই মন্তব্যতেও দুএকটা ভুল বের হয়ে আসবে। )
সবাই চাঁদ গাজীভাই নন। চাঁদগাজী ভাইও সবার মতো না। চাঁদগাজী ভাই একজনই। নিজের গুণেই তিনি আজকের এই চাঁদগাজী। কারো পছন্দ-অপছন্দের জন্য তিনি নিজের স্বত্তাকে বিসর্জন দিবেন কেন? শত্রুবিহীন মানুষ নেই, শত্রুমিত্রের ভয়ে তিনি আপোষকামী হোন কখনোই চাই না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনি প্রশংসা করতে গিয়ে তো উনাকে আরেক মুক্তিযুদ্ধে নামিয়ে দিবেন দেখছি। শত্রুবিহীন মানুষ নেই, তাই বলে সবাইকে শত্রু বানিয়ে ফেলাও তো ভয়ংকর, প্লিজ উনাকে আরেকটু সহনীয় হবার পরামর্শ দিন। জীবনে উনি অনেক যুদ্ধ করেছেন, এই ডিজিটাল যুদ্ধেও তিনি লড়তে থাকুন তা চাই না।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উনাকে আমি সম্মান করি, আমি চাই তিনি সবার কাছে সম্মানের পাত্র হোক। আর একারনেই উনার এমন আচরণ করা উচিৎ যেন কেউ উনাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে না পারে।

২৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আসলে চাঁদগাজী ওস্তাদ কোনো সমস্যা নয় সমস্যা যা তা আমরাই।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রতিমন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
কারণ মন্তব্য পরে বুঝতে পারছি না আপনি কি সন্তুষ্ট না অসন্তুষ্ট!

২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: চাঁদগাজি ভাই কে একটাই অনুরোধ তিনি তার প্রেক্ষাপট থেকে মুক্তিযুদ্ধ কে আমাদের সামনে তুলে ধরবেন। কারন আজকাল যারাই ইতিহাস লিখছেন তারা দল কানা বা ব্যাক্তি কানা হয়ে লিখছেন। আমরা সবাই জানি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ডাকেই সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কিন্তু এর পরের ইতিহাস আমাদের সবার কাছে দুর্বোধ্য, যতটুকু ভাসা ভাসা শুনেছি তাতে জানতে পারি যুদ্ধের মধ্যেও রাজনৈতিক কিছু টানাপোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। যাইহোক যেহেতু চাঁদগাজি ওই সময়ের একটা ফ্রেম কে ধারন করেন আশা করি সেই ফ্রেম কে আমাদের মাঝে উন্মচিত করবেন। আমার মনে হয় এটা তার কর্তব্য বা দায়িত্ব যাই বলি এই দুটর মধ্যেই পরে, ব্লগের অনেকেই ওনাকে বয়বৃদ্ধ বলেন কিন্তু আমি যেহেতু ওনাকে দেখিনি তার লেখা পড়েছি আর তার লেখা যথেষ্ট তরুন তাই তাকে তরুন ভাবতেই পছন্দ করি। আশা করি তরুণ চাদ্গাজি ভাই আমাদের কে সেই সব দিনের পথে প্রেন্তরে নিয়ে যাবেন। অপেক্ষায় আছি !!!

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আশা করি তিনি কোন এক সময় লিখবেন।

২৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বয়সে অনেক ছোট হয়েও আপনি বড়দের কাজটা করেছেন । সেই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আপনার একটা কথা ঠিক আমরা কেউ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল নই । আমরা/আমি তেমন কোন কেউকেটা লেখক হয়তো নই কিন্তু সবারই আত্মসম্মান বোধ আছে । সমালোচনা হতেই পারে কিন্তু সেটা আপনার আত্মসম্মানকে তুচ্ছ করে নয় ।

আরো একটা ব্যাপার আমার কাছে মনে হয়, সাহিত্য অংক নয় । এখানে ভুল বলে কিছু নেই । (a+b)^2 এর মতো কোন ফর্মুলা এখানে নেই । সুতরাং ভুল ধরার কিছু নেই । লেখাটা আপনার মনকে কতটুকু স্পর্শ করলো সেটাই তার সার্থকতা ।
আমি লিখি আনন্দের জন্যও, পড়িও আনন্দের জন্য । আনন্দ না পেলে বিনা মন্তব্যে বেরিয়ে আসি । প্রতিটা মানুষই ভিন্ন, আমি প্রতিটা মানুষকেই সম্মান করতে চাই, তাঁর লেখা পড়তে চাই - আনন্দের জন্য ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

অচেনা হৃদি বলেছেন: বয়সে অনেক ছোট হয়েও আপনি বড়দের কাজটা করেছেন ।
আপনারা বড়রা যদি করতেন আমাকে এনিয়ে পোস্ট দিতে হত না ভাইয়া।

২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

মিথী_মারজান বলেছেন: বর্তমান সামুকে সচল রাখার ফুয়েলটাই হচ্ছে চাঁদগাজী সাহেব।
দারুণ এ্যাক্টিভ একজন ব্লগার সেইসাথে খুব মনোযোগী একজন পাঠক।
উনার কিছু কমেন্ট মাঝেমাঝে কঠিণ শোনালেও আমি খুব খেয়াল করে দেখি মন্তব্যটা প্রাসঙ্গিক থাকে।
৭ নং আর ২২ নং কমেন্টেটির পর আমার আর নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন দেখছিনা।
রাজনীতির ব্যাপারগুলো আমি বুঝিইনা তাই উনার এসব পোস্টে কিছু বলার থাকেনা আমার তবে উনার অন্য পোস্টগুলো চমৎকার হয়।
উনার মত সেন্স অফ হিউমার আমি খুব কম ব্লগারের মধ্যে দেখেছি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: উনার মত সেন্স অফ হিউমার আমি খুব কম ব্লগারের মধ্যে দেখেছি।
;)


=p~

২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় বলি- চাঁদগাজী একজন গ্রট ব্লগার।


সময় থাকলে একবার দেখুন-
দেখুন- পড়ুন জানুন

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
আপনার লেখা অনেক আগেই পড়েছিলাম ভাইয়া, এটা তো সেই সময়ের লেখা যখন আমি চাঁদগাজীকে কংস মামা বলে মনে করতাম !

২৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০১

রক বেনন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ হৃদি, চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দেয়ার জন্যে। অনেকেই ভুলে যান যে, লিখালিখিতে ভুল থাকতেই পারে আর অন্তত একজন আছেন এই ব্লগে যিনি আপনার সেই ভুল ধরিয়ে দিয়ে আপনাকে একজন শক্ত ব্লগার হতে সাহায্য করবেন। ব্লগ আর ফেসবুক যে এক জিনিষ নয়, সেটাও অনেকে ভুলে যান। কাভা ভাইয়ের পোস্ট পড়ে জেনেছি এই ব্লগের ইতিহাসে সব থেকে জঘন্য আক্রমন করা হয়েছে শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজীকে লক্ষ্য করে। তার কিছুটা আমি নিজেও দেখেছি। তারপর ও উনি এই ব্লগে ধৈর্য সহকারে ব্লগিং করে যাচ্ছেন। আপনার এই পোস্ট পড়ে সত্যিই অনেক অনেক ভাল লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ হৃদি।

পুনশ্চঃ শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীদের মত মানুষ না থাকলে যে অভ্র, বিজয়ের সৃষ্টি হতো না, ফেসবুকে উর্দুতে পোস্ট দিতে হতো আর সামু ব্লগ খোলার অপরাধে আর ব্লগে লিখার অপরাধে হাতের আঙ্গুল কেটে দেয়া হতো- এই কথাগুলো কেউ বিশ্বাস না করলেও আমি অন্তত করি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১০

অচেনা হৃদি বলেছেন: জ্বালাময়ী মন্তব্য!

হেই মিস্টার ওয়েস্টার্ণ গাই, ওয়েস্টার্ণ চেহারার সবাই কি একটু এরকম বিপ্লবী হয়? ;)

(পুনশ্চতে যা লিখেছেন সেগুলোর জন্য প্রতিমন্তব্যটি করলাম) :)

৩০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

সনেট কবি বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্লগার।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১২

অচেনা হৃদি বলেছেন: জানি, আপনি আরও এক জায়গাতে একথা বলেছিলেন। :)

৩১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথম প্রথম বিরূপ মন্তব্য সহ্য করার ক্ষতমা অনেক ব্লগারের থাবেনা।

তাই চাঁগাজীর ধারালো মন্তব্য তাকে শত্রুতে পরিনত করে। সবাইকে বাস্তবতা বুঝতে হবে।

সবাই যে শুধু প্রসংশা করে তা নয় ভুল না ধরলে লেখার মান ঠিক হবেনা কোনদিন।

দুজনের জন্যই শুভকামনা।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: দ্রুত টাইপ করতে গিয়ে কিছু টাইপো হয়ে গেছে! :)
উনার নামটাই দেখে অন্যরকম লাগছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

বিজন রয় বলেছেন: আত্মোপলব্দি!!
গুড।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: হুম

৩৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

হাঙ্গামা বলেছেন: গাজী সাহেব কম মন্দ মানুষ না :P
বয়স, অভিজ্ঞতা জ্ঞান গুনে অনেক এগিয়ে।
তার মন্তব্য পজেটিভলি নেয়া ভালো।

৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ গুন তাকে কেউ মাটির নীচে টেনে নামাতে চেষ্টা করলেও তার উপর মানবিক ক্ষোভ, আক্রোশ বা ঘৃণা বোধ না করা। একেবারেই নির্লিপ্ত মনোভাব। তার পোস্টে কেউ বাজে মন্তব্য বা ছবি দিচ্ছে তাতে তার কিছুই যায় আসে না। আমরা কেউ আমাদের পোস্টে এমন করলে তার দায় যেন আমার দোষ যেন আমার, ত্রুটি যেন আমার ভেবে অস্থির হয়ে পড়ি, সকলকে বুঝানোর চেষ্টা করি দেখো দেখো সে এমন করেছে, তেমন করেছে। অথচ দোষটা কার? ভুলটা কার? মূর্খামীটা কার?

