নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিপলস ডিসটোপিয়া অব বাংলাদেশ

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩



ইংরেজিতে ইউটোপিয়া নামে একটি শব্দ রয়েছে, সোজা বাংলায় যার অর্থ হতে পারে স্বপ্নপুরী। বুঝ হবার পর থেকে ভেবে আসছি আমাদের এই দেশ কোন একদিন স্বপ্নপুরী বা ইউটোপিয়া হবে। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ততই দেখতে পাচ্ছি দেশটা ভালো হতে পারছে না। পোকার মত এই দেশে মানুষ কেবল কিলবিল করছে। এখানে ভালো হতে কেউ পারে না, উল্টো কেউ ভালো কিছু করতে চাইলে তাকে বিপদের মুখে পড়ে যেতে হয়।
আমাদের ঘরে ঘরে কঠোর মা বাবারা আছেন, তাঁরা রাস্তার ঘটে যাওয়া মারামারির মত অপ্রয়োজনীয় খবর আমাদের শুনতে দেন না। আমাদের এক কঠোর সরকার আছে, সে সরকার এসব খবর ছড়ানো বন্ধ রাখতে ইন্টারনেট অফ করে দেয়। এতো বাঁধার ভেতরে আমরা যেটুকু খবর পাই তাও সহ্য করে রাখার মত হয় না। এই দেশটার নাম কত সুন্দর, পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ। কিন্তু দিনদিন দেশটা যেন পিপলস ডিসটোপিয়া অব বাংলাদেশ হয়ে যাচ্ছে। (ইউটোপিয়ার বিপরীত শব্দ ডিসটোপিয়া)



২.
এবারের ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে ছাত্রদের হাতে ধরে রাখা ব্যানার এবং প্লেকার্ড। সবাই বলাবলি করছে তাদের প্লেকার্ডের ভাষা ছিল খুব অশ্লীল। এব্যপারে আমি একটা কথাও বলবো না। শালীনতা নিয়ে অত ব্যস্ত হবার কিছু নেই। ভদ্র মানুষেরা নিজেরা কত শালীন তা তো আমরা চলতে ফিরতে দেখতে পাচ্ছি। তবুও আমি ছাত্রদের হাতের প্লেকার্ড দেখে লজ্জা পেয়েছি। কারণ তাদের বেশিরভাগ প্লেকার্ডে বানান ভুল ছিল। গালি দিয়ে যেসব প্লেকার্ড তারা লিখেছিল তাতেও বানান ভুল। একজনের হাতে ধরা প্লেকার্ডে Porn Hub লিখতে গিয়ে Pron hub লিখে ফেলেছে। এতো মনোযোগ দিয়ে যে সাইট দেখো তার বানানটাও লিখতে পারে না, বোকা কোথাকার! একারনেই তো এরা প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের অপবাদ পাচ্ছে।
কিন্তু এই ছেলেগুলো যখন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাজপথে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে পথ দেখাতে চেয়েছে, তখন তাদের ভুলগুলোকে আমার কাছে কোন ভুল বলেই মনে হয়নি।

৩.
ট্র্যাজিক মুভি সিনেমা দেখে চোখের পানি ফেলতে আমার কোন জুড়ি নেই। আমি এমনই বোকা, ব্রেভ এবং টয়স্টোরি এর মত এনিমেশন ছবি দেখেও চোখের জলে অনেকবার মুখ ভিজিয়েছি। জানি এগুলো নিছক বানানো গল্প, ছবির সব চরিত্র সাজানো, তবুও আমি আবেগ ধরে রাখতে পারি না। সেই আমি যখন রাস্তায় পড়ে থাকা তাজা রক্ত দেখেছি, স্কুলের সাদা ইউনিফর্মকে লাল হয়ে যেতে দেখেছি, তখন আমার কাছে কেমন লেগেছিল তা আমি কাকে বোঝাতে পারবো? আমি দুই দিন মনে প্রাণে প্রার্থনা করছিলাম সবাই যেন নিজের ঘরে ফিরে যায়। আমি মনে মনে সব ছেলেকে ডেকে বলছিলাম, তোমরা মার খেয়ে কষ্ট পাচ্ছো। আর আমার মত তোমাদের কোটি কোটি বোন ঘরে বসে কষ্ট পাচ্ছে। কি দরকার এতো যন্ত্রণার, ঢের হয়েছে বাপু, এবার ঘরে ফেরো।

৪.
আমাদের বাসায় পত্রিকা পড়ার মত কেউ নেই। সারাদিন বাবা থাকেন অফিসে, সেখানে হয়তো তাঁর পত্রিকা পড়া হয়ে যায়, মাও হয়তো তাঁর কর্মস্থলে পত্রিকা পড়েন, বাসায় আমি কখনো মাকে আগ্রহভরে পত্রিকা পড়তে দেখিনি। তবুও হকার আমাদের বাসায় প্রতি সকালে দুটো পত্রিকা রেখে যায়। একটা ইংরেজি, আরেকটা বাংলা পত্রিকা। সকালে রেখে যাওয়া পত্রিকা সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় টাটকা থেকে যায়, কেউ ধরে না। আমি মাঝে মাঝে সময় পেলে পত্রিকাতে চোখ বুলিয়ে নিই। আমার খুব আশ্চর্য লাগে, আজ পর্যন্ত এই দুই পত্রিকার কোনটিতে আমি ছাত্রলীগের কোন ভালো খবর পেলাম না। খুন ধর্ষন চাঁদাবাজির খবরেই কেবল ছাত্রলীগের নাম দেখতে পাই! বুঝলাম না, এই দুই পত্রিকা কি ছাত্রলীগের শত্রু? তারা ছাত্রলীগকে নিয়ে কোন ভালো খবর ছাপায় না কেন? ছাত্রলীগ দলটি কি শুধুই খারাপির সাথে জড়িত থাকে? নাকি আমার চোখে সমস্যা? আমিই ছাত্রলীগের কোন ভালো খবর দেখি না!
আগের সব খবর বাদ। এই সপ্তাহে আমি ছাত্রলীগের উপর বেশ মুগ্ধ! আগে শুধু রাজনীতি নামক জিনিসটাকে ঘৃণা করতাম। এখন থেকে শুধু রাজনীতিকে ঘৃণা করলে হবে না, মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ শব্দটিকে আলাদাভাবে ঘৃণা করতে হবে। এই দুই দিন আমি ব্লগে অফলাইন থেকে নজর রাখছিলাম, কোন কোন বীরপুঙ্গব ব্লগার ভাষার মারপ্যাঁচে ছাত্রলীগের বর্বরতাকে বৈধতা দেবার চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো করেছেন আপনারা! আপনাদের চিনে রাখলাম। যদি কখনো আমার পোস্টে আপনারা কমেন্ট করেন তাহলে আমি হয়ত সবসময়ের মত হিহিহি.... লিখে প্রতিউত্তর দেব। তবে এইকথা ভুলবনা- আপনি ছাত্রলীগের দোসর, আপনিও ছাত্রলীগ করেন।

৫.
যখন প্রথম খবর পেলাম ছাত্রলীগের হাতে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা খুন ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে তখন শিউরে উঠেছিলাম। কেউ বলে এগুলো সত্য, কেউ বলে গুজব! আমি মনে প্রাণে চাইছিলাম এগুলো যেন গুজব হয়। সত্য খবর শোনার মত আমার মন এতো শক্তিশালী নয়, যদি গুজব হয় আমি খুশি হব। সরকার সব নাগরিকের কাছে মেসেজ পাঠিয়েছে- এগুলো সব গুজব! কেউ বিশ্বাস করবেন না। মেসেজটা আমার মোবাইলে এসেছে, আমার মায়ের মোবাইলেও এসেছে।

এই মেসেজের উত্তর দেবার সুযোগ থাকলে আমি উত্তর লিখে পাঠাতাম- একদম ঠিক। ছাত্রলীগের হাতে মার খাওয়ার ঘটনা একদম গুজব। এমনকি বাংলাদেশ নামে যে একটা দেশ আছে, এই দেশে যে ভালো মানুষ আছে বলে মাঝে মাঝে শোনা যায় এটাও গুজব!

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: বেশ লিখেছেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: জী, ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

বিজন রয় বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতায় অবাক হইনি।
+++++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি কিন্তু রিক রে দেখে কমেন্ট করছি আর একটা লাইক দিছি।
নিগানরে যেই ডলাটা দিলো.... খালি ওর পোলাটার লিগা খারাপ লাগতেছে

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া হয়তো উপরের ছবিটা দেখে মন্তব্য করেছেন। আসলে এটা কিসের ছবি আমি জানি না, গুগল থেকে ডাউনলোড করে এখানে দিয়ে দিয়েছি। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এটা নিশ্চয়ই কোন মুভির দৃশ্য হবে। মন্তব্যে মুভির নামটা বলে দিলে ভালো হতো, ডাউনলোড করে দেখতে পারতাম।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা। করিৎকর্মা আরকি!!

আমার এক পরিচিতার সম্বন্ধ এসেছিল,। পাত্র কলেজে যায় , গাড়ি আছে, মাস গেলে ভালো আয়ও আছে। মেয়ের বাবা যেকারনেই হোক আমাকে খুব বিশ্বাস করেন। গেলাম দেখতে একদিন। গিয়ে শুনি পাত্রী কলেজে যায় ঠিকই তবে পড়তে নয় , রাজনীতি করতে। সারাক্ষণ হাতে ট্যাবলেট থাকে। একটি স্কর্পিও গাড়ি আছে। এমন সৎ পাত্রের আয়ের উৎস ছাত্র রাজনীতি । কাজেই এমন গুনধর উঠতি নেতাদের দাপটে ছাত্র রাজনীতি এখন সরগরম ।

পোষ্ট ভালো লেগেছে। লাইক দিয়েছি ।


শুভকামনা প্রিয়বোনকে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: পোস্টে সবার আগে লাইক দিয়েছেন তা মন্তব্য করার আগেই লক্ষ্য করেছি ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ।

আচ্ছা ভাইয়া ভারতে ছাত্র রাজনীতির পজিশন ভালো নয় বলে তো শুনিনি। আপনি যে বর্ননা করেছেন এরকম তো বাংলাদেশে হতে পারে!

এনিওয়ে, ভারতের ছাত্ররাজনীতি আমাদের মত খুব খারাপ তা আমার মনে হয় না। তবে সবসময় কামনা করব উপমহাদেশের ছাত্রদের যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

রক বেনন বলেছেন: আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
সাথী মোদের ডালপুরি
ডালপুরি, আলুপুরি, কিমাপুরি, ভেলপুরি,
সবার ভালোর খ্যাতা পুড়ি,
নিজের ঝোলা আগে ভরি।

পোস্টে প্লাস ++++

আমাদের এখন এই লীগের দরকার ......
আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
সাথী মোদের ডালপুরি
ডালপুরি, আলুপুরি, কিমাপুরি, ভেলপুরি,
সবার ভালোর খ্যাতা পুড়ি,
নিজের ঝোলা আগে ভরি।

পোস্টে প্লাস ++++

আমাদের এখন এই লীগের দরকার ......

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~
শত মন খারাপের ভেতরেও আপনার কমেন্ট পড়ে খুব হাসলাম।
হঠাত মনটাতে এক ঝলক ভালো লাগা খেলে গেলো। ধন্যবাদ ভাইয়া!

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

রাকু হাসান বলেছেন:



হৃদিতা আপু ,পিপলস্ ডিসটোপিয়া অব বাংলাদেশ বলতে কষ্ট হলেও ,মানতে বাধ্য আমরা । ছাত্র রাজনীতি জিনিস টা ভাল লাগে না । ভয়ংকর সংকটাপন্ন সময় । আলজাজিরাতে সাক্ষাতকার দেওয়া টা যদি গুজব বলে গ্রেফতার হতে পারে , সেখানে বলার কিছূ থাকে না । আপনার দেওয়া ছবি তে অদম্য বাংলােদেশের ছবি দেখত পাই । তাঁরা স্বপ্ন দেখায় ।বিশ্লেষণ চমৎকার ,নতুন খেলা দেখতে পারেন ,অপেক্ষায় ....

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: না ভাইয়া, নতুন কিছু দেখতে চাই না। নতুন জিনিস যত দেখছি সবই ভয়ংকর হয়ে যাচ্ছে। যেভাবে চুপে চাপে মানুষ চলছিল সেভাবে চলতে থাকুক। আর একজন মানুষও অকারণে প্রাণ হারাক বা গুম হোক চাই না।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মানুষ যখন এমন গুজবও বিশ্বাস করে, তখন বোঝা যায়, সে দলটা কতটা খারাপ কাজ করছে। আজ ছাত্র ইউনিয়নের অফিসের কথা বলে গুজব ছড়ালে মানুষ বিশ্বাস করত না।
আর ছাত্রলীগ এমন একটা দল, যাকে ঘৃণা না করে উপায় নেই

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: ছাত্র ইউনিয়নের নামে এই গুজব কেন উঠবে? ছাত্র ইউনিয়নের এরকম কোন রেকর্ড আছে? ছাত্র ইউনিয়ন সবসময় সাধারণ ছাত্রদের পাশে থেকেছে। নিরীহ নির্দলীয় কোন ছাত্রছাত্রীর উপর তারা কখনো হাত উঠিয়েছে বলে কোন নজীর নেই। ধর্ষন এবং নারী নির্যাতনের বিপক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

লায়নহার্ট বলেছেন: {মানুষ মনে প্রাণে ছাত্রলীগকে ভালোবাসে। ছাত্রলীগ কখনোই খুন কিংবা ধর্ষণ করতে পারে না, কখোনোই তারা এসব করেনি। প্রতিবার বিন্পি শিবিরের ওরা এসব করে সোনার ছেলেদের নামে কুৎসা রটায়! দেখেননি, কাল উত্তরায় জনতা ছাত্রলীগকে কি ভালোবাসা দিলো?}

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: Irony!!!

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে এই দেশে ছাত্র রাজনীতির অবসান ঘটানোর দরকার ছিলো; শেখ সাহেব তা করেননি ঠিক সময়ে, ছাত্রলীগ রয়ে গেছে, বেঁচে গেছে ইসলামী ছাত্র সংঘ। উনার জনপ্রিয়তা কমায়েছে ছাত্রলীগ।

আজকে, ছাত্রলীগকে দেখছেন সর্বত্র, সরকারের পক্ষে হয়ে মারামারি করছে, ওরা সেখান থেকে আয় করছে; এদের ব্যতিত আরো ২টি দল আছে, ছাত্রদল ও শিবির; ওরা কোথয়, ওদের দেখা যাচ্ছে না কেন?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: ইসলামী ছাত্র সংঘ দলটিকে চিনতে পারিনি। এটা কোন দলের অঙ্গসংগঠন?

