নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমন ব্লগঃ বিলাইছড়ি ভ্রমনের গল্প

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২৭


করোনার কারণে ঘুরাঘুরি বাদ বলা চলে একেবারে । শেষ ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই ফেব্রুয়ারিতে । আর ঢাকা থেকে বের হওয়া বলতে কেবল ঈদে গিয়েছিলাম গ্রামে । তাছাড়া পুরোটা সময় ঢাকাতেই বসে থাকতে হয়েছে । গ্রাম থেকে আসার পর থেকেই কোথাও যেতে ইচ্ছে করছিলো । তবে শারীরিক কিছু কারণে যেতে ইচ্ছে করছিলো না কোথায় । বান্ধুপি যখন বলল যে চল যাই রাঙ্গামাটি, প্রথমে মানাই করে দিলাম । বললাম যে যাবো না । শরীর ভাল না । পেট খারাপ ! তবে কোথাও যাওয়ার লোভ আর সামলানো যায় নি । পরে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে নিলাম ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আমরা রওয়ানা দিলাম রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের উদ্দেশ্যে । এখানে বলে রাখি ফেসবুকে এখন বেশ কিছু সুপরিচিত ট্যুর গ্রুপ আছে যারা নিয়মিত এই রকম ট্যুরের আয়োজন করে থাকে । এই রকম একটা গ্রুপের সাথে প্রায় তিন বছর ধরে যুক্ত রয়েছি আমি । ঘুরাঘুরি তাদের সাথেই হয়ে থাকে । ছাত্র জীবনে যত ট্যুর দিয়েছি সব গুলোর আয়োজক থাকতাম আমি সহ কয়েকজন । টিকেট কেনা থেকে শুরু করে যাত্রার যাবতীয় ঝামেলা আমরা সামাল দিতাম । তাই এটার ঝামেলা কতখানি সেটা জানি । এখন এই কাজটাই এই গ্রুপ গুলো করে । আমরা কেবল টাকা দিই বাদ বাকি সব কিছুর দায়িত্ব তাদের । ঝামেলা বিহীন ভাবে ঘুরে আসি ।

যাই হোক গল্প শুরু করা যাক । সকালে পৌছিয়ে গেলাম কাপ্তাই । বান্দরবানে আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি তবে রাঙ্গামাটিতে এই প্রথম । কাপ্তাইয়ে নেমে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিলাম । এখানে একটা কথা বলে রাখি যে কাপ্তাইয়ে আসলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য খুব একটা ভাল ব্যবস্থা নেই । একটা পাবলিক টয়লেট দেখতে পেলাম যেটা খুব একটা যুতসই ছিল না । হোটেলেও টয়লেট জাতীয় কিছু ছিল না । বান্দরবানের অবশ্য এই ঝামেলা নেই । সেখানে বেশ ভাল পরিস্কার ব্যবস্থা আছে প্রতিটি হোটেলের সাথেই ।

নাস্তা করে আমরা ট্রলারে চেপে বলসাম । সেখান থেকে ঘন্টা দুয়েকের ট্রলার যাত্রা করে হাজির হলাম বিলাইছড়ি উপজেলাতে । মূলত এটাই আমাদের বেজ পয়েন্ট । সেখানে আমাদের জন্য আগে থেকেই রিসোর্ট বুকিং দেওয়া ছিল । এখানে ব্যবস্থা বেশ ভাল । ফ্রেশ হয়ে নিলাম এখান থেকেই । নাস্তা খাওয়াই ছিল তাই আর খাওয়ার দরকার ছিল না খুব একটা ।

শুক্রবার আমাদের দুইটা ঝর্ণা দেখতে যাওয়ার কথা । ঝর্ণা দুইটার নাম হচ্ছে 'ন কাটা' আর 'মুপ্পাছড়া' । দুইটা ঝর্ণাই একই জাগয়াতে । বলা যায় যে দুটো আসলে একই ঝর্ণা । একটা উপরে