নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে একজন ভীষণ খারাপ মানুষ। তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারি বলে কেউ কিছু বুঝতে পারে না। সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে!!!

অজ্ঞ বালক

ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে এখানে নিয়ে এসে ছুঁড়ে ফেলা হয়!!!

অজ্ঞ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যান্টাসি গল্পঃ চমক

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গোপন ক্যামেরাটা ঠিকঠাক বসানো হয়েছে কি না আগে দেখে আসলো রিনা।

আজ আমাদের ছেলে রাজীব এর আঠারো-তম জন্মদিন। এখনকার দুনিয়ায় আদর্শ ছেলে বলতে কিছু নেই, তবে রাজীব যাকে বলে বেশ ভালো ছেলে। ভালো ছেলে না হলে কি আর আজকের দিনে বন্ধুবান্ধব ছেঁড়ে আমাদের কথায় রাতের খাবারের জন্যে এত দ্রুত বাসায় চলে আসে। ওর বন্ধুদের খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল দুপুরে, তখনই বলে দিয়েছিল রিনা যে রাতের খাবারটা আমরা তিনজন একসাথেই খাবো। রাজীবও সাড়ে সাতটার মধ্যে বাসায় চলে এসেছে। রিনাকে বলে গিয়েছিলাম, আজ রাজীবের প্রিয় খাবারগুলো রাঁধতে। খিচুড়ি, চিকেন ফ্রাই, গরুর কালো ভুনা, জালী কাবাব। আর অনেকখানি সালাদ, আমার জন্যে। এই বয়সে এসে এত ভারী খাবার রাতের বেলা পেটে সয় না।

গত কয়েক দিন ধরেই আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধিটা খেলা করছিল। রিনাকে বুঝিয়ে বলতেই ও হাসতে হাসতে রাজী হয়ে গিয়েছিল। না হওয়ার কিছু নেই। ভার্সিটিতে আমি আর রিনা মিলে যেসব দস্যিপনা করেছি সেগুলো এখনও আমাদের ক্লাসমেটরা দেখা হলে বলে। রাজীবের খুব শখ একটা মোটরবাইকের। আমাকে না বলে কয়েক মাস আগে চালানো শিখে এসে মা-কে বলেওছিল। আমাকেও আভাস দিয়েছে যে আঠারো হলেই ও লাইসেন্সটা করবে আর তারপর একটা বাইক ওর চাইই চাই। রিনার হালকা আপত্তি থাকলেও, আমার খুব একটা না নেই। সেটা আজকে ওকে জানাবো তবে তার আগে ওকে একেবারে সেই একটা চমক দিতে হবে।

বেশি কিছু না। আমি আর রিনা মিলে একটা নাটক সাজিয়েছি। আমার আইডিয়াই মেইন, রিনা একটু ঘষামাজা করে দিয়েছে। সেটা আজকে ওকে বলে, গোপন ক্যামেরা দিয়ে ওর ঐ মুহূর্তের এক্সপ্রেশন আমরা ক্যাপচার করে ফ্যামিলি গ্রুপ আর ইউটিউবে আপ দিব। আজকের পর আর কি এমন কখনো করা যাবে নাকি? যত যাই হোক, ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে। কাজেই এটা একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। রিনা আমাকে থাম্বস আপ দেখিয়ে বুঝালো সব ঠিক আছে।