আপনার শেখ সাহেব তখন এরকম অনেক কিছুই করেননি, অথচ এগুলো করলে তাঁকে বাঁধা দেবার কেউ ছিল না। তিনি চাইলে দেশ হতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চিরতরে উৎখাত করতে পারতেন, যুদ্ধাপরাধীদের তখনি শাস্তি দিয়ে দিতে পারতেন। উনি এগুলো করেননি কেন? এখন শিবিরের কথা বলে লাভ নেই। তারা ছাত্রলিগে ঢুকে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছে।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার লেখায় অবাক হবার মত কিছুই নেই!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমরা আশাবাদী।

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১২

গরল বলেছেন: মুভিটা ভালো লেগেছিল, নাম The Walking Dead, জোম্বি নিয়ে বানানো মুভি।

The Walking Dead

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া যে লিংক দিলেন এটা একটা মুভির উইকিপিডিয়া পেজ। এটার নামও দ্যা ওয়াকিং ডেড। তবে একটা যুদ্ধের ছবি। প্লট পড়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৬

গরল বলেছেন: দু:খিত, লিংকটা ভূল দিয়েছিলাম

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: ও-এম-জি...
এই লিংকের পেজে গিয়ে গা শিরশির করে উঠলো। কি দেখলাম!

কিন্তু ভাইয়া এটা তো মুভি না, সিরিয়াল হবে মনে হয়। সিজন টু, এপিসোড সেভেন!
এনিওয়ে, পরে আবার কষ্ট করে ঠিকমত লিংকটা দেয়ায় ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ! :)

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখক, বুদ্ধি খাটিয়ে প্রতিউত্তর করুন দেখি...

@আমার খুব আশ্চর্য লাগে, আজ পর্যন্ত এই দুই পত্রিকার কোনটিতে আমি ছাত্রলীগের কোন ভালো খবর পেলাম না।
... তোমরা কোন পত্রিকা পড়ো?
৫ তারিখের প্রথম আলোর ৫ নাম্বার পেজের নীচের অংশটা দ্যাখোতো! তোমাদের চকলেট খটওয়ানো হলো। এর আগেওতো ঢাবির ছাত্রলীগ ছাত্র আন্দোলনের মৌন সমর্থন করলো।:P


@ আগে শুধু রাজনীতি নামক জিনিসটাকে ঘৃণা করতাম। এখন থেকে শুধু রাজনীতিকে ঘৃণা করলে হবে না, মনে হচ্ছে ছাত্রলীগ শব্দটিকে আলাদাভাবে ঘৃণা করতে হবে।
... সেকি জান! রাজনীতি যে আমার পছন্দের রেসিপি।:(
তোমরা যতোই রাজনীতিকে ঘৃণা করো, ১০০% এ প্লাস পাও, সুস্থ রাজনীতি ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তবে এটাও সত্য শুধু ছাত্রলীগই নয় পুরো ছাত্ররাজনীতিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সবাই যদি বিনষ্ট দুর্গন্ধময় রাজনীতি দেখে নাকে রুমাল চাপে তবে, নতুন প্রজন্ম সুবাসিত হাওয়া পাবে কীভাবে??:(

পুনশ্চঃ
১৮ বছর না হতেই ১৮+এ ঘুর ঘুর করার তীব্র প্ররতিবাদ জানাচ্চি!!!:P

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: বুদ্ধি খাটিয়ে উত্তর দেবার কি আছে? দিনে দুপুরে সবাইকে দেখিয়ে চকোলেট খাওয়ালো, পরে হেলমেট পরে মুখ ঢেকে কাপুরুষের মত মার দিলো! এটা ভালো খবর? :(

রাজনীতি যে আমার পছন্দের রেসিপি। ভালো, শুনে খুশি হলাম। আলোচনার টপিকস হিসেবে রাজনীতি খারাপ নয়। আমিও আপনার সাথে চালিয়ে যেতে পারবো। ;)

তবে এটাও সত্য শুধু ছাত্রলীগই নয় পুরো ছাত্ররাজনীতিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্ট্রংলি দ্বিমত পোষণ করছি। সব ছাত্র সংগঠন নষ্ট হয়েছে কে বলল? এখনো কিছু সংগঠন আছে, এদের কর্মিবাহিনী ছাত্রলীগের মত অত বড় নয়, সংখ্যায় তারা কম। তবে এখনো সুস্থ রাজনীতির চেষ্টা করে, এখনো তারা তাদের পড়ালেখায় খুব মনোযোগী। ছাত্রদল ছাত্রলীগ খারাপ হয়ে গেছে বলে আপনি পুরো সিস্টেমকে মন্দ বলে দিতে পারেন না! :)

পুনশ্চের জবাবঃ খানিকটা বিব্রত! :P

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: খুন ও ধর্ষনের ঘটনাটা তো গুজবই! অনেকে এডিট করা ছবি প্রচার করায় গন্ডগোলটা বেঁধেছে। তবে ছাত্রদের উপর পুলিশ ও অচেনা যুবকদের(ছাত্রলীগ গিরগিটি) হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে দেষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবী করছি।


পুনশ্চঃ
হিরোইন আমার ল্যাপটপটা তো হাসপাতালে...:(
কচ্ছপ গতিতে টাইপ করতে করতে আমি শ্যাষ!
ঘড়ি ট্যানজেলড

কেক

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: ছাত্রদের উপর পুলিশ ও অচেনা যুবকদের(ছাত্রলীগ গিরগিটি) হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে দেষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবী করছি। কাজের কথা বলেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া!

পুনশ্চের জবাবঃ ভারি অবাক হলাম, ঐ মুভিতে ঘড়ি তো ছিল না! এখানে কিভাবে ঘড়ি এলো?
হিরোইন আমার ল্যাপটপটা তো হাসপাতালে...
কচ্ছপ গতিতে টাইপ করতে করতে আমি শ্যাষ! আপনার টাইপিং এর গতি কচ্ছপ গতি? তাহলে আমার টাইপিংকে কি বলবেন শুনি? আমি ছোট একটা প্রতিমন্তব্য লেখার টাইমে আপনি সুবিশাল একটি মন্তব্য লিখে ফেলতে পারেন। এই গতিকেও আপনি বলছেন কচ্ছপ! এই গতিতে লিখতে থাকলে আপনার ল্যাপটপ তো হাসপাতালে যাবেই! আপনার ল্যাপটপের মুখ থাকলে সে হয়তো বলেই দিতো- ওরে বাপরে বাপ, ঐ হিরো, এবারে টেপাটেপি বন্ধ করো... =p~ ;) :P

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ উপমা 'পিপলস ডিসটোপিয়া অব বাংলাদেশ'। অার একটু কড়া করে বললে, 'পিপলস ক্যাকোটোপিয়া অব বাংলাদেশ'।

এই দুই দিন আমি ব্লগে অফলাইন থেকে নজর রাখছিলাম, কোন কোন বীরপুঙ্গব ব্লগার ভাষার মারপ্যাঁচে ছাত্রলীগের বর্বরতাকে বৈধতা দেবার চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো করেছেন আপনারা! আপনাদের চিনে রাখলাম। যদি কখনো আমার পোস্টে আপনারা কমেন্ট করেন তাহলে আমি হয়ত সবসময়ের মত হিহিহি.... লিখে প্রতিউত্তর দেব। তবে এইকথা ভুলবনা... -- এরা হয়ত ফিজিক্যালি মাঠেও থাকছে নিপীড়ন চালাতে। ব্লগেও সময় দিচ্ছে নিজেদের দূষিত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশে।

এরা নিজেরা বুঝতেও পারছে না যে তাদের এই দাপাদাপি/নোংরামী বেশিরভাগ মানুষ/ব্লগার কতটা ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখছে। শুধু ভদ্রতার কারণে মুখে কেউ কিছু বলছে না (দুএকজন মনে হয় বলেছে)।

আমার মনে হয় এই বেহায়াদের বেগুন গাছে সুইসাইট খাওয়া উচিত। :P =p~

শুভবোধের উদয় হোক এই সকল জীবদের।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: পিপলস ক্যাকোটোপিয়া অব বাংলাদেশ এই কথাটা মাথায় আসলে হয়তো এটাই শিরোনাম হয়ে যেত। +

আমার মনে হয় এই বেহায়াদের বেগুন গাছে সুইসাইট খাওয়া উচিত। =p~ কথাটা শুনে একটা নির্মল আনন্দ পেলাম ভাইয়া, ধন্যবাদ।

বলার মত কত কথা মাথায় আসে ভাইয়া, সব বলিনা। এই সকল টপিকসে কথা বলতেও ভালো লাগেনা। সহ্যের সীমা অতিক্রম হবার পর মুখ ফুটে এই কয়টি কথা বলতে বাধ্য হলাম। :(

আপনার মত আমিও কামনা করি শুভবোধের উদয় হোক এই সকল জীবদের।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওয়াকিং ডেড.. এটা একটা সিরিজ। সিজন ৮ না ৯ চলে। এটার প্যারালালী আরেকটা চলে ফেয়ার অব ওয়াকিং ডেড। জোম্বি এ্যাপোক্যালিপস নিয়া

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: গড়ল ভাইয়ার মন্তব্যে (১৩) লিংক পেয়ে বুঝে গিয়েছিলাম এটা একটা সিরিজ। :) সিরিজ দেখা বিরাট সমস্যার ব্যপার, দুই এক পর্ব দেখলে কাহিনীটা খালি মাথার ভেতর ঘোরে! আমার হাতে সিরিজ দেখার মত যথেষ্ট সময় সুযোগ থাকেই না! :(

তবে জম্বি মুভি আমার বেশ ভালো লাগে, ভূত ভূত ভাব আছে। কিন্তু ভূত নয়, ব্যপারটা বৈজ্ঞানিক! =p~

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @ সব ছাত্র সংগঠন নষ্ট হয়েছে কে বলল?
.. আমি ছাত্ররাজনীতির কথা বলেছি। লীগ, দল ও জাশি।

@পুনশ্চের জবাবঃখানিকটা বিব্রত!
... ওটা আমি মজা করে বলেছি। নো চিন্তা। তরুণ সমাজের নাড়ি নক্ষত্র আমার জানা। আমরাও কি সাধু নাকি??:P

@ ভারি অবাক হলাম, ঐ মুভিতে ঘড়ি তো ছিল না! এখানে কিভাবে ঘড়ি এলো?
... গানের সময় দেখা যাবে। মুভির হিরোইন কিন্তু আমার খুব পছন্দের।;) (শায়মা আপা টিকটিকি ভয় পায়, এদিকে তোমার আবার গিরগিটিতে সমস্যা!!?:()

তোমার লেখাটা নির্বাচিত অংশে দেখলাম। আমি জানি তুমি মডুর সুনজরে পড়ে গিয়েছো। (আমার দ্বারা লেখালেখি আর হইবে না?:()


পুনশ্চঃ
মন্তব্য করার সময় আমাকে কি আরেকটু সাবধান হতে হবে??

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: মন্তব্য করার সময় আমাকে কি আরেকটু সাবধান হতে হবে??
হেই গাই, আমি আপনার কোন মন্তব্য নিয়ে আপত্তি করেছি নাকি? =p~ আপনার মন্তব্যের কথাগুলো আমি বুঝি, কখন সিরিয়াসলি বলেন এবং কোন লাইন মজা করে বলেন সব বুঝি। আপনার সব মন্তব্য আমার ভালো লাগে। আমার পোস্টে আপনার মনের কথা এক্সপ্রেস করতে কখনো দ্বিধা করবেন না। একের অধিক মন্তব্য করলেও আমি চাঁদগাজী সাহেবের মত মাইন্ড করে বসি না। আপনি শায়মাপুর কাছে অবাধ মন্তব্যের অনুমতি পেয়েছেন, আর আমি আপনার মন্তব্যে সতর্কতা দেব কোন আক্কলে? আমি কি শায়মাপুর চেয়ে বড় ব্লগার হয়ে গেছি?
আর কখনো যদি এরকম ন্যকামি মার্কা কথা বলেন তাহলে কিন্তু রাগ করবো!

(লেখা পোস্ট হবার পাঁচ মিনিটের মাথায় নির্বাচিত পাতায় চলে গেছে। অভিনন্দন জানাবেন না? ;) )

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ও হ্যাঁ!
টাইপিং স্পিডে উদাসী স্বপ্ন বস। তবে সমস্যা হল ইন্জিনিয়ারটা একটু খাটাশ টাইপের, গিরগিটি স্বভাবের।:P

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: গিরগিটিকে আমি ভয় পাই, তবে উদাসী স্বপ্নকে আমার ভালো লাগে। উনাকে যতই গিরগিটি বলুন উনার লেখাতে আবেগের চেয়ে যুক্তি বেশি প্রাধান্য পায়! আপনি তো মনে হয় যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দেন! ;)

২০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ছাত্রলীগের গজব এখন অনলাইনে অফলাইনে ভাইরাল।

আজ বিকেল থেকে ফেইসবুকে গুজব আর গজব দেখতে দেখতে ক্লান্ত। অবশ্য, বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ভালোই ছিলাম। সময় টিভিতে দুএকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা কভারেজ করেছে। অন্যান্যরা বন্যা টন্যা নিয়ে নিউজ করছিলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনি সময় টিভি কেন দেখবেন? সময় টিভি দেখে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। বিটিভি দেখুন, মন ভালো থাকবে। =p~

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, লেখাটি পড়লাম। ভাল লাগলো।
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে সাতচল্লিশে দেশ বিভাগ হওয়া পর্যন্ত উপমহাদেশের ছাত্ররাজনীতির ধারা ছিল এক রকম; আবার সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর পর্যন্ত এ ধারাটির গতি পরিবর্তন হয়; আবার একাত্তর থেকে একানব্বই পর্যন্ত এ দেশের ছাত্র রাজনীতি ছিল বিভিন্ন ধারা উপধারায় বিভক্ত; আর এ জং ধরা ধারায় এইডসের মড়ক লাগে একানব্বই পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর আমলে; এখন তো ছাত্র রাজনীতি একটি মহামারীতে রূপ নিয়েছে। ছাত্র রাজনীতি এখন আর ছাত্রদের করতে হয় না; এর মালিকানা রাজনৈতিক দল, তাদের নেতা আর অছাত্র, বখাটে, টেন্ডারবাজ আর গুন্ডাদের দখলে। এখানে নীতি আর আদর্শের কোন স্থান নেই।

