![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা ও ছবি সব এই গ্রুপ এরঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-E-Islami)
কুকর্মকারী জানোয়ার এর আইডিঃ http://www.facebook.com/bdjamaat
(১)
পাকিস্তানীরা বাঙালিদের শোষণ করেনি। পাকিস্তানীরা ছিলো শিক্ষিত। বাঙালিরা ছিলো অশিক্ষিত। যারা শিক্ষিত তারা বেশি দাম পাবেই। বাঙালিরা সবচেয়ে অযোগ্য। পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ ছিলো অশিক্ষিত ও ইংরেজীতে দুর্বল। আগেকার বইগুলো থেকে দেখা যায়- পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতা হার ছিলো অত্যন্ত কম। ১) আপনার ৫ ছেলে, তাহলে আপনি আপনার সম্পত্তিকে কিভাবে ভাগ করবেন তাদের মধ্যে?
উত্তরঃ ২০% হারে সমভাবে ভাগ করা উচিত। পাকিস্তানের ৫ ছেলে, পাকিস্তানের ৫ প্রদেশের বরাদ্দ হয়েছে ২০% হারে, প্রোভিনশিয়াল সিস্টেম অনুযায়ী এটা ঠিক আছে। কিন্ত বাঙালি এটাকে ভেবেছে – পূর্ব ও পশ্চিম হিসেবে, ফলে তাদের মনে হয়েছে পশ্চিম পেল ৮০% আমরা পেলাম ২০%। অনেকেই বলে বাঙালি ছিল ৫৬% তাই বাঙালিরা বেশী পাবে কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। কেউ যদি সামান্য এইটুকু জায়গায় গণহারে বাচ্চা পয়দা করবে, তার দায়ভার পাকিস্তানীরা নেবে কেন? যার বাচ্চা সে খাওয়াবে, পাকিস্তানীরা খাওয়াবে কেন? তখন পাকিস্তানীদের জন্মহারের চেয়ে বাঙালিদের জন্মহার ছিলো অনেক বেশি। বাঙালি ছিলো অদক্ষ, উচ্চতা কম শারীরিক কাঠামো দুর্বল। ফলে তারা আর্মিতে চান্স পাওয়ার যোগ্য নিশ্চিতভাবেই নয়। বাঙালি যদি দক্ষই হতো তবে- এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে এতদিনে ১ম হতে না পারুক অন্তত ৫ম-ষষ্ঠ হতে পারতো? কিন্তু পারে না। শেষ অবস্থানে আগেও ছিলো এখনো আছে। সাফ গেমসে পাকিস্তানের চেয়ে কম পদক পায় কেন? কেননা বাঙালির শরীর উচ্চতা সামর্থ্য কম। পাকিস্তান অনেক বারের হকি চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু বাংলাদেশ একবারও হকি চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছে? পাকিস্তানী সালওয়্যার কামিজ বনাম বাংলাদেশী? হাতের কাজ কাদের ভালো? পাকিস্তানী জুস বনাম বাংলাদেশী জুস? পাকিস্তানী বেডশিট বনাম বাংলাদেশী? পাকিস্তানী খাবার বনাম বাংলাদেশ খাবার? কোথাও বাংলাদেশীরা পাকিস্তানের সাথে তুলনীয় নয়।
(২)
জাহানারা ইমাম, জাফর ইকবাল দুজনই নাস্তিক এবং ইসলাম বিরোধী। আত্মা-ফাত্মার কথা বলে জাফর ইকবাল বুঝিয়ে দিয়েছে উনি কি পরিমাণ ভন্ড। জাহানারা ইমাম আমাদের নেতা সাঈদি, গোলাম আযম স্যারকে নিয়ে মিথ্যাচার করত। এখন শাহবাগের গাঞ্জাখোর নাস্তিক মালাউন বামরা তাকে পূজা করছে, তার ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে গান-বাজনা করে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি পালন করছে। শাহবাগ আন্দোলন হল ইন্ডিয়ান RAW এজেন্টদের ষড়যন্ত্র। তাঁরা এদেশের নাস্তিক-বামদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ইন্ডিয়ান RAW এজেন্টরা সব সময় এদেশে গোলমাল, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে এবং এখনো দেশে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পায়তারা করছে । এই ইন্ডিয়ার এজেন্টরাই ৬৯ এবং সত্তরে বাঙালিদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে ৭১-এ এদেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করেছিল। একাত্তরের আগের অখন্ড পাকিস্তান ছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তি, আরো কিছুদিন যদি পাকিস্তানের অখন্ডতা অটুট থাকত তাহলে পাকিস্তান হত এশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি এবং মালাউন ইন্ডিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তাই একাত্তরের আগে ইন্ডিয়ার এজেন্টরা বাংলাদেশের মানুষকে উসকে দিয়ে এদেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করেছিল। এরপর ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে পাকিস্তান ভেঙে দেয়। এরপর তারা পূর্ব পাকিস্তানকে নিজেদের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমেরিকা এবং চীনের ভয়ে সেটা পারেনি। তাই তাঁরা পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাদেশ নামকরণ করে সংবিধানে ইসলাম বাদ দিয়েছিল। ইন্ডিয়ার আরেক এজেন্ট মুজিবকে দিয়ে তাঁরা এদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা নাস্তিকতার প্রবেশ করিয়েছিল। এরপর ইন্ডিয়ানরা দুর্বল বাংলাদেশ ও বিখন্ড দুর্বল পাকিস্তানের উপর অত্যাচার চালানো শুরু করে, এখনো তারা সিমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশী এবং পাকিস্তানিদের খুন করে। এখন যখন জামাত ইসলামী তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে তাই তারা তাদের এজেন্টদের দিয়ে শাহবাগ আন্দোলন সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানীরা বাঙালিদের শোষণ করেনি। পাকিস্তানীরা ছিলো শিক্ষিত। বাঙালিরা ছিলো অশিক্ষিত। যারা শিক্ষিত তারা বেশি দাম পাবেই। বাঙালিরা সবচেয়ে অযোগ্য। পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ ছিলো অশিক্ষিত ও ইংরেজীতে দুর্বল। আগেকার বইগুলো থেকে দেখা যায়- পূর্ব পাকিস্তানে সাক্ষরতা হার ছিলো অত্যন্ত কম। ১) আপনার ৫ ছেলে, তাহলে আপনি আপনার সম্পত্তিকে কিভাবে ভাগ করবেন তাদের মধ্যে?
উত্তরঃ ২০% হারে সমভাবে ভাগ করা উচিত। পাকিস্তানের ৫ ছেলে, পাকিস্তানের ৫ প্রদেশের বরাদ্দ হয়েছে ২০% হারে, প্রোভিনশিয়াল সিস্টেম অনুযায়ী এটা ঠিক আছে। কিন্ত বাঙালি এটাকে ভেবেছে – পূর্ব ও পশ্চিম হিসেবে, ফলে তাদের মনে হয়েছে পশ্চিম পেল ৮০% আমরা পেলাম ২০%। অনেকেই বলে বাঙালি ছিল ৫৬% তাই বাঙালিরা বেশী পাবে কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। কেউ যদি সামান্য এইটুকু জায়গায় গণহারে বাচ্চা পয়দা করবে, তার দায়ভার পাকিস্তানীরা নেবে কেন? যার বাচ্চা সে খাওয়াবে, পাকিস্তানীরা খাওয়াবে কেন? তখন পাকিস্তানীদের জন্মহারের চেয়ে বাঙালিদের জন্মহার ছিলো অনেক বেশি। বাঙালি ছিলো অদক্ষ, উচ্চতা কম শারীরিক কাঠামো দুর্বল। ফলে তারা আর্মিতে চান্স পাওয়ার যোগ্য নিশ্চিতভাবেই নয়। বাঙালি যদি দক্ষই হতো তবে- এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে এতদিনে ১ম হতে না পারুক অন্তত ৫ম-ষষ্ঠ হতে পারতো? কিন্তু পারে না। শেষ অবস্থানে আগেও ছিলো এখনো আছে। সাফ গেমসে পাকিস্তানের চেয়ে কম পদক পায় কেন? কেননা বাঙালির শরীর উচ্চতা সামর্থ্য কম। পাকিস্তান অনেক বারের হকি চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু বাংলাদেশ একবারও হকি চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছে? পাকিস্তানী সালওয়্যার কামিজ বনাম