![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে ঘরে ফিরছে অদিত। ছয় বছরের ক্লান্তি আর অবসাদে যেন দুই কাঁধ নুয়ে রয়েছে ওর। ছয় বছরের আগের অদিত এর সাথে আজকের এই মানুষটির মিল খুব বেশী খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ছয় বছর আগে ওই চোখ দুটোতে অনেক স্বপ্ন ছিল। আশা-আকাঙ্খা আর চাওয়া পাওয়ার এক প্রানবন্ত তরুন ছিল ওর মাঝেই। কিন্তু আজ কি এক অচেনা অনুভূতি ওকে পেয়ে বসেছে, আতঙ্ক আর আশংকার মাঝে ওর বাস। এই ছয় বছরে অনেক বন্ধু পেয়েছে ও কমক্ষেত্রে, দু’একজন শত্রুও যে পায়নি তা নয়। কর্মজীবনে আজ ইতি টেনে দেওয়া অদিতের মাঝে আজ আর চাওয়া পাওয়ার হিসেব নেই, বরং মুক্তির আকুতি।
সন্ধ্যাটা সাধারণ ছিল। হয়ত একটু বেশী সুন্দর লাগছিল সেদিন। হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল, রোজ তাই করে, বাসাটা অফিস থেকে দূরে নয়। চিরচেনা সেই গলিটায় ঢুকতে যাবে অদিত। কে যেন শিহরণ জাগানো ফিশফিশ করে বলে উঠলো, “দাড়াও!”
থমকে গেল অদিত। পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। এবং ও বাঁক নিতে পা বাড়ালো। আচমকা একটি বাইক প্রচণ্ড গতিতে ওর বুক ঘেঁসে চলে গেল! আরেকটু হলেই ওকে ধাক্কা দিত। প্রচণ্ড জোড়ে ধুক ধুক করে বাড়ি মারছে হৃদপিণ্ডটা। ওই এক সেকেন্ডের থমকে না দাঁড়ানোই বিপদ ডেকে আনতে পারতো। এই গলির ভিতরে এতো জোড়ে কে বাইক নিয়ে এভাবে গেল সে বুঝে পেলো না। সে বাসায় পৌঁছল অবশেষে। তখন বিষয়টি ততটা চিন্তায় না এলেও রাতে বারান্দায় বসে কাজ করার সময় ও চিন্তিত হয়ে উঠলো। কে থামতে বলেছিল ওকে!? বুঝে পায়না ও। কিন্তু ওর স্পষ্ট মনে আছে, আসে পাশে কেউ ছিলনা এবং আওয়াজটি খুবই কাছ থেকে পেয়েছে।
বাসায় একা থাকে ও, অফিস থেকেই দেওয়া। পরিবার বলতে কিছু আত্মীয়-স্বজন যাদের সাথে কদাচিৎ যোগাযোগ হয়। চাকুরী আর বন্ধু বান্ধব নিয়েই কেটে যায়। ঠিকঠাক জীবন যাপন করা অদিতের জীবনে ওই সন্ধ্যাটা অন্যরকম হয়ে এসেছিল, জীবনটাই বদলে যেতে শুরু করে তারপর থেকে। সব কিছু আলাদা হয়ে যেতে শুরু করে।
বারোটা পঁচিশ, এলোমেলো ভাবতে ভাবতে ঘুম এসে পড়ছিল। একটু মনে পড়ল, ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তে মনের মাঝে প্রশ্ন এলো আবারও। “কে থামতে বলেছিল?” প্রচণ্ড চিৎকারে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলো। ঝট করে বিছানায় উঠে বসলো ও। স্পষ্ট মনে করতে পারছে, কেউ একজন কানের কাছে প্রচণ্ড চিৎকার করেছে, “আমি!” প্রলম্বিত একটি আর্তচিৎকার, ভয়াবহ কণ্ঠের। দরদর করে ঘামছে অদিত। আন্দাজ করতে পারছে না কি ঘটেছে! চশমাটা খুঁজে নিয়ে ঘরটা দেখার চেষ্টা করল। ঘুটঘুটে অন্ধকার, যেটি খুবই অস্বাভাবিক।
লাইট নিভিয়ে ঘুমুতে পারেনা অদিত, আর জানালা খোলা, বাইরের আলো অন্তত আসবে। উঠতে চাইছে ও, সমস্ত শরীর যেন অসাড় হয়ে গেছে। কোনমতে মোবাইল এর আলো জ্বাললো ও। মুহূর্ত কয়েক পরে একটু স্বাভাবিক হয়ে দেখতে গেলো, ইলেক্ট্রিসিটি নেই, কিন্তু আইপিএস? কিভাবে যেন সেটারও সুইচ অফ। অবাক হল, সচারাচর ওটাতে হাত দেওয়া হয় না। যাহোক, সুইচ দিতেই বাড়ি আলোকিত হলো। স্বস্তির একটা স্বাভাবিকতা ফিরে এলো যেন সবকিছুতে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল, চারটা বাজে। তাজ্জব ভাবতে লাগলো অদিত। এমন কি করে হয়? সে স্পষ্ট একটি চিৎকার শুনেছে। সকালে পাশের ফ্ল্যাটে জিজ্ঞেস করে কোন সদুত্তর মিললোনা। অফিসে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো সে।
প্রায় সপ্তাহখানেক পরে, বিকেলে ছাদে একা হাঁটছিল। হাঁটাহাঁটি বলতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সময় কাটানো।
এক কোনায় দাঁড়িয়ে ব্যাস্ত রাজপথ দেখছিল, এখানে দাঁড়াতে ওর বেশ লাগে। ছাদের রেলিং নেই যদিও, এখনও কাজ চলছে বলে। পথের পাশে দুইজন পথশিশু গোছের কিছু নজরে এলো। একজন আরেকজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছে, যতবার উঠছে, কি এক আক্রোশে আবারও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছে বারবার। এক পা পেছনে নিতে উঠালো অদিত, একটি প্রচণ্ড আওয়াজ এলো, “সাবধান!! পড়ে যাচ্ছ!!” চমকে পেছনে যেতে নিলো ও, কিন্তু অবাক দেখল, এক ইঞ্চি নড়ছেনা পা দুটো। যায়গায় জমাট বেঁধে গেছে যেন। ও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। খণখণে একটি হাঁসি ওর মগজের ভিতরে। হ্যাঁ! স্পষ্ট ধরতে পারলো কথাগুলো বাজছে মগজের ভিতরে!
“আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলিনি, আমি ফিরে এসেছি।” ও পড়ে যাচ্ছে, নীচে আটতলার গভীরতা এবং পিচঢালা পথে একবার মনে হয় ঝাপসা নজর পড়ল। পড়ে যাচ্ছে ও, চোখ বন্ধ করে বাতাসে হাত ছুড়লো অদিত।
বেশ রাত। আন্দাজ করা কঠিন ঠিক কয়টা বাজে। অদিত জেগে উঠলো। মাথাটার নীচে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করছে। শরীর নাড়াতে পারছেনা কেন ঠিক বুঝে উঠলো না ও। কি হয়েছে? কোথায় ও আন্দাজ করতে পারছেনা। পা দুটো শূন্যে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত, বাঁ হাতে কিছু একটা আঁকড়ে ধরা, কি সেটা ঠাহর করতে পারছেনা। ধীরে ধীরে অবশ শরীর সাড়া দিতে শুরু করলো। উঠে বসলো, ছাদের ভীতিকর কিনার থেকে সরে এলো। একটা দড়ি ছিল কাপড় শুকানোর, সেটাই বাঁ হাতে আঁকড়ে ধরেছিল। কিছু বুঝতে পারছে না অদিত। ঠিক কি ঘটে গেলো ওর সাথে?
বাসায় ঢুকে আধাঘণ্টা সব চিন্তাকে ছুটি দিয়ে শাওয়ারে ভিজলো প্রান ভরে। শীতল জল কিছুটা স্বস্তি দিলো ওকে। কিন্তু সেই চিৎকার, সেই কণ্ঠ, শব্দ, ওগুলো মাথার ভিতর বেজেই চলেছে। কোনভাবেই থামানো যায়না সেই ক্রূর কণ্ঠ। একটি শিশু কণ্ঠ কিন্তু তার ভয়াবহতা কোন শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
ভেবেছিল ঘুমানো সম্ভব হবেনা। রাত তিনটা বাজে। কিন্তু বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই ঘুমে তলিয়ে গেলো অদিত। ঘুম না বলে একটি দীর্ঘ দুঃস্বপ্নও বলা চলে।
কোন এক ছাদে দাঁড়িয়ে ও। পেছনটা দেখা যাচ্ছে, দূরে তাকিয়ে আছে। কিন্তু এ যে ওর শৈশব, সেই নীল সোয়েটার পড়ে দাঁড়িয়ে! আচমকা মুখোশ পড়া কেউ পেছন থেকে প্রচণ্ড চিৎকার দিয়ে ওকে চমকে দিল! প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলো সে! এদিকে ফিরল, আতংকিত ও ভারসম্য হারাচ্ছে। কিন্তু এ তো অদিত নয়! অন্য কেউ, অচেনা কেউ। ছেলেটি আর্তচিৎকার দিয়ে পড়ে গেলো। মুখোশ পরা ছোট ছেলেটি ছাদের কোনায় গিয়ে দেখল, নীচে এলোমেলো পড়ে আছে দেহটি। প্রচণ্ড একটি শব্দ হচ্ছে অদিতের চেতনা জুড়ে।
চমকে জেগে গেলো ও। ফোন বাজছে, সকাল হয়ে গেছে। অফিসে যাবেনা, যদিও খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল ওর, কিন্তু জানিয়ে দিল,
"শরীরটা ভাল নেই।"
একজন এর পরামর্শ অন্তত নেওয়া উচিৎ, ও বের হল মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ কাম বন্ধুর চেম্বারের পানে। কিছুক্ষন এটা সেটা বলে কেটে গেলেও ও বলতে পারলো না। পাছে পাগল ভাবে কিনা। কিন্তু সব সংকোচ কাটিয়ে খুলে বলল যা যা ঘটেছে। বন্ধুকে চিন্তিত দেখাল। বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও কিছু ওষুধ ও টেস্ট দিল সে। টেস্ট সেরে ওষুধ নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। রিক্সায় করে যাচ্ছিল মনে হল কেউ যেন ফুঁপিয়ে কাঁদছে। শব্দের উৎস ধরতে না পেরে রিক্সাওয়ালাকে বলল, “তুমি কাঁদছ না কি?” রিক্সাওয়ালার অবাক চেহারা দেখে দমে গেলো। আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না।
লিফট এর ভেতরে দাঁড়িয়ে ভাবছে, কি ঘটছে ওর সাথে। এমন সময় মস্তিষ্কে ঘণ্টাধ্বনির মত বেজে উঠলো, “আমি! আমি এসেছি! আমি ভুলিনি! আমরা ভুলিনা!” লিফটের ভেতরে চমকে উঠলো অমিত! পাগলের মত এদিক ওদিক দেখল। জিজ্ঞেস করলো, “কে!? কে কথা বলে!? কে তুমি.........” সেই এক শরীর শিউড়ানো খনখনে হাসি। হ্যাঁ, মস্তিষ্কের কেন্দ্রে যেন একটি ঘণ্টা বেজে চলেছে, যার কম্পন থামানোর সাধ্য ওর নেই। একটা ফিশফিশে শিশু কণ্ঠ বলেই চলেছে, “আমরা ভুলিনা, ছেড়ে যাইনা। আমরা ফিরে ফিরে আসি, আমি ফিরে এসেছি!”
কোনভাবে বাসার ভেতরে ঢুকে শুয়ে পড়লো ও মেঝেতে। আবার সেই হাঁসি! অদিত প্রচণ্ড ঘামছে, চিৎকার করে বলল, “কে তুমি!? কি চাও আমার কাছে?”
