নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার চরণে সমর্পণ ও সাইঁজি: লালনের মহান জীবনী সহ অমর সৃষ্টিগুলির একটি আর্কাইভ তৈরী করার চেষ্টা করছি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭





আজ তার জীবনী বিষয়ে পাওয়া তথ্যগুলি প্রকাশ করা হলো:



ফকির লালন শাহ

(জন্ম ১৭৭৪- মৃত্যু অক্টোবর ১৭, ১৮৯০)



ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক সাধকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ ইত্যাদি নামে সচরাচর অভিহিত। তিনি একাধারে একজন সাধক, দার্শনিক, মানবতাবাদী, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে তাকে ‘বাউল সম্রাট’ আখ্যায়িত করা হতে থাকে।



লালনের জীবন সম্পর্কে বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় না। তার সবচেয়ে অবিকৃত তথ্যসুত্র তার নিজের রচিত অসংখ্য গান। কিন্তু লালনের কোন গানে তার জীবন সম্পর্কে কোন তথ্য তিনি রেখে যাননি, তবে কয়েকটি গানে তিনি নিজেকে "লালন ফকির" হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পনেরো দিন পর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত হিতকরী পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, “ইহার জীবনী লিখিবার কোন উপকরণ পাওয়া কঠিন। নিজে কিছু বলিতেন না। শিষ্যরা তাহার নিষেধক্রমে বা অজ্ঞতাবশত: কিছুই বলিতে পারে না।



তথাপি কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যতিরেকেই একটি সূত্রে তাকে হিন্দু কায়স্থ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও লালন হিন্দু না মুসলমান এই কৌতূহল ও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে জীবদ্দশায়।

লালনের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না।। সাধনাবলে তিনি হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মের শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। তার রচিত গানে এর পরিচয় পাওয়া যায়।



লালন মানবতাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।কিন্তু সকল ধর্মের লোকের সাথেই তার সুসম্পর্ক ছিল।মুসলমানদের সাথে তার সুসম্পর্কের কারনে অনেকে তাকে মুসলমান বলে মনে করত।আবার বৈষ্ণবধর্মের মত পোষণ করতে দেখে হিন্দুরা তাকে বৈষ্ণব মনে করতো। প্রকৃতপক্ষে লালন কোন জাতিভেদ মানতেন না। তবে তিনি শ্রীকৃষ্ণের অবতার বিশ্বাস করতেন বলে কারও কারও কাছে জানা যায়।



অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, তিনি একজন বাঙালী যার জন্মস্থান বর্তমান বাংলাদেশের যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার হারিশপুর গ্রামে।তার জন্ম তারিখ অজানা।

হিতকরী পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ নিবন্ধে কথিত আছে, লালন যৌবনকালে একবার তীর্থভ্রমণে বের হয়ে পথিমধ্যে গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। তখন সাথীরা তাকে পরিত্যাগ করে যার যার গন্তব্যে চলে যায়। কালিগঙ্গা নদীতে ভেসে আসা মুমূর্ষু লালনকে উদ্ধার করেন মলম শাহ। মলম শাহ ও তদীয় স্ত্রী মতিজান তাকে বাড়িতে নিয়ে সেবা-শুশ্রষা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। এরপর লালন তার কাছে দীক্ষিত হন এবং ছেউড়িয়াতে স্ত্রী ও শিষ্যসহ বসবাস শুরু করেন।




লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার শিষ্যরা তাকে “সাঞ’’ বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত। চট্টগ্রাম, রঙপুর, যশোর এবং পশ্চিমে অনেক দূর পর্য্যন্ত বাংলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বহুসংখ্যক লোক লালন ফকীরের শিষ্য ছিলেন; শোনা যায় তার শিষ্যের সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের বেশি ছিল।এছাড়া লালন সংসারী ছিলেন বলে জানা যায়। তার সামান্য কিছু জমি ও ঘরবাড়ি ছিল।

লালনের জীবদ্দশায় তার একমাত্র স্কেচটি তৈরী করেন ।




জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। লালনের মৃত্যুর বছরখানেক আগে ৫ মে ১৮৮৯ সালে পদ্মায় তাঁর বোটে বসিয়ে তিনি এই পেন্সিল স্কেচটি করেন- যা ভারতীয় জাদুঘরের সংরক্ষিত আছে। যদিও অনেকের দাবী এই স্কেচটিতে লালনের আসল চেহারা ফুটে ওঠেনি।



