নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আসলে একজন ভীষণ খারাপ মানুষ। তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পারি বলে কেউ কিছু বুঝতে পারে না। সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে!!!

অজ্ঞ বালক

ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে এখানে নিয়ে এসে ছুঁড়ে ফেলা হয়!!!

অজ্ঞ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্পঃ লাভ-ক্ষতি

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০১

রাশেদ মাথাটা দুই হাত দিয়ে ধরে ডাইনিং টেবিলে বসে ছিল। দুই মাস হল অফিসে বেতন হয় না। অন্য চাকরিও খুঁজে পাচ্ছে না। এক বছর আগে ধার-কর্য করে শুরু করা ব্যবসাটাও মুখ থুবড়ে পরেছে।



সুদখোরেরা হাতে হারিকেন নিয়ে খুঁজছে ওকে। বাসা ভাড়া বাকী দুই মাসের। দোকানে বাকী। ছেলের স্কুলের বেতন, বউয়ের হাতখরচ, নিজের চলা - ব্যাংকে তো একটা টাকাও নেই। "শেষে কি আত্মহত্যাই করতে হবে আমাকে?" নিজের মনে বলে উঠলো সে।

"সেটার দরকার হবে বলে মনে হয় না।" অচেনা একটা কণ্ঠস্বর শুনে চমকে সামনে তাকাল রাশেদ।

শোবার ঘরের দরজার সামনে সাদা টি শার্ট, আর নীলরঙা জিনস পড়ে একটা বিশ-পঁচিশ বছরের ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু, সেটা কিভাবে সম্ভব?! বাসায় ঢোকার দরজাটাতো রাশেদের পেছন দিকে। আর বিকেল থেকেই রাশেদ বাসায় একা। লাবণী বাপের বাড়ি গিয়েছে ঝগড়া করে। সেও বিছানায় শুয়ে হাজারো চিন্তায় ডুবে ছিল। একটু আগে উঠে চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। দুধ-চিনি নেই দেখে, শুধু রং চা নিয়েই বসে আছে। এই ছেলে সেখানে ভেতরের রুম থেকে...! কিভাবে! কি করে সম্ভব!

ছেলেটা মুচকি হেসে বলল, "এত কিছু ভেবে লাভ নেই। আমি সর্বত্র যেতে পারি, যেখানে ইচ্ছে হয়। সর্বশক্তিমান বলাটা ঠিক হবে না। তবে ক্ষমতা আমার কম নয়।" ছেলেটার চেহারা আর দশজন সাধারণ লোকের মতই। রাস্তায় দেখলে হুট করে নজর যায় না, আবার বাসায় এসে মনেও থাকে না - এমন। কিন্তু, চোখ! চোখ দুটো কেমন যেন। কোথাও একটা সমস্যা আছে!

"কে তুমি? আমার বাসায় ঢুকলে কিভাবে?"

"আহা! বললামই তো। আমি সব জায়গায় অবাধে যেতে পারি। এখানেও সেভাবেই আসা। তোমাকে এই ঝামেলা থেকে বাঁচাতেই আসলাম।"

"কোন ঝামেলা?"

"যেই ঝামেলার কারণে তুমি মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে আত্মহত্যার কথা ভাবছিলে, সেই ঝামেলা। টাকা-পয়সা। ফু:। এটা আবার একটা বিষয় হল নাকি?"

রাশেদ কাষ্ঠহাসি হাসলো, "হ্যাঁ, ব্যাপার যে না তা তো বুঝতেই পারছি। তা তুমি কি আলাদীনের চেরাগের দৈত্য নাকি? কিন্তু, সেরকম কোন প্রদীপ কিনেছি বলে তো মনে পড়ছে না।"

"ভালো। রসিকতা করার ক্ষমতা এখনো আছে মানে মানুষটা তুমি টিকে যাবে। তো, এত রহস্যের কিছু নেই। একটু বুদ্ধিমান হলে, নিজে থেকেই বুঝে যেতে। আমি ইবলিস। দ্য ওয়ান এন্ড অনলি।"

রাশেদ হতভম্ব হয়ে বলল, "এই উদ্ভট কথাটা বিশ্বাস করতে বলছ আমাকে?"

