নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর অপেক্ষায় ...

মাথায় ভয়ানক রকমের গন্ডগোল আছে ...

অন্ধকারে একজন

মাথায় ভয়ানক রকমের গন্ডগোল আছে ...

অন্ধকারে একজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা শিক্ষার ভিত তৈরি করেন সেই শিক্ষকদের মর্যাদা কে দিবে?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

তিন দফা দাবিতে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর তিন ঘণ্টা এবং ১৯, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করে আজ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে শিক্ষকরা আগামী ১ অক্টোবর ঢাকায় মহা-অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন ।



শিক্ষকদের তিন দফা দাবীগুলো হচ্ছেঃ



১। প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেয়া,

২। সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করা

৩। শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জটিলতা নিরসন।



এই তিন দাবীর কোনটাই আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়নি। প্রথম দাবীর আলোচনায় আসলে যেখানে ডিপ্লোমা নার্স, কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজার, ইউনিয়ন ভূমি তহশিলদার ও পুলিশের এস.আই'দের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়া হয়, সেখানে একজন শিশুর শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করে যে শিক্ষকরা তাদের তৃতীয় মর্যাদা পাচ্ছেন। শুধু তাই নয় তারা এই দাবিটা শুধু মাত্র প্রধান শিক্ষক জন্য দাবী করেছে। আমার জানা মতে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই শিক্ষকের মর্যাদা দেয়া হয় সর্বোচ্চ।



উল্লেখ্য, ২০০৬ সালেও সংস্থাপণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৯ তম বৈঠকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটি ১ম শ্রেণী এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীতকরনের সুপারিশ করা হয়েছিল।



দ্বিতীয় দাবীতে তারা উল্লেখিত প্রস্তাবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে (টাঃ ৮০০০- ১৬৫৪০/-) অর্থাৎ ২য় শ্রেণীর মর্যাদায় উন্নীতকরনের সুপারিশ করা হয়েছে। একইভাবে প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে (টাঃ ৬৪০০-১৪২৫৫/Ñ), প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে (টাঃ ৫৯০০-১৩১২৫/-) এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারি শিক্ষকগনের বেতনস্কল ১৩ তম গ্রেডে (টাঃ ৫৫০০-১২০৯৫/-) উন্নীতকরনের প্রস্তাব করা হয়েছে।



সরকারী কর্মচারীদের বেতন এমনিতেই কম। স্বাভানিক নিয়মে এই বেতনে একজন মানুষের জীবনযাত্রা খুব কঠিন হয়ে যায়। হয়ত অনেকেই ভাবেন এইচ,এস,সি পাস (পূর্বে এসএসসি ছিল) তাদের সম্মানী আর কত দিবে? কিন্তু বাস্তব চিত্র ঠিক উল্টো বেশিরভাগ শিক্ষকই এখন স্নাতক ও মাস্টার্সধারী।



সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানেই সিনিয়রটির উপর ভিত্তি করে পদোন্নতি দেয়া হয়। কিন্তু নানা জটিলতা কিংবা নতুন নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। দেখা যায় একজন সহকারী ১৫/২০ চাকুরি করে সহকারীই থাকেন অথবা অবসর চলে যাচ্ছেন সহকারী শিক্ষক হিসাবে।



আশা করছি খুব শীঘ্রই শিক্ষকদের ন্যায্যা দাবী পুরনে সরকার ব্যবস্থা নিবেন।





এই বিষয়ে একটি সুন্দর কলাম লিখেছেন ব্লগার ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারন সম্পাদক মুনির হাসান প্রথম আলোতে। যার লিঙ্ক উনার এই পোষ্টে উল্লেখ করেছেন।



নিউজ লিঙ্কঃ

http://www.fairnews24.com/details.php?id=514

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

অন্ধকারে একজন বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.