![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I) ইরানে মেয়েদের কালো পোশাক এবং শুধুমাত্র কালো পোশাক পড়ার অলিখিত নিয়ম করা হয়েছে। অন্য কোন রঙের পোশাক পড়ে পথে বেরোলে সবাই একযোগে গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকে। ছেলেরা হাসাহাসি/কটু মন্তব্য করে, আমরা যেসবকে আদর করে ইভটিজিং ডাকি সেটা ওখানে ক্ষেত্রবিশেষে বৈধ। আইন প্রোটেকশন দিতে দ্বিধা করে যদি কালো বোরকা এবং হিজাব না পড়া থাকে। কোন "আন-এক্সপেক্টেড ইন্সিডেন্ট" এর ক্ষেত্রে দায়ী পুরুষ এর জন্যে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা থাকলেও তদন্তের প্রথমে দেখা হয় ভিকটিম নারীটির পোশাক ও ভুমিকা। ব্যাবসা-বানিজ্যে নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হয়ে ঘোলাপানি খেয়েও দেশটি গোঁয়াড়ের মতো নিউক্লিয়ার এনরিচমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছে লড়াই করার মনোভাবে। নিজের জনগন, অর্থনীতির প্রতি ভ্রূক্ষেপ নেই এতোটুকু, ফলাফলে মুদ্রামান তলানীতে ঠেকছে দিনদিন।
II) আফগানিস্তানে আইন করে বৈধ করা হয়েছে, ধর্ষক এর সাথে ধর্ষিতার বিয়ে করিয়ে দিতে হবে। হাজার হাজার পরিবার গাঁজা চাষ করে, উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে, পূর্বে সংখ্যাটা অনেক অনেক বেশী ছিল। উৎপাদন যেহেতু রয়েছে, বিপণন এর একটি সুন্দর ব্যাবস্থাও বিদ্যমান। ধ্বংসস্তুপ দেশটি এক পা এগোলে উগ্রপন্থীদের বাড়াবাড়িতে পাঁচ পা পিছিয়ে যাচ্ছে।
III) পাকিস্তান একটি মৃত্যুপুরীর নাম। সে দেশের সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন রাজনৈতিক দলের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করে। সরকার এর নেই নিয়ন্ত্রণ করার মতো নুন্যতম ক্ষমতা। মুসলমানদের মাঝে অন্তঃকলহে একই ধর্মের মানুষ মারছে একজন আরেকজনকে! কওমী টেনশন পৌঁছেছে চরমে। শিয়া-সুন্নি অজুহাতে স্রেফ গণহত্যা চলছে দেশটিতে। পাকিস্তানে অস্ত্র কাছে না রাখলে তাকে সত্যিকার পুরুষ হিসেবে বন্ধু ও সমাজ স্বীকার করতে চায় না। শিক্ষিত অংশের মাইগ্রেশনের হার বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বেশী। নারীদের বস্তাবন্দী করে রাখার মনোভাব ঘরে ঘরে, ফলাফলে নারী শিক্ষার হার নিম্নমুখী। গোঁয়াড় রাস্ত্রব্যাবস্থা ও তাতে সামরিক প্রভাব অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে দেশটিকে। তবু নিউক্লিয়ার পরীক্ষা থেমে নেই।
IV) সৌদি-আরবের আছে তেল বিক্রির অঢেল অর্থ। তবে জনগনের জন্যে কতোটা ব্যয় হয়েছে আর কতোটা হচ্ছে সৌদি বাদশাহ ও তার পরিবারবর্গের বিলাস এর জন্যে সে নিয়ে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন নেই মনে হয়। সেই জনপ্রিয় কৌতুকটাই বলা চলে, “বাদশার ছেলে প্রচণ্ড দামী একটি গাড়ি উপহার পেলে আফসোস করে লেখে, আমার বন্ধুরা ট্রেনে-সাইকেলে চড়ে পড়তে আসে, আমি গাড়ী নিয়ে ক্লাসে যেতে পারবো না। পরদিন তার জন্যে একটি ট্রেন পাঠানো হয়। সৌদি জনতার সৌভাগ্য সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদপুষ্ট রাষ্ট্রের জনতার জন্যে “সামান্য কিছু” করার সময় হয়েছে শাসকদের। যেটাকে সবকিছুর শেষে একটি “শুভ ব্যাতিক্রমই” বলবো। মুসলিম সমাজের এক অংশে প্রশংসিত এই রাষ্ট্র ব্যাবস্থা কতোটা ইসলামীক নিয়ম মেনে চলে বা কতোটা মানে তার শাসক সে সব তর্কের বিষয়। কিন্তু আরেক অংশের কাছে হিউজলি হেটেড দেশ আমেরিকার পা চাটা “মুসলিম” নামধারী দালাল দেশ হিসেবে এই রাষ্ট্রকে সম্ভবত বিনা ঝুঁকিতেই বলে দেয়া যায়। ইরান-ইরাক আক্রমণে ইউএস এর উপরে সবথেকে বড় চাপটি সবসময় সৌদি আরবেরই ছিল। উইকিলিকস এর ফাঁশ করা আমেরিকান নথিই তার সাক্ষ্য দেয়। এ সবের পরে অন্তত “মুসলিম রাষ্ট্র” বলা সম্ভব নয় এই দেশটিকে।
হালের কিছু মুসলিম রাষ্ট্রের হালচাল হলো এই। রাষ্ট্রধর্ম কি করে থাকে, বা একটি রাষ্ট্র কি করে “মুসলিম রাষ্ট্র” হয় বা “হিন্দুয়ানী রাষ্ট্র” হয় এই বিষয়গুলো ঠিক ধরতে পারিনা আমি। রাষ্ট্রের খৎনা হয় না, নামায পড়েনা পাঁচ ওয়াক্ত, কলেমা শাহাদাৎ পাঠ করে ঈমান আনে না, বেশীরভাবে “মুসলমান” এর মতো রাষ্ট্রের মাতা-পিতার ধর্ম অনুসারেও তার ধর্ম নিশ্চিত হয় না, তাহলে কীভাবে? শুধু পরিসংখ্যান দেয়া যায়, “এই দেশে ৮০% মুসলমান এর বসবাস, অর্থাৎ মুসলিম মেজরিটি বা সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এটি।” এছাড়া কোন রাষ্ট্রকে ধর্ম দেয়া আমার কাছে ধার্মিকতার থেকে ভণ্ডামিই বেশী মনে হয়। ধর্ম মানুষ এর জন্যে থাকে, আমাদের পালিত পশুকে মুসলিম গরু- হিন্দু ছাগল ডাকার মতোই বিষয় রাষ্ট্রকে মুসলিম ডাকা, অন্তত আমার কাছে।
সে সব দূরেই রাখলাম, ইরাক এর বর্তমান বা রিসেন্ট অতীতও একটি শিক্ষা হতে পারে, ধ্যান-ধারনার এক্সট্রিমিজম কখনোই রাষ্ট্রের উপরে চাপিয়ে দেয়া শুভ ফল বয়ে আনে না। ইউরোপ-ইউএস এর উন্নতির দিকে তাকিয়ে ঈর্ষার স্বরে বলি, শালার ইহুদীরা- বেজন্মা খ্রিষ্টানদের কাজ দেখো! কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আমরা এড়িয়ে যাই সবসময়, তাদের উন্নতির প্রধান কারণ তারা তাদের নীতিকে-বিশ্বাসকে অর্থনীতির উপরে চাপিয়ে না দিয়ে, রাষ্ট্রকে আবেগ দিয়ে বাউন্ড না করে উন্নতির পথ অন্বেষণ করেছে। আবিষ্কারের চেতনায় মগ্ন হয়েছে, ব্যাবসা-বানিজ্য-উৎপাদনকে ব্রত করেছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনৈতিক ক্ষমতা চলে গেছে তাদের হাতে এবং তারা হয়েছে শাসক। আর শাসকদের দূর থেকে সব সময়ই শোষক এর মতোই দেখায়। মানি, তার শোষক বটে! কিন্তু মূর্খ/অজ্ঞদের মতো আচরণ করা “তথাকথিত মুসলিম” রাষ্ট্রের তো শোষণ হওয়াই নিয়তি!