"বলছি। কারণ গাঁজা-চরস-ভাং কিছু তো খাও নি। আর এখানে আমাকে কিভাবে সশরীরে বর্তমান দেখছ তা যুক্তি দিয়ে নিশ্চয়ই বুঝাতে পারবে না নিজেকে। কাজেই আমার কথাটা মেনে নিলেই ভালো করবে।"

রাশেদ চুপ করে রইলো। এক মুহূর্ত পরে বলল, "আমার সমস্যা আমি কোন না কোনভাবে সামলে নিব। তোমার কোন সাহায্য আমার লাগবে না।"

"ধুর। ওসব কিছু লাগবে না আমার। ওসব সিনেমা-বইয়ে সব ফালতু কথা লেখা থাকে। তোমার আত্মা-টাত্মা কিছু চাই না আমি।"

চমকে উঠলো রাশেদ। ঠিক এটাই ভাবছিল সে। তবে কি...

"হ্যাঁ, তোমার মনের কথা একটু আধটু আমি ঠিক বুঝতে পারি। তা না হলে আর ইবলিস হলাম কিসে।"

"তাহলে? কি চাই তোমার?"

"আমার কি চাই তার আগে শুনো তুমি কি পাবে; তোমার এখনের টাকা-পয়সার ঝামেলা আর থাকবে না। জীবনে কখনো অর্থ-চিন্তা আর করা লাগবে না তোমার। সেটাই তো চাচ্ছ, নাকি?"

"হ্যাঁ, কিন্তু তার বদলে আমাকে কি করতে হবে?"

"তেমন কিছুই না। আগেই তো বললাম তোমার আত্মা নিয়ে আমার কোন লাভ নেই। অমন বিশেষ কোন ব্যক্তি নও তুমি। তবে কিছু একটা তো চাই। আর সেই জিনিসটা হল তোমার জীবনের অন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।"

"এত না প্যাঁচিয়ে বলে ফেললেই পারো।"

"একটা সম্পর্ক। তোমার জীবনের একটা সম্পর্ক আমার নিজের সম্পদ বানাতে চাই আমি। সেটা তোমার আর তোমার স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কটা, কিংবা তোমার সাথে তোমার ছেলের সম্পর্ক হতে পারে। তোমার মার সাথে, বোনের সাথে। এমনকি তোমার কোন কাছের বন্ধুর সাথে তোমার সম্পর্ক হলেও চলবে। এমন কেউ যে সব সময় তোমার পাশে ছিল, যে তোমাকে খারাপ সময়ে চলার সাহস জুগিয়েছে। তার সাথে তোমার সম্পর্কটা তুমি আমার হাতে তুলে দেবে। আমার কথাটা বুঝতে পারছো?"

"বুঝেছি। কিন্তু সম্পর্ক... মানে এমন একটা জিনিস দিয়ে তোমার কি লাভ?"

"আমার লাভটা আমাকেই বুঝতে দাও। তোমাকে বললেও তুমি ঠিক বুঝবে বলে মনে হয় না। তাও বলি, শোনো। মানুষের কাছে সম্পর্কের মূল্য কিন্তু অনেক। তার উপর সেটা যদি আবার হয় এমন কোন বিশেষ সম্পর্ক যা একজনের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তাহলে তো কথাই নেই। এরকম সম্পর্কের মধ্যে অনেক শক্তি লুকিয়ে থাকে। এই পৃথিবীতে সেই শক্তির তেমন কোন মূল্য নেই, কিন্তু অন্যত্র, অন্য কোন পৃথিবীতে; অন্ধকার মাত্রায় সেই সম্পর্কে সুপ্ত হয়ে থাকা শক্তির মূল্য আর ক্ষমতা - দুইই অসীম। এসব তোমার বুঝে লাভ নেই। তবে জিনিসটা আমার কাছে দামী ও জরুরী।"

