নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্য আলোক

আমি একজন ভুমিহীন জমিদার।

অন্য আলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের জন্য সুখবর এবার দেশেই হবে ক্যান্সার চিকিৎসার অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০



ক্যান্সারের চিকিৎসায় দেশে যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করে ‘অত্যন্ত জটিল’ অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন (ব্যোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন) ইউনিট স্থাপিত হতে যাচ্ছে।

২০১৩ সালের জুন মাস নাগাদ এই ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।

দেশে সর্বপ্রথম এ ধরনের এই কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থাপিত হবে। বর্তমানে বিদেশে গিয়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সুবিধা নিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।



রবিবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্স জেনারেল হাসপাতালের (এমজিএইচ) সঙ্গে এক কারিগরি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য একটা যুগান্তকারী ঘটনা। আমরা জুনের আগেই এটার কাজ শুরু করতে চাই।”



চিকিৎসকরা বলেন, ব্যোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অক্ষত ব্যোন ম্যারো স্টেম সেল দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যোন ম্যারোতে প্রতিস্থাপন করা হয়। ব্যোন ম্যারো হলো, অস্থি মজ্জার ভেতরকার এক ধরনের নরম টিস্যু।



লিউকেমিয়া, লিমফোমাস- যেমন হজকিন্স ডিজিজ, নানা ধরনের মাইলেমা ও এপ্লাস্টিক এনিমিয়া এবং প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতিজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগসহ ক্যান্সার ও এনিমিয়ার নানা ধরনের রোগীদের চিকিৎসার জন্য এ পদ্ধতির দরকার হয়। মন্ত্রী বলেন, দেশে কতজন রোগীর ব্যোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন তার পরিস্যংখান না থাকলেও এটার প্রয়োজনীয়তা ‘খুব বেশি’ হবে।

তিনি বলেন, “কিন্তু বিদেশি কেন্দ্রগুলোতে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা খুব কম মানুষই নিতে পারে। দেশে এ কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে তাদের জীবনে নতুন আশার আলো দেখা দেবে।” ব্যোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ইউনিট স্থাপনে যন্ত্রপাতিসহ সরঞ্জাম কিনতে ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।



‘সর্বোত্তম পদ্ধতিতে’ এটা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে ডা. রুহুল হক বলেন, “আমরা এটা সস্তায় করার চেষ্টা করছি না। আমরা চেষ্টা করছি সবচেয়ে ভালভাবে কিন্তু একটু কম খরচে।” এমজিএইচের সঙ্গে চুক্তি করার আগে ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকটি ইউনিট দেখে আসার কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “তবে তারা (এমজিএইচ) যে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে তা ‘অনন্য’। “চুক্তির আওতায় দেশে এই কেন্দ্র স্থাপন করা থেকে শুরু করে প্রযুক্তি নির্ভর এই জটিল প্রক্রিয়ার সব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে এমজিএইচ।” “এই কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির একটি তালিকা দিয়েছে যার জন্য খরচ হবে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা।”

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরের চেয়ে প্রতিস্থাপনের খরচ অনেক কম হবে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আ ফ ম সাইফুল ইসলাম ও এমজিএইচ সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথের পরিচালক ডেভিড ব্যাঙ্গসবার্গ দুপক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুভ সংবাদ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

অন্য আলোক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.