নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে এখানে নিয়ে এসে ছুঁড়ে ফেলা হয়!!!
আগে কটকটে বাংলা শব্দগুলোর ইংরেজি প্রতিশব্দ আর হালকা ব্যাখ্যা না দিলেই নয়।
প্রথমেই পুনর্জন্ম বা Reincarnation। এর সাদামাটা ব্যাখ্যা হলো নতুন জন্ম লাভ করা। সেটা হতে পারে নতুন কোনো শরীরে, নতুন কোনো সময়ে বা দেশে। কিংবা নিজের পরিচয়েই, নিজের শরীরেই, শুধুমাত্র অতীতকালে ফিরে যাওয়া।
অন্যদিকে দেহান্তর বা Transmigration। একে আত্মার দেহ পরিবর্তনও বলা যায়। অর্থাৎ নতুন এক দেহে, নতুন করে জীবন শুরু করা।
আচ্ছা এই উদ্ভট বিষয়ে লিখতে নিলাম কেন? কিছুটা আত্মপক্ষ সমর্থন করাটা বাঞ্ছনীয়। আমি পাঠক হিসেবে সর্বভূক। বই পড়ার পাশাপাশি গ্রাফিক নোভেল বা কমিকস পড়াতেও আমার অরুচি ছিলো না। ভার্সিটিতে পড়াকালীন দ্বিতীয় বছরে আমার পরিচয় হয় নারুতোর সাথে। এর আগে টিভিতে ড্রাগন বল, রুরোনি কেনশিন, কার্ডক্যাপটর সাকুরা আর গ্যান্ডাম দেখা হলেও এগুলো যে এনিমে আর সেই এনিমের সোর্স ম্যাটেরিয়াল যে হাতে আঁকা মাঙ্গা তা আমার জানা হয় নি। এবার জানলাম আর জেনেই ঝাঁপিয়ে পরলাম নতুন এই মাঙ্গার জগত জয় করতে। বিস্তারিত আলোচনায় যাবো না, তবে কমবেশি হাজারখানেক মাঙ্গা আমার পড়া হয়েছে। বেশিই হবে সংখ্যাটা, কম নয়। মাঙ্গার একটা বড় দুর্বলতা রঙের অভার বা সাদাকালো ছবি। পশ্চিমা কমিকস, ডিসি বা মার্ভেল যেমন চকমকে ছবি, মনোমুগ্ধকর রঙের খেলায় আন্দোলিত করে সেটা এই প্রাচ্যের মাঙ্গায় অনুপস্থিত। সেই খামতি মেটাতেই আবির্ভাব মানহুয়া ও মানোয়া-র।
মানহুয়া হলো চাইনিজ কমিকস আর মানোয়া হলো কোরিয়ান। সাদা কালো জাপানি মাঙ্গার জগতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল এই দুই নতুন ধারা। ভিন্নধর্মী কাহিনী ও আঁকা, সেই সাথে নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মিশেলে বেশ সাড়াই পরে গেলো। তবে, আমার যে বিষয় নিয়ে এই ব্লগপোস্ট, তাতে ফিরে আসি।
মার্চ ২০১৮ সালে আত্মপ্রকাশ করলো সোলো লেভেলিং নামের একটি মানোয়া। নায়ক সুং জিনও, ডানজিওন অনুসিন্ধানে গিয়ে যে মুখোমুখি হয় এক অসীম শক্তিশালী সত্তার ও বেঘোরে প্রাণ হারায়। কিন্তু, মৃত্যুর পর সে আবার ফিরে আসে কিছু সাল পূর্বে, এক রহস্যময় সিস্টেম তাকে সাহায্য করে আর সেই সুযোগে সে হয়ে ওঠে প্রবল ক্ষমতাধর ছায়া সম্রাট, মানবজাতির রক্ষক। দুর্দান্ত একশন সিকুয়েন্স, অসাধারন কালার টোনিং, ক্যারেক্টার বিল্ডআপ, আকর্ষনীয় কাহিনী - সবকিছু খাপে খাপ মিলে যাওয়ায় রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হয় এই ওয়েব কমিকটি। সোর্স ম্যাটেরিয়াল, লাইট নভেলও জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যায়। এনিমে এডাপ্টেশন, গেম, সবদিকেই নিজের বিজয় নিশান উড়িয়ে দেয় সোলো লেভেলিং। সেই সাথে ডেকে নিয়ে আসে এক অপ্রত্যাশিত সুনামি, একের পর এক একই ধাঁচে, একই রকম কাহিনীর ছাঁচে বের হতে থাকে মানহুয়া আর মানোয়া। তার চাইতেও অপ্রত্যাশিতভাবে কমবেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বেশ কিছুই, তাদের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে।
দ্য স্কলারস রিইনকারনেশন, যেখানে এক মার্শাল আর্ট গড-জিন ও, জন্ম নেয় এক স্থানীয় জমিদারের পুত্র হয়ে। আগের জীবনের রক্তাক্ত অতীত ভুলে সে কি এই নতুন পরিবারে, নব জীবনে মানিয়ে নিতে পারবে?