মুসলিম রাষ্ট্র, হেফাজতের দাবী, আওয়ামীলীগ এর “নাস্তিকতা” নিয়ে হাউকাউ করছি, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে জীবন দিয়ে দিচ্ছি, এরা ইসলাম কায়েম করবে! বেশীদিন আগের কথা না, ৭ বছর আগে তাকালেই বিএনপি জামাতের ছায়াতলে ভয়াবহ জঙ্গি তৎপরতার কথা আমরা কিন্তু বেমালুম ভুলে গেছি। এটা বাস্তব সত্য, বিএনপির আমলে এসব যেমন প্রশ্রয় পায়, হিন্দু সহ অন্য ধর্মবলম্বিদের উপরে সহিংসতা বেড়ে যায় বহুগুণে। এটা স্রেফ অসভ্যতা। উপরে দেয়াই আছে উদাহরণ, মুসলিম রাষ্ট্র চান তো “রোল মডেল” রাষ্ট্রগুলো থেকে একটি পছন্দ করুণ! বলুন আপনার দেশকে সেখানে দেখতে চান। নারীর অবমাননার মধ্যযুগীয় রুপটা মনে করিয়ে দিতেই হয়ত সৃষ্টিকর্তা এই দেশগুলোকে এখনও টিকিয়ে রেখেছেন!
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে আমার ধর্ম ইসলামেই নিষেধ করতে বলা আছে। জিহাদ শব্দের অপব্যাখ্যা করে ভন্ডামি করা আর কতো? ইসলামিক রাষ্ট্রের ধোঁয়া তুলে নিজ রাষ্ট্রের “মানুষ” এর জীবন এর নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করা কতো? শুধু ধর্ম দিয়ে ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি, ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে অর্থ উৎপাদনের পথ দেখতে পাচ্ছেন, এমনই মুসলমান আপনি।
আমাদের তেল নেই, সৌদি হবার যো(এমন নয় যে ইচ্ছে রয়েছে!) নেই তাই, বাকীগুলোর একটির যায়গায় দেখতে চাইবেন বাংলাদেশকে? তবে ধন্য আপনার মুসলমানিত্ব, মহাধন্য আপনার বাঙালিত্ব।
২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: নীতি নিয়ে অত্যাধিক ভাবা "মুসলমান রাষ্ট্র" হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই তো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেলিব্রেট করতে পারি আমরা।
২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: অসাধারন লিখা, একবার পড়লাম, আবার সময় নিয়ে পড়ব।
+++ সহকারে প্রিয়তে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
৩| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
কষ্টবিলাসী বলেছেন:
১। ইরান হচ্ছে শিয়া রাষ্ট্র, ইসলামিক রাষ্ট্র কিভাবে বলেন?
২। পাকিস্তান, আফগানিস্তান কি ইসলামিক রাষ্ট্র?
৩। সৌদি আরবে রাজা-বাদশারা কি করলো তাতে ইসলাম ধরে টানাটানি করছেন কেন?
চিন্তা-ভাবনার গভীরতা বাড়ান।
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অগভীর চিন্তাভাবনাকে মোকাবেলা করতে গভীরে যাবার প্রয়োজন পরে না বরং এতে হীতে বিপরীতই হয়। আমি শুধু আমাদের দেশের মুসলমানদের "মডেল রাষ্ট্র" গুলো যেগুলোকে তারা উদাহরণ মানেন সেগুলোর কথাই বলেছি। আর বুঝাতে চেয়েছি যদি একটিও মুসলিম রাষ্ট্রের একজিস্টেন্স না থাকে তবে কোন মরীচিকার পিছে ছুটছি আমরা? আশা করি উত্তর পাবো!!