"রাজীব, খেতে আয়।" ডাক দিলাম আমি।
"আসছি বাবা।" বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে রাজীবের গলার অস্পষ্ট স্বর শোনা গেল। মিনিট পাঁচেক পর দরজা খুলে ডাইনিং রুমে এসে ঢুকল রাজীব। "এতক্ষণ লাগে রুম থেকে আসতে?" রিনা রাগত গলায় বলল।
"আরে মা, রাশেদের সাথে কথা বলছিলাম। সেই ইউকে থেকে ফোন করেছে উইশ করতে। ওভাবে হঠাৎ করে কি উঠে আসা যায়? তার আগে দেখি, আজকে কি রান্না করলে আমার জন্য?"
"খাওয়া পরে হবে।" আমি গম্ভীর গলায় রাজীবের কথার মাঝখানে বাধা দিলাম। "তোর সাথে আমাদের জরুরী কথা আছে।"
"কি কথা?" রাজীবের গলায় নিখাদ বিস্ময়। এরকম গলায় ওর সাথে সহসা কথা বলি না আমি। শেষ যে বার বলেছিলাম, তখন ও ক্লাস টেনে পড়ে। কোচিং ফাঁকি দিয়ে এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিল।
"এখন আমি যেসব কথা বলবো তোর হয়তো বিশ্বাস হবে না কিন্তু সত্য অনেক নিষ্ঠুর, আর বাস্তবতা জিনিসটা কিন্তু আমাদের কল্পনার চাইতেও অনেক গভীর।"
"কি আশ্চর্য, এভাবে নাটকের মতন কথা বলছ কেন? কি হয়েছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না।"
রিনা এবার বলে উঠল, "দেখ বাবাই। তোর আব্বু তোকে বলার সাহস করে উঠতে পারছে না। আমি সরাসরিই বলি। তুই আসলে আমাদের ছেলে না।"

"কি বলছ এসব!?" চেয়ার ঠেকে উঠে দাঁড়াল রাজীব। ধাক্কাটা একটু জোড়েই হয়ে গিয়েছিল চেয়ারটা ঠক করে গিয়ে ধাক্কা খেল পেছনের কাবার্ডে। "কি বলছ এসব মামণি?"
"ঠিকই বলছে তোর মা। আমরা তোর আসল বাবা মা নই। আমাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তোকে বড় করার। সবার চোখের আড়ালে। সাবধানে। এই পৃথিবীতে।" মনে মনে খুব হাসছি আমি। নিশ্চয়ই ভিডিওটা দারুণ হচ্ছে। শেষমেশ যখন রাজীবকে বোকা বানিয়ে হেসে উঠবো আমরা, দেখার মতন হবে ওর চেহারা। এখনই যা লাগছে!
"আব্বু, আস্তে। তোমরা ঠিক আছো তো? এসব কি বলছ তোমরা? তোমরা বুঝতে পারছ কি বলছ?" রাজীব রীতিমত হাঁপাচ্ছে।
"শোন বাবাই। আগে বস, চেয়ারে বস।" রিনা চেয়ারটা টেনে দিল। "আমরা তোকে বলছি। মন দিয়ে সব শুনবি। তোর উপর তোর গ্রহের অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব। তোকে এখন এরকম অস্থির হলে চলবে না।"
"দাঁড়াও, আমাকে বলতে দাও। বাবা, তুই আসলে আমাদের ছেলে না। এই পৃথিবীর কেউ তুই নোস। এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিরও বাইরে থেকে তোর আগমন। এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির কারুস নামের একটা গ্রহের হারিয়ে যাওয়া রাজপরিবারের শেষ সন্তান তুই..."
রাজীব আমার কথার মাঝখানেই চিৎকার করে উঠলো। "থামো। তোমরা দুজন আমার সাথে মজা করছ তাই না? আমার প্রিয় সুপারহিরো সুপারম্যানের মত করে কাহিনী বানাচ্ছ..."
"চুপ করে আগে আমাদের কথা শোন তুমি।" ধমক দিয়ে বলে উঠলো রিনা। সহজে রাজীবকে তুমি করে বলে না ও। কাজেই রাজীব অবাক হয়ে তাকাল ওর মা-র দিকে। সেই ফাঁকে আমি কাহিনী বলে যেতে থাকলাম।



