![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কারো পথ অনুসরণ করি না, আমি নিজের রাস্তা তৈরি করি।
কেনো ইসলামের পুনঃজাগরনে সর্বপ্রথম ক্ষমতার দরকার?
-------------
আমরা জানি ইসলামের স্বরনযুগের সূচনা মুলত বাদসা হারুন শুরু করলেও, প্রকৃত স্বর্ণযুগ মূলত শুরু করেছিলেন খলিফা মামুন।
খলিফা মামুন বিজ্ঞানের মনষ্ক এবং বিজ্ঞানের অসাধারণ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ইসলামের বৈজ্ঞানিক স্বর্নযুগ মূলোত তারই প্রচেষ্টার ফলাফল।
তিনি নিজে বিজ্ঞানী না হয়েও বিজ্ঞানের এক অনন্য সাধারণ বিপ্লব সাধন করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতার ফলেই অদ্ভুতপূর্ব কিছু মুসলমান ট্যালেন্টরা আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।
নীরপেক্ষ ভাবে বলতে গেলে, সব ধর্মের মানুষের মধ্যেই প্রতিভা থাকে। কিন্তু মুসলিম বিজ্ঞানীদের সাফল্যের একটি সিক্রেট হলো তারা কুরআনিক ভাবে চিন্তা ভাবনা করেন। আর কুরআন যেহেতু বিজ্ঞানময় সেহেতু তারা কুরআন থেকে বিভিন্ন ক্লু পান। (কেবল মাত্র বিশ্বাসীরাই নিদর্শন দেখতে পায়) আর ব্যাপক গবেষনা রত বিষয়ে সত্য উৎঘাটন করতে একটি ছোট্ট ক্লু-ই যথেষ্ঠ।
যেমন একটা উদাহরন দেই, তদারিন্তন সময়ে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ছিলো গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে জোয়ার ভাটার মতো প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটতে পারলে মানুষের ভাগ্যে গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব অবশ্যই থাকবে।
কিন্তু কুরয়ান পড়ে তৎকালীন মুসলিম বিজ্ঞানীরা জানতে পারে জ্যাতিষশাস্ত্র (জ্যার্তিবিজ্ঞান নয়) বা ভাগ্য গণণা একটা ভুয়া বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইবনে-সিনা, আল-বিরুনি প্রমুখ বিজ্ঞানীরা বলতেন অদৃশ্যের খবর শুধু মাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। এ ভাবে তারা জানতে পারে জ্যাতিষশাস্ত্রের কোনো ভবিষ্যত নাই, তাই তারা এসব বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে অযথা সময় নষ্ট করেন নি, ফলে তাদের মুল্যবান জীবনের মূল্যবান সময় গুলো শুমাত্র মূল্যবান কাজে ব্যায়ের জন্য সাশ্রয় হয়।
তাছাড়া খলিফা মুসলিম বিজ্ঞানী ছাড়াও গ্রিক, পারস্য, ভারতীয় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুনিষিদের মোটা অংকের পারিশ্রমিক দিতেন বিভিন্ন ভাষায় রচিত বৈজ্ঞানিক বই গুলো আরবীতে অনুবাদ করার জন্য।
আবার খলিফা মামুন যুদ্ধের গনিমত হিসেবে প্রথমে সংগ্রহ করতেন সে রাজ্যে সংরক্ষিত তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের বই গুলোর পান্ডুলিপি।
তাছাড়া যুদ্ধবন্দীদের জন্য মুক্তিপণ ছিলো বন্দীরা তার নিজের দেশের বিজ্ঞান শিক্ষা দেবে হাউজ অব উইজডমের স্কলারদের।
এখন চিন্তা করে দেখুন খলিফার এত সব পৃষ্ঠপাঠকতা না থাকলে মুসলিম স্কলাররা নিজেদের চেষ্টায় কতটুকুই বা উন্নতি করতে পারতেন।
অথবা খলিফা মামুনের বিজ্ঞান মনষ্কোমনোভাব কি বা করতে পারতো যদি তার ক্ষমতাই না থাকতো।
আর বাস্তব একটা উদাহরণ দেখুন না, বাংলাদেশের নাগরিক রা যদি কোনো ইসলামিক আইন যদি আইন সভায় পাশ করাতে চায় তাহলে কত কিছুই না করতে হবে- মানব বন্ধন, অবরোধ আর শেষে গুম হতে হবে। আর ক্ষমতায় থাকা ব্যাক্তিরা যদি সেই একই আইন পাশ করাতে চায় তবে সেটা তাদের কাছে দুধ-ভাতের মতো।
তাই কথা একটাই ইসলামের দ্বিতীয় স্বর্নযুগ রচনা করতে হলে অবশ্যই চেতনাধারী বিজ্ঞানমনষ্ক ইসলামী মনোভাবের নেতাদের শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করতে হবে। সেটা যেভাবেই কায়েম করা হোক না কেনো, শুধু ক্ষমতায় বসাতে হবে ইসলাম ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক কোনো নেতা কে।
আমাদের মতো সাধারণ মুসলিমদের এটিই লক্ষ্য হতে হবে।
ইসলামিক বিপ্লবের জন্য সবচেয়ে জরুরি ও প্রাথমিক জিনিস হলো ইসলামী শাসন ব্যাবস্থা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
অপঠিত দৈনিকী বলেছেন: পছন্দ, রুচি এসব আপেক্ষিক জিনিস।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:০৪
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কিন্তু মুসলিম বিজ্ঞানীদের সাফল্যের একটি সিক্রেট হলো তারা কুরআনিক ভাবে চিন্তা ভাবনা করেন। আর কুরআন যেহেতু বিজ্ঞানময় সেহেতু তারা কুরআন থেকে বিভিন্ন ক্লু পান। (কেবল মাত্র বিশ্বাসীরাই নিদর্শন দেখতে পায়)
যারা দেখে আর যারা দেখেনা,তারা কি কখনো এক হতে পারে
এখানে চিন্তাশীল জ্ঞাণীদের জন্য আছে নিদর্শণ
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪১
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: ইসলামিক বিপ্লবের জন্য সবচেয়ে জরুরি ও প্রাথমিক জিনিস হলো -- --- ফজরের নামাজ মোসজিডে পরা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮
অপঠিত দৈনিকী বলেছেন: অবশ্যই। তবে নামাজ প্রতিষ্ঠায় একজন শাসক বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪৭
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: ফাউল পোষ্ট।