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
ইখতামিন বলেছেন:
+++++++++++++++
খুব ভালো লাগলো
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ নেবের ইখতামিন ভাইয়া
৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
সায়েদ রিয়াদ বলেছেন: উপরে একজন বলেছেন ইরান শিয়া রাষ্ট্র , ইসলামী না । বাঁশেরকেল্লা সহ জামাত-শিবির পরিচালিত পেইজ থেকে তাহলে আহমেদিনেজাদকে মডেল ইসেবে বার বার তুলে ধরা হয় ক্যানো ?
এইখানে ইসলাম নিয়ে কেউ টানা টানি করছে না বরং ইসলামী রাষ্ট্রের ধোঁয়া তুলে যেসব দেশগুলোকে সামনে নিয়ে আসা হয় সেইসব দেশের বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা করা হয়েছে শুধুমাত্র !
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমার চিন্তাভাবনা আপনার কাছে এক্সপ্রেস করতে পেরেছি সফল ভাবে, এটা দেখে ভালো লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ নেবেন সায়েদ ভাইয়া।
৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
খুবই আনাড়ী পোষ্ট। আনাড়ী লেখা।
যে বিষয় হাত দেয়া আপনার মানায় না, সে বিষয় নিয়ে হাত দিয়ে বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।
খুবই ভারী একটা সাবজেক্ট ভাই।
অন্য বিষয় নিয়ে লিখেন।
ধন্যবাদ।
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সাবজেক্ট ভারী বটে, তবে এটা কোন গবেষণা মুলক পোস্ট নয়, উদাহরণ গুলোকে যদি ডিফেন্ড করতে বলেন পূর্ণ লিংক সহকারে দরকার হলে আবারো লেখা দেবো! তখনও আপনি মানবেন না এটাও জানি।
এখানে আমি বাস্তব উদাহরণ দিয়েছি, পাঠক এর কাছে উদাহরণ চেয়েছি যেটা ইসলামিক রাষ্ট্রের গিমিকি দাবীটাকে প্রতিষ্ঠা করতে মডেল হতে পারে। কেউ দিতে পারে নি।
৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ইসলাম ধর্মের সুতিকাগার সৌদি আরব এখন বিশ্বের বাইজি বাড়িতে পরিনত হয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাজার কোটি ডলারের অস্ত্রচুক্তি করে। আর তাদের পাশেই ফিলিস্তিনিরা অবিরত রাম চোদন খাচ্ছে ইহুদিদের হাতে। তাদের অপর পাশেই মুসলিম দেশ সোমালিয়ায় হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। আর সৌদি-দুবাই নামক বিশ্বের বাইজীবাড়িতে চলছে ভোগবিলাসের উৎসব। ইন্দোনেশিয়া থেকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে মেয়েদের নিয়ে তারা ভোগ করে।
সৌদি আরব আমাদের দেশের ইসলামী দলগুলোকে অর্থ দেয় ধর্মের প্রতি দরদ থেকে নয়। এখানেও আছে রাজনীতি। সৌদির দ্বিতীয় বৃহত্তম আয় হয় হজ থেকে। ইসলামী এই ব্যবস্থা তারা রাখতে চায আয়টা যাতে কখনো হুমকির মুখে না পড়ে। ইসলামের প্রতি তাদের কেমন দরদ তা তাদের পাশের দেশগুলোর প্রতি আচারণ দেখলেই বোঝা যায়।
বিস্তারিত
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড
Click This Link
৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: একশত ভাগ সহমত। তাহলে আমরা কোন পথে হাটতে চাইছি আমার প্রশ্ন সেটাই।
