নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনে আছে আমি যখন প্রথম ঢাকায় আসি, বাস থেকে নামার আগেই বাসের জানালা দিয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখেছিলাম বিশাল বড় একটা মুভি পোস্টার । নায়কের চেহারা খানিকটা ভারতের শেখার সুমানের মত লাগছিল । ভেবেছিলাম হয়তো কোন বিদেশী নায়ক এসেছে আমাদের দেশে ! মুভির নাম ছিল খোজ দ্যা সার্চ !
এটুকু বলতে পারি মানুষ যখন অনন্ত জলীলের নাম শুনেও নাই তখনই তার মুভি হলে গিয়ে দেখেছিলাম !
বলাকা সিনেমা হলে গিয়ে সেই মুভি দেখেছিলাম ! প্রথম যখন মুভি শুরু হল সত্যি বলতে খানিকটা ভড়কে গিয়েছিলাম । বারবার মনে হয়েছিল খাইছে আমাদের দেশেও এমন সিনেমা সম্ভব ? কিন্তু .....
পরে সময় টুকু মুভি দেখেছি আর মাথার চুল ছিড়েছি ! এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম সে আজও আমাকে ব্লেম করে তাকে কেন আমি ঐ মুভি দেখাতে নিয়ে গেছি !
তারপর আর সাহস হয় নি স্যারের মুভি হলে গিয়ে দেখার । তবে ইউটিউবের কল্যানে এখন আর স্যারের মুভি হলে গিয়ে দেখতে হয় না । বাসায় বসেই দেখা যায় ! আসুন আজকে স্যারের সব গুলো মুভি এক সাথে দেখে ফেলি !
আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করতেছি আপনি এই কাজটা করতে পারবেন না ! আর যদি স্যারের সব মুভি আপনি একবারে বসে দেখতে পারেন এবং আপনার যদি ধৈর্য্যচুত্তি না হয় তাহলে আপনি এই পৃথিবীর সব থেকে ধৈর্য্যশীল মানুষ ! আমি লিখে দিতে পারি !
আসুন পরীক্ষা করে দেখুন !
স্যারের প্রথম মুভিঃ খোজ দ্য সোর্স
এরপরের মুভিঃ দ্য স্পীড
হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ
মোস্ট ওয়েলকাম
নিঃস্বার্থ ভালবাসা
মোস্ট ওয়েলকাম টু এখনও ইউটিউবে আসে নাই তাই দিতে পারতেছি না ! আপাতত ট্টেইলার দেখেন
এবার স্যারের কিছু গানের ভিডিও লিংক দেখা যাক ! তবে গান গুলো কিন্তু আমার বেশ পছন্দ ! বিশেষ করে এই গান ! তুমি ফিরে তাকালে পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে যায়
হাবিব-ন্যান্সির আরেকটা মারাত্বক গান । এতো দিন কোথায় ছিলে !
আমিও রোমিও তুমি জুলিয়েট
বুঝলিনা তুই
ঢাকার পোলা
নিঃস্বার্থ ভালবাসার এই গানটা বেশ চমৎকার
প্রেম দে না রে
হাওয়া হয়ে ছুয়ে ছুয়ে
তোর জাদু
চিকেন তান্দুরী
স্যারের মুভির দুটি বিশেষ দৃশ্য
স্যারের লাইফ ইস্টাইল দেখতে পারেন ! তবে অন্য কিছু না দেখলে এইটা অবশ্যই দেখবেন !
সব শেষে আমরা দেখি যে পাঁচটি কারনে অনন্ত জলীলকে ভালবাসতে হবে । এই ভিডিটাও দেখা উচিৎ !!
আরও কিছু ভিডিও দেওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু আপাতত আজ এই খানেই থাক ! সবাই ভাল থাকবেন ! তবে সব গুলো ভিডিও দেখার পরে আপনার মাথা ঠিক থাকবে কি না আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারচি না !
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক করেই রেখেছিলাম যে টক শো গুলোর লিংকও দিবো । কিন্তু সেই সাহস করে উঠতে পারি নি !
তাই আপাতত নিজে নিজেই খুজে নিন !
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
জনাব মাহাবুব বলেছেন: মোগে দেশে একখান নায়ক আইসেন হেতেরে নিয়া যে হাউকাউ চলতাছে তাতে সে নায়ক বেটাই লাভবান হইতেছে। বিনা পয়সা পাবলিটি পাইতেছেন।
উনার মুভি দেখার জন্য উনার আর কষ্ট করে পাবলিশিটি করতে হয়না। তার মুভির পাবলিশিটি করার মত লোকের অভাব হয়না।
যাউকগা অনন্ত সাহেবের ছবি দেখার মতই ধৈর্য্য আমার নাইক্কা।
তার ছবি দেখতে বইসা মাথার চুল ছিড়ে অকালে টাকলু হইবারও চাইনা।
পোষ্ট ভালো হইছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১১
অপু তানভীর বলেছেন: তার আর বলতে । মাথার চুল ছেড়ার কোন দরকার নেই । টাক মাথাওয়ালা লুকেরে মাইয়া রা আবার পছন্দ করে না কিন্তু
আপনেরে থেঙ্কু !
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই অসুস্থ লোকটাকে যত পাত্তা দেয়া হবে সে ততই সিনেমার উৎকর্ষ না রুগ্ন শিল্পটাকে ধর্ষণ ( নিজের অজান্তে ) করে যাবে , মানুষ মগা নেয়ার জন্য হলে যায় সে নিজেকে ব্যাপক জনপ্রিয় মনে করে , কি না কি বানাইয়া ফালাইছে মনে করে , আপনি নিজেও তার মার্কেটিং ই করলেন , অসুস্থতার চিকিৎসা একটাই ইগ্নোর!
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু কিছু কিছু সেলিব্রেটিদের কথা শুনলে তো মনে হয় স্যার দেশের চলচিত্র শিল্পের জন্য কি অবদানটাই না করে যাচ্ছে ! তোমার চোখেও নিশ্চই পড়েছে । সবাইকে নিয়ে মজা নেওয়া যাবে কিন্তু স্যার কে নিয়ে মজা নিতে গেলেই সবাই বেজার !
এখন চিকিৎসা কেবল কি স্যারের দরকার নাকি ঐ সমস্ত পাব্লিক গুলারও দরকার ? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম !
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৪
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আপনার চ্যালেঞ্জ ভুল প্রমান করা আনপসিবল :-<
আমার কাজিন আমাকে কয়েকটা মুভির ডিভিডি দিয়েছিল , কিন্তু আমি জীবনেও দেখার সাহস করিনি
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: আপনে তাইলে পরাজিত হইলেন ! তবুও যদি কোন দিন সাহস সঞ্চয় করতে পারেন তার জন্য এই পোস্ট খানা তো রইলোই
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: স্যারের মুভির দুইটি বিশেষ দৃশ্য দেখার পর যথেষ্ট পরিমাণ ধৈর্য থাকা সত্ত্বেও স্যারের মুভি দেখার সাহস করতে পারছি না। এই রকম দুঃসাধ্য একটি কাজ করার মত দুঃসাহসী আমি নই।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আপনে যে দুইটি বিশেষ দৃশ্য দেইখা এখন সুস্থ মস্তিস্কে মন্তব্য করতে পেরেছেন এই জন্য আপনি অবশ্যই প্রসংশার দাবী রাখেন
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৫৩
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ভাই রে ভাই!!! করছেন কি!!!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: অসম্ভব কে সম্ভব করাই অনন্তর কাজ
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
আধখানা চাঁদ বলেছেন: জলিল, বাংলার গর্ভ !
