![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধিকারের আদিলুর রহমানকে সরকারপন্থী মিডিয়াগুলো নির্লজ্জের মতো বিএনপি-জামাতপন্থী বলে পরিচয় দিয়ে তার মতো একজন বড় মাপের মানবাধিকার কর্মীর অন্যায় রিমান্ডকে হালাল করার চেষ্টা করছে।
যখন বিএনপি ২০০১-২০০৬ সালে বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল, তখন এই অধিকারই নিয়মিত লিখেছে সেই অবিচারের বিরুদ্ধে। ক্লিন হার্টের হাত ধরে এরপরে দেশে এসেছে ক্রস-ফায়ার আর গুম। এগুলো নিয়েও গত ১০ টি বছর অধিকার ছিল অত্যন্ত সোচ্চার।
বিএনপি, ততবাবধায়ক, কিংবা আওয়ামীলীগ সবার আমলেই অধিকারের মানবাধিকার বিষয়ক রিপোর্টগুলো দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। প্রথমআলো ডেইলি স্টার থেকে শুরু করে আমারদেশ কিংবা দৈনিক সংগ্রামের গত দশ বছরের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন পড়লে বুঝতে পারবেন যে অধিকারই ছিল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সোর্স। আমেরিকান কিংবা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সংস্থাগুলোর বাংলাদেশ বিষয়ক রিপোর্ট পড়লেও দেখবেন অধিকারের নাম রেফেরেন্স হিসেবে নিয়মিত ব্যবহৃত।
অধিকারের সবচাইতে বড় অবদান ভারতের বিএসএফ এর হাতে নিহত বাংলাদেশীদের পরিসংখ্যান নিয়মিত ভাবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। অধিকারের নিয়মিত লিখালিখি আর পরিসংখ্যানের কারণেই খোদ ভারতেই এখন এই একতরফা সীমান্ত হত্যাকান্ড নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
হেফাজতের রাত্রে সরকার বিরোধীরা যখন ২৫০০ লোক মারা গেছে বলে প্রচার করেছিল, তখন অধিকার প্রফেশনাল ভেরিফিকেশন করে বলেছে ৬১ জন কনফার্ম মৃত, বাকি অনেকে তখন পর্যন্ত নিখোঁজ। অধিকারের বিস্তারিত রিপোর্টটি অত্যন্ত প্রফেশনাল ছিল ভাষার ব্যবহার ও তথ্য উপস্থাপনার দিক থেকে। যদিও মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ফাইলটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল ইন্টারনেট থেকে। খুব সম্ভবত শক্তিশালী কারো চাপে।
উপরের উদাহরণগুলো থেকে বুঝা যায় সরকারপর্ন্থীদের ভাষ্য মেনে নিয়ে কেউ যদি অধিকারকে একটি বিএনপি - জামাত পন্থী সংস্থার লেবেল দিয়েও দেয়, তারপরেও এটা অনস্বীকার্যই থেকে যাবে যে অধিকার এমন একটি সংস্থা যা নিজের প্রফেশনাল দায়িত্ব সব সরকারের আমলেই নিষ্ঠার সাথে পালন করে। একারনেই অধিকারের কাজে বিএনপি বিব্রত হয় ক্রস ফায়ার/ক্লিন হার্ট নিয়ে, ভারত বিব্রত হয় সীমান্ত হত্যা নিয়ে, আর আওয়ামী লীগ বিব্রত গুম, হেফাজত আর রিমান্ড নিয়ে। প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক এরকম রেকর্ডওয়ালা কয়টা প্রতিষ্ঠান দেশে আছে যারা সরকার বদলালেও প্রফেশনাল দায়িত্ব প্রফেশনালি পালন করে? চেতনাব্যবসায়ি কিংবা বাঙ্গালিয়ানার ফেরি করে বেড়ানো বেশ্যাদের ভিড়ে সংস্থা হিসেবে অধিকার আর ব্যাক্তি হিসেবে আদিলুর রহমান কিছুটা ব্যতিক্রম হিসেবেই ধরা দেবেন সাধারণ মানুষের চোখে।
ইনশা আল্লাহ আদিলুর রহমান সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসবেন। আশাকরি সরকারের এই পরন্ত বেলায় দেশের বিচারকদের মাথায় শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং একজন প্রফেশনাল মানবাধিকার কর্মী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, এবং সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনেরেলকে তারা অন্তত দিনের পর দিন রিমান্ড নামক জুলুমের শিকার হতে দিবেন না।
সূত্র : সংগৃহীত
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩
অনিরুদ্ধ অমায়িক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ৫/৬ মে মিলিয়ে কমপক্ষে হেফাজত + শিবিরের ৫১ জন মারা গেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিনিধী বিবিসি বাংলায় বলেছেন ৬ই মে শেষ রাতে ২০ জনের মত মারা গেছে। সরকার বলেছে ১১ জন।
তার মানে মাত্র ৯ জনের ডিফারেন্স।
অতচ অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান দাবি করেছিলেন ১২৬ জন নিহত।
প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে জনসৃংক্ষলা নষ্ট করতে পারবেন, কিন্তু প্রমান দিতে পারবেন না।
এরা প্রথমে বিএনপির সাথে তাল মিলিয়ে বলেছিলেন তিন হাজার নিহত!
এটি পড়ুন
৩০০০ লাশ গুম! যেভাবে?
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
অনিরুদ্ধ অমায়িক বলেছেন: অন্য কিছু বলে লাভ নেই। হেফাজত ইসলামসহ অন্যরা দাবী করেছিল প্রথমদিকে, ভিকটিম হিসেবে তাদের কথা আমলে নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল। তারা তখনও অনুসন্ধান করে ঘোষণা দেয় নাই।
পরে অনুসন্ধান করে ৬১জনের নিহত হওয়া নিশ্চিত হইছে। সরকার তাদের কাছে লিস্ট চাওয়ার পর তারা মানবাধিকার কর্মী এবং নিহতদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কিছু দাবীর ব্যাপারে সরকারের কাছে গ্যারান্টি চাইছে। সরকার তা দিবে না। সরকার তাদের ওপর অত্যাচার চালানোর ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই আদিলুরকে গ্রেফতার।
অধিকারের সঙ্গে অন্যকে মিলিয়ে লাভ নাই। কোনো প্রপাগাণ্ডা ছড়ায় নাই। ধীরে ধীরে আরো বের হবে।
আর আপনার লেখাটা পড়লাম। নর্মাল কথা। খুব বেশি পাত্তা দেয়ার মতো না। আওয়ামী লিফলেট।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: Based on hospital logs, eyewitness accounts, and well-sourced media reports, Human Rights Watch believes that at least 58 people
died on May 5 and 6, seven of whom were members of the security forces. However it is likely the death toll was even higher. It is imperative that the government investigate all claims of people still reported as missing. While some could be in hiding, it is possible that others were killed.
Blood on the Streets
অধিকারের রিপোর্ট
যেখানেই দেখবেন হাম্বা পেছন দিয়ে ঢুকিয়ে দেবেন খাম্বা :p
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
অনিরুদ্ধ অমায়িক বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আলীগ সরকারের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে...