![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাশের একদম লাস্ট বেঞ্চের ছাত্রের সঠিক মনের ধারনার অবস্থা যদি কেউ জানতে পারেন তবে দেখবেন যে সে ২০ আন্সার করে এসেও পাশের চিন্তা করে।
চিন্তা করে আন্সার তো করেছি ২০।এখন স্যার যদি খেয়াল না করে আর আমিও অনেকগুলো প্রশ্নের নাম্বার লিখেছি তো স্যার যদি সেভাবে নাম্বার দেয়া শুরু করে তবে তো আমি ৩৩ হয়তো পেয়ে যাবো।
সে পড়বে না,আন্সার কম করবে আবার পাশের আশাও করবে।খোঁজ নিয়ে দেখবেন মাঝে মাঝে সে লেটার মার্ক্স বা বর্তমানে A+ পাওয়ার চিন্তাও করতে থাকবে।
ছোটখাটো আধমরা,দল খেদানো,বেইল না পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোওঁ এক সময় এরকম ভাবতো।
কিন্তু হালে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও এরকম ভাবা শুরু করেছে।
গ্রহণযোগ্য ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি নাই,আন্দোলনের মুরোদ নাই,একে অপরের প্রতি বিশ্বাস নাই,দলের প্রতি কমিটমেন্ট নাই বরং দলে থেকে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যখন আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা পাকা করে দিয়েছে তখন তারাই কোন কিছু করা ছাড়াই আশা করতেছে ২০ মার্ক্স আন্সার করেই কমপক্ষে ৩৩ বা কল্পনায় এ প্লাস পাওয়ার আশা করে গোপনে গোপনে খুশীতে মুচকি মুচকি হাসে।
আওয়ামীলীগের ক্ষমতা শক্তিশালী মানে এই না যে ক্ষমতা চিরস্থায়ী তবে বিএনপির কল্পনা আর ফাউ প্রত্যাশার যুতসই প্রবাদটি হতে পারে
“পাগলের সুখ মনে মনে,দিনের আকাশে তারা গুনে” ---
কেন?
১৪ জানুয়ারির ইলেকশন যেমন বিএনপির সহায়তায় হয়েছে তেমনি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জেলে যাবার ব্যবস্থাপনাও বিএনপির উপরের সারির নেতাদের মৌন সমর্থন বা ইচ্ছায়ই হতে যাচ্ছে।
তাই আমরাও সেইভাবেই কল্পনা করে চলেন ঘুমাতে যাই যে
“সকালে উঠে দেখবেন হাসিনা সবাইকে সংসদে ডেকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কে প্রধানমন্ত্রীর আসনে নিজ হাতে বসিয়ে বলবে,বুবু এটা আপনাদেরই প্রাপ্য-আমরা তো শুধু সংবিধান রক্ষা করেছি”
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
অপেক্ষিত বলেছেন: বিএনপি আগে যোগ্যতা অর্জন করুক,পরে ক্ষমতা!
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আওয়ামী লীগ নিজেকে স্বৈরতান্ত্রিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যার ফল আজ হোক কাল হোক তারা পাবে। তার বিপরীতে জনগনের প্রত্যাশা পূরনে বিএনপি সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়েছে। সেটা শুধুমাত্র সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর কারনে নয়, বরং নিজেদের আন্ত:কোন্দলের কারনে। নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা, পারষ্পরিক দ্বন্দ্ব অবিশ্বাস বিএনপির শক্তিহ্রাসের মূল কারন।
খালেদা জিয়া যদি জেলে যান তবে দলের চেইন অব কমান্ড একেবারে ভেংগে যাবে। নেতৃত্বের এক ভয়ংকর শূন্যতা তৈরী হবে। নড়বড়ে তাসের ঘর সদৃশ বিএনপি কিছুতেই আইয়ুবকালীন আওয়ামী লীগের মত শক্তিমান হয়ে জনগনের কাছে যেতে পারবে না। তখন একমাত্র জিয়া পরিবারের বৌদের দিয়ে যদি দল বাচানো যায়। বিএনপি যেহেতু সুসংগঠিত দল নয়, সেজন্য জিয়া পরিবারের সদস্যদের সক্রিয় নেতৃত্ব ব্যতিরেকে এই দল মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না। তাই খালেদার জেলে যাবার সম্ভাবনা থাকলে পুত্রবধূর হাতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ঠেলে দিয়ে শেষ রক্ষা করাই উত্তম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ: ৬৮ বছরের রাজনীতি, ১৭ বছর ক্ষমতায়
বিএনপি: ৩৮ বছরের রাজনীতি, ১৭ বছর ক্ষমতায়
আরো দরকার আছে?