![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানে পড়ানো হয়, প্রথম জীবন হচ্ছে এককোষি এমিবা। আরেকটু বেড়ে উঠে শিশুরা জানতে পারে, বিজ্ঞানের মতে ক্যামিকেল রিএকশন এর ফলেই প্রাণের উৎপত্তি। প্রথম পর্যায়ে পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত জ্বলন্ত একটা পিণ্ড। ধিরে ধিরে এটি ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং এর ফলে জলের উৎপত্তি। জল থেকে প্রথম প্রাণ হিসাবে এমিবা নামক এক কোষী প্রানী, এর পর এলো শ্যাওলা, মাছ সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী। আবার বিজ্ঞান বলল, সূর্যের প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে গ্রহ ও উপগ্রহগুলো সৃষ্টি হয়েছে।
জানালেন, হিমালয় হলো প্রথম মৃত্তিকা। বিভিন্ন প্রাণীর জীবাশ্ম থেকে হিমালয়ের উৎপত্তি। আবার আরেকটি ধারণা থেকে পাওয়া যায়; পৃথিবী সূর্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ধিরে ধিরে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং এর ফলে বরফ এর সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে গ্রহাণু, ধূমকেতু, উল্কার আঘাতে পৃথিবীর বরফ গুলি গলতে থাকে এবং জলের সৃষ্টি হয় এবং এ জল থেকেই প্রানের উৎপত্তি।
বিজ্ঞান ক্লাসে জানানো হল, Human Evolution, কিভাবে Homo Sapiens এর শুরু, কিভাবে আজকে আমরা Ape থেকে মানুষ হয়েছি এবং বুদ্ধিমত্তায় মোক্ষ অর্জন করে মহাশূন্য চষে বেরোচ্ছি। বলা হল সেই সব ফসিল এর কথা যা এই সব কথাকে সমর্থন করে, প্রসেস ও প্রমান দিয়ে তার বাস্তব চিত্রপট এঁকে ফেললেন। তা মস্তিষ্কে ধারণা করা হল।
বিজ্ঞান এর ক্লাস শেষ, এলেন ধর্ম শিক্ষক,
অতঃপর উনি ইসলাম এর আলকে ব্যাখ্যা করতে শুরু করলেন কিভাবে আদম(আঃ) -হাওয়া পৃথিবীতে এলেন এবং মানবজাতির গোড়া-পত্তন হল। পৃথিবী সৃষ্টির একটি বৈজ্ঞানিক ধারণার সাথে মিললেও আরেকটির সাথে অমিল দেখতে শুরু করলো শিশুটি।
এভাবে প্রজন্মের পরে প্রজন্ম আমরা না হতে পারছি শিক্ষিত, না হতে পারছি ধার্মিক! কোমল মনগুলোকে কেন এই সংকটে ফেলে দেওয়া? তোমরা সিদ্ধান্ত নাও, প্রমান করো, একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক নির্ধারণ করো! এবং সেভাবেই সবাইকে জানাও। এই বাচ্চারা ধর্ম শিখছে, মুসলমান এর সন্তান বলে বিশ্বাসও করে নিচ্ছে ধর্মশিক্ষায় যা আছে(আমি মুসলিম বলে শুধু মুসলমানদের কথাই বলছি), কিন্তু বিজ্ঞান? সেটা সে না পারছে ছাড়তে, না পারছে মস্তিষ্কে ধারন করতে! অতঃপর সে সিদ্ধান্ত নেয়, দুটিই "পরীক্ষায় পাসের উদ্দেশ্যে" পঠন এবং সেখান থেকে "শূন্য" পরিমানকে লব্ধ জ্ঞান হিসেবে স্থায়িত্বদাণ।
এ আমরা কি করছি? দুটি পাশাপাশি Co-exist করাতে হলে অবশ্যই সামঞ্জস্য সহই করাতে হবে!! পরস্পরবিরোধী শিক্ষা দিয়ে আমরা না পারছি ধার্মিক তৈরি করতে না পারছি সঠিক মুসলমান তৈরি করতে। এই প্রশ্নগুলো মনের কোনে ভয়ে ভয়ে নিয়ে বড় হয় বাচ্চারা, বিজ্ঞান এর কথাটা বেশী আগ্রহ করে ভাবে না, তার মুসলমানিত্বে আঘাত করে বিজ্ঞান এর কিছু কথা, এই আঘাতের ব্যাথা কিন্তু আজীবন রয়ে যায়, প্রশ্ন খুঁতখুঁত করতেই থাকে, উত্তর কে দিবে? এর উত্তর কেউ দেয় না।
ধর্মব্যাবসায়িরা ওয়াজ-মাহফিল করে নামাজ আদায়ের সওয়াব বলেন, কিছু মুসলিম নামধারি শয়তান নিজেদের পীর দাবী করে মানুষকে জান্নাতে যাবার রাস্তা দেখান!! আমাদের তো তা দরকার নেই! এই সব প্রশ্নের সঠিক ও কংক্রিট রাস্তা-উত্তর খুঁজে বের করুন। জান্নাতের পথ নিজেরা খুঁজে নেবো!
