নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে একজন ভীষণ খারাপ মানুষ। তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারি বলে কেউ কিছু বুঝতে পারে না। সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে!!!

অজ্ঞ বালক

ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে এখানে নিয়ে এসে ছুঁড়ে ফেলা হয়!!!

অজ্ঞ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্পঃ শিল্পী

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৭

হাসপাতাল জায়গাটাই আমার অপছন্দ। সেখানে এমন ভাগ্য আমার, পেশার দিক থেকে আমি ডাক্তার। সরকারি হাসপাতালে কাজ করি, প্রাইভেট প্র্যাকটিসও আছে। কাজেই দিনের বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে কাটে আমার।



সদ্য বদলী হয়েছি আমি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এখনও জয়েন করিনি অবশ্য। তবে, তার আগেই আসতে হলো হাসপাতালে। আসলে কিছুই হয়নি আমার। তাও বুকে ব্যাথার মিথ্যা অভিনয় করে এখানে আসা। ইমার্জেন্সিতে ডিউটি-রত ডাঃ শহীদের সাথে আমার দেখা হওয়াটা আসলে ভীষণ জরুরী।

আশেপাশে হাজার হাজার রোগী। সরকারী হাসপাতালগুলোতে এমনই ভিড় থাকে। মাথা নষ্ট করার মতন। কাশির শব্দ, বমির শব্দ, চিৎকার, কাতরানো, কান্নাকাটি, আহাজারি - এসবই ভেসে আসছে কানে। সাধারণ জ্বর, কাশি, সর্দি, হাঁচি এসব বাদেও, কারেন্টের শক খাওয়া, আগুনে পুড়ে যাওয়া, হাতে ব্লেডের পোঁচ লাগা রুগী - কোন রকমের রোগীরই অভাব নেই এখানে। এমনকি এক ছুরিকাহত লোককে নিয়ে দুইজন পুলিশ কনস্টেবল এসেছে। তাদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে একচোট হেসে নিলাম আমি। আমার আসল পরিচয় জানলে ঐ লোককে ছেঁড়ে আমাকে ধরতেই ব্যস্ত হয়ে পড়তো ঠোলা দুটো।

একজন নার্স এসে আমাকে রুমে ঢুকতে বলল। রুমে ঢুকে দেখি ডাক্তার বাইরে গিয়েছেন একটু। রুমের মধ্যে একটা বিছানায় কিশোর বয়সী একটা ছেলেকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। গতরাতে হাত কেটে আত্মহত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল ছেলেটা। মাত্রই ট্রিটমেন্ট শেষ হয়েছে, হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা। এখনও চেতনা নাশকের কারণে ব্যথাটা ঠিকমত টের পাচ্ছে না মনে হয়। বিড়বিড় করে আপনমনে কি যেন বলছে ছেলেটা। নার্স এসে আমার ব্লাড-প্রেশার মেপে নিলো। এরমধ্যেই ডাক্তার ভেতরে ঢুকলেন।

আমার সামনের চেয়ারে এসে বসলেন ডাঃ শহীদ। নার্সকে বললেন, "শেফালি, তুমি একটু বাইরে যাও। আমি দেখছি।"

নার্স বাইরে যাওয়ার পর, আমার দিকে ফিরে পরিচিত একটা হাসি ছুঁড়ে দিলেন তিনি। হ্যান্ডশেকের জন্য বাড়িয়ে দেয়া হাতটা ধরে দুয়েকবার নাড়লাম আমি। "আপনিই তাহলে ডাঃ সুব্রত, আপনার কথা আগে অনেক শুনেছি আমি। আপনি এখানে ট্রান্সফার হওয়ার খবর গতকাল শৈল্পিক-থেকে আমাকে মেসেজ দিয়ে জানানো হয়েছে।"

"হ্যাঁ। আসলে খুব হঠাৎ করে হয়ে গিয়েছে ব্যাপারটা। ঠেকাতে চেষ্টা কম করিনি, কিন্তু পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে এক হাসপাতালে তাই এবারের ট্রান্সফারটা একরকম নিশ্চিতই ছিল।"

