![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
আগ্নেয়গিরি রে কেউ শেখাই নাই
কি করে বমি করতে হয় লাভা
সাইক্লোন রে কেউ বলে নাই
কি করে উড়াতে হয় দুনিয়াদারি
সুনামী রে কেউ দেখাই নাই
কি করে দোলাতে হয় সাগর
তেমনি
বালকেরা বোঝানো হয় নাই
কি করে করতে হয় পিরীতি।
ব্যাপার না,
প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রায় ই ঘটে।
২
এমন করে
চোখের গহীনে হারিয়ে যাবো
বৃষ্টি আর মেঘ হবে না।
৩
যখন তুমি আমি
হাত ধরে হাঁটি
গোধূলী বেলায় অজানায়
তখনি আচমকা বৃষ্টিতে
পৃথিবী ভুলে যায়
মায়া সত্যি নয়।
৪
আমার নিজের কোনো গল্পও নাই
তাই রূপকথার গল্পে
তোরে রাঙাই,
আমার নিজের কোনো গান নাই
তাই অন্যের গানে
তোরে স্বপ্ন দেখাই।
তুই ছাড়া কোনো কিছুই আমার নাই।
তুই আছিস তাই বাকি সব দুধভাত।
৫
এখানটায় বসো
আমায় গান শোনাও
মন খারাপের গান
যাতে ঝড়ে ঝরতে থাকে
না ঝরানো সমুদ্র।
আমি কাঁদতে চাই আজ
মেঘের আড়ালে
লীন আকাশে।
৬
এক লক্ষ স্টিচ পড়েছে হৃদে
হয়ত আরো এক লক্ষ দেয়া হবে
এখন ও যখন হয়নি বন্ধ রক্ত প্রবাহ
আর কখনো কি হবে?
প্রিয়
কি করে পারলে
স্বপ্ন কে ভুলে যেতে?
প্রিয়
পারবে যদি জানতেই
আমায় শেখালে না কেনো??
আমি কি তোমার এতই অমনোযোগী ছাত্র ছিলাম ??
৭
আড়াড়ি দাগে ভুল প্রমাণের চিহ্ন হয়
আবার এক্স ও হয়,
এক্স বলতে মেঘকন্যা হয়
আবার মেঘকন্যার সতীন বৃষ্টি ও হয়,
বৃষ্টি কারো স্মৃতির আনন্দ হয়
আবার আনন্দের চোখের জল ও হয়,
জল কোনো ক্যানভাসে ছবি হয়
আবার ছবি কারো স্বপ্ন হয়,
স্বপ্ন রাত প্রহরে গান হয়
আবার গান শেষে কবিতা হয়,
কবিতা হাত ধরে খুনীর
আবার খুনীরা প্রেমিক ও হয়,
খুনীরা টিক চিহ্নে কবি হয়
আবার কবি আড়াআড়ি দাগে মেঘ হয়।
৮
একটি তারার মৃত্যু হলে
একটি কবি র জন্ম হয়,
জোছনা রাতে বৃষ্টি হলে
একটি কবি র মৃত্যু হয়।
৯
দিনের বেলায়
আমি মানুষ কাটি
উপহাসের উপাধি দিয়েছো খুনি,
রাতের বেলায়
আমি অনুভূতি নিয়ে খেলি
তখন ভালোবেসে ডাকো, কবি।
১০
সত্যি যদি সত্যি না হয়
মিথ্যা তবে মিথ্যা নয়
সত্যি মিথ্যার টানাপোড়নে
আমার খুবি ভয় হয়।
চোখের জল যদি কান্না না হয়
মেঘ তবে বন্ধু নয়
আকাশের প্রণয় অভিনয় যদি হয়
তবে বৃষ্টির ফুল কদম নয়।
১১
বেঁচে আছো, বেঁচে থাকো
সুখে থাকো, শান্তিতে থাকো,
সর্বনাশ হয়েছে তো
দই লাড্ডু সব খেয়েছো,
এই মিষ্টিতে ডায়াবেটিকস হবে না
কিন্তু ফ্রীতে পেয়ে যাবে
মানসিক রোগীর সার্টিফিকেট।
সামলাতে পারলে
আমরা নিমন্ত্রন পাবো
আর না পারলে,
না পারলে আর কি হবে
দেবদাস না হয় শিফটিং রোমিও।
১২
রোমিও পোষ্ট
............................
ফিদা হয়েছি, রোমিও হচ্ছি
এখন কিনছি মুখোশ,
জুলিয়েট রে দেখাই কি করে
দেখলেই তারে হয়ে যায় হার্ট বিট মিস।
বুঝাই কি করে
মিস হার্ট বিট
দেখতে চায় তারে এজে এ মিসেস বিট।
ইজ্জত কা কোশ্চেন?
১৩
সেনোরিতা
এমনি কোনো এক রাতে
বিয়ে করে হলে সেনোরা
আর আমি ক্যাকটাস
আসছে পুর্নিমাতে ও
পড়ে থাকবো শুন্য-একা।
এরই নাম ছিলো না পাওয়া
এখন ডাকি "ভালো থেকো" নামে শুভেচ্ছা!!
১৪
হেঁটে যায় হারানো ছায়া
ছায়াপথ ধরে
অনন্ত মহাশুন্যে,
এমনি অনাকর্ষনীয়
ব্যাল্ক হোল ও টানেনা নিজের বুকে
এমনি অপদার্থীয়
মানে না আইনস্টাইনের ভর-শক্তির সূত্র,
এমনি তাপশুন্য
রিডিং ই আসে না ডপলার ইফেক্টে
এমনি অদৃশ্য
ধরা পড়েনা মানুষ বা এলিয়েনের টেলিস্কোপে।
শুধু মেঘকন্যার যখন মন খারাপ হয়
হারানো ছায়া প্রকাশিত হয়
চোখের জলে
ঝিরঝির বৃষ্টিতে
কলমের কালিতে
কবির কবিতায়
আর রঙের স্বপ্নে।
১৫
মেঘকন্যা,
তোমায় আজ দিলেম ছুটি
উড়ে বেড়াও
যেথায় ইচ্ছে
যেমন খুশি,
বৃষ্টি নামাও অবেলাতে
করবো না মুখ একটুও ভারি।
ও মেঘকণ্যা
তোমায় আজ দিলেম ছুটি
পাতো মিতা শশীর সনে
নিশি জেগে
কর খেলা বন বাদাড়ে
পাহাড় চুড়ায়, সাগর বুকে
দিবো না কোনো বকা
কিংবা সাজা গাল ফুলিয়ে।
ও মেঘকণ্যা
জানি তুমি আসবে ফেরৎ
খেলা শেষে
সময় হলে
রঙধনুর এই চোখের মাঝে।
১৬
চলো আজ মেঘ হয়ে যাই
হঠাৎ করে বৃষ্টি নামাই
চলো আজ বক হয়ে যাই
ঈশান কোণে উড়ে বেড়াই
চলো আজ কালি হয়ে যাই
সাদা কাগজে চিঠি লেখাই
চলো আজ রাত হয়ে যাই
সকালের ঘুমে স্বপ্ন দেখাই
চলো আজ জোছনা সাজাই
জলতরঙ্গে ছায়া বানাই।
চলো আজ হারিয়ে যাই কৃষ্ণচুড়ার বনে
জোনাকি ধরে রাত কাটাবো
চাঁদ আকাশের নীচে।
১৭
আমাকে মনে রেখো না।
স্মৃতির অরণ্যতে
ছটা আলোর ঝর্ণায়
দুঃখ পাবে
কষ্ট হবে
দুমড়ে মুচড়ে উঠবে হৃদপিন্ড
হারিয়ে যেতে চাইবে অতীতে
বর্ষার প্রথম বৃষ্টির মতো কান্না আসবে,
কি দরকার এত যন্ত্রণার।
সহজ সমাধান
আমাকে মনে রেখো না।
ভুলে যাবে এই চেষ্টাতেও মনে করো না।
১৮
অসুস্থ মানুষ গুলোরে সুস্থ করে
পবিত্র হাসি দেখার লোভে
সাদা এপ্রোনের বোকা লোক গুলো
অপমানিত হয়
লাঞ্চিত হয়
অতঃপর খুন হয়।
বহুবার ভেবেছি সবকিছু ছেড়ে
ভেটেরিয়ান হয়ে যাবো
কিংবা পোষ্ট ম্যান
অথবা আইসক্রিমওয়ালা
কিন্তু প্রত্যেকবার রক্তে লোভ উঠে
সেই পবিত্র হাসির।
তাই তো
খুন হওয়ার পরে
বিচার না পেয়ে ও
সেই স্টেথো নিয়ে চলে আসি
ওয়ার্ডে, যেখানে আমাদেরি অপেক্ষায়
আমাদের কোনো অসুস্থ
মা, বাবা, ভাই, বোন বা বন্ধুর বেডের পাশে।
আবার ও খুন হয়ে গেলে......
