নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাশফুলের কাব্য

হাজার সাদার মাঝে আমি অসাধারণ.............।

ওহ

সত্য বড় কঠিন জিনিস!!..... শুনতে একটু তিতা লাগলেও ফলটা খারাপ না! :)

ওহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের প্রতি খোলা চিঠি.... /:)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৪

মেয়েদের বীচ ভলিবলে কি মানুষ ক্রীড়াকৌশল দেখে নাকি বিকিনি পরা শরীর দেখে?

সাম্বা নৃত্যের মূল আকর্ষণ কি আসলেই নৃত্য,নাকি নগ্নতা?

শারাপোভা,ইভানোভিচের টেনিস খেলা হলে তাদের খেলার চেয়ে শরীর দেখার জন্যই দর্শক বেশী হয়না কি?

মুন্নী,শিলা,ফেভিকল- এই আইটেম সং গুলোতে ''মেয়ে বলতেই পতিতা'' এই বার্তা দেয়া হচ্ছে না কি?

প্রতিটি ছবিতে 'বিকিনি গার্ল' নামে আজকাল আলাদা চরিত্র আনা হচ্ছে…এটার উদ্যেশ্য কি?

রেজরের বিজ্ঞাপনে যখন অর্ধোলঙ্গ হয়ে পুরুষের গাল টানো,তখন লোক রেজরের গুণ দেখে,নাকি তোমার রুপ দেখে?

ব্র‍্যান্ড নিও গাড়ির সামনে মিনিস্কার্ট পরে পায়ের ওপর পা তুলে যখন লোলুপ ক্যামেরার সামনে পোজ দাও,তখন সবাই গাড়ির মাইলেজ,স্পীড দেখে নাকি তোমার অনাবৃত পা দেখে?

বডি স্প্রের বিজ্ঞাপনে যখন স্প্রের গণ্ধে কামোন্মত্ত কুকুরীর মত নিঃশ্বাস নাও,তখন মানুষ স্প্রের গুণ দেখে নাকি,তোমার অঙ্গভঙ্গী দেখে 'পুলকিত' হয়?

চকোলেটের বিজ্ঞাপনে যখন ঠোটে চকলেট মাখিয়ে জিহ্বা দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে চাট,তখন মানুষ চকোলেটের স্বাদ অনুভব করে,নাকি তোমার জিহ্বার?

সাবানের বিজ্ঞাপনে যখন বাথটাবে নিজের শরীর দেখাও,তখন মানুষ সাবানের গুণ দেখে,নাকি বাথটাবের আড়ালে তোমার শরীরের না দেখা অংশ কল্পনা করে?



কেন বোঝাতে পারিনা তোমাদের যে,নারীস্বাধীনতার ধুয়া তুলে তোমাদের শোকেসে আবদ্ধ পণ্য করে রেখেছে সবাই…যার ইচ্ছা সে খেলে,ইচ্ছা না হলে ভেঙ্গে ফেলে…আজ আমরা যখন স্বেচ্ছায় তোমাদের মুক্ত করার সংগ্রামে নেমেছি,তোমরা চুপ কেন?

আর কতভাবে বোঝালে নিজেদের সম্মান টা রাখতে শিখবে? নিজের শরীর বিলিয়ে দেওয়াটা স্বাধীনতা নয়,আধুনিকতা নয়.....



(from facebook)

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মনে করুন আমি একজন নারী, এবার আপনার প্রতি আমার প্রশ্ন ,
টেনিস খেলা আমার শখ। আমি ভীষণ পছন্দ করি।
এখন কোন পুরুষের লিঙ্গ দণ্ডায়মান হবে - সেই চিন্তা করে আমি আমার শখ নষ্ট করবো? পুরুষদের তো কোনো বাধা নিষেধ নেই। এটা কি ন্যয্য হলো?