রাশেদ এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে কি যেন ভেবে নিলো, "ঠিক আছে। সেক্ষেত্রে আমি আমার এক বন্ধুর সাথের সম্পর্কটা তোমাকে দিয়ে দিলাম। তুমি আবার ওকে মেরে-টেরে ফেলবে নাকি?"

ইবলিশ বিরক্ত গলায় বলল, "এতো যে প্যান প্যান করলাম, কিছুই কানে যায় নি নাকি তোমার? ওকে মেরে আমার লাভটা কি? আমি চাই তোমাদের মধ্যেকার সম্পর্কটাকে। মানুষের প্রতি আমার কোন লোভ নেই। মানুষের জীবন খুব সস্তা জিনিস।"

"ঠিক আছে," মনস্থির করে নিলো রাশেদ। "আমি রাহাদের সাথে আমার যেই বন্ধুত্ব আছে সেই সম্পর্ক তোমাকে দিয়ে দিলাম। সেই স্কুল থেকেই ও আমার বন্ধু, একই এলাকাতে থাকতাম। একই কলেজ, ভার্সিটিতে পড়েছি; এখন একই জায়গাতে চাকরি করছি। ওর সাথে অনেক সুন্দর সব স্মৃতি আছে আমার। আমার খারাপ সময়ে সবসময় ওকে কাছে পেয়েছি। কাজেই বন্ধুত্বটা অনেক দামী আমার কাছে। তোমার কাজে দেবে মনে হয়।"

ইবলিশের চেহারাটা আস্তে আস্তে বদলে গিয়ে রাহাদের চেহারায় রূপ নিলো, "এই বন্ধুর কথাই বলছ নিশ্চয়ই।"

রাশেদ চুপ করে রইলো। রাহাদের চেহারার ইবলিশকে দেখে ওর অন্তরাত্মা কেঁপে উঠেছে।

"ঠিক আছে। তাহলে মালিকানার বদলটা হয়ে যাক। তুমি ওর পুরো নাম বল, আর তারপর তোমার সামনের ঐ বইটাতে তোমার বুড়ো আঙ্গুলের ছাপটা দাও।"

রাশেদের সামনে শূন্য থেকে একটা পুরনো দেখতে বই উদয় হয়েছে। সেখানে একটা পাতায় অদ্ভুত কোন ভাষায় অনেক কিছু লেখা। কিন্তু কোথায় বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে সেটা স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছিল। কারণ সেখানে একটা ক্রস চিহ্ন দেয়া। রাশেদ রাহাদের পুরো নাম বলতে বলতে নিজের বুড়ো আঙ্গুল সেখানে রাখলো।

"বাহ। দারুণ। তাহলে আমি চললাম। অনেক কাজ বাকী। টাকা-পয়সার সমস্যা নিয়ে তোমার আর ভাবা লাগবে না। সেটার চিন্তা এখন থেকে আমার। দেখা হবে, অন্য জীবনে," আর সেই সাথে ভোজবাজীর মতন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল ইবলিশ নামে পরিচয় দেয়া ছেলেটা।

