নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে একজন ভীষণ খারাপ মানুষ। তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারি বলে কেউ কিছু বুঝতে পারে না। সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে!!!

অজ্ঞ বালক

ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে এখানে নিয়ে এসে ছুঁড়ে ফেলা হয়!!!

অজ্ঞ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সে এক বিশাল ইতিহাস - ০২

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

এক বই পাগলের আখ্যান
---------------------------

আমার বই পড়া শুরু যখন আমি ক্লাস টু-তে পড়ি, বরিশাল উদয়নে। ভাইয়া তখন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে পড়ছে। হোস্টেলে থাকে। আর বাসায় ফিরে আসার সময় আমার জন্য বই নিয়ে আসে। ডায়মন্ড কমিকসের রত্ন। চাচা চৌধুরী, পিংকি, বিল্লু, রমণ, ফ্যান্টম, হী ম্যান, ডায়নামাইট, অগ্নিপুত্র অভয়। সেই হল শুরু। ঐ সময় আব্বা ছিলেন বরিশালের এডিসি - জেনারেল। আমার জন্মদিন উপলক্ষে যে গ্র্যান্ড পার্টি দেওয়া হল তাতে উপহার পেলাম লাল কাভারের সম্পূর্ণ সুকুমার রায় শিশু সমগ্র, এখন পর্যন্ত আমার জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠতম উপহার। ৩৪ টা দেশের রূপকথা নিয়ে সাজানো বই, চুক আর গেক, ইশকুল আর ময়ূখ চৌধুরীর ভয়ংকর শিকার কাহিনী। এসময় থেকেই পড়া শুরু টিনটিন, এসটেরিক্স। ভাইয়ার সংগ্রহ থেকে খুঁজে বের করে পড়া সেরা সন্দেশ। নেশা ধরাতে আর কীইবা লাগে।



ক্লাস ফাইভে আমি তখন ঢাকায়। কাকলি হাই স্কুলে পড়ি। পুরোদমে চলছে তিন গোয়েন্দা, গোয়েন্দা রাজু, তিন বন্ধু পড়া। থাকি মোহাম্মদপুর রাজিয়া সুলতানা রোডে। আর, গল্পের বইয়ের দোকানটা ছিল তাজমহল রোডের কাছাকাছি। ইসলামিয়া লাইব্রেরি (ধন্যবাদ, করুণাধারা-কে!)। একা যাওয়ার প্রশ্নই ছিল না। সেই আমি একদিন পেস্ট্রি কেনার টাকা বাঁচিয়ে না বলে বই কিনতে চলে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি বাসার সামনে পুলিশের গাড়ি, আম্মুর মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। সবাই যখন আমাকে প্রশ্ন করতে ব্যস্ত, আমার মাথায় ঘুরছে এখনই তিন গোয়েন্দার বইটা লুকাতে হবে কেউ দেখে ফেলার আগেই। তা না হলে বই ছিঁড়ে ফেলবে, বৃথা যাবে এত পরিশ্রম।



এইট-নাইনে ধরলাম রানা, কুয়াশা, ওয়েস্টার্ন, কিশোর ক্লাসিক। পড়লাম কিশোর হরর, রোমাঞ্চকর সিরিজ। এর মধ্যে খোঁজ মিলল নানাবাড়ি আর দাদাবাড়ির বিশাল লাইব্রেরির। পড়া শুরু হল রবীন্দ্র, নজরুল, শরত, বিভূতি, বঙ্কিম - ক্লাসিকের মাঝে আমার পদচারণ। মনে আছে, এক আত্মীয়র বাসায় গিয়ে গল্পের বই পড়া শুরু করেছি। রাতের দাওয়াত ছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ, রাত দশটা বাজে, বই শেষ হচ্ছে না, কেউ উঠতেও পারছে না বাসায় যাওয়ার জন্য। আরেক বাসায় বেড়াতে এসেছি, কান ধরে যে টেনে তুলবে তাও পারছে না। আমি পড়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই। বাসায় গিয়ে ধোলাই না হয় খেলাম, কিন্তু বই তো আগে শেষ করি - নাকি? এভাবে শেষ করেছিলাম বিশ্বনবী আর হাতেম তাঈ - আপুর এক বান্ধবীর বাসায়। আমার এই বই প্রেম দেখে যিনি আমাকে বই দুটো গিফটই করে দেন।