যারা সেসব করে তাদেরই তো...... কাজেই খারাপ কাজের জন্য খারাপ লোক বা মূর্খটার জন্য আমি কেনো অস্থির হবো? আমি কেনো উদ্ভ্রান্ত হবো? অনেকে এই দুস্কে ব্লগ ছাড়িয়া চলিয়াও যান! আহা আহা কি আহলাদ। যুদ্ধের কি ইহাই অস্ত্র! সাহস থাকে তো সন্মুখ সমরে আইস। পিছে থেকে নোংরা ড্রেইন শুদ্ধও চোরের মত ছুড়ে মারলেও সেই চোর সমাজের কীট! তাকে শক্ত হস্তে থু থু এমন নোংরা মানুষদের জন্য হস্ত নহে জুতা পরা পায়ে দমন করো বাট কোনো ভাবেই তাদের দেওয়া দুস্কে দুস্কিত হইও না। মান অভিমান ঐ সব মূর্খ নোংরার জন্য নহে।

এই জিনিসটাই আমাকেও যার আচরণে বুঝতে শিখিয়েছে তিনি ঐ চাঁদগাজীভাইয়াই। তার এই নির্লিপ্ততার অদম্য গুনটিকেই আমি সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। তর্ক বিতর্কে তিনি আছেন বটে। নিজেও কম ছোট করেন না মানুষকে তবে ঐ যে নোংরামী দিয়ে নয়। তর্কে হেরে গিয়ে পিছন থেকে নোংরা ওলা ড্রেইন ছুড়ে দৌড়ে পালানো কাপুরুষের মতন নয়।

তাকে অকুতভয় নির্ভিক সাহসী এবং নির্লিপ্ত অদম্য ও আজকের দিনে যা প্রয়োজন বিশেষ করে ব্লগে- আলোচনা, সমালোচনা, তর্ক বিতর্ক দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করা যেতে পারে তা নয় যা দিয়ে পিছন থেকে দৌড়ে পালায় কিছু মানুষ তা অবশ্যই হাস্যকর পাগলামী ও ছাগলামী এবং বিশেষ করে ভীতু সম্প্রদায়ের মূর্খামীমূলক কার্য্য!

কাজেই চাঁদগাজীভাইয়া জিন্দাবাদ! আরও ১০০ বছর বেঁচে থাকো! :)

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপুর মন্তব্য বেশ ভালো লাগলো।
উনার পেছনে যে সব লোক নোংরামি করত তারা আপাতত রিট্রিট করেছে। নয়তো এতক্ষণ কি আমি শান্তিতে থাকতাম? :)

মণ্ডল ভাইয়ার কাছে শুনেছি, আপনিও নাকি অনেক দুষ্কৃতিকারিকে কেটে এতদূর এসেছেন! আপনাকেও স্যালুট আপু।
আশা করি আপনার মত সকল বাঁধা কাটিয়ে আমিও ব্লগে বিজয়িনী হতে পারবো।

দশ বছর আপনি ব্লগিং করছেন! সত্যিই অনুপ্রেরণা পাই আপনাদের দেখলে।

৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একেবারে প্রথমদিকে চাঁদগাজী সাহেবের কাঠখোট্টা মন্তব্যের কারণে আমার সাথে তাঁর একটু ঠোকাঠুকি হয়েছিল। আমি স্বভাবগতভাবে কারো সাথে ঝগড়া করার মানুষ নই। আর ভার্চুয়াল সম্পর্কের মধ্যে তো একেবারেই নই। ওই ঘটনার পর আমি উনার সাথে আর কখনো কোন উচ্চবাচ্যের মধ্যে না গিয়ে উনার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে লাগলাম। অনেক কিছু জানলামও। তাতে উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হলো। আমি উনার ৮০/৯০ শতাংশ পোস্ট খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। কিন্তু তাঁর প্রায় ৯৫ শতাংশ পোস্টে আমি কোন মন্তব্য করিনি। এর কারণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্লগে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পোস্টে মন্তব্য করি না এবং এ ধরনের পোস্ট নিজেও দেই না। চাঁদগাজী সাহেবের অধিকাংশ পোস্টই রাজনৈতিক। তবে তাঁর বৈদেশিক রাজনৈতিক পোস্টগুলোতে আমি কখনো কখনো মন্তব্য করেছি।
যাই হোক, প্রথম দিকের সেই ঠোকাঠুকির পর থেকে চাঁদগাজী সাহেবও আর কখনো আমার পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করেননি। বরং তিনি আমার লেখালেখিতে উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য করেছেন। আর আগের চেয়ে তাঁর মন্তব্যের ভাষাও অনেকটা নমনীয় বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। তিনি যেমন প্রচুর লেখেন, তেমনি প্রচুর পড়েনও। এটা একজন ব্লগার হিসাবে তাঁর খুব ভালো গুন। আশা করি, ভবিষ্যতেও তিনি ব্লগের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বিরাজ করবেন।

ধন্যবাদ অচেনা হৃদি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।



আপনার মন্তব্যে অনেকগুলো কথা বলার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আপনার মন্তব্য পর্যন্ত আসতে আসতে না বলা কথাগুলো সব বলা হয়ে গেছে। আমি এখন সবার মন্তব্যে শুধু দায়সারা প্রতিমন্তব্য দিয়ে যাচ্ছি।

আপনার মত বড়রা আমাদের জন্য অভিভাবকের মত। প্লিজ সবসময় আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করবেন, আমাদের নবীনদের সঠিক ট্র্যাকে রাখতে পারেন আপনারাই।

চিরসবুজ হেনাভাইয়ের জন্য ভালোবাসা রইল । :)

৩৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

মিথী_মারজান বলেছেন: আমি বাইশ নম্বর মন্তব্যের ক্ষেত্রে শেষের কথাগুলো মিন করেছিলাম। নতুন ব্লগারদের গ্রিটিংস আর ব্লগারদের প্রতি আন্তরিকতার ব্যাপারটা।
আমার ২৭ নং কমেন্টে লেখা ২২ নং কমেন্টটির পাশে শেষের অংশটুকু লেখাটা বাদ পড়ে গেছে।
দু:খিত।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩২

অচেনা হৃদি বলেছেন: এটাতে দুঃখিত হবার কি আছে? আপু আগের মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য দেখুন। ;) =p~

৩৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় হৃদি আপু

এমন এক পোষ্ট দিয়েছেন নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে এখন প্রতিউত্তর করতে থাকুন।

চাঁদগাজী আপনার মত আমারও প্রিয় ব্লগার সেই সেফ হওয়ার আগে থেকে উনি আমার পোষ্টে কমেন্ট করে আসছেন। উনার যথারীতি স্বভাবসুলভ মন্তব্য করে আসছেন। আমারা কেউই লেখক নেই আমাদের লেখায় কিছু না কিছু সমস্যা আছেই, নিজের ভুল নিজের পক্ষে ধরা সম্ভব নয় তাই নেতিবাচক মন্তব্যগুলোকে ভালভাবে নিলেই কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: এমন এক পোষ্ট দিয়েছেন নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে এখন প্রতিউত্তর করতে থাকুনএমন এক পোষ্ট দিয়েছেন নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে এখন প্রতিউত্তর করতে থাকুন। ভাইয়া, এমন একটি কথা বলেছেন যেটা এই মুহুর্তে ধ্রুব সত্য। :)

এই পোস্টে প্রতিমন্তব্য করতে খবর হয়ে যাচ্ছে। আসল কথা সব বলা হয়ে গেছে, এখন আমি যে সকল প্রতিমন্তব্য করছি সবই আনুষ্ঠানিকতা। ;) (সত্যটা বলে ফেললাম)