বাংলাদেশী? হাতের কাজ কাদের ভালো? পাকিস্তানী জুস বনাম বাংলাদেশী জুস? পাকিস্তানী বেডশিট বনাম বাংলাদেশী? পাকিস্তানী খাবার বনাম বাংলাদেশ খাবার? কোথাও বাংলাদেশীরা পাকিস্তানের সাথে তুলনীয় নয়। শাহবাগে নাস্তিক-বাম, মালাউন এবং ভারতীয় এজেন্টরা “জয় বাংলা” শ্লোগান দিচ্ছে। অথচ এটি হল “জয় হিন্দ”-এর পরিবর্তিত রূপ। যারা মুসলিম হয়ে “জয় বাংলা” শ্লোগান দিচ্ছে সেইসব বেঈমানদের বলব “জয় বাংলা জয় হিন্দ, লুঙ্গি ছাইড়া ধুতি পিন্দ”।
(৩)
বাংলাদেশের মানচিত্রের ডিজাইন ইসলাম পরিপন্থী। সেজন্য এই চ্যাডের বালের মানচিত্র আমার পছন্দ না। যে মানচিত্রে চাঁদতারা নেই, যে মানচিত্রে কালেমা নেই সেটা কিভাবে একটা ইসলামিক রাষ্ট্রের মানচিত্র হয়? বানচোদ আওয়ামীলীগ আর ইন্ডিয়ার মালাউনদের ষড়যন্ত্রের কারণে আজকে বাংলাদেশের মানচিত্রে আল্লাহর কালিমা নেই। আসুন এই চ্যাডের বালের মানচিত্রকে পরিহার করি। আর ঘরে ঘরে আল্লাহর কালিমা খচিত পতাকা উত্তোলন করি। আল্লাহু আকবর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ইসলাম জিন্দাবাদ।
(৪)
আমি দুঃখিত যে আমাকে বাংলায় লিখতে হচ্ছে। আসলে আমি চাই উর্দুতে লিখতে কিন্তু আমার মুসলমান ভাইদের অনেকেই উর্দু জানেনা। তারা উর্দু, আরবি, ফারসির চর্চা ছেড়ে দিয়েছে। তারা আঁকড়ে আছে বাংলার মত একটা থার্ডক্লাস হিন্দুয়ানী ভাষা। বাংলা প্রকৃতপক্ষে হিন্দুদের ভাষা। এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। বাংলা এই পূর্বপাকিস্তান তথা বাংলাদেশেরও কোন ভাষা নয়। এটা কলকাতার হিন্দুদের ভাষা। হিন্দুরা লোম কাটেনা, প্রস্রাবের পর পানি দেয় না, হিন্দু মালাউনরা নাপাক। তেমনি তাদের এই বালের বাংলা ভাষাও নাপাক। বাংলার সাথে ইসলামী ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নেই। বাংলায় তেমন কোন মুসলমান কবি-সাহিত্যিক নেই। যা গুটিকয়েক আছে তারাও প্রকৃত মুসলমান নয়। তারা মালাউনদের খাস চামচা। হুমায়ুন আহমেদ নাস্তিক, হুমায়ুন আজাদ মুরতাদ, রবিঠাকুর মালাউন, কাজি নজরুল বিয়ে করেছে এক মালাউনকে, নজরুল লিখেছে শ্যামাসংগীত আবার লিখেছে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠছে। সুতরাং বাংলা পরিহার করুন। অনেক দুঃখের বিষয় শ্রদ্ধেয় গোলাম আযম স্যারকে সদ্য লোম গজানো অনেক বাচ্চা ছেলেপুলে ভাষাসৈনিক ডাকে। অথচ গোলাম আযম স্যারও এই হিন্দুয়ানী বালের বাংলাকে ঘৃণা করেন।
১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। আসলে এটি পাঠ করার কথা ছিল ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ বোসের। কিন্তু লিয়াকত আলীকে ভাষা আন্দোলনের দাবি সংবলিত মানপত্র পাঠ একজন হিন্দু ছাত্রকে দিয়ে করালে তিনি বুঝে যাবেন এটা চ্যাটের বালের মালাউনদের ষড়যন্ত্র¬ এ আশংকা থেকেই একজন মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযম স্যারকে সেটা পাঠ করতে দেয়া হয়েছিল। অর্থাৎ গোলাম আযম স্যার বাধ্য হয়েই এই কাজটি করেছিলেন। গোলাম আযম স্যার স্বীকার করেছেন, এই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নিতান্তই আকস্মিক। তার ভাষায়, ’৪৯-৪৯ সালে ইউনিভার্সিটি ইউনিয়নের নির্বাচন না হওয়ায় এ সেশনেও জিএস-এর দায়িত্ব আমার উপরই রইল। কিন্তু হলে না থাকায় আমার জন্য এ দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়লো। তাই ভারপ্রাপ্ত জিএস হিসেবে নির্বাচিত