নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রাসঙ্গিক০৭

খাই আর ঘুমাই । ভাবতে ভাবতে আমার যায় বেলা ।

অপ্রাসঙ্গিক০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন রাজনীতি ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২১

মাহাথির কে আমরা অনেকেই একটি দেশকে 'সমৃদ্ধ দেশে উন্নত করার মডেল মনে করি। জনগণের রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, "মালয়েশিয়ার মানুষ এতটা শিক্ষিত ও রাজনৈতিক সচেতন হয়ে উঠেনি যে, তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে রাজনীতি করার অধিকার দিতে হবে"। ড.মাহাথির মুহাম্মদের উক্তির বাস্তবতা গভীর ভাবে উপলব্দী করার সময় কি এখনো আমাদের হয় নি? অনেকে বলে, দেশে গণতন্ত্র এসেছে মাত্র কয়েক বছর; সুতরাং বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো শিশু। কিন্তু আমরা এটাও জানি, শিশুরা দেখতে দেখতে শিখে; কিন্তু হতাশার কথা- আমাদের গনন্ত্রের শিশুরা শিখে না। নাকি তারা জেনে বুঝে আন্দোলনের নাটক করে, পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করে, দুই রাজনৈতিক দলই ক্ষমতা ৫ বছর করে ভাগ করে' জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার কুমতলব এটেছে,-এটাও এখন বিবেচ্য।

হায় গণতন্ত্র, যে লঙ্কা যায় সেই হনুমান হয়! আজ যারা তত্বারধায়ক বাতিলকরে, তারাই এর প্রণয়নের জন্য আন্দোলনকরে বাস্তবায়ন করেছে। সরকার যা বলে তাই ঠিক, বাকী সব মিথ্যা, অযৌক্তিক। আর বিরুধীদলও শিখেছে রাজপথের আন্দোলন, মিছিল, হরতাল পিকেটিং গাড়িভাংচুর, মানুষ মারার খেলা...

সরকারের প্রতিঙ্গা, যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ক্ষমতা ছাড়ব না!

বিরুধিদলের শপথ, অক্সিজেন বন্ধ করে হলেও ক্ষমতা থেকে জোর করে নামাব..

আর এই সবই জনগণের জন্য করার কথা মুখে বললেও-'জনগণ শুধুই পাঠার বলী!

তবু আমাদের জনগণের আক্কেল কোন দিনও হবে না যে-তা জানি! মহান আল্লাহ যদি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশটার জন্য স্বয়ংকিছু করেন;-তবেই রক্ষা। অন্যথায়...

সব সময় হতাশার কথা, কষ্টের কখা ভাল লাগে না। তাই আজ একটা গল্প দিয়ে লেখাটা শেষ করতে চাই-

এক ধনীর দুলাল অভিমান করেছে এবং সে পণ করেছে খাবার খাবে না! বাবা মা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে, খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু না কিছুতেই সে খাবে না! সন্ধায় আত্নীয়স্বজন এসে গেছে তাকে খাওয়ানোরচেষ্টা করার জন্য..কিন্তু না কিছুতেইতাকে খেতে রাজী করানো যাচ্ছে না! একমাত্র পুত্রধন দুলাল না খেয়ে মারা যাবে নাকি? তাই সবাই মিলে দুলাল কে খাওয়ানোর চেষ্টার অন্ত নাই! কিন্তু আদরের দুলাল সে তার প্রতিঙ্গায় অনড় এবং আত্নীয় স্বজনের তোষামোদে অতিষ্টহয়ে বাড়ি থেকে -বনে চলে গেছে। কথায় আছে না 'মনের দুখে বনে যায়। কিন্ত সবাই নাছোড় বান্দা, দুলালের সাথে সবাই খাবার নিয়ে বনেই গেছে! দুলাল তাদের জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে বনের উঁচু এক গাছের মগডালে গিয়ে চড়ে বসেছে..তবু দুলাল খাবে না। তার প্রতিঙ্গায় সে সুদৃড়! কি আর করা, সবাই মিলে চিন্তা করল-সব ভাল ভাল খাবার এই গাছের নীচেইঢেকে রেখে যাই, যখন খুব বেশি ক্ষুধা লাগবে তখন দুলাল ঠিকই নিচে নেমে এসে খেয়ে নেবে..যেমন চিন্তা তেমন কাজ। খাবার রেখে সবাই চলে গেল।

