নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আখ্যাত

আমি একজন মন্দ মানুষ বলেই নিজেকে জানি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার উদারতা।

আখ্যাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

উশৃঙ্খল কুত্তার বাচ্চা (কুকুর ছানা) : গোটাদশ সুপারিশ

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:২৮

কুত্তার বাচ্চারা দিন দিন আরো উশৃঙ্খল হয়ে উঠছে। পাড়ার সবাই অতিষ্ট। পরশু আমীর আলীর বউয়ের ডিম পাড়া মুরগিটাকে কামড়িয়েছে, কামড়িয়ে নাড়ীভুঁড়ি, থোকা থোকা অপরিণত ডিম বের করে ফেলেছে। আজ সকালে গেদু চাচার মুরগিটাকে কামড়ালো। গ্রামবাসী কিছু বলতেও পারেনা, করতেও পারেনা। তাড়াতে গেলে তেড়ে আসে মা কুকুর।

কুত্তার বাচ্চাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা দাত্রীরা না জানার ভান ধরে, কেউ অভিযোগ নিয়ে গেলে কুত্তার বাচ্চার মালিকানা অস্বীকার করে। সাধু সাধু গলায় ধীরে ধীরে বলে, “কুকুর তো কুকুরই, কুকুরের কোন পরিবার নেই, গ্রাম নেই। তার সাথে আমাদের পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই।”। তারপর যা হওয়ার তাই হয়, হয়েই চলে।

কুত্তার বাচ্চাদের দোষ দিয়ে আর লাভ কী? একদিকে ওদের ক্ষুধা নিবারণের বৈধ ব্যবস্থাকে যথা সম্ভব কঠিন করে রাখা হয়েছে, নিরুৎসাহিত করা হয়েছে; আরেক দিকে ক্ষুধার ঘুমন্ত আগুনকে জাগানোর জন্য, জ্বালানোর জন্য দশ দিক থেকে ফুৎকার দেয়ার ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।

কানে কানে বলি, “এত এত কুকুর টিকিয়ে রাখার কী দরকার?” দেড় চোখা পিটপিটে দৃষ্টি নিয়ে, ধীর লয়ে মাথা নাড়েন । বলেন, “আছে আছে, দরকার আছে। ওরা আছে বলেইতো নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি”

মুরগিগুলোর আক্কেল কবে হবে জানিনা। ঘাড়ের মুণ্ডুটার জন্য এতই যদি মায়া, পেখম মেলে হেলে দুলে যাও কেন ওই কুত্তাদের কাছে? ওই কুত্তাদের ক্ষুধাতুর চোখগুলোকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতে দেখেই তারা খুশি। ওই কুত্তাদের লোভাতুর জিহ্বা থেকে টপ টপ করে পানি ঝরতে দেখেই তারা শুখী।

আমার প্রিয় মুরগিগুলোকে আমি নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে এসেছি। ওরাও বোঝে, ওদের ভালোর জন্যই করা হয়েছে এটা। ওদের যাবতীয় প্রয়োজন মিটানোর দায়িত্ব নিজের মাথায় নিয়েছি। নিজেদের খাবার নিজেদেরকেই জোগাড় করার দায়িত্ব থেকে ওদেরকে অব্যাহতি দিয়েছি। বিশ্বাস করুন, ওদের সাথে কোন দুশমনী নেই আমার।

মাঝে মাঝে কিছু কুকুর এসে আমার বেড়ার পাশে দাঁড়ায়. সাধু সাধু মুখ নিয়ে ফাঁক দিয়ে নাক গলায়, মুরগিগুলোকে বুঝায়, “তোমাদেরকে বন্দী করা হয়েছে, আমাদের সাথে মেশার আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, নিজেদের খাবার নিজেদেরকেই সংগ্রহ করার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।”

পাড়ার সব মোরগই যে আমার নীতি অনুসরণ করেছে, তা নয়। বেশির ভাগ মোরগ এখনো তাদের মুরগিগুলোকে আগের মতই ছেড়ে দেয়, ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায়। আমি যখন নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি, তারা তখন “সবখানে ঘুরে ফিরে দানাপানি জোগাড় করে খাওয়ার স্বাধীনতা”কে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যেই ওরা গৃহস্থের “অর্থনৈতিক উন্নতি” দেখতে পাচ্ছে।

