নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজাকারমুক্ত ব্লগ : ভুলেও ঢুকিস না!!!

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

অমি রহমান পিয়াল

বন্ধুত্বে উদার, শত্রুতায় নির্মম : কিছু করার নাই, রাশির দোষ ........................ জামাতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পর্কে মহানবীর (দঃ) সতর্কবাণী : শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)

অমি রহমান পিয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ শিশু '৭১ : মাদার তেরেসা

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ১২:৩১

মাদার তেরেসা সম্পর্কে নতুন করে বলতে চাওয়াটা এক ধরণের ধৃষ্টতা। শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাই মানবতাবাদী এই তপসীকে। তার অনেক পরিচয়ের একটি হচ্ছে '৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন এই দেশটির নিপিড়িতা-নিগৃহীতাদের একটা হিল্লে করতে সবার আগে এগিয়ে এসেছিলেন তিনিই। বীরাঙ্গনা সমস্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। দিশে পাচ্ছে না কোনো। একটা চুপ চুপ ভাব চারদিকে। মেরে ফেলা হবে না আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হবে- এমন নক্সায় ব্যস্ত সমাজপতিরা। মাদার এলেন। ঢাকার বুকে ৫টি বাড়ি ভাড়া নিয়ে খুললেন বীরাঙ্গনাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র।

নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক অব্রে মেনেন জুন-জুলাই '৭২ নাগাদ এসেছিলেন এদেশে। তার সাড়াজাগানিয়া আর্টিকেল 'দ্য রেপ অব বাংলাদেশ' বেরিয়েছিল ২৩ জুলাই '৭২। বীরাঙ্গনাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। কথা বলেছেন মাদারের সাথেও। কলকাতায় তার আশ্রমে গিয়েছিলেন। প্রাসঙ্গিক খানিকটা তুলে দিচ্ছি মেনেনের বয়ানে



'... ফ্যাকাশে নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পড়ে তার সহকারীরা আসছেন যাচ্ছেন। আমার সঙ্গে কথাও বলছেন কেউ কেউ। খানিকপর আমার ঠিক পেছনে একজনের নিঃশব্দ উপস্থিতি টের পেলাম। পোশাক দেখে ভাবলাম উনিও মাদারের সহকারীদের একজন। বেটেখাটো একজন মহিলা। তাকালাম তার দিকে। নির্দিষ্ট করে বললে তার চোখের দিকে। বুঝে ফেললাম তার পরিচয়।



মধ্যবয়সী। চেহারায় রুক্ষ একটা ছাপ পড়েছে। কিন্তু চোখদুটো যুবতী। মায়া মায়া, খানিকটা কৌতুকমাখা। পোপ জন ও মহাত্মা গান্ধীরই ওমন চোখ দেখেছি আমি।



মাদার কলকাতায় তার মিশন শুরু করেছিলেন অবহেলিত বয়স্কদের নিয়ে। সংসার ও স্বজন যাদের বোঝা ভেবে ত্যাগ করেছে। শেষ বয়সে এসে মাদারের কোলেই পরম আশ্রয় পেয়েছেন তারা। পরোপকার ও জনসেবার এই মহান ব্রতই তাকে গোটা ভারতে কিংবদন্তীর মর্যাদা দিয়েছে।



বাংলাদেশের (স্বাধীনতা যুদ্ধে) ধর্ষিতাদের উদ্ধারকল্পে তারই অবদান প্রথম- আমার এই স্তুতিটা হেলায় পাশ কাটালেন মাদার। 'হাজার হাজার মানুষ ওখানে কাজ করছে এখন'। খুব শান্ত গলায় বললেন। তারপর অবাক করে দিয়েই যোগ করলেন, 'একদিক থেকে ব্যাপারটা ভালো হয়েছে। বাঙালীরা জাতি হিসেবে খুবই দয়ালু। ওটাই তাদের মজ্জাগত। এই ঘটনাটা তাদের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছে। এর দরকার ছিল। এখন তারা গা ঝাড়া দিয়েছে। শ'য়ে শ'য়ে মেয়ে-পুরুষ এগিয়ে আসছে সাহায্যে। আমার ধারণা স্বজাতের এই ট্রাজেডি তাদের মনোজগত বদলে দিয়েছে। তুমি কি জানো, শত শত তরুণ এগিয়ে এসেছে এই মেয়েদের বিয়ে করতে?'