আপনার লিঙ্গ দণ্ডায়মান হয় বলে সব দায়িত্ব নারীর ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন এটাই মূল সমস্যা। নিজেদের চিন্তাভাবনাটা ঠিক করুন।
পুরুষেরা চাইলেই যেকোনো সময় খালবিলে সাতার কাটতে পারে। চাইলেই গাছে চড়তে পারে। মধ্য রাতে চাইলে জ্যেৎস্না দেখতে বাইরে যেতে পারে। অথচ প্রকৃতিরই সন্তান নারী। তারা পারে না, পুরুষের ধোন খাড়ায় বলে। বিবেক দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি নিজে নারী হলে সমস্যাটি উপলব্ধি করতে পারতেন।

আপনি চাইলেই কোনো এক বসন্তের জ্যেস্না রাতে খোলা আকাশের নিচে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। কারন আপনি পুরুষ। গ্রামের কোনো এক তরুণ চাইলেই নদীতে গিয়ে সাতার কাটতে পারে, গাছে চড়তে পারে,.............আরও কত কিছু। নারীরা এসব পারে না। কেন পারে না? পুরুষের জন্য। কারন মেয়েরা কেবল পুরুষের ভোগের বস্তু।
কিন্তু নারীরাও প্রকৃতির সন্তান। এসব কিছুতেই তাদের অধিকার রয়েছে। একটা নারীর মাঝরাতে জোস্না দেখতে বাইরে যেতে মনে হতে পারে। কিন্তু সে বাইরে যেতে পারে না। কারন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। এই পৃথিবীর রুপরসগন্ধ সবই পুরুষ নিজের হাতে রেখে দিয়েছে।
আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন, আপনার জীবনের সঙ্গে আপনার মা বা বোনের জীবনের পার্থক্য কতো। আমাদের সমাজের মায়েরা দুনিয়ার কিছুই জানে না। তারা সব কিছু থেকে বঞ্ছিত। আপনার নিজের মা কে একজন মানুষ হিসেবে কল্পণা করুন। তারও অধিকার ছিল এই পৃথিবীর ওপর।
যদিও আপনার মায়ের হয়তো আক্ষেপ নেই। কারন তিনি জানেনই বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে । তিনি মেনে নিয়েছেন সমাজের এই প্রথা।
ধর্ম দিয়ে নয়, নিজের বিবেক দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। সত্য জানতে হয় নিজেকেই। সবারই নিজের উপলব্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে। হাজার বছরের পুরনো সংস্কার দিয়ে নয়। আপনার যদি বিবেক থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।

ছোটোবেলাই গ্রামে আমার প্রতিবেশী এক মেয়ে আমার বন্ধু ছিল। একই সঙ্গে আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে স্কুলে যেতাম। খেলা করতাম। ওই মেয়ে শিশুটি গাছে চড়ে ফল পাড়তো। আমিও তখন গাছে চড়তে পারতাম না। মেয়ে শিশুটি বেশ ডানপেটা টাইপের। কিন্তু ক্লাস ফাইভে ওঠার পর মেয়েটিকে সমাজ বন্দী করে ফেললো। পুরুষের লিঙ্গ কখন দাড়িয়ে যাবে তাই। মেয়েটি আর বাইরে বের হতে পারতো না যখন তখন। গাছে চড়তে পারতো না।
আমি তখন মেয়েটির হাহাহাহাকার তার চোখেমুখে দেখতে পেতাম। মেয়েটি এখন সমাজকে মেনে নিয়ে বিয়ে শাদি করে দুই দুইটা বাচ্চার মা।
পৃথিবীর রুপরসগন্ধ আস্বাদনের অধিকার কি মেয়েটির ছিল না?
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেয়েটিকে শুধুমাত্র ভোগ আর বাচ্চা উৎপাদনের হাতিয়ার হিসেবে দেখেছে। আমার মা, আপনার মা বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সবার মায়ের জীবনই একই রকম। আপনার জীবনের সঙ্গে আপনার মায়ের জীবনের তুলনা করলে দেখবেন , ‘‘আপনার মায়ের জীবন কোনো জীবনই নয়’’।
আপনার মা বা আমার মা, আমাদের বাবার ওয়ারিশ তৈরির যন্ত্র।এটা বাস্তব সত্য।

নিজের বিবেককে এবং সমাজ বাস্তবতাকে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন। হাজার বছরের পুরোনো সংস্কার দিয়ে নয়।
আমাদের দেশের মা-বোনেরা এই সমাজকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। কাজেই তাদের বেশিরভাগেরই আক্ষেপ নেই। কারন তারা জানেই না। আর আগের বাপ-মাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত। শিক্ষিতরাও কেবলমাত্র সার্টিফিকেটধারী।
তবে অনেকে সমাজের প্রতি বিরক্তও রয়েছে। কোনো মেয়ের ইচ্ছা করতেই পারে বান্ধবীর সঙ্গে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসতে। সেকি যেতে পারবে ? পারবে না। পারবে না বলে তারা ইচ্ছাও পোষণ করে না। এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে।

কেও যদি অন্ধকারে জন্ম নেয়। এবং তাকে যদি আলোর মুখ দেখতে না দেওয়া হয়। তখন সে অন্ধকারকেই আলো ভেবে সুখে থাকার চেষ্টা করবে।
মিছা কইলাম নি?
আবার ধরুন, আপনার কোনো বোনের জামাই অত্যন্ত বদ। আপনার বোনের যদি কোনো অর্থনৈতিক ক্ষমতা (চাকরি) না থাকে, তখন সে তার বদ স্বামীর সঙ্গেই জীবন পার করবে। তারপরও সে ভালো থাকার চেষ্টা করবে কারন তার কিছু করার নেই। যাউকগা। আপনি বোধ করি এখনো কচি ছাওয়াল। নানান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করুন। সত্য নিজে খোঁজার চেষ্টা করুন। যুক্তি বোঝার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

মস্তকটা উন্নত করুন। জানার চেষ্টা করুন পুরুষ কিভাবে নিজেদের স্বার্থে নারীদের ব্যবহার করছে।
আপনাকে একটা লিঙ্ক দেই।
http://blog.bdnews24.com/mehedi1952/143867

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

ওহ বলেছেন: নিচের কমেন্টটা পড়ুন

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

মুহসিন বলেছেন: বর্তমানে নারীর শরীর প্রদর্শনই যেন মূখ্য হয়ে উঠেছে এবং পুরুষরা তা চাইছে বলেই মেয়েদেরকে অর্থ দিয়ে, যুক্তি দিয়ে তাদের মতের দিকে টানছে।

আর নারীরাও পুরুষদেরকে মোহিত করে ধন্য মনে করছে। এটার নামই তারা দিচ্ছে প্রগতি।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নারীস্বাধীনতার ধুয়া তুলে তোমাদের শোকেসে আবদ্ধ পণ্য করে রেখেছে সবাই…যার ইচ্ছা সে খেলে,ইচ্ছা না হলে ভেঙ্গে ফেলে…আজ আমরা যখন স্বেচ্ছায় তোমাদের মুক্ত করার সংগ্রামে নেমেছি,তোমরা চুপ কেন?
আর কতভাবে বোঝালে নিজেদের সম্মান টা রাখতে শিখবে? নিজের শরীর বিলিয়ে দেওয়াটা স্বাধীনতা নয়,আধুনিকতা নয়....


ভোগবাদী সমাজের ধারাই এমন। ভোগের জন্য সব আয়োজন। সাথে সুশীল আচার....নারী স্বাধীনতা, মুক্তির নামে নারীকে ভোগ্যপণ্য বানিয়ে ফেলছে- অথচ নারীর মুক্তির প্রথম সনদ ইসলামকে ভিলেন বানীয়ে দেখাচ্ছে জ্ঞানের অভাব আর অজ্ঞতার সুযোগে।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: @porajito : tahole aj r sudhu keno nari vs nari khela hobe???


khela hobe sudhu purus vs nari!!!!