৯১ পরবর্তী বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে আদর্শ ও দায়িত্বের গুণগত মানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন ছাত্র রাজনীতি চিরায়ত 'গণমুখী' ঐতিহ্য ত্যাগ করে 'ক্ষমতামুখী' আদর্শে পরিচালিত হচ্ছে। ছাত্র নেতারা এখন পদ পদবীর আশায় কলেজ/বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ইচ্ছা করেই ফেল করেন; এতে তাদের ছাত্র জীবন দীর্ঘ হয়, পদ পদবীর সুযোগ হয়। নেতাদের পড়াশুনায় নিয়মিত হওয়ার চেয়ে ফেলটুস ছাত্র হয়ে থাকাটাই এখন অধিক মর্যদার। এতে পদ পদবীর পাশাপাশি তাদের পেশি শক্তি বাড়ে, অর্থবিত্ত বাড়ে, বড় নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার সুযোগ বাড়ে। হাত পাকে তদবীর বাণিজ্যে, হলে সিট বাণিজ্যেে, টেন্ডার বাণিজ্যে। ফলাফল স্বরূপ চাকরি জীবনে প্রবেশের আগেই তিনি হয়ে যান কোটিপতি নেতা।

যারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে সবক দেন তারা ছাত্র রাজনীতিতির অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা বলে আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন; কিন্তু বর্তমানেে কী ছাত্র রাজনীতির সে দিনটি আছে? তা উনারা দেখতে পান না অথবা দেখলেও তা স্বীকার করেন না।

দেশের ছাত্র রাজনীতিকে বর্তমান ধারায় প্রথমে নিয়ে আসেন মিসেস লিপিস্টক আপা ৯১তে; আর তা কাউন্টার করতে, আরো বেশি ডমিনেট করতে ৯৬তে আরেকটা ধারা শুরু করেন হাচু আপা। আর ছাত্র নামধারী এসব গুন্ডা বাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে জাসদ/বাসদ সহ অপরাধ জগতের অনেক তেজি গুন্ডা দল দু'টি তে ভিড়েন। এখন এরা দল দু'টি চালায়, গুন্ডা সামলায়, এরাই দেশের এক নম্বর মাফিয়া এখন। এরা কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ খুণ করে, আবার কেউ ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য মানুষ খুণ করে।

এজন্য ছাত্রদলের লিপিস্টক ম্যাডাম ক্ষমতায় থাকলে এরাও ছাত্রলীগের মতো ভয়ংকর হতো। কারণ, মাফিয়াদের চরিত্র একও অভিন্ন হয়।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১২

অচেনা হৃদি বলেছেন: ছাত্রদলকে আমি ছাত্রলীগের চেয়ে ভালো মনে করি না। এক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ তারা। পার্থক্য হল ছাত্রলীগ যা করে সরাসরি করে ফেলে, অন্যদিকে ছাত্রদল কিছুটা কাপুরুষ টাইপের দল, লিপস্টিক দেখে রাজনীতি করলে যা হয় আর কি। ছাত্রদল অপকর্ম করে লুকিয়ে লুকিয়ে, রয়ে সয়ে।
দুটো দলই বুর্জোয়াদের ভ্যানগার্ড!

আপনি ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করার অপরাধে নেত্রীদের দোষ দিয়ে ফেলেছেন, নেতারা কি কম দোষী? এরশাদ নাকি তাঁর দলের ছাত্র অঙ্গ সংগঠনে রাস্তার ছিচকে মাস্তানদের ঢুকিয়েছিলেন। লীগ বা দলের ওরা ফেল করে করে আদুভাইয়ের মত ছাত্র থেকে যায়, কিন্তু এরশাদের ছাত্র সংগঠনে (ঐ সংগঠনের নাম ভুলে গেছি) ছাত্রই ছিল না! চোর ছিনতাইকারীদের অর্থের বিনিময়ে কর্মি বানিয়ে রাখতেন।

তবে এখনো বামধারার কিছু ছাত্র সংগঠন পুরো কলুষিত হয়ে যায়নি। তারা এখনো সুকুমারবৃত্তি লালনের চেষ্টা করছে। আপনি তো একবারও তাদের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের কি ছাত্র বলে মনে হয় না? :)

২২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশে যোগ্য লোকদের স্থান নেই | দেশটা হয়ে গেছে শাহজাহান, বদি ,শামীম ওসমানদের মতো ষণ্ডা আর গুন্ডাদের, আর কিছু সংখ্যক যোগ্যতাহীন কোটাধারী অথর্বদের ! যুগান্তরের হেড অফ আইটি তরিক রহমান একটা চমৎকার প্রতিবেদন লিখেছেন "ওবায়দুল কাদের আপনি চুমু খাবেন কেন? ইয়াবা বদির হাতের পুরি খান!" | মনে হচ্ছে তাকেও আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মতোই অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে | সমাজের বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মানুষদের পোষা বাহিনী দিয়ে নিপীড়ন করে কি আজীবন ক্ষমতায় থাকা যাবে ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, যোগ্য লোক একদম নেই এটা আপনি কিভাবে বললেন? শামিম ওসমানের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আইভি রহমান তো মেয়র হলেন। অন্তত শামিমের চেয়ে ভালো ব্যক্তি হিসেবে আমি আইভিকে প্রেফার করতে পারি। শুধু শামিমকে দেখলে হবে না তো, শামিমদের অপজিটে মাঝে মাঝে আইভিরা আছে, তাঁদেরও দেখতে হবে।

সচেতন মানুষদের পোষা বাহিনী দিয়ে নিপীড়ন করে কি আজীবন ক্ষমতায় থাকা যাবে ? কেন থাকা যাবে না? লিবিয়ার গাদ্দাফি তো 'আজীবন' ক্ষমতায় ছিলেন। সাদ্দামও ছিলেন। ;)

২৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন অচেনা হৃদি !!!! অফলাইনে পড়লেও মন্তব্যটা করতে দেরী হলো।

কি আর বলবো ছাত্রলীগ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম সুফিয়া কামাল হলের ঘটনার পর। তারপর ব্লগের যাবতীয় লীগ বাহিনীর ভাইরা ঝাপিয়ে পড়লো। আপনি তাদের চিনতে কোন বেগ পেতে হবে না, দু একটা ব্লগ পড়লেই তাদের ঠিকানা পাওয়া যায়। এতো কিছুর পরে ও তাদের চোখ এখনো টিনের চশমা দিয়ে ঢাকা।...........

ভালো থাকুন সবসময়।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপু রাজনীতির ব্যপারে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। একারণে সুফিয়া হলের ঘটনা নিয়ে যে পোস্ট দিয়েছিলেন আমি সেটা পড়িনি। তাই সেটার মন্তব্য দেখার সুযোগ পাইনি। কিন্তু এরপর কানাডায় বাঙালি ডায়াসপোরা নিয়ে যে পোস্ট দিয়েছিলেন সেটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলাম। সেখানে তো রাজনীতির কোন কথা ছিল না। তারপরেও সেই পোস্টে কিছু অসভ্য গিয়ে মন্তব্যের ঘরে নোংরামি করেছিল দেখেছিলাম। নিক দেখেই বোঝা যায় এরা কারা।

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ব্লগে কখনো রাজনীতি নিয়ে টু শব্দও করবো না। এখানে আমি শুধু গল্প টল্প আর ফ্রিকি টাইপের নিউজ শেয়ার করবো। কিন্তু বিবেকের দায়ে ছাত্র বিক্ষোভের ব্যপারে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। আমাকে তো আমার অবস্থান ক্লিয়ার করতে হবে। নির্দলীয় এই ছাত্রদের উপর শুরু থেকেই আমার সমর্থন ছিল। রাজপথের ট্রাফিক ব্যবস্থায় এদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ ছিল না, নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত তারা ঘুণে ধরা সিস্টেম ঠিক করতে চেয়েছিল। আমি কেন এদের সমর্থন করবো না? এই নিঃস্বার্থ ছেলেগুলোকে যারা হামলার টার্গেট বানিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কথা বলব। এই কথা বলাটা যদি রাজনীতি হয় তাহলে আমি রাজনীতি করছি। অসভ্যদের বিরুদ্ধে কথা বলতে আমি দ্বিধা করবো না।

আমার পোস্ট পড়ে আমাকে সমর্থন জানানোয় সোহানী আপুকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা পূর্ন বিপ্লব অথবা যুদ্ধ ছাড়া মনে হয়না আর ইউটোপিয়াতে ফেরা যাবে!

গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যাতো কবেই শেষ!
পোষ্টমর্টেমও নিজেদের মর্জি মাফিক করছে।
খুন, গুম, জুলুম সীমা ছাড়িয়ে গেছে!

হয় তেলাপোকা হয়ে বেঁচে থাকো, নয়তো সরকারী পোষা গুন্ডাদের হাতে জীবন দাও!
মাঝামাঝি পথ কই?
বৃহষ্পতিবার সত্য আর যুক্তি দিয়ে তর্ক করাতে নগদে গ্রেফতারের জন্য সাইডে নিয়ে গেল।
আধা ঘন্টা আটকে রাখল। পরে উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথোপকথন শুনে- ছেড়ে দিল উপর থেকে ফোন আসার আগেই!
ফেসবুক ভাবছি বন্ধই করে রাখব। মনের কথা বললে যখন সতর্কতা আসে- আপনার স্ট্যটাস, কমেন্ট লাইক পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। দেখে শুনে বুঝে চলুন। তারচে বন্ধ রাখাই শ্রেয় নয় কি!
অন্ধকার গভির থেকে আরো গভীর হচ্ছে!


০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি অবাক হয়েছি যেদিন তুরিন আফরোজের মত আইনজীবীর মোবাইল কথোপকথন ফাঁস হয়ে পড়ে। আমি তো জানতাম তিনি সরকার ঘরানার লোক, কিন্তু তাঁকেও ফাঁসাতে হল? তাহলে কি এদেশে গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবে না?

হয় তেলাপোকা হয়ে বেঁচে থাকো, নয়তো সরকারী পোষা গুন্ডাদের হাতে জীবন দাও!
কি করবেন ভাইয়া, দেশের প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন তেলাপোকা এবং অমানুষদের প্রধানমন্ত্রী হতে, তিনি মানুষের প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। আমি আপনি কি উনাকে বোঝাতে পারবো?

অন্ধকার গভির থেকে আরো গভীর হচ্ছে! ভয় হচ্ছে, শুধুই ভয়...

২৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি নতুন কিছু নয়।কিন্তু এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কেন যেন বরাবরই নিরব থাকেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী একদিন অবশ্যই বুঝবেন। দেখার বিষয় হল, উনি কি সঠিক সময়ে বুঝবেন? নাকি সময় শেষ হবার পড়ে বুঝবেন?

২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২০

করুণাধারা বলেছেন: মনের মধ্যে এখন একসাথে অনেকগুলো অনুভূতি কাজ করছে- ক্ষোভ, দুঃখ, উৎকণ্ঠা, এবং তীব্র ঘৃণা! কোন আশা! নাহ, কোন আশা দেখতে পাচ্ছি না।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: একদিন কোন এক মন্তব্যে বলেছিলেন আমরা আপনার সন্তানের সমান। এরপর হতে আপনার প্রতি আমার একটা গুরুজনসুলভ শ্রদ্ধা রয়েছে। আপনাকে কি কোন সান্ত্বনা দিতে পারবো? এখন তো আপনারাই আমাদের সান্ত্বনা দেয়া উচিৎ।

তবুও বলি, রাত যত গভীর হয়, সকাল ততই নিকটবর্তী হতে থাকে।

২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার বাচ্চা যখন হবে, যখন ভাষাজ্ঞান আসবে, কথা বলবে, আজেবাজে ভাষা বললে থামাবেন না কিন্তু! অন্যের বাচ্চার মুখে বাজে গালাগালিতে মজা নিলে হবে, নিজের বাচ্চার মুখে মজা নিতে হবে। শুরুটা ঘর থেকেই হোক!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: বাহঃ কবির মুখে কাব্যের ছোঁয়া! বড়ই সৌন্দর্য!

২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ও হ্যা, পর্ণ হাব দেখাতে ভুলবেন না। বানান ভুল করলে শুধরে দিয়েন। ছোট্ট বাচ্চাতো, ভুল হতেই পারে, তবে বাবা মাকে শুধরে দিতে হবে, নইলে শিখবে কি করে!! হি হি হি....

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

অচেনা হৃদি বলেছেন: ওয়াও! আমি তো মনে করেছিলাম কেউ এধরনের মন্তব্য করতে চাইলে ভিন্ন নিকে ঢুকে তারপর মন্তব্য করবে। কিন্তু আপনি পুরা ব্যতিক্রমধর্মি নজীর দেখালেন। যা বলার সরাসরি বলে দিলেন। সাহস আছে আপনার। ধন্যবাদ!

২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আমি সত্য বলতে ভয় পাই না। অন্য কোন নিক আমার সামুতে নেই! আপনাকে সাহস দেখানোর কিছুই নেই। যা অযাচিতভাবে লেখেছেন তার কিছু কথা মন্তব্যে এনেছি! এপ্লাই করে দেখিয়েন। আপনি মা হলে সেটা করিয়েন। আপনার বাচ্চাকাচ্চা সুসন্তান হবে। অন্যদের উস্কে দেবেন না!

শালীনতাবোধ না থাকলে কাপড় চোপড়ের কি দরকার! বাইরে যা গরম! এরপর দেশে কোন বিষয়ে আন্দোলন হলে নুড আন্দোলনকারী দেখলে অবাক হব না। আর আপনাদের মানসিকতা সেটাকে সম্ভব করে তুলতে সাহায্য করবে! আপনাদের কি বলব বুঝতে পারছি না! বড়বড় কথা বলা যায় লেখা যায় কিন্তু বাস্তবতা খুবই কঠিন!


এদেশের কতিপয় মানুষের কলবে প্রেতাত্মা ভর করেছে! তরুণদের কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা নিজেও জানে না! এদের আত্মনাশ হবে একদিন! নিজঘরেই তা শুরু হবে! দেখা যাচ্ছে! হি....... হি........হি.....