দ্য বিগিনিং আফটার দ্য এন্ড, যেখানে রাজা গ্রে নতুন করে জন্ম নেয় আর্থার লেউইন নামের এক সাদাসিধে শিশু হয়ে। কিন্তু, তার প্রতিভার বিকাশ অল্প বয়সেই ঘটতে শুরু করলে তার ফলে পুরো পৃথিবীর ভাগ্যের চাকাই বুঝি নড়ে যাবে এবার!
রিটার্ন অফ দ্য মাউন্ট হুয়া সেক্ট, রিটার্ন অফ দ্য ফ্রোজেন প্লেয়ার, দ্য গ্রেট ম্যাইজ রিটার্ন আফটার ফোর থাউজ্যাণ্ড ইয়ারস- নাম নেওয়া যায় এরকম অসংখ্য মানোয়া বা মানহুয়ার।
মানুষ না হয়ে যদি কোনো অদ্ভুতুরে জীব হয়ে দিনশেষে জন্ম নিতে হয়, আছে সেরকমও। দ্যাট টাইম আই গট রিইনকার্নেটেড এজ এ স্লাইম, ওভারলর্ড, রিঃ মনস্টার, সো আই এম এ স্পাইডার, সো হোয়াট? ইত্যাদি।
এমনকি একটা তলোয়ার হিসেবে নতুন জীবন শুরু করার মতন ওয়েব কমিকও আছে।
এত কথা কেন বললাম। অনেকটা অযথাই। কিংবা ধরে নিতে পারেন সামু ব্লগের পাঠকদের নতুন কিছু একটার ব্যাপারে জানাতে। আসলে ইদানিং ভালো বই পড়া হচ্ছে না। গত বছরে প্রায় হাজার দশেক টাকার বই কেনা হয়েছে। পড়া হয়েছে তার মধ্যে হাতে গোণা কয়েকটি। অথচ প্রায় প্রতিদিন ফোনের মধ্যে আমাকে আঠার মতন আটকে রাখে এই পুনর্জন্ম কেন্দ্রিক রংচঙে মানহুয়া বা মানোয়াগুলো। গতকাল আর আজকে যে দুটো পড়লাম, মান বিবেচনায় সেগুলো আহামরি কিছুই না। তাও প্রায় ঘন্টা ছয়েক সময় আমি অপচয় করেছি এগুলোর পেছনে, ২০০+ চ্যাপ্টার বা ৩০০০+ ছবি ডাউনলোড করে পড়ে। আজকে উদাস হয়ে নিজের জীবনের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে গিয়ে মনে হলো কেনো এই অদ্ভুত নেশা আমায় ছাড়ছে না।
কারণগুলো নিম্নে লেখা হইলো -
এক, আমি পুনর্জন্ম নিয়ে দারুণ ফ্যান্টাসিতে ভুগি। এই অদ্ভুত সুন্দর পৃথিবীতে একবার মাত্র বেঁচে মরে গিয়ে সার হয়ে ঢেঁড়শ ফলাতে হবে, এটা ভাবলেই হতাশ হয়ে যাই।
দুই, আমার এটেনশন স্প্যান কমে গিয়েছে, আগের মত তিন-চারশো পৃষ্ঠার বই আর আমাকে টানতে পারছে না। সেখানে বাচ্চাদের মত ছবির মধ্যে লেখা দেওয়া কমিকস গিলতে হচ্ছে দুধের বদলে ঘোল হিসেবে।
তিন, আমি আসলে নিজে দুর্বল বিধায় একজন দুর্বল মানুষের জয় দেখতে পছন্দ করি বা হিরো ফ্যান্টাসিতে ভুগি। স্বপ্ন দেখি একদিন আমিও এমন চুটকির মধ্যে অসীম ক্ষমতাশালী হয়ে সব শত্রুদের কচুকাটা করবো। তাই এই বিশেষ কাহিনীর ধাঁচটা আমার মনে গেঁথে গিয়েছে।
চার, আমি একটা ভ্যাদাইম্মা লোক। দেহে বাড়লেও, মনে এখনও ইম্যাচিউরের একশেষ রয়ে গিয়েছি আর তাই এই বাচ্চাদের মত কমিকস গিলি বসে বসে। ইত্যাদি ইত্যাদি...