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ফ্রিঞ্জ বলেছেন: নারী স্বাধীনতা মানে হল নারী স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা নিয়ে তারা বিকিনি পরুক আর বোরখা পরুক তাদের ব্যপার।
নতুন নতুন স্বাধীনতা পাইসে তাই হয়তো এখনো লাইনে আসতে পারেনাই। আশা করবো স্বাধীনতাটা ভালো কাজে ব্যবহার করবে তারা। তাই বলে স্বাধীনতার বিরোধিতা করা ঠিক হবেনা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০১

ওহ বলেছেন: আমি নারী স্বাধীনতার বিরোধী নই। তবে স্বাধীনতা মানে নিজের শরীর বিক্রি করে পুরুষের লালসা পুরন করা না। কেনো একজন নারীকে চেনাতে হলে তার শরীরটাকে প্রথমে দেখাতে হবে, তাহলে কোথায় নারীর স্বাধীনতা?????

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

প্রভাত ফেরী বলেছেন: @পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন
আপনার মন্তব্য ঠিক আছে। হুজুররা নারীদের ঘরবন্ধি করে রেখেছে। কিন্তু আপনাদের এই তথাকথিত প্রগতিবাদিরা যে আপনাদের পতিতা বানিয়ে রেখেছে এটা কি কখনো বিশ্বাস করেন? আপনি বলেছেন নারিকে ঘর বন্ধি করে রেখেছে পুরুষের লিঙ্গ উত্থানের কারনে। কিন্তু এর প্রতিবাদের আপনারা পতিতা হচ্ছেন বা নিজের সম্ভ্রম বিলাচ্ছেন কোন তারনায়? হ্যাঁ আপনারা হয়তবা বলছেন আপনাদের এই অর্ধনগ্ন পোশাক ই হলো বর্তমান আধুনিকতা। তবে তো পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক প্রানী হলো বনের পশুরা যারা কোন পোশাক ই পরিধান করেনা।

আর আপনি যে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন তার উত্তরে এতটুকুই বলা যায় যে বর্তমান বিশ্বে ইরানকে লক্ষ্য করুন। কোন দিক দিয়ে সে দেশের নারীরা পিছিয়ে রায়েছে? যেখানে আমার দেশের নারীরা সার্ক গেমস এ পদক পেতে হিমশিম খায় সেখানে ইরানের নারীরা অলিম্পিকে পদক পায়। ইরানের নারীরা কিন্তু আপনাদের মতো প্রগতিশীল না। তারা হলো ইসলামীক বিধি বিধানের ধারক সবচেয়ে আধুনিক নারী যারা সে দেশের ব্যাবসায়- বানিজ্য, সিনেমা, খেলাধুলা এমনকি বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ জায়গায় নিজেদের স্বাক্ষর রেখে চলছে। সেখানে লাকিদের মতো (যারা স্বজাতীর কাছে নিজেদের ইজ্জত আমানত রাখতে পারেনা) নারীদের বড়ই অভাব। তাই শুধু নিজেদের মধ্যে নয় সমাজের সকল শ্রেনীর নিকট নিজেরা নিরাপদ। আমার দেশের প্রগতিশীল নারীরা যখন নিজের আধিকার আদায়ে ব্যাস্ত তখন তাদের সকল জায়গায় সর্বোচ্চ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং এর কোন ব্যাত্বয় ঘটছেনা।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

মদন বলেছেন: একটি গাড়ীর বিজ্ঞাপনেও যখন নগ্ন নারীকে লাগে তখন নারী স্বাধিনতার ধ্বজাধারীরা কি যুক্তি দিয়ে সেটিকে জায়েজ করে জানতে ইচ্ছে করে।

পুরুষরা নারীকে ব্যবহার করছে, নারীরা টাকা এবং বিখ্যাত হবার লোভে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটিই হলো সারমর্ম ।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

এম আর সুমন বলেছেন: সবগুলো খেলা যৌনতার কারনে মানুষ দেখে না। যদিও ফ্রয়েড এর মত অনুযায়ী পৃথিবীর সকল কর্মকান্ডই যৌনতার কারনে হয়। তবে সেই মতাদর্শও পুরোপুরি সত্য বলে প্রতিষ্ঠা পায় নি।
তবে বিজ্ঞাপনে নারীকে যে পন্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটা নিসন্দেহে সত্য কথা।
আবার নারীর সৌন্দর্যকে ছোট করে দেখারও সুযোগ নেই। নারীর সৌন্দর্য নিয়েই আমাদের নজরুল রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে হুইটম্যান পর্যন্ত , আবার ওমর খৈয়াম থেকে শুরু করে রুমী পর্যন্ত প্রায় সবাই প্রচুর লেখালেখি করেছেন। সেই লেখালেখিগুলো আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। এগুলো অস্বীকার করার জো নেই।