"হুম। কিন্তু সেটাই তো সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। একসাথে এক হাসপাতালে দুইজন শিল্পী কাজ করলে সমস্যা। তার উপর শৈল্পিকের নিয়মেও নিষেধ করা আছে এই বিষয়ে।"

"সেটা নিয়ে কথা বলতেই আমার এখানে আসা। আপনারও তো এই হাসপাতালে তিন বছর হতে চলল। আমার মনে হয় আপনি এখন অনুরোধ করলে আপনাকে অন্যত্র ট্রান্সফার করে দেয়া হতে পারে। সেটাই মনে হয় আমাদের দুজনের জন্য বেস্ট অপশন হবে।"

ডাঃ শহীদ মৃদু হাসলেন, "দেখুন, তাতে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু, সদ্যই বিয়ে করলাম। মেয়েও এই সিলেটের। সুবিদ বাজার বাসা। সেখানেই এখন থাকছি আমি। এই অবস্থায় ট্রান্সফার হলে সমস্যা হয়ে যাবে আমার। অন্যদিকে নিয়মের ব্যাপারে আমারও জানা আছে। কাজেই, কি যে করা যায় তাই ভাবছিলাম গতকাল থেকে।"

সহজ হবে না ব্যাপারটা, বুঝতে পারলাম আমি। বিছানায় শুইয়ে রাখা ছেলেটা এবার বেশ জোড়েই বলে উঠলো, "না না না। আর বাঁচতে চাই না আমি। আর বাঁচতে চাই না।" সেদিকে ফিরে তাকালাম আমি। ডাঃ শহীদও তাকালেন। "একটু দাঁড়ান। বেচারাকে আরেকটু পেইন-কিলার দিয়ে আসি," বলে উঠে দাঁড়ালেন তিনি।

বিছানার কাছের টেবিলে সিরিঞ্জ আর পেইন-কিলারের বোতলটা রাখা ছিল। ইনজেকশনে ভরে ছেলেটার হাতে পুশ করে দিলেন তিনি। হেঁটে ফিরে আসলেন আবার চেয়ারে। "তা, আপনার মতে অন্য কোন উপায় থাকলে সেটা কি বলুন, শুনি।"

আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, "দেখুন, আমার পরিবার এখানে আসায় ভীষণ খুশীই হয়েছে। ময়মনসিংহের তুলনায়, সিলেট বিশাল বিভাগীয় শহর। ছেলের লেখাপড়া, বাজার করা, ভালো বাসা-পরিবেশ। সব মিলিয়ে আমিও সমস্যায় পরে গেছি। তা না হলে কোন উপজেলায় চলে যেতাম আমি অনুরোধ করে। আমার কাছেও মেসেজ এসেছে শৈল্পিকের এবং সেখানে স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমাদের মধ্যে একজনকে এই শহর ছেঁড়ে চলে যেতে হবে। আপনার সাথে দেখা করে একটা মিউচুয়াল সিদ্ধান্তে আসতে বলা হয়েছে সেখানে।"

বিছানায় থাকা ছেলেটা হঠাৎ হাত-পা ছুঁড়ে এক মুহূর্তে কেমন নেতিয়ে পড়লো। ডাঃ শহীদ হাতঘড়ির দিকে তাকালেন এক মিনিট। "দুপুর ১২টা বেজে ৩৪ মিনিট। ডেথ সার্টিফিকেট লেখার সময় কাজে লাগবে। কি বলেন?" আমার দিকে হাসি হাসি মুখে তাকালেন তিনি। "দেখুন সবাই জানে আপনি একজন দারুণ শিল্পী। অনেক সুনাম আপনার আমাদের সার্কেলে। কিন্তু, একসাথে আমাদের পক্ষে একই হাসপাতালে থাকা সম্ভব না। তার ফলে রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যাটা হঠাৎই বেড়ে যাবে। এমনও হতে পারে কোন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে পড়ে গেল ব্যাপারটা। ঐ সাংঘাতিকগুলোর কথা ভুললেও চলবে না। দুজনই তখন ফেঁসে যাবো। শৈল্পিকের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে যাবে। এক কাজ করুন, আপনি বরং এ চাকরিটা ছেঁড়ে দিয়ে কোন প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি খুঁজে নিন। আমার বেশ কিছু পরিচিত লোক আছে এখানে, আপনি বললে..."