ইন্টারে এসে শুরু হল পাগলামি। দুই বছরে আঠারো দিন ক্লাস করাকে পাগলামি ছাড়া আর কীইবা বলা যায়। টেস্ট পরীক্ষায় হ্যাট্রিক গোল্লা পাওয়ার পরও পরীক্ষা দিতে দেওয়ার কারণে আজীবন কৃতজ্ঞতা সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রতি। তা, কি করেছি এই দুই বছরে? দুটো কাজ, সারা ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে অকারণ ঘুরেছি বন্ধুদের সাথে। আর, পাবলিক লাইব্রেরি-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র-গণগ্রন্থাগার চষে ফেলেছি। শুরু হল হিমু পড়া। আহ, উন্মাতাল সব দিন। মাঝে মাঝে মনে হতো খালি পায়ে বের হয়ে যাই বাসা থেকে, হলুদ পাঞ্জাবী নাহয় নাই থাকলো। মিসির আলি পড়ে ঝিম মেড়ে বসে থাকা। যুক্তির মাঝে মুক্তি খোঁজা। কবি পড়ে পাগল হয়ে যাওয়া। জাফর ইকবালের হাকারবিন, আমার বন্ধু রাশেদ, কপোট্রনিক সুখ দুঃখ, পৃ, টুকি ও ঝাঁয়ের অদ্ভুতুড়ে অভিযানের কাহিনী।



সুনীলের আত্মপ্রকাশ আর যুবক যুবতী-রা পড়া শেষে একঘণ্টা বই হাতে বসে থাকা। কি পড়লাম এটা আমি? বনফুলের ছোট গল্প, সত্যজিতের ফেলুদা, শঙ্কু, তারিণীখুড়ো, সুনীলের কাকাবাবু, আশুতোষের পারাপার, শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজ, সমরেশের আট কুঠুরি নয় দরজা। সে এক অদ্ভুত সময়। মনে ও মননে আমাকে আজকের আমি করে তোলা অসাধারণ সব বই। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্রে অনুবাদের সাথে আত্মীয়তা শুরু, তার আগে অবশ্য সেবার কিশোর ক্লাসিক সব পড়া শেষ। গণগ্রন্থাগারে ইংরেজি বই পড়ার পাঠ শুরু। এইচ এস সি ইংরেজি পরীক্ষার আগের দিন, আব্বা দেখতে আসলেন আমার প্রস্তুতি কেমন। দেখলেন হাতে এলিয়েস্টার ম্যাকলিনের বই। আমি আস্বস্ত করলাম এই বলে যে এটা ইংরেজি বই। কাজেই প্রস্তুতি পুরদমেই চলছে। ততদিনে, আব্বাও বুঝে গেছেন আমি বাঁ কানে শুনি ও ডান কান দিয়ে বের করে দিই উপদেশবাক্য, কিংবা হয়তো আমাকে নিয়ে আশা করাই ছেঁড়ে দিয়েছেন। কাজেই সেখানেই ঘটনার সমাপ্তি।



ভার্সিটিতে এসে শুরু হল তালিকা ধরে ধরে পড়া। মানিক পড়া হয় নাই। এক বসায় উপন্যাস সমগ্র শেষ করে উঠলাম। জহির রায়হান পড়ি নাই। এক টানে সব বই পড়লাম। বিমল কর ভালো লেখেন? আচ্ছা দেখি তো। বুদ্ধদেব গুহ, আশাপূর্ণা দেবী, মহাশ্বেতা দেবী, বাণী বসু, সুচিত্রা ভট্টাচার্য। এদিকে সৈয়দ মোস্তফা সিরাজ, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, শওকত উসমান, সৈয়দ মুজতবা আলি, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, সেলিনা হোসেন।