বড় বড় মুসলিম শাসকরা তাদের হারেমে নারী সঙ্গি, মদ , নর্তকী , বাঈজী ইত্যাদি রাখতেন, ও তাদের এক রকম ব্যবহার করতেন। নারীরা প্রকৃতিগত কারনেই কিছুটা পন্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে যে তাদের খুব একটা দোষ দেয়া যায় তাও না। ইসলামে নারীর পর্দা করার কথা এসব কারনেই এসেছে।
এখন কথা হলো আমরা কতটা শালীনতা রাখবো আর কতটা রাখবো না সেটা নিয়ে। আমরা নারীদের পরাধীন করেও দিতে পারি না। সেটাও কিন্তু মানবতার লঙ্ঘন।
ইসলাম কিন্তু নারীদের পরাধীন করে দিতে বলেনি। ইসলামের দৃষ্টিতে পুরুষের হাফপ্যান্ট পরিধানও কিন্তু জায়েজ না। আগেই বলে নিই, আমি কোনো রেফারেন্স দিতে পারবো না। যা শুনেছি তাই বললাম।

তারপরেও আপনার পোষ্টের যে যৌক্তিকতা নাই তা নয়। নারীদের এখন শুধুই ভোগের সামগ্রী মনে করে অনেকে।
এইসব কারনেই যারা সভ্যতার একেবারে সবথেকে ভাল অবস্থানে আছে সেই সব দেশেও ধর্ষনের হার কিন্তু কম নয়। দেখবেন, রাত দুইটার সময় একটা নারী একা একা একটা সিগারেট ধরিয়ে রাস্তায় হাঁটলে , ঢাকার রাস্তায়ও সে নিরাপদ না, আবার লন্ডনেও না। বিষয়টা কিছুটা প্রকৃতিগত, কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক আবার কিছুটা এভেইলেভিলিটির অভাব।
আপনাকে আরেকটু পরিস্কার করি। ধরেন আপনার ঘরে স্ত্রী আছেন। আপনি তার সাথে একঘন্টা আগেই সহবাস করেছেন। এই অবস্থায় আপনি এক নারীকে দুর্বল অবস্থায় পেলেও হয়তো আপনার তেমন কোনো দুরভিসন্ধী হবে না। আবর যার এ ধরনের সুযোগ নেই তার নৈতিক স্ফলন ঘটতে পারে।
এর সাথে সভ্যতার ও নিজস্ব ধর্ষকামীতারও কিন্তু যোগসাজস আছে।
নারী যেহেতু দুর্বল , বিভিন্ন কারনে অনেক ধর্ষকামীর ইচ্ছেই হয় তার সুযোগ নেয়ার। সামাজিক ও পারিপার্শিক শিক্ষা ও নৈতিকতা আপনাকে এ ধরনের ঘটনা না করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
আজকালকার যুগে একটা লুঙ্গির বিজ্ঞাপন দিলেও নারীকে ব্যবহার করা হয়। শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও দেখবেন শেভ হওয়ার পরে তা দেখে কোন নারী আকর্ষিত হলো তা দেখানো হয়।
দুটো কারনে, এক. আমরা এগুলোই দেখতে চাই।
দুই. নারীকে মুগ্ধ করার একটা প্রবনতা আমাদের মধ্যে আছে।
আপনি চাইলে আমি আরো বিস্তারিত আলাপ করতে পারি।

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

গুরুমিয়াঁ বলেছেন: খারাপ বলে নাই। ভালই লাগলো।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৪

