নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-এই শালা বাই€¥*§
কামরুল একটা খারাপ গালি দিয়ে উঠল । গালি দিয়েই জিহ্বায় একটা কামড় দিল । মনে মনে ঠিক করেছিল আজকে বাস চালানোর সময় কোন গালি দিবে না ।
বাঁ দিকের মহিলা যাত্রী গুলো কেমন বিব্রত চোখে তাকাচ্ছে । কেউ আবার এমন একটা ভাব করছে যেন কিছু শুনে নি ।
কামরুল নিজের উপর একটু বিরক্ত হল । আজকে সকাল বেলায় নিয়ত করেছিল বাস চালানোর সময় আজকে কিছুতেই গালি দিবে না । কিন্তু শালার সিএনজিটা এমন ভাবে ডানে চাপলো মুখ দিয়ে গালিটা বের হয়ে গেল ।
নাহ আর একটু সাবধানে চালাতে হবে । কামরুল গাড়ির গতি কমিয়ে আনলো ।
এতো জোড়ে চালানোর অবশ্য খুব একটা দরকার নাই । রাস্তাঘাট ফাকাই বলা চলে । বিরোধী দলের অবরোধে রাস্তার গাড়ি ঘোড়ার সংখ্যা একদম কম । কামরুলও সারাদিন গাড়ি চালায় নি । সেই সকাল বেলা গাড়ি নিয়ে মিরপুর থেকে সদরঘাট এসেছিল । আর যায় নি । রাস্তা ঘাটের যা অবস্থা তাতে যাওয়ার সাহস হয় নাই । কখন কি হয়ে যায় কে জানে । কিন্তু তবুও তো বসে থাকা চলে না ।
যারা হরতাল অবরোধ ডাকে তাদের তো কোন চিন্তা নাই । তারা তো দিয়েই খালাস । আর সরকারের খুব বেশি চিন্তা আছে বলে মনে হয় না । চিন্তা তো সব কামরুলের মত লোকেদের । একদিন কাজ না করলে একদিন চুলায় আগুন জ্বলে না । তাই তো এতো ঝুকি নিয়েও বাইরে বের হতে হয় ।
প্রতিদিন সকালে এক টিপ নিয়ে বের হয় আবার সন্ধ্যার দিকে আরেক টিপ নিয়ে মিরপুরে যায় । কামরুলের বাসটা এগিয়ে চলছে । কমরুল গাড়ির গতি বেশ কমিয়ে এনেছে ।
মত্স ভবন পার হয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের পাশ দিয়ে বাসটা এগিয়ে চলছে শাহবাগের দিকে ।
-আরে কি করে কি করে ?
কামরুল চিত্কার করে উঠল ।
-ওস্তাদ ।
-হুম ।
-আর কতক্ষন বইসা থাকবেন ?
কাদের বিরক্ত হয়ে তার সাগরেদ আলমের দিকে তাকালো । বিরক্ত মুখেই বলল
-বেশি বুঝিস না । চুপ থাক ।
-ওস্তাদ আর ভালা লাগতেছে না । কতক্ষন ধইরা বইসা আছি এখানে । হাতের ভিতরে নিশপিস করতাছে ।
কাদের মাঝে মাঝে নিজের এই সাগরেদ দেখে অবাক লাগে । সেদিনকার ছেলে । কিন্তু এই লাইনে আলমের পারফরমেন্স দিন দিন কাদের কেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে । গত দুইদিন ঢাকা শহরে আলম যত গাড়ি ভেঙ্গেছে অন্য কোন কর্মী এতো ভেঙ্গেছে কি না কে জানে ! এই ভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে হাই কমান্ডের নজরে পড়ে যাবে ।
সেই তুলনায় কাদেরের পারফরমেন্স ভাল না । আজকে কাদেরকে কিছু করতেই হবে । উপর থেকে নির্দেশ এসেছে এমন কিছু করতে হবে যেন সংবাদের শিরোনাম হয় । এবং কাজটা করতে হবে শাহবাগের আসে পাশে ।
কাজটা করায় ঝুকি আছে কিন্তু টাকাও পাওয়াও যাবে বেশ । কাদের একাই আসতে চেয়েছিল কিন্তু তাকে একা আসতে দেওয়া হয় নি । উপরের কড়া নির্দেশ যে কোন ভাবেই কাজটা করতে হবে তাই কাদের যে কাজটা দিয়েছে সে কোন প্রকার ঝুকি নিতে চায় নি । কাদেরের সাথে তাই আলমকেও পাঠিয়েছে ।
হঠাত্ করেই আলম হিহি করে হেসে উঠলো ।
-এই আলইম্যা হাসোছ ক্যা ?