হ্যাঁ, এই কথা ঠিক যে টাকার চিন্তা আর কখনো করতে হয় নি রাশেদের। তবে তার বদলে অনেক কিছুই ঘটলো। যেই রাহাদের সাথে তার বন্ধুত্বটা ছিল মানিক-রতনের মতন সেটাই আদায়-কাঁচকলায় পালটে গেল। একই অফিসে কাজ করার দরুন রাহাদ ক্রমাগত বসের কান ভড়কাতে লাগলো রাশেদের নামে, চাকরিটা চলে গেলো সেকারণে চার মাসের মধ্যেই। যদিও আরেকটা চাকরি, আরও ভালো বেতনে পেতে তেমন একটা বেগ পেতে হলো না রাশেদের। কিন্তু, ওর নামে নানান সত্য-মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলে রাহাদ এক পর্যায়ে ওকে একরকম অনাহূতই করে তুলল বন্ধু মহলে। লাবণীদের পরিবারের সাথেও রাহাদের সুসম্পর্ক ছিল আর সেটার ফায়দাও সে কড়ায়-গণ্ডায় তুলল। লাবণীর পরিবার আর লাবণীর কাছে তার নামে এমন সব কথা শোনানো হতে থাকলো যে এক পর্যায়ে ডিভোর্স ছাড়া গতি থাকলো না কোন। বন্ধুত্ব যে এমন কর্কশ, তিক্ত, ভয়ংকর শত্রুতায় রূপান্তরিত হতে পারে তা কল্পনাতেও ছিল না রাশেদের। শত চেষ্টাতেও এর কোনটাই ঘটতে থাকা থেকে থামাতে পারলো না সে। এক অদ্ভুত আক্রোশে রাহাদ যেন তার সাজানো জীবনটা তছনছ করে দিল।

অনেক অনেক বছর পর যখন কোটিপতি রাশেদুর রহমানের লাশ একা একা পচছিল তার আঠারো কোটি টাকা দামের ডুপ্লেক্স বাড়ির স্টাডিতে, পাশেই দাঁড়িয়ে রাশেদের অতৃপ্ত আত্মা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবছিল, ইবলিসের সাথে লেনদেনে ভীষণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তার।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, ইবলিশের নতুন স্টাইলের কার্যকলাপ জানায়া ভালো করছেন। সাবধান থাকতে কামে দিবো। তয় ইবলিশ হালারে বিশ্বাস নাই। কোন সময়ে আবার নতুন ফন্দি-ফিকির লয়া হাজির হয় ঠিক নাই। চিন্তা করতে থাকন.....আর কোন নতুন আইডিয়া পাওন যায় কিনা!! :P

গল্প কিন্তু সেরাম হইছে। বেশ আগে আমিও ইবলিশরে লয়া একটা গল্প লেখছিলাম। চোখ বুলাইতে পারেন, গল্পঃ শয়তানের সাথে কিছুক্ষণ

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সত্যি কইতে, এমুন অফার লইয়া আইলে সবকিছু জাইনাও মনে হয় লাফ দিয়া নিয়া নিমু অফারটা। টেকা ছাড়া কি আসে দুইন্যায়। ধইন্যবাদ।

আপনের গল্প পইড়া আইতাসি, ওয়েট খান।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

সোহানাজোহা বলেছেন: গল্পের প্লট ভালো কিন্তু প্লট অনুযায়ী আরো গোছানো ও গম্ভীর লেখা হতে পারতো। বেশ কয়েক জায়গায় রাশেদ - রাহাদ নামের বানানে সম্ভবত সমস্যা রয়ে গেছে। তারপরও - গল্প ভালো হয়েছে।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ঠিক কইছেন, তবে এগুলা আমার লেখক জীবনের পরথম দিকের লেখা। এখন একটু ঘষা-মাজা কইরা দিতাসি। রাশেদ-রাহাদে সমস্যা হওয়ার তো কথা না, দেখতাসি। ধইন্যবাদ। ভালো মতন পড়সেন দেইখা ভাল্লাগলো।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শয়তান।
ছেড়ে দে শয়তান!

