নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা বড়ো বর্ণচোরা। সে নানা রকম বর্ণ ধারণ করতে খুব পটু। এই রঙ হলুদ,নীল, বেগুনী কিংবা আকাশী নয়, অদৃশ্য কিছু হাজার রকম রঙের ছুড়োছুড়ি এ মনে।।ফেসবুকের: অদ্ভুত মানুষ

মধ্যবিত্তের ছেলে

একজন অদ্ভুত মানুষ

মধ্যবিত্তের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ভালবাসার স্থানটা আজ ফুসফুস দিয়ে ঘেরা”

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:০০


কালো দাড়িগুলোর ফাঁকে ফাঁকে অল্প কয়েকটা দাড়ি খয়েরী রঙ ধারন করেছে যে
কবে চোখ পরেনি সেগুলোর উপর। বলতে গেলে ত আয়নার সামনেই দাঁড়ানো হয় না,
সেখানে আবার দাড়ির খোঁজ! সেদিন মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে
দাড়ির রঙ ধারণের রহস্যটা বের করতে পারি। রহস্য বলতে খোঁজ পেয়েছি বলা যেতে পারে।
যেখানে আমি নিজের গালের দেখা দেখি না সেখানে অন্যের চোখ পড়া ত স্বাভাবিকই। হা হা হা...।
যাকগে, আমি আবার বাবার মত স্বভাবের নই, হাজারো কালো চুলের মাঝে খুটিয়ে খুটিয়ে দু-একটা
সাদা চুলকে জোর করে কালো করে দেওয়ার পক্ষে না। বেচারা কালো চুলটা সাদা হতে চায়, হোক না!
দোষ কি তাতে! এই সুবাদে খয়েরী দাড়িটা খয়েরীই থাকুক। কালো হয়ে গেলে প্রকৃতির নিয়ম-
অনিয়মের মাঝে পরে যায় না কি!!

ইদানিং অবস্য আয়নার সামনে বেশি ঘুড় ঘুড় করছি। এই দেখে যে, কয়টা দাড়ির রঙ পাল্টালো।
হা হা হা...। মাঝে মাঝে ভাবতে থাকি অপরিচিত মুখ গুলো থেকে দাড়ি লাল হয়ে যাওয়ার প্রশংসা
সত্যিই রোমাঞ্চকর। একবার হাসি পায়, অন্যবার গালে অনিচ্ছাকৃতভাবেই হাত বুলাতে থাকি।

কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের জীবনটা শুরু থেকেই বেখায়ালীপনায় পরে যেতে থাকে।
আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। এমনকি এগুলো বয়সের ছাপ, হাতে, মুখে, শরীরে, কথা-বার্তায়,
আচরণে প্রকাশ পায়। আবার কারো কারো সামাজটাই তাকে বদলে দেয়। এই যেমন ফেবিকল
দিয়ে জোড়া লাগানো কিছু বিধি-নিষেধ, কিছু দৃষ্টি-ভঙ্গি, আবার কিছু ধ্যান-ধারণা সবই সমাজকে
আর এর ভেতর মানুষগুলোকে চলতে শেখায়। কখনো কখনো সমাজটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে
নতুন জীবন ভাবতে ইচ্ছা করে যেখানে চলার বিধি-নিষেধ হবে শুধুমাত্র নিজের তৈরি। আবার
নিমিষেই আমার কয়েক মিনিটের নতুন সমাজে ভাঙন সৃষ্টি হয়, কেন? কারণ, মানুষ ত মানুষ প্রিয়।
একা থাকা কি সম্ভব!!

এতক্ষণ নিজের ভাবনার কথাগুলোই মুখ ফসকে বেড়িয়ে এসেছে। বেখেয়ালীপনা আমার
জীবনে নতুন অধ্যায়। একটা সময় ছিল যখন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়া মানে সুন্দর একটা শার্ট,
একটা জিন্স প্যান্ট, পায়ে কনভার্স। মাথার চুলটা নতুন ভঙ্গীতে আঁচড়ানো, গায়ে পারফিউম অর্থাৎ,
ফিটফাট হয়ে বেড়িয়ে যাওয়া। উদ্দেশ্য থাকতো একটাই, পছন্দের মানুষ বলুন কিংবা মনের মানুষই
বলুন নয়ত ভালবাসার মানুষ, তার কাছে আমি যেন একজন গর্বের পুরুষ হয়ে থাকি। হ্যা, এই প্রিয়
মানুষটার সাথে কাটানো একটা রঙিন দিন পরবর্তী মুলাকাতের দিনটাকে রঙিন করে দেওয়ার মত,
কিংবা মানুষটার মুখে হাসি ফুটাতে কি-ই বা না করা হতো! এই মেয়েগুলো ছেলেদের ভিতর ভুট্টার
মত ফুটতে থাকা ভালবাসা গুলোর রহস্যগুলো সবসময় বুঝে না। ওরা শুধু চায় রঙিন করে দেওয়ার
মত রঙ যা তার জীবনে ফুরন্তের মতো লম্বা চুলের ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে থাকবে। আর চাইবে,
ছেলেগুলো যেন অবসর সময়ে সবটুকু পাশে থাকে। আসলে অবসর সময় বলতে ভালবাসাটাকে
গভীরে নিয়ে যাওয়ার সময়। যেখানে পৃথিবীর মানুষ থাকবে দু’জন।