০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার ঘর নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবে না। আমি আমার পরিবারের তিন প্রজন্মকে চিনি। আমার পরিবারকে এদেশের হাজারো মানুষ চিনে। এই ব্লগের বাইরে হয়তো আপনিও আমার পরিবারকে চেনেন। আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম সভ্যতার সাথে বেঁচে আছি। আমাদের পরিবার যেভাবে আমাদের বড় করে তুলেছে তা আপনারা কল্পনায় দেখে থাকেন। যে সভ্যতা ভব্যতা নিয়ে বড় হয়েছি তা এতো ঠুনকো নয় যে আপনার কাছে শিখার মত কিছু রয়ে যাবে। নিজের ভবিষ্যত ভাবুন। ধন্যবাদ।

৩০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আপনার কথাটা সুন্দর ভাবে বলেছেন । আক্রমণকারীরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন । তাদের দাঁত শিরশির করছে আপনাকে কামড়াতে না পেরে । একজন ব্লগার সোহানী উনাদের ধারালো দাঁতের পরিচয় কিছুটা পেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে । ব্লগে যাদের দাঁত এতো বিষাক্ত, রাজপথে তাদের অনুসারীরা কচি কচি বাচ্চাগুলোকে কী করেছে ভাবতেই গা শিউরে ওঠছে । যদিও গুজব বলে সব উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ।

ক্ষমতার দাপটে অনেক কিছু ধামাচাপা দেওয়া যায় । কিন্তু চিরদিন নয় । বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে নিহত হবার পর ১৯৯৬ সালে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় । সুতরাং সত্য আসবে, আলো আসবে, অত্যাচারীরা তাদের কাজের উপযুক্ত সাজা পাবো - এটা শুধু সময়ের ব্যাপার ।

লেখাটা আমার এতোই ভালো লেগেছে যে, এটাকে দৃষ্টি আকর্ষণ পাতায় এ্যাডমিন সাহেব দিলে সচেতন ব্লগাররা পড়ে দেশের প্রকৃত অবস্থাটা বুঝতে পারতেন ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ। কুকুরের কাজ কুকুর করবেই, তাই বলে কি কুকুরের ভয়ে নিজের গন্তব্য ছেড়ে দেবো? মোটেই নয়, পথ বদলাতে পারি, গন্তব্য নয়।

লেখাটা আমি পোস্ট করার পর পাঁচ সাত মিনিটের মাথায় নির্বাচিত পাতায় গেছে। এটাই বা কম কিসে ভাইয়া? আর দৃষ্টি আকর্ষন পাতায় (পিন পোস্টে) আমার এই পোস্টের চেয়েও ভালো একটি লেখা শোভা পাচ্ছে। কাজেই আমারটা না দিলেই ভালো হবে।

লেখাটা পছন্দ করায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

৩১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




গায়ে নিয়ে ভালই করেছেন। সভ্যতা শিখেছেন ভাল কথা অন্যদের কি অসভ্যতা শেখাবেন? এসব হিপোক্রেসি আত কত? ছাত্রদের প্লেকার্ডে অশালীন বক্তব্য ছিল সেটাকে সুচারুভাবে ইগ্নোর করে আপনি তাদের উৎসাহিত করছেন। এটা ঠিক নয়। ওরা নষ্ট হবে। হতে পারে একদিন এটা বুমেরাং হয়ে আপনার দিকে, আপনার পরিবারের দিকে যেতে পারে! একটা জাতীয় আন্দোলনে রাজপথে দাঁড়িয়ে এসব আর অসভ্যতা দেখতে চাই না! আমার কাছে আপনার শেখার কিছু নেই সেটা আমিও জানি! আমাকেও আপনার বলে দিতে হবে না যে আপনার কি পরিচয় আর আমি কি ভাবব!


ইউ আর নাথিং টু মি...


গুড বাই..

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: সব বুঝি, সব জানি। যত কাঁচা ভাবছেন আমি অতটা কাঁচা নই।

৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"তবে এখনো বামধারার কিছু ছাত্র সংগঠন পুরো কলুষিত হয়ে যায়নি। তারা এখনো সুকুমারবৃত্তি লালনের চেষ্টা করছে। আপনি তো একবারও তাদের কথা উল্লেখ করেননি। তাদের কি ছাত্র বলে মনে হয় না? :)

হ্যা, এটা ঠিকই। কিন্তু বই দুই দলের চিপায় পড়ে এরা আজ বিপন্ন প্রায়। এদের ভাল কাজগুলো বড় দলগুলোর হাজারো খারাপ কাজের চাপে দৃষ্টিগোচর হয় না।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

অচেনা হৃদি বলেছেন: জি, আপনার ভাই-বোন/ছেলে-মেয়ে যদি ওদের দলে ভিড়তে চায় আপনি তখনও বাঁধা দেবেন। একবার যেহেতু ছাত্র রাজনীতিকে খারাপ মনে করে ফেলছেন তাহলে তো কাউকে ভালো মনে হবে না, এটাই স্বাভাবিক।

৩৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কুকুরের কাজ কুকুর করবেই, তাই বলে কি কুকুরের ভয়ে নিজের গন্তব্য ছেড়ে দেবো? মোটেই নয়, পথ বদলাতে পারি, গন্তব্য নয়। - ঠিক বলেছেন, কুকুরের ভয়ে গন্তব্য পরিবর্তন করা যাবে না ।

পিন পোস্টের লেখাটা ভালো কিন্তু আপনারটাও তো কম নয় । লেখাটা ভালো, তবে আমার কাছে আপোষকামী মনে হয়েছে । লেখায় বারুদ ছিল না । ঠিক এই সময়ে বারুদহীন লেখা আপনার চলমান আন্দোলনকে আরো থিতিয়ে দেবে । কিশোরেরা তাদের কাজ করেছে, কিন্তু শেষ করতে পারেনি । সেই কাজটা শেষ করার জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আহ্বান জানালে পজিটিভ একটা লেখা হতো । লেখাটা ৪ তারিখ রাতে লেখা হয়েছে, ততক্ষণে আমরা মোটামুটি ধারণা করতে পেরেছি কতটা পৌশাচিক ছিল একটা দলের লোক । লেখার কোথাও তার বিন্দু বিসর্গ উল্লেখ্য নেই । একটা জনপ্রিয় শ্লোগান আছে, আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি চাচ্ছি আর যেন রক্তপাত না হয়, এখন তাদের প্রতি সবার সহানুভূতি আছে, এটা নিয়েই ওরা রাস্তা ত্যাগ করে আবার স্কুলে ফিরলে ভালো হবে।

৩৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বোন আপনার পোষ্ট এবং সব মন্তব্য গুলো মন দিয়ে পড়লাম।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনি কাচা পাকা কিছুকিনা সেটা আপনি জানেন। আর আমি আপনার মত অত কিছু হিসাব মিলাচ্ছি না। শুধু এটুকুই বুঝেছি আপনি অশালীনতার পৃষ্ঠপোষক!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: সবাই সবকিছু নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বুঝে নেয়। আমিও বুঝে নিলাম যারা গুড বাই বলার পর আবার মন্তব্যের ঘরে ঝুলতে থাকে তারা পার্সোনালিটিলেস, তাদের মন্তব্যের উত্তর দেয়া মানে সময়ের অপচয় করা।

৩৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: ওয়াও্..।

এক গ্লাস নিম পাতার শরবত নিয়ে হাজির হলেন দেখি।



০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: সবসময় মিষ্টি নিয়ে হাজির হব, আর সবার কাছে মিষ্টি হয়ে থাকবো, এটা সম্ভব নয় ভাইয়া। অন্তত আমি পারবো না।
এখন থেকে মিষ্টির যোগ্যরা মিষ্টি পাবে। নিম পাতার যোগ্যরা নিম পাতার শরবত খাবে। :)

৩৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। ছোটদের যতোটুকু করার করেছে, এবার বড়দের পালা। দেখা যাক।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: বড়দের পালা, বড়রা যদি বুঝে তাদের কি করা উচিৎ তাহলে ভালো। নয়তো তারা ভুগতে থাকবে, ভোগান্তি যদি কপালে থাকে তা কে খণ্ডাবে?

