নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে একজন ভীষণ খারাপ মানুষ। তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারি বলে কেউ কিছু বুঝতে পারে না। সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে!!!

অজ্ঞ বালক

ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে এখানে নিয়ে এসে ছুঁড়ে ফেলা হয়!!!

অজ্ঞ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখক হতে চাইঃ সত্য বলার টোটকা

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫০

মিথ্যা গল্পে সত্য কওনের জইন্য কয়েকটা টোটকা আছে, চাইলে ফলো করতে পারেন...

পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের কারসাজি

আপনার চরিত্ররা, গল্পটা কিংবা গল্পের দুনিয়াটা কাল্পনিক হইলেও সেখানে বর্ণনা করা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভূতিগুলারে বাস্তব, সত্যর উপর ভিত্তি কইরা বসাইতে পারেন। ধরেন আপনি একটা কাহিনী লিখলেন, সেইখানে আপনার গল্পের এক চরিত্র রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির পানি জমা রাস্তায় হাঁটতে গিয়া ম্যানহোলের মুখ খোলা গর্তে ঢুইকা গেলো। কিন্তু, সেইখান দিয়া সে পৌঁছাইয়া গেলো ঢাকা শহরের নীচে অবস্থিত এক কাল্পনিক শহরে। অন্ধকার নাকি আলো সেইখানে? সেইখানে মাটি, ময়লা, পোকা-মাকরের মিলিত গন্ধ কিরকম? সেইখানে পানির শব্দ আছে? বাতাস? উপর থেইকা আসা শব্দ কি কানে আসে? ভেজা-শুকনা-পাথুরে কিরকম পথ দিয়া সে হাইটা যাইতাসে?- এগুলার বর্ণনা আপনার পাঠকরে এমনকি সেই কল্প দুনিয়ার সাথেও নিজেরে খাপ খাওয়াইয়া নিতে সাহাজ্য করবো।

মনের অনুভূতি

কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কিরকম অনুভূতি ভর করে আপনার চরিত্রের মধ্যে সেইটা ভাবেন। তার বয়স কত, বড়ো হইসে কিভাবে, এখনের পরিস্থিতিতে তার অবস্থা কি দাঁড়াইবো। ধরেন উপরের কল্পদুনিয়ায় একটা ভয়ঙ্কর প্রাণী আছে। সেইটা আপনার চরিত্ররে ধাওয়া দিল। অচেনা একটা জায়গা, পিছনে এরকম ভয়ানক প্রাণী, কি করবো, কই যাইবো কিছুই সে জানে না। তার ভিতর তখন ভীষণ ভয়, অসহায়ত্ব - সেই অনুভূতিগুলারে লেখার কালিতে ধরেন। পাঠকরে ভয় পাইতে, অসহায় বোধ করতে বাধ্য করেন।


কল্পনার সাথে বাস্তবের মিশেল

কল্পনার সেই দুনিয়ায় বাস্তবের কিছু উপাদান নিয়া আসেন। এমন কিছু, যেইটার সাথে পাঠক নিজেরে রিলেট করতে পারবো। যেইটা পইড়া সেই দুনিয়ার মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবো। ধরেন ঐ চরিত্রর আগেও, আরও মানুষ ঐখানে পৌঁছাইছে একই উপায়ে। তারা একটা গ্রাম বানাইসে, একটা সমাজব্যবস্থা গইড়া তুলসে। ঐ ভয়ঙ্কর প্রাণীটার সাথে লড়াই কইরা টিক্যা আছে তারা, উপরে ফিরা যাওনের পথ খুঁজতাসে। তাদের গ্রামের, ঘরের বর্ণনা দেন, সেইটা আসল পৃথিবীর সাথে মিল রাইখা করেন। তাদের কাপড়, তাদের খাবার সেগুলাতে দুনিয়ার সাথে মিল রাখেন। তাদের লড়াই, লড়াইয়ের অস্ত্রর ক্ষেত্রে বাস্তব কোন যুদ্ধের সাথে মিল রাইখা বর্ণনা সাজান। একটা কল্পদুনিয়া বানানোর জন্য জরুরী এগুলা।

প্রো-কৌশলী

গল্প লেখার সময় আপনারে প্রো-কৌশলী হইতে হইবো। কৌশলী হইতে গিয়া যাতে ভুল কইরা না ফেলেন সেইটা দেখতে হইবো। আপনি যদি পৃথিবীর একটা বাস্তব শহরে, বাস্তব ঘটনারে কেন্দ্র কইরা গল্প লেখেন তাইলে সেই বাস্তবটারে আঁকড়াইয়া ধরতে হইবো আপনের। বাস্তব দুনিয়ায় বৃষ্টি হইয়া রাস্তায় হাঁটু পানি জমে। রাতের বেলা কারেন্ট চইলা যায়, মোবাইলের চার্জ শেষ হইয়া যায়। আগের দিন ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি কইরা নিয়া যায় গাঁঞ্জাখোরেরা। কাজেই সেই গর্তে ডুইবা যাওয়াটা খুবই পসিবল। আবার কল্পনার দুনিয়া মানে কিন্তু এই না যে গরু আকাশে উড়বো, উড়তেই পারে তবে সেক্ষেত্রে তার কইলাম পাখা থাকতে হইবো। উপরে বলা ভয়ঙ্কর প্রাণীটা কেমন হইবো? ধরেন অল্প বাতাসে টিক্যা থাকে, লোম ছাড়া খসখসে চামড়া, মাটির নীচে ক্ষীণতম শব্দ বা কম্পন টের পায়, কানের ক্ষমতাও সেরকম পরিবর্তিত, অন্ধকারে দেখার মতন চোখ। সবশেষে মাটি খোঁড়ার মতন লম্বা-ধারালো-বাঁকানো নখ। এইরকম কিছু বা আপনার কল্পনার পরিধি আরও বাড়াইয়া নিয়া যুক্তি ও কৌশলের সমন্বয়ে ঠিক যেমনটা চান। তবে হ্যাঁ, ভুল এড়াইতে হইবো। কোথাও যাতে যুক্তিতে, হিসাবে গড়মিল না থাকে। তখন গিয়া আপনে কৌশলী থেইকা প্রো-কৌশলী হইয়া উঠবেন।


প্রশ্নটা তো সহজ আর উত্তরটাও জানা

আপনারে লক্ষ্য রাখতে হইবো, গল্পের একটা বিষয় নিয়াও যাতে প্রশ্ন না তুলতে পারে পাঠক। তারে আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখতে বাধ্য করবেন পুরা ব্যাপারটা। কোথাও প্রশ্ন উঠার অবকাশ থাকলে, আপনের গল্পের মধ্যে সেইটার উত্তরটাও দিয়া রাখতে হইবো। ঐ ভয়ঙ্কর প্রাণীটারে আপনের নায়ক মারবো কিভাবে? দূর্বলতাটা কই? জানতে, জানাইতে হইবো আপনারেই। ঐখানে কারা যাইতাছে, কেন যাইতাছে, ফিরার পথ কি? উত্তর দেয়ার দায় আপনের। এইরকম ম্যানহোল কেন আরেক দুনিয়ায় নিয়া যাইবো একজনরে, বুড়িগঙ্গায় লাশ ভাইসা না উইঠা - তার উত্তরটাও আপনে পাঠকরে জানাইতে বাধ্য। বাস্তব কিংবা কল্পনার মইধ্যে খুঁত থাকতে পারে, সেইটা ধরাইয়া দেয়ার দায় আপনার আর চরিত্রের মুখে তার কারণ বর্ণনাও আপনে করবেন। ধরেন ঐ যে রাস্তায় পানি জমা, বৃষ্টি হইছে; দেখা গেলো সারা ঢাকায় আর কোথাও বৃষ্টি হয় নাই। ঐ এলাকাতেই শুধু হইছে। কেন? হয়তো ঐ একজনরে সেই দুনিয়ায় নিয়া যাওয়ার জন্য। কেন? হয়তো একমাত্র সেই ফিরা আসার পথ খুঁইজা বাইর করতে পারবো। এই সব সুতা ছড়াইয়া একসাথে গুটাইয়া আনতে হইবো লেখকের।

তো, এইটা হইলো বেসিক নিয়মকানুন আর কি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি কি পরিমাণ গল্প লিখেছেন?

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমি তো নভিস যারে কয়, তাই। আসলে অনলাইনে এক সুবিখ্যাত লেখকের ক্লাস করতাসি। সেই ক্লাসের পড়া এইখানে লেইখা যাই আর কি। যদি কারো লাভ হয়। লাভটা আসলে আমারই, লিখলে পড়াটা মাথায় থাকে। বুঝেনই তো!

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৩৯

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: গল্প লিখতে আগ্রহী। তাই পোস্ট পড়ে গেলাম। ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সবাইর সবকিছু লেখার কি দরকার? আপনের মতন ট্রাভেল রাইটার হাতে গোণা যাইবো। সত্যি কইতাছি, কসম।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের পড়ুয়ারা উপন্যাসের চেয়ে গল্প বেশি পছন্দ করে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভাইগো, এইদেশে গল্পের বই কইলাম চলে না। একদমই না। বাংলাদেশী পাঠকগোরে বুঝার ক্ষমতা উপরওয়ালা ছাড়া কারো নাই।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " ভাইগো, এইদেশে গল্পের বই কইলাম চলে না। একদমই না। বাংলাদেশী পাঠকগোরে বুঝার ক্ষমতা উপরওয়ালা ছাড়া কারো নাই। "