নাহ, ছেড়ে যাবো না,
ভূত হয়ে থেকে যাবো মাথায় হাত বুলাতে।
আসবো ই,
ফিনিক্স পাখির মতো আসবো
সকালের সুর্যের আলোর মতো আসবো
শত অপমান শেষে হাসিমুখেই আসবো
কারণ
সুস্থ করে
মানুষকে হাসানোর দায়িত্ব
শুধু মাত্র আমাদের কেই দিয়েছেন স্বয়ং
ইশ্বর।
১৯
মেঘকন্যা
গ্লাসে লেগে আছে
তোমার ঠোঁঠের ছাপ
সারা ঘরে ছড়িয়ে আছে
তোমার গায়ের উত্তাপ
কান পাতলেই টের পাওয়া যায়
তোমার হাসির সুর
হাত বাড়ালেই অনুভূত হয়
তোমার দীঘল চুল।
এই সব কিছু দান করে আমায়
ভদ্র, শান্ত, লক্ষী হয়ে
আজ তুমি বহুদূর।
২০
আমি খুব করে তোমার থেকে চাই
তুমি যেনো সত্যি আমায় চাও,
কিন্তু আমি সত্যি ই জানিনা
তুমি কি তা চাইবে কিনা।
আমি জানি তুমি সত্য টা জানতে চাও
কিন্তু এটাও জানি
সত্য টাই তোমার কষ্ট।
নিয়তি তো অখণ্ডনীয়
তাও ধমনীর লাল রক্ত জ্বলছে
আমি সত্যি তোমায় চাই
এই স্লোগানে।
যাই করি না আমি
কখনোই শুনবে না তুমি
এক লক্ষী ভাঙ্গা হৃদয়ের বৃষ্টি।
২১
কবিতা ভালোবাসা যায়
একশো, হাজার, লক্ষ বার
কিন্তু কবি রে
কক্ষনো ই না।
তারা তো
তুচ্ছ, দরিদ্র, অবাঞ্চিত, বহু নারী গামী
কিংবা মাতাল আসামী।
অন্ধকার ঘিরে থাকে ওদের প্রতিটা সময়ে।
কবিতার আকুতিতে কান্নায়
সকাল, দুপুর, রাত কাটানো যায়
কিন্তু
কবি র জন্য কান্না
অসম্ভব!
কবি মাত্রই কল্পনা বিলাসী।
ভদ্রতার খাতিরে কথা বলা যায়
আর কিছুই না।
...................................
কবি
আকাশ দেখে,
কালো আকাশ, নীল আকাশ।
কবি
অনেক কষ্ট
জমিয়ে জমিয়ে
কাউকেই কিছু না বলে
একরাতে
নীল প্রজাপতি হয়ে
নীল জোছনায় হারিয়ে যায়।
২২
চলো আমরা মিস্টি সো করি
তা না হলে ঝাল সো
কিন্তু প্লিজ টক সো না
গর্ভবতী তো আর না যে ঘন ঘন টক খাওয়া লাগবে।
২৩
প্রিয় দেশবাসী ( বলতে হয়, পাব্লিসিটি বাড়ে),
আরেকবার ক্ষমতায় গিয়ে
দেশ ও জাতির (আসলে তো নিজের )
বৃহত্তর কল্যাণ সাধনে
আজ আপনাকে
রাস্তার যে কোণে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে
তখন ই
কুপিয়ে অথবা পুড়িয়ে মারার অর্ডার দিলাম।
আপনার (আমার) নিজের স্বার্থে
কুপিয়ে অথবা পুড়িয়ে মারার কর্মসূচি সফল করুন।
লং লিভ বাংলাদেশী ডেমোক্রেসি।
২৪
শনিবার তোমার এমবিএ ক্লাস
রবিবার তোমার অফিস
সোমবার তোমার বিজনেস মিটিং
মঙ্গলবার তোমার ব্যাংক ডে
বুধবার তোমার সেমিনার
বৃহস্পতিবার তোমার প্রেজেন্টেশন
শুক্রবার তোমার রেস্ট ডে।
সাতদিনে ও হয় না তোমার সময়
আমার সাথে মেঘের দেশে উড়ার।
আমি তো চাতক পাখি
তাই না ঘুমিয়ে চেয়ে থাকি
সপ্তাহের পর সপ্তাহ।
যদি হঠাৎ তুমি ডাকো!
২৫
ও চোখ দুটো ই যেখানে মদিরা
সুরমা কাজল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
২৬
আড়াড়ি দাগে ভুল প্রমাণের চিহ্ন হয়
আবার এক্স ও হয়,
এক্স বলতে মেঘকন্যা হয়
আবার মেঘকন্যার সতীন বৃষ্টি ও হয়,
বৃষ্টি কারো স্মৃতির আনন্দ হয়
আবার আনন্দের চোখের জল ও হয়,
জল কোনো ক্যানভাসে ছবি হয়
আবার ছবি কারো স্বপ্ন হয়,
স্বপ্ন রাত প্রহরে গান হয়
আবার গান শেষে কবিতা হয়,
কবিতা হাত ধরে খুনীর
আবার খুনীরা প্রেমিক ও হয়,
খুনীরা টিক চিহ্নে কবি হয়
আবার কবি আড়াআড়ি দাগে মেঘ হয়।
২৭
আজ চাকরী দিলাম।
অনেক দেখে শুনে যাচাই করে
বৃষ্টি কে চাকরী দিলাম
যেনো সে ঝর ঝর করে ঝরে
যখন তোমার অনামিকায়
আংটি পড়াবো বধূ বানাবো বলে,
পরীক্ষার পর পরীক্ষা নিয়ে
চাকরী দিলাম মুনিয়া পাখিরে
যেন সে সুর তুলবে
যখন বধূ বেশে তুমি
ঘরে রাখবে পেলব পা,
ইন্টার্নশীপ ভালো করেছিলো বলে
সরাসরি নিয়োগ দিয়েছি পূর্ণিমার চাঁদ রে
যেনো জোছনা ঝরাবে তোমার মুখে
যেনো অপলক চেয়ে থাকতে পারি
বৌ রূপি তোমার আঁখি পানে।
প্রিয়
let the dream say
we are a match made in heaven .....