৩৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

লায়নহার্ট বলেছেন:
{আপনার ব্লগ থেকেও একটা কলঙ্ক মোচন হলো}

৩৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হিরোইন, আমার মন্তব্যটাতো মুছে গিয়েছে। এখন কি হবে??:(


পুনশ্চঃ ভ্রমরের সাথে কাইজা করো না, ও অমনই। একটু তারছেঁড়া, মেজাজি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: কোন মন্তব্যের কথা বলছেন ভাইয়া? আপনার সব মন্তব্যই তো আছে! মন্ডল হিসেবে আছে, আলাদিন হিসেবে তো এর আগে মন্তব্যই করেননি! ;)

৪০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আরে এগুলো না, বিকেলে টাইপ করেছিলাম। তুমি ছিলেনা তাই পরে দিব বলে সেফ করে রেখেছিলাম। তবে সমস্যা নেই একটু আগে আবার টাইপ করলাম.....

@ আমার পোস্টে আপনার মনের কথা এক্সপ্রেস করতে কখনো দ্বিধা করবেন না।
... সব কথা বললে আমাকে যে ব্লগ ছাড়া হয়ে বনবাসে যেতে হবে। তখন কি তুমি আমার সাথে থাকবে??X(

@(লেখা পোস্ট হবার পাঁচ মিনিটের মাথায় নির্বাচিত পাতায় চলে গেছে। অভিনন্দন জানাবেন না?)
...কিসের নন্দ!!! আমার শরীর জ্বলছে। পুচকে এক মেয়ে হবে হিরো। আর ২০১৩ থেকে আমি হয়ে আছি জিরো!!!:(

@ আপনি তো মনে হয় যুক্তির চেয়ে আবেগকে বেশি প্রাধান্য দেন!
... আবেগে পইড়া কিন্তু কইয়া ফালামু,
তোমারে আমার কনিষ্ঠ প্রেমিকা বানামু।।:P


পুনশ্চঃ
১। এটা কে? Click This Link

২. ব্লগিং করতে গিয়ে তোমার আম্মুর হাতে ধরা পড়লে, একটা পোস্ট দিবে। এভাবে
আম্মু আমায় কয় কেন, ব্লগিং করিস না। ব্লগিং ছাড়া যে আমার ভালোলাগে না....:P

সবাই তখন তোমাকে ব্লগে থাকার জন্য বলবে। আমাদের মন্তব্য দেখে আম্মাজান তোমাকে বেকসুর খালাস দিয়ে দেবে.. :D

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: এই যে, এসব কি? আমি কিন্তু @@ দেয়া কথাগুলো কোন আলাদিনেরে বলি নাই, বলেছি মন্ডল বাড়ির পোলাকে! ;)

না বাপু, আমি বনবাসে যেতে চাই না, আমি সীতা না, আমি হৃদি! :)

আপনি সেই ১৩ থেকে তো নিজের দোষে জিরো হয়ে আছেন। আমাকে এটা বলে লাভ নাই। :(

পুনশ্চঃ ১. এটা কে তা কিন্তু অলরেডি বলে দিয়েছি। নিজের ব্লগে তো যান না তাই জানেন নাই। এখানে আবার বলছি, এইটা আমি না। আমি এই নিকের গল্প পড়ে রাগে চুল ছিঁড়তে মন চাইছে, এতো বানান ভুল। :(

২. মায়ের হাতে মনে হয় সহজে ধরা খাবো না। কারণ আমার মা টেকনোলজি সম্পর্কে অত ভালো বুঝেন না। তাই ব্লগের ব্যপারে উনার তেমন ধারণা নেই। একারনেই তো আরামে আরামে চালিয়ে যাচ্ছি! ;)

৪১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দেয়া কথাগুলো কোন আলাদিনেরে বলি নাই, বলেছি মন্ডল বাড়ির পোলাকে!
ও তাইতো। কমেন্ট করার সময় আমি ভুলেই যাই, কোন নিক থেকে করলাম। :(

মন্ডল বাড়ীর পোলারে আমি খাইছি। সে লেখক হল এক বছরও হয় নি। অথচ আমি সেই কবে থেকে পাঠক। কনিষ্ঠ প্রেমিক তো আমিই!!

অচেনা অতিথিকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। একই নিকে অনেক লেখক থাকে।

আম্মুর কথা জেনে স্বস্তি পেলুম। এখন আমার ভয় নাই।:P

তোমার আগের প্রোপিকটা তো ভালোই লাগতো! জানোই তো মানুষ পুরাতনকে পছন্দ করে।:)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: তোমার আগের প্রোপিকটা তো ভালোই লাগতো! জানোই তো মানুষ পুরাতনকে পছন্দ করে। জি, জানি। আগের বার যখন কার্টুন বদলিয়ে সাদা পোশাকের মেয়ের ছবি দিয়েছিলাম তখন বলেছিলেন এইটা কি দিলা, আগেরটা ভালো ছিল, এইটা তো ঢ্যামনা মেয়ের ছবি। =p~
আশা করি এই ছবিটা এক সময় আপনাদের ভালো লাগবে। আমি আর প্রো পিক পালটাবো না।

আম্মুর কথা জেনে স্বস্তি পেলুম। এখন আমার ভয় নাই।
কি বলেন? আমার বাবা কিন্তু ব্লগ ভালো করেই চিনে। আমার মনে হয় আমি ব্লগ চালাই জানলে মাইর দিবে। বাবা তো আমাকে কবিতা লিখতে নিষেধ করে দিয়েছিলেন, ব্লগে লিখছি জানলে কি বলবেন কে জানে! কাজেই স্বস্তি পাওয়ার কিছু নাই! আজ সারাদিন বাবার ভয়ে একবারও ব্লগে ঢুকিনি, বাবা বাসায় ছিল। :(

কনিষ্ঠ প্রেমিক তো আমিই!! নো প্রবলেম। হে প্রিয় কনিষ্ঠ প্রেমিক, ভবিষ্যতে আমার প্রেমিক কিন্তু আরও হতে পারে। তখন কোন মাইন্ড করবা না- এখনি সাবধান করে দিলাম। ;)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: অচেনা অতিথিকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। একই নিকে অনেক লেখক থাকে। হুম, উনি তো অচেনা অতিথি না, উনি হলেন অচেনা অথিতি!
একই নিকে অনেকে থাকতে পারে, তবে আমার কাছে সবসময় নিজেকে ইউনিক হিসেবে দেখতে ইচ্ছে করে। আমার নাম কেউ ব্যবহার করছে দেখলে একটু অস্বস্তি লাগে। :(

৪২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শিশু-কিশোর ছাত্ররা ঘরে ফিরে যাক, এটা আমি প্রথম থেকেই মনে প্রাণে চাচ্ছিলাম । এবং যখন একটি বিশেষ দলকে ওদের বুঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো, তখন আমি ওদের মঙ্গল চিন্তায় অস্থির বোধ করেছি । আমি চেয়ে ছিলাম, বড়দের কেউ যেন ওদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরায় । এমন তো হতো পারতো, কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি ওদের সাথে দেখা করে ওদের আশ্বস্ত করতো, তোমরা ঘরে ফিরে যাও । সমাধান না হলে, আমরা মাঠে নামবো । সেটা হয়নি । তাই চরম মূল্য দিতে হলো । ৪ তারিখের ঘটনায় অনেক রাত করে ঘুমিয়েছি । একা একা চোখের জল ফেলেছি । তারপর ঘুমের মধ্যেও দু:স্বপ্ন দেখে জেগে উঠেছি । আমার জীবনে, এই রাতের চেয়ে ভয়াবহ আর কোন রাত আসেনি । তাই আমি বড়দের সংগ্রামের কথা বলেছি - অধিকার কেউ কাউকে দেয় না, ছিনিয়ে নিতে হয় । এর প্রমাণ ৫২, ৬৯, ৭১ ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভালো বলেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.