উত্তর, “আমি ফেরত দিতে এসেছি, আমি ফিরিয়ে দিতে এসেছি।” অবিশ্বাসের বিস্ময়ে জ্ঞান হারাল অদিত।
সেই একই ভয়াবহ স্বপ্নে চলে গেলো আবারও। ছেলেটির প্রচণ্ড চিৎকার, আধো বেহুঁশ আধো ঘুমে স্বপ্ন মাঝেই চিৎকার করে উঠলো, “কে তুমি !! কি চাও? বলো কি চাও তুমি?” নীচে তাকিয়ে তখন মুখোশ পরা ছেলেটি। লাশটি মাথা ঘুরিয়ে উপরে তাকালো, মুখোশের দিকে। “আমাকে ভুলে গেলি অদিত? কি করেছিলাম আমি? কিন্তু আমরা তো ভুলিনা, ছেড়ে যাইনা। আমরা ফিরে ফিরে আসি, আমি ফিরে এসেছি! আমি ফিরিয়ে দিতে এসেছি।”
জ্ঞান ফিরে পেলো অদিত। মাথা ঝাড়া দিলো। স্বাভাবিক লাগছে, নিজেকে ঠিক লাগছে, যেন কোথাও কিচ্ছু হয়নি। আবার কেউ একজন কথা বলল ওর মগজে, এবার আতংকিত হল না অমিত, মনোযোগ দিয়ে শুনল, “অদিত, অদিত?”
“হু?”
“শুনছিস? আমি উৎস! আমায় ভুলে গেছিস?”
টপটপ করে কয়েক ফোঁটা পানি চলে এলো অদিতের চোখে, চোয়াল শক্ত করে শুনছে ও।
“তুই আমাকে তোদের ছাদে ডেকেছিলি, কিছু একটা দিতে চেয়েছিলি, মনে নেই তোর? আমি ভুলিনি। তুই মুখোশ পরে এসে আমাকে ভয় দেখালি, আমি চমকে পড়ে গিয়েছিলাম। আমি মরে গিয়েছিলাম অদিত।”
চিৎকার করে উঠলো অদিত! “চুপ করো!!! আমার সব মনে আছে!” শব্দ করে কাঁদতে শুরু করলো সে।
“তুই আমাকে কেন মেরে ফেললি অদিত? আমি আমার মায়ের কাছে আর যেতে পারিনি, তাই আমি তোর বাবা মাকেও মেরে ফেলেছি।”
অদিত আতংকিত চিৎকার করে উঠলো, “চলে যাও!! প্লিজ চলে যাও!!”
“তোকেও মরতে হবে অদিত। তুই আমাকে কিছু দিতে ডেকেছিলি, তুই আমাকে মৃত্যু দিয়েছিলি। আমিও তোকে মৃত্যু দিবো অদিত, আমি যেতে পারছিনা, আমি চলে যেতে চাই, আমি আর যন্ত্রণা পেতে চাইনা। আমার ঋণ শোধ করতেই হবে।”
এর পরে আর কিছু মনে নেই ওর। সকালে নিজেকে দরজার সামনে আবিষ্কার করলো, এলোমেলো শুয়ে রয়েছে ও। এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন শেষে জেগে ওঠা যেন। অতঃপর সেইদিনই ডাক্তার বন্ধুর কাছে গিয়ে তার ক্লিনিকে ভর্তি হবার অনুরোধ করল এবং ভর্তি হল। প্রচণ্ড আতংকের ভেতরে রাতটা কাটিয়ে দিল অমিত।
আজ, বিকেলের আগে আগে অফিসে গিয়ে চাকরীটা ছেড়ে হাসপাতালে ফিরে এলো, পদটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, সবার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে ভেবেই এটি করা। মানসিক-শারীরিক ভাবে ও বিপর্যস্ত আজকে।
শুয়ে থেকে থেকে রাত হয়ে গেলো। ওর নার্ভকে শান্ত করার ওষুধ দেওয়া হয়েছে, বেশ ফুরফুরে অনুভব করছে এখন। রাতে খাবার শেষে ঘুমের ওষুধ দেবার আধা ঘণ্টা পরে, রাত বারোটার দিকে ঘুমিয়ে পড়ল অদিত।
গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলো ওর। পিঠের নীচে বেশ ব্যাথা, একটু যেন খোঁচাও লাগছে। নড়েচড়ে শুতে গিয়ে পিঠ ছুলে গেল। গায়ে চাদরও নেই। চোখ খুলে উঠে বসলো। ঘরটা অচেনা লাগছে। দূরে আলো দেখা যাচ্ছে, কিন্তু ঘরে কোন আলো নেই। উঠে দাঁড়াতেই ওর শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের ঠাণ্ডা স্রোত খেলে গেলো! একটি ছাদে দাঁড়িয়ে আছে অমিত। বিশাল ছাদের এক পাশে, কোন দরজা বা কিচ্ছু চোখে পড়ছে না।
সেই কণ্ঠ বলে উঠলো, “অদিত!? অদিইইত? শুনতে পাচ্ছিস?”