৮| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
মুকুল সালাহউদ্দীন বলেছেন: র্ধম নিয়ে বেশী বির্তক বা নেতিবাচক কিছু বলতে চায়না, তারপরও আপনার লেখা দেখে দুটি কথা বলতেছি।
২০০৬ সাল হতে কুয়েতে আছি। মানুষ হিসাবে নারী পুরুষের মান সম্মান একই হলেও আজব কিছু কান্ড দেখেছি কুয়েতে।
১) কুয়েতি পুরুষরা বিদেশী মেয়েদের বিবাহ করতে পারবে, কিন্তু কুয়েতি নারীরা বিদেশী পুরুষ বিবাহ করতে পারবে না।
২) খ্রষ্টান রাষ্ট্র যেমন আমেরিকা সহ আফ্রিকার দেশে অবৈধ ভাবে গিয়ে পরে বৈধ হতে পারে, কিন্তু কুয়েতে বৈধ ভাবে আসে ৮/১০ বছর বা এর চেযে বেশী সময় পরও বৈধ ভাবে বসবার করার পরও অনেক ক্ষেত্রে ও বহু নিয়ম কানুনের খপ্পরে পড়ে অবৈধ হয়ে দেশে দেশে যেতে হয় নিস্ব হয়ে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: প্রথমটি আসলে অভিবাসন আইন থেকে আসছে।
৯| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫২
সাইদুল হক পাবেল বলেছেন: ১. বর্তমান বিশ্বে খাটি ইসলামী রাষ্ট্র নাই।
২. ইসলাম আর রাষ্ট্র এই দুটিকে চাইলে কেউ আলাদা করতে পারবেন না, যদি আপনি মুসলমান হোন। কারন কুরআনে আছে "ধর্ম আর রাষ্ট্র যময সন্তান।"
৩. সত্যিকারের ইসলামী রাষ্ট্র ছিল মহানবী (স এবং খোলাফায়ে রাশেদীনদের সময়। এরপর আর কেউ ইসলামী রাষ্ট্র করতে পারে নাই। যেটা করছে সেটা হল রাজতন্ত্র।
৪. বাংলাদেশ যদি সত্যি ইসলামী রাষ্ট্র হত তাহলে কোন দুর্নীতি থাকত না
৫. ইসলামী রাষ্ট্র আবার হবে, ইমাম মাহদীর সময়।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সুতরাং, এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামী রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলা, চিন্তা করা গরধবের কম্মো। ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩
আল ইফরান বলেছেন: @ দিকভ্রান্ত*পথিক ভাই, এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে লেখার আগে দরকার ছিলো আগে কিছু হোমওয়ার্ক করে নেয়া। আর সেইটা না করার ছাপ আপনার লেখার প্রতিটি লাইনে লাইনে ফুটে উঠছে। যাই হোক, এইধরনের একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে লিখছেন সেই জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে কথাগুলো আমাদের দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদদের সস্তা বক্তব্যের মত লাগছে।
আপনি দয়া করে বাংলাদেশী মুসলমানদের চরিত্র নিয়ে একটু স্টাডি করবেন পুর্বোল্লিখিত দেশগুলোর সাথে তুলনা করার আগে। আর সেই জন্য এই অধম মুর্খ আপনাকে একখানা বই রেফার করিতে ইচ্ছুক। বইটা ইউপিএল এ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সাবজেক্ট ভার স্পর্শকাতর এবং আমার জ্ঞানের কমতি রয়েছে বটে, তবে এটা কোন গবেষণা মুলক পোস্ট নয়, শুধুই আমার মতামত যা বাস্তব উদাহরণের সাহায্যে ডিফেন্ড করেছি! উদাহরণ গুলোকে যদি ডিফেন্ড করতে বলেন পূর্ণ লিংক সহকারে দরকার হলে আবারো লেখা দেবো!