ঘটনাক্রমে সেই রাতেই এক ডাকাত দল’ ডাকাতি শেষে একই বনে এল তাদের ডাকাতিকরা সম্পদ নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করার জন্য। এবং তারা গাছের নীচে ভাল ভাল খাবার ঢেকে রাখা' দেখে অবাক হল। তারা ছিল ক্ষধার্ত সুতরাং ক্ষেতে উদ্যোত হলো,কিন্তু ডাকাত সর্দার নিষেধ করে বল্লো, না কেউ খাবার খাবে না, এখানে নিশ্চই কোন রহস্য আছে। সে আরও চিন্তা করে বলল, নিশ্চই এই খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে রেখেছে,যেন আমরা সবাই মিলে এই খাবর খেয়ে মারা যাই আর এই সব সম্পদ সেই ষড়যন্ত্রকারী একা নিয়ে যেতে পারে! আরহ্যাঁ, যে বিষ মিশিয়েছে, নিশ্চই সে আশেপাশে আছে 'আমাদের মৃত্যু যন্ত্রনা উপভোগ করার জন্য এবং এই সম্পদ লুটে নেয়ার জন্য। ডাকাতের(চুরের)উপর বাটপারির চিন্তা আর কি! কিন্তু না না, তা হতে দেব না। এই কে আছিস, খুজে দেখ, আশে পাশেই কোথাও এই কুচক্রী লুকিয়ে আছে..। সর্দারের হুকুম পালন করতে সবাই ব্যাস্ত হলো এবং অতি সহজেই গাছের উপরবসা দুলাল সাহেব কে পাওয়া গেল।

তাকে কান ধরে গাছ থেকে নামানো হল। তার পর বলা হল ‘এই বিষ মিশানো খাবার খা। কিন্তু দুলাল তার প্রতিঙ্গার কথা ভুলে নাই। সে বলল না আমি খাব না আমি গোসসা করেছি..। ডাকাতদের সন্দেহ আরও জোরালো হল, তারা দিল ইচ্ছা মত পিটুনী; বেটা খাবি না আবার হাবিজাবি কথা! আমাদের সবাইকে মারার বুদ্ধি! কিন্তু না কোন ভাবেই দুলাল কে খাওয়ানো যাচ্ছে না দেখে ডাকাত দল বিরক্ত হলো, এবং তারা দুলাল মিয়াকে আরও উত্তম-মাধ্যম দেয়ার পর তাকে জোর করে ধরে, চিত করে শুয়াইয়া মুখের ভিতর খাবার ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হল! কিন্তু না, জনাব দুলাল দুই পাটির দাঁত -এমনভাবে শক্ত করে বন্ধ করে রাখল যে- তার মুখে কিছুতেই খাবার ঢোকানো সম্ভব হচ্ছিল না! এতে ডাকাত সর্দার এমন বিরক্ত হলো যে, সে তার বন্দুকের নল দিয়ে দুলাল সাহেবের দাঁতের মধ্যে দিল এক গুঁতা! তার সুন্দর দাঁতগুলো ভেঙ্গে গেল; ডাকাত দল তার মুখে খারার দিয়ে পরীক্ষা করল..তারপর নিজেরাও খেয়ে উদরপূর্ণ করল।

সকাল বেলা দুলাল সাহেব ক্রন্দনরত অবস্হায় বাড়ি ফিরল,সবাই তার এই করুন পরিণতি দেখে তাঁর প্রতিঙ্গা, খাবারের কথা জিঙ্গাস করল... দুলালের আম্মাজান তো অস্হির হয়ে আদরের দুলালের জন্য কান্না শুরু করে দিল..

কিন্তু দুলাল শুধু একটি কথাই বলল..

আম্মা, আল্লাহ যাকে খাওয়ায়, দাঁত ভেঙ্গে খাওয়ায় !!! অথছ আমরা যে দেশে বাহ করি সেই দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ মরে । কালও ৩জনকে মরতে হল ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩২

অন্তরন্তর বলেছেন: ভাল লাগল লিখা। লিখতে থাকুন এভাবেই। হ্যাপি ব্লগিং।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৬

আমি জলকন্যা বলেছেন: বাস্তব সম্মত এবং সময়োপযোগী লিখাটির জন্য আপানকে প্রান ঢালা অভিনন্দন। আশা করি আপনার কাছে আরো এইরকম ভালো ভালো লিখা পাবো। ব্লগে আপানর আনন্দময় সময় কাটুক....আর সময় হলে আমার এই পেইজে একটা লাইক দিলে খুব খুশি হবো

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০০

বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: লেখা ভালো লাগলো।লিখতে থাকুন।আরো ভালো ভালো লেখা চাই :) আশা করি দেখা হবে নিয়মিত।

অনেক শুভকামনা :)

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

তাইয়িব বলেছেন: আপনার লেখার ভঙ্গিমা চমৎকার।

বাই দা ওয়ে দেশবাসীর আবাসন সমস্যার সমাধান এর জ্ন্য একটি ওয়েব সাইট তৈরী করেছি। দেখার জন্য সবিনয়ে আমন্ত্রন জানাচ্ছি।


View this link

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:২৩

মামুন হতভাগা বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.