২৮
আকাশ নীলা;
সবাই মন বদল করে
প্রেম নিবেদন করে,
সুখ বদল করে
সংসার পাতে,
ঘর বদল করে
ভবিষৎ গড়ে।
এতো বেশি কিছু নয়, অল্প কিছু
আসছে কালো জোছনায় , চুপিচুপি
চলো আমরা আকাশ বদল করি।
২৯
তেলের যা দাম !!
তাই নিজ শরীর ছাড়া
আর কাউরে করিনা মালিশ আপনার তেল।
বলা তো যায় না
তেলের আধিক্য দেখে
আমেরিকা না আবার মেরে বসে ড্রোন বোমা।
৩০
আকাশ নীলা,
নীলাচর নামে ছিলো না কোনো নদী
তোমারি বাঁকা কোমরের বাঁকে
ছিলো শুধু উন্নাসিক অহংকার
জন্ম যার তোমারি ভ্রুর কোণে।
আমিতো আজন্ম ফেরারী নষ্ট মেঘ
তাই লুট করে নিলাম তোমার অহংকার
এক ফোঁটা বৃষ্টির দয়া না দেখিয়ে।
এ অহংকার কেড়ে না নিলে
তুমি হবে না
পবিত্র, শুদ্ধ
হবে না
নদী নীলাচরের জন্ম।
তাই
আকাশ নীলা
আমি ক্ষমা চাইতে ফেরৎ আসবোনা।
আমাকে ছাড়াই তোমাকে শুনতে হবে
নীলাচরের নীল ঢেউয়ের নীলিমা।
৩১
আরো ঝগড়া হোক
পাল্টাপাল্টি মিছিল হোক
সমাবেশে মহাসমাবেশে
আকাশ বাতাস মাটি উতপ্ত হোক
তাতে আর কিছু হোক বা না হোক
অন্তত দেশের পথ মানব মানবী গণ
সে উত্তাপে শীতের ঠান্ডা থেক্র বাঁচবে।
রাজনৈতিক উত্তাপ হোক
আসছে শীতের উষ্ণতা !!!!!
৩২
থাকতে না চাইলে
চলে যেতে দিবোনা
আমি বলি নাই
আবার
থাকতে চাইলে
ভাব দেখিয়ে মুখ ফিরিয়ে রাখবো
এমনটাও ভাবি নাই।
মোদ্দা কথা
আমি পাথর
তোমারি ইচ্ছা থাকবে না চলে যাবে,
অপেক্ষা করে থাকা আমার অভ্যেস নয়
প্রিয়
অপেক্ষায় ই আমার জীবন।
৩৩
ভিঞ্চির যেমন মোনালিসা আছে
বিথোভেনের সিম্ফোনি
এইয়ুডি মেন্যুএনের পরাবাস্তব বেহালা
মার্কেজের যাদু বাস্তবতা
কিংবা
গ্রে র এনাটমি
তেমনি
সব, প্রত্যেক কবি র
মেঘসমুদ্রে,
উর্মির ঝংকার
বৃষ্টির হাসি আর গন্ধরাজের সুবাসে
এক কবিতা আছে।
এ কবিতা
কখনো জননী
কখনো বা প্রেমিকা
আবার কখনো ভগ্নি
অথবা আদরের কন্যা
মাঝে মধ্যে দেবী
আকাশে উড়লে পরী
উর্বশী কিংবা
পূর্ণিমার জোছনা।
এ কবিতা
সময়ে দ্রোহ, সময়ে বিদ্রোহ
কামনায় প্রেমাতুর
আবেগে দেশপ্রেম।
এ কবিতা
"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়"
আবার
"হৃদি ভেসে যায় অলাকানন্দা জলে".
এ কবিতা
জনকের স্বপ্ন
প্রেমিকের মহাকাব্য
তরুণের যৌবন
আর বৃদ্ধের প্রাগৈতিহাসিক রোদন।
এ কবিতা
সোনার তরী
মেঘের সাদা রঙ
তন্ন তন্ন করে খুঁজে আনা ১০৮ টি নীলপদ্ম।
এ কবিতা
বনলতা সেনের হাতের চুড়ি
বিনোদিনীর নুপূর
নীরার মন খারাপের কারণ
দূর দ্বীপ বাসিনীর মন হরণ।
এ কবিতা
পথের ধারে ঘুমিয়ে থাকা কুকুরের
হা করে থাকা কাকের ছানার
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা নষ্ট ভ্রুণের।
এ কবিতা
বিদায় বলে চলে যাওয়া
না বলা সব কথা।
৩৪
তোমরা বড়ই স্বার্থপর !
তোমাদের ইচ্ছায়
তোমরা কবিতারে বিলবোর্ডে ঝুলাও
কবিতারে তরুণীর অঙ্গে শাড়ী বানিয়ে পড়াও
কবিতারে আযম খান বানাও
কবিতারে সিগ্রেটে পোড়াও।
ইদানিং তো আবার
কবিতারে চড়া দামে বিক্রি করা যায়,
দুষ্টু লোকে বলে
তোমরা নাকি কবিতারা পতিতাও বানিয়েছো।
প্রয়োজন হয়েছিলো
তাই চিৎকার করে বলেছিলে
কবিতা ও বিপ্লব সমার্থক সব্দ
কবিতা ও প্রেমের একই অর্থ,
তাই তো তাই তো
কবিতা তো তোমাদের ই জন্য!!
তোমরা
উঠতে-বসতে
গালিতে
বিছানার বন্যতায়
প্রেমিকার বুকের উপর নিঃশ্বাসে
বিশ্বাসে-অবিশ্বাসে
খুনে - জন্মদানে
উন্নয়নে
অর্থনীতির প্রাচুর্যে
মিথ্যার বেসাতিতে
সত্যের আলোয়
যখন যেভাবে যেমনে খুশি
কবিতারা ব্যবহার করবে।
কবিতা তো আজকাল কবিতা নয়
কবিতা ভোগ্যপণ্য
যে যেভাবে যেদিক থেকে পারে..
চালিয়ে যাও
কবিতা দিন শেষে তোমাদের ই জন্য।
কবিতারে ও তো খেয়ে পরে বাঁচতে হবে।
৩৫
সুকন্যা
বালক যদি হয় বেয়াদব
বুঝে নিও
সে প্রেমে পড়েছে
কবি হয়েছে!
কবি মাত্র ই বেয়াদব !!
৩৬
অদ্ভুত সে ছেলেটির
শেষ না হওয়া গানটার
বলতে না পারা কথা নিয়ে আসে
রয়ে যাওয়া একস্টিকের সুর টা।
জানালার ফাঁক গলে জোছনা দেখে
অবুঝ এক ছেলে
ছোট দুই চোখে স্বপ্ন দেখে
বিশাল বনে হারিয়ে যাবে,
ভেসে আসা সুর নিয়ে আসে দুখ
নাম না জানা বনের শুকনো ফুলের
হয়নি বলে শোনা গান কোনো তার
অদ্ভুত ছেলেটির।
অবুঝ ছেলে ভাবছে আনমনে
গিটার আছে বটে বিছানার এক কোণে
ছয় তারের তিনটাই নাই
পারে ও না অতো ভালো বাজাতে
এখন শোনাবে কি সে গান
ভেঙ্গে অভিমান
নাম না জানা শুকনো ফুলের আমন্ত্রণে?
এরপর
কাউকে কিছু না বলে বাড়িয়ে দেয় হাত
অবুঝ অভিমানী ছেলেটি
পেছন না তাকিয়ে পথে হেঁটে চলে
জোছনা আলো সঙ্গী করে।
এসব দেখে মেঘেরা ছুটে বর্ষা নামাবে
জোনাকির রঙ মাখিয়ে।
সবকিছু দেখে শুনে
অবুঝ ছেলেটি গেয়ে উঠে নতুন এক সুরে
" জোছনায় অজানা পথে চলা
এখানে আছে যে মোর ভালোবাসা........"
৩৭
তুমি আড়াল ভালোবাসো বলে
আড়ালে থেকে
ভালোবাসি বলি ভালোবেসে।
তুমি আড়ালে কাঁদো বলে
আড়ালে থেকে
ঝরি বৃষ্টির ভালোবাসায়।
তুমি আড়ালে ছবি আঁকো বলে
আড়ালে থেকে
তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠি ভালোবেসে।
তুমি আড়ালে গান করো বলে
আড়ালে থেকে
পাখির স্বরে লুকিয়ে সুর তুলি ভালোবেসে।
তুমি আড়ালে ভালোবাসো বলে
চাঁদের আলো হয়ে ছুঁয়ে যাই তোমায়
ভালোবেসে।
৩৮
তুই বিরাট যাদুকর।
চোখ টিপেই হরণ করতে পারিস হৃদয়
শিস্ দিয়েই জাগাতে পারিস মেঘের ঘুম,
তুই পাকা যাদুকর।
তোর হাতের আঙুলে আছে যাদুর ছোঁয়া
হাত বুলিয়েই করে দিতে পারিস খারাপ মন ভালো
তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারিস না বলা বেদনা,
তুই খাসা যাদুকর।
তোর কথার যাদুতে থেমে যায় কান্না
সামান্য মুচকি হাসি দিয়ে করে দিস চিত্ত ভয় শূন্য।
তুই আসলেই যাদুকর।
কিন্তু তুই যে নষ্ট,
কবিদের রক্ত বইছে তোর শরীরে।
কবি রা কি আজীবন নষ্টই হয়?
৩৯
স্বপ্নগুলো কাকের ছা!
কাকের শরীর ওমে
ডিম ফুটে জন্ম নেয়া,
কাকের আদরে
চোখ ফুটে পৃথিবী দেখে,
খেলাচ্ছলে ঠোকরা ঠুকরি
খাবার নিয়ে মারামারি।
একটু বড় হলে
মা কাক শিখিয়ে দেয়
উড়তে হয় কি করে পাখা মেলে।
আর যখন উড়তে শেখে
সবকিছু ছেড়ে
কাকের ছা রূপী স্বপ্নগুলো
উড়ে আসে তোমার চোখে।
তোমার চোখের গভীরে কোকিল হয়ে।
কাক কে কেই বা পছন্দ করে?
৪০
লাল মেঘের ফাঁকে
নীল জোছনা দিবো
হলুদ পৃথিবীর
বেগুনি অনুভূতির দেয়ালে।
বাক্যটি আদতে অতীত কালের।
হয় নাই
বাক্যটি ভবিষ্যৎ এর দিকে বর্তমান কালের চলমান অতীত।
ব্যাকরণ মনে নাই
তাই সহজ বাক্যে বলতে পারছি না।
তবে এসব কিছু অর্থহীন,
শিরোনামও হলো
তুমি বর্ণান্ধ তাই
কালো কুপে ই তোমার অক্ষ।
প্রার্থনা
রঙে আসার
ভালো থাকার।
৪১
যদি আসতে বলি আসবি
সবকিছু ছেড়ে
লক্ষী পেঁচার চোখের কোণে
জানালার পাশে কাঁঠাল গাছে।
যদি হতে বলি হবি
সবকিছু ফেলে
লেখা কবিতার নায়িকা
অনেক কাটাকুটির পরে সবিতা
কিংবা প্রিয়ংবদা।
পারবি না জানি
না পারাই ভালো
দামী পারফিউমের কাছে
বুনো ফুলের কি বা দাম !!
৪২
নীল, ফিরোজা আর সবুজের রঙে
চিত্রাভা তোমার এক চোখে
যেনো ময়ুরের একটি পালক
হয়েছে চোখের কর্নিয়া
অথবা প্রজাপতির হারানো সেই পাখা
খুঁজে পেয়েছে বন্যতা।
আর অন্য চোখটি কালো
শুধুই কালো
নয়নতারার গভীরে বাহিরে
কালো জোছনার কালো।
৪৩
জীবন যদি হতো কবিতার মতো
যেনো হুংকার দিয়ে বিদ্রোহ
মনে মনে গালি না ভেবে।
যদি দুপুরে, রৌদ্রে
একা কাক কে জিজ্ঞেস করো
সব জেনে যাবে।
জেনে যাবে জীবন কতো ভীতু।
জেনে যাবে
জীবনের অভিনয় আর অভিনয়ের হাজার মুখোশ।
ব্যাপার টা কি ভালো হবে?