যাই হোক, দিনশেষে এই লেখার কোন সমাপ্তি নেই। ব্লগারদের বলে যেতে চাই, একজন লেখকের কল্পনাশক্তি হতে হয় অসীম, আর এই কমিকসগুলো আপনাকে কল্পনার এক চমকপ্রদ রাজ্যে নিয়ে যাবে। অবসর থাকলে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন কোনো একটা লিংক থেকে আর পেতে পারেন নতুন কিছুর স্বাদ। সময়টা মন্দ কাটবে না আশা করি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৩
অজ্ঞ বালক বলেছেন: পড়লে দেখতেন, হেডিং আর ভিত্রের লেখা খাপে খাপ। ট্রাই এগেইন।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এতো দেখি বিশাল ব্যপার ,
সোলো লেভেলিং এ ডু মেরে এলাম
এক কথায় আসাধারণ , ইয়ং জেনারেশন
এর ভিতর ঘন্টার পর ঘন্টা বুদ হয়ে
থাকতে পারে ।
নীজকে অজ্ঞ বালক বলছেন কেন
আপনিতো বিশেষজ্ঞের পর্যায়ে
পরেন । অবশ্য বিশেষভাবে
অজ্ঞ থাকার পরেই কেও বিশেষজ্ঞ
হিসাবে পরিনতি পায় ।
শুভেচ্ছা রইল
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
অজ্ঞ বালক বলেছেন: আমি হইলাম আজাইরা বিষয়ে এক্সপার্ট, এটারে অজ্ঞই কওয়া লাগে, অন্য বিশেষণ তো নাই। আপনের মত মানুষ এই পোস্ট পড়সেন ভাবতেই লজ্জা লাগতেসে। এগুলা হইলো পোলাপাইন্না চানাচুর পোস্ট। অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: একটু কঠিন কঠিন লাগলো! তবে প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তুর গভীরতা আছে বলতে হবে- ফের পড়ে বুঝতে হবে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এগুলা আসলে পিচ্চি পোলাপাইনগো এরিয়া। মাথা ঘামানোর দরকার নাই। চানাচুর পোস্ট, ওয়ান টাইম রিড আর কি।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: পুনর্জন্ম ও দেহান্তর নিয়ে আগ্রহ ছিল পড়ার।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: কমিক্স কিংবা মাঞগা নিয়ে আমার আগ্রহ কম সেইজন্য পড়ে মজা পাইনি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: তাহলে আর কি করার। অপছন্দের বিষয় হইলে দরকার নাই বার বার পড়ার।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: একজন অজ্ঞ বালক এতো কঠিন বিষয় নিয়ে লিখেছেন- যা আমার মাথায় ঢুকছে না!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: কি যে কন ভাই। এর চাইতে সহজ কইরা আর কেমনে কি লিখতাম!
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: চায়নিজ আর কোরিয়ান ভাষা জানেন?
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যা পড়তে এসেছি তা পাইনি আবার যা পেয়েছি তাতে মন্দও হয়নি !! যাক আপনি অন্তত উপকার করলেন !!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: পোষ্টের হেডিং এর সাথে ভিতরে লেখার কোনো মিল খুঁজে পেলাম না।
যেটা পড়তে এসেছিলাম সেটা লেখায় না পেয়ে হতাশ হয়ে চলে যেতে হলো।