মৃত্যু

১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুরদিন রাত ৫টা পর্যন্ত তিনি গানবাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের কে বলেনঃ “আমি চলিলাম’’ এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়।তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোন ধরনের ধর্মীয় রীতিই নীতিই পালন করা হয় নি।তারই উপদেশ অনুসারে তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি করা হয়।[৬] আজও সারা দেশ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তাঁর মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরীতে প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে "মহাত্মা" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রচনার লেখকের নাম রাইচরণ।



লালন-দর্শন



“ আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা

মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা।

তার উপরে সদর কোঠা

আয়না মহল তায়।। ”


----------------------লালন , দেহতত্ত্ব



লালন তার দীর্ঘ সাধনায় নিজস্ব প্রেম, ভক্তি ও সন্ধানের দর্শন রেখে গেছেন।গুরুবাদী এই সাধনায় রয়েছে মানুষ ভাগ, দেহ ভাগ এবং আত্মা ভাগ।



আধ্যাত্মিক ভাবধারায় তিনি প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেছিলেন। তার গান মরমী ব্যঞ্জনা ও শিল্পগুণে সমৃদ্ধ। সহজ-সরল শব্দময় এই গানে মানবজীবনের রহস্য, মানবতা ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।



"লালনের বেশ কিছু রচনা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তিনি ধর্ম-গোত্র-বর্ণ-সম্প্রদায় সম্পর্কে অতীব সংবেদনশীল ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে যখন হিন্দু ও মুসলিম মধ্যে জাতিগত বিভেদ-সংঘাত বাড়ছিল তখন লালন ছিলেন এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। তিনি মানুষে-মানুষে কোনও ভেদাভেদে বিশ্বাস করতেন না। লালনের প্রতিটি গানে তিনি নিজেকে ফকির ( আরবি "সাধু") হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি ছিলেন মানবতাবাদী।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনঃ “লালন ফকির নামে একজন বাউল সাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেন - আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।” যদিও তিনি একবার লালন 'ফকির' বলেছেন, এরপরই তাকে আবার 'বাউল' বলেছেন, যেখানে বাউল এবং ফকিরের অর্থ পারস্পরিক সংঘর্ষপ্রবণ।"



লালনের সংগীত ও ধর্ম-দর্শন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে। ১৯৬২ সালে ছেঁউড়িয়ায় আখড়া বাড়ি ঘিরে লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় লালন একাডেমী। তার মৃত্যু দিবসে ছেঁউড়িয়ার আখড়ায় স্মরণ উৎসব হয়। দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য মানুষ লালন স্মরণোৎসব ও দোল পূর্ণিমায় এই আধ্যাত্মিক সাধকের দর্শন অনুস্মরণ করতে প্রতি বছর এখানে এসে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে এখানে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব হচ্ছে। ২০১২ সালে ১২২তম লালন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।



উপন্যাস:

রণজিৎ কুমার লালন সম্পর্কে সেনবাউল রাজা নামে একটি উপন্যাস রচনা করেন। পরেশ ভট্টাচার্য রচনা করেন বাউল রাজার প্রেম নামে একটি উপন্যাস। ভারতের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লালনের জীবনী নিয়ে রচনা করেন মনের মানুষ উপন্যাস। এই উপন্যাসে কোন নির্ভরযূগ্য সূত্র ব্যতরেকেই লালনকে হিন্দু কায়স্থ হিসাবে চিহ্নিত করা হরা হয়েছ, নাম দেয়া হয়েছে লালন চন্দ্র কর।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘গোরা’ শুরু হয়েছে লালনের গান ‘‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’’ দিয়ে।



ছোট গল্প

১৯৩৬ খ্রীস্টাব্দে সুনির্মল বসু লালন ফকিরের ভিটে নামে একটি ছোট গল্প রচনা করেন। শওকত ওসমান ১৯৬৪ খ্রীস্টাব্দে রচনা করেন দুই মুসাফির নামের একটি ছোটগল্প।