এখানে আমি বাস্তব উদাহরণ দিয়েছি, পাঠক এর কাছে উদাহরণ চেয়েছি যেটা ইসলামিক রাষ্ট্রের গিমিকি দাবীটাকে প্রতিষ্ঠা করতে মডেল হতে পারে। কেউ দিতে পারে নি।
বইটির জন্যে ধন্যবাদ, এই বিষয়ে আরো কিছু লেখা লিখছি, তাই আলোচনা হবে আশা রাখি।
১১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ইসলামী রাষ্ট্র হইতেসে কাজীর সেই গরু যা শুধু ইতিহাস এবং কিতাবেই আছে,বাস্তবে কোথাও নেই! সৌদি আরব, ইরাক, ইরান , পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া কোথাও নেই! যা নেই তা নিয়ে আর কিভাবে আলোচনা করবেন?
আমি অবশ্য একটা সহজ জিনিস বুঝিনা, দুনিয়টারে আল্লাহ তাঁর মত করেই বানাইসেন। এই পৃথিবীর কোন ভূখন্ডকে কেন মুসলমানি দিয়ে বিশেষভাবে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে হবে বুঝিনা। সব নাগরিক তাদের নিষ্ঠা দিয়ে ইসলাম পালন করলে আর ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম কায়েম করতে হয়না। যারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে তারা খুব পরিস্কারভাবে ধর্ম বিক্রি করে ক্ষমতায় যেতে চায়।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আল্লাহ্র দুনিয়ার "ইসলামী রাষ্ট্র" বানিয়ে কি উদ্ধার হবে তাও বুঝে আসে না ঠিক।
আর যে মরীচিকার অস্তিত্ব নেই তার পিছনে আমাদের শান্তিপূর্ণ দেশটাকে উথালপাথাল করে করে কেন দৌড়াচ্ছি আমরা তাও অবাক করে। মালয়েশিয়ার উদাহরণই দিতে পারি, মুসলিম মেজরিটি হলেও চাইনিজরা নিজের কালচার মতো চলছে, সহনশীলাতা ও সহাবস্থান মেনে নিয়েই, তবে রাষ্ট্রের খৎনা করে কি হাসিল করতে চায় এরা?
১২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কখনোই পছন্দ করিনা। ধর্ম নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে মৌলবাদীরা সমাজে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করে ফেলে। সেটা যেমন নন মুসলিমদের জন্য ভীতিকর হয়ে দাড়ায় তেমনি মুসলিমদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাড়ায়।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল এরা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে ধর্ম থেকে পুরোটাই সরে আসে। এদের আমি বরং সবচেয়ে বড় পাপী হিসেবেই গন্য করি।
আপনার লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। অনেক তথ্যপূর্ন লেখা। ভালো বিশ্লেষন। সর্বোপরি সচেতনতামূলক যেটা বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌছে দেয়া খুব দরকার।
প্রাউড অফ ইউ ব্রাদার !
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার প্রসংশা থেকে অনুপ্রেরনাটুকু নিলাম, এই বিষয়ে লেখা চলবে অবশ্য। এবং আমি আপনার সাথে শতভাগ সহমত।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল এরা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে ধর্ম থেকে পুরোটাই সরে আসে। এদের আমি বরং সবচেয়ে বড় পাপী হিসেবেই গন্য করি। -- কথাটা আমার মনের!
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভ্রাতা +++++++
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অপূর্ণ ভাই
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
নবীউল করিম বলেছেন: যে বিষয়ের উপর লেখেছেন তার ব্যাপারে পরিষ্কার জ্ঞান থাকাটা জরুরী।
আগে ইসলামী রাষ্ট্র কি সেটা ভালো মতো বুঝে নিন......... উপরের একটাও ইসলামী রাষ্ট্র না......।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ইসলামিক রাষ্ট্রের সংজ্ঞা ও বর্তমান উদাহরণ দিয়ে গেলে আপনার কথাটার ভিত্তি থাকতো। ভিত্তিহীন কথা না বলাই ভালো।
১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০২
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: পৃথিবীতে ইসলামিক রাষ্ট কয়টি ও কি কি ডকুমেন্ট সহ জানলে খুসি হবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
ধূসর সপ্ন বলেছেন: আমাদের নীতি, নৈতিকতার অবক্ষয় এর জন্যই এমন হচ্ছে ।