খারাপ ই বা কোন দিকে ,
জীবন তো আর কবিতা না
ছন্দ, মাত্রা, তালের ধার ধারে না।
আসল কথা হলো জীবনের ধার ই নাই
আদতে জীবন বড়োই ভোঁতা
তাই জীবন কবিতা না।
৪৪
ভাবছি
অনেক দূরের কিছু তারা আর ঘুমন্ত মেঘের
একটা রাত কিনবো,
সাথে সাদা জোছনার বৃষ্টি মাখিয়ে
এক চাঁদ কিনবো।
ভাবছি
একটা সাইকেল ও কিনবো।
এরপর
মেঘ ভরা রাতে নিয়ে জোনাকি তারা
জোছনার বৃষ্টিতে
সিগ্রেটের ধোঁয়া ছেড়ে
সাইকেলের প্যাডেল চেপে পালিয়ে যাবো।
আমি ভালো থাকবো
তুই, তুমি, তোমরা ও ভালো থেকো।
ভালো থেকো রাত্রি
ভালো থেকো কামিনী
ভালো থেকো শোভা
ভালো থেকো ইরা
ভালো থেকো সুকন্যা
ভালো থেকো ইয়াসমিন
ভালো থেকো দেবী
ভালো থেকো পরি
ভালো থেকো ইন্দ্রা
ভালো থেকো কবিতা
ভালো থেকো সকাল।
চোখের গভীরে থেকে ভালো থেকো।
৪৫
যেদিন আকাশ কাঁপিয়ে ছুটে আসবে
সেদিন
মেঘ কালার প্লেট হবে
বৃষ্টি রঙ হবে
চিবুকের নিচে আঙুল ঈজল হবে
ঠোঁঠ দুটো তুলি হবে
আর তুমি হবে ক্যানভাস।
এরপর
মঙ্গল গ্রহে শোভা পাবে
বিখ্যাত এই চিত্র।
৪৬
আরেকটু ঝড় হোক।
রাত্রি নিঝুম হোক।
সবকিছু নিস্তব্ধ হোক।
শুধু শোনা যাবে বৃষ্টির ঝংকার।
যেনো রাতের অন্ধকারে
সোডিয়াম বাতির আলোয়
নূপুর পায়ে বৃষ্টির নৃত্য।
তাতে আরেকটু মাতাল হই,
এই মাতলোয়া রাতে
বৃষ্টির সাথে
মেঘের গর্জনে
তোমার রঙিন স্বপ্নে।
৪৭
গন্ধরাজ সাথে নিয়ে
অমবস্যা নিশি লুকোয়
তোমার কেশের বাগানে।
আমার দুই চোখে
ঝিনুকের সমুদ্র জল
তাও হয়ে উঠতে পারি না মালী,
তাই সব কিছু ছেড়ে
ধোঁয়া হয়ে উপরে উঠছি
নীল আকাশের সাগরে
মেঘের ঢেউ হতে।
তারপর
ভিজিয়ে দিবো বৃষ্টি হয়ে সাজানো বাগান।
পারলে ঠেকাও।
৪৮
মেঘবতী
দীঘল কালো কেশ ছোঁয়ার লোভে
যদি আলগা চুল বেঁধে খোঁপা করে দেই
লাজে কি হবে টুকটুকে লাল?
যদি ও বা
খোঁপা আর হবে না বাঁধা
যা হবে তা হলো
আলগা চুলের সাথে আঙুলের ভালোবাসা।
যদি আকুলতা বুঝে রাজি হও
তবে রাত্রিতে বিজলী জ্বালিয়ে,
গন্ধরাজ ফুটিয়ে ডেকো।
পেয়ে যাবে আমায় তোমার ডাকের
মাত্র এক সেকেন্ড দূরে।
৪৯
রাস্তায় গড়িয়ে যাওয়া বৃষ্টি ফোঁটা
চলন্ত বা জ্যামে আটকানো রিক্সা
কার, বাস, ট্রাক আর মানুষের অপেক্ষা।
জ্বলতে থাকা ভেজা সাইনবোর্ড
উপরের বিলবোর্ডে লাস্যময়ি সুন্দরী মডেল কন্যা
রোদ ,বৃস্টি, শীতে হয়না সে হাসি একটুও মলিন,
উপরে
খেলায় মত্ত মেঘদল
সাথে নিয়ে চকিত বিজলী
ভিজিয়ে দিচ্ছে সব অনুভূতি।
চারপাশ ঘিরে রেখেছে কোমল রাত্রি,
রাত্রি গভীর হবে
আরো খেলা হবে।
খেলা আরো অনেক বাকি।
৫০
দিবস বা রজনিতে
নিদ্রা যবে টমার আঁখিতে ক্ষণিকের অতিথি
এবং অবশেষে যখন নিদ্রিত হয়
যেনো কোনো এক প্রাচীন নিয়ম বা নীতিতে
শুধুমাত্র তোমারি স্বপ্নে আমার আগমন।
তোমার স্বপ্নে আমি আবিস্কার করি আমার অস্তিত্ব
সত্যি বা স্বপ্ন কিন্তু মিথ্যা নয়
কুহেলি মরীচিকা সম সত্য।
তোমার দিকে তাকিয়ে বা তোমার উদ্দেশ্যে আলোকবর্ষ দূর হতে উঠি বলে
আমি তোমারি স্বপ্নে মরণ অব্দি রয়ে যাবো।
প্রতিদিন
আমারি চোখের জলে ভেসে যায় সব সাগর
সময় শুন্য অপার্থিব বা ঐশ্বরিক এক তরির আবির্ভাব,
অতঃপর
সেই তরি নিয়ে যায় আমাকে তব স্বপ্নের মাঝে।
বড় আশ্চর্যময় এই স্বপ্ন তোমার,
স্বপ্ন তোমার
কিন্তু স্বপ্নে তোমার অনুভূতি আমার।
সৃষ্টি আমার,ধ্বংস ও আমার
পুনর্জন্ম বারবার, অনেকবার, শেষবার।
>>>>>>> স্বপ্ন বালকের আত্মকথন।
৫১
তুমিতো আমার, আমিতো তোমার
এই কথা যেনো, দ্বিধা নাহি আর,
হিয়ার ভিতরে তালা চাবি দিয়ে
রাখিনু তোমারে, থাকো মোরে নিয়ে,
হারিয়ে গিয়াছে চাবিটি তালার
নিষ্কৃতি তব নাহি নাহি আর।
( পার্সিয়ান কবিতার অনুবাদ )
৫২
শুধু একটি বৃষ্টির ফোঁটা তোমায় দিবো বলে
রংধনু পার হয়ে এসেছি।
এক তুক্র মেঘ সাথে করে আসলাম যখন
তখন তুমি সূর্যের সাথে।
সেই বৃষ্টির একটি ফোঁটা মন খারাপ করেছে ।
শুঞ্ছো পরি
সেই বৃষ্টির ফোঁটা মন খারাপ করে ঝরে পড়েছে কান্না হয়ে।
আমি আর কি করবো
দাঁড়িয়ে আছি
হাজারো বৃষ্টি ফোঁটা মাঝে
হয়তো তোমায় ভালোবেসে
হয়তো বা সেই অবহেলিত বৃষ্টির ফোঁটাকে ভালোবেসে।
৫৩
সাদা ক্যানভাসে, সাদা রঙে
প্রশান্ত অনুভূতির তুলিতে
ঠো।ন্ঠের কোণে মুচকি হাসি রেখে
ছবি আঁকবো তোমার আর
ঠিক কাল ভোরে
পাখি ডাকার একটু আগে
প্রশংসা তমার চুরি করবে সব মেঘদল।
তার আগেই, সদ্য বাদলে জেগে উঠা কদম
দেখবে তোমায় বজ্রের ঝলকানিতে
আর বৃষ্টির পড়ন্ত শব্দে।
আমি
মেঘদূত তোমার
হেঁটে যাবো সে বাদল রাতের ঝুম বৃষ্টিতে
৫৪
ছুঁইনি
শুধু চোখের নজরেই জানি
ওমন কোমল আঙ্গুল
নেই কারো
হবে ও না কারো।
আঁচল ছড়িয়ে পিঠ দেখিয়ে বসে
যা বলছো তা শুনছি,
বলছো,
"প্রেমিক প্রবর
অন্যের বৌ এর দিকে নজর দিও না
বাথ্যাই পাবে শুধু আর কিছু না।"
সুন্দরী
হঠাৎ প্রেমে পড়েছি বলে অবজ্ঞা করো না,
প্রেমময়ী রুপে সামনে বসেছো
এখন যদি প্রেমে না পড়ি
এতো তোমার অপমান।
আমি কি আর জেনেশুনে তোমায় অপমান করতে পারি?