"অসম্ভব," বলে উঠলাম আমি। "এটা কি বলছেন আপনি? সেরকম হলে আপনিও তো চাকরি ছাড়তে পারেন। তাই না?"

ডাঃ শহীদ উঠে দাঁড়ালেন, "সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে কোন সাহায্য করতে পারছি না। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। শৈল্পিকের সাথে কথা বলবো আমি। আপনিও বলুন। দেখুন ওরা কি সমাধান দেয়। তাই মেনে নিতে হবে আমাদের।" হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। হ্যান্ডশেক করতে ধরলাম আমি। মনে হল একটা পিপড়া কামড় দিয়েছে আমাকে। ঝটকা মেরে হাতটা সরিয়ে নিলাম। ডাঃ শহীদ আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন, "আমার নামটা হয়তো আগে শুনেন নি আপনি। তবে আমিও একজন সুদক্ষ শিল্পী। চিন্তার কিছু নেই। খুব দ্রুতই ঘুমিয়ে পরবেন আপনি। বুকে ব্যথা নিয়ে এসেছেন যখন, হার্ট এটাক বলেই চালিয়ে দেয়া যাবে। ওপারে যাত্রা শুভ হোক সেই কামনা রইলো।"

ঢলে পড়তে পড়তে বুঝলাম ডাঃ শহীদ নার্সকে ডাকাডাকি শুরু করেছেন। জিহ্বা জড়িয়ে আসছে আমার। কিছু বলতে পারবো না, বুঝাতেও পারবো না কিছু। ছেলেটাকে আসলে কিছুই দেয়া হয় নি। পুরো ব্যাপারটাই আমাকে ধোঁকা দেয়ার জন্য করা হয়েছে। ইনজেকশন না। আসল জিনিস ছিল ডাঃ শহীদের হাতে। ওর হাতে পড়ে থাকা সোনালী আংটিটাতেই যত কেরামতি। আংটির ডগা থেকে আসা বিষটা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে আমার শরীরে। শৈল্পিক-এ ডাঃ শহীদকে দেয়া ছদ্মনামের কথা মাথায় আসলো আমার - 'বিষধর।’ নাহ, লোকটা আমার চাইতে দক্ষ শিল্পী। মানতেই হবে।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বাহ চমৎকার---------

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: চমতকার - হতেই হবে, আমার মতে অমত কার???

বলেন দেখি কই থেইকা ধার করলাম লাইনটা?

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছুই বুঝিনি

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: পুরাই হতাশ!!! দুঃখিত।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অন্যরকম গল্প!

শহীদ ভয়ানক শিল্পী বটে ;) ডা: সুব্রত জীবন দিয়ে বুঝতে পারলো !!!

+++

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধন্যবাদ। হ, ফান্দে পড়িয়া কান্দে অবস্থা। অবশ্য কাইন্দাও লাভ নাই অখন। ধইন্যবাদ তিন তিনখানা পেলাচের জইন্য।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "ওঝা সাপের কামড়েই মারা যায়" - প্রমাণিত।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সাপ, খুব খারাপ; এইডাও প্রমাণিত! ধন্যবাদ কমেন্টের জইন্য।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব্বনাশ কী ভয়ংকর গল্প রে বাবা !

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: গল্পগুলার আসলে নাম ছিল ভয়াণুগল্প, পরে ভাবলাম এত কেরদানি কইরা লাভ নাই। অণুগল্পতেই চলবো। ভালো লাগছে দেইখা ভাল্লাগছে। ধইন্যবাদ।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

শায়মা বলেছেন: বিষধর ডাক্তারের সাথে কেউ হ্যান্ড শেক করে!!! :(

আমি তো আমার আশে পাশেই কাউকে ভিড়তে দেই না। সর্বদা চোখে রাখি!!

আমাকে ট্রেইনিং এ পাঠালেও কিছু শিক্ষা লুকিয়ে রাখি!!!


শৈল্পিকদের হাতের মাঝেই লুকিয়ে রাখতে হবে যাদুর কাঁঠি ভাইয়ামনি!