প্রিয় গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বানঃ
• উশৃঙ্খল কুকুরদের থেকে পৃষ্ঠপোশকতা উঠিয়ে নিতে হবে, দমন করতে হবে।
• ক্ষুধা নিবারণের সঠিক পন্থাকে সহজ করতে হবে।
• পশুত্ব উৎপাদনকারী ক্ষেত্রগুলোতে যত্ন করে পানি সেচ দেয়া বন্ধ করতে হবে,
• মনুষ্যত্বের ব্যাপক চাষাবাদ চালু করতে হবে।
• কুকুরপনা নিবারক টিকার দুষ্প্রাপ্যতা দূর করতে হবে।
• কুত্তামি নিরোধক বটিকার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
• পশুত্ব প্রতিরোধক ওষুধ পত্র থেকে লিখিত-অলিখিত, ঘোষিত-অঘোষিত, সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
• কুত্তামি বিরোধী জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো ও তাদের পদক্ষেপগুলোর প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
• নির্দোষ নিরীহ মুরগিদের জান মানের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
• তাদেরকে খোলা ময়দানে ছেড়ে দেয়ার আগে সেখানকার শতভাগ উপযোগিতার ব্যাপারে নিশ্চত হতে হবে।
• সব ধরনের ধোঁকার ব্যাপারে মুরগিদেরকে সজাগ সাবধান হতে হবে।

আমাদের দলে যোগ দিন

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু ঠিক আছে।
কিন্তু সরকারের কি কোনো দায় দায়িত্ব নেই?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

আখ্যাত বলেছেন:
আছে
অনেককে চাকরি দেয়া হচ্ছেে
একদম ফ্রি

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: তিন চারটা কুকুর কে বিষ মাখানো মাংস খাইয়ে রাস্তায় ফেলে রাখলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
মাদক বিরোধী অভিযান চলে ধর্ষণ বিরোধী কেন চলে না?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

আখ্যাত বলেছেন:
দরজা খোলা রেখে জানালায় তালা লাগালে তাকে কী বলা যায়?
ব্যভিচারের সব পথ উন্মুক্ত রেখে ধর্ষণ ঠেকাতে চাইলে তাকেও একই কথা বলা যায়।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

পথ হতে পথে বলেছেন: সদুপদেশ।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুরগীর মগজের ব্লগার?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

আখ্যাত বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা বস
কুকুরের মগজের ব্লগার বলেননি তাতেই খুশি

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: দুই নাম্বার মন্তব্যে সহমত, দু'চারটা কুকুর কে কুকুরের মত মেরে ফেললেই বাকিগুলি লেজ গুটিয়ে পালাবে........

কিন্তু এমন ঘটনা কখনোই ঘটবে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

আখ্যাত বলেছেন:
কুকুর মারলে ঘর (ক্ষমতা) পাহারা দেবে কে?

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩

এম এ কাশেম বলেছেন: মানুষ যে কেন কুত্তার বাচ্চা বলে বুঝি না, কুত্তা তো বাচ্চা দেয় না, বাচ্ছা দেয় কুত্তুনী, তাই বলুন - কুত্তুনীর বাচ্চা।
জানেন তো কুত্তার কাজ কুত্তা করে , কুত্তুনী বাচ্চা দেয়।

সুতারাং কুত্তুনীর বাচ্চাকে কুত্তার বাচ্চা বলিয়া কুত্তা জাতির অপমান করিবেন না অথবা কুত্তার জনম বলিতে পারেন।

পাগলা কুত্তার সামনে গেলে কামড় না দিয়ে কি সালাম করবে?
অতএব পাগলা কুত্তা থেকে সাবধান।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

আখ্যাত বলেছেন:
নিরীহ মুরগীদেরকে সাবধান হতেই হবে

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একবার ব্লগার কিরমানী লিটনের একটি পোষ্টে পড়েছিলাম,

কারে কমু শুয়রের বাচ্চা,যারে কমু শুয়রের বাচ্চা সে নিজেই একটা শুয়রের বাচ্চা।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: নাহ। ভালা লাগলো না। আপনের হিসাব ঠিক আছে। কিন্তু, আপনার আইডিয়াগুলা আমারে রীচ করলো না। আমি জিনিসটার তীব্র বিরোধি ও মৃত্যুদন্ডে বিশ্বাসী কিন্তু সেইডা তো আইনের শাসন ছাড়া সম্ভব না। অইন্যদিকে মুরগীদের দোষ বা অর্থনৈতিক উন্নতি বিষয়ে আপনার লগে আমার মিলল না। হইতেই পারে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আখ্যাত বলেছেন:
ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো
সব মুরগীতো দোষীনা
কিছু কিছু মুরগী দোষী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.