"...তোর চাচা নিজের হাতে তোর বাবা-মা আর তোর ছোট বোনকে হত্যা করে। তোর একান্ত বিশ্বস্ত বডিগার্ড আর তার স্ত্রী, আমি আর রিনা, তোকে সাথে করে পালিয়ে আসি পৃথিবীতে। সেটা যখন তোর বয়স পৃথিবীর হিসেব মতে পাঁচ। কারুসের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নিজেদের চেহারা বদলে নেই পৃথিবীর মানুষের আদলে আর সেই সাথে তোর মস্তিষ্ক থেকে সব স্মৃতি মুছে দেই। তোর আঠারো বছর বয়স হয়েছে তাই গতরাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোকে সব জানানোর..." - রাজীবের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। এখনো ওর চেহারায় অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু, তাও চুপচাপ শুনছে আমার কথা।
"নিয়মিত আমাদের ট্রান্সমিটার দিয়ে কারুসের সাথে যোগাযোগ রাখি আমরা। তোর চাচার বয়স হয়েছে। আর রাজপরিবারের বিশ্বস্ত বিপ্লবীরা গোপনে গোপনে এখন অনেক সংগঠিত। তারা সকলেই চায় রাজপুত্রের পুনরাগমন। তোর চাচাকে পরাজিত করে তোকে আবার সিংহাসনে বসাতে চায়।" মোটামুটি আমার কাহিনী শেষ। এখন রিনার পালা। হাজার হোক, ছেলে মা-র ন্যাওটা। শেষ পেরেকটা রিনাই ঠুকবে।

"বাবাই, আমি জানি এই কথাগুলো তোর মোটেও বিশ্বাস হচ্ছে না। কিন্তু এগুলাই সত্যি।" রাজীবের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল রিনা, ওর চেয়ারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। "আর তুই যে বিশ্বাস করবি না তা আমরা জানতাম, আর তাই তোর বাবা আর আমি মিলে ঠিক করেছি আজকে তোকে সেই বাক্য শিখিয়ে দিব যা বললে তোর সব স্মৃতি মনে পড়ে যাবে। সেই সাথে তুই যখন ইচ্ছে তখন নিজের দেহ কারুসবাসীদের মতন পালটে ফেলতে পারবি।" এই অংশটা শাজাম থেকে নিয়েছি। এসব কমিকস সব আমিই তো কিনে দিতাম রাজীবকে। আর ওর আগে আমিই পড়তাম অবশ্যই।
"মামনি, তুমি কি বলছ এগুলো। আমি এখনো কিছু বিশ্বাস করতে পারছি না। তুমি, বাবা, এই সব কিছু। ওহ গড। নাহ, অসম্ভব।" কান্না কান্না গলায় বলল রাজীব।
নাহ, আর বেশিক্ষণ এই নাটক চালানো যাবে না। একবার চোখ দিয়ে পানি বের হলে পরে রিনা বিগরে যাবে। পরে ঝড় যাবে আমার উপর দিয়ে। আমি চোখের ঈশারা দিলাম রিনাকে। তাড়াতাড়ি শেষ করতে ব্যাপারটা।
"বাবাই, এখনই তুই সব মনে করতে পারবি। একটু ধৈর্য ধর বাবা।" রিনা নিজেকে সামলে বলল। "শুন, আমি যা যা বলছি ঠিক তাই তাই কর। উঠ, উঠে দাড়া বলছি।" রাজীবকে হাত ধরে দাঁড় করলো রিনা।
"হ্যাঁ, এবার নিজের দুই হাত আড়াআড়ি বুকের উপর রাখ।" ঠিক ব্ল্যাক প্যান্থারের মতন, তবে রাজীবের এখন সেসব মাথায় আসার কথা না। সে এখন রিনার কথা শুনছে। "হ্যাঁ, এবার আমি যা যা বলি ঠিক সেটা বলতে থাক। আর হ্যাঁ, কারুসবাসীদের দৈহিক গড়ন অনেক বীভৎস। প্রথমবারে ভয় পেতে পারিস। ভয়ের কিছু নেই। আমি আর তোর বাবা এখানেই আছি। তোর সাথে। এখন বল, লেছেকা বোটাক এমিয়া লেসয়া..."
অবিশ্বাস চোখে মুখে নিয়ে রাজীব রিনার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে বলল, "লেছেকা বোটাক এমিয়া লেসয়া..."