এরপর ধরল কবিতার ভূতে। জীবনানন্দ তখন আমার কাছে কবিতার শেষ কথা। এখনও। পড়লাম সুকান্ত, মধুসূদন, গুণ, সাহা, শামসুর রহমান, রুদ্র, আবুল হাসান, কাদরী, হেলাল হাফিজ। ওপার বাংলা থেকে সুনীল, শক্তি, বসু, সমর, জয় গোস্বামী, অমিয়, বিষ্ণু, শঙ্খ ঘোষ।চাকরিতে ঢুকলাম। টাকা আসলো হাতে। আর বই কেনা বেড়ে গেলো অস্বাভাবিক। স্বভাব পালটে তখন প্রবন্ধ পড়ি, ইতিহাস, ধর্ম, রাজনীতির উপর লেখা বই পড়ি। বিদেশি ম্যাগাজিন (যা ভাবছেন তা নয়!) ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, নেচার, রিডার্স ডাইজেস্ট কিনে ঘর ভর্তি করে ফেলেছি। প্রতি মাসে দশ-পনেরো হাজার টাকার বই কিনতাম। এভাবে চলেছে যতদিন সংসারের জোয়াল কাঁধে চেপে বসে নি। এখনও যখন বাসা পাল্টাই, বউ অসহ্য হয়ে যায়। ২০-২৫ টা বস্তা ভর্তি থাকে শুধু আমার গল্পের বইয়ে।



এখন একটা যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নই আমি। জীবনের হাতে শিকল পড়া, বন্দী। কিন্তু যেই এক জীবন কাটালাম বই পড়ে, এরকম একটা জীবন কাটানোর জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে আমৃত্যু কৃতজ্ঞতা জানানোটাও কম হয়ে যায়।

আগের প্যাঁচালটাও এইখানে গিয়া পইড়া ফ্যালান!

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার বই পড়ার বিশাল ইতিহাস জানলাম। এতো এতো লেখকের নাম মনে রাখেন কিভাবে? এসব লেখকের বেশীরভাগ বই-ই আমি পড়েছি.....কিন্তু নাম বলতে বললে অর্ধেকও বলতে পারবো কিনা সন্দেহ।

আপনাকে অজ্ঞ না, 'অভিজ্ঞ বালক' উপাধি দেওয়া হইলো!! ;)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: উপাধি টুপাধি না দিয়া, চা খাওনের দাওয়াত দেন। আইসা খাইয়া যাই। এইসব হুকনা উপাধি দিয়া ভাইগা যাইবেন, তা হইবো না। আমার আসলে একটা টার্গেট ছিল - ১০০০০ বই পড়ার। গুণাগুণি তো আর করি নাই কিন্তু কাজটা মনে হয় কইরা লাইসি। এই আর কি!

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চা খাওনের দাওয়াত দেন। দিলাম। কবে আইবেন কন! অফিস থিকা ছুটি লইতে হইবো, আপনেরে আনতে হিথ্রো যাইতে হইবো.....মেলা কাম। :P

আগের থিকা না কইলে সমইস্যা। :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: পাসপোর্ট অফিসে যামু কাইলকা। পাসপোর্ট বানাইতে দিমু। আমারও মেলা কাম দেখা যাইতাসে। ঠান্ডা কিমুন? ওহ, এখন তো সামার। কম্বল তাইলে দশটার বদলে দুইটা আনলে হইবো তো?

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: বই পড়া খুব ভালো অভ্যাস.............

