নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওমর

০৩/২৮/২০১৩

ওমর শ।িকল

Protiti manuser jibonei na kichu sopno thake, thake sopno puroner golpo. Thake sopnovanggar hotashao. tobe amader jibone sopno puroner cheye sopno vanggar golpotai beshi. Kintu sopno puron hok ba na hok, manus tar jiboner shes dinti porjonto dekhe jay. Ashar prodip jaliye rakhe nirbicchinno. R doshjon sadharon manuser moto amio ekjon manus, tai amaro kichu sopno ache, sopno puroner akankka. Jani na amar sopno gulo kokhono puron hobe kina. Ei sopnomoy prithibitake biday janar ag muhurto porjonto ami sopno gulake lalon kore jabo.....

ওমর শ।িকল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক ও কলামিস্ট

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

আপসহীন সম্পাদক মাহমুদুর রহমান



ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম



আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘জালেম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা উত্তম জিহাদ।’ আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আজ জীবন বাজি রেখে সেই লড়াইয়ে অবতীর্ণ। এই হাদিসের আলোকে তিনি এখন আমাদের অনেকের থেকে এগিয়ে। মাহমুদুর রহমান এখন একটি অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন, ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রচণ্ড বিদ্রোহ। তিনি জেল-জুলুম-নির্যাতনকে মাথা পেতে নিয়েছেন বারবার, কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। এই আপসহীন সম্পাদক রিমান্ড এবং জেলে গিয়েও সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে অনশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন। বৃদ্ধ মায়ের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, আমার দেশ ছাপাখানা খুলে দেয়া, গ্রেফতার করা আমার দেশ পরিবারের সাংবাদিক-কর্মচারীদের মুক্তির তিন দফা দাবিতে তিনি অনশন অব্যাহত রেখেছেন। এর মধ্য দিয়ে মাহমুদুর রহমান তার বৃদ্ধা মায়ের আকুতিতে আরেকবার নাড়া দিয়েছেন। হয়তো তার বৃদ্ধা মা আল্লাহর দরবারে এমন গর্বিত সন্তান দানের জন্য শুকরিয়া আদায় করছেন। আর যে সন্তানের জন্য মায়ের এমন দোয়া থাকে, সত্যিই সে সন্তান অনেক ভাগ্যবান। জাতি এই রত্নগর্ভা মায়ের অশ্রুসজল আকুতি শুনছে টিভির পর্দায় একাধিকবার। দেখেছে সত্যের পক্ষে মা ও ছেলের দৃঢ়চিত্ততা। মাহমুদুর রহমান এখন তামাম দুনিয়ার মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম। তিনি এরই মধ্যে তার কর্মের মাধ্যমে সত্যের পক্ষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছেন প্রথম সারিতে। ব্যক্তিজীবনে সততা আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে অসামান্য অবদান রয়েছে তার। বিগত দিনের সেনাসমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে তিনি এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন। এ রকম নিঃস্বার্থ অকুতোভয় কিছু সৈনিক সত্যিই একটি জাতির শক্তির উত্স, দেশ ও জাতির অহংকার। এই সত্ সাহসের জন্য তিনি সত্যিই স্যালুট পাওয়ার যোগ্য। বিগত সেনাশাসন আমলে আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে কলম ধরে জাতি প্রকৌশলী থেকে সাংবাদিক হিসেবে তাকে কাছে পেয়েছে। বিগত জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশকে রাজনীতিশূন্য করার হীন চক্রান্তের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বজ্রকঠোর। দেশের অনেক রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীরা যখন ফখরুদ্দীন ও ম উ আহমেদ স্তুতিতে ব্যস্ত তখন মাহমুদুর রহমান তার শক্ত লেখনী দিয়ে কাঁপিয়ে তুলেছেন তাদের অবৈধ ক্ষমতার মসনদকে। ঐক্যবদ্ধ করেছেন দেশের জনগণকে। অথচ সেদিন যদি দুই উদ্দীন মিলে মাইনাস টু ফরমুলা বাস্তবায়ন করতে পারত, তাহলে রাজনীতি থেকে বাদ পড়তেন আজকে যিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, তিনি নিজেও। শুধু তাই নয়, মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল ও ভারতের অনুচর ‘র’-এর এজেন্টদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা-উত্তর সর্বপ্রথম কলমই ধরেননি বরং তথাকথিত সুশীলদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এজন্যই ওই তথাকথিত সুশিল সমাজ একজন সম্পাদকের ওপর বারবার এমন অমানবিক নির্যাতনের পর ও ন্যূনতম প্রতিবাদটুকু জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান এখন তরুণ প্রজন্মের অহংকার, দেশ ও জাতির গর্ব, এদেশের ইসলামপ্রিয় তৌহিদি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন। যারা এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী, রাসুল (সা.)-কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন তাদের কাছে মাহমুদুর রহমান এখন একটি প্রেরণা, সাহসের বাতিঘর।

কারণ শাহবাগি নাস্তিকদের মুখোশ তিনি সবার আগে জাতির সামনে উন্মোচন করেছেন। শাহবাগিদের ভেলকিবাজির উদ্দেশ্য ছিল পদ্মা সেতুর দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, দলীয় ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার সমাজের সব শ্রেণী ও পেশার মানুষের নজরকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা। আওয়ামী-বামদের যৌথ প্রযোজনায় শাহবাগ নাটক সাজানো হয়েছে—এ কথা সবার আগে প্রকাশ করে আমার দেশ পত্রিকা। মূলত সেখান থেকে মাহমুদুর রহমানের ওপর আওয়ামী লীগের আক্রোশ চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধান এবং রাষ্ট্রীয় তহবিল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে ব্লগার অ্যাকটিভিস্ট নামে নামসর্বস্ব একটি সংগঠনের ব্যানারে শাহবাগের এই আয়োজন। জাতি মাহমুদুর রহমানের সম্পাদিত পত্রিকার মাধ্যমে তা সবার আগে জানলো।

তাছাড়া শাহবাগ নাটকের খলনায়ক ডা. ইমরানের মুখোশ উন্মোচিত করে আমার দেশ। পত্রিকাটি নিউজ করেছে ‘কে এই ইমরান’। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লগার অ্যাকটিভিস্ট ডা. ইমরান রংপুর মেডিকেলে কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন এবং আমার দেশ, নয়া দিগন্তসহ মিডিয়া বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। মহাসমাবেশের সভাপতি ও চরমপত্র পাঠকারী ব্লগার ইমরান কট্টর আওয়ামী লীগার। তিনি পেশায় চিকিত্সক এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা। শুধু তাই নয়, ইমরান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ অভিহিত করে সংসদ ভবনসংলগ্ন জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ জিয়ার মাজার নিয়েও কটাক্ষপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। ইমরান তার ফেসবুকে জিয়াউর রহমানকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাসে লিখেছে, ‘জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে রাজাকারের কবর রেখে এই পূজা আর কতদিন? এ সার্কাস আর দেখতাম চায় না প্রজন্ম... এই শালাদের কোনো নিশানা রাখা যাবে না এই বাংলায়।’

একের পর এক আমার দেশ যখন শাহবাগিদের মুখোশ খুলে দিতে শুরু করল, ঠিক তখনই রাজধানীর শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফ্যাসিবাদী আক্রমণের শিকার হলো দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর পাঠকপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ। শাহবাগের এই জায়গা থেকে আওয়ামী-বামরা সেই ফ্যাসিবাদের হুংকার দিচ্ছে। এই হুংকারের আওয়াজের ভয়াবহতা ডানপন্থী, মধ্যপন্থী আর আমাদের দেশের অনেক রাজনীতিবিদদের বুঝে উঠতে সময় লাগলেও মাহমুদুর রহমান শাহবাগি ষড়যন্ত্র বুঝেছেন সবার আগে। এজন্যই তিনি আজ নির্মম নির্যাতনের শিকার।

শাহবাগ নাটকের অষ্টম দিনে আমি এক নিবন্ধে লিখেছিলাম, যদি শাহবাগের নাটক বুঝতে আমাদের বেশি সময় লাগে, তাহলে এজন্য খেসারত দিতে হবে গোটা জাতিকে। বিশেষ করে বিরোধী দলকে। এটিকে যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মঞ্চ মনে করে আমাদের বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমান, তাহলে পরিস্থিতি অনেক জঘন্য জায়গায় গিয়ে ঠেকবে। কেউ যদি মনে করে থাকে এই আওয়াজ শুধু দিগন্ত টিভি, পত্রিকা জামায়াতের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে, তাহলে সেটি হবে মহা ভুল। ডানপন্থী চ্যানেল ও পত্রিকাওয়ালারা মনে করে, আমাদের তো কিছু বলছে না। আমার দেশ তো মাহমুদুর রহমানের পত্রিকা, তার বিরুদ্ধে বললে আমাদের অসুবিধা কী? অবস্থা দেখে মনে হয়, আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে অনেকেই মাহমুদুর রহমানের জনপ্রিয়তা নিয়ে ঈর্ষান্বিত!! তার গ্রেফতারের পর কার্যত কোনো আন্দোলনই গড়ে ওঠেনি। যতটুকু আন্দোলন চলছে, তা সাংবাদিক, পেশাজীবী, আর তার ভক্ত-অনুরক্তরাই করছেন বলে আমার ধারণা। অনেক নেতার কাছে মাহমুদুর রহমান চক্ষুশূল। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? দেশের মানুষ খুব ভালো করেই জানেন, মাহমুদুর রহমানের আজকের এই অবস্থা তিনি তার যোগ্যতা বলেই অর্জন করেছেন। বরং মাহমুদুর রহমানই সেই ক্ষণজন্মা ব্যক্তি যিনি ১/১১-এর সময় সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লেখনীর মাধ্যমে সবাইকে জাগিয়ে তুলেছেন। নচেত্ আজ যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনিও হয়তো মাইনাসের তালিকায় পড়ে যেতেন। মাহমুদুর রহমানই সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর যিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় সন্তান জয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নগ্ন রোষানলের শিকার হয়েছেন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়ে ও দীর্ঘ সময় কারাভোগ শিকার করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে যখন ইতিহাসের জঘন্যতম হিংসা, বিদ্বেষ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব আয়োজন করে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করছে সরকার, যখন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ বোমা ফাটিয়ে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা সারা পৃথিবীকে এই বিচার কাজের জঘন্য ইতিহাস সম্পর্কে জানান দিল, তখন মাহমুদুর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি নিজের জীবনের কথা না ভেবে আমার দেশ পত্রিকায় সে সত্য ইতিহাস ছাপিয়ে চার মাস নিজ অফিসে অবরুদ্ধ। সাংবাদিক অলি উল্লাহ নোমান জীবনের নিরাপত্তা না পেয়ে এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবুও থেমে নেই আমার দেশ পত্রিকার লড়াই। শাহবাগ চত্বরে কী হচ্ছে? কারা করছে? তরুণসমাজকে বিভ্রান্ত করে তাদের আবেগকে পুঁজি করে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে আরও অনেক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে তরুণদের মাঠে নামিয়েছে সরকার, তখন মাহমুদুর রহমানের রাডারেই সবার আগে সে বিপদসংকেত ধরা পড়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে অনেকের মতো চোখ বুজে উটপাখির মতো থাকতে পারতেন, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির নামধারী অনেক নেতার মতো শাহবাগের আন্দোলনকে স্বাগত জানাতে পারতেন। কারণ পত্রিকা অফিসের অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামী লীগের করুণা বেশি তারই প্রয়োজন। কিন্তু এই আপসহীন লড়াকু কলমসৈনিক তা করেননি। মূলত যারা নিঃস্বার্থভাবে জাতির জন্য কাজ করেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে নিজের জীবনবাজি শুধু তারাই রাখতে পারেন।

সংবাদপত্রের রয়েছে সামাজিক এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। সংবাদপত্রকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে মূল্যয়ন করা হয়। একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের অনুপস্থিতির কথা ভাবাই যায় না। কিন্তু সেখানে থাকতে হবে দেশপ্রেম সামাজিকতা, সততা, স্বচ্ছতা, মানবিক মূল্যবোধ ও সাংবাদিকতার সার্বজনীন নীতিমালা এবং পেশাদারি মনোভাব। আমার দেশ সেই প্রত্যয় নিয়ে জনগণের মুখপাত্র হিসেবে এগিয়ে চলছে। কিন্তু বারবার আমার দেশ পত্রিকার ওপর চালানো হচ্ছে নগ্নবাকশালী থাবা। এর আগেও আমার দেশ-এর ডিক্লারেশন বন্ধ এবং পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে। কথাটি শুনে আঁেক উঠেছিলাম কিন্তু হতবাক হইনি। কারণ কথায় বলে, শিয়ালের লেজ বারো বছর বাঁশের কঞ্চিতে রাখলেও নাকি সোজা হয় না। আওয়ামী লীগেরও বাকশালী অভ্যাস বদলায়নি। এই আওয়ামী লীগই তো চার পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এ সরকারের আমলে আরও মিডিয়া বন্ধ হলে হয়তো আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না। শোনা যাচ্ছে, বন্ধ হওয়ার তালিকায় আছে আরও চ্যানেল ও পত্রিকা। চলছে গোপনে কন্ট্রোলিং। অনেককে এরই মধ্যে রেড সিগন্যালও নাকি দেয়া হয়ে গেছে। সরকার আমার দেশ-এর ডিক্লারেশন বন্ধ ও পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে মিডিয়ার ওপর যে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতকিছুর পরও সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবে?

এর আগেও মাহমুদুর রহমান আদালত অবমাননার জন্য ক্ষমা না চেয়ে বীরপুরুষের পরিচয় দিয়েছেন।

যে রত্নগর্ভা মা এমন সন্তান পেটে ধারণ করেছেন, তাকে মোবারকবাদ! বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজহার লিখেছেন, ‘মাহমুদুর রহমান এখন বিবেকের বন্দি। তিনি আদালত অবমাননার জন্য ক্ষমা না চাইবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার কারণে আজ সারা দুনিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা তার পক্ষে সারি বেঁধে দাঁডিয়ে যাচ্ছে। নির্যাতন ও মানুষের প্রতি অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে লড়াই এ সময়ের প্রধান কর্তব্য।’ মাহমুদুর রহমানের মতো ক্ষণজন্মা মানুষ এই অবহেলিত জাতির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যিনি একাধারে প্রশাসক, সংগঠক, লেখক এবং সততা-সাহসের ধারক ও বাহক। এতগুলো গুণের সমন্বয় একজন মানুষের জীবনে সত্যিই দুর্লভ। এটি আল্লাহর বিরাট বড় নিয়ামত ছাড়া আর কিছু নয়। আল্লাহ তাকে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে আরও ভূমিকা পালনের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন। লন্ডনেও বিমানবন্দরে তার ওপর হামলা হয়েছে। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেন। কথায় বলে, রাখে আল্লাহ মারে কে? দেশের মানুষ তার জন্য দোয়া করছে। আল্লাহ তাকে হায়াত দারাজ করুন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের তৌফিক দিন। আমরা সবাই আল্লাহর দরবারে কায়মনো বাক্যে সেই ফরিয়াদ করছি। দেশবাসী আবার হাতে পেতে চায় আমার দেশ পত্রিকা আর প্রহর গুনছে মুক্ত মাহমুদুর রহমানের।



লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.