মস্তিষ্কের ভেতরে না, অন্য কোথাও থেকে আসছে শব্দটা। উৎস খুঁজতে লাগলো অদিতের মন। ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাদ, দুরের আলোয় ছাদটা আবছা দেখা যাচ্ছে। যে কোনা থেকে শব্দ আসছে, সেদিকে কি যেন এক অদৃশ্য টানে এগিয়ে গেলো অদিত।
কোনায় পৌঁছে গেছে ও, একটা লোহার রড বেরিয়ে আছে, হাতে লাগায় ধরে দাঁড়াল। আবার সেই কণ্ঠ ওর নাম ধরে ডাকল। নীচে চোখ পরতেই দেখল স্বপ্নে দেখা সেই ছেলেটি পড়ে আছে, ঠিক একইভাবে! হাত পা ছড়িয়ে এবং অন্ধকারেও শুধু ওকেই দেখা যাচ্ছে। থেঁতলানো মাথাটি উপুর হয়েই আছে।
“অদিত, কেন মেরেছিলি আমাকে?”
“আমি মারতে চাইনি, আমি ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম, আমি বুঝতে পারিনি।” ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল অদিত, ভয় কাঁপছে ওর সারা শরীর। অবশ হয়ে যাচ্ছে যেন প্রতিটি মাংশপেশী।
“আমি প্রায় একটা দিন বাড়ির পেছনে পড়ে ছিলাম, আমাকে কেউ খুঁজে পাচ্ছিল না। কুকুরে কামড়েছিল আমাকে, কাকের ঠোকরে আমার মৃতদেহ ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছিলো। তুই কাউকে বলিস নি কেন অদিত?” কথাগুলো এখন মস্তিষ্কে বাজছে অদিতের।
“আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
“তোকে মরতে হবে অদিত, আমাকে মুক্তি পেতে হবে”
“আমাকে মাফ করে দে উৎস”
চিৎকার করে উঠলো কণ্ঠটা, “মাফ করে দিলাম তোকে!”
চমকে ফিরে গেলো অদিত, পেছন থেকে এসেছে আওয়াজটি!
ভয়াবহ একটি মুখ, ছোট একটি বাচ্চা, সমস্ত শরীর তার খুবলে খাওয়া, অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ মুখোশটি। অদিত চমকে গেল ভয়াবহভাবে। ওটা এগিয়ে আসছে অদিতের দিকে। ও এক পা দুই পা করে পিছিয়ে যাচ্ছে।
ছাদ শেষ। পড়ে যাচ্ছে অদিত....................
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ওকে ভাই, পইরেন!!!!
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভাল লাগলো পথিক! ++++++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আজ আমি কোথাও যেতে চাই
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫০
একজন আরমান বলেছেন:
ভালো লাগলো।
পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করতে হয়েছে আদিত কে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পাপ হয়ত নয়, প্রতিদান ওকে পেতেই হতো।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: হরর গল্পের প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে ! কিন্তু হরর গল্প আমি পিসি মনিটরে পড়ে মজা পাই না ! হরর গল্প পড়তে হয় বিছানায় শুয়ে শুয়ে ! যাক আজকে গল্পটা প্রিন্ট দিলাম ! কালকে এসে বলবো কেমন হয়েছে !!
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অন্নেক ধন্যবাদ ভাই!!!!!
নিরন্তর ভাল থাকুন।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫২
স্বপনবাজ বলেছেন: অনেক দিন পর একটা জমাট
গল্প পড়লাম ! ধন্যবাদ !
