নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমিয় উজ্জ্বল

অমিয় উজ্‌জ্‌বল

অর্থ নয় কীর্তি নয় সফলতা নয় আরো এক বিপন্ন বিস্ময় অন্তর্গত রক্তের ভেতর খেলা করে।

অমিয় উজ্‌জ্‌বল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংলিশ ভিংলিশ

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৭

-ছেলেকে কোথায় ভর্তি করলেন ভাই?

-এইতো শাহীন স্কুলে।

-বাহ ভাল তো। শাহীনের ইংলিশ মিডিয়ামে?

-না বাংলা মিডিয়ামে।

-আহাহা করলেন কি ভাই! ছেলেটার ভবিষ্যত এভাবে আপনি জেনেশুনে নষ্ট করলেন! না না নিজের গোয়ারতুমির জন্য এটা আপনি পারেন না। এটা বাংলা নিয়ে আদিখ্যেতার বিষয় না। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইমোশন চলেনা। এখন যুগ অন্যরকম। ইংরেজী ছাড়া একদম অচল। বাংলাদেশের ছেলেরা বাইরে গেলে এই ইংরেজীর কারনে দাঁড়াতেই পারেনা। সাহস করে দুটো কথা পযর্ন্ত বলতে পারেনা। আমাদের যুগ আর নাই। এখনো সময় আছে ভাই। ছেলেটার লাইফ শেষ করবেন না।ইন্ডিয়ানরা কোথায় চলে গেছে…………..

প্রায় প্রতিদিনই এরকম শুভাকাংক্ষীর মুখোমুখি হতে হয়। সবচেয়ে মজা লাগে এদের সংলাপ গুলো একই রকম। সবাই একই টোনে প্রায় একই রকম শব্দ ব্যবহার করে। আমি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একটি নিরীহ হাসি দেই। যারা ইংরেজী শিক্ষা আর ইংরেজী মিডিয়াম এর ভেতর পার্থক্যটা বোঝেনা তাদের কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা বৃথা। চীন,জাপান বা কোরিয়ার উদাহরণ দেওয়াটাও এদের কাছে অনর্থক বাক্য অপচয়। একটি শিশুর বিকাশের সময়ে তার মনের জগতটাকে যারা ইংরেজীর চাদরে ঢেকে দিয়ে সুখ পায়, তারা পাক। তাদের আর কি বলার আছে?

আমাদের দেশে ইংলিশ মিডিয়ামের মত আরেকটা জিনিস আছে “ইংলিশ ভারসন”। যারা বাংলাদেশ ভক্ত আবার ইংরেজির চটকও পছন্দ করে তাদের জন্য এটা। আমি মাদ্রাসার শিক্ষার সাথে ইংরেজি ভারসন বা মিডিয়ামের শিক্ষায় বিশেষ পার্থক্য দেখিনা। একদিকে মধ্যপ্রাচ্য আরেকদিকে ইউরোপ আমেরিকা। পৃথিবীর আর কোন দেশে এরকম চতুর্মুখী ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা আছে বলে আমার জানা নেই।

আমার ধারনা মাতৃভাষা ছাড়া আর কোন ভাষা শিশুর সহজাত সৃজনশীলতা আর মেধার বিকাশ ঘটাতে পারেনা।এটা যে শুধু আমার ধারনা তা নয় এটাই বিজ্ঞানসম্মত এবং পৃথিবীর সব মনস্তাত্বিকই এই কথা বলেন। তারপরও আমাদের প্রায় সব শিক্ষিত সচ্ছল মানুষেরাই তাদের ছেলে মেয়েদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ান। এর মধ্যে কি কোন শ্রেনী চেতনা কাজ করে? নিজেকে প্রান্তিক এবং মধ্যবিত্তদের থেকে আলাদা করার চেষ্টা? কারন নিম্নমধ্যবিত্তরা চাইলেও এইসব স্কুলে ভরতি হতে পারেনা। সব সমাজের এলিটরা চিরকালই নিজেদের আর নিচুতলার মানুষের মধ্যে একটা পরদা রাখতে পছন্দ করে। ইংলিশ মিডিয়াম কি সেই পর্দা?