প্রতিটা মন্তব্যে কি উত্তর দিতে হবে সব গুলিয়ে ফেলছি, বারবার কথার খেই হারিয়ে ফেলছি। বড় কথা হল, এমন একটা পোস্ট দিলাম, নাওয়া খাওয়া বাদ না দিলেও পড়ালেখা বাদ দিয়ে এটা নিয়ে পড়ে আছি। ইচ্ছে করছে আমার স্বভাবসুলভ রসালো কথায় প্রতিমন্তব্য করতে। কিন্তু যে গুরুগম্ভীর পোস্ট দিলাম, রস রসিকতার প্রতিমন্তব্য এটার সাথে যাচ্ছে না! :(

দোয়া করবেন। ধন্যবাদ! :)

৩৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার প্রিয় একজন ব্লগার চাঁদগাজী।
খোঁচাখুঁচিটা উনার সহজাত। উনার লিখা থেকে জানতে পারি, আমেরিকাতেও উনি 'ঝামেলা পাকাতে' তৎপর থাকেন।
এক লিখায় তিনি লিখেছেন, --- এক কোণে বসে এক আফ্রিকান আমেরিকান কালো চশমা চোখে, হাতে-ধরা একটা ডিভাইসে সিনেমা দেখছে; মনে হয়, ভয়ের সিনেমা, এক মেয়ের ভীতিপুর্ণ চীৎকার শোনা যাচ্ছে! তারপাশে গিয়ে বসলাম; মনে হয়, তার সাথে আলাপ জমানো যাবে!

-কেমন আছ, ভয়ের সিনেমা দেখছ?
-না, সাধারণ ডিটেকটিভ!
-কালো চশমা পরে, ডিটেকটিভ সিনেমা দেখছ, পুলিশ কি তোমাকে খুঁজছে?
-আরে না, পুলিশ টুলিশ না, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ডান চোখ ফুলে গেছে!
-বামহাতী গার্লফ্রেন্ড নিয়ে রবিবারে পার্টি করে বেড়ালে ডান চোখ তো ফুলবেই, সৌভাগ্য যে, একটা ভালো আছে!
-পার্টি মার্টি আরো ১০ বছর আগে ছেড়ে দিয়েছি!
-গতকাল তো ঠিকই কয়েক গ্লাস হুইস্কি চালান করে দিয়েছ; তারপর, অন্যের মেয়ে নিয়ে টানাটানি করেছ নিশ্চয়!
-আরে না, এখন সেই বয়স, আর সেই আয় আছে নাকি! ৪/৫টা বিয়ার খাইছি মাত্র।
-তো, ঘুষি কে মারলো, তোমার গার্লফ্রেন্ড, নাকি অন্য মেয়ের বয় ফ্রেন্ড?
-আরে না, সেই রকম কিছু ঘটেনি; ঘুম থেকে উঠে দেখি চোখ আপনা-আপনিই ফুলে গেছে!
-৪/৫ টা বিয়ারের পর এই অবস্হা, কে ঘুষি মারছে, সেটারও খবর নেই; চোখ আপনাআপনি ফুলে নাকি?
তিনি আপ্রাণ চেস্টা করে গেছেন ঝামেলা পাকাতে =p~
একটু পরে লিখেছেন- আমার সামনে ৬/৭ জন রোগী, হাতে ঘন্টাখানেক সময় আছে; বাইরে গিয়ে হেঁটে আসি, সম্ভব হলে, ছোটখাট গন্ডগোল মন্ডগোল করা যাবে। =p~ =p~
তবে গাজি ভাই অনেক মজার মানুষ, রসবোধ অসাধারণ। উনার অনেক কমেন্ট পড়ে আমি দির্ঘক্ষন হেসেছি।
উনার একটা লিখার অংশ বিশেষ আমার খুব পছন্দ হওয়ায় উনার নাম উল্যাখ করে আমি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। ফোনে নেতাদের প্রচ্ছন্ন হুমকির কারনে ১ ঘন্টা ২৪ মিনিটে পোস্টটি সরিয়ে নিতে হয়েছে। :) :) মজার ব্যাপার ততক্ষনে পোস্টটি লাইক পড়েছে চার শতাধিক আর ২৩ বার শেয়ার হয়ে গিয়েছিল।
আমার ধারনা গাজী ভাই কিছুটা নিঃসঙ্গ মানুষ। এ ধরনের মানুষদের কোন বন্ধু থাকেনা। ব্লগে সময় কাটিয়ে তিনি নিঃসঙ্গতা দূর করেন। সামুর ব্লগাররাই উনার বন্ধু, উনার শত্রু।
আমরা সকলেই সহনশীল হওয়া উচিত।
শুভ কামনা গাজী ভাই। শুভ কামনা অচেনা হৃদি ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার সেন্স অব হিউমারও সর্বজনবিদিত! আমার কাছে আপনার কৌতুকময় কথা ভালো লাগে। :)

আর হ্যাঁ, আমার সেন্স অব হিউমার কিন্তু খারাপ নায়, কিন্তু আজ এমন এক পোস্ট দিলাম, প্রতিমন্তব্যে সেন্স অব হিউমারের স্বাক্ষর রাখতে পারছি না। গম্ভীর একটা পোস্ট দিয়ে 'মাইনকা চিপায়' আঁটকে গেছি। :(

এমন নিরস পোস্টে একটুখানি হাসি জোগানোয় আপনাকে ধন্যবাদ। :)

৩৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন:
সবার আগে জনাব চাঁদগাজী ও কাওসার ভাইয়ার প্রতি রইল আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

হৃদি আপু, সমালোচনা কখনো খারাপ না। আমি অন্তত সেটা মনে করিনা। সমালোচনাই পারে আমাকে আরও বেশী ইম্প্রভ করতে যদি আমি সেটা পজিটিভ ভাবে নেই। কিন্তু সেই সমালোচনাটাও এমন ভাবে হতে হবে যেন সেটিকে আমি পজিটিভ ভাবে নিতে পারি । একটা ভালো কথাও আপনি যদি বাকা ভাবে বলেন সেটি কিন্তু তখন আর ভালো লাগবেনা আবার একটা নেগেটিভ কথাও অনেক সময় ভালো লাগে সেটি বলার ধরনের উপর। কিন্তু সমালোচনা আর আক্রমণাত্মক কথাবার্তা কিন্তু এক না।

ভুল সবারই হবে। আমরা কেউ ভুলের উর্ধে নই। ভুল হলে অবশ্যই সেটি শুধরিয়ে দেওয়া উচিত। এতে কিন্তু লেখকের উপকার হয়। কিন্তু আপনার ভুলটা আপনাকে ধরিয়ে দেবার পর, যখন আপনার সেই পোস্ট টা ছাড়া ও অন্যান্য পোস্ট এও আপনার সেই ভুলটাকে অস্র হিসেবে নিয়ে বারবার আপনাকে আক্রমন করা হবে ও সেই একই বিষয়ে বারবার খোঁচা দেওয়া হবে তখন কি আপনার ভালো লাগবে? আপনি কি রিয়াক্ট করবেন না তখন?

সবাই চায় তার লেখা সবার ভালো লাগুক এবং সবাই ভালো ও সুন্দর মন্তব্য করুক। স্বজনপ্রীতি সব জায়গায়ই আছে তবে আমার মনে হয়না, ব্লগে সাধারণত এমনটা হয় যে কারও লেখা ভালো না লাগলেও কেউ শুধুমাত্র স্বজনপ্রীতির কারনে সেই লেখাকে বাহবা দেয়। আর যে সব মানুষ ভুল ধরিয়ে দিবে তারা আশীর্বাদ একজন লেখকের জন্য।

চাঁদগাজী সাহেব সামু ব্লগের গৌরব। তিনি হয়তো একটু বাকা বাকা করে কথা বলেন, উনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটাই এমন কিন্তু উনার মনটা ভালো। আমরা সবাই তাকে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। তবে তিনি কাওসার ভাইয়াকে নিয়ে একটু বেশী খোঁচাখুঁচি করেছেন, শুধুমাত্র কাওসার ভাই এর নিজের পোস্ট ছাড়াও তিনি যদি অন্যান্য পোস্ট এও একই বিষয় নিয়ে বারবার খোঁচা দিয়ে কথা না বলতেন তাহলে হয়তো কাওসার ভাইও রিয়াক্ট করতো না। তাই ভাইয়াও বাধ্য হয়ে রিয়াক্ট করেছেন, যেটা আপনি হলেও করতেন, এখানে ইগোর কোন সম্পর্ক নেই। বাট, কাওসার ভাই কিন্তু চাঁদগাজী সাহেবের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। কাওসার ভাই যথেষ্ট ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ ও অমায়িক কিন্তু যখন একটা বিষয় একটু বেশী ও বারবার হবে তখন সেটা নিয়ে কথা তো বলতেই হবে।

