নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলছি, ওদের সম্মান করতে শিখুন। গর্বের মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকাটি ওদেরই অবদান।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২

বাংলাদেশ, শত গর্বের নাম। সোনার এই দেশটি নিয়ে গর্ব কেন করবনা বলুন? সোনা দিয়ে চলেছে, বিনিময় ছাড়া, অবিরত। বাংলাদেশ বিষয়ে দেখে নিন কিছু বিষয়-



বিশ্বের ৫৯তম ধনী রাষ্ট্র।

•অন্যতম শক্তিশালি ১০টি মুসলিম দেশের একটি।

•এখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত(কক্সবাজার)

•বিশ্বের সবচেয়ে বড় লোনা পানির বনাঞ্চল (সুন্দরবন) এখানে।

•বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু(যমুনা সেতু) আমাদের।

•জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশী সৈন্য প্রেরন করা দেশ।

•রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বিশ্বে ২৭তম, গার্মেন্টস শিল্পে প্রথম(মতান্তরে দ্বিতীয়)।

•খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিশ্বের এমন কিছু সংখ্যক দেশের মধ্যে অন্যতম হল বাংলাদেশ।


আরো এত এত কিছু আছে, শুধু সেগুলো বলতেই একটি পোস্ট লিখতে হবে....



# শুধু তাই নয়, দা ইকোনমিস্ট এর জাঁদরেল প্রকাশনায় এসেছে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সম্ভাণনার কথা। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করা দেশকে এখন সম্ভাবনা ও স্বপ্নের ভান্ডার বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামী কয়েক দশকে ইউরোপের সবগুলে দেশকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মন্দায় জর্জরিত কানাডা, আমেরিকা থেকে শুরু করে আরো অনেক ধনী রাষ্ট্র যেখানে খাবি খাচ্ছে, বাংলাদেশ জীবন যাত্রার মান ও জিডিপিতে করে চলেছে অভূতপূর্ব ফলাফল! এত রাজনৈতিক সংঘাতমূলক পরিস্থিতির পরেও আমরা এগিয়ে চলেছি গণতান্ত্রিক ও ধর্মীয়ভাবে স্থিতিশীল একটি জাতি হিসেবে।



অনেক গর্ব করছেন দেশকে নিয়ে, কখনো কি ভেবেছেন, কোথা থেকে এর শুরু? শুরুটি হয়েছিল ১৯৭১ সালে, অনেকগুলো জীবনের আত্নত্যাগে, অনেক মহামানবের প্রচন্ড দাঁত চাপা ও জীবন বাজি রাখা প্রচেষ্টায় আমরা পেয়েছি একটি মানচিত্র, গর্বের লাল সবুজ পতাকা।



# বিষয়টি আমাকে প্রচন্ড ব্যথা দেয়, দেশ পেয়েছি, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, ফিরেও তাকাই নি, কারা করলো, কিভাবে করলো, তার দিকে। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে চাকরির আকাল, শিক্ষা- চিকিত্সা সহ হাজার সমস্যার মাঝেও যে এত সম্ভাবনা এর উত্পত্তি কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা থেকেই(পাকিস্তানের দিকে এখন তাকালে সহজেই বোঝা সম্ভব কি এক দোজখের কবল থেকে আমরা আসলে বেঁচেছি)! আজ আমাদের একটি চাকরি, ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের একটি সিট্, BCC ক্যাডার হওয়া থেকে শুরু করে সরকারী চাকুরীর জন্যে একটি পদে বা আসনে অনেক জন করে লড়ছি! জনসংখ্যার বিরূপ প্রভাবে আমরা হয়ে পড়ছি চরম প্রতিযোগিতামূলক একটি জাতি। তবে, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন নিয়ে কখনো আমাদের ভাবার সময় হয়নি। সরকার কেন, কারো কাছ থেকেই তারা কিছু পায়নি, এই কথাটা বুকে হাত রেখে বলতে পারি। তবে অবাক লাগে যখন সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধা কোটার মত বিষয় নিয়েও বিরোধিতা করে। আমরা এতটাই হীনমন্য, যে ওদের সম্মান তো দিতে পারিই না, আবার কোটা নিয়ে কথা বলে প্রতিদিন একবার করে অসম্মান করে ছাড়ি!



প্রথম কথা হলো, মুক্তিযোদ্ধারা কোটা চাননি অথবা এর জন্যে আন্দোলন করেননি, করেছেন স্বাধীনতার জন্যে। তারা তা পেয়েছেন, তবে সাথে কতকিছু হারিয়েছেন একবার ভাবার অবকাশ পেয়েছেন কি? ৫০ বা ৬০ এর দশকের পূর্ব প্রজন্মের শেষ চলে এসেছে। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাই তাই জীবনের শেষ প্রহরগুলো গুনছেন। সে সময়ে এমনিতেও শিক্ষার হার ছিল অনেক অনেক অনেক কম। তার উপরে শিক্ষা ব্যবস্থা ৭০ এর দিকে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছিল। একটু ভেবে দেখুন, ১৭-২১ গর বয়স বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল, এবং সেটি তাদের মেট্রিক পরীক্ষার বা কারো HSC পরীক্ষার সময় ছিল। যারা আগে থেকেই পড়াশোনায় ছিল না, তাদের কথা বাদ দিয়েই ভাবুন, সে অবস্থায় অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন এবং যুদ্ধে যান। ফিরে এসে ভাঙ্গাচোরা স্কুলঘর ও মৃত মাস্টার সাহেব কেই শুধু পান তারা, অনেকেই পরিবার হারিয়ে সংসারের জোয়াল কাঁধে তুলে নিতে বাধ্য হন। ফলাফলে বিশাল নিরক্ষণ জনগোষ্ঠী পরিনত হয়, যাদের মধ্যে বড় একটি অংশ হলো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা। শহুরেদের এই বিষয়ে কতটুকু ধারণা জানা নেই, আসল যুদ্ধ ও বেশি মানুষের অংশগ্রহন কিন্তু গ্রামভিত্তিকই ছিল। শহুরেরা বেশিরভাগ পালিয়ে যান ভারতে।

(আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিরক্ষর অংশ নিয়ে বলছি) নিরক্ষর এই গ্রামবাসীরা নিজেরা শিক্ষিত হননি, এবং উক্ত সময়ের প্রতিকুলতা ও সচেতনতার অভাবে নিরক্ষর পিতারা রেখে গিয়েছেন একটি নিরক্ষর পরবর্তী প্রজন্ম। গ্রামে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়ে গেছেন, যাদের সন্তান কম শিক্ষিত বা সম্পূর্ণ অশিক্ষিত। রাজাকারদের সাথে হাত না মেলানো এই মহামানবগুলোর আগে কি ছিল বাদ দিলাম, একাত্তুরের পরে হয়ে পড়েন বেশ গরিব। সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্যে যেখানে পাঠানো প্রয়োজন সেখানে না পাঠানোর ব্যর্থতা তাই মোটামুটি অনিবার্য। যারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চাকরি বা শিক্ষার বাজারে হয়ে পড়েন অনাকাংখিত! তাদের জন্যে তাই অবশ্যই কোটা একটি ভালো সহায়ক।



আরেকটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অনেক মুক্তিযোদ্ধা, যারা কোনভাবে অক্ষম, তাদের পরিবারের সক্ষমতার দায়িত্ব কে নেবে? এটি তো রাষ্ট্রের ঋণের মত! তাদের সংসারকে একটি শক্তিশালী ভিত দেয়া। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা-সন্তান কোটা একটি "পজেটিভ" জিনিস। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন মান উন্নয়ন হয়নি, তাই আমার সায় নাতি-নাতনি কোঠার পক্ষেও। কিন্তু বিষয়টি যেন এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে সে বিষয়ে আইন হওয়া উচিত। কারণ অর্থনীতির মতে, তিন প্রজন্ম পুরনো পূর্বপুরুষের প্রভাব জীবনমানে খুব সমান্যই থাকে, বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারে। তিন প্রজন্ম পরে অর্থনৈতিক চক্র অনুসারে দারিদ্র্য ঘুরে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।



আমার জানা তথ্য অনুসারে: বিসিএসে মোট আসনের ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ১০ থেকে ৫ শতাংশ রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে এবং সরকারী চাকুরিতেও বড় একটি অংশে কোটা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের(এখন নাতি-নাতনিও বলতে হপে!)।



এটিকে ভালো বলতে পারছিনা, কারণ অনেক ক্ষেত্রেই(বিশেষ করে BCS) কোটার আসন ফাঁকা পরে থাকে অপ্রজাপ্ত প্রার্থীর অভাবে। কোটার প্রার্থী শেষ হয়ে গেলে কি পরবর্তী মেধাবীদের দিয়ে দেয়া যায়না!? এই সামান্য নিয়ম বৈচিত্র যে বিষয়টির কার্যকারিতা কতটা বাড়াতে পারত সেটি নিয়ে কি কেউ(প্রশাসন) একবার ভাবলেন না?



মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রাষ্ট্র চাইলে গড়ে দিতে পারবে, কিন্তু সেক্ষেত্রে "সত্যিকার" মুক্তিযোদ্ধা ও যাদের প্রয়োজন তারা কতটা পাবে আর যাদের প্রয়োজন নেই, তারা কতটা নিবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার থেকে কেউ বেশি জানেনা।



যারা বলেন কোটা বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের মত অনেক দেশেই রয়েছে:



ভুল। কিছু মানুষের কাছে জাতির দায় থেকে যায়। আগে বিশ্ব দেখেন, তারপরে মন্তব্য করবেন প্লিজ।



# ভারতে মুক্তিযোদ্ধা ও সুবিধা বঞ্চিতদের জন্যে কোটা সিস্টেম বিষয়ে পড়ুন। আমাদের মত প্রকট না হলেও পদ্ধতিটি ওখানেই রয়েছে, আর এত বড় জনসংখ্যার দেশ হয়েও সুন্দরভাবে তা প্রক্রিয়াও করা হচ্ছে।

#UK তে কোটা পদ্ধতির ব্যবহার।

এছাড়াও আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে। বিশ্বের সব দেশেই সুবিধা বঞ্চিতদের সুবিধাটি দেয়া হয়, তবে আমাদের ক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত হলেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা(যেটি বাস্তবতা) এবং এটি অনেকের সাথেই আমাদের মিলবেনা, তাই বিশ্বের সাথে তুলনা করবেন না, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের "অতুলনীয় রক্ষাকর্তা ছিলেন।"



আমি যেখানে আছি, মালয়েশিয়া, এখানে কোটার ছড়াছড়ি বলতে পারেন, কিছু কন্সট্রিটিউশন দ্বারা নির্দেশিত তবে বেশিরভাগই অলিখিত এবং আশ্চর্যরকমের নিয়ন্ত্রিত! তিনটি ভিন্ন মেইন রেস(চীনা, তামিল ও মালায়) মিলে এই দেশ অথচ কোন ধর্মীয় বা কাজের ক্ষেত্রে ক্ল্যাশ নেই! একদল ব্যবস্যা দেখছে, একদল এডমিনিষ্ট্রেশন! যেটি শুধুমাত্র মৌখিকভাবে দেওয়া সুবিধার প্রকাশ। এছাড়াও নাগরিকদের আলাদা সুযোগ সুবিধা সব দেশই দেয়(বাংলাদেশ দেয় না, পারলে বিদেশীদের সুবিধা দিয়ে দেশীদের বারোটা বজায়)।



রাষ্ট্র ও আপনার আমার সবার দায় রয়েছে ওদের কাছে। সংরক্ষিত হলে ওটি ফেলে রাখা না হলেই এ সংক্রান্ত সকল সমস্যার অবসান হবে বলে মনে করি, তাই তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখে কোটা পদ্ধতি চালু থাকুক, এর পক্ষে রয়েছি আমি। কারণ আমি এমনটি ভাবতেও পারিনা যে তাদের কোটা কেড়ে নেয়া হচ্ছে!! কি দিয়েছে এমন যে কেড়ে নিয়ে যায়!?



# আজ পর্যন্ত সকল মুক্তিযোদ্ধার যেখানে আবাসন ও খাদ্য নিশ্চিত করা যায়নি, তাদের পরিবারকে চলার মত করা যায়নি, তাদের কাছে আমাদের ঋণ এখনো ফুরিয়ে যায়নি কিন্তু!



# নিশ্চিত করা যায়নি ওদের চিকিত্সা, অনেক মুক্তিযোদ্ধা ধুঁকে ধুঁকে মরে গেছে, অনেকে মৃত্যুর মুখে, অসহায় দিন গুনছেন। রাষ্ট্রের দিকে হতাশ চোখে তাকিয়ে যখন একটি মুক্তিযোদ্ধা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন, আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত তখন। কারণ সেটি এই বাংলার বুকে একটি ক্ষত।



# ১০০০ টাকা ভাতা ধরিয়ে দিয়েই সরকার দায় সেরেছে, এবং বলাই বাহুল্য ওটি জায়গামত পৌছে না।




তাদের এসব সমস্যার সমাধান যদি প্রথমেই হত, হয়ত আজও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কোটার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতনা। তাই তাদের যে সময়টুক প্রয়োজন, সেটি দেওয়া উচিত। আর তাদের চিকিত্সা ও সমস্যা দেখবার জন্যে এখনি ব্যবস্তা না নিলে খুব সিঘ্রই বাংলাদেশ পরিনত হবে "০ মুক্তিযোদ্ধার দেশে!" আমরা তখন স্মৃতি সৌধ ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়েই কাজ সেরে নেব। বধ্যভূমিতে ঘুরতে গিয়ে ছবি তুলে ভাব নেব, ওই পর্যন্তই। কারণ সম্মান যার প্রাপ্য, তাদের আমরা কোনদিনই দেয়নি, এটি জাতির সবথেকে জঘন্য বৈশিষ্ট।



পরিশেষে আপনাদের উদ্দ্যেশে সবথেকে জরুরি কথাকটি বলতে যাই,



যাদের এই কোটা পাবার সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্য হয়নি, তাদের বলি, You do not know mostly how a freedom fighters family lives or survived ! আমি দেখেছি, আমি জানি। আমার বাবা নিজের পায়ে ভালোভাবেই দাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তার অনেক মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুদের দুর্দশা দেখে আমার চোখের পানি আমি ধরে রাখতে পারিনি। চিকিত্সার অভাবে আমার সেসব আন্কেলদের পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে দেখছি, কেউ তাকিয়ে দেখেনি। সাহায্যের জন্যে হন্যে হয়েছে সবাই, "মুক্তিযোদ্ধা সংসদ" থেকে অনেক চেষ্টার পরেও কিছু হয়নি। স্বাধীনতার লজ্জা নিয়ে চলে গেছেন ওনারা, সেই তাদের নিয়ে বা তাদের পরিবার নিয়ে যখন আপনারা খারাপ কথা বলেন, আমি সত্যি অবাক হই।

আমি আমার বাবার চলে যাওয়া দেখেছি, উনি অসুস্থ হয়ে চলে যান আমাদের ছেড়ে, রাষ্ট্র শুধু ওনার মৃত্যুর পরে "রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন" করেই দায়িত্ব সেরে দিয়েছে। আমিও খুশি আছি, কোনদিন ব্যবহার করবনা ওই সর্টিফিকেট, কারণ আমার প্রয়োজন নাই। আমার পরিবার ব্যবহার করেনি, কিন্তু অনেকের ওটিই শেষ ভরসা। সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের আত্নসম্মানে আঘাত দিবেন না প্লিজ। ওই পরিবারগুলোর অনুগ্রহেই মাস শেষে মাইনে পাচ্ছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, BCS দেবার ইচ্ছা হচ্ছে। ওনারা না থাকলে হয়ত চাষাবাদ করতে হত, আর দিয়ে আসতে হত পশ্চিম পাকিস্তানে।



একটি সাধারণ জীবন আর সম্মান ওদের বেশি প্রয়োজন ছিল, পায়নি। নাই মামা যেটুক আমরা করছি, সেটুক নিয়ে অন্তত প্রশ্ন তুলবেন না। হ্যা পরিবর্তন না, বরং এটির পরিমার্জন আমারও কাম্য।।



আমি বুঝি আপনাদের হতাশার জায়গাটি, যখন দিন রাত এক করে দিয়ে একটি জায়গায় পৌছানো সম্ভব হয়না, তার ফ্রাস্টেশন আমি বুঝি। তবে সঠিক ব্যবস্থা(খালি থাকা আসন মেধাবীদের মধ্যে বন্টন) পারত আপনাদের ও তাদের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে। আপনারা সেটির পক্ষেই বরং দাবি তুলুন, আমিই সাথে থাকব।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: একবার পোস্ট করেছিলাম! পানি খেয়ে এসে দেখি, কারো চোখে পরার আগেই দেখি দ্বিতীয় পাতার শেষে ঘুমাচ্ছিল পোস্ট!! যা হোক, বানান ভুল হকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন... আর তথ্যগত কোনো ভুল হয়ে থাকলে শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ হব...ধন্যবাদ :#>

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২

শয়ন কুমার বলেছেন: আমরা এতটাই হীনমন্য, যে ওদের সম্মান তো দিতে পারিই না, আবার কোটা নিয়ে কথা বলে প্রতিদিন একবার করে অসম্মান করে ছাড়ি!

প্রথম কথা হলো, মুক্তিযোদ্ধারা কোটা চাননি অথবা এর জন্যে আন্দোলন করেননি, করেছেন স্বাধীনতার জন্যে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ......আপনাকে

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪

মেলবোর্ন বলেছেন: শুরু হোক নতুন দিনের, উজ্জল বাংলাদেশের, "সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।"

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বাংলাদেশ চিরজীব হোক......... আর সম্মানিত হোক সোনার সন্তানেরা...