-না ওস্তাদ কিছু না । ভাবতাছি যখন কামডা করুম তখন কেমুন মজা হইবো ! অনেক দিন বাস পুড়াই নাই ।
-কাইলই না পুড়াইলি ।
-আরে দুর । ঐডা কিছু হইলো ? ঐ বাসটা খাড়াইয়া ছিল । ভিতরে কেউ ছিল না । ঐ বাস পুড়ায়া কুনো মজা নাই ।
কাদের আবারও বিরক্ত হয়ে তাকালো আলমের দিকে । মাঝে আলমের এমন কথা বার্তা শুনে কাদের অবাক হয় । কাদের বলল
-তুই বেশি কথা কস । রেডি হ ।
মাগরিবের আযান দিয়েছে কিছুক্ষন আগে । চারিপাশে অন্ধকার নেমে এসেছে । সোডিয়ামের হলুদ বাতি গুলো জ্বলে উঠেছে । হলুদ বাতির নিচ দিয়ে দুজনেই রাস্তা পার হয়ে রাস্তার বিপরীত দিকে গিয়ে হাজির হল । ল্যাম্পপোষ্ট থেকে একটু দুরে দাড়িয়েছে দুজন । এই জায়গাটা একটু অন্ধকার মত । একটা ল্যাম্পপোষ্টের আলো জ্বলছে না । তাই অন্ধকার জায়গাটা । কাদের বলল
-মাল গুলো আছে তো ?
-আরে কিযে কন না ওস্তাদ ? তিনটা আছে ।
-বাইর কর ।
পিঠে ঝুলানো কাপড়ের ব্যাগ থেকে একটা পেট্রল বোমা বের করলো আলম ।
-ঐ তো একটা বাস আইতাছে । রেডি হ ।
-হুম । ওস্তাদ রেডি ।
-আগুন ধরা জলদি । জলদি ।
-ধরাইছি । মারমু ?
-দাড়া দাড়া ...... মার । ছুইড়া মার ।
কয়েক মিনিট কি হল কিছু বোঝা গেল না । হঠাত্ই অন্ধকারের ভিতর বাসটার ডান পাশটা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল । বাসটা জ্বলন্ত অবস্থায় কিছু দুর চলে একটা ইলেক্ট্রিক খাম্বার সাথে ধাক্কা খেয়ে থেমে গেল ।
কাদের লক্ষ্য করলো আলম এখনও দাড়িয়ে আছে । এখনই পালাতে হবে কিন্তু বেটা আলইম্যা আগুন জ্বলা দেখতেছে । কাদের ওর চোখে একটা পৈচাশিক আনন্দ দেখতে পাচ্ছে । দাঁত বের করে হাসছে । জ্বলন্ত বাসটা থেকে মানুষ জনের চিত্কার ভেসে আসছে আর আলম সেটা দেখছে আনন্দ নিয়ে ।
যেন কোথায় হারিয়ে গেছে । কাদের তখনই লক্ষ্য করল একটা ছায়ামুর্তি ওদের দিকে দৌড়ে আসছে ।
-ভাগ আলম ভাগ ।
কাদের আলমকে একটা ধাক্কা দিয়ে নিজে ঘুরে রমনা পার্কের দিকে দৌড় দিলো । কোন রকমে একবারে রমনা পার্কের গেটের কাছে পৌছানে পারলেই আর চিন্তা নেই ।
কাদের দৌড়াতে থাকলো । পেছনে আলম আসতেছে কি না সেদিকে ওর লক্ষ্য নেই ।
তানজিনার মেজাজটা চরম খারাপ হয়ে আছে । কি করবে ঠিক মত বুঝতে পারছে না । দীর্ঘ আধা ঘন্টা ধরে ও একটা বাসের জন্য অপেক্ষা করছে । কিন্তু একটা বাস যদি আসে ?