আর প্রিয় চাঁদগাজী সাহেব আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি। আপনি আমার নানা দাদার বয়সী। আমার আবার নানা দাদা দের খুব ভালো লাগে। মুরব্বী হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে ধমকা ধমকি করতে পারেন, ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন এটাই ঠিক কিন্ত ভুলের জায়গাটা কে সেখানেই সমাপ্তি দিয়ে আবার নতুন করে ভালোবাসা নিয়ে একসাথে চলব সবাই এটাই প্রত্যাশা। আর ভুল বুঝাবুঝি হবেই তারপরেও আমরা সব ভুলে মিলে মিশে থাকবো আশা করি। আমি ঝামেলা পছন্দ করিনা তাই ঝামেলা হবে এমন কথা কম বলি আর যখন বলি তখন কখনো কারও পক্ষ নিয়ে কথা বলিনা, যেটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় সেটাই বলি । আমার কথায় যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি ক্ষমা প্রার্থী।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু, শ্রম দিয়ে আমার পোস্টে বড় একটি মন্তব্য করলেন। আশ্চর্য, আপনার নিজের পোস্টও তো এতো বড় হয় না।
এনিওয়ে, ভালো লাগলো। আর যেসব মত দিয়েছেন সেগুলো ইতিমধ্যে বিশ্লিষ্ট হয়ে গেছে, :) তাই প্রতিমন্তব্যে আমার তেমন কিছুই বলার রইল না।

ভালো থাকবেন আপু।

৪০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

সিফটিপিন বলেছেন: আমি চাঁদগাজীর সব ধরনের মন্তব্য খুব উপভোগ করি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: করুন, আপনি নিজে উনার ফুটানো হুল খাননি মনে হয় কখনো, যদি কখনো খান তাহলে টের পাবেন। :) শুভকামনা রইল।

৪১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেবের উপর আমিও বিরক্ত ছিলাম। তবে উনার সম্পর্কে জানার পর আর খারাপ লাগে না। বরং ভালোই লাগে।
আজকাল কেউ ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতে চায় না, সস্তা প্রশংসা করে.... তিনি সেটা করেন না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: স্রোতের বিপরীতে তিনি, কিন্তু এভাবে যুদ্ধ করে টিকে থাকার কি প্রয়োজন, স্রোতকে নিজের অনুকূলে ঘুরিয়ে দিতে পারলেই তো উনার মঙ্গল হবে। :)

৪২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

গরল বলেছেন: আমি সৌভাগ্যবান কারণ উনি আমার কোন পোষ্টে কখনও কোন খারাপ মন্তব্য করেন নাই বড়ংচ উৎসাহ পেয়েছি। উনার অনুরোধেই আমি জাপানের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে দইটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। আরও কিছু অনুরোধ করেছিলেন রাখতে পারি নাই সময়ের অভাবে। যাই হোক উনি আমার কোন পোষ্টে মন্তব্য না করলে আমি সেটা মুছে দেই, মানে সেটা কোন জাতের পোষ্ট না ;) । উনি হচ্ছেন ব্লগের BSTI বা স্ট্যান্ডার্ড :P । উনার সাথে আমার বিরোধ শুধু সমাজতন্ত্র নিয়ে তারপরেও আমি উনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: উনার সাথে আমার বিরোধ শুধু সমাজতন্ত্র নিয়ে তারপরেও আমি উনাকে অনেক শ্রদ্ধা করি। :)

ভাইয়া কি জাপান থাকেন?

৪৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

রাকু হাসান বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনাম পড়ে ,একটি অজানা ভয় কাজ করছিলো আমার , এই বুঝি কিছু একটা শুরু হলো ,কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিলাম। ভাল ই চেষ্টা করেছেন যাতে পোস্ট নিতান্ত এক পক্ষীয় আক্রমন নয় ,সে চেষ্টায় সফল বলা যায় ।

স্যার চাঁদগাজী ও কাওসার চৌধুরি বড় হিসাবে দেখি । এ দু জন মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করি । স্যার চাঁদগাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা ,যিনি আমার বাবার বয়স থেকে বেশী হবেন , সে হিসাবে যথেষ্ট সম্মান দেখনো,আমার নৈতিক দায়িত্বের ভিতরে পরে ,কাওসার ভাই বলতে গেলে নতুন তবু তাঁর লেখা ,বিশ্লেষন আমার খুব ভাল লাগে , শ্রদ্ধার পাত্র এসব হিসাবে দুজনই আমার ভাল লাগার মানুষ । তাঁদের সাম্প্রতিক কোঁন্দল আমাকে ব্যাপাক ভাবে মর্মাহত করেছে । একজন নতুন হিসাবে আপনাদের কাছে আমার করজোড়ে চাওয়া আমাকে(নবীনদের) সুন্দর একটি ব্লগীয় পরিবেশ উপহার দিন ,আমরাও চেষ্টা করবো এমন একটা পরিবেশ রেখে যেতে।

চাঁদগাজী সাহেব ও শ্রদ্ধেয় কাওসার ভাই সব সময় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন আমাকে । স্যার চাঁদগাজীর একটা বিষয় খুব ভাল লাগে তাঁর সমাজ দর্শন ,একটু ভিন্ন দিকে গিয়ে ভাবেন । এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর । তাঁর একটি কমেন্ট আমাকে খানিক খারাপ লাগা দিয়েছিল ,কিন্তু সেটা হজম করার মত ক্ষমতা পেয়েছিলাম । তাঁর কমেন্ট টি সত্যিই বাস্তব সম্মত ও সাহসী ছিল। নতুন বা প্রবীণ তিনিসত্য টা বলতে পিছবা হন না , কাওসার ভাই কমেন্ট এ যে মন্তব্য রেখে গেছে সেটা যেন না হয় ,চাইবো । সেটার ভাল মন্দ যাচাই করার বা সে ব্যাপারে মন্তব্য সঠিক স্পষ্ট মন্তব্য রেখে যাওয়ার মত আামার সাহস ,জ্ঞান ,হিম্মত কোন টাই আমার নেই ।

ভ্রমরের ডানার মত আমি ও চাঁদগাজী সাহেব কে অনুরোধ করবো আপনি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন ,মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে জানতে পারলে উপকৃত হব । এবং গর্ব ও হবে যে এমন একজন মুক্তিযোদ্ধা আমার পোস্টেও কমেন্ট করতো , তাঁর লেখা খুব কাছ থেকে পড়ে মন্তব্য জানানোর সুভাগ্য হয়েছে আমার ।

শ্রদ্ধেয় বড় পদাতিক চৌধুরি ভাইয়ার মত আমিও কামনা করি এমন দুজন গুনি মানুষের দ্রুত বৈরিতার অবসান ।


আমি খুব অবাক হই চাঁদগাজী সাহেবের ব্লগ এর প্রতি ভালবাসা দেখে ,এতটি বছর চাট্টিখানি কথা নয় । আমি উভয় জনের লেখা পড়ার জন্য মুখিয়ে আছি ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: আশা করি উনারা আর বৈরীভাব পোষণ করবেন না।

আপনার কামনা বাস্তব হোক। হ্যাপি ব্লগিং ভাইয়া।

৪৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি মনে করি সমালোচকরা এক জন লেখক বা যে কোন পেশার মানুষের সব চেয়ে বড় উপকারী। উনাকে বন্ধুও বলা যেতে পারে। আমাদের উচিত যে কোন ধরনের সমালোচনাকে সহজভাবে গ্রহণ করা। কেননা, সমালোচনার ভেতরও অনেক পরামর্শ লুকায়িত থাকে। এই জিনিস সমালোচক ছাড়া অন্য কারো কাছে পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তিগতভাবে আমি যে কোন ধরনের সমালোচনা শুনতে অভ্যস্ত। আমি আরো মনে আমার চেয়ে অন্যরা অনেক ব্শেী গুণী। আমি তাদের তাদের কাছ থেকে তাদের গুণের কিছুটা পেতে পারি সমালোচনা সহজ ভাবে গ্রহণ করার মাধ্যমে।

আমাদের আরো বেশী সহনশীল ও নমনীয় হবার দরকার আছে।

পোস্টে এ প্লাস।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাটুকু। আমাদের আরো বেশী সহনশীল ও নমনীয় হবার দরকার আছে। কথাটা পছন্দ না করে উপায় নেই। তবে চাঁদগাজী সাহেবেরও বোঝা উচিৎ, সবাই কিন্তু সমান সেন্স নিয়ে সত্য উপলব্ধি করতে পারে না। যে যেভাবে সত্যকে নিতে পারবে তাকে সেভাবেই দেয়া উচিৎ।
যদি আমাদের মুরুব্বিসম চাঁদগাজী এই ব্যপারে একটু কৌশলী হন তাহলে উনার মতামতের উপর কেউ বুড়ো আঙুল দেখাতে পারবে না।

৪৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগার কাওসার চৌধুরী সাহেবকে নিয়ে যে সামান্য কথাবার্তা হয়েছে, সেটা এই রকম: ব্লগার "ব্লগ মাষ্টার" সাহেব ব্লগার খায়রুল আহসান, ব্লগার সেলিম আনোয়ার ও ব্লগার কাওসার চৌধুরীকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন; পোষ্টে, আমি কমেন্ট করেছি, কমেন্টে আমি ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেবকে "ব্লগের আত্মার কবি" ও ব্লগার সেলিম আনোয়ারকে "ব্লগের বিরহের কবি" বলেছি; ব্লগার কাওসার চৌধুরী সম্পর্কে লিখেছি যে, উনি নতুন, অনেক লিখছেন, তবে উনার লেখায় "মৌলিক ভুল" আছে; তখন কাওসার সাহেব আমাকে উদ্দেশ্য করে, একটি "সাময়িক পোষ্ট" দিয়ে আমাকে ধোলাই করেছেন; এটুকুই। ওহ, ঐ পোষ্ট লিখে, ব্লগমাষ্টার নিজেই "জেনারেল" হয়ে গেছেন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: কি ঘটেছিল সব আমি জানি। ব্লগ মাস্টারের জেনারেল পদবী পাবার তথ্যটাও পেয়েছিলাম। আমি মনে করেছিলাম সামুর সিনিয়রদের মাঝে এরকম ঝামেলা সৃষ্টি করিয়ে দেবার কারণে তিনি জেনারেল পদে ডিমোশন পেয়েছেন তাই এই পোস্ট দিতেও আমার মাঝে ভয় কাজ করছিল, না জানি আমাকেও জেনারেল ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয় কি না।

আমি সামুকে ভালোবাসি। ফেসবুক ছেড়ে সামুতে এসেছি কিছু অসভ্য ফেসবুকারের কারণে, এখানে এসে একটু শান্তিতে লিখতে পারছি, এই প্লাটফর্মে আমি সবাইকে ভালোবাসি। যদি আমি এখান থেকে ডিমোশন পাই তবে হয়তো কষ্টের সীমা থাকবে না। তবুও সব ঝুঁকি নিয়ে এই পোস্ট লিখে পাব্লিশ করেছি আপনাদের সবাইকে একটু আবেদন জানাতে, যেন প্রিয় সামুকে সুন্দর রাখতে আপনারা সাহায্য করেন।

কাওসার চৌধুরীকে আমি যা বলার বলে দিয়েছি। আমার আশা, আপনারা উভয়ে অতীত বাদ দিয়ে সামনে চলবেন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আরেকটা কথা বলব না বলব না করেও শেষ পর্যন্ত বলে ফেলছি।

কাওসার চৌধুরী যে 'সাময়িক পোস্টে' আপনাকে ধোলাই করেছিল, সেই পোস্ট মুছে ফেলতে আমি উনাকে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আমার কথা রেখে এক মিনিটের মাঝেই সেই পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন। আমি উনাকে যখন সেই পোস্ট মুছতে বলেছি তখন পানি অনেক দূর গড়িয়ে গেছে, তবু আমি মনে করেছিলাম পোস্টটি থাকা উচিৎ নয়, তাই উনাকে সেটা মুছে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

আমি যদি জানতাম সেটা নিয়ে এতো কাঁদা লেপালেপি হয়ে যাবে তাহলে সেই পোস্ট দেখার পরেই মুছে ফেলতে অনুরোধ করতাম।

৪৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: :(( :(( :((

আমাকে নিয়ে কেউ এরকম পোষ্ট দিল না । আমি বড় হলে চাঁদগাজী হব ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০

অচেনা হৃদি বলেছেন: আগে মুক্তিযুদ্ধে যান, গুলি টুলি খেয়ে আসেন, তারপর বড় টর হয়ে চাঁদগাজী হন। ;)

৪৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আই লাভ দ্যা সেন্স অফ হিউমার অফ চাঁদগাজী।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: উনি কথায় খুব ভালো কৌতুক টৌতুক করতে পারেন। তবে সব কৌতুক ইমো টিমো ছাড়া। ;)

৪৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ চাঁদগাজী সাহেব ঐ পোস্ট আমার ব্যাপারে কমেন্ট করেছিলেন, "ব্লগার কাওসার সাহেব ব্লগে খুবই নতুন; প্রথমে পপুলার কিছু পোষ্ট লিখে এখন গল্পের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন; সময়ের সাথে উনি কোথায় নিজের ডোমেইন খুঁজে পাবেন, সেটা দেখার বিষয়। উনার শেষ পোষ্ট হচ্ছে, গল্প লেখা নিয়ে; আমি ২ বার পড়েছি, কমেন্ট করিনি; কারণ, আমার মনে হয়েছে যে, উনি এই পোষ্টে পিপড়ার মতো, নিজের থেকেও বেশী ওজনের কিছু বহন করার চেষ্টা করছেন।".............

এখানে আমার আপত্তি ছিল একজন ব্লগার যখন কোন সহ ব্লগারকে সম্মান জানিয়ে কোন পোস্ট দেন; তখন এভাবে কমেন্ট করা কি ঠিক? এটা কি পোস্টের লেখক ও যাকে নিয়ে পোস্ট করেছেন উভয়ের জন্য বিব্রতকর নয় কি? এ কমেন্টে আমাকে পিঁপড়া না বানালে কি এমন ক্ষতি হতো? আপনি তো চাইলে আমার পোস্টে এসে এই কমেন্ট করতে পারতেন, তাই না? একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সিটিজেনের কাছ থেকে আমারা আরেকটু সতর্ক কমেন্ট আশা করি।

আপনি তো আমার পোস্ট প্রায়ই বলেন এই লেখা মৌলিক নয়; আপনার ভাবনায় ভুল আছে; আরো পড়াশুনা করে আসুন; এমন কত লেখা পড়েছি, নতুন কিছুই পেলাম না ইত্যাদি। প্রতিউত্তরে আমি কখনো বাজে কিছু বলিনি। আপনি যখন দেখলেন আমি রাগতেছি না; তখন শুরু করলেন পোস্ট না পড়েই আমাকে আক্রমণ করা। আপনিই বলুন এগুলো কি ঠিক ছিল? আপনার মতো অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে বিষয়ভিত্তিক গঠন মূলক কমেন্ট আমি আশা করি।

খায়রু আহসান সাহেব বলেছেন, "বিশ্ব রাজনীতি সম্বন্ধে উনি খুব ভাল জ্ঞান রাখেন। দেশীয় রাজনীতি সম্পর্কে ওনাকে ওনার অপছন্দের রাজনীতিকদের নিয়ে অত্যন্ত রূঢ় ও অশালীন মন্তব্য করতে দেখা যায়, ষা উনি পরিহার করতে পারলে ওনার শত্রুসংখ্যা অনেক কমে যাবে। সমালোচনা তো অতটা রূঢ় ভাষা ব্যবহার না করেও করা যায়।"

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন, "তিনি কমেন্ট করেন তাঁর মত অনুযায়ী। কিন্তু ওটা যে চিরসত্য, বা সঠিক, তা কে বলেছে? আমি ব্লগে তাঁর কমেন্ট যতখানি পড়েছি, তাতে ব্লগারদের বিভিন্ন পোস্টে তাঁর কমেন্ট, বিতর্ক, কিংবা তাঁর পোস্টে অন্যান্যদের কমেন্টে তাঁর উত্তর দেখে আমার মনে হয়েছে, তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মূল উত্তর এড়িয়ে গেছেন, কিংবা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছেন, অথবা ভুল উত্তর দিয়েছেন। যাঁরা তাঁর উপর ক্ষেপেছেন, আমার মনে হয় এগুলোই সেই ক্ষেপার প্রধান কারণ। অথচ, তার হাবভাব দেখে মনে হয় তিনিই সঠিক, এবং বাকিরা সঠিক নন।"

কথার ফুলঝুরি বলেছেন, "তিনি কাওসার ভাইয়াকে নিয়ে একটু বেশী খোঁচাখুঁচি করেছেন, শুধুমাত্র কাওসার ভাই এর নিজের পোস্ট ছাড়াও তিনি যদি অন্যান্য পোস্ট এও একই বিষয় নিয়ে বারবার খোঁচা দিয়ে কথা না বলতেন তাহলে হয়তো কাওসার ভাইও রিয়াক্ট করতো না। তাই ভাইয়াও বাধ্য হয়ে রিয়াক্ট করেছেন, যেটা আপনি হলেও করতেন, এখানে ইগোর কোন সম্পর্ক নেই। বাট, কাওসার ভাই কিন্তু চাঁদগাজী সাহেবের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। কাওসার ভাই যথেষ্ট ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ ও অমায়িক কিন্তু যখন একটা বিষয় একটু বেশী ও বারবার হবে তখন সেটা নিয়ে কথা তো বলতেই হবে।"

@ চাঁদগাজী সাহেব, আপনার প্রতি আমার কোন রাগ বা ক্ষোভ নেই। শুভ কামনা রইলো।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

অচেনা হৃদি বলেছেন: চাঁদগাজী তো অলরেডি বলেছেন তিনি এই পোস্ট পড়ছেন, কমেন্ট পড়ছেন। আমার মনে হয়ে কয়েকটি কমেন্ট আপনি রিপিট না করলেও চলত।

ভাইয়া, এখন আপনি যে অভিযোগ করলেন, এই বিষয়গুলো বলতে বলতেই তো ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল, প্লিজ এখন বন্ধ করুন তো। আর কোন কমেন্ট ওয়ারের ভেরী বাজুক তা আমি চাই না।

৪৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: চাদগাজী নানা একজন মুক্তিযোদ্ধা জানতাম না।

BTW,আসলেই ঠিক বলেছেন।সমস্যা হয়তো উনার ও আছে। কিন্তু প্রধান সমস্যাটা আমাদের।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই যে গণিতবিদ, খালি অংক টংক নিয়ে থাকলে হবে? ইতিহাস টিতিহাস একটু জেনে রাখা ভালো। ;)

ধন্যবাদ সহমত পোষণে!

৫০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে বুঝা গেল গাজী ততটা পাজী নয় :-B

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: :P কি বলতে চাইলেন বুঝিনি!

৫১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভাল লিখেছেন। + +

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৩

সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ব্লগে সমালোচনা পাওয়াটাই বিশেষ অর্জন। কারণ এতে ভুলগুলো সংশোধন করার সুযোগ থাকে।
আমিও কিন্তু খারাপ হলে, খারাপই বলি.....

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমিও কিন্তু খারাপ হলে, খারাপই বলি.....

কথা সত্য? আচ্ছা ঠিক আছে, আমি কাল 'খারাপ' পোস্ট দেব, সেটার শেষে আপনার অনেক প্রশংসা করব, তারপর পোস্টটা আপনাকে উতসর্গ করব। দেখি তো খারাপকে খারাপ বলেন কি না!
=p~

ফান করলাম। আমি এখনো আপনার এমন কোন মন্তব্য পাইনি যেখানে আমার লেখাকে খারাপ বললেন। মনে হয় আমি ভালোই লিখি! :)

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৫৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,




আপনার লেখার বিষয়বস্তু আর তাতে দেয়া মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো , আপনি ঠিকই বলেছেন - সমস্যাটা আমাদেরই ।

আমাদের মনে রাখা উচিৎ বিশ্বব্রহ্মান্ডের ভীষন সব অবোধ্য বিশৃংখলার মাঝেও ব্রহ্মান্ড কিন্তু খুবই শৃংখল । তেমনি এই ব্লগে চাঁদগাজী চাঁদগাজীর মতো , আমি আমার মতো , আপনি আপনার মতো । আর এসব বিভিন্নতা নিয়েই কিন্তু ব্লগখানি তার মতোই শৃংখলাবদ্ধ ।

ব্যক্তি জীবনে আমরা সবাই যে যে ওজনের বা ধরনেরই হইনে কেন, ব্লগে কিন্তু আমরা সবাই সে পরিচয়ে পরিচিত নই; হওয়া উচিৎও নয় । আমাদের মননের, মানসিকতার পরিচয় আমাদের লেখায় । এক একজন এক এক ঢংয়ে লেখেন । ওটাই তার ধরন । একজনের এসব লেখা বা মন্তব্যগুলো কারো জন্যে সুখকর , কারো জন্যে দুঃখজনক । কারো কাছে এগুলো উদ্দীপক , কারো কাছে হতাশা উদ্রেক কারী - নিপীড়নমূলক । কারো কাছে এসব প্রেরণার ও প্রশংসার, কারো কাছে অবদমনের ও অবমাননাকর । যিনিই এসব থেকে সঠিক রসটি আস্বাদন করতে পারেন তিনিই ততো প্রাজ্ঞ বলে বিবেচিত হন । আর তাতেই তিনি বুঝে উঠতে পারেন আমরা ব্লগাররা কে কেমন । আমাদের সবার আলাদা আলাদা এক একটি ছবি তার মনে এঁকে ফেলেন তিনি ।

আশা করবো, সবাই আমার কথাটি বুঝবেন । আর বুঝবেন এটাই যে , হরেক প্রজাতির ফুল নিয়ে এই যে ব্লগ বাগানটি সেখানে আমরা এক একজন একেক রঙে , একেক সৌগন্ধ নিয়ে ফুটে আছি ।
এটাই সত্য ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাইয়া।

আপনার কথা ভালো লেগেছে। শেষের কথাগুলো অমুল্য।
এটাই সত্য হোক ভাইয়া।

৫৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২০

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন:
চাঁদগাজী ভাই শুধু খোচাখুচি বা সমালোচনাই করেন, যারা এধরনের মতবাদে বিশ্বাসী, তাদের সঙ্গে অামি মোটেও সহমত নই। এমন নয় যে অামি উনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি বা উনার অত্যন্ত পছন্দের কেউ। ব্যস্ততার কারনে ব্লগে খুব কমই অাসা হয়, অার লেখালিখি তো অারও কম করি।

অাবার এমনও নয় যে অামি কখনো চাঁদগাজী ভাইয়ের সমালোচনার মুখোমুখি হইনি। বরং একদিন অামার একটি পোস্টে উনি অত্যন্ত কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। প্রথমে কিছুটা খারাপ লাগলেও বুঝতে পারি অামার লেখাতেই সমস্যা ছিল, তাই পরে তা সংশোধন করি। লেখকের সঙ্গে অামি একমত, সমস্যাটা অামাদেরই।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫১

অচেনা হৃদি বলেছেন: উনার বয়স ৬৬ বছর! তবুও সুন্দর করে চাঁদগাজী ভাই বলতে পারলেন। ব্যপার না, প্রায়ই একটা কথা শুনি, ব্লগে নাকি সবাই সমান। আপনিও কি ৬৬ বছরের লোক?
=p~

একমত পোষণে ধন্যবাদ!

৫৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: উনার লিলিপুট আর পিগমী জাতিয় গাল ইতিহাস।

তবে, বরাবর উনার কঠিন মন্তব্যকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে অথবা উনাকে গান শুনিয়ে আনন্দ নিতাম প্রথম প্রথম। :)

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: এখন আশা করি উনাকে গান শোনাতে হবে না। আশা করি আমরা নতুন একজন চাঁদগাজীকে পাবো। :)

৫৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: @লেখক- "বয়সে কি অাসে যায়"! :p যদিও অামরা প্রায় কাছাকাছি সময়ে এই ব্লগে যুক্ত হয়েছিলাম, লেখালিখিতে উনি অামার মত তরুনের চেয়েও সহস্র গুণ এগিয়ে। এমন কর্মচঞ্চল একজন মানুষের কাছে বয়স শুধুই একটি সংখ্যা মাত্র! ;) তবে অাপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারন অাপনার এই পোস্টের মাধ্যমে অাজকেই প্রথম জানতে পারলাম যে উনার বয়স ৬৬ বছর।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওয়েলকাম টু দি ওল্ডহোম! ;)

৫৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আরে পাগলী বোন আমার আমি এরকম পোস্টে খুশি তাই অন্যকে সরাসরি না বলে নিজেদেরকে প্যাচিয়ে মন্তব্য করছি।
আমি উনাকে সব সময় অনুসরন করে আসছি । অনেকেই তার বিষয়গুলো আসলে বুঝতে পারে না। :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওহ, ইয়েস, আই গট ইট! :)

৫৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

সিফটিপিন বলেছেন: উনি আমাকে খোচাবেন কি, বরং আমিই উনাকে ফুটো করে মধু বের করে খাই। :P

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: উনার মধু খাবার মত বুদ্ধি আপনার আছে বলে তো মনে হচ্ছে না। প্রোফাইল পিক দিয়েছেন সেফটিপিন, আর নিক দিলেন সিফটিপিন! সেফটি পিন এবং সিফটিপিন শব্দ দুটোর পার্থক্য বোঝেন? মনে হয় না।

৫৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার সেন্স অব হিউমার কিন্তু খারাপ নায়, কিন্তু আজ এমন এক পোস্ট দিলাম, প্রতিমন্তব্যে সেন্স অব হিউমারের স্বাক্ষর রাখতে পারছি না আপনার আগের কিছু পোস্ট পড়ার লোভ সামলাতে পারছিনা। যাচ্ছি ----- -----

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: ও মাই গড, আপনি তো আমার আগের লেখাগুলো মে বি পড়েছেন। অনেক মন্তব্যও করেছেন! :)

৬০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মন্তব্যটা গতকাল লিখেছিলাম, ভাবলাম দিব না। তারপরও দিয়েই দিলামঃ

মন্তব্যের সিরিয়াল অনেক লম্বা হয়ে গিয়েছে, সবার সুচিন্তিত মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বলছি;

এসব সমস্যার শর্টকাট সমাধান, "ব্যক্তিগত আক্রমন না করে সবাই ব্লগের নিয়মগুলো মেনে চলুন।"


@রক বেনন ,
(...শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীদের মত মানুষ না থাকলে যে অভ্র, বিজয়ের সৃষ্টি হতো না, ফেসবুকে উর্দুতে পোস্ট দিতে হতো আর সামু ব্লগ খোলার অপরাধে আর ব্লগে লিখার অপরাধে হাতের আঙ্গুল কেটে দেয়া হতো- এই কথাগুলো কেউ বিশ্বাস না করলেও আমি অন্তত করি।)