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন:
৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অপু আপনার এই পোস্টে দ্বিতীয়বার কমেন্ট করতেই হচ্ছে। এখানে কিছু মন্তব্য আর তার দেয়া আপনার প্রতি উত্তরের ভিত্তিতে।
এই কথা ঠিক যে অনন্তের ভেতর অভিনয় প্রতিভা নেই। তার বাচনভঙ্গী ও উচ্চারণগত সমস্যা প্রচুর। তাছাড়া ছবিতে ব্যবহৃত কিছু স্পেশাল এফেক্ট অতিমাত্রায় হয়েছে।
এখন মূল প্রসঙ্গে আসি। মূলত সালমান শাহ্র মৃত্যুর পর রিয়াজ, শাকিল খান, মান্না আর ওমরসানিরা কিছুদিন ভালই চালিয়ে গিয়েছিল কিন্তু তারপরেই অশ্লীলতা বাংলা সিনেমায় ধ্বংস ডেকে আনে। যার কারণে আজকের প্রজন্মের কাছে বাংলা সিনেমা মানেই হলো নাক সিটকানো কিংবা হাসির খোড়াক। অনেক সিনেমা হল ব্যবসা করতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে। একটা সময় ধারণা করা হচ্ছিল বাংলা সিনেমায় অর্থ লগ্নী করা মানেই বিরাট ক্ষতি।
এই বেহাল ও করুণ অবস্থার মধ্যে ছবির জগত থেকে বিদায় নেন রিয়াজ, শাকিল খান। মান্নার মৃত্যু আরও একটা বড় ধাক্কা। তাছাড়া ওমর সানি তার শারীরিক কারণে নায়ক পদ থেকে অবসর নেন। তাছাড়া অমিত হাসান কিংবা বাপ্পা রাজদের মত নায়করাও পিছিয়ে আসে। এই যখন অবস্থা সেই সময় একের পর এক ছবি করে চলেন শাকিব খান। এই কথা বলতে দ্বিধা নেই যে শাকিব খানও যদি হাল ছেড়ে দিত তাহলে বাংলা সিনেমায় ফুল স্টপ হয়ে যেত অনেক আগেই। শাকিব খানের অনেক ছবিই আছে যা গান, চিত্রায়ন ও কাহিনীতে অনেক অনেক ভাল মানের।
কিন্তু বাংলা ছবিতে মূল যে সমস্যা রয়ে যায় সেটা হলো ছবির প্রযুক্তি গত ভাবে পিছিয়ে থাকা। সেই ঘোলাটে ছবি আজো রয়ে গেছে। যেখানে সরকার পর্যন্ত কোন মাথা ঘামায় না এই বিষয় নিয়ে সেখানে সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত ভাবে এগিয়ে আসে অনন্ত জলিল ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। তারাই মূলত বাংলা ছবিতে এই প্রযুক্তির উন্নতির জন্য চেষ্টা করে আসছে। তাদের দেখা দেখি এখন আবারও অনেক পুরাতন পরিচালক এবং নতুন আরও অনেক পরিচালক ভরসা পেয়ে নতুন ভাবে জেগে উঠেছে। মূলত ইমপ্রেস ও জলিলের অর্থ লগ্নীর সৎ সাহসিকতাই নতুন ভাবে বাংলা ছবির জগতটাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।
তবে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা ছবির প্রথমেই টিভিতে প্রচার করে যার জন্য সিনেমা হলগুলো ব্যবসা করতে পারেনা। কিন্তু জলিল এই যে এত এত টাকা খরচ করে একটা ছবি বানাচ্ছে তার জন্য কতটা রিস্ক নিয়ে তারপরেও হলগুলোর কথা ভেবেই স্বাভাবিক নিয়মে হলেই ছবি মুক্তি দিচ্ছে সেটাই প্রমান করে তার বাংলা সিনেমার জন্য ভালোবাসার নমুনা।
আমরা বাঙালিদের এইত এক সমস্যা অন্যের খুতটা ধরেই আনন্দ পাই অথচ নিজের খুতের কোন খবর নাই। অনন্তের ইংরেজি বলাতে সমস্যা, অভিনয়ে সমস্যা তা আমার কথা হল যাদের ইংরেজি একদম ইস্পাতের মত আর অভিনয় দক্ষতা নোবেল জয়ের মতো এবং যাদের টাকা পাহাড় সমান তারা কেন বাংলা ছবির জন্য এগিয়ে আসেনা ?
আমি অপু ভাই এই অসুস্থ মনের রুচীহীন যে কিনা রুগ্ন চলচিত্রটাকে ধর্ষণ করে চলেছে তাকে স্যালুট জানাই। এতে যদি কেউ আমাকেও অসুস্থ মনে করে তবে আমিও অসুস্থ হতে রাজী আছি। আমি ভাই বাংলা সিনেমা বেঁচে থাকুক এটাই চাই। মনে রাখবেন ফারুকীর মত টেলিভিশন সিনেমা বানান ভাল কিন্তু এই দিয়ে ছবির জগত বাঁচেনা। একজন অসুস্থ সেলিব্রেটির সাথে একজন অসুস্থ সেলিব্রেটি থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আমি আসলে আপনার সাথে অতোটা একমত নই কান্ডারি ভাই । তিনি আমার আসলেই খানিকটা সন্দেহ হয় তিনি বাংলা চলচিত্রকে এগিয়ে নিতে এগিয়ে এসেছেন নাকি নিজেকে প্রচার করার জন্য এগিয়ে এসেছেন ! এটা নিয়ে আমি আসলেই খানিকটা দ্বিধান্বিত ! তার টক শো গুলো দেখলেই এরকম একটা ধারনা পাওয়া যায় !
আমি এও মনে করি এরকম চলচিত্র তৈরি হওয়ার চেয়ে চলচিত্র শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাল !
৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পৃথিবীতে কোন চলচিত্র পরিচালককে দেখেছেন যে নিজের এবং নিজের ছবির প্রচারনা করে না। ভারতীয় চলচিত্রে বলেন কিংবা হলিউডের কথাই বলেন দেখবেন প্রচারনার বিভিন্ন কৌশল। চলচিত্র শুধু শিল্পই না এটা ব্যবসাও। যে কারনেই বলা হয় কমার্শিয়াল সিনেমা। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেখানে লাভ না হোক লগ্নীকৃত অর্থের উঠে আসাটা জরুরী যে কোন পরিচালকের জন্যই। সেক্ষেত্রে জলিল বিভিন্ন টক শোতে নিজের ছবি সম্পর্কে যা বলে তা হলো প্রচারনা। এই যেমন একটা টক শোতে সে বলল একটা গানে বর্ষা যে শাড়ি পরেছে সেটার মূল্য ২০ লাখ টাকা। আমি আপনি হয়ত এই নিয়ে কুৎসা রটাবো। কিন্তু ভারতে যখন মাধুরী দিক্ষিত বলে যে সে যে শাড়িটি পরে অভিনয় করেছে তা ২৫ লাখ রুপী তখন কিন্তু ঠিক আমরাই বলি ওয়াও !!! কিংবা জ্যামস ক্যামেরুন যখন তার সিনেমার প্রচার করতে গিয়ে বাজেটের কথা তুলে ধরে প্রাচরনা চালিয়ে যায় তখন এই আমরাই কিন্তু হাত তালি দেই।
আমি অস্বীকার করিনা যে তার কিছু অসংগতি রয়েছে তবে একটা মানুষ যে সাহস করে এগিয়ে এসেছে এটাই বা কম কিসের। আর হ্যাঁ বাংলা সিনেমা বন্ধ হয়ে গেলে ভালইতো হবে ভারতীয় সিনেমার নাচ গান দেখতে হলে বসে ভালই লাগবে কি বলেন ?
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: নিজের ছবির প্রচরনার কথা কিন্তু বলি নাই কান্ডারি ভাই । এটা যে কেউ করতে পারে এবং করাও উচিৎও মনে করি । কিন্তু আপনি যে বললেন এই মানুষটা বাংলা চলচিত্রের জন্য কত মহান কাজ করেছেন এটা আমি মানতে মোটেই প্রস্তুত নই ।
দেখুন অনন্ত জলীলের টাকা পয়সার কোন অভাব নেই । আপনি যে বললেন না রিস্ক নিয়ে এগিয়ে এসেছে এরকম কয়েক কোটি টাকা এমনিতেই রাস্তায় ফেলে দিতে পারে । তার কিছু যাবে আসবে না !
