নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুই ও দুই চার হয় সেটাই বুঝিনা।

বিনা অপরাধে যারা শাস্তি পায়, তাদের কষ্ট শেয়ার করা যায় না।

রাকা ও আমি

এখন আমি আর কিছু চাই না। কিছু পেলেও অবাক হইনা।

রাকা ও আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

০৬ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

মোগল ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্ব ভোগীর কোন স্থান ছিলোনা। কারণ সে ব্যবস্থা অনুযয়ী সরকার প্রতেক গ্রামে মাতব্বরের সহায়তায় কৃষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করত। ১৭৬৫ খ্বুস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী মোগল সম্রাটের থেকে দেওয়ানী লাভ করে বাঙলাদেশের রাজস্ব আদায়ে ভারপ্রাপ্ত হয়। ইংরেজরা দেওয়ানী প্রাপ্তি পর করের মাত্রা বহুগুনে বৃদ্ধি করা হয়। এরফলে দেখা দেয় বাঙলার ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ব্যাপক ও ভয়াবহ এক দুর্ভিক্ষ, যা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত। দুর্ভিক্ষের পূর্বে ১৭৬৮ সালে বাঙলাদেশের রাজস্ব ছিলো ১,৫২,০৪,৮৫৬ টাকা, কিন্তু দুর্ভিক্ষের পর ১৭৭১ খ্বুস্টাব্দে প্রদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মৃত্যমুখে পতিত হবার পরও মোট রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১,৫৭,২৬,৫৭৬ টাকায়। কতটা নর্মমভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী অর্ধমৃত কৃষকদের থেকে রাজস্ব আদায় করে তা অঙ্ক দেখেই বুঝা যায়।



পূর্ববতীতে জমিদাররা ছিলো সরকারের এবং কোম্পানীর রাজস্ব আদায়কারী এজেন্ট। জমিতে তাদের কোন দখলীস্বত্ব ছিলোনা। লর্ড কর্নওয়ালিস ব্যবস্থা চালু করেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার ফলে জমির মালিকানা জমিদারদের কাছে চলে যায়। জমিদাররা ক্বৃষকদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করে। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে উক্ত খাজনার ১০ ভাগের ৯ ভাগ কোম্পানী দিতে হত। আর ১ ভাগ তার জমিদারি চালানোর জন্য ব্যায় করা হত। এক্ষেত্রে জমিদাররা ছিলো ইংরেজদের চেয়ে আরও কঠোর। তারা ক্বৃষকদের কাছ থেকে অধিক হারে খাজনা আদায় করে। করের টাকা ক্বৃষকরা ঠিক মতন দিতে না পাড়লে জমিদাররা নানা রকম নির্যাতন চালাতো, নিন্মে তালিকা দেওয়া হলো:

১। দন্ডাঘাত ও বেত্রাঘাত

২। চর্মপাদুকা প্রহার

৩। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বক্ষস্থল দলন

৪। খাপরা দিয়ে নাসিকা-কর্ণ মর্দন

৫। মাটিতে নাসিকা ঘর্ষণ

৬। পিঠে হাত বেঁকিয়ে বেঁধে বংশদন্ড দি্যে মোড় দেওয়া

৭। গায়ে বিছুটি দেওয়া

৮। হাত-পা নিগড়বদ্ধ করা

৯। কান ধরে দৌড় করানো

১০। ফাটা দু'খানা বাঁধা বাখারি দিয়ে হাত দখল করা

১১। গ্রীষ্মকালে ঝাঁ ঝাঁ রৌদ্রে পা ফাঁকা করে দাঁড় করি্যে পিঠ বেঁকিয়ে পিঠের উপর ইট চাপিয়ে রাখা

১২। প্রচন্ড শীতে জলমগ্ন করা

১৩। বৃক্ষে বা অনত্র বেঁধে লম্বা করা

১৪। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে ধানের গোলায় পুরে রাখা

১৫। চুনের ঘরে বন্ধ করে রাখা

১৬। কারারৃদ্ধ করে উপোস রাখা

১৭। গৃহবন্দী করে লঙ্কামরিচের ধোঁয়া দেওয়া।



ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বাঙলার কৃষকদের কোন লাভই হয় নাই। লাভ হয়েছে জমিদারদের এবং ইংরেজদের।

















মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:৫৯

হাম্বা বলেছেন: 8-| 8-|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.