নেক্সট গল্পে খবরদার নো হ্যান্ডশেক অর কোলাকুলি উইথ এনিওয়ান! :)

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সে তো ভাবছিল কাকের মাংস কাক খাইবো না। কিন্তু এ যে কাকের ভেক ধইরা থাকা শকুন, টের পায় নাই।

পরের গল্প! থাক আগের থেইকা কমু না। নাহ, কইয়া ফেলি। সেইটায় খোদ শয়তান নিজেই একটা চরিত্র!

ভালো কথা, মজা কইরা কথা কওয়ার উদ্দেশ্য কইলাম একটাই, জীবনটারে একটু হইলেও সহজভাবে নেয়া। নাইলে টিকতে পারতাম না।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছবিটা দেখে ভয়ে ভয়ে পড়তে হলো লেখাটা

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: গল্প কইলাম অতটাও ভয়ের ছিল না। এই সিরিজের গল্পগুলায় আসলে টুইস্ট নিয়া কাজ করতেছিলাম। সেইটাই মূখ্য।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

অজানা তীর্থ বলেছেন: শেষে পেরার ঠিক আগের পেরাটা যে আমাদের দেশে কতভাবে ঘটে তার হিসেব মিলবেনা। আর শেষ পেরা টা না লিখলে ইহা একটি স্বার্থক ছোট গল্প হইতো। ভালো লিখেছেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: শেষ প্যারার ক্লারিফিকেশনটা আসলে দরকার ছিল। কারণ, অনেকেই বুঝতো না আর কি ব্যাপারটা। এই জন্যি। ধইন্যবাদ। পড়ার ও মন্তব্যের জন্য।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

অন্তরা রহমান বলেছেন: ভালো টুইস্ট ছিল গল্পটায়। সুন্দর, ডাক্তার হিসেবে কিছুটা আহত হলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধইন্যবাদ কমেন্টের জইন্য। আর আহত হওয়ার কিছু নাই, সব পেশাতেই খারাপ-ভালোর মিল-মিশ থাকে। আহত-নিহত কোনোটাই হইয়েন না।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

করুণাধারা বলেছেন: ভয়ংকর! শেষের টুইস্ট দারুন। দারুন হয়েছে নামকরণ!

একটা কথা, অনু গল্পের সংজ্ঞায় বলে গল্প একশো শব্দের ভিতর হতে হবে। এটাকে কি অনু গল্প বলা যায়?

যাক না যাক, চমৎকার গল্পে +++

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: উফ, এইরকম একটা কমেন্ট পাওয়ার জন্যই তো লেখি। ধইন্যবাদ, ধইন্যবাদ। নামকরণ ধরতে পারায় আরও খুশি হইলাম।

অণুগল্পের সংজ্ঞাকি ঐরকম নাকি, জানতাম না তো!!! :-/ তাইলে তো সেইটা লেখা ঠিক না। আমি আসলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে চার পাতার মধ্যে আটকানো সব লেখারে অণুগল্প কই। তা হাজার দেড়-দুই শব্দ হয় প্রায়!

অনেক ধইন্যবাদ, আবারও। অনেক অণুপ্রেরণা দিলেন। :``>>

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

ওমেরা বলেছেন: ভয়ংকর হলেও খুব ভালো গল্প হয়েছে ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভাল্লাগলেই ভাল্লাগে। কষ্ট কইরা লেখি, পাঠকের পছন্দ না হইলে কি চলে?

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

ঘরহীন বলেছেন: আগেই পড়া ছিল, দারুণ টুইস্ট শেষে। আপনাকে ফেসবুকে দেখছিনা ইদানীং!

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: হ, ব্যাঙের মতন শীতনিদ্রায় আছি।

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: কে বলেছে আপনি অজ্ঞ?
চালিয়ে যান। সুন্দর লিখেছেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: নিজেই নিজেরে চিনছি, আর কারো বলার কি দরকার। ধইন্যবাদ অণুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জইন্য।

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বহুত দিনের পরে ঠোলা শব্দটা শুনলাম। এই লয়া মজার মজার বহুত ঘটনা মনে পড়লো।

গল্পতে আসি। আংটিতে সাপের বিষের একটা গল্প কোন এক জমানায় পড়ছিলাম। নীহাররন্জনের কিরীটি রায় সমাধান করছিল। আপনের লেখা পইড়া মনে পড়লো। গল্প দারুন হইছে। টুইস্টের উপ্রে দিয়া টুইস্ট। তয়, লাস্ট প্যারাতে ছেলেটারে কিছু দেওন, না দেওনে কি আসে যায়? গল্পের কি কোন ইতর-ভেদ হইতো? ওই ব্যর্থ প্রেমিক হালায় মরলেই কি.....আর বাচলেই কি?