আর যে কটা আসছে সব ভর্তি হয়ে । অন্য দিন গুলোতে লোকাল বাস গুলো রাস্তা দাড়িয়ে দাড়িয়ে লোক নিত আর আজকে থামার নামই নেই ।
বোঝা যাচ্ছে অবরোধের জন্য কেউ বেশি সময় বাইরে থাকতে সাহস পায় না । কেউ তো বাইরেও বের হতে চায় না । কিন্তু বাধ্য হয়ে বেরই হতে হয় ।
তানজিনার জরুরী কাজ ছিল মত্স ভবনের পাশে । না আসলেই নয় । সন্ধ্যার আগ দিয়ে কাজ শেষ হয়েছে । সেই তখন থেকেই মত্স ভবনের কাছে দাড়িয়ে ছিল কিন্তু কোন বাসেই উঠতে পারে নি । শেষে না পেরে হাটতে শুরু করলো । শাহবাগে গেলে নিশ্চই কোন না কোন বাস পাওয়া যাবে । অন্তত একটা রিক্সা তো পাওয়া যাবে ।
তানজিন হাটতে থাকে । ইঞ্জিনিযারিং ইনস্টিটিউটের গেট টা পার হতেই হঠাত্ অন্ধকারের ভিতর থেকে দুজন লোক কে বের হতে দেখলো । লোক গুলোর হাটা চলা কেমন যেন সন্দেহ জনক । কেমন চোরের মত পা টিপে টিপে হাটছে । লোকট দুটো রাস্তা পার হয়ে ঐ পাশের রাস্তায় গিয়ে হাজির হল ।
তানজিনা ঠিক বুঝতে পারছিল না লোক গুলোকে এমন কেন মনে হচ্ছে কিন্তু তার কিছু একটা মনে হচ্ছে যেন কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না । কিছু একটা সমস্যা হয়েছে কিংবা হতে যাচ্ছে ।
তানজিনার মুখের কথা মুখেই রয়ে গেল ও দেখলো দুজন লোকের ভিতর একজন কাধে ঝুলানো ব্যাগ থেকে একটা বোতল বের করলো । কয়েক মুহুর্তের ভিতর সেই বোতলের মুখে আগুন জ্বলে উঠলো ।
তানজিনার আর বুঝতে বাকি রইলো না কি হতে যাচ্ছে । তানজিনা চিত্কার করে উঠল । কিন্তু পাশ দিয়ে ছুটে যাওয়া বাসটার হর্ণের আওয়াজে তানজিনার আওয়াজ টা ঢেকে গেল । তারপর তানজিনা যেন একটা ঘোরের ভিতর চলে গেল । চোখের সামনে বাসটার একপাশে আগুন লেগে গেল । বাসটা ধাক্কা খেল একটা খাম্বার সাথে । ঘটনা ঘটতে খুব বেশি হলে দশ থেকে পনের সেকেন্ড রাগলো ।
যখন তানজিনা আবার বাস্তবে ফিরে এল তখনও লোক দুটো দাড়িয়ে । একজন আবার দাত বের করে হাসছে । তীব্র একটা ঘৃণা জেগে উঠল তানজিনার ভিতর ।
মানুষ এমন পৈচাশিক আচরন করতে পারে । তানজিনা লোক দুটোর দিকে দৌড়াতে যাবে ঠিক তখনই লোকদুটোর একজন ঘুরে দৌড় দিল । একজন তখনও দাড়িয়ে । কিন্তু কয়েক মুহুর্ত ।
তানজিনা দেখলো দ্বিতীয় লোকটাও দৌড়াতে শুরু করেছে । কিন্তু দ্বিতীয় লোকটা খুব বেশি দুর যেতে পারলো না । অন্ধকারের ভিতর থেকে একটা ছায়ামুর্তি এসে লোকটাকে চেপে ধরেছে । দশ সেকেন্ডের ভিতর দ্বিতীয় জন ছায়ামুর্তির কাছ থেকে নিজে কে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড় দিল । কিন্তু নিজের কাধের ব্যাগটা আটকে গেল ছায়া মুর্তির হাতে ।
ছায়ামুর্তি ব্যাগ নিয়ে নিয়ে লোকটার পিছনে দৌড়াতে শুরু করে দিল ।
তানজিনা নিঃশ্বাস বন্ধ করে এসব দেখছে । এদিক দিয়ে জ্বলন্ত বাস থেকে মানুষ জনের চিত্কার ভেসে আসছে ।
হঠাত্ করেই ছায়া মুর্তির হাতে একটা বোতল বের হয়ে এল । তানজিনার মাথায় আবার একটা ভয়ংকর চিন্তা কাজ করছে ।
ছায়ামুর্তি কি করতে যাচ্ছে ?