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এরপর সেই বিখ্যাত দুই ডায়লগও দিয়া দিতেন -

'দেহ পাবি, মন পাবি না।'

'ঘরে কি মা-বোন/বাপ-ভাই নাই।'

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শয়তানের কাজ গিট্টু লাগানো । ভালো লিখেছেন

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: একদম। এই ব্যাটা আছে খালি জিলাপি আর আমিত্তি-র প্যাচে। এইখানেই সেই প্যাঁচটা নিয়াই খেললাম আর কি। প্রচলিত আত্মা কনসেপ্ট থেইকা সরলেও, বেশী দূরে যাইতে পারি নাই। ধইন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



শুরুটা আজকের বাংলাদেশের কোটী মানুষের গল্প ছিলো, পরে সেটা একটি ব্যতিক্রমে গিয়ে ঠেকলো; ভিনদেশী গল্পটল্প পড়ছেন?

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: শুরুটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে হইছে, শেষটা ফ্যান্টাসি।

হিসাব ছাড়া, অগুণতি, শেষ নাই। আপনার কথাটা ভুল না, প্রচুর গল্প পইড়া সেইখান থেইকাই একটা মিক্সচার শেষে নতুন গল্পের প্লট আসে। এইখানে যেমন, শয়তান আর কি চাইতে পারে আত্মার বদলে- ভাবতে গিয়া প্লটের উৎপত্তি।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
জীবনের হিসাব কিতাব
জীবনের লেনাদেনা
কাটায় গেলা জীবন
মানে কিছু বুঝলেনা!

তাইতো এমন পরিণতি
দীর্ঘশ্বাসের হাহাকার
থাকতে সময় মেলাও রে মন
তুমি কে আর তুমি কার? ;)

গল্প পড়ার পর গড়গড়াইয়া আসলো! মুই কিতা করতাম ;) :P
হা হা হা

গল্পে ভাল লাগা!

ফাজিলটারে পঞ্চরুপে পাইয়াছি! বড়ই ত্যাদোর আর মাক্কার ;)
হা হা হা

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: মারহাবা, মারহাবা। যেই কবিতা লিখসেন, এর চাইতে ভালা মন্তব্য আর কি হইবার পারে। ধইন্যবাদ বিদ্রোহী কবি। ঐরকম ফাজিল কত আহে জীবনে, তাদের কয়েকজন আদুরে শয়তান। আর কয়েকজনরে দেখলে শয়তানও কয়, শালার কম্পিটশন বাইরা গেসে অনেক।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি বলেছেন, "হিসাব ছাড়া, অগুণতি, শেষ নাই। আপনার কথাটা ভুল না, প্রচুর গল্প পইড়া সেইখান থেইকাই একটা মিক্সচার শেষে নতুন গল্পের প্লট আসে। এইখানে যেমন, শয়তান আর কি চাইতে পারে আত্মার বদলে- ভাবতে গিয়া প্লটের উৎপত্তি। "

-শয়তান চরিত্রের দরকার কেন, আমাদের সমাজে মানুষ কি সেই ফ্যানটাসী ব্যতিত বাস্তব জীবন যাপন করছেন না? সেটার গল্প আছে নিশ্চয়।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমি বাস্তবতার কাছে আসতে চাই না, সেইটা আমারে ট্রমায় ঠেইলা দেয়। আমি বাস্তবতার থেইকা দূরে পালানো লোক। কল্পনায়, ফ্যান্টাসিতে বাস্তবতাটারে নিয়া গিয়া হাত ছাইড়া পালাইয়া আসি আমি। কারণ, যে জীবন এইরকম নির্দয়, নিষ্ঠুর তারে আমি কলমে ধরতে পারুম না, সেই ক্ষমতা মনে হয় আমার নাই। যদিও কাউন্টার যুক্তিতে বলা যায়, আমার কোন গল্পেই মনে হয় হ্যাপি এন্ডিং নাই। সেইটাও নিজে বার বার ঘা খাইবার ফল।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


৬ নং মন্তব্য দেখেন, আপনার গল্প পড়ে কবিতা বেরিয়ে গেছে, আপানার গল্পের ওজন আছে।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: আরে নাহ, ভৃগু ভাই ভালো কবি, তাই কবিতা আইছে। আমার লেখা এইখানে দুধ-ভাত!