চমৎকার সাইকো গল্প। এক্সপেরিমেন্ট চলমান থাকুক।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: হ, ঠোলাডা প্রচলিত অর্থেই লিখসি। সবাই মজা লয়, আমিও লইলাম। এইডা একসময় বেশ চালু প্লট ছিল, এখন বিলুপ্ত। সেইটা ফিরাইয়া আনলাম আর কি। থাক, বাঁইচ্চা থাকুক। বুঝুক দুনিয়া বড়ো নাখারিস্তা জায়গা।

ধইন্যবাদ। চলতেছে এক্সপেরিমেন্ট।

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

দুই শিল্পীর খেলা দেখতে চাইছিলাম
কিন্তু শুরুতেই শেষ হয়ে গেলো !!
তা হলে শহীদই হীরো আর সু্ব্রত জিরো
কিন্তু মাথায় ধরছেনা গল্পের ছবিতে মাইয়া
কেন? গল্পের নায়িকা সুব্রত না হয়ে সাবরীনা
হলে যুতসই হতো!

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভালো ছবি খুঁইজ্জা পাই নাই। স্টক-ছবিতে জলছাপ থাকে, দিতে ভাল্লাগে না। তাই, এইডাই দিলাম।

এইখানে দুই জনই ভিলেন। তাদের কাজ নিজেদের ডাক্তার পরিচয়ের আড়ালে মানুষ খুন করা!

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখার সবচেয়ে ভালো দিক হলো- পড়তে গেলে বিরক্ত লাগে না।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনের এই কথার মূল্য আমার কাছে অনেক। ধইন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: বহু বছর আগে এরকম একটা ছোট গল্প পড়সিলাম। ডাক্তারদের একটা গোপন সার্কেল আছে। এরা মাঝে মাঝে একত্রিত হয়ে তাদের হাতের কাজের উপর আলোচনা-গর্ব করে। এদের বিষয়টা একজন সন্দেহ করে এবং ঐ গ্রুপে ইনফিলট্রেট করে এবং একজন মুমূর্ষু রুগির সমস্যাটা ধরে তাকে বাঁচায়।

আপনার গল্পের প্রথম অংশটা পড়ে ঐ গল্পের কথা মনে হচ্ছিলো। শেষটায় বড় ধাক্কা দিলেন। তবে কোনো কিছু ছাড়াই ছেলেটার হাত পা ছাড়িয়ে নিস্তেজ হওয়া কাকতালীয় হয়ে গেলো না? শিল্পির নিপুনতায় ঘাটতি রয়ে গেলো যেনো।

ডুয়েল মিনিঙ নাম করন ভালো লেগেছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধইন্যবাদ। হয়তো ঘুমের ওষুধ দিছে, হইবার পারে না? নাম ভাল্লাগছে শুইনা ভাল্লাগছে। আমি আসলে এই গল্পগুলায় শুধু টুইস্ট নিয়া কাজ করছিলাম, আর কিছুই না। দেখা যাক পরের গল্পগুলায় কি কমেন্ট আসে।

ভালো কথা, ঐ গল্পটার নাম কি মনে আছে?

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: গল্পের মূল ব্যাপারটার সাথে (মানে বিষাক্ত আংটি দিয়ে শত্রু হত্যা) সিজার বোর্জিয়ার আংটি-গল্পটা বেশ মিলে যায় (সেবা প্রকাশনীর একটা অনুবাদ আছে উপন্যাসটার )। সেই গল্পের অনুসরণে লিখে থাকলে সেটা যোগ করে দিতে পারেন ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: জ্বি না, কোন গল্প বা উপন্যাস অনুসরণ কইরা এইটা লেখা হয় নাই। এক্কেরে যারে বলে, দিশি প্রোডাক্ট। খাঁটি মৌলিক। বইটা আমার পড়া আছে, বহু আগের কথা। সেই সেবার গোল্ডেন এইজের। অনুবাদ না, এডাপ্টেশন হইসিলো।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: ঐ গল্পটার নাম কি মনে আছে?