আমি জানিনা, এই বিপুল পরিমান ‘মাইকেল মধুসূদন’ নিয়ে আমরা কোন দিকে যাচ্ছি? আমার ধারনা খোদ ইংরেজরাই আমাদের এই মানসিকতা দেখে হাসাহাসি করে। আমি ভীষণ আতংকিত।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৬

সৌমিক রহমান বলেছেন: সহমত পোষণ করছি

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৫

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আপনার সাথে প্রবল ভাবে একমত।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৫

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: প্রবল ভাবে ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩০

নতুন বলেছেন: আমার ধারনা মাতৃভাষা ছাড়া আর কোন ভাষা শিশুর সহজাত সৃজনশীলতা আর মেধার বিকাশ ঘটাতে পারেনা।

সহমত



আর একটা বিষয়ও ঠিক যে আমাদের দেশে আমরা ডিগ্রী পযন্ত ইংরেজী পড়লেও যখন বাইরে যায় তখন ইংরেজীতে কথোপোকথন এবং মানিয়ে নিতে অনেক বেগ পেতে হয়... যা আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশেরই মানুষের হয়না...

তাই বাইরের দেশে চাকুরীর বাজারে সমস্যায় পড়তে হয় বাংলাদেশীদের...

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৪

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: হ্যা আমাদের ইংরেজী বলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এটা অভ্যাস না থাকার জন্য। এটা রপ্ত করতেও খুব বেশী সমস্যা হওয়ার কথা না।

আবার বিদেশে এটাই আমাদের একমাত্র সমস্যা না।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬

সাকিল আল মামুন বলেছেন: একমত

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৪

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৫

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আপনার মতামত কে শ্রদ্ধা করি।

কিন্তু সত্যি কথা বলতে পেট বাচাঁনোর জন্য ঐ ইংরেজি শিক্ষাটার দরকার আছে।দেশের বাইরে অনেকে ডাক্তারকে দেখেছি তারা দেশে খুব ভালো ডাক্তার ছিলো কিন্তু এখানে এসে ট্যাক্সি চালায় শুধু ইংরেজী ভীতির কারনে।সাধারনত আমার একটা বদভ্যাস হলো স্রোতের বিপরীতে চলার। কিন্তু ইংরেজী নিয়ে আমার ধারনাটা কেন জানি বাকি সবার মতই যে ইংলিশ ছাড়া চলবে না।যতটা পারা যায় ইংলিশ টার উপর একটু দখল রাখা।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২০

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: ইংরেজি শিক্ষাটার অবশ্যই দরকার আছে। তেব ইংেরিজ িশক্ষার জন্য ইংেরিজ িমিডয়ােম পড়তে হবে আমার তা মনে হয়না। আমি গ্রামে পড়ালেখা করেছি। উচ্চমাধ্যমিক জেলা সদরে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর থেকে ইংরেজিতে পড়া লেখা করছি। কারন মেডিকেলের কোন বই বাংলায় না। ইংরেজি নিয়ে তেমন সমস্যা হয়নি। আমার বন্ধুরা যারা বাইরে গেছে তাদের কারোরই ইংরেজিতে সমস্যা হয়নি। সবাই আই্এলটিএসে ভাল নম্বর পেয়েই বিদেশ যায়।
তবে হ্যা বিদেশ গিয়ে আমাদের দেশের সব ডাক্তারকেই ট্যাক্সি চালাতে হয় বা অন্য কোন অড যব করতে হয়। কারণ বিদেশে ডাক্তারী করতে হলে ঐ দেশের মেডিকেল কাউন্সিল এর পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। এই পরীক্ষা গুলো এমসিকিউ টাইপের। তবে বেশ কঠিন। যদ্দিন পাশ না হয় তদ্দিন ট্যাক্সি চালানোই ভরসা। এখানে ইংলিশ কোন সমস্যা না। আর আমাদের দেশে যারা ডাক্তারী পাশ করে তারা ইংরেজীতে কাচা হবে সেটা অন্তত ঠিক না ভাই। আমরা এত খারাপ ছাত্র না। মূল দুর্বলতা বলার অভ্যাসে। ওটা সারাতে বেশী সময় লাগেনা আসলে।
ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: এখন পর্যন্ত যারা ইংরেজি মিডিয়ামে পড়েনি তারা তো ভুদাই। জাপানের গত জেনারেশন যারা জাপানকে টেনে তুলেছে এই পর্যায়ে তারা কেউ ইংলিশ জানে না। একটি কথাও বলতে পারতো না বা পারে না। ইংলিশ মিডিয়াম একটি রোগ হয়ে গেছে আমাদের দেশের তথাকথিত শিক্ষিত হাফ লেডিসদের।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: ুম ঠিক। অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন। একমত।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: থ্যাংক ইউ।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুন্দর চিন্তা। আপনার চিন্তায় একাত্নতা প্রকাশ করছি।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৭

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.