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৬

কালকূট ভালবাসা বলেছেন: আমার জন্ম-জন্মান্তরের সকল সম্মান তুলে রেখেছি শুধু তাদের উদ্দেশ্যে । ধন্যবাদ ও ভালোলাগা রইল ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনাকে শ্রদ্ধা ভাইয়া, মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ...

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৭

লোনলিফাইটার বলেছেন: আমি তখন পড়ে কমেন্ট করলাম দেখি পোস্ট নাই।আমি ভালো আছি ব্রো :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কষ্ট করে আরেকবার দিয়েন, তখনের জন্যে স্যরি... মতটি জানিয়ে যাবেন আশা রাখলাম.......

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৩

তারছেড়া লিমন বলেছেন: শয়ন কুমার বলেছেন: আমরা এতটাই হীনমন্য, যে ওদের সম্মান তো দিতে পারিই না, আবার কোটা নিয়ে কথা বলে প্রতিদিন একবার করে অসম্মান করে ছাড়ি!

প্রথম কথা হলো, মুক্তিযোদ্ধারা কোটা চাননি অথবা এর জন্যে আন্দোলন করেননি, করেছেন স্বাধীনতার জন্যে।


আমার বন্ধুর বাবা ও এক জন বীর মুক্তিযোদ্ধা । তিনি কিছুদিন আগে আফছুস করে বলছিলেন লিমন তখন ঔ সার্টিফিকেট না নিয়ে ভুল করেছি আজ ঔটা থাকলে আমার ছেলের চাকুরীতে কাজে লাগতো......... আমি যেই বলেছি কেন নিলেন না............. তিনি রেগে বললেন আমি ঔটার জন্য যুদ্ধে যাই নি............

এইটা একটু দেখে আসবেন ভাই....

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনাকে শ্রদ্ধা, মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ...

আপনার পোস্টটি আমি পরেছি, প্রথম ভালো লাগাটি আমারই.... আশা করি কেউ না ফাসুক.. তবে দোষীদের বিচার চাই...

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩১

াহো বলেছেন: ধন্যবাদ

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ...

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩২

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: অলি এইটা কি লেখছেন আপনি ? !!
পুরা টাশকি খাইছি ।
অসাধারন ভাল লাগছে । তথ্য সংগ্রহ করে যে এভাবে নিজের মত লেখা যায় ধারনাতে ছিল bt দেখিনি কখনো ।
অনেক ভাল লাগছে ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভাইয়া, ক্ষোভ থেকে লিখলাম.. আপনার ভালো লাগলে কৃতজ্ঞ.. কিছু মানুষ বুঝতে চায়না... তাই লেখলাম....

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: "ওদের সম্মান করতে শিখুন। গর্বের মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকাটি ওদেরই অবদান। "

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক বেশি ধন্যবাদ আপনাকে...........

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৭

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: অসাধারন ভাল লেগেছে ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক বেশি ধন্যবাদ আপনাকে...........

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫৯

মরু বালক বলেছেন:
.
.
.
.
শুরু হোক নতুন দিনের, উজ্জল বাংলাদেশের, "সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।".
....
উচ্চশিক্ষায়.
আমার এখানে একজন কোটাধারীর জন্য দুজন ৯২% পাওয়া মেধাবী ছাত্র বৃত্তি পায় নাই। একজনের নাম আমীন অন্যজন শাহাদাত'' (একজন অপেক্ষমাণ)
বৃত্তি নিতে হয় এম্বেসির মাধ্যমে, তাদের মাধ্যমে অসাদুপায় অবলম্বন করে কোটার মাধ্যমে তিনি পান, তার ছিল ৭৩%।
তিন মাস পর
মজার বিষয় হল কোটাধারী ৫ টা সাবজেক্টের মধ্যে সব কটাতে ফেল মারিয়াছেন!!!!!! তিনি পড়াশুনা ছেড়ে অন্য ধান্ধা করেন,
কেন??????? কেন???
অন্তত একটি মেধাবী ছাত্র সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারতো।

কোন মেধাবী কি ''বলদ'' এমন কোটাধারীদের ছাড় দিতে রাজি হবে????
কোন মেধাবী যেন কোটার বলি না হয় , এ কামনা.......