সদস্যদের একজনের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ’৪৮ এর ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নিকট পেশ করার জন্য একটি মেমোরেন্ডাম (স্মারকলিপি) রচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভিপি আবদুর রহমান চৌধুরীর উপর (যিনি বিচারপতি হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন)। একটি কমিটি স্মারকলিপিটি চূড়ান্ত করে। ইউনিভার্সিটি ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস চ্যান্সেলর ড. সৈয়দ মুয়াযযাম হোসেন তখন বিদেশে থাকায় ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর জনাব সুলতানুদ্দীন আহমদকে সভাপতিত্ব করতে হয়। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের পর তিনি গভর্নর হয়েছিলেন। ছাত্র মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর সামনে মেমোরান্ডামটি কে পাঠ করে শুনাবে এ নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলো। ছাত্র ইউনিয়নের ভিপির উপরই এ দায়িত্ব দেওয়া স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু স্মারকলিপিতে পূর্ব পাকিস্তানের অনেক দাবি-দাওয়ার তালিকায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ থাকায় সবাই একমত হলো যে, ঐ পরিস্থিতিতে একজন হিন্দুর হাতে প্রধানমন্ত্রীকে তা পেশ করা মোটেই সমীচীন নয়। কারণ মুসলিম লীগ সরকার রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পেছনে হিন্দুদের হাত আবিষ্কার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হিসেবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে ছাত্রইউনিয়নের জিএস গোলাম আযমকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ ১৯৫২ সালের ৬ মার্চ রংপুর কারমাইকেল কলেজের প্রভাষক থাকা অবস্থায় গোলাম আযমকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৫০ সালে তার উর্দু শেখার ঘটনার উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘…আমাদের আমীর উর্দুভাষী হওয়ায় উর্দু শোনা ও বুঝার সুযোগ পেয়ে ভালোই লাগলো। উর্দু ভাষার এক প্রকার মিষ্টতা আছে, যার কারণে শুনতে শ্রুতিমধুর মনে হয়।… আমাদের আমীর উর্দুভাষী হলেও কোলকাতার অধিবাসী হওয়ায় বাংলা মোটামুটি বুঝেন ও কিছু কিছু বলতেও পারেন বলে আমাদের জন্য শিখতে সহজ হলো। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনের সময় উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকায় উর্দু শিখবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সে ক্ষোভ আর রইল না। উর্দু শেখা শুরু হয়ে গেলো।‘’ (জীবনে যা দেখেছি, ১ম খন্ড, পৃ: ১১২)
পাকিস্তানি আমলে ১৯৭০ সালের জুন মাসে, পশ্চিম পাকিস্তানের সাক্কার শহরে এক বক্তৃতা প্রসঙ্গে গোলাম আযম স্যার ‘খোদার সেরা দান’ বাংলা ভাষা ও ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল এবং তিনি নিজে এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য দু:খিত। গোলাম আযম স্যার বলেন, উর্দু হচ্ছে এমন একটা ভাষা যার মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষার উপযুক্ত প্রচার ও প্রসার সম্ভব। কারণ ‘উর্দু পাক-ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারণ ভাষা এবং এতে তাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পদ সংরক্ষিত রয়েছে।’ নিজের ভ্রান্ত ভূমিকা সম্পর্কে খেদোক্তি করতে গিয়ে গোলাম আযম স্যার আরও বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিকোণ থেকে মোটেই সঠিক কাজ হয়নি। (দৈনিক আজাদ, ২০ জুন, ১৯৭০)মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ভাষা দিবসের স্মারক শহীদ মিনারটি গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেটিকে স্বাগত জানায় গোলাম আযম স্যার বলেন যে, শহীদ দিবসের নামে হিন্দুয়ানি প্রথার চর্চা চলছিলো নাকি এখানে। প্রমাণ হিসেবে এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামে ১২ মে ও ১৬ জুলাইয়ে প্রকাশিত দুটো সংবাদ তুলে দেওয়া হলো:
১২ মের সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশের ইতি হোক শিরোনামে লেখা হয় : হিন্দুস্তানী সংস্কৃতি মুসলমান সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে পূর্ব পাকিস্তানের সংস্কৃতি ক্ষেত্রের প্রচণ্ড ক্ষতিসাধন করেছে। যার ফলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় শ্লোগানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আল্লাহু আকবর ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ বাক্যগুলি বাদ পড়ে এগুলোর জায়গা নিয়েছিলো জয় বাংলা। মুসলমানী ভাবধারার জাতীয় সঙ্গীতের স্থান দখল করেছিলো মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু কবির রচিত গান।...
শহীদ দিবসের ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগী মুসলমান ছাত্রদের জন্য দোয়া কালাম পড়ে মাগফেরাত কামনার পরিবর্তে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে হিন্দুয়ানী কায়দা, নগ্নপদে চলা, প্রভাতফেরী, শহীদ মিনারের পাদদেশে আল্পনা আঁকা ও চন্ডীদেবীর মূর্তি স্থাপন ও যুবক-যুবতীদের মিলে নাচগান করা মূলত ঐসকল পত্রপত্রিকা ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলির বদৌলতেই এখানে করা সম্ভব হয়েছে।
১৬ জুলাই `ইতিহাস কথা বলে` সম্পাদকীয়তে তারা লেখে : আইউব খানের গভর্নর আজম খান ছাত্রদের খুশী করার জন্য যে শহীদ মিনার তৈরি করলেন তাকে পুজা মন্ডপ বলা যেতে পারে কিন্তু মিনার কিছুতেই না। যাহোক সেনাবাহিনী সেই কুখ্যাত মিনারটি ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ গড়ে শহীদদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন জেনে দেশবাসী খুশী হয়েছে।
সুতরাং ভাষাসৈনিক ডেকে আর স্যারের অপমান করবেননা। গোলাম আযম স্যার ফালতু ভাষা সৈনিক নন তিনি ইসলামের সৈনিক।
যে কুত্তার বাচ্চা এই লেখাগুলো লিখছে, তার আইডি এবং গ্রুপ রিপোর্ট না করতে পারলে, আপনার পরিচয় জানি। তাই সাম্প্রতিক ব্লগ যারা দেখবেন তারা রিপোর্ট করে জানান। এই লজ্জা মেনে নেওয়া যায়না, এই অপমান সহ্য কর যায়না। আমার ভাষা হারিয়ে গেছে এদের স্পর্ধা দেখে!!!আর যেই এদের পক্ষে যুক্তি দেখাতে আসবে, খুব খিয়াল কইরা।
ভাষাগত বিষয়গুলোর জন্যে দুঃখিত, কিন্তু সবারই জানা দরকার এদের মানসিকতা।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বাংলাদেশি হিসেবে লেখা পড়ার রুচি নাও হতে পারে, কিন্তু গ্রুপে জয়েন দিয়ে ুন্দানি চালু রাখেন এবং রেসিজম এর উপরে রিপোর্ট করতে ভুলবেন না।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: রিপোর্টেড এন্ড শেয়ার্ড।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!!