... কি দেখালেন খেল,
বেশী হয়ে গেল তেল। :P
একটা গাজীর কাছে মোদের
নেই কি কোন বেল?:(
গাজী গাজী শুনতে শুনতে
লাইফটা হলো হেল!!:(
..মেজাজ তো গরম করে দিলেন। আপনার বিশ্বাসে আমাদের কী? আপনারা উর্দু, পাকি, রাজাকার, জাশি এসব এত ভয় পান কেন? সত্য কথা বলার জন্য হাতের আঙুল কাটবে, এমন সাধ্যি কার? পাকিরা তো মরে ভুত, তাও মুখে কি আসে না, "উর্দু লেখার আগে আমি/আমরা আরেকটা যুদ্ধ করতাম।" (দুটো কড়া কথা বলতে চাচ্ছিলাম। ব্লগের নিয়মের কারণে, বিরত থাকলাম।:)
পুনশ্চঃ আমার দুজন আত্মীয় মুক্তিযোদ্ধা। তাদের একজন খাটাশ।X(


@লেখক,
প্রতিউত্তর করতে করতে আমার হিরোইন শ্যাষ! কফি খাও..:P

"কোন লেখকের মোসাহেবি বা বিরোধীতা কোনটাই আমাদের কাম্য নয়।" ... এটা তো সবার জন্য প্রযোজ্য। :)

তোমাকে পিচ্চি হিরোইন থেকে পিওর হিরোইন প্রমোশন দেয়া হল। তোমার আম্মুকে আমার সালাম দিও।
তিনি যা রাগী!
হিরোগিরির দরকার নাই
আগেই আমি ভাগি....;)

টাইপোঃ মন্ডল(ন+ড=ন্ড):P


০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: মণ্ডল! ;)

এই যে বাবু, আমার তো দুইটা কফি লাগবে না। একটা হলেই যথেষ্ট, দুইটা কেন? ভাবছো আমার পাশে বসে তুমিও কফি টানবা? হবে না, যাও অন্য টেবিলে গিয়ে বস!
হিহিহি....

আমার মা রাগলে আমার কাছে মাঝে মাঝে খুশি লাগে, কেন জানেন? উনি তখন ঠান্ডা মাথায় খুব সুন্দর করে বাঁশ দিতে পারেন! উনার কথাগুলো আমার কাছে বেশ হাস্যকর মনে হয় তখন। =p~
অবশ্য আমার সাথে রাগলে ভালো লাগে না, জিহ্বা দিয়ে এমন ধোলাই দেন, অসহ্য! :(

পুনশ্চঃ মন্তব্য লিখে লিখে ল্যাপটপে জমা করে রাখেন নাকি? :D

৬১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:
আজকের মন্তব্যঃ
@অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!
লেখক? এখন তো তুমি আর অচেনা নও!!;) সুপরিচিত। আর কয়েক মাস থাকলে, আইকনে পরিণত হবে। তবে সত্যি বলতে কী,
ব্লগে অনেকেই আসে, সবার সাথে কত ভালো সম্পর্ক হয়! কিন্তু নানা ব্যস্ততায় থাকতে পারে না। তখন খুব খারাপ লাগে, জানো? আমি চাইবো কম সময় হলেও তুমি নিয়মিত থাকো। এবং সেটা অবস্যই পড়াশোনা ঠিক রেখে। অবসরে ও ছুটির দিনগুলোতে..:)

প্রশ্নঃ তুমি যে ব্লগিং করো সেটা কি তোমার আম্মু(আমার; না থাক):P জানে?? :P


কানে কানে বলি, "চাঁদগাজী কিন্তু ধর্ম ও গঠনমূলক রাজনৈতিক সমালোচনায় পিছিয়ে। সে ফাঁপড়ের উপর চলে।;)"

পুনশ্চঃ
ল্যাপটপে সমস্যা! কে যে বদদোয়া দিলো???:P

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

অচেনা হৃদি বলেছেন: বাপ্রে বাপ! আপনার টাইপিং স্পিড কত ভাইয়ু? এতগুলা মন্তব্য এতো কম সময়ে লেখেন, ল্যাপটপ যে এখনো ক্রাশ খায় নাই এই জন্য আপনার খুশি হওয়া উচিৎ।

ব্লগে অনেকেই আসে, সবার সাথে কত ভালো সম্পর্ক হয়! কিন্তু নানা ব্যস্ততায় থাকতে পারে না। তখন খুব খারাপ লাগে, জানো? আমি চাইবো কম সময় হলেও তুমি নিয়মিত থাকো। এবং সেটা অবস্যই পড়াশোনা ঠিক রেখে। অবসরে ও ছুটির দিনগুলোতে... ব্লগে থাকতে আমারও তো ভালো লাগে। জানি না কতদিন থাকতে পারবো। আপনাদের সাথে অত ভালো সম্পর্ক গড়ে তুললে পরে ব্লগ ছাড়া থাকতে আমারও খারাপ লাগবে। তাই আমি আসলে পার্সোনালি ব্লগিয় সম্পর্ক মেইন্টেইন করতে চাচ্ছিলাম না। তবুও হয়ে যাচ্ছে। :(

প্রশ্নঃ তুমি যে ব্লগিং করো সেটা কি তোমার আম্মু(আমার; না থাক) জানে??
হিহিহি...
জানেন না। আমি ব্লগ পড়ছি এটা উনি দেখেছেন। তবে নিজেই ব্লগে লিখে যাচ্ছি রতা এখনো টের পাননি। টের পেলে উনার দুই ধরনের রিএকশন হতে পারে-
১. কান ধরে টেনে ব্লগিং বের করবেন
অথবা,
২. গম্ভীর হয়ে বলবেন, দেখি সেখানে কি সব লেখিস আমাকে দেখা!
দুইটাই বিপদ! :(

৬২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লেখক! খবরদার আমাকে বাবু বলবে না। তরুণ, বালক, হিরো, জিরো, লুল বললেও সমস্যা নাই। কিন্তু বাবু সোনা ডাক আমার সহ্য হয় না।(শায়মা আপার জন্য একটু ছাড় আছে!)

@ পুনশ্চঃ মন্তব্য লিখে লিখে ল্যাপটপে জমা করে রাখেন নাকি?
আমার ব্রাউজারে সেভ করে রাখা যায়। লগইনের সময় পাসওয়ার্ডও দিতে হয় না।:D এখনো সাতটা মন্তব্য সেভ করা আছে। একটা পড়ো...

খোঁচামারা মন্তব্যঃ (অর্ধেকটা শায়মা আপাকে দিয়েছিলাম:)

আমি হনু আসল হিরো
তোকে কি ভয় করি??X(
আমার কি লাভ? তুই যদি হোস
পেত্নী কিংবা পরী!!:P
যাও, প্রতিউত্তর পছন্দ হওয়ায়, হিরো মেকানিকের সহিত সন্ধি করা হলো।;)
এখন ঠিক করে বলো, তোমার টোটাল নিকের সংখ্যা কত?

ছড়াঃ
জানি জানি সব জানি
ব্লগে তোর কীর্তি,
কে কে তোর সাথে
করতো রে পিরিতি!!:P

হালি হালি মজনু
নিক খুলে শত,
দেবদাশ হলো ওরা
নাম কবো কত??:P

কত জনে ছ্যাঁকা খেয়ে
ছাড়লো রে ব্লগ,
এরপর লিখবো কি
মগ, জগ, খগ?? :P

সাবধানে থাকিস রে
তোর তরে শনি! (ছ্যাঁকা খেয়ে ব্যাঁকা হওয়ারাX( উল্টা পাল্টা কমেন্ট করতে পারে। অবস্য মডুদের ভয়ে ওরা আন্ডারগ্রাউন্ডে:D)
ভালো থেকো ওহে প্রিয়
নয়নের মনি!!:) (ইয়াহু! এবার মিলেছে);)



একটা ছিল শেয়াল ভায়া
বুদ্ধিতে সে চালাক, ;)
মাথায় তাহার ফন্দি শুধু
ভয়ে সবাই পালাক!

হাঁস-মুরগি, কুমির ছানা
বাদ যায় না কিছু,
টক-মিষ্টি আঙুর ফল
কাঁঠাল কিংবা লিচু।।:P

শেয়াল যে খুব ধূর্ত প্রাণী
জানো নাকি তুমি?
পুরান অনেক শেয়াল ছিল
এখন তারা ঘুমি??:P

পুনশ্চঃ
আঙুর ফলের ভাগ না পেলে
দেব গোড়া কেটে, (আঙুরগাছের)
আমি যদি না পাই আঙুর
যাবে না তোর পেটে।:P:P

পোস্টটি প্রিয়তে নেয়া হইলো।
তোমার জন্য অফুরান শুভেচ্ছা রইলো। :)

ছবিঃ সাবা।

৬৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: খোঁচামারা মন্তব্যঃ থেকে সাবা পর্যন্ত অংশটা সেভ করা ছিল।

ভালো থেকো....