একটু ভুল করছো, শুদ্ধ করে দেই,
আমি শুধু তোমার প্রেমেই পড়েছি
এখনো ভালোবাসতে পারিনি।
৫৫
না সুনয়না
এভাবে চেয়োনা,
সর্বনাশ যা হওয়ার তাতো আগেই হয়েছে
জলে পুড়ে ছারখার হয়েছে যে হৃদয়
হাত দু টি ধরি তোমার
ও হৃদয়ে আর আগুন জেলো না।
না মায়াবতী
এভাবে আর হেসো না,
খুন তো আগেই করেছো
আবার খুন করলে
প্রেমিক হয়ে যাবো !!!!!!
৫৬
আমি আবেগে আপ্লুত নয়নে
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছি
তোমার খুনি হাত জোড়ার সাথে।
তুমি ঠান্ডা চোখে আমায় খুন করছো,
আমি অভিনয়ের যুদ্ধে শান্ত, মৌন
কারণ হয়ত
প্রেমিকার খুনে প্রতিবাদ করা যায় না।
৫৭
মেঝো আপু
তুমি কি রাগ করেছো
তোমার সরলতা নিয়ে কিছু লিখিনি বলে?
তোমার অমায়িক হাসির আড়ালে বিষাদ দেখিনি বলে?
মনে আছে তোমায় বলেছিলাম
নীল শাড়ী তে তুমি পরি হয়ে যাও
আর মুচকি হাসিতে প্রান জুড়াও।
মেঝো আপু
তোমায় কখনো বলা হয়নি
তুমি কতো ভালো চা বানাও
যেমনি বলা হয়নি
তুমি কতো সহজে সবাইকে আপন করে নাও।
মেঝো আপু
তোমার মন খারাপ গুলো আমায় দিয়ে দাও
আমি তোমায় আমার আকাশ দিলাম
তুমি তাতে মেঘ উড়াও, বৃষ্টি ঝরাও
রঙধনু সাজাও।
যা খুশি করো
শুধু ভালো থাকো
যেনো
মন প্রান খুলে হেসে জিজ্ঞেস করতে পারো
"চা খাবে আর এক কাপ?"
৫৮
চাঁদ আজকাল বেশী বড়লোক
বড়লোকী তার হালচাল
বড় বড়ও প্রসাদের ছাদে উঁকি মারে
গরীবের ঘরে ফিরে ও নাহি চায়।
কি আর করা
নীল জোনাকি পোকা জ্বালিয়ে
পূর্ণিমার ছাদ সাজাই।
গরীবের শখ বলে কথা
শখের ছটা জোনাকি পোকা!
৫৯
লীলাবতি
জগৎ সংসার তুচ্ছ করে
আমি তোমার জন্য কবি হতে পারি
কিন্তু
যদি মরতে বলো
তাতে নই রাজি।
মরলে আমি
ঠকে যাবে তুমি,
অসাধারন শুভ্র জোছনা ভালোবাসা আমার
বুঝতেই পারবে না তুমি।
তাই বেঁচে আছি
স্বর্গ থেকে ডাক আসা পর্যন্ত
তোমার ই কবি হয়ে বেঁচে থাকি।
৬০
মাতাল ঝড়, উত্তাল বাদল
আড়াল করে তোমায় দাঁড়ানো এই আমি
যেন এক ফোঁটা বৃষ্টি ও
না ভিজায় তোমায়।
না, আজ নয়,
আজ ভিজাবে না তোমায় মেঘজল
আজ ভিজাবে তোমায়
শুধুই আমার প্রেমিক ঝড়।
আজ স্পর্শ করবে না তোমার পা কোনো বালুকনা
আজ তুমি হেঁটে যাবে আমার বালুবেলা।
আজ পড়বে না তোমার মনে
গণিতের ছাত্রীর কথা
ছাত্র বানিয়ে পড়াবে আমায় নতুন এক কবিতা।
আজ শেষ হবে না এই বিকেল
শেষ হবে না এই ঝড়
অনন্তকাল।
আর তারপর, গোধূলি
অনেক স্বপ্ন
ভোর হয়ে আসবে এমন এক মহা কাব্য।
৬১
তুমি চলে যাচ্ছো
তাই আজ হবেনা কাজে মন দেয়া,
হবেনা সপ্তাহের একদিনের আড্ডা, গান, কবিতা।
হবেনা আজ তারাদের নাম দেয়া
হবেনা আজ পোষা বিড়ালকে আদর করা।
হবেনা আজ তোমায় ভেবে কবি হওয়া
অনুভুতি নিয়ে খেলা করা।
তুমি চলে যাচ্ছো
যেতে হয় তাই যাচ্ছো
মন খারাপ করিয়ে দিয়ে যাচ্ছো।
তুমি চলে যাচ্ছো
তাই আজ মন খারাপ।
মেঘকন্যা
মন ভালো করে দিয়ে যাও
না হলে
মনটা সাথে করে নিয়ে যাও।
৬২
উড়ে গেছে খাঁচা ছেড়ে
পাখি, অচেনা কোনো ডাকে
ফেলে গেছে লাল নীল পালক কিছু
অনুভবের এই খাঁচার দুয়ারে।
পাখি নির্বাক চোখে শিস দিয়ে যেতো
আনমনা হয়ে বিকেলে
পাখি কান্না লুকিয়ে গান গেয়ে যেতো
আকাসের দিকে তাকিয়ে।
বুঝতে দেয়নি পাখি
চলে গেলো উড়ে
বিদায় না বলে
একসাথে জোছনা দেখার রাতে।
লাল নীল কিছু পালক হাতে
দখিনের পবন কিংবা বৃষ্টিতে
আছি আমি সাদা কালো অপেক্ষাতে।
কী করবি পাখিরে তুই
হঠাৎ আমায় পড়ে যদি মনে?
