![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Protiti manuser jibonei na kichu sopno thake, thake sopno puroner golpo. Thake sopnovanggar hotashao. tobe amader jibone sopno puroner cheye sopno vanggar golpotai beshi. Kintu sopno puron hok ba na hok, manus tar jiboner shes dinti porjonto dekhe jay. Ashar prodip jaliye rakhe nirbicchinno. R doshjon sadharon manuser moto amio ekjon manus, tai amaro kichu sopno ache, sopno puroner akankka. Jani na amar sopno gulo kokhono puron hobe kina. Ei sopnomoy prithibitake biday janar ag muhurto porjonto ami sopno gulake lalon kore jabo.....
রিমাণ্ডের নামে বাংলাদেশে এসব হচ্ছে কি?
Remand হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপরাধীকে পুলিশী হেফাজতে রাখা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই Remand প্রথা আছে। তবে বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে এই রিমাণ্ডের অপব্যবহার অত্যন্ত প্রচণ্ড। বিশেষ করে বাংলাদেশে বর্তমানে Remand-এর নামে যা হচ্ছে, তা কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় মেনে নেয়া যায় না।
সরকার যাকে তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে বিনা বিচারে আটকে রাখছে আর রিমাণ্ডের নামে চালাচ্ছে অমানবিক শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। মাহমুদুর রহমানকে যখন গ্রেফতার করা হয় তার তখনকার চেহারা আর কয় দিন পর যখন তাকে আদালতে আনা হয় সেদিনের চেহারা দেখলে একটা শিশু ও বুঝতে পারবে লোকটার উপর কি পরিমান অত্যাচার করা হচ্ছে।
শুনা যাচ্ছে এক ধরনের Chemical injection মাহমুদুর রহমানকে Push করা হচ্ছে যার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত মারাত্নক। ইহা নাকি ইয়াসির আরাফাতকে ও Push করা হয়েছিল। এটি এমন এক ধরনের বিষ যা শরীরকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। ধীরে ধীরে মানুষ মৃত্যূর দিকে ধাবিত হয়। মাহমুদুর রহমানের উপর এ সব করা হচ্ছে বিদেশী গোয়েন্দাদের সহায়তায়। তারা নাকি এখন ও বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
শিবিরের সভাপতিকে ও দেয়া হচ্ছে চরম শারিরীক ও মানসিক কষ্ট। তাকে বলা হচ্ছে তিনি যেন জামাত শিবিরের নামে মিথ্যাচার করেন। তাহলেই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। বেচারা মিথ্যা বলতে রাজি না হওয়ায় তাকে দেয়া হচ্ছে Electric shock, sound therapy, light therapy ইত্যাদি। তার হাড় ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
আটক করা হয়েছে BNP, জামাত, হেফাজত সহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা কর্মীকে। Remand-এর নামে কম বেশী সবার উপরেই চলছে অতি উৎসাহি পুলিশ নামক নরপশুদের অমানবিক নির্যাতন। কারাগারগুলোতে দাড়িয়ে থাকার মত ও জায়গা নেই। যেখানে ৪ জন থাকার কথা সেখানে ১৬ জন। এই শোচনীয় অবস্থার কথা সেদিন মিডিয়ায় বলেছেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল।
প্রশ্ন হচ্ছে সরকার আর কি চায়? সারাটা দেশই তো এখন কারাগার। মুখ খুললেই আটক করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা এই আওয়ামী সরকার কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না। কোন দাবী আদায় করতে দিচ্ছে না। মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠছে। ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরেই চলে যাচ্ছে বলা যায়। নৈরাজ্য তো আছেই। সরকার সব দোষ বিরোধী দলের ঘাঢ়ে চাপাতে চাচ্ছে। মিছিল, মিটিং করলেই গ্রেফতার করছে আর বলছে নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রন করতেই আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করছে।
সরকার গনতান্ত্রিক আন্দোলন কে নৈরাজ্য বলছে। অথচ নৈরাজ্য কাকে বলে তা জনগন দেখেছে ওয়ান ইলেভেনে, লগি বৈঠার তাণ্ডবে। কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, আমি করলে দোষ।
জনগন এই নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান চায়। মিথ্যা মামলায় সব বন্দীর মুক্তি চায়। চায় রিমাণ্ডের নামে শয়তানীর অবসান। নচেৎ নিশ্চিত বিপ্লব, জনতার উথ্থান।
Nawshad M Ali
©somewhere in net ltd.