চলচ্চিত্র

লালনকে নিয়ে কয়েকটি চলচিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ হাসান ইমাম পরিচালনা করেন লালন ফকির চলচিত্রটি। শক্তি চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে একই নামে একটি চলচিত্র নির্মাণ করেন। ম. হামিদ ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে পরিচালনা করেন তথ্যচিত্র দ্যাখে কয়জনা যা বাংলাদেশে টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়। তানভীর মোকাম্মেল ১৯৯৬ সালে পরিচালনা করেন তথ্যচিত্রঃ অচিন পাখি।




২০০৪ সালে তানভির মোকাম্মেলের পরিচালনায় লালন নামে একটি চলচিত্র নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ২০১০ এ সূনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষ মনের মানুষ নামে একটি চলচিত্র নির্মাণ করে যা ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ৪১তম ভারত ফিল্ম- ফ্যস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রর পুরষ্কার লাভ করে। উল্লেখ্য যে এই চলচ্চিত্রে লালনকে কোন উল্যেখযোগ্য সূত্র ছাড়াই হিন্দু হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি অনেক সমালোচনার মুখোমুখী হয়।



গানের সংগ্রহ



লালনের গান "লালনগীতি" বা কখনও "লালন সংগীত" হিসেবে প্রসিদ্ধ। লালন মুখে মুখে গান রচনা করতেন এবং সুর করে পরিবেশন করতেন। এ ভাবেই তার বিশাল গান রচনার ভান্ডার গড়ে উঠে। তিনি ছয় সহস্রাধিক গান রচনা করেছেন বলে ধারনা করা হয়। তবে তিনি নিজে তা লিপি বদ্ধ করেন নি। তার শিষ্যরা গান মনে রাখতো আর পরবর্তিতে লিপিকার তা লিপিব্ধ করতেন। আর এতে করে তার অনেক গানই লিপিবদ্ধ করা হয়নি বলে ধারনা করা হয়।

বাউলদের জন্য তিনি যেসব গান রচনা করেন, তা কালে-কালে এত জনপ্রিয়তা লাভ করে যে মানুষ এর মুখে মুখে তা পুরো বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লালনের গানে প্রভাবিত হয়েছিলেন। প্রবাসী পত্রিকার ‘হারামনি’ বিভাগে রবীন্দ্রনাথ নিজেই লালনের কুড়িটি গান প্রকাশ করেন।[১১] বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাঁর প্রায় সহস্রাধিক গান সংগৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ মনসুরউদ্দিন একাই তিন শতাধিক লালন গীতি সংগ্রহ করেছেন যা তাঁর হারামণি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। এ ছাড়াও তাঁর অন্য দুটি গ্রন্থের শিরোনাম যথাক্রমে ‘লালন ফকিরের গান’ এবং ‘লালন গীতিকা’ যাতে বহু কেবল লালন গীতি সংকলিত হয়েছে।

জ্যোতিরিন্দ্রিনাথ ঠাকুর সম্পাদিত ‘বীণা’, ‘বাদিনী’ পত্রিকায় ৭ম সংখ্যা ২ ভাগ (মাঘ) ১৩০৫-এ ‘পারমার্থিক গান’ শিরোনামে লালনের ‘ক্ষম অপরাধ ও দীননাথ’ গানটি স্বরলিপিসহ প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকায় ৮ম সংখ্যা ২ ভাগ (ফাগুন) ১৩০৫-এ প্রকাশিত আরেকটি লালনগীতি ‘কথা কয় কাছে দেখা যায় না’ দুটি গানেরই স্বরলিপি করেন ইন্দিরা দেবী।

প্রেমদাস বৈরাগী গীত এ লালন গীতি সংগ্রহ করেছিলেন মুহাম্মাদ মনসুরউদ্দীন এবং তা মাসিক প্রবাসী পত্রিকার হারামণি অংশে প্রকাশিত হয়েছিল।





পরবর্তী আপডেটে থাকবে লালনের গানগুলির লিরিক্স :)

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

বড় ভাইয়া বলেছেন: লালনের জিবনীনিয়ে একটা ওয়েব সাইট বানাইয়াফেলেন।

ধন্যবাদ ভাল উদ্যোগ নেওয়ার জন্য
View this link

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নেটে যত ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব করব, তারপরে যাব লালনের আখরায়... তারপরে আমার মনে খুব ইচ্ছা এই কাজটা করি !! আশা থাকবে ব্লগাররা তথ্য দিয়ে সাহায্যও করবেন. থ্যান্কস ভাই.