অনেক বছর আগের, তখন আমি নিয়মিত হরলিকস খেতাম না, কাজেই স্মরণ শক্তি ভালো ছিলো না :(
এর পরেও যদি মনে পড়ে, তবে জানিয়ে যাবো।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এক-দুই চামুচ হরলিক্সের অভাবে আইজকা আপনার এই দশা! কষ্ট পাইলাম। অবশ্য কষ্টের কি শেষ আছে, আমিও কমপ্লান খাই নাই তাই লম্বা হইবার পারলাম না আইজও। ইয়ে, লেখকের নামটা...

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: ইন্টারেস্টিং প্লট।ডাক্তার ইচ্ছা করে রোগী মেরে ফেলছেন এই ভুল ধারণা নিয়ে এমনিতেই আমজনতা আতঙ্কে আছে।ব্লগের আমজনতা গল্পকে গল্প হিসেবে নিতে পারেন।এটাই স্বস্তির বিষয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভালো পয়েন্ট ধরছেন। দেখা গেলো কুনু এক ডাক্তার মামলা কইরা দিলও, উপরে অন্তরা আপু তো কইয়াই ফালাইসেন যে তিনি আহত হইসেন! এইখানে শুধু ইচ্ছা কইরা না, নিখুঁত ও শৈল্পিকভাবে মারা হয়!

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্পর শেষ অংশের চমক ভাল হয়েছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো লাগলে শান্তি শান্তি লাগে। মনে হয়, লাইনে আছি!

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৯

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: চমতকার গল্প। ট্যুইস্ট দারুন লেগেছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য। প্রশংসা দারুন লেগেছে। B-)

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনের এই কথার মূল্য আমার কাছে অনেক। ধইন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আপনেও ভাই। আমি সবার সেবা করার পর অসুস্থ হইসিলাম কিন্তু, আইসোলেশন থেইকাই ব্যাক করছি। আল্লাহর রহমত।

২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লেখা দেখ মনে হয়না আপনি অজ্ঞ। তবে একটু ছোট করলে পড়তে সুবিধে হয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধইন্যবাদ। আমি আবার বর্ণচোরা টাইপ পাবলিক তো তাই বুঝা যায় না!

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এর চাইতে ছোট করলে তো পোস্টই দেওন যাইবো না, টুইট করা লাগবো!

২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রথমবার হ্যান্ডশেকে সমস্যা হয়নি কেন?


বিষধর ডাক্তার :)

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এভাবে তো ভেবে দেখিনি!!!

তাইতো, এই জায়গাটা তাইলে পরে এডিটে কাট করতে হইবো। নাইস ম্যান। আপনেই হইলেন পাঠক।

২৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা হা অজ্ঞ বালক ভাইয়া মাঝে মাঝে সামু এক মজার ক্ষেত্র হয়ে ওঠে।

এখন সেই সময়কাল চলিতেছে।

একটা পোস্টে তোমার কমেন্ট দেখে হাসতে হাসতে মরেছি। আর চার বিয়ে নিয়ে ঐ পোস্টে তো মরেই যেতাম আর একটু হলে। খুরশিদভাইয়াজান তো হাসাতে হাসতে মেরে ফেল্লে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকিবা তোমরা সামু ব্লগারেরা!!! :P

২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: মরে গেলেন তো বেঁচে গেলেন - থাক, সিরিয়াস না হই। আসলে চার বিয়া শুনলেই আমার পেটের থেইকা হাসি ভুরভুর কইরা আসা শুরু করে গা কাঁপাইয়া। একটাতেই নাকের পানি আর চোখের পানি এক হইয়া যায়, তারা আছেন চাইর খান নিয়া - আবার ভালুবাসার সমতা সহ। মাফ চাই। এইরকম হাসি-ঠাট্টা দিয়াই বাঁইচা থাকার কারণ বানাই, বুঝলা আপুনি। ভালো থাইকো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.