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব প্যাচানো গল্প।
আমি ভাই সহজ সরল মানুষ। সহজ সরল গল্প ভালোবাসি।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৪

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এইডা মনে হয় এক অর্থে ঠিক। মানুষটা আমি প্যাঁচওলাই। তাই বুঝি এমন গল্প বের হয় কীবোর্ড টিপলেই।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭

ঘরহীন বলেছেন: ভাই, গল্পটা ভালো লেগেছে। এই কাহিনীতে আমার অপছন্দের চরিত্র হলো লাবণী। বন্ধুর কথায় স্বামীকে ছেড়ে যায় কে???

২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: নারীরা সবসময়ই ছলনাময়ী। কি আর করা?

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ,অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমাদের চারপাশে এরকম ইবলিশের খপ্পরে পড়া মানুষ কম নেই

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৭

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধইন্যবাদ। আফসুস হইলো, ইবলিস ব্যাটায় আমারে চোখে দেখে না।

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ক্রিস্টোফার মারলো'র ডঃ ফস্টাসে শয়তান আসে আত্মা কেনাবেচার পসরা নিয়ে। এছাড়াও আর একটা গল্প পড়েছিলাম, অ্যারাবিয়ান উপকথাই হবে হয়তো, শয়তান একবার এক পরহেজগার লোককে আটকে তার ছাড়া পাওয়ার তিনটে অপশন দেয়, বেছে নিতে হবে যেকোনো একটি। হয় তাকে এক রমণীর সঙ্গে রাত্রিজাপন করতে হবে, অথবা, তাকে এক অবোধ শিশুকে তরবারির আঘাতে দ্বিখণ্ডিত করতে হবে, অথবা তাকে মদ্যপান করতে হবে। সে ভদ্রলোক নিজের বিবেচনায় সূরাপান - উল্লেখিত খারাপ তিনটি কাজের মধ্যে কম খারাপ বিবেচনা করে মদ খায়। পরে মাতাল হয়ে শিশুটাকেও মারে, রমণীর সাথে রাত্রিযাপনের কাজও সাঙ্গ করে।

আপনার গল্পের শয়তানও পরিবার - বন্ধু ও অর্থকড়ি নিয়ে এমন একটা ত্রিমুখী সংঘাতের মধ্যে ফেলে দিলো মূল চরিত্রকে। ভালো লেগেছে পড়তে।

শহিদুল জহির আপনার পছন্দের লেখক হয়ে থাকলে, ওনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু একটা লেখুন। ভিন্নতা আসবে ন্যারেটিভে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধইন্যবাদ ভাই। আপনার দেয়া উদাহরণই কয় আপনে পড়ুয়া মানুষ। ফস্টাস আর কয়জন পড়ছে আমগো মতন পোকরা ছাড়া।

জহিররে ভালোবাসি, কিন্তু ফলো করার তাকদ নাই। সেইরকম হইলে, সত্যজিতের মতন গোয়েন্দা গল্প, আজিমভের মতন সাইফাই, তারা-র মতন সামাজিক বই, জীবনের মতন কবিতা লেখতে হয়।

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৫

মা.হাসান বলেছেন: শয়তানরে পাইলে আমার কাছে পাঠাইয়েন। একজন জন পতিনিধির সহিত আমার সম্পর্ক খানা বিক্রি করিতাম।

মরতে সবাইকেই হবে। সবাই খারাপটাই দেখলো। আঠারো কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাসায় মরার যে একটা ফিলিংস আছে সেইটা বুঝলো না :-<

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এক্কেরে হক কথাটাই কইসেন। ইবলিস-তো কইয়াই গেসিলো, টাকা-পয়সার চিন্তা আর নাই। তাইলে আর এইসব ছোটোখাটো ব্যাপার নিয়া ভাবলে চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.