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া! সময় করে পড়েছেন তাই কৃতজ্ঞতা।
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০০
তারছেড়া লিমন বলেছেন: কি পড়াইলেন ভাই................++++++++++++++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন:
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৭
মেঘের দেশে স্বপ্নডানা বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো! না স্যরি, ভয় লাগলো!!!
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ, ভীতিকর ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাল লাগল +++++++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!
৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আসলে আমি হরর গল্প সাধারনত পড়ি না, মূলত ভয়ের জন্যে না, সবাই আসলে লিখতে পারে না। বরং হাস্যকর হয়ে উঠে, এই জন্যে আমি এমনকি হরর মুভিও এভোয়েড করি।
কিন্তু আপনার লেখাটি পড়লাম। হ্যা আপনি অবশ্যই পেরেছেন সত্যিকার কিছু ফুটিয়ে তুলতে। দারুন লেগেছে আমার কাছে। তবে হ্যা কোথাও কোথাও অদিত আর অমিত গুলিয়ে ফেলেছেন। একবার পড়লেই পেয়ে যাবেন।
শুভেচ্ছা।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: তাড়াহুড়োর ফসল। ঠিক করে দিয়েছি, আসা করি এখন ঠিক আছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!! মন্তব্য খুবই ভাল লেগেছে।
১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৯
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: রহস্য, উত্তেজনা, ভয় .......
অসাধারন, অসাধারন, অসাধারন
+++++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!
১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯
মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন হরর। বিশেষ করে বর্ণনা চমত্কারভাবে ফুটে উঠেছে।
+++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৫
উৎস১৯৮৯ বলেছেন: আপনি কি আর নাম পেলেন না। আমারে ভূত বানায় দিলেন।
আমার নামের অপব্যবহারের জন্য আপনাকে মাইনাস।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ও আপ্নেই উৎস??
:-<
এক কাজ করেন, পিতামাতার নামও দিয়ে যান, আপনাকে অফিশিয়ালি ভুত বানায় দেই!!
১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬
প্রিন্স অফ পার্সিয়া বলেছেন: ভয় পেয়েছি!!!!!! +++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনি তো রাতে হালকা ভুই পাইছিলেন, মডু ভাইদের রাত্তিরে দয়া হয় নাইক্কা, তাই দিনে নির্বাচিত করছে
১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৮
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: bichanay kat hoye suye porchilam,hothat pichon theke kaner moddhey gorom batas ese laglo...amito voye kath...porokkhonei sunte pelam 'MEWW'........
mukhos sobdota bebohar na korle mone hoy valo hoto,tobe valoi laglo golpota+++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: মুখোসটা একটা বড় এলিমেন্ট ছিল ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় করে পড়ে মন্তব্য দিয়েছেন জন্যে। যদিও আমি জানি আপনার প্রবলেম ছিল
১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আপনি তো দেখা যাচ্ছে সব্যসাচী হয়ে উঠছেন !! কবিতা, হরর গল্প !! আপনার লেখার ক্ষমতা আসলেই ভাল।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্ননা টা একটু বড় লেগেছে লিও ভাই, কিন্তু ওভারওল থ্রিল টা ভালই দিতে পেরেছেন।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, শেখার চেষ্টা করছি। দেখি কদ্দুর কি।
১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
ইখতামিন বলেছেন:
পঞ্চদশ ভালোলাগা.
অসাধারণ হয়েছে
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন ভাই!!!
১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: হরর গল্প লেখা খুবই কঠন বলে মনে হয় আমার কাছে, পদে পদে পা ফসকানোর ভয়...
আপনি পার পেয়ে গেছেন খুব ভাল মতই।
ভাল লাগলো খুব
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৫
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: চেষ্টা করছি ভাই, পারিনা তো আসলে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, অনেক সুন্দর ও অনুপ্রেরনাদায়ি মন্তব্যটি।
১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
নীলপথিক বলেছেন: আমি হরর পছন্দ করি না। তবে এটা ভালো লাগলো। গল্পটা গতানুগতিক ধরণের হলেও ভালো লেগেছে। হয়ত আপনার সাবলিল বর্ণনার জন্যই।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বেটার লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ।।
১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: হরর ডরাই, তবু পড়ছি । ভালো লাগছে ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: মামুন ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!! সাথে থাকবেন
২০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: চালায়ে যান ভাই। +++++++++++++
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: চেষ্টা ফিকির চলছে!!