'মাদার তেরেসা। কেউ কি সত্যি বিয়ে করেছে?' প্রশ্ন করলাম। 'এখনো না। তবে দ্যাখো, এসব মেয়ের বেশিরভাগই গর্ভবতী। বাচ্চা হবে বা হয়েছে। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।'



গর্ভবতী হয়ে পড়া মেয়েদের জন্য বাংলাদেশ সরকার গর্ভপাত কর্মসূচী নিয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক সমাজ স্বীকৃত নয়। তবে সমাজ তাদের ঠিক ব্রাত্যও করেনি। বেশিরভাগ শিশুই ভুমিষ্ট হবে। মাদার জানালা দিয়ে বাইরে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন। ...'



'

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:৩৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: মাদার তেরেসা তার কৃত কর্মের জন্যই তো মানুষের এত প্রিয়।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:৪১

পাগলা দাশু বলেছেন: দাশুর ফ্যাব হইয়া গেলেন গ্যা কাকা, পেন্নাম জানাই , এমন দিল কচলানিয়া ল্যাখা দেছেন বইলা।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৬:৫৪

অতিথি বলেছেন: 'দি রেপ অফ বাংলাদেশ' আর্টিকেলের পুরাটা জন্মযুদ্ধে পাওয়া যাইতাছে? থাকলে পড়তো হইবো।

এক জন্মে, এক জীবনে কতখানি দেওয়া যায়, কতগুলো জীবনকে স্পর্শ করা যায় - তার জ্বলজ্যান্ত প্রমান মাদার তেরেসা। সালাম তার বিদেহী আত্নাকে।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৭:৪৯

অতিথি বলেছেন: পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৭:৫৫

অতিথি বলেছেন: আজ দিন শুরু হলো প্রার্থনার মতো সি্নগ্ধতা নিয়ে ।

তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা ।
কৃতজ্ঞতা অমি পিয়াল, আবারো ।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ সকাল ১০:০২

অতিথি বলেছেন: বস, লেখাটা সময়োপযোগী। ভালো হইতাছে , চালিয়া যান। কিন্তু শব্দটা মুনে হয়, তপসী না, তাপসী হইতে পারে। একটু দেইখ্যা নিয়েন।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ সকাল ১০:০৮

অতিথি বলেছেন: এমন একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৭ সকাল ১০:১৮

অতিথি বলেছেন: লেখাটা পড়ে মাদারের সৎকারের দিনটা মনে পড়ছে।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৪

নাঈম বলেছেন: পিয়াল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৭

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ, যুদ্ধ শিশু নিয়া আমার সিরিজের অংশ ছিলো এই লেখাটা

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬

লিয়ন বলেছেন: বাহ বাহ!

বিডিআর পুস্টে নাট্যকার আফার লগে বাতচিত চলতাসিলো আগের শহীদ হওয়া নিকে। আফা তো মাদারের উফ্রে ব্যাপক নারাজ। সেই সব ট্রেডমার্ক গালাগালি!

আমি হাইসা কই আফা আন্নে নিস্বভারতীতে গিয়া কইসেন যাননি, এ মিথ্যাচার কেনু কেনু কেনু? ফেচবুকে কি সোন্দর ইন্ডিয়া বেড়ু বেড়ুর সব ফটুক! যেই কইসি ব্লক খায়া গেলাম।

এই বার আম্মো একটা ঈদ ইশপিশাল লিখুম পিয়ালভাই। দোয়া রাইখেন। ;)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: কার কথা কন? কুন পোস্টে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.