চমক, হ্যাঁ, চমকই তো।

চোখের সামনে রাজীবের সাড়ে পাঁচ ফুট শরীর বাড়তে বাড়তে ছাদ ছুঁয়ে ফেললো প্রায়। সারা শরীর ঢেকে গেল কচ্ছপের খোলের মতন শক্ত চামড়ায়। ঘাড় নেই, শরীরে উপর বসানো গোল ফুটবলের মতন মাথাটায় গুণে গুণে দশটা চোখ। কানগুলো নেই, সেখানে ফুলকোর মতন কান আর নাক একসাথে। নাকের জায়গায় একটা শুঁড়। আরও এক জোড়া হাত পা গজিয়েছে, একটা প্লাটিপাসের মতন ল্যাজও।

চমক তো বটেই।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :-/

তারপর?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আয়হায়! চমক তো শ্যাষ!!!

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চলে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: যাক বাবা। থাইমা থাকলেই সমস্যা আছিল। গরুর যেমন লেজটা বাঁকাইয়া মোচড় দেওন লাগে, সেরম করা লাগতো। চলে যখন - যথেষ্ট!

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ! চমকের শেষ কোথায় ???? ফ্যান্টাসি হিসেবে চলবে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বুঝলাম না। ভালোই প্যাচ লাগছে দেখি। চমক তো শ্যাষ! মানুষ না চমকাইয়া, চমকের শ্যাষ জানতে চাইয়া, আমারেই চমক দিতাসে!

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০১

হাবিব বলেছেন: লেজ কতদিন স্থায়ী হয়েছিলো?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: গল্পের কথা না কই। তবে নর্মাল্লি লেঞ্জাটা গঞ্জিকার প্রভাব থাকাকালীন সময় পইয্যন্ত স্থায়ী হয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভালা কথা, লাইকের জইন্য ধইন্যা :D