২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
বাংলার হাসান বলেছেন: ক্ষমাপ্রার্থী।
ভাল কথা তয় মার্কাটা কি?
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: খাইছে আম্রে, বুঝিনাই ভাই!!
২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
সোহানী বলেছেন: হরর মুভি দেখিনা........হরর বই পড়িনা....তারপরও পড়লাম ও ভালো লাগলো.
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কৃতজ্ঞ হলাম ভাল লাগাতে পেরেছি জেনে।
২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: হরর গল্প ভাল লাগে... ভার্সিটির হলে যখন থাকতাম তখন বন্ধুরা মিলে হরর মুভি দেখতে বেশ মজা লাগতো .. হরর মুভি দেখতাম রাত ১১ টার পর, রুমের লাইট নিভিয়ে, হাই ভলিউম দিয়ে ..... খুব মিস করি এখন ...
ভাল লেগেছে পথিক ভাই......
ধন্যবাদ....+++
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ইশ!! এই স্মৃতি তো !! !! !! !!
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৫
মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।
এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link
দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।
ফারামনির চেহারাডা অনেক মিষ্টি আছিলো। এজন্যই ব্লগের অনেককেই লোল ফালাইতো। ভাবছিলাম আমিও লাইন মারুম।
এই বেডি হারামী শায়মার লাইগা .................................
আর সান্তনুরে আমার মন চাইতো দুইগালে দুই লাত্থি দেই।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন:
২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৩
এম হুসাইন বলেছেন: হরর মুভি, হরর গল্প আমার অসম্ভব প্রিয়।
++++++++++
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ!!!
২৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো লাগল। রাতে পড়লে মনেহয় আরেকটু মজা হতো।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: তা ঠিক, রাইতের জিনিষ রাইতেই পড়া উচিত!
২৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমৎকার একটা পরিবেশে গল্পটা পড়লাম অলি ভাই। একদম সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত। হরর গল্প পড়ার মোক্ষম টাইম।
দূর মিয়া ভয় লাগায়া দিলেন!!!! কেন জানি বুকটা এখনও ধুকধুক কর্তাছে!!!
এক কথায় অসাধারন লিখেছেন। ভালোলাগা রেখে গেলাম।
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভয় লাগছে জানিয়া খুশ হইলাম। কিন্তু আপ্নে কাউরে ধাক্কা টাক্কা দিছিলেন নি?
২৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: হা হা ধাক্কা দিমু কিলা??? আমি কি আর অলি নি??
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অলি নামের বাংলা কি ধাক্কাধাক্কি???
২৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৬
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: মাফ পেল না "অদিত" ? মাফ করে দেয়া উচিত ছিল । উল্ট বন্ধু হিসেবে আত্মাই তাকে বিভিন্ন হেল্প করত তাহল আরো ভাল্লাগত ।
এটাও ভাল লাগছে । ছাদে বসে পড়তেছি তো মনে হচ্ছিল আমার কানের কাছেও কে ফিশ ফিশ করতেছে ।
১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। মাফ বা পাপ এর বিষয়টা আনিনি, তবে প্রতিদানই ছিল উৎসের কাছে সবকিছু। ফিরিয়ে ওকে দিতেই হতো, নিজের স্বার্থেই। আর ও বাঁচিয়েছেও প্রতিশোধ নেবার ইচ্ছা থেকেই।
অনেক ধন্যবাদ।
৩০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
াগলা শান্তু বলেছেন: ভয়াবহ রে ভাই ।আমি এমনি ভিতু মানুশ
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন:
লাশ কাটা ঘর, আপনি একা। রাত তখন একটা তিরিশ.. লাশ এর সাথে আপনার নিরব মিটিং চলছে। পিন পতন স্তব্ধতায় দরজায় কেউ নক করতে শুরু করলো। সাথের ছেলেটা বা গেটম্যানটাকে আসে পাশে দেখতে পাচ্ছেন না। দরজায় নক জোরালো হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
টানিম বলেছেন: পড়ে পড়বাম ।