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিহিহি...
বেশ মজা লাগলো, ক্যারি অন মণ্ডল বাবু! ;)
(আশা করি এইবার রাগ লাগে নাই =p~ )

৬৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি বলেছেন, শত্রুবিহীন মানুষ নেই, তাই বলে সবাইকে শত্রু বানিয়ে ফেলাও তো ভয়ংকর,
আমি কিন্তু সবাইকে শত্রু বানাতে বলিনি। ওনার যেমন শত্রু আছে, মিত্রেরও অভাব নেই। আপনি, আমি ছাড়াও তাঁর অনেক মিত্র রয়েছেন। যারা তাঁকে শ্রদ্ধা করেন, ভালবাসেন।

আরো বলেছেন,আমি চাই তিনি সবার কাছে সম্মানের পাত্র হোক।
সম্পূর্ণ অবাস্তব কথা। সবার কাছে কখনোই কেউ সম্মানের পাত্র হয় না, হতেও পারে না। এই বাংলাদেশে এমন দুএকটা উদাহরণ দেখাতে পারবেন?

৬৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইকে আপনি একসময় কংসমামা ভাবতেন, তিনি কিন্তু আপনার ভাবনাকে শুধরে দিতে যাননি কখনোই। আপনার উপলব্ধিই আপনার ভাবনাকে সংশোধন করিয়েছে।
এমন আরো অনেককেই তাঁদের উপলব্ধিই সংশোধন করাবে। কারোর হয়তো শীঘ্র, কারোর বা দেরীতে। কারোর হয়তো কখনোই না। সেটা নিয়ে চাঁদগাজী ভাইকে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। তিনি তাঁর মতো ব্লগ লিখুন, মন্তব্য করুন। আমরা তাঁর সাথে কখনো একাত্ম হবো, কখনো বা দ্বিধা বা দ্বিমত প্রকাশ করবো।
প্রিয় চাঁদগাজী ভাই সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবি হোন। আপনিও :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ স্পষ্টবাদী মন্তব্যের জন্য।

দুটো মন্তব্যের উত্তর একসাথে করে ফেলছি।

সবাই কিন্তু আমার মত চাঁদগাজীর মত একটা 'সফট কর্নার' ফিল করবে না। একারণে কেউ তাঁকে কংস মামা মনে করলে হয়ত আজীবন সেই ধারণার উপর থেকে যাবে। আমি চাচ্ছিলাম তিনি যেন ব্লগে সবার কাছে নেতিবাচক চরিত্রে পরিণত না হন।

সবশেষে শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। :)

৬৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমি ব্লগে নিয়মিত হওয়ার পর প্রথম দর্শন পাই চাঁদগাজীর । তার ধ্যান ধারনা আমার সাথে অনেক খানি মিলে যায় । তারপর তাকে সব সময় ফলো করতাম ।

ওনার যেদিন কমেন্ট পেলাম তখন আনন্দের শেষ ছিল না ।

আর ওনার এই ঠোটকাটা জিনিশ টাই বেশি ভাল লাগেছে ।

৬৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

রক বেনন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্লগার পাঠকের প্রতিক্রিয়া, আপনি আমার কমেন্টের একটি শব্দ মিস করেছেন। চাঁদগাজীদের মত বলতে আমি কি বুঝিয়েছি তা হয়ত আপনি বোঝেননি।

আরেকটি কথা- ২০১৮ তে বসে ১৯৭১ এর কথা বলা অনেক অনেক সহজ।

মেজাজ তো গরম করে দিলেন। আপনার বিশ্বাসে আমাদের কী? আপনারা উর্দু, পাকি, রাজাকার, জাশি এসব এত ভয় পান কেন? - জনাব, ভয়ের কি দেখলেন??

৬৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: @চঞ্চল হরিণী, ১৬ নং মন্তব্যের লিঙ্ক ধরে আপনার দ্ব্যর্থবোধক চাঁদগাজী পোস্টটা পুনর্বার পড়ে, মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে আপনাদের উভয়ের উদারতা দেখে লেখাটিতে দ্বিতীয় 'লাইক'টা আমিই দিয়ে এলাম। লিঙ্কের পরের লেখাটিও পড়ে এলাম, ভাল লেগেছে।

৬৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

সাগর শরীফ বলেছেন: বাপ বেটা আর তাদের গাধার গল্পটা মনে আছে না? কমবেশী তো আমরা অনেকেই জানি!
মানুষের কথার কোন শেষ নাই। যত মুখ তত কথা! কারও কথা শুনতে ভাল লাগবে, কারওটা শুনতে তেতো লাগবে। সেটা গায়ে মাখলে চলবে কেন? চাঁদগাজী স্যারের জন্য বিষয়টা অনেকটা সেরকমই।
ব্লগে যদিও আমি অনিয়মিত, কিন্তু যতদিন আছি আমিও বিষয়টা দেখলাম যে তার, শায়মা সহ বেশ কয়েকজনের এন্টি পার্টির অভাব নেই। তবুও তারা কিন্তু সসম্মান এবং সগৌরবে ব্লগে বছরের পর বছর ধরে টিকে আছেন। কারণ, তাদের ভালবাসার মানুষের সংখ্যাও যে নেহায়েত কম নয়। এবং সেটা হতে পারে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এখন কথা হল, আমরা তো একেকজন মহাপন্ডিত না। কিন্তু তারা হলেন সিনিয়র ব্লগার, চাঁদগাজী স্যার একজন মুক্তিযোদ্ধা (যদিও আমি জানতাম না আগে)। সর্বপরি অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ। অনেক দেখেছেন অনেক জানেন। সেই হিসেবে আমাদের ভুলগুলো তারা পানির মত ধরে ফেলবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। এখন আমাদের ভুলগুলো শুধরে দেবার জন্য তাদের পরামর্শগুলোকে কে কিভাবে নেব সেটাই আমি মনে করি মূখ্য বিষয়।
আবার সে আপনার চিন্তাধারার পেছনে কাঠি করছে এজাতীয় ধারণা আপনারও আসতেই পারে। কিন্তু কেন করছে সেটাও ভাববেন দয়া করে। আপনার ধারণা ভূল হবে না তারও কিন্তু গ্যারান্টি নাই।

মুদ্রার এক পিঠ টাই শুধু দেখলেন?
তবে ভুল করলেন !
মুদ্রার অন্য পিঠটাও একটু ঘুরে আসুন না! হয়ত অনেক আবেগ,ভালোবাসা জড়িয়ে আছে সেখানে!
আমরা মানুষ ! আসলেই এরকম! কখনোই মুদ্রার ওপিঠে ঘুরে আসতে চাই না! আফসোস!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: হুম, খুব গুরুগম্ভীর কথা বলেছেন, এবং আমি আসলে বুঝতেই পারছিনা এই গুরুগম্ভীর মন্তব্যে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছে। একটু কম বুঝি তো, তাই। :)

৭০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

সাগর শরীফ বলেছেন: এটাও যদি গুপুগম্ভীর কথা হয় তাহলে এর থেকে সহজ ভাষা আমার জানা নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, আমাকে মাফ করবেন!

৭১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শত শত কেনো হাজারে হাজারে কমেন্ট পাবেন কারন আপনার নিক নারী নামে ব্যাবহার হচ্ছে !!! সৈয়দ মির্জা নবাব টাইটেল দিয়ে পুরুষের নামে আসুন আপনার লেখা কোথায় থাকে আপনার লেখার মান আপনি নিজেই বিবেচনা করতে পারবেন, এখন অনুসারিত হচ্ছেন শত শত কমেন্ট পাচ্ছেন কারন আপনি নারী !!! আশা করি বুঝতে পেরেছেন !!! আপনাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমণ করছিনা সত্য টা আপনার সামনে তুলে ধরেছি মাত্র। আপনি আমার ছোট বোন হতে পারেন, হয়তো বা আপনি আমার মেয়ের বয়ষীও তবে জেন্ডার কিভাবে সমাজে প্রতিফলন করে আশা করি জানেন।।


পুনশ্চ:- ব্লগে প্রতিটি নারী নিক ব্লগার কমেন্টে তুঙ্গে আছে - পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: পরীক্ষা করার কিছু নেই, আমি জানি। ফেসবুক এবং ব্লগ এই দুই জায়গাতে আমি সেলিব্রেটি! শুধু আমি নই, অন্য মেয়েরাও সেলিব্রেটি। তারা হাজার হাজার কমেন্ট পাচ্ছে। কিন্তু এজন্য কি কোন মেয়ের দায় আছে? আপনারাই তো আমাদের সেলিব্রিটি বানিয়ে রেখেছেন।
বেশি কিছু বলার ইচ্ছে আমার নেই। আজকের পোস্টেও আপনি সেইম মন্তব্য করেছেন, সেখানে অনেক কথা বলে দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.