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

আফিফা মারজানা বলেছেন: ভাই ,আপনার নিকট জানতে চাই লালন ফকির কি বাউল ছিলেন ?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: লালন তার সমৃদ্ধ জীবনে অনেক বৈচিত্রময় কাজ করে গেছে!! এমনকি এটিও পরিষ্কার বলা যায়না যে তিনি হিন্দু ছিলেন না কি অন্য ধর্মের..... আমি কিন্তু তার সৃষ্টি থেকে অনুধাবন করি উনি ছিলেন ধর্ম নিরপেক্ষ...... বাউল ভাবধারার সৃষ্টি উনি করেছেন, নি:সন্দেহে.... তবে বাউল সম্প্রদায়ের যে সজ্ঞা ও উদাহরণ আমরা পাই, তাতে ওনাকে ১০০% শিউর করে বাউল বলা যায়না.. উনি বরং ফকির বা সাধক ছিলেন বলে মনে করি....

একান্তই আমার মতামত, যদি আপনার কিছু জানা থাকে অবশ্যই জানাবেন প্লিজ...

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

আফিফা মারজানা বলেছেন: লালনের খাচার ভেতর অচিন পাখি এই গানটার কথাগুলো খুব ভালো লাগে ।কিন্তু উনি যদি বাউল কিংবা প্রথাগত বাউল হয়ে থাকেন তবে উনার ওপর আমার আপত্তি আছে ।একটা আপত্তি তুলে দিচ্ছি ।
ড.
আহমদ
শরীফের ভাষায়
কামাচার
বা মিথুনাত্বক
যোগসাধনাই বাউল
পদ্ধতি। বাউল সাধনায়
পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন
প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস
করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান
করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক
তৈরী হয়। তাই বাউলদের
মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন
ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির
জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান
করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য
তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য
মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক
একপ্রকার পদার্থ
তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন
বাউলের একাধিক
সেবাদাসী থাকে। এদের
অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে।
(বাংলাদেশের বাউল পৃ ৩৫০,
৩৮২)এ ব্যাপারে সঠিক কথা জানতেএ আগ্রহী ।আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন ?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: Ow my ! আচ্ছা এতে কিন্তু বোঝা যায় যে বাউল সাধকদের সৃষ্টি কখনো কখনো তাকে ছুয়ে গেলেও উনি বাউল ছিলেন না!! লালনের আখরায় এখন যা হচ্ছে তা দিয়ে তাকে মনে হয়না বিচার করা ঠিক হবে... উনি শুদ্ধ দার্শনিকতায় জীবন যাপন করতেন... মনের মানুষ ছবিটি দেখেও লালোল চেনা যায়না... লালন মানুষ হিসেবে কেমন? উনি হিন্দু/মুসলিম! বাউল/ফকির? এই প্রশ্নগুলোর থেকে আমাকে যেগুলো বেশি তারা করে সেগুলো হলো তার সহজ অথচ উচ্চ মার্গীয় দর্শন ও মহান সৃষ্টি ........... কোনো গান আমাকে এতটা তারা করেনি যতটা "আমি একা রইলাম ভবে......., খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ........ বা আর আমাকে মরিসনে মা........ র মত...... তিনি তার জীবনে নশ্বর ছিলেন, সৃষ্টিগুলো কিন্তু অবিনশ্বর... আমি তাকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পড়ালেখা করার চেষ্টা করছি... দেখি কতদূর জানতে পারি!!! আপনি পোস্ট প্রিয়তে নিতে পারেন... এটিকে আপডেট করা হবে ....

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর পোষ্ট.................+++++++++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: লিমন ভাইয়াকে অনেক অনেক ধন্যবাদ !!




ভালো থাকবেন ব্রো, পোস্ট আপডেট হবে, পারলে প্রিয়তে রেখে দিয়েন....