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৫

আসামিহাজির বলেছেন: তার পরের অংশ ------ (লেখক হটাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় ঘটনার প্রত্যক্ষ দর্শক হিসাবে আমাকে লিখতেই হলো )
আর রিনা ও আল্লাহ একি দেখছি সে ও রাজীবের মতো ফুলতে শুরু করলো , বুকটা সানাইয়ের চেয়ে ফুলে ফেঁপে হটাৎ সেফুদার সেই ট্রস ট্রস শব্দে হুক ছেড়ার আওয়াজ ।রিনার মুখটা ঠিক একটা হাঁসের মুখের মত দেখাচ্ছে হিস হিস্ করে সে অদ্ভুত আওয়াজ করছে , মেঝেতে অজ্ঞ বালক নামের সাথে তাল মিলিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে, আহা বেচারার চমক দেখার স্বাধ পূরণ হয়েছে । আমি ঘটনার শুরুতেই সোফার নিচে ঢুকে যাওয়াতে কেউ আমাকে দেখছে না । রিনা টুস করে সিসিটিভি তা ভেঙে ফেললো আর রাজীবের প্লাটিপাসের মত লেজধরে মৃদু ঝাকুনি দিতেই রাজীবের সাইজ ছোট হয়ে এলো ।দুজন এবার অবিকল মানুষের মত চেহারায় ও সাইজে ফিরে এলো ,রিনা কাপড় দিয়ে তার ছিঁড়ে যাওয়া বক্ষবন্ধনীর জায়গা ঢাকলো। রিনা বললো শোনো উজবুক টার জ্ঞান ফেরার আগে ওর স্মৃতি মুছে ফেলতে হবে নাহলে জ্ঞান ফিরে ব্লগে বিশাল গল্প লিখবে । রাজীব বললো আমরা এখন কোথায় যাবো রিনা হাসলো বললো বাবা তুমি ঘড়ে যাও আমি ওর স্মৃতি মুছে ফেলে দেব । এরপর একদিন আমরা নুতন কোনও মানুষের খোঁজ করে নেবো । মানুষ গুলো কত বোকা দেখেছো সারাদিন খেটে আমাদের জন্য খাবার জোগাড় করে তবে এই অঞ্চল টা খুব গরম আমাদের গ্রহের মত শীতল না , এরপর ওর মাথা থেকে সব মুছে ওকে দিয়ে ভিসার আবেদন করিয়ে আমরা কানাডা চলে যাবো । দেখো বাবা এইভাবে ওর যত বন্ধু আছে তাদের সবার বাসায় ই আমরা এলিয়েনেরা মেয়ে মানুষ সেজে আছি এবং অনন্ত কাল থেকে যাবো ।রাজীব বললো আসামি হাজির চাচার বাসায় চাচী আর তাঁর সুন্দর মেয়েটা ওরাও কি আম্মু আমাদের মতো এলিয়েন ? রিনা মুচকি হাসলো হ্যা আব্বু ওই আহম্মকের বাসায় আমার আপন বড় বোন মানে তোমার খালাম্মা। সোফার নিচে এতক্ষন আমি ভালোই ছিলাম এইবার আমার গা কাঁপতে শুরু হয়েছে , হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে , মাথাটা বন বন করে ঘুরছে ,ইয়া আল্লাহ আমি কি জ্ঞান হারাচ্ছি?........

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ছ্যাহ! দেশটা চোর ছ্যাচড়ে ভইরা গেলো গা। নাকি মাইনষের বাসার সোফার নীচে হান্দাইয়া থাকাটা আপনের শখ। দাড়ান, সোফার নীচটা দেইখা আহি। আপনে থাকলে একসাথে কফি মারান যাইবো। ভালো লিখসেন। পেলাস।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প পড়ে আমিই সবচেয়ে বেশি চমকে গেছি।
বলেন তো কেন চমকে গেছি?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: হে হে হে। ঐডা ইচ্ছাকৃত। আপনের কমেন্টের স্ক্রীণশটওয়ালা পোস্টটা দেইখ্যা আমার নায়কের নামটা চেঞ্জ কইরা দিলাম আর কি।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগে নি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ডাইরেক্ট কইয়া দিবেন তাই বইলা!? নাহ, আপনে মানুষটা সরল সোজা আছেন। এমন মানুষ ভালা পাই। টাইম পাইলে ভুলগুলা চউক্ষে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিয়েন। ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আরো পড়তেহবে।
তাপর দেখি কি হয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আর পড়ার কিচ্ছু নাই ভ্রাতা। কাহিনী খালাস কইরা দিছি তো একবারেই!

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

আনু মোল্লাহ বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে।
শেষটায় টাস্কি খাইছি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আহহা, টাস্কি না। কইতে হইবো চমক। এইডাও যদি আবার লিখ্যা দেওন লাগে। নাহ।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

করুণাধারা বলেছেন: যে চমক নিয়ে শেষ হয়েছে গল্পটা, তা ভালো লেগেছে। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, নতুন লেখকদের (যাদের সাথে বেশি ব্লগারদের পরিচয় নেই) পোস্ট লম্বা হলে অনেকেই কিছুটা পড়ে আর পড়ে না। আপনার লেখা চমৎকার, আরেকটু ছোট করলে হয়তো আরো অনেকের পছন্দ অপছন্দ জানতে পারতেন..........