এখন কথা হলে মানুষের টাকা পয়সা থাকলে অনেক কিছু করতে মন বলে । ইভা রহমান কে আপন নিশ্চই চিনেন । প্রতি বছর সে তার গানের এলবান বের করছে । তার হাজব্যন্ডের টাকার অভাব নেই, বউ এর শখ সে পুরন করতেই পারে । এখন অডিও বাজারের এমন দুর্দিনে আপনি কি ইভা রহমানের এলবাম বের করা টা অডিও বাজারের ধ্বংসের হাত থেকে বাচার জন্য এলবাম বের করা বলবেন ?
লজিক কি বলে ?
এটা বড় লোকদের একটা খিয়েল খুশি সখ ! আর কিছু না ! অনন্ত জলীলের ক্ষেত্রেরও এর ব্যতিক্রম আমি দেখি না ।
হ্যা অবশ্যই আমি এটা মনে করতাম যে উনি বাংলাদেশের চলচিত্রের জন্য এগিয়ে এসেছেন যদি গুনী শিল্পী এবং গুনী ডিরেক্টর দিয়ে তিনি মুভি বানাতেন ! যেমন টা ইম্প্রেস টেলিফিল্ম বানায় !
তিনি কেবল নায়ক হওয়ার বাসনা পূরন করতে এসেছেন ! নিজেকে প্রাচার করতেই এসেছেন । বাংলাদেশের চলচিত্র কে বাচাতে নয় !
আর নিজের শখ পুরন করতে গিয়ে বাংলা সিনেমাকে কি হাস্যকর একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছেন সেটা বোধহয় উনি নিজেও জানেন না । এরকম চলচিত্র তৈরি হওয়ার চেয়ে ইন্ডাস্ট্র বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাল !
১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: তার সবকিছুর প্রতিই ভালো লাগা থাকবে, কেবল অভিনয়ের দিকে আরেকটু সুনজর দিলে তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা যাবে ।
দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার অবদান অনস্বীকার্য । এট লিস্ট, তিনি লোকেশন, স্পেশাল ইফেক্ট, বিগ বাজেটের ছবিতে ইনভেস্ট করার একটা ট্রেন্ড চালু করেছেন । শুরুটা আলোচিত হয়েছে সমালোচনার জন্য , হয়তো একদিন তার কৃতকর্মের জন্য আমরা তাকে মনে করবো ।
শুভেচ্ছা রইলো ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ হিসাবে সে কেমন সেটা নিয়ে কোন কিছু বলার নেই ।
কিন্তু অভিনয়, নায়ক ডিরেকটর হিসাবে তার মত হাস্যকর ক্যারেকটর এই পৃথিবীতে আর একটা আছে কি না সন্দেহ !
টাকা সে ঠিকই খচর করেছে কিন্তু সঠিক জায়গায় সঠিক লোক টা তিনি কাজে লাগাতে পারেন নাই । আপনি যে বললেন অনস্বীকার্য, এই কথাটা মানতে আমার আপত্তি আছে !
আপনার জন্যই শুভেচ্ছে রইলো !
১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সুমন কর বলেছেন: অাপনি কি সব দেখেছেন !!!!