সমাধান টানছেন কি? স্টিভেন হকিং, আইন্সটাইন, ডারউইন বিশ্বাস করলে স্কুলে যা, আল্লাহকে বিশ্বাস করলে মাদ্রাসায় যা? আপনি নির্বোধ!!! মহা নির্বোধ!!!! এর মানে হচ্ছে আপনি আমাকে আমার এক চোখ বন্ধ করে রাখতে বলছেন, ব্রেইনের ডানপাশ অব্যাবহ্রত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থায় ব্যাবহৃত বিজ্ঞান বই এ কি কি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরটা দিতেও লজ্জাবোধ করি, কেন এড়িয়ে না গিয়ে তা প্রমানের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হল না?
কেন ১২-১৫ বছর বয়সী একজন বিজ্ঞান এর প্রমান এর সাথে ধর্মের বানীর সম্পর্কে খুঁজতে গিয়ে হাঁসফাঁশ করবে? এর দায় কার? আজকালকার ধর্মের ধারক-বাহকদের(পড়ুন ব্যাবসায়ী) এবং বিজ্ঞানীদের যদি বলি, এই কোটি কোটি কোমল মনে এমন দ্বিমুখী পেনিট্রেশন এর জন্যে আপনাদের চপেটাঘাত করতে আগ্রহী, খুব কি ভুল হবে?
বিজ্ঞানী ও ধার্মিক, আগে সিদ্ধান্তে আসুন, অতঃপর শিক্ষা দিন। শ্রদ্ধা করুন সেই সব কোমল প্রানকে, যারা ধার্মিক বিজ্ঞানী হতে পারতো।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কিন্তু আমার কাছে বিভিন্নমত জানার থেকে বাস্তবতার অন্বেষণে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা প্রতিষ্ঠিত করেই শিক্ষা দেবার গুরুত্ব বেশী। বিজ্ঞানীরা ধর্মে উদাসীন, মোল্লারা বিজ্ঞানে, কিন্তু জেনারেশনের পরে জেনারেশন এই দ্বিমুখী শিক্ষাব্যাবস্থার জাঁতাকলে পিস্ট আর কতো দিন!!!!!
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলি।
মানুষ যে কোন কিছু নিয়ে পরক্ষা নীরিক্ষা করবে বিভিন্ন হাইপোথিসিসের মাধ্যমে কোন একটা সমাধানে আসবে সেইটা যে সবসময় শুদ্ধ হবে এটা ঠিক নয়। যেমন আমি জানি তুমিও জানো। আ বিজ্ঞানতো প্রতিনিয়ত হাইপোথিসিস নিয়ে আসছে সামনে সবগুলো যে সঠিক হবে এটা ভুল। আর ধর্ম হলো একটা জীবনবিধান। ধর্ম সৃষ্টি করেছে কিছু সামাজিক আইন।
এখন কথা হলো পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে ধর্ম কে বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে।
আসরে ধর্ম কি কতটুকু পড়েছি? ধর্ম তো অনেকগুলো আছে আমি তুমি কি সবগুলো জানি? আর কয়জনই বা জানেন এবং ব্যাখ্যা করেন?