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: মানে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত না টানলে আমিই শান্তি পামু না। আর আমি শান্তি না পাইলে পাঠক শান্তি পাইয়া কি লাভ। আমি সবসময়ই আমি আমি করি বেশি। এইডাই সমইস্যা! আর এট্টুক গল্পে যদি পাঠকের মনোযোগ না ধইরা রাখতে পারি তাইলে আর কি গল্প লিখলাম!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনারেও লাইকের জইন্য ধইন্যা :D

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

আসামিহাজির বলেছেন: অজ্ঞ বালকের স্মৃতি ভ্রম অনিচ্ছাকৃত এলিয়েন দেড় দ্বারাই ঘটিয়াছে তাহার মন্তব্য ইহাই প্রমান করে । সে যে ঘটনার সাক্ষী রাখিবার জন্য আমাকে বাসায় দাওয়াত দিয়েছিলো এবং স্ত্রী যখন রান্নায় ব্যাস্ত আমার সহিত সোফায় বসিয়া গঞ্জিকাসেবন করিতেছিল তাহা পর্যন্ত বেমালুম ভুলিয়া গিয়াছে ।ভুতের গলির শেষ মাথার প্রথম বাসাটায় তার সেটা সে টেক্সট করে আমাকে জানিয়েছিল । যা হউক না কেন সম্পর্কে সে আমার ছোট ভায়রা কারণ রিনার নিজের মুখের কথা তো আমি অবিশ্সাস করিতে পারি না । তাহার কফির দাওয়াত খেতে (না কি পান করতে ) সব ব্লগার আর পাঠকদের লইয়া তাহার বাসায় যাইব এবং সে কানাডা চলিয়া যাওয়ার আগেই ।আসলে আমরা তো এখন সবাই একে ওপরের আত্মীয় শুধু মাত্র সেই ব্যাক্তি যে এখনো বিয়ে না করার মত সাহস দেখিয়েছে ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: যেই স্বামী বাসায় বউ থাকাকালীন অবস্থায় ড্রইং রুমে বইয়া ইয়ার-বক্সীগো লগে গাঞ্জা টানবার পারে তারে এক দুইশ এলিয়েন তো কোন ছাড়, শামীম ওসমানও কিছু করবার পারবো না। কাজেই সকল যুক্তি ভুয়া, ফক্কিবাঁজি। আসামির ফাঁসি চাই।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

আসামিহাজির বলেছেন: শুধু ফাঁসি চাই বললে হবে না এরকম অনেক ফাঁসি চাওয়া লোকের এখন দিব্বি খালাস । বলতে হবে আসামির ফাঁসি চাই দিতে হবে । ভায়রার সাথে একদড়িতে ঝুলে দোল খেতে খেতে মরার আমন্ত্রণ রইলো নাকি কানাডার এপ্লাই নিয়ে ব্যাস্ত ?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: তাইলে নিজেই ঝুলাইয়া দেই, কি কন? আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না বলে বন্দুক উঁচকিয়ে ঠোলা মামা আসার আগেই কম্ম সাবার হইয়া যাইবো। আপাতত কানাডা প্ল্যান বন্ধ। ব্যবসা করুম।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গল্প বলার ভঙ্গি সত্যি সুন্দর, মুগ্ধ হলাম।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: যাক বাবা। চেহারা সুন্দর না, ব্যবহার সুন্দর না, বেনক বেলেন্স সুন্দর না। কিছু একটা তো সুন্দর আমার। আইজকা বৌরে কমু সেইডা। ধইন্যবাদ ভ্রাতা।

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মজার তো!! :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: চমক না পাইয়া মজা পাইলেন। দিলাম আম, হইয়া গেল আমসত্ত্ব। মজার তো!!!

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমক তো বটেই ! :)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: যাক বাবা, কেউ তো চমকাইলো!!! ;)

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পটা কিন্তু বেশ জমেছে।
দারুণ।+++++++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: যা বাবা, এই গরমে ফ্রিজে বরফ জমে না আর গল্প জইমা গেলো। আর কি চাই! ধইন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.