ফিটফাট হয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার মত মানুষ হয়ত তেমন ছিলাম না, তবে যা না হলেই না হয়
সেইটুকু বজায় থাকত। যেখানে আমার উপস্থিতি তাকে বিমুগ্ধ না করলেও তাহার মনের তৃপ্ত
বাসনা পূরণ করে দিতে পারি। পাশে বসিয়ে আমার হৃদয়ের কম্পনের মাত্রা বুঝাতে পারি।
আমার বাহুডোরে তাহার মাথা গুজবার শক্ত বালিশ উপহার দিতে পারি। আমি সেই মুহুর্তের
কথা বলছি যেখানে একে অপরকে ভালবাসার কথা মুখ দিয়ে নয় দুজন দুজনার বোবা চোখের
কথায় বুঝে নিতাম। আমি সেই ভাল লাগা মুহুর্তের কথা বলছি যেখানে একে অপরের স্পর্ষেরশক্তি
বিদ্যুতের মত বুকের মাঝে কাঁপন তুলে দিত। ভালবাসা সেদিন বুঝে নিয়েছি যেদিন পিছন থেকে
জড়িয়ে ধরার মানসিক আনন্দ উপলোব্দী করেছি। যেখানে এক গ্লাস পানি দুজন পান করতাম আমি
সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আরেকটা মুহুর্ত আজ কেন কোনোদিনই মিথ্যা হবেনা,
এটা সেই মুহুর্ত যেই মুহুর্তে দুজন দুই ঠোঁটের কোণে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাসের গল্প ভাগাভাগি করে খেতাম।
হ্যা,গল্প খেয়ে নিতাম।

এগুলো আবেগ ছিল। আর আবেগ ছিল বলেই হয়ত ভালবাসা জন্মেছিল। আর ভালবাসা
জন্মেছিল বলেই দুটো হৃদয়ের মিলন হয়েছিল। হৃদয় দুটো মিলে এক হয়েছিল বলেই ভালবেসেছি।
ভালবেসেছি বলেই বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছি না। এটা কি আদৌ বাস্তবতা?
নাকি সমাজের বেধে দেওয়া নিয়ম? যেখানে জীবন শেষ হওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্তও একে অপরকে
নিয়ে বাঁচতে চেয়েছি সেখানে সামান্ন বিন্দুর মত বিধি-বিধান দুটো সম্পর্ককে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে।
হাজারো স্বপ্নগুলো মিথ্যা স্বপ্নে পরিণত হচ্ছে শুধুমাত্র চাওয়া-পাওয়ার অপুর্ণতার মাঝে!
অদ্দৃশ্য এক লোহার তৈরী শিকল আমার ভালবাসাকে টেনে হিঁচড়ে বুকের বাঁ পাশ থেকে
বের করে দিতে চায়। হৃদয়ের ফাঁকা জায়গাটা ফুসফুস দখল করে নেয় দীর্ঘ্যশ্বাস নেওয়ার জন্য।
আর বলতে চায়, মধ্যবিত্তের মাঝে ভালবাসা শেষ বিকেলে বাড়ির ছাদে মিষ্টি রোদের মতো কখন যে
আড়াল হয়ে যাবে তার কোনো জানা নেই।
ভালোবাসার জন্ম যেন ভালবাসা হারানোর স্বাদ পাওয়ার জন্যই হয়!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে ভালোবাসার পাশাপাশি হাকাকার বিরাজ করছে সারাক্ষণ; এখানে ভালোবাসা টিকে না, মনে হয়!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: আপনারটা টিকে গেছে?

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: হাহাকার।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৭

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: হে হে হে হে,
প্রেমের হাহাকার।
সবাই সমালোচক এখানকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.