লাইব্রেরীর নাম ইসমাইল লাইব্রেরী না, ইসলামিয়া লাইব্রেরী।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই যে ধরা খাইসেন। থাকেন কই? মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া নাকি জাপান গার্ডেন? চা খাইবেন এক কাপ? দাড়ান, এডিট মারি।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কম্বল তাইলে দশটার বদলে দুইটা আনলে হইবো তো? কম্বল আনোন লাগবো না.....হোটেলে কম্বল দেয়! =p~

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ছ্যা ছ্যা ছ্যা। এই নি দাওয়াতের ছিরি। দাওয়াত দিয়া হোটেলে তুলবেন??? যান মিয়া, আপনেরে বাংলাদেশে দাওয়াত। আইবেন খাইবেন যাইবেন - আওন যাওন বাদে সব আমার বাসায়। শীতলপাটি বিছাইয়া দিমু এক্কেরে উইথ হাতপাখা।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

করুণাধারা বলেছেন: এর কোনটাতেই আমি থাকি না, কিন্তু আমার ছেলে পড়তো...... ওই মোহাম্মদপুরের যে দুই স্কুলের নাম বললেন তার একটাতে। আমিও প্রচুর বই কিনতাম, ইসলামিয়া লাইব্রেরী থেকে সোবহানবাগের জ্ঞানকোষ লাইব্রেরী থেকে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আরেহ বাহ। দারুণ। কিন্তুক এইদিকে কি সমস্যাতেই না পড়লাম, চায়ের তিয়াস লাগছে কিন্তু জুত কইরা কারোর থেইকা দাওয়াত বাগাইতে পারতেসি না! জ্ঞানকোষ এখন পুরাই ফাউল। ইসলামিয়াও। একাডেমিকের জন্যে এখনো ইসলামিয়া ভালো কিন্তু ঐ সময় যেইভাবে গল্পের বই পাওয়া যাইতো এখন তার ছটাকও বেঁচে না।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অগ্নিপুত্র অভয় বা রমণটা পড়া হয়নি আমার। সেগুলো ছাড়া সবকটি কমিকসই পড়েছি।
হাকারবিন - হাত কাটা রবিন :D

বিমল করের "কড়ি দিয়ে কিনলাম".......
সৈয়দ মোস্তফা সিরাজের কর্নেল সিরিজ (যতটুকু মনে আছে এটাই নাম)

বিদেশি ম্যাগাজিন ;)
রিডার্স ডাইজেস্ট.....

আপনার লেখা বাকি বইগুলোর বেশিরভাগই পড়েছি।

অতীতের পালে হাওয়া দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: অগ্নিপুত্র অভয় একটা ফ্যান্টাসি বেইজড কমিক্স। মজাই ছিল, বেশ একশন হইতো। তবে একশনের আব্বা ছিল ডায়নামাইট সিরিজ। রমণ এক ছা পোষা কেরানির কথা। ভালোই ছিল। বিমল করের সরস গল্প পইড়া দেইখেন। সমান ওজনের স্বর্ণ দিলেও এই বইয়ের দাম হয় না। কর্ণেল সিরিজ ১-৪ পর্যন্ত পড়ছিলাম। জ্ঞান একটু বেশি কিন্তু জিনিস ভালো। রিডার্স ডাইজেস্ট এখন ভালোবাসা। এত্ত ডাইভার্স একটা ম্যাগাজিন। দুর্দান্ত। আহ, ধইন্যবাদ ধইন্যবাদ আপনারেও। কম পড়েন নাই আমার থেইকা যা বুঝলাম।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দাওয়াত দিয়া হোটেলে তুলবেন? দাওয়াত দিলে যে কম্বল লয়া আহে, হ্যারে আমি হোটেলেই উঠাই। ঘটি-বাটি-কম্বল লয়া আমার বাইত উঠনের কাম কি? =p~

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনের কম্বল বাড়তি আসে এইডা আমি জানুম কেমনে? এসি আছে তো বাসায়? গীজার? আর এসপ্রেসো কফি মেশিন? না থাকলে যোগাড় করেন। আমি নিউ মার্কেট যাই, গরম কাপড় কিনতে হইবো। অনেক কাম।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: উপস... একটা কথা বাদ গেছে B:-/
আমিও বইয়ের বিশাল মাপের পোকা। বই পেলেই ফিনিশ। তাই আমার কাছ থেকে বইরা দূরে থাকে ;)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমিও বইপোকা। এখন টাইম পাই না কাজেই পোকাগিরি কম করি। তবে আমার পড়ার স্পীডরে থ্যাঙ্কস, ঘন্টা দুয়েক সময় পাইলে ২০০-২৫০ পাতার বই পইড়া ফালাইতে পারি কাজেই সেইভাবে চয়েজ কইরা লিস্ট বানাইয়া রাখি।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

হাবিব বলেছেন: ভাইরে, বই কিনা কেউ নাকি দেউলিয়া হয়না, আমি তো কোন কোন মাসে বই কিনা না খাইয়া থাকতাম। আপনে এতো সব বই কি কিনা পড়ছেন!! ভালা ভালা

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: নাহ। বেশিরভাগই লাইব্রেরির থেইকা নিয়া আইসা পড়া। অন্যের কাছ থেকে আইনা মাইরা দেয়া বই আছে অনেক। নিজের কিনা কমই আছে। আর দেউলিয়া, সেইটাও হইসি।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

শায়মা বলেছেন: আমার বই পড়ার শুরু হ্যান্স ক্রিশচিয়ান এন্ডারসন ফেইরী টেলসের ৭ টা বুক এর একটা সেট দিয়ে। তারপর রুপকথার ঠাকুরমার ঝুলি । কত যে পড়েছি এখনও বললে গড় গড় বলে দিতে পারবো সব রূপকথাগুলো।
এরপর ক্লাস ফাইভে ইকথিয়ান্ডর, তামা পাহাড়ের ঠাকুরনের মালাকাইটের ঝাঁপি, পেন্সিল সর্বকর্মা কিংবা রুশ দেশের উপকথা......
আহা ফিরে পাওয়া যেত যদি সেসব দিনগুলো.....

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমার ভাবী, তৎকালীন ভাইয়ার প্রেমিকার বাসায় রূপকথার বইয়ের ভান্ডার ছিল। আমি একেকবারে গিয়ে দশ-বারোটা করে নিয়ে আসতাম। বড় হয়ে গ্রিম ভাইদের রূপকথা পড়তে গিয়া বার বার ভাবসি, আরে এইটা আমাদের দেশী সেই গল্পটা না! আর রাশিয়ান বই তো ভালোবাসার আরেক নাম।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আয়েশা সিরিজের শী এবং রিটার্ন অফ শী। না পড়ে থাকলে পড়তে পারেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: কি যে কন না ভাইডি! সেবা থেইকা হ্যাগার্ডের যত বই বের হইসে এই মনে করেন ২০১৭ পর্যন্ত, সবই পড়সি। এরপর আর অনুবাদের অপেক্ষায় না থাইকা পিডিএফ ও গিল্যা খাইয়া ফালাইসি। ধইন্যবাদ। ভালো কথা আমার সবচাইতে পছন্দ কিন্তু এরিক ব্রাইটিজ আর মর্নিং স্টার এবং অতি অবশ্যই এলান কোয়াটারমেইন।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৫

শায়মা বলেছেন: ক্লাস এইট নাইনে আমারও শরৎ, বিভূতি পড়ে চোখের জলে বুক ভাসাবার দিনের শুরু। অরক্ষনীয়া, শেখর ললিতা কিংবা মেজদিদি আহা আহা কত দুঃখ, কত কান্না......
আর পথের পাঁচালী দূর্গা যেন আমিই আর অপু আমার ছোট্ত ভালোবাসার ভাইটি .....
রবিঠাকুরের ঘাটের কথা কিংবা যক্ষের ধন.......

বাপরে পাষানেরও প্রাণ প্রতিষ্ঠা সে বুঝি শুধু রবিঠাকুরই পারেন.....

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনিও আমার মতনই। প্রচুর পড়সেন দেখা যায়। আমার শরৎ শুরু কিশোর সমগ্র দিয়া। তারপর শ্রীকান্ত আর দত্তা। এরপর টানে সুলভ সমগ্র শেষ ক০রসি। নীল রঙের মলাটে বাঁধানো। আম্মার সম্পত্তি। বিভূতি অসাধারন। আধুনিক বাংলা উপন্যাসের শুরু অনেকটা বিভূতির হাতেই। পথের পাঁচালি আমার আরেক নানাভাইয়ের থেকে নিয়ে পড়া। কিন্তু আরণ্যক একটা জিনিস। মাইন্ড ব্লোয়িং উপন্যাস। রবিন্দ্রনাথ একমাত্র ক্লাসিক রাইটার যার সব বই পড়া হয় নাই। লেখসেনও তো অনেক। কুলানো যায় না। বেছে বেছে পড়সি। কিন্তু গল্পগুচ্ছ যে কোন ভাষার, যে কোন সাহিত্যের সেরা সম্পদ হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অজ্ঞ বালক,




সে এক ইতিহাসই লিখেছেন বটে।
আসলেই বইগুলো অনন্ত যৌবনা। কোনটি ফুলছাপ ফ্রক পরা বালিকার মতো, কোনটি বেণী দুলানো কিশোরীর মতো। কোনটি চপল বালকের মতো দূর্বার, কোনটি তরুন প্রানের মতো উচ্ছল। কোনটি তন্বী-শ্যামা, কোনটি পক্কবিম্বধোরষ্টি। সবাই কথা কয়ে যায় একেক সুরে। যে সেই সুরধ্বণী একবার শুনতে পায় সে জীবনের তরে বন্দী হয়ে শেকল পরে ফেলে বইয়ের আঁচলে!

নষ্টালজিক লেখা, আরো নষ্টালজিক করে ফেললেন প্রথমেই বরিশালের কথা বলে।
শুভেচ্ছান্তে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

অজ্ঞ বালক বলেছেন: অসাধারন কমেন্ট। দারুন বলেছেন। ভালো লাগলো পড়ে। তা আপনার গ্রামের বাড়ি কি বরিশাল???

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
কত যে কমিকস পড়েছি তার হিসাব নেই।
সুনীল, সত্যজিৎ, হুমায়ূণ আহমেদ দিয়েই আমি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেছি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমিও। ডায়মন্ড কমিকস দিয়ে শুরু। ইন্দ্রজাল এর কালেকশন ছিল বাসায়। এরপর টিনটিন, জো আর এসটেরিক্স শেষে, মার্ভেল-ডিসি। আর হ্যা, এখনো মাঙ্গা পড়ি পাগলের মতন। নেশা ধারাইয়া দেয়। সত্যজিত হইলো গুড়ু। তার উপ্রে কথা নাই। আর হুমায়ুন তো পুরা একটা জাতিরেই বই পড়া শিখাইয়া গেলো।

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনি আমার কলেজের বড় ভাই :)
আমি নিয়মিত ক্লাস করেছি, এখন ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছি। সত্যি বলতে, আমার সময়টা অনেক ভালো কেটেছে...
কলেজ লাইব্রেরিটা চষে ফেলেছি, আর কোন একদিন কলেজের ১০তালা বিল্ডিং করার টাকাটা, সরকার মহোদয় সত্যি সত্যি দিবেন এই আশায় আছি!
আপনি কত ব্যাচের জানতে পারি?
আপনার পোষ্ট নিয়ে কথা: আপনার পোষ্টটা অসাধারণ হয়েছে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আরেহ ছোডোভাই, আসো কিমুন? মসজিদের পাশ দিয়া কাঁটাতার বাঁকাইয়া ব্যাগ বাইর করতাম আর সিঙ্গারা খাওয়ার কথা কইয়া পলাইতাম। কলেজ লাইব্রেরিতে কখনো ঢুকাই হয় নাই। স্কুলেও লাইব্রেরি ছিলো শুনসি। স্যাররে জিগানোর সাহস হয় নাই সেইটার চাবি কই??? কলেজের বিল্ডিং আর বড় করার কি দরকার? সেই বিল্ডীয় এর ছাদ কি টিনের হইবো? যেইখানে বৃষ্টি পড়লে স্যার ম্যাডামরা পড়া থামাইয়া দেয় কারন কথা শোনা যায় না? আমার ব্যাচ ০৫-০৬।