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: একটু ভালো করে পড়েন, বুঝতে পারবেন আমি কি বলেছি.. এটি মোটেও কাম্য নয়..
মুক্তিযোদ্ধার কোটা থেকে যারা পাবার পাওয়ার পরে যদি কোটা ফাকা থাকে টা মেধাবিদের্কেই দা উচিত.. আমার পোস্ট পড়লে বুঝতে পারবেন, মুক্তিযোদ্ধা দের কেন "সুবিধা বঞ্চিত" বা পিছিয়ে পড়া বলা যায় অ কোটার যৌক্তিকতা..... তবে অযৌক্তিকভাবে ফেলে রাখা সমর্থন করিনা!!

আর এত মেধাবী যে ছেলে, তার জীবন কোনভাবেই থেমে যাবেনা, সে কিছু একটা করবেই! আর যে ফেল মেরেছে, সে একদিন পাশ করে হয়ত পরিবারের হাল ধরবে তাদের খাবার জুটবে.....

আপনি বুকে হাত দিয়ে বলেন, মামা কোটা-চাচা কোটা-দাদা কোটা আছেনা? নেতা কোটা, নেত্রী কোটা.আওয়ামিলিগ কোটা, BNP কোটা আছেনা? দল কোটা লিগ কোটা কোথায় নাই?

মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কথা বলা তাদের অপমান, কিন্তু সিস্টেমে সমন্নয় করে মেধাবীদের প্রতি সুবিচার করা উচিত বলে মনে করি, পোস্টেও তাই বলেছি

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৪

নর্থপোল বলেছেন: আপনি তো এই কথাই বলবেন। দেখছি তো, দেশের মুক্তিযোদ্ধারা দলবাজির নামে কি করছেন। দেশের মাটি বেচা খালি বাকি। অবসর সীমা ৬৫, সন্তান কোটা, নাতি কোটা কি নাই। দেশটা যেন খালি তাদেরই। স্বার্থের বেলায় সব শেয়ালের এক রা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনি মনে হয়না পোস্ট পড়েছেন .... মেধাবীদের বঞ্চিত না হবার জন্যে সিস্টেম করার কথা আমি বলেছি.... তবে মুক্তিযোদ্ধাদের কতজন চাকুরিজীবি হিসেব জানেন? বেশিরভাগ অশিক্ষিত .. রদের পরিবার চরম দুর্ভোগে আছে.... আর দেশটা যারা দিল দেশ তাদের না তো যারা ভারতে পালিয়েছিল আর রাজাকার ছিল তাদের নাকি? যা বলছেন, চাকরি-BCS - পড়াশোনা, এসব তো ওনারা দেশ স্বাধীন না করলে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত!! ওরা দিত এডমিনিস্ট্রেশন কন্ট্রোল করতে? হয় পিয়ন নাহয় চাষা হত আমাদের পরিচয়!!!! অথবা বেশি জ্ঞান দেখলে গুলি করে রেখে যাইত(সেই কাজই হচ্ছিল আগে) !!

ভাই ওনারা হচ্ছেন দেশের শেকর, যেটি দাবিয়ে আপনার মত ডালপালার মেলতে পারবেনা.. কথাটা বুঝেন...
আর পোস্ট না পরে মন্তব্য করবেন না, আমার বাবা কিছু নেননি, তার আমি নিজের মত ক্যারিয়ার গড়ে নিয়েছি প্রায়.. আমাদের সবাই নিজের পায়ের দাড়িয়েছি... তাই আমার বাবা যে একজন মুক্তিযোদ্ধা এটি আমার কাছে সুধুই গর্বের... তবে মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা আমার কাছে ঠিক ততটাই লজ্জার... যেটি আপনিও দিলেন... ধন্যবাদ......

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২১

মরু বালক বলেছেন: .
.
.
.
মেধাবীদের প্রতি সুবিচার করা উচিত বলে মনে করি,
.....
আর উপরের দুজন এখন অন্য জায়গায় চলে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ এবং তার কোটার প্রতি তারা এতো বেশি অবজ্ঞা করেচিলেন !!!! ।


০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বাদ দেন ভাই, বাংলাদেশ শব্দটার জন্মদাতাদের বাংলাদেশের সন্তানেরা যা ইচ্ছে তাই বলুক..... তাতে কি এসে যায়? দেশের জনকরা তো জনকই ......

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩০

নাফীস কাজী বলেছেন: • বিশ্বের ৫৯তম ধনী রাষ্ট্র।

এই লেখাটা দেইখা এমুন টাস্কি খাইছি যে এখনো মুখ হা হইয়া আছে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*:-*

কৈ পাইলেন এমন খবর। জলদি সোর্স দেন ... :-/:-/:-/

আর পোস্ট সম্পর্কে বলব, যখন দেখি প্রতি সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট আপডেট হয় তখন খুব খারাপ লাগে।:| সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা রিকশা চালায় আর আপডেটেড মুক্তিযোদ্ধারা কোটার ফায়দা লুটে।X(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ২০১১ সালের গার্ডিয়ানের একটি কলামে জীবনমানের উপর ভিত্তি করে এই তথ্য প্রদান করা হয়........ পঞ্চম সুখী রাষ্ট্র ও কিন্তু!!

