![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এফ আর টাওয়ারের মৃতদের সজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা দিয়ে শুরু করছি। কতই ভাল হতো ওই দিন ওই টাওয়ারে নুরুল হক আর ওর সাঙ্গ পাঙ্গরাও যদি থাকতো! এই পূর্ববাংলা আরো একবার কলঙ্কমুক্ত হতো। নুরের প্রতি কেন এত ক্ষোভ? কারণ বহুত। এখন সময় কম, সামু আর আমি দু’জনেই যদি বেঁচে থাকি, পরে কথা হবে এ বিষয়ে।
এবার অন্য প্রসঙ্গ। প্রথমেই বলে নেই, ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের উগ্র প্রতিক্রিয়া থেকে বাচাঁর কৌশল হিসেবে “খানকি” এর বদলে কিনখা বলা হয়েছ, একটু কষ্ট করে বুঝে নেবেন।
অভিধানসিদ্ধ বিশুদ্ধ বানানঃ
“কা” বললে শব্দটি আঞ্চলিকতার দোষে দুষ্ট হবে। বলতে হবে “খা”।
“ণ” লিখলে আপনি ণত্ব বিধান লঙ্ঘনের দায়ে দায়ি হবেন। লিখবেন “ন”।
“কি” এবং “কী” দু’টোই অভিধানসিদ্ধ। দু’টোই লিখতে পারেন।
আভিধানিক অর্থঃ
বিড়ির চাইতেও বেশি প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় এ শব্দটির আভিধানিক অর্থ-
• বেশ্যা
• পতিতা
• দেহজীবী
• Prostitute
• দেহব্যবসায়ী
• দেহ বিক্রেতা
• বারাঙাগনা ইত্যাদি।
বীরঙ্গনাও বলা যেতে পারে। কারণ উগ্র মৌলবাদী এই সমাজের অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও গোড়ামির বিরুদ্ধে বড়ই লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় কিনখাদের কে।
পারিভষিক সংজ্ঞাঃ
• যে সকল বুদ্ধিমতী প্রতিভাবতী নারী, আপন বুদ্ধি ও প্রতিভার সাহায্যে, পুরুষ জাতির খোরাক হন
• যে সকল অসীম সাহসী বীর নারী, মানবতাবিরোধী মৌলবাদের রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মানবতার সেবায় নিজেদের শরীর সমর্পণ করেন
• যে সকল স্বাধীনচেতা মুক্তমনা নারী, রূপ লবন্য বিক্রি করে প্রচুর টাকা সম্মান ও হাততালি হাসিল করেন
• যে সকল নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগি নারী, জনগণের বিনোদনের বেদীমূলে সর্বস্ব বলীদান করার সাহস রাখেন
তাদেরকে কিনখা বলা হয়ে।
ব্যাবহারিক গুরুত্বঃ
বাঙালী জাতি তার তীব্র আবেগানুভূতি প্রকাশের জন্য যে সকল শব্দমালার সহযোদিতা নেয়, তার মধ্যে কিনখা প্রধান।
তীব্র আবেগ প্রকাশক শব্দগুলি দিয়ে যদি মালা গাঁথা যায়, সেই মালার লকেটটি হবে কিনখা।
এর ব্যবহারক্ষেত্র বিশাল ব্যাপক। পথে ঘাটে, খেলার মাঠে; বাজারে হাটে দোকানে, স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে; থানায়, জেলখানায়, পুলিশ ফাড়িতে; জলে, স্থলে, আকাশে সবখানে কিনখা শব্দের স্বাচ্ছন্দ্য ছন্দময় উচ্চারণ। বিড়ির মতই জনপ্রিয়ও নিত্যপ্রয়োজনীয় “কিনখা”।
আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির সাথে অনেক দিন পর দেখা? মধুর হেসে ভালবেসে জিজ্ঞেস করলেন, “এই কিনখার ছেলে, তোকে তো আজকাল দেখাই যায়না”।
বন্ধুটির সুহৃদ রেসপন্স, “আরে কিনখার বাচ্চা আর বলিসনা.........”
কিনখাকে বাঁচানঃ
ইদানিং একটি চিহ্নিত চক্র কিনখার মত জনপ্রিয় শব্দগুলির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে। এই অপশক্তিটি বাংলা ভাষার অভিধানকে সংকুচিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বাঙালীর আচরিত জীবন থেকে কিনখার মত সুমধুর শব্দগুলিকে মুছে ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই কূপমণ্ডূক অপশক্তিটি হাজার বছরের বাঙালীর মুখের বুলি কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ওদের রুথে দাঁড়াতে হবে।
উপসংহারঃ
আরো একবার বলে যাই, জামাত শিবির আর নুরুল হকরা শুনে রাখ, তোমাদের কোন অপচেষ্টাই সফল হতে দেয়া হবে না এই বাংলার মটিতে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
আখ্যাত বলেছেন:
চুলার ক্ষুধা আগাছায় মেটে
চিতার ক্ষুধা মিটাতে তো “গাছা” লাগে
সে যাই হোক,
আমাদের প্রিয় শব্দ “কিনখা”র ভবিষ্যত নিয়ে কি মোটেও ভাবছেন?
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
হাবিব বলেছেন: নুরুল হককে বসানো হয়েছে। একলা বসেনি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
আখ্যাত বলেছেন:
নুরুল হক চুলোয় যাক
আমাদের “কিনখা”র কী হবে, তাই নিয়ে টেনশিত হোন
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু ভায়া দিনের শেষে দুষ্টলোকেরাই ভালো থাকে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
আখ্যাত বলেছেন:
কারণ দুষ্ট লোকরাই বেশি মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়ে থাকে
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আগাছা ঘুরেফিরে অবশেষে চুলায় চলে যায়।