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আমার মনে হয় এই রিভার্স গ্রুপ।
এমনিতে জামাত-শিবিরের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য হলেও এই ধরনের গ্রুপ খোলার কথা না। বিএনপি, লীগের তুলনায় জামাত-শিবিরের রাজনীতি অনেক পরিকল্পিত।
আর যদি সত্যি হয় তাহলে দেশদ্রোহীতার অপরাধে তাদের গ্রেফতার করা যায়। এই ফেসবুক মেম্বারদের খুজে বের করা ডিবির জন্য কঠিন হওয়ার কথা না।
এইটা অরিজিনাল জামাত-শিবিরের গ্রুপ । কিছু দিন আগে মনে হয় ব্যান খাইছিল। এখন আবার এক্টিভ হইছে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কিন্তু লেখকের প্রোফাইল দেখেন, সে কয়েক বছর ধরে শিবির এর পক্ষে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
পিয়ার আহসান বলেছেন: রিপোর্টেড
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
চলতি নিয়ম বলেছেন: কাদের সন্দেহ হচ্ছে সেইটা খিয়াল কইরা
রিপোর্টেড
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: ওরা আর মানুষ হবেনা ছাগুই থাকবে....।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: হাহা রিপোর্ট করে পরে আবার এসে জানাচ্ছি ।
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন:
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: রিপোর্ট!!!
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
জাতিস্বর বলেছেন: রিপোর্ট করে ঐ পেইজ আর ঐ হারামজাদার প্রফাইল বন্ধ করে দিতে হবে।
সে নাকি হার্ভার্ড থেকে পাস করসে!!!দেখলাম মাত্র!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: রিপোর্ট করেন, লেখা পড়েই জ্ঞানের বহর ধরা যায়, পোস্ট বা লিঙ্ক শেয়ার করে বন্ধুদেরও বলুন।
১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
ম্যাকানিক বলেছেন: হা হা হা
ভাই ব্যাপক মজা পাইলাম
ফেবু পেইজ দেইখা আর তার কমেন্ট দেইখা
শুরুতে আমিও ভাবছিলাম রিভারস গেইম হবে বুঝি বাস্তবে গিয়া দেখলাম আসলে কাহিনি একটু অন্যরকম।
জামাতীদের মেন্টালিটি বুঝানোর জন্য আমার মতে পেইজটা থাকা উচিত তাই রিপুঠ করলাম না।
Sajid Hasan
Monday
Click This Link
apnar ei lekha amar moto notun projonmer kormira manina, druto soran..............