আপনার সাথে সহমত, সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকে করে সংবিধানে সংখ্যা সহ উল্লেখ করে সিল করে দেয়া উচিত, যাতে নতুন নতুন না জন্মায়!! তবে আমি এমন অনেক গরিব মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি, যাদের কোনো ডকুমেন্ট নাই.. সময় মত যোগাযোগ না করলে পাওয়াও যায়না......

কতার অপব্যবহার রোধ করতে হবে... এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কোটা বৈধ ও স্বজনপ্রীতি বর্জন করলেই মেধাবীরা মূল্যায়িত হত!! টাকা ওয়ালা প্রশ্ন কিনে নেই, চাকরি কিনে নেই, আর ক্ষমতা ওয়ালারা চাকরি শিক্ষা পকেটে করে নিয়ে বেরয় আর জায়গা মত বিতরণ করে! আর সব দশ নন্দ ঘোষ মুক্তিযোদ্ধাদের.. দেশ নাকি বেঁচে খেয়ে ফেলল এরাই, ভাত জোটেনা অনেক মুক্তিযোদ্ধার, আর ওদের কথা শুনেন!!

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: উচ্চ শিক্ষায় কোটা যা রাখা আছে, বিসিএস-এও একই কোটা রাখা গেলে আরো বেশি মেধাবী ছাত্র সুযোগ পেত।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: একমত, দুকূলই রক্ষা হতে পারত......

চিন্তাভাবনা করে এই বিষয়ে কাজ করা উচিত ...... চিন্তাভাবনাকারীরা মোটা মাথায় ভেবে চলেছে, নো রেজাল্ট... কর্তৃপক্ষ! ইহ!

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুম, আমার ছোট্ট বেলার সেই গালওলা দীলিপ কাকা। গলার প্ল্যাকার্ডে লেখা আমি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। আমি গান গেয়ে ক্ষুধা মেটাই। আমাকে একটি গান শোনাবার সুযোগ দিন।




যোগ্যতম তার যোগ্যতম স্থান বুঝে পাক সেটাই প্রত্যাশা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: :( :( :( :(

১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: জানা-অজানা সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আমার লাখো সালাম। তোমরা চির কালই আমার শ্রদ্ধার আসনে থাকবে।

সারা দুনিয়াতেই সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কোঠা প্রথা আছে। এমনকি দুনিয়ার বড় বড় ভার্সিটিতেও ভর্তির জন্য কোঠা আছে নানান লেভেলের সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনার কথাগুলোই ফ্যাক্টস..... অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্যে

১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

রাফা বলেছেন: শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ বলে, পিতাকে হারিয়েছি ঠিকই কিন্তু পিতা আমার জন্য পুরো একটি বাংলাদেশ রেখে গেছে।ভাবতেই ভালো লাগে এই পুরো দেশটাই আমার।

আমিও আপনার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলছি দয়া করে ওদেরকে ওদের প্রাপ্য সন্মানটুকু দিন।ওরা আপনাদের পুরো একটা স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে।

ধন্যবাদ

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমরা অনেকেই তাদের এই সমান আবেগটুকুরও মূল্য দিতে চাইনা, বাঙালি হয়েও কেন যে আমরা এত বেশি পাকিস্তানিদের মত আচরণ করি জানিনা..... মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্দশার ইতি ঘটুক... তারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, সেখানকার মানুষেরা কোটি কোটি টাকার উপরে হাটছে আর তাদের রিক্সা চালাতে হয়!!! এসব মেনে নেয়া খুব কঠিন..... আর এই "সাহায্যহীন" পরিস্থিতিতে আমরা তাদের সবকিছু নিয়ে অপমান করি, এমনকি তাদের দেয়া অধিকার নিয়েও.....

আপনাদের সাথে মতের মিল হওয়ায় খুব ভালো লাগছে.......

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা রিকশা চালায় আর আপডেটেড মুক্তিযোদ্ধারা কোটার ফায়দা লুটে।হায়রে আমার বাংলাদেশ

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সত্যিকার বা এখন পর্যন্ত যারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় যারা আছেন, তাদের সঠিক সম্মান দেওয়া উচিত.... আপডেট ঘোষণা দিয়ে আইন পাশ করে বন্ধ করা উচিত...