আর বিজ্ঞান যা বলে তার বিরুধিতা করার জন্যে ধর্মযাজকরা আদিকাল থেকেই একপায়ে খাড়া। ইতিহাস তাই বলে।
ধর্ম আর বিজ্ঞান এর পরস্পরবিরুধীতা অনেক সময়েই আমাদের বিভ্রান্ত করে। কারণ আমাদের প্রপার জ্ঞান থেকে বন্চিত রাখা হয়। বিজ্ঞান এবং ধর্ম উভয়েই তা করে। কিভাবে? ধর্ম সম্পর্কে বলা হয় ধর্মগুরুরা যা বলবে তার উপর কথা নাই। আর বিজ্ঞান বলে বিজ্ঞানীরা যা বলে তার উপর কথা নেই। আমার কথা হলো আমি আঙ্গুল উঠাতে চাই। সবকিছুকে ভেঙ্গেচুরে দেখতে চাই। সেটা হোক ধর্ম বা বিজ্ঞান। কারণ দুটোই আমার কাছে জ্ঞান।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: তুমি প্রশ্ন করবে, তো তুমি নাস্তিক, তোমার মাথার দাম ঘোষণা হবে।
এর কারন আর কিছুই না, তাদের অজ্ঞতা, সেটাই বুঝাইতে চেয়েছি, এরা অজ্ঞ, একচোখে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না।
যদি সম্পূর্ণ শিক্ষা হতো, ধর্ম ও বিজ্ঞান জানত, সব বুঝত, ইসলাম এরই জয় হতো আমার বিশ্বাস।
কিন্তু আমার বিশ্বাসে কিছু এসে যায় না, আমরা যদি হাস্যকর একটি জাতি না বানাতে চাই, আমাদেরকে এই বিষয়টা বুঝতে হবে। ধর্মশিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষা ছোটবেলায় একসাথে দিলে অবশ্যই সংশয় এর সৃষ্টি হবে। তাই সমন্বয় ও দুইটার একত্রে গবেষণার কোন বিকল্প দেখি না।
কি হবে যদি বাইবেল পড়ি ও বুঝার চেষ্টা করি? একজন সুবিবেচক মানুষ অবশ্যই ভাল খারাপ বুঝবে কিন্তু একজন আলেম ভুল কে ভুল বলার সাহসই রাখে না, সেদিকে চোখ দিতেও অসম্মতি তার।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৩
বলশেভিক বলেছেন: আপনি য়্যুটোপিয়ানদের মত কথা বলছেন।একটা পারফেক্ট সোসাইটিতে কোনো ভুল থাকবে না।কিন্ত পারফেক্ট সোসাইটি কখনো বানাতে পারবেন না।
ধরলাম সায়েন্টিফিক য়্যুটোপিয়া বানালো হল।তখন সায়েন্সকে ব্যাবহার করা
হবে ধর্মের মত(এর লক্ষন সোভিয়েত সয়ুযে দেখা গিয়েছিল)এবং এর বিরুদ্ধে কিছু লোক বিদ্রোহ করবে।আবার সমাজে শিযম দেখা দিবে।এর থেকে ভালো
মানুষের হাতে অ্যাভেইলেবল সব কার্ড খুলে ছড়িয়ে দিন...তাদেরকেই বাছতে
দিন।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: বাংলা দেশে যে এখনো স্কুল এ ধর্ম শিক্ষা পড়ানো হয় ,সেটাই আশ্চর্য ।বিজ্ঞান বা ধর্ম কিছু একটা বেছে নিতে হয় ,নাহলে জগা কিচুড়ি হয় ।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১
একজন পথশিশু বলেছেন: Bibortonbad ekta theory, eta kono 'fact' na. Eta protishthito sotto na.Theory vool hote pare. Kajei bibortonbadke sothik vabar kono karon nai. Emonki Darwin tar friendke lekha ekti potre e somporke bolte giye ullekh koren j eta tini proman korte parben na. Apni Dr. Zakir Naik er lecture dekhte paaren.
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
স্বপনবাজ বলেছেন: সবই ঠিক আছে ! কিন্তু সূক্ষ ভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয় যে একটা আরেকটার পরিপূরক ! ধর্মীয় ব্যাখ্যা আর বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা যে খুব আলাদা তাও কিন্তু নয় ! শুধু সম্পর্ক টা খুঁজে নিতে হবে !
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৬
বলশেভিক বলেছেন: অ্যাবায়োজেনেসিস ও ক্রিয়েশনিস্ট থিয়োরি কোনটারই কনক্লুসিভ এভিডেন্স
নাই।আবার ক্রিয়েটার এভোলুশনারি মেথডেও ক্রিয়েট করতে পারেন।আমার মনে হয় একাধিক ভিন্নধর্মী থিওরি পড়ালে ছাত্ররা প্রোটোটিপিকাল থিন্কিং
এর হাত থেকে বাচবে।আমি মনে করি এর সাথে হিন্দু,মায়া,আফ্রিকান ক্রিয়েশল মিথও পড়ানো উচিত।এতে পরমত সহিষ্নুতা বাড়বে।