খুঁজেতো আমায় পাবি না আর
এক শিসের সুরে।
জানি
ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে চলে যেতে যেতে
বলবি অবজ্ঞাতে
"হবে না ওমন টি কখনো আমার
পড়বেনা তোমায় মনে।"
তবুও
যদি বৃষ্টিতে কিংবা কালো জোছনায়
অসহায় তোর লাগে
খুঁজে নিস আমায় তোর
বুকের সাদা পালকে।
৬৩
আর কতো প্রিয় মানুষ দূরে চলে গেলে
ভেবে নিবো
অনুভূতি ভাগের আর কেউ নেই,
আর কতো দূরে গেলে
বুঝে নিবো
আমি আর বন্ধুদের আড্ডায় নেই,
আর কতো সময় চমকে বয়ে গেলে
মনে করবো
তুমি আর তুমি নেই,
আর কতো কিছু হারালে
ধরে নিবো
জীবন আর আগের মতো নেই।
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে
এই আশায় দিন কাটছে, রাত যাচ্ছে
কিন্তু ধীরে ধীরে
বিজ্ঞাপনের ডায়ালগ টা বড়ও সত্য মনে হয়
"দিন বদলায় গেছে না!"
সত্যি সত্যি
জীবন আর আগের মতো নেই।
৬৪
আকাশ অনেক বড়
কিন্তু আমি যে ভালো তোকে বাসি
তার উচ্চতার কাছে
প্রস্থের কাছে,গভীরতার কাছে
আকাশ শুধুই একটি বিন্দু।
৬৫
কন্যা ,
হতো যদি মার্কা
তোমার ঠোঁঠ খানা
প্রেম প্রণয়ের ব্যালটে
ভোট আমি দিতাম ই
আটকাতে পারতো না কোনো বাপের ব্যাটা।
৬৬
যে বার আমি
খুশিতে নীল হয়েছিলাম
সে খুশি আমি হাসিমুখে এঁকেছিলাম
বিশাল এক ক্যানভাসে।
সেই হতে তোমরা জানো
আকাশের রঙ নীল।
৬৭
ভালো লাগা বা বাসা
যুক্তি বোঝে না
বোঝে আবেগের আকুলতা
তাই
হয়নি কলিজার টুকরা কোনই গবেষক
হয়েছে জান পাখিরা,
হয়নি কবি কোনই গণিতবিদ
হয়েছে সব প্রেমিকেরা।
তাইতো কন্যা বারংবার
তোমার বা তার প্রেমে পড়তে
আমি যুক্তি ফুক্তির ধার ধারি না।
৬৮
কন্যা
তোমায় মেঘের দেশে
বেড়াতে নিতে
আমি রুপ বদলিয়ে আজ
পঙ্খিরাজ।
চুল বেঁধো না ,
দীঘল কালো চুল
আজ না হয় ছড়িয়ে পড়ুক আকাশের বুকে।
৬৯
হঠাৎ দেখায় চিনতে পারিনি বলে
মান করো না কন্যা,
আপনি, তুমি, তুই এ
ঠিক ই চালিয়ে নিবো
গ্যারেজে পড়ে থাকা সম্পর্কের গাড়ি খানা।
৭০
তোমার মন টা একটা দেশ হলে
আমি সে দেশে
আদিবাসী, উপজাতি বা পাহাড়ী,
তাই সময় হয় না তোমার
খবর নেয়ার,
আবার আমি খবর নিতে চাইলে
তোমার ব্যাস্ততা বাড়ে।
আশ্বাস আসে
"একটু পরেই ফোন দিচ্ছি".
সেই একটু পর,
তোমার মন বিভাগীয় কর্তার কারণে খারাপ না হলে,
আর আসে না।
বাদ দাও,
মাইন্ড ফ্রেস করার জন্য
পাহাড় খুব ভালো জায়গা,
অনেক কিছুর পর এটাই সত্য কথা।
৭১
তুমি শুনিয়েছিলে
মন ভাঙ্গা মসজিদ ভাঙ্গা সম অপরাধ,
আজ
তুমি তোমার কথা ভুলে গিয়ে
অপরাধী হলে।
৭২
মেঘবতী নীল কন্যা,
তুমি অবশেষে তোমার পথ বেছে নিয়েছো
অন্য ভাবে বলি
বেছে নেয়া পথ বানানো হয়েছিলো
শুধু তোমার জন্য, নিয়তি।
আমি রাগ করি নাই, সত্যি।
এই নতুন সময়ে
পুরানো আকাশের নীচে
আমি খুশি আমার মতো করে।
শুধু হঠাৎ যদি কখনো
কেঁদে উঠে তোমার হৃদয়
বুঝে নিও ওটা এক হারানো লাল স্বপ্নের
না বলা ভালোবাসা।
৭৩
আমাকে পছন্দ না করার
এক হাজারটা কারণ থাকতে পারে তোমার লিস্টে
কিন্তু
আমার জন্য তুমি সব কিছু ছেড়ে আসতে পারবে
তার কারণ একটাই
তাও তোমার জানা
তারপরেও বলি
আমি তোমায় লবণের মতো ভালোবাসি।
৭৪
বাঁচতে চাওয়া টা কি খুব দোষের?
পূর্ণিমার চাঁদ যখন আকাশ মাতিয়ে জোছনা ছড়ায়
তা দেখার জন্য
বাঁচতে চাওয়া টা কি খুব দোষের?
মেঘ ছেড়ে বৃষ্টি যখন কদম ফুল ছুঁয়ে যায়
তা অনুভব করার জন্য
বাঁচতে চাওয়া টা কি খুব দোষের?
খুব খুশি তে চিৎকার দিয়ে ডাক দিতে
কিংবা
দুঃখে কারো কাঁধে মাথা রেখে কাঁদা
এ ইচ্ছে গুলো নিয়ে
বাঁচতে চাওয়া টা কি খুব দোষের?
মহাদেব সাহা বা হেলাল হাফিজের কবিতা পড়ে
পরাবাস্তব অনুভুতি নিয়ে
বাঁচতে চাওয়া টা কি খুব দোষের?
এক ব্যাগ, মাত্র এক ব্যাগ রক্তের অভাবে
মরে সাদা হয়ে যাবো
এই মরে যাওয়াতে খুব ভয়,
এই ভয় সরিয়ে
তোমাদের সবার সাথে
বাঁচতে চাওয়া টা কি খুব দোষের?
মাত্র এক ব্যাগ রক্ত
খুব কি দোষের ??????
৭৫
দেখবে কি তুমি
যা আমি দেখি?
ছাদে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের চূড়া
পাহাড়ের চূড়ায় উঠে মেঘের ভেলা
মেঘের ভেলায় ভেসে স্বর্গের দরজা।
করবে কি অনুভব
যা আমি করি?
মানুষের চোখের জলের বেদনা
বেদনায় লুকানো কান্না
কান্নায় মাখা সুখের পবিত্রতা।
শুনবে কি তুমি
যা আমি শুনি?
অভিমানের কণ্ঠে ভালোবাসা
ভালোবাসার মাঝে ঘেন্না
ঘেন্না শেষে কাতরতা।
যদি চাও
তবে নাম লেখাও
সাদা কালো রঙের স্বপ্নের ক্যানভাসে।
স্বপ্নে নিয়ে যাবো তোমায়
অচিনপুরে।
৭৬
এমনি ভাবে ঝুম বৃষ্টিতে হাঁটলে কতদিন পর?
- এক কোটি বছর!
হাঁটোনি কেনো আগের ঝরো ধারায়?
- মেঘবতীর সাথে রাগ করে।
রাগ ভেঙ্গেছে?
- তা না হলে হাঁটছি কেনো?