আনফরচুনেটলি এই পেইজের ক্রিয়েটর আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ
PINNED POSTS
Abdullah Al Mujahid
প্রজন্ম চত্বর নামে একটি পেইজে স্ক্রিনশট নিয়ে মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তারপর আমি যখন সেই পোস্টে আত্মপক্ষ সমর্থনে গেলাম তখনই আমাকে ব্যান করে আমার কমেন্ট রিমুভ করা হয়। সেখানে আমার কমেন্টঃ
এখানে বেশ কিছু আওয়ামি দালাল, নাস্তিক এবং মালাউনের বাচ্চা এসে গালাগালি করছে। গ্রুপের কভার ফটোতে যে ছবি আছে সেটা পাকিস্তানের পতাকা নয়। বাংলাদেশের ৯০% লোক মুসলমান, তাই আমাদের দাবী হল পতাকায় কালেমা থাকতে হবে। গতকাল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, চাঁদ-তারা ইসলামের প্রতীক হিসেবে আমাদের দেশে অনেকদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ এই প্রতীক ব্যবহার করে। তাই আমাদের দাবী হল পতাকা কালিমা খচিত থাকতে হবে এবং ইসলামের প্রতীক চাঁদ-তারা থাকতে হবে।
এইদেশে যে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয় সেটা হল কলকাতা অঞ্চলের ভাষা, কলকাতায় ইংরেজরা আসার পর শিল্প-সাহিত্য-শিক্ষার কেন্দ্র হয়ে উঠে কলকাতা। তখন থেকেই পূর্ব বঙ্গে শুরু বাংলা আগ্রাসন। ফলে আমাদের স্থানীয় ভাষার স্থলে প্রমিত বাংলার রূপ নেয় কলকাতার তদ্ভব শব্দবহুল ভাষা। তাই বলা যায় যে, এটা কখনোই আমাদের ভাষা নয়। আমার লেখাই আমি প্রত্যেকটি কথার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছি। তাই দয়াকরে কেউ গালি দেবেন না। এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই, তারা একে অপরকে গালি দিতে পারেনা। আল্লাহু আকবার। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
লিংকঃ
যিনি ফেবু ইনফো অনুযায়ী লাহরে থাকেন । কিন্তু আমার কেনো যেনো মনে হইতেছে উনি ঢাকা শহররে লাহোর মনে কইরা থাকতাছে কারন
বাংলা যেহেতু হিন্দু মালাউনের ভাষা বইলাও ঠাডায়া লেখতে ও পড়তে পারতাছে সেহেতু সে ঢাকাতেই আছে ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ছাগু কাজ দেখে বিনুদিত আমিও হই, কিন্তু ইটস নট ফানি এনিমোর
১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: রিপোর্টেড
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, বাঁশ চালান গ্রুপে/
১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
সাহিত্য প্রেমিক বলেছেন: কুত্তার বাচ্চাদের এই দেশে থাকার কোন অধিকার নেই।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সহমত।
১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৯
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: রিপোর্ট করলাম।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮
বিপদেআছি বলেছেন: এই বেজন্মারে দেশ থেকে এখনই বের করে দিতে হবে , মাথায় রক্ত উঠে গেল
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮
বিপদেআছি বলেছেন: এই বেজন্মারে দেশ থেকে এখনই বের করে দিতে হবে , মাথায় রক্ত উঠে গেল
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৯
বিপদেআছি বলেছেন: এই বেজন্মারে দেশ থেকে এখনই বের করে দিতে হবে , মাথায় রক্ত উঠে গেল
১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
বিপদেআছি বলেছেন: এই বেজন্মারে দেশ থেকে এখনই বের করে দিতে হবে , মাথায় রক্ত উঠে গেল
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
অজানাবন্ধু বলেছেন: এগুলা নিশ্চিত ফাকিস্তানির জন্ম। এই জারাজ গুলারে আগে ফাকিস্তান পাঠানো দরকার। তাদের বাফের দেশে গিয়া বুমার উপর নিশ্চিন্তে ঘুমাক।
বিদ্র: বানান ভুলগুলো ইচ্ছাকৃত।