করি রে খুব Miss করি. . . আজ সেতুর জন্মদিন সবাই ওর জন্য একটু Pray করবেন

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

"হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া একটি গল্প"



একটি ছেলে আর একটি মেয়ে ছিল,

তারা একসঙ্গে একই কলেজে পড়ত,

তারা দুজন দুজনকে খুব ভালবাসত কিন্তূ কেউ কাউকে বলে উঠতে পারেনি..

তারা খুব ভাল বন্ধু ছিল,

কলেজে সব সময় পাশাপাশি বসত আর

খুব গল্প করত। কলেজের সব বন্ধুরা

জানত ওরা প্রেমিক-প্রেমিকা জুঠি,

একদিন মেয়েটি ফোন করে ছেলেটিকে

বলল তুমি আমার সঙ্গে এক্ষুনি

দেখা করতে পারবে খুব দরকার আছে।

ছেলেটি বলল ঠিক আছে আমি দেখা করব।

সে মনে মনে ঠিক করলে যে

আজকেই ওকে "I LOVE YOU" বলবে।

তাই সে তার সঙ্গে দেখা করতে চলে গেল।

তারা দুজনে দেখা করল আর অনেক গল্প করল। এক পর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটিকে

"I LOVE YOU"বলল, এবং মেয়েটিও রাজী হল, তারপর মেয়েটি বলল আমি

এখন যাব, আর একটা চিঠি ছেলেটির হাতে দিয়ে বলল, এই চিঠিটি আমি

চলে যাওয়ার পর পড়বে।

তারপর মেয়েটি চলে গেল।

মেয়েটি চলে যাওয়ার পর সে

চিঠিটি পড়ল, চিঠিতে লেখা ছিল,

আমি জানতাম তুমি আমায় খুব ভালবাস, আমিও তোমাকে খুব ভালবাসি।

তাই তুমি খুব ভাল থেকো।

আর আমাকে ভূলে যেও. . .

"Good Bye"

এবং চিঠির নিচে মেয়েটির একটা

লাল ঠোটের Kiss ছিল।

তারপর সেখানে সে মেয়েটিকে

অনেক খোঁজা-খোঁজি করল কিন্তূ তাকে আর দেখতে পেল না।

হঠাৎ তার Mobile বেজে উঠল সে ফোনটা রিসিভ করল।

ফোনটা মেয়েটির বান্ধবী করেছিল। ছেলেটি ওর কথা জানতে চাওয়ার

আগেই সে বলল যে মেয়েটি

১ঘন্টা আগে একটি Accident-এ

মারা গেছে, সে ফোনটা কেটে

দিয়ে চিঠিটা দেখে কাঁদতে শুরু

করে দিল, আর বলল. . . .

সেতু তোকে Miss করছি ভীষন...

ছোট বেলা থেকে এক সাথেই বড়

হয়েছি আমি আর সেতু,

একসাথে চলত আমাদের খেলা-হাসি ঠাট্টা, দুষ্টুমি সব,

মনে পড়ে তোর জন্যই একই স্কুলে ভর্তি করাতে বাধ্য হোন আমাদের বাবা- মা,

ভর্তি হলাম স্কুলে, ক্লাশের সব বাচ্ছারাই মোটামুটি কান্না-কাটি করত, কিন্তূ আমরা দুই বন্ধু

এক সাথে থাকায় কেবল আমরা দুজনই কাঁদতাম না, আমরা দুজন গলাগলি

করে স্কুলে যেতাম, সেতু

গলা ধরতে না পেরে অর্ধচন্দ্র দেয়ার মত করেই টানতে টানতে স্কুলে নিয়ে যেত আমায়, আমাদের জন্যে কেউ যদি কিছু আনত আমরা Share না করে থাকতাম না, এভাবেই ক্লাশ সিক্সে উঠে গেলাম, আমরা স্কুলে যেতাম দুজন এক

সাথে, টাকা-পয়সা সবই থাকত কিন্তু সেতুকে জন্মদিনের উপহার কিনে দেব বলে যাওয়া-আসার ভাড়া বাঁচিয়ে হেটে হেটে ফিরতাম, আমাদের

বাড়ি ফিরতে একটা Hi-way পার হতে হতো, সেদিন ঝাল মুড়ি খেতে খেতে দুজনে আনমনা হয়ে রাস্তা পার

হচ্ছিলাম, হঠাৎ একটা ট্রাক এসে আমারের উড়িয়ে দেয়. . .

সেতুকে মিটার খানিক দূরে পড়ে থাকতে দেখি, আমি প্রচন্ড যন্ত্রনায়

জ্ঞান হারিয়ে ফেলি, যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন আমি হাসপাতালের একটা বেডে শুয়ে আছি, পুরো শরীর জুড়ে আমার ব্যান্ডেজ, ব্যথা নিয়েই বাবাকে

জিজ্ঞেশ করি সেতুর কথা।

বাবা কিছুই বলেন না...

সেই মুহুর্তেই সেতুর বাবা এসে

বলেন মনি, আমার মেয়েটা আর নেই রে..

সেতুকে আমি ফাজিল ডাকতাম,

ফাজিল, তোকে আমি আজো Miss

করি রে খুব Miss করি. . .

আজ সেতুর জন্মদিন সবাই ওর

জন্য একটু Pray করবেন

০ টি +০/-০