অতঃপর বালক গান গাহিতে গাহিতে বৃষ্টিতে মিলিলো।
" আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদর দিনে
জানিনে, জানিনে
কিছুতেই কেন যে মন লাগে না ....... "
৭৭
কবিতার বিনিময়ে প্রেম !
ছড়ায় মন ভোলানো প্রেম
অনুকাব্যে দুষ্টু প্রেম
হাইকুতে হঠাৎ প্রেম
রুবাই এ কঠিন প্রেম
সনেটে কুসুম গরম প্রেম
মহাকাব্যে ঝাল মিষ্টি প্রেম
গীতিকাব্যে অভিমানী প্রেম
হাজার রঙের কবিতায় হাজার ঢঙের প্রেম।
আগ্রহী "বতী" গন যোগাযোগ করুন,
বরাবর
প্রজাপতি মন
চোখের তারা,
স্বপ্ন।
ফোন: ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি।
আসন সীমিত, আগে আসলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে !!!!!!!!
৭৮
ধীরে নিশি, ধীরে
এতো দ্রুত যেও না চলে,
আর একটু দেখি
আকাশ চিরে বিদ্যুৎ, সাথে
আমার মেঘের দলের প্রতিক্ষা।
নিশি
তুমি আমায় দেখ
আমার চোখের রজনী ভরা অমবস্যা দেখো,
যদি এই কালোতে কেঁপে উঠে অপাঙ্গ
বিজলী জ্বালিয়ো,
জানোই তো
আমায় না দেখলে বৃষ্টি ঝরবে না।
তবে আর দেরি কেনো?
শুভস্য শীঘ্রম্ !
৭৯
গত পূর্ণিমায়
বৃষ্টি হয়েছিলো যে রাতে
আমি মনের খেয়ালে হারিয়ে ফেলেছিলাম
আমার শান্ত লক্ষী ছায়া।
সেই থেকে শুনছি
টুং টাং ঘন্টার শব্দ,
শ্রুতিমধুর
কিন্তু ছায়া ছাড়া কায়া
মানতে তা নারাজ !
তাই আসছে অমবস্যায়
কিছু কালো জোছনা চুরি করে বানিয়ে নিবো
নতুন এক ছায়া।
আজকাল টুং টাং শব্দ শুনে
বড় সিগ্রেট টানতে ইচ্ছে করে।
৮০
রক্ত চাই।
পূর্ণিমার চাঁদ দেখে কবি হবে যে শিশু
তার মায়ের জন্য রক্ত চাই।
অপারেশন শেষে প্রেয়সী কে দেখবে বলে
বিশ্বাসে বুজেছে যে চোখ
তার জন্য রক্ত চাই।
রক্ত চাই
জটিল রোগে আক্রান্ত বোন কে
সারিয়ে তুলে ধুমধাম করে
বিয়ে দেওয়ার জন্যে।
রক্ত চাই হৃদ রোগে আক্রান্ত মার জন্যে
রক্ত চাই বাবার অপারেশন টেবিলে
রক্ত চাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্যার এর জন্যে
রক্ত চাই, রক্ত চাই, রক্ত চাই,
রক্ত দাও। রক্ত দাও। রক্ত দাও।
চলো বন্ধু হই
রক্তের আহবানে, বন্ধনে।
আজ বাড়িয়ে দাও হাত
মিডিয়ান কিউবিটাল শিরা হতে
দাও ৪৫০ মিলিলিটার্স রক্ত
চলো
বাঁচিয়ে রাখি হাজারো স্বপ্ন
বাঁচিয়ে রাখি না বলা সব গল্প।
৮১
আমার ঠোঁঠ ছুঁয়ে যায়
তোমার দীঘল কালো কেশ,
লাল ওড়নায় ঢাকা খোঁপার বাঁধন ছেড়ে
বৃষ্টি ঝরাবে মেঘের মতো উড়ে এসে
শেষ বাদলে
আমার পাশে বসে তোমার ট্রেন ভ্রমনে।
৮২
রাজকন্যা
এক কবিতা লিখেছি তোমায় নিয়ে,
তোমার দীঘল কালো চুলে
মুখ ডুবিয়ে শ্বাস নিতে নিতে পড়ে শোনাবো।
রাজকন্যা
এক সুর তুলেছি তোমায় নিয়ে,
বারান্দায় বসে আকাশে তোমায় দেখতে দেখতে
গেয়ে শোনাবো।
রাজকন্যা
এক ছবি আঁকছি তোমায় নিয়ে ,
আঁকা শেষ হলেই
তোমার স্বপ্নে চলে আসবো।
.....
রাজকন্যা
সময় যে গড়িয়ে যায় ,
লুকোচুরি খেলা ভালো আর নাহি লাগে
চলো তবে বসি আয়োজনের উপপাদ্য তে।
রাজকন্যা
আংকেল আন্টি কে আব্বু আম্মু ডাকার
আর কত দেরী?
৮৩
"শোনো ছেলে
আমি কিন্তু শুধু তোমার রাজকন্যা।
বুঝলে?
কে তোমায় কি বললো
আমায় নিয়ে কি ভাবল
কিচ্ছু আসে যায় না।
বুঝলে, তোমার পালানোর কোনো সুযোগ নেই ,
তুমি মরে ভূত হয়ে গেলে ও
আমি পেত্নী হয়ে পাশে রয়ে যাবো।
বুঝলে তো
বৃষ্টি বাদলের বাবা
আমি শুধুই তোমার রাজকন্যা।"
.........................
"বুঝলাম
তুমি আমার ই রাজকন্যা।
বৃষ্টি বাদল যাই আসুক না কেনো
তুমি ই হবে তাদের মা।
বুঝলাম
তোমার ভালবাসা মুছে দেয় সমালোচনা
ভেঙ্গে দেয় সব কু ধারণা।
দিল খুশ হুয়া।
তাই আজ রাতে তোমায় গান শোনাবো
/আমি তারায় তারায় রটিয়ে দিবো
তুমি আমার।/"
৮৪
আকাস ছেড়ে বৃষ্টি
আর বৃষ্টির সাথে সৃষ্টি
দিয়ে পাড়ি স্মৃতির সাঁতার,
হুড তোলা এক রিকশা
আর প্রেমিক রিকশা ওয়ালা
তিন চাকার এই মজার খেলা,
খেলা খেলা খেলা
এই লুকোচুরি খেলা
কানামাছির হারিয়ে যাওয়া,
রাত বিরাতে ফোন
তাতে রঙের আলাপন
গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে পাগল মন,
এই মনে জমছে কথা
কথার নাম লতা
লতার সুতোয় আশা বাঁধা,
এক চরকা কাটা বুড়ি
বাঁধিয়ে রেখেছে শশী
প্রেয়সীর চোখে আসমানের ঐ চাঁদ,
যাচ্ছে সময় চলে
একটু একটু করে
হচ্ছে সব ই বড়
শুধু
থাকছে হয়ে ছোট
আমার সেই গল্প বলার রাত।
তুমি শুনবে কি সেই গল্প
বেশী নয় অল্প
তোমার আমার ছোট বেলার গান।
৮৫
©somewhere in net ltd.