না । না ।
ছায়ামুর্তি হঠাত্ থেমে গেল । ততক্ষনে তার হাতের বোতলের মুখটাতে আগুন জ্বলে উঠেছে । ছায়ামুর্তি থেকে দ্বিতীয় লোকটা ততক্ষনে বিশ বাইশ হাত দুরে চলে গেছে । ছায়া মুর্তি আরও কয়েক মুহুর্ত দেরি করলো ।
তারপর আগুন সমেত বোতলটা ছুড়ে মাড়ল লোকটার দিকে । ঠিক যেমন ভাবে বাসটার গায়ে মুহুর্তের ভিতর আগুন লেগে গেছিল ঠিক তেমন ভাবে ছুটন্ত লোকটার গায়ে মুহুর্তের ভিতর আগুন লেগে গেল ।
তানজিনা ভাবতে পারছে না কি হল !
কেমন করে হল !
কয়েক মুহুর্ত তানজিনা কেবল দেখলো ।
তারপরই ঐ লোকটার আকাশ ছোঁয়া চিত্কার কানে এল ।
সত্যিই কি এটা হচ্ছে ?
তানজিনা নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না । একটা জ্বলন্ত মানুষ তার সামনে এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করছে । আর চিত্কার করছে ।
এই লোকটাই একটু আগে বাসে আগুন ধরিয়ে দাত বের করে হাসছিল আর এখন ?
তানজিনা ছায়ামুর্তির দিকে তাকিয়ে দেখলো লোকটা আবারও অন্ধকারের ভিতর হারিয়ে গেল ।
ঐ দিকে বাসটার কাছে লোকজন ছুটে আসতে শুরু করেছে এই দিকে জ্বলন্ত মানুষটাও নিস্তেজ হয়ে পরেছে । একটু আগে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিল এখন রাস্তার উপয়ে শুয়ে পড়েছে ।
তীব্র মাংশ পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ।
তানজিনা আর নিতে পারছে না দৃশ্যটা । মুখ ঘুরিয়ে শাহবাগের দিকে হাটা দিল ।
ততক্ষনে পুলিশের কয়েটা জিপ পৌছে গেছে ঘটনা স্থলে ।
বেশ রাত । ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহিঃবিভাগের পাশে একটা বড় কড়ই গাছ ।
রাশেদ অনেক্ষন সেই গাছটার নিচে বসে আছে চুপ করে । আজ অনেক দিন পরে ওর মনে একটু শান্তি অনুভব হচ্ছে ।
আজকে নিজের হাতে একটু কুকুরের বাচ্চার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিতে পেরে ওর ভাল লাগছে ।
দেখ শালা কুকুরের বাচ্চা কেমন লাগে ?
কোন দিন ভেবে দেখেছিস কেমন লাগে যখন অন্য পুড়ে যায় তোদের ছোড়া ককটেল বোমায় ?
গত হরতালে ঠিক এমন একটা কুকুরের ছোড়া ককটেলের রাশেদের পাঁচ বছরের মেয়ে লামিয়ার বাঁ হাতটা পুড়ে গেছে । লামিয়া ওর মায়ের সাথে বের হয়েছিল সন্ধ্যা বেলা । কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি রাশেদ ।
কিছুতেই না । কিছুতেই মেয়ে কষ্ট সহ্য করতে পারে নি । বুকের ভিতর একটা ভয়ংকর রাগ চেপে ছিল । আজকে কিছুটা হালকা লাগছে ।
একটু আগে মেডিক্যালে খোজ নিয়েছে । ঐ লোকটার শরীরের নব্বই ভাগে বেশি পুড়ে গেছে । কিন্তু কুকুরটা এখনও বেঁচে আছে ।
থাক বেঁচে থাক ।
রাশেদও চায় কুকুরটা বেঁচে থাকুক । এতো অল্প কষ্ট পেয়ে কেন মরবি !!
রাশের উঠে হাসপাতালের দিকে পা বাড়াল । লামিয়াকে একটু দেখতে মন বলছে ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ!!
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
সুমন কর বলেছেন: সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে চমৎকার লেখনি। ভাল লাগল।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ!!
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২২
অশ্রু কারিগড় বলেছেন: বাস্তব গল্প । আপনার বহুমুখী লেখার প্রতি শুভেচ্ছা রইল ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য!!
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
মতিচুর বলেছেন: +++++++++++++++
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: ওরা পিচাশ হয়ে গেছে । পোড়া মাংসলোভী পিচাশ ।
গল্পে ভালোলাগা ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ...................+।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: মডু ভাই!!