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বই পড়ুন।বই পড়া ভালো।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: টেকাটুকা কামানো আরো ভালো। আপাতত সেই চেষ্টায় লিপ্ত।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩

জুন বলেছেন: ঠাকুর মার ঝুলি ছিল বাসায় থাকা প্রথম বই যা আমি অতি অল্প বয়সে বানান করে পড়েছি আর খালি স্পেসগুলো পুরন করেছি আম্মার মুখে বহুবার শোনার কারনে। আর নিজের বলে প্রথম যে বই আমার হলো তা আমার জন্মদিনে নজরুলইসলাম পাগল আমার আব্বার হাত থেকে সঞ্চিতা উপহার পেয়ে, যখন পুতুল বা খেলনা পাওয়ার বয়স আমার।
আপনি যতশত লেখকদের নাম বলেছেন তার সাথে আমার যুক্ত ছিল ইংরেজী ছাড়াও রাশিয়ান গল্প ও উপন্যাসের বিশাল ভান্ডার।
এখনো হাতের কাছে বই থাকে আমার তা দুদিনের জন্যও যদি কোথাও যাই বেড়াতে।
আপনার বই ক্ষুধার গল্প শুনে অনেক ভালোলাগলো।
+

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ওয়াও। সঞ্চিতা। আমিও আমার পোলারে ছড়া দিয়া শুরু করসি ইদানীং। আর রাতে গল্প শুনাই। আপনার বাবারে স্যালুট। আমিও রূপকথার ভক্ত। সেটা যেই দেশেরই হোক। রাশিয়ান আমিও কিন্তু কম পড়ি নাই। এখন আর এইসব বই বের হয় না সেটাই সবচেয়ে বড় আফসোস। আমি অবশ্য আপাতত ইংরেজি বই বেশি পড়তাসি। ভেরিয়েশন বেশি।

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমিও প্রচুর বই পড়ি। ভাললাগে। আবার বলা যায় নেশাও।

++++++++++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বই পড়া দুনিয়ার একমাত্র ভালো নেশা। আরেকটা আছে। সেইটা পাব্লিক প্লেসে কওন যাইবো না!!!

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

রেজা শাহ্‌ বলেছেন: বইয়ের পোকা ভাই।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বিলকুল সহি।

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বিশাল ইতিহাস পড়লাম।
এখন একটা কথাই মনে হচ্ছে, এতো কিছু পড়িয়াও আপনি যদি "অজ্ঞ বালক" নাম ধারণ করিতে পারেন, তবে আমি "মহা অজ্ঞ বালক" হইয়া বাকি জীবন অতিবাহিত করা ছাড়া গতন্তর দেখি না।

চমৎকার লিখেছেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভাইরে, জ্ঞান দিয়া কি লাভ। যারা যারা মুখ গুঁইজা পড়ার বই পড়তো, হেরাই তো কামিয়াব যারে বলে। সেই হিসাবে অজ্ঞই ঠিক আসে। জীবনের ব্যাপারে অজ্ঞ।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাল বই ভাল ব্ন্ধুও বটে!
উপরে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন বহুল পঠিত বাংলায় সর্ববৃহৎ উপন্যাস কড়ি দিয়ে কিনলাম এর লেখক ভুলক্রমে বিমল মিত্রের যায়গায় বিমল কর উল্লেখ করেছেন। বিমল মিত্র ও বিমল কর উভয়েই জনপ্রিয় লেখক!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: দারুন ধরসেন। আমারও ভূল হইসে। বিমল মিত্রই হবে। সাহেব বিবি গোলাম এর জাঁদরেল লেখক।

২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অজ্ঞ বালক ,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

জ্বী হ্যাঁ, আমিও খাস বরিশাইল্লা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.