অামি এখন পর্যন্ত উনার গ্রামীণ এ্যাড ছাড়া অন্য কিছু দেখি নাই।
সাহস হয় নাই।।।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: কিছু কিছু দেখেছি । সব দেখলে আমি হেমাহেতপুর থাকতাম এতক্ষনে
১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০০
আবু শাকিল বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব এবং অপু ভাই...আপনাদের কাইজ্জা উপভোগ করলাম।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: কাইজ্জা কই দেখলেন ! বড় ভাই ব্রাদারের সাথে একটু বাত-চিৎ করতাম আর কি
১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: @ কাণ্ডারি ভাই- আপনার মতামতের উপর পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে কিছু কিছু বিষয় দ্বিমত পোষণ করছি।
অনন্ত জলিল চলচিত্রের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ লগ্নি করছেন এটা স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। কিন্তু এই লগ্নি থেকে আউটপুট কি পাচ্ছি টা অবশ্যই ভেবে দেখার বিষয়। অনন্ত জলিলের প্রথম চলচিত্র থেকে সব শেষ যে চলচিত্রটি মুক্তি পেল তার মান কি ঊর্ধ্ব মুখি নাকি নিন্মমুখি তা ভেবে দেখা উচিৎ। আমার ব্যক্তিগত মতামত অনন্ত নিজেকে নায়ক হিসাবে পর্দায় উপস্থাপন করার জন্যই চলচিত্রে বিনিয়োগ করছেন। যদিও এর ফলে বাংলা চলচিত্র কিছুটা হলেও উপকৃত হচ্ছে।
অনন্ত জলিল কিংবা বর্ষা অভিনয়ের জন্য ১০ এর মধ্যে ১ নাম্বার পাবে কি না তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর অনন্তর উচ্চারণ নিয়ে কথা নাই বললাম। বলিউডেও কিন্তু এই ধরণের অভিনেতা ( সুনিল শেঠটি, সানি দেওল, ববি দেওল) রয়েছে যাদের উচ্চারণ এবং অভিনয়ে ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু তারা অনেকাংশে সফল হয়েছেন চলচিত্রের পেছনে ভাল নির্মাতার কারণে।
কিন্তু অনন্ত জলিল যেন বাংলা চলচিত্রে সুপার হিরো হিসাবে অবতীর্ণ হয়েছেন। চিত্রনাট্য , সংলাপ, গীতিকার, পরিচালক, প্রযোজনা সব দায়িত্ব একাই নিয়ে নিয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে ক্যামেরাম্যান এর দায়িত্বটুকু তিনিই নিয়ে নিতে পারেন বলে ধারণা করি। সেলফি তোলার মত করে চলচিত্রের দৃশ্য ধারণ করে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেললেও অবাক হব না।
অনন্ত যদি সত্যিই বাংলাদেশের চলচিত্রের উন্নতি চান তাহলে নিজেকে শুধুমাত্র প্রযোজনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। আর তা যদি সম্ভব না হয় অন্তত ভালো লেখক দিয়ে চিত্রনাট্য তৈরি করবেন। যোগ্য মেধাবী কেউ থাকবেন পরিচালনায়। যিনি প্রযুক্তির উদ্ভট ব্যবহার না করে সঠিক ব্যবহার করবেন।
আর ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চমৎকার কাজ করে গেলেও সত্যিকার অর্থে চলচিত্রের উন্নতিতে কোন কাজেই আসছে না। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবিগুলো জাতীয় চলচিত্র আর অন্যান্য পুরুস্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। টেলিভিশনে চলচিত্র মুক্তি দেয়ার কারণে দর্শক হলমুখো হচ্ছে না। এগুলোকে চলচিত্র না বলে টেলিছবি বলতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করি।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত মতামত অনন্ত নিজেকে নায়ক হিসাবে পর্দায় উপস্থাপন করার জন্যই চলচিত্রে বিনিয়োগ করছেন।
আপনার এই কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত !
১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
আকিব আরিয়ান বলেছেন: মজা নিলাম কিছু সময় ভিডিও গুলো দেখে। বেশ ভালোই লাগলো, পোস্ট প্রিয়তে রাখছি কখন কোন সময় কাকে হাসাতে এই পোস্ট লাগে কে জানে!!
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: রেখে দেন । কাজে আসবে
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টটা পরিপূর্ণ না। ভচের টক শো গুলোর ভিডু লিংক দেন। নাইলে ভচেরে চেনা মুশকিল হবে।
তবে যে যাই বলুক অনন্ত দেশের সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। জলিল আর শাকিব একমাত্র বাংলা সিনেমার হাল ধরে রাখছে নাইলে কবেই শাট ডাউন হয়ে যেত।