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

আফিফা মারজানা বলেছেন: লালনের খাচার ভেতর অচিন পাখি এই গানটার কথাগুলো খুব ভালো লাগে ।কিন্তু উনি যদি বাউল কিংবা প্রথাগত বাউল হয়ে থাকেন তবে উনার ওপর আমার আপত্তি আছে ।একটা আপত্তি তুলে দিচ্ছি ।
ড.
আহমদ
শরীফের ভাষায়
কামাচার
বা মিথুনাত্বক
যোগসাধনাই বাউল
পদ্ধতি। বাউল সাধনায়
পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন
প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস
করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান
করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক
তৈরী হয়। তাই বাউলদের
মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন
ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির
জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান
করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য
তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য
মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক
একপ্রকার পদার্থ
তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন
বাউলের একাধিক
সেবাদাসী থাকে। এদের
অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে।
(বাংলাদেশের বাউল পৃ ৩৫০,
৩৮২)এ ব্যাপারে সঠিক কথা জানতেএ আগ্রহী ।আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন ?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: Ow my ! আচ্ছা এতে কিন্তু বোঝা যায় যে বাউল সাধকদের সৃষ্টি কখনো কখনো তাকে ছুয়ে গেলেও উনি বাউল ছিলেন না!! লালনের আখরায় এখন যা হচ্ছে তা দিয়ে তাকে মনে হয়না বিচার করা ঠিক হবে... উনি শুদ্ধ দার্শনিকতায় জীবন যাপন করতেন... মনের মানুষ ছবিটি দেখেও লালোল চেনা যায়না... লালন মানুষ হিসেবে কেমন? উনি হিন্দু/মুসলিম! বাউল/ফকির? এই প্রশ্নগুলোর থেকে আমাকে যেগুলো বেশি তারা করে সেগুলো হলো তার সহজ অথচ উচ্চ মার্গীয় দর্শন ও মহান সৃষ্টি ........... কোনো গান আমাকে এতটা তারা করেনি যতটা "আমি একা রইলাম ভবে......., খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ........ বা আর আমাকে মরিসনে মা........ র মত...... তিনি তার জীবনে নশ্বর ছিলেন, সৃষ্টিগুলো কিন্তু অবিনশ্বর... আমি তাকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ পড়ালেখা করার চেষ্টা করছি... দেখি কতদূর জানতে পারি!!! আপনি পোস্ট প্রিয়তে নিতে পারেন... এটিকে আপডেট করা হবে ....

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

আফিফা মারজানা বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম ।আপনি কষ্ট করে ডঃ আহমদ শরীফের বইটি পড়ে নিলে ভালো হতো ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: চেষ্টা করব, আমি দেশে থাকিনা, কোনো PDF লিংক থাকলে অনুগ্রহ করে দেন?

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অত্যাধিক মহা সাধক

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হুম বড় ভাই!!! তার চিন্তাধারা যেকোনো মহা দার্শনিকের সাথে খুব সহজেই তুলনা যোগ্য!!

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

শূন্য পথিক বলেছেন: ++++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো!!

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

কাফের বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম
সময় করে পুরোটা পড়বো

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো!!

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

আফিফা মারজানা বলেছেন: এই লেখাটা পড়তে পারেন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পড়ব, শুরু করলাম, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাকে!!

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: @ আফিফা মারজানা

লেখাটির লিংক প্রদানের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক কিছুই জানতে পারলাম, অনেক কনফিউশনও দূর হলো!! কিন্তু লেখাটি কিন্তু আমার কথা জাস্টিফাই করে!! কারণ আমি তাকে সাধক ফকির বলে বিশ্বাস করি.. তবে আপনার কি ধারণা? একবার জানালেন না তো?

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

রাঘব বোয়াল বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে নিলাম।পরে পড়ে নেবো।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে.. পড়ে নিয়েন ...

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮

আমি গাঙচিল বলেছেন: আপনার সাথে থাকবো

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ গাঙচিল ভাই.....

১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: পোষ্টে আইসা টাশকি খায়া গেলাম পুরাই B:-) B:-) B:-)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ঘটনা কি হিমু ভাই? টাস্কিত কেন? বসকে ভালা পাননা? =p~ =p~


লালন খুব ভালবাসি হিমু ভাই......

১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০

Namhinhappy বলেছেন: নিয়েল ( হিমু )

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়
তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়
তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়
তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়
তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

তরে থাপ্রাইতে মুন চায়

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হিমু ভাইকে এরকম জিনিস প্রদানে ইচ্ছে কেন হইলো? কে ওনাকে আশা দিবে কে ওনাকে ভরসা দিবে বলেন তো?






মাইরের বিষয়ে গুরু আমার বলেগেছেন, "আর আমারে মারিসনেমা...... ...ননী চুরি আর করবনা!!"

হিমু ভাইয়ের মত নিষ্পাপ(!) মানুষ আবার কি করলো? =p~ =p~ =p~

১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: লালন সঙ্গীতের কিছু লিরিক্স নিয়ে একটি পোস্ট ~~~~কিছু লালন গীতিকবিতা (Lyric)~~~~

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অসাধারণ !! আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা!!

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৭ম ভালোলাগা ++++++++++


সুন্দর পোস্ট :)

ভালো থাকবেন :)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!! প্লাসের জন্যে কৃতজ্ঞতা.....

১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৪

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: 'এনেছে এক নবীন গোরা,নতুন আইন নদীয়াতে
বেদ পুরাণ সব দিচ্ছে তুষে,সেই আইনের বিচার মতে'


এখনকার তথাকথিত বাউলদের সাথে লালন সাঁইকে বিচার করার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ দেখি না ।
আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি,উনি সত্যিকার অর্থে সাধক ছিলেন
ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা+++++++++++

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত, আমি মনে করি উনি ছিলেন একজন মহান সাধক ছিলেন... তার ধ্যান ধারণা আমাকে অনেক ইন্সপায়ার করে, হয়ত তার জীবন ধারনায় কিছু পর্থক্য বা অমিল থেকে গেছে.. কিন্তু তার সৃষ্টির জন্যে তাকে সালাম জানাতেই হয়!!




অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!! প্লাসের জন্যে কৃতজ্ঞতা.....

১৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: http://www.lalongeeti.com/products/1013/

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পড়ে দেখব ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ!!!

২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

আফিফা মারজানা বলেছেন: আমার কোনো ধারণা এখনো পূর্ণাঙ্গ কিংবা পরিপক্ক হয়নি ।তবু যা মনে হয় তাই বলছি ।তীব্র জাত্যাভিমাণ কিংবা জাত বিদ্বেষ থেকে লালনবাদের জন্ম ।যা আরেক কবি চন্ডীচরণ দাস বলে গেছেন -সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই । লালন ধারা ছাড়াও আরো একপ্রকারের বাউল আছে যারা লালনের গানে মুগ্ধ হয়ে তাকে একজন গুরু হিসেবে সিকৃতী দেন ।তবে এসব বাউল তার ভাবধারায় বিশ্বাসী নয় হয়তো ।দাগী অপরাধী ,কিংবা পরকীয়া প্রেমের জুটি কিংবা কম বয়সে গাজাখোরী করে বখে যাওয়া কিশোর এসব বাউল দলের একটা অংশ হয়ে ভীড়ে যেতো ।আবার কেউ শয়তানের সাধনাও করে বাউল তত্বের আড়ালে ।তাই বাউল শব্দটি নিয়ে কনফিউশনে ভুগি ।আবার দেখুন হাছন রাজা নিজেকে বাউলা বলে গেছেন ।আবার অনেক দরবেশ ছিলেন যারা সংসার ছেড়ে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করতেন ,তারা নিজেদের ফকির বলে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন ।কিংবা সংসারী ফকির তথা আল্লাহপ্রেমে মাতোয়ারা সুফীও ছিলেন ।যেমন রুমী । লালনকে আমি ভক্তি করিনা । তবে তার কয়েকটা গানেরকথায় আমি অবাক হই ।একজন মানুষ কতটা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হলে এমন বলতে পারে !

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি তার জীবনধারার থেকে তার সৃষ্টিতে বেশি আগ্রহী ছিলাম..... উনি তো বেঁচে নেই, ওনার সৃষ্টি কিন্তু বেঁচে আছে...... তাই সালাম ওনার সৃষ্টি...

২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমাদের সবার মাঝে লালনের সঠিক আদর্শ ফুটে উঠুক,এই আশায় রাখি ।

পোস্ট ভাল হইছে ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আশা থাকলো, অনেক ধন্যবাদ ভাইকে.... :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.