ওহ বলেছেন: আপনিই বুঝলেন ভাই

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৮

এম আর সুমন বলেছেন: আমার লেখায় একটু ভুল হয়েছে। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করতে পারে। আসলে শুধু মুসলিম শাসকদের কথা বলা ঠিক হয়নি। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে সব ধর্মের ক্ষেত্রেই অনেক শাসক নারীদের তাদের অন্দরমহলে বিনোদনের জন্য রেখেছেন। আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাইনা।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৪

ShusthoChinta বলেছেন: @পরাজিত মধ্যবিত্ত, মূলকথা হচ্ছে,আপনারা স্বাধীনতা ভোগ করুন কোন সমস্যা নেই,কিন্তু সেটা পুরুষের ইচ্ছা আর লালসা অনুসারে কেন? আপনাদের নিজেদের মতো করে পারেন না? শুধু শরীর প্রদর্শন করে স্বাধীনতা ভোগ করতে আপনাদের ব্যক্তিত্ত্বে লাগেনা?

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: লেখককে বলছি, আমার উত্তর কিন্তু পাইনি। আমি কিন্তু বলিনি প্রগতিশীলদের কিছু অংশ এর সুবিধা নিতে পারে বৈকি! আপনি দেখুন গার্মেন্টস শ্রমিকদের দেখুন। তারা কিন্তু খুবই অল্প বেতনে গার্মেন্টসে কাজ করে। কারন তারা পরের বাড়িতে কাজ করলে পরাধীন থাকে। তাই ঢাকাতেই বস্তিতে কোনো রকমে পড়ে থাকে তারা। পরের বাড়িতে কাজ করলেও থাকা খাওয়া বাদে কিছু সঞ্চয় থাকে । বেতন পায়। এখন যে রেট। গার্মে ন্টেস এ কাজ করে সেটাও থাকে না। গার্মেন্টসে তারা পায় স্বাধীনতা। পরের কথামতো চলা লাগে না। স্বাধীনতার মানেই যৌনতা নয়। আমি কোথাও বলিও নি। আপনি কাইন্ডলি পড়বেন আবার আমার মন্তব্যটা??

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

প্রভাত ফেরী বলেছেন: @ পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন: আপনি কিন্তু এইবার ইউটার্ন মারছেন। আপনার সস্তা বালখিল্য থেকে প্রগতিশীলতাকে এইবার শিকেয় তুলেছেন। হেফাজতের দাবী বাস্তবায়ন হলে সবচেয়ে ভালো থাকবে আমাদের এই গার্মেন্স নারীরা। গার্মেন্টস এ কর্মরত নারীদের নিয়ে অনেক সিনেমা, নাটক অনেক গান হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করেছেন প্রতিটি নাটক, সিনেমা, গানে গার্মেন্স এ কর্মরত নারী শ্রমিকের বঞ্চনা হিসেবে দেখাতো তারা কিভাবে গার্মেন্টস মালিক অথবা বড় কর্তা দ্বারা শারিরিক ও যৌন নির্যাতন হয়। তারা কিন্তু আপনাদের প্রগতি দের ই ধারক বাহক। ইসলামীক জীবন ব্যাবস্থায় এই সমস্ত কামুক প্রগতিরা তাদের লালসার কথা চিন্তাও করতে পারবেন কারণ ইসলাম সেই সেফটি তৈরি করে রেখেছে।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: @ প্রভাত ফেরী, না বুঝে কথা বলেন কেন?? গার্মেন্টসের বড় কর্তাদের দারা শারিরীক নির্যাতনের ঘটনা মোটেই অহরহ নয়। কয়টা গার্মেন্টেসে গেছেন আপনি?? বাংলাদেশে এখণ বহু প্রফেশনাল গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। কামুক লোক সব জায়গাতেই রয়েছে। মসজিদ বা মাদ্রাসায়ও হুজুর কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনার নজির খুব যে কম তাও নয়। মনে হয় যেন দেশে প্রগতিশীলরা এসব কাম বেড়াচ্ছে?? আবোল কথা বলেন কেন??

আমাদের দেশের ধার্মিকদের অবস্থা দেখতে চান??
আমার এই লেখাটা পড়ে মূল্যবান মতামত দিন।

ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড (পর্ব-১)
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.