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ!!
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
তওসীফ সাদাত বলেছেন: আনন্দ, এসবেও একধরনের পৈশাচিক আনন্দ পাওয়া যায়। হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে যায় মানুষগুলো। সাময়িক আনন্দের লোভে, সাময়িক লাভের আশায়।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক তাও!! আমি মনে প্রানে চাই অন্তত একটা কুকুর যদি মারতো এভাবে ....
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
ডরোথী সুমী বলেছেন: আর কত ক্ষতবিক্ষত, অগ্নিদগ্ধ লাশের পর পরিস্থিতি শান্ত হবে। কেউ কি জানি? না জানিনা। আশার আলো নেই তাই শুধুই হতাশা জাগে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
অপু তানভীর বলেছেন: কেউ জানে না!!
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।সমকালীন ঘটনার সুন্দর উপস্থাপনা!!!!!
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ শুটকি মাছ!!
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম, সাথে ফেবুতে শেয়ার দিলাম।
"হাত বাঁধা মোর আমি লিখতে পারিনা, চোখ বাঁধা মোর আমি দেখতে পারিনা, মুখ বাঁধা মোর আমি বলতে পারিনা। ভীত হৃদয় নিয়ে তাই পালিয়ে বেড়াই, যুগ হতে যুগান্তর ধরে। কারন, আমি পরাজিতদের একজন।"
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: কেবল আপনি না রে ভাই, আমিও পরাজিতদের একজন!!
১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫
শায়মা বলেছেন:
হঠাৎ পোড়াপুড়ি গল্প
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০
অপু তানভীর বলেছেন: কিছু না আপু!!!
১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
নাঈম মিয়া বলেছেন: চমৎকারে উপস্থাপনা !! বর্তমান দুর্বিসহ অবস্থার এক বাস্তব চিত্র যেন ফুটে উঠেছে আপনার লেখনীতে।অনেক শুভকামনা রইল............
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
অপু তানভীর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
জেরিফ বলেছেন:
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০
অপু তানভীর বলেছেন: কি হইলো??
১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
জেরিফ বলেছেন: নস্ট মানুষ, নস্ট সমাজ!! নস্ট দেশ! নস্ট শাষক শ্রেনী!
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
অপু তানভীর বলেছেন:
১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
আমি ইহতিব বলেছেন: রাশেদের মত হবার ইচ্ছা মনে হয় আমাদের সবার মনেই কাজ করে এখন।
ভালো লিখেছেন।
অট: দুদিন আগেই পড়েছিলাম গল্পটা। মন্তব্য দিতে গিয়ে দেখি সামুর মাথা শুধু ঘুরছেতো ঘুরছেই, তাই আর মন্তব্য দিতে পারিনি সেদিন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই এমন একটা সত্যি মনের ভিতর কাজ করে। যদি পূরন করতে পারতাম!!
১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: অনেক ভালো। যেমন কর্ম তেমন ফল। এমন কিছু প্রতীকী আসা উচিৎ।
"It is better to be violent, if there is violence in our hearts, than to put on the cloak of nonviolence to cover impotence." - মহাত্মা গান্ধীর এই কথাটি The A-Team এ বলা হইছিল। কথা সত্য।
তবে "Victory attained by violence is tantamount to a defeat, for it is momentary." দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার এই কথাটি মনে রাখা উচিৎ। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: হুম।।
১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অপু, তোমাকে রোম্যান্টিক গল্পকার হিসেবেই চিনি, তবে মাঝে মাঝে তোমার হাত দিয়ে কিন্তু দারুন কিছু ভিন্নধর্মী লেখা আসে। এর আগে দুই টা গল্পের কথা আমার মনে আছে, নাম ঠিক মনে নাই। একটা ছিল রক্তযোদ্ধা নিয়ে, অন্য একটা ছিল গোলাম আজমের শাস্তি নিয়ে- দুইটাই আমার কাছে অসাধারন লেগেছিল। আর আজকের গল্পটাও অনবদ্য। কিপ ইট আপ, ম্যান।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমার কথা বাদ দাও, তোমার কি হইছে মিয়া ?
কতকাল নতুন গল্প দেও নাই হিসাব আছে ?
নতুন গল্প দিবা কবে ?
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: অসাধারন । প্লাস দেয়া গেল না । তাই কমেন্টে প্লাস +