২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিভিন্ন কোটাপ্রথার কথা বাদ দিলে মুক্তিযোদ্ধারা সেরা সন্তান।

এখন যে নাতি-পুতিরা কোটার খাবার খাচ্ছে এটা খারাপ লাগে।



০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সেরা সন্তানদের না খেয়ে মরতে হচ্ছে, তাদের সন্তানাদি পিছিয়ে পড়া তাই চাকরি পাচ্ছেনা, সে সূত্রে তাদের নাতি পুতিও উঠে দাড়াতে পারেনি... সহজ বিষয় ব্রাদার...তবে যেমনটি পোস্টে বলা আছে, এ পর্যন্তই থাকা উচিত বলে মনে করি....

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

উঠতে হলে সবাইকে নিয়েই ঊঠতে হবে। কেবল মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরাই সরকারী চাকরি কোটার মাধ্যমে পেয়ে যাবে তাহলে সেটা সাধারণ নাগরিকদের সাথে অবিচার করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সুবিধা নিয়েছে। আরো নিক। কেবল কোটাটা বাদ দিন।


০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: যে দেশ কে উঠানোর কথা ভাবছেন, তার জন্ম নিয়ে কিছু ভাবার নাই?

হ্যা সবাইকে উঠতে হবে, তাই নারী কোটা, আদিবাসী কোটা র মত মুক্তিযোদ্ধা কোটাঅ রয়েছে, যাতে মেধাবীদের সাথে সাথে এদের জীবন মান পরিবর্তন হয়.... আপনার কথায় ঠিক, তবে উল্টা অর্থে

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

আঁধার রাত বলেছেন: অনেক বছর আগে ঘি খেয়েছিল আজো তার গন্ধ হাতে অম্লান। সার্ভিস বেনিফিট কি কম পেয়েছে বা পাচ্ছে? গুষ্টি সহ পাচ্ছে?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনার তাদের প্রতি অশ্রদ্ধাটুকু নিয়েই অনেকটা জুড়ে লিখেছি ভাইয়া... সার্ভিস বেনিফিটের কথা বলছেন? গুটি কয়েক এমন সোনার হরিনের দেখা পেয়েছে !! বিশ্বাস করুন, বেশিরভাগ দৈন্যতার সাথে জীবন পার করে দিয়েছে!!!
শুধু মুক্তিযোদ্ধা নয়, আরো অনেক গুলো কোটা আছে, ৪৫% মাত্র মেধাবীদের জন্যে এমনও আছে, তবে সেটুকুও কি মেধাবীরা পায়? নাকি মামা চাচা ও নেতা ধরে বা টাকার জোরে বাগিয়ে নেই অনেকেই? জবাবটি দিবেন প্লিজ.... তবে আমি ইটা সমর্থন করিনা যে ৩০% জায়গা একদম দখল করে থাকুক তারা, কারণ ফাকা পরে থাকে অনেক, আর সেগল মেধাবিদেরকে দেওয়া হয়না!! ওদের কম দেয়া হোক, না দেয়া হোক, তাও অপমান না করা হোক! আপনার মত অনেকে যেন ওদের লোভী ও সুবিধাবাদী হিসেবে ট্রিটনা করে সেটি চাইব ....নতি পর্যন্ত যথেষ্ট, আর বেশি দেওয়া আসলেই ঠিক হবেনা মনে করছি.... .

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

রীতিমত লিয়া বলেছেন: তথ্যপূর্ণ অনেক ভাল লিখেছেন। তবে মেধবীদের মেধাঁর মূল্যায়ণ হোক এটা চাই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমিও চাই, মুক্তিযোদ্ধাদের অসহাযত্ত্বের কারণ গুলো শুধু তুলে ধরতে চেয়েছি, যাতে সবসময় Unfair মনে করাটা মানুষ বন্ধ করে........ কোটার হার এত বেশি, এটি ওদের দশ না, ওরা এমনই ব্যবহারও করে না, তাই প্রতিবছর গড়ে যেখানে যত শতাংশ ব্যবহার হয় তা বাদে বাকিটা মেধাবীদের প্রাপ্য...

সরকারের এই বিষয়ে ভাবা উচিত.. দু কুলই রক্ষা হোক ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে দেয়া হোক.. এগুলো রাষ্ট্রের কাছে তাদের দাবি. কারণ রাষ্ট্রের জনক ওরাই...

২৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট ভ্রাতা +++++++++++++++ :(

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতাশ্রী!!!! ভালো থাকবেন সবসময়!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.