-উপরওয়ালা বুঝেটুঝে, ভেবেচিন্তে কোরান শরীফ পাঠায়ে দিয়েছেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ঐটা তো আর ফিকশনের মইধ্যে পরে না। ধর্ম নিয়া কোনো মন্তব্যই করুম না। কখন-কার গায়ে ফুলের টোকা লাইগা যায়। চিন্তার বিষয়।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুধু ক্লাস করে কি লেখক হওয়া যায়? ভিতরে মৌলিক কিছু থাকলে ক্লাস কাজে লাগে। আপনাকে বলি নাই। আমার ধারণা আপনার লেখালেখি করার মৌলিক গুণাবলী আছে। তবে লেখকদের তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তি থাকা প্রয়োজন। আর থাকা দরকার বিচিত্র অভিজ্ঞতা। ঘরকুনো লোক যদি লিখতে যায় তাহলে সে যা কল্পনা করবে তার মধ্যে অনেক দুর্বলতা খুঁজে পাবে পাঠক। সবচেয়ে কঠিন মনে হয় মানব চরিত্র অধ্যয়ন। লিখতে গেলে কত বিচিত্র চরিত্র তৈরি করতে হয়। মানুষের সাথে ব্যাপকভাবে না মিশলে চরিত্র চিত্রণ কঠিন হয়ে পরে লেখকের জন্য। কল্পনাও বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বিদেশে রাইটার্স ওয়ার্কশপ বইল্যা একটা জিনিস নিয়মিত হয়। একজন লেখক সেইখানে গল্প লেইখা নিয়া যায়, সেইখানে অন্য আরও প্রতিষ্ঠিত-নব্য-নভিস লেখকরা থাকে। একজন আরেকজনের গল্প পড়ে, ভুল ত্রুটি নিয়া আলোচনা হয়, সেগুলা ঘষামাজা হয়। আমার তো মনে হয় এই পথে হাইটা যে যায় তার ভিতরে জিনিস না থাকলেও জিনিস জন্মাইয়া যায়। পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আছে, অভিজ্ঞতাও। কিন্তু আমি ঘরকুনো, এবং ইনট্রোভার্ট। এগুলা বাদ দেয়ার কথা অবশ্য ক্লাসে অলরেডি আমারে বলা হইসে। এই সিরিজ লিখতাসি, ঐ যে বললাম; নিজের জন্য।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার কি ভালো লাগে কবিতা না গল্প।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমি সর্বভূক - পূর্ববর্তী বই পড়া নিয়া পোস্ট দ্রষ্টব্য। সবই ভাল্লাগে। কবিতাও গল্প - ছন্দে ছন্দে। সেইটার গ্রামার আলাদা। অবশ্য আইজকালকার কবিরা ঐসব পুছে না। গল্প ভাল্লাগে। সবচেয়ে ভাল্লাগে উপন্যাস। গল্পে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে আসলে। উপন্যাসের সম্ভাবনা অসীম।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সিরিজটা চলু্ক...
যদিও গ্রামার মেনে গল্প হয় কিনা সেটা তর্ক সাপেক্ষ। তবে এটা একজন নভিসকে পথ দেখাতে পারছে সেটাই বড় কথা।

ধন্যবাদ (বিশেষ)অজ্ঞ বালক!

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: হুম, আসলেই। হয়তো হয়, বা হয় না। কিন্তু, ক্লাস শেষে আমি বুঝতাছি যে আমি গ্রেটলি ইমপ্রুভড। শুধু লেখক না, একজন ভালো পাঠক হওয়ার জইন্যও এইরকম ক্লাস করা জরুরী। হা হা হা, হ, বিশেষ ভাবে অজ্ঞ- আর কি!

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের গল্প যতটা আমার প্রিয়, তার উপন্যাস ঠিক ততটাই অপছন্দের। মাঝে মাঝে মনে হয়, তাঁর কাছ থেকে লেখালিখির তালিম নিতে পারলে বেশ হতো।

ঔপন্যাসিক এবং গল্পকারদের সান্নিধ্যেই নতুন লেখকদের শিক্ষাসফর হওয়া উচিত। ইন্টার্নশীপ এর মতো করে।

জেনে খুশি হবেন যে, আপনার ক্লাসগুলো আমাদেরও উপকারে আসছে।

ধন্যবাদান্তে...

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: মনজুরুল স্যারের 'স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প' পড়সিলাম, বেশ ভালো ছিল। সেটাই, আমাদের দেশে পরীক্ষার খাতা ঢাইকা রাখা থেইকা যেই জিনিস শুরু তার পরিবর্তিত রূপ যে কেউ নিজের ট্রেড সিক্রেট কইতে চায় না। সব ট্রেড সিক্রেট যদি শিখানোই যাইতো তাইলে সেইগুলা কোনো সিক্রেটই না। আমাদের দেশে সেই সিস্টেম নাই, তাই বিদেশই সই। নিল গেইম্যান শেষে মার্গারেট এটউড, জেমস প্যাটারসন আর ডেভড ব্যালডাচির ক্লাস করার ইচ্ছা আছে।

একটু হইলেও কারো উপকারে আসলেই আমি খুশী। আপনারেও অসংখ্য ধইন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.