![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের খোদ রাজধানী ঢাকা থেকে প্রতিদিন ১৪৬ টি দৈনিক পত্রিকা বের হচ্ছে।
এর মধ্যে দৈনিক সংগ্রাম জামায়াতের মুখপত্র হিসেবে,আজকের কাগজ বিএনপির,আমার দেশ অনলাইন সংস্করণ,নয়া দিগন্ত মধ্যমপন্থী,মানব জমিন মধ্যমপন্থী,ইনকিলাব মাজার বিদআত পন্থী।
এর বাইরে যতগুলো পত্রিকা আছে সবগুলো চরম বাম বা বাম ঘেঁষা পত্রিকা।
দ্বিতীয়ত দেশে প্রায় ২৬ টির মত বেসরকারি টিভি চ্যানেল আছে যার মধ্যে এনটিভি ছাড়া প্রত্যেকটি বাম ঘরনার এবং বলা যায় কট্টর বাম ঘরনার মালিকানাধীন।
তবে এনটিভি সুবিধাবাদ রাজনীতির অংশ হিসেবে সরকারের তোষামোদ নীতিকেই প্রাধান্য দিয়ে চলে।
এখন যে কথায় আসছি,দেশে যে কোন একটি ঘটনা ঘটলে সরকার আর সরকারের সাথে প্রশাসন প্রথমেই জামায়াত কে দোষারোপ করে একটা বিবৃতি ছেড়ে দেয়।সাথে সাথে এসকল প্রিন্ট ওঁ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এগুলোকে প্রাইম নিউজ হিসেবে প্রচার করা শুরু করে দেয়।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আরেকটি বিষয় হল টক শো।যেখানে এ বিষয়ে দলীয় লোক দ্বারা বিশাল এক টক শো এর আয়োজনও করে ফেলা হয়।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় একটা টিভি চ্যানেলে যদি সংবাদ পরিবেশন হয় আর তার প্রাইম নিউজ থাকে জামায়াত কে জড়িয়ে ঘটনার বর্ণনা তবে ২৬*২৪ = ৬২৪ বাড় এই সংবাদ টি একদিনেই মানুষের কানে যায়।
আর ১৪৬ এর মধ্যে ২/১ টি বাদে বাকী সবাই যদি একই ধরনের সংবাদ প্রিন্ট করে তাদের প্রাইম নিউজ হিসেবে তবে দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীর হাতে সংবাদটি পৌঁছে যায়।
কথাটি যে কারণে উল্লেখ করা তা হল,এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে প্রথমেই জামায়াত কে জড়িয়ে বিবৃতি চলতে থাকে।তার বোন এবং স্ত্রী বিষয়টি অস্বীকার করলেও সে খবর প্রাইম নিউজ না।এর পড় গ্রেফাতার হয়
“ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মনজুরুল ইসলাম লিটন খুনের মামলায় ৯ দিনের মাথায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব মাসুদকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। “
তো এখন যেই গ্রেফতার হউক না কেন তাদের নিউজ কিন্তু প্রাইম না,বরং আগের প্রাইম নিউজ কিন্তু ৯৮/৯৯ শতাংশ মানুষের মাথায় ঢুকে গিয়েছে।
এর পড় আসা যায় ফেইসবুক।খুব জনপ্রিয় মাধ্যম হলেও এখানকার ফ্রেন্ডলিস্ট গুলো গ্রুপ গ্রুপ,যে যেরকম আদর্শের তার ফ্রেন্ডলিস্টগুলো ও সেরকম।তাই একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিউজ এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করলেও তা আপামর জনতার কানে পৌঁছায় না।
এমনই ভাবেত্বকি হত্যাকাণ্ডে বা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এর ভাই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যেক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া একইধরনের কাজ করেছিল।কিন্তু অবশেষে দেখা গেলো ভিন্ন।
কিন্তু কাজ যা হবার তা কিন্তু আগেই হয়ে যায় পরের অংশটুকুতে মানুষের আর খোঁজ নেয়ার সময় থাকে না।পরে কি ঘটলো সেটা ইতিহাস হয়ে যায়।
যুক্তি হিসেবে কেউ বলতে পারে “যা প্রথমে খবর বেড় হয়েছিল তা প্রকাশ করেছি,আমাদের দোষ কোথায়?”
দোষটা কোথায় তা বলছি।
“হিটলারের তথ্যমন্ত্রী গয়েবলস বলেছিল,একটা মিথ্যাকে যদি সত্যে রূপান্তর করতে চাও তাহলে তাকে ১০০ বাড় উচ্চারণ করো,তবে দেখবে লোকজন মিথ্যাকেই সত্য হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে”
আর বাংলাদেশে ৬২৪+১৪৪= ৭৬৮ বার একটি মিথ্যা উচ্চারিত হচ্ছে একদিনেই।সত্য এটেল মাটির ভেদ চিড়ে অঙ্কুরিতই তো হতে পারে না।
যাইহউক এই হচ্ছে মিডিয়া এবং জামায়াত।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জামাতের দিনকাল বড় খারাপ।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যেটাই হোক। তাদের ত্যাড়ামি-ও কম দায়ী নয়। বার বার বলা হয়েছিল, '৭১-এর জন্য ক্ষমা চান। তারা দম্ভ করে বলেছিল, কোন ভুল করিনি। এখন ঠেলা সামলাও...
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: মিডিয়া জামায়ত বিদ্বেষী অার জামায়াত সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
জামাত কে মানুষ পাকিস্তানের মুখপাত্র ভাবে তাই তাদের কথা মানুষ আগ্রহ ভরে শুনতে চায়। আর মিডিয়া সেই জন্য তাদের (জামাতি সংশ্লিষ্ট) সংবাদ আগ্রহ নিয়ে পাব্লিস করে।
আজ আওমী ক্ষমতায় তাই মিডিয়া জামাত কে ফাটা বাশের চিপায় ফালায়, যখন জামাত- বিম্পি ক্ষমতায় ছিল তখন কোন ঘোড়ার ঘাস কাটছে। সে সময় পত্রিকা বা টিভিতে নিউজ খুল্লেই দেখা যেত ম্যাডাম জিয়ার জনসভায় সামনে বসা নিয়ে ছাত্র দল আর শিবরের মারামারি।
আল্লাহর মাইর বড় মাইর, আজ সামনে বসা ত' দূরের কথা দৌড়িয়ে কূল পায় না।
সব মাওলা ইজ্জত পাকের ইচ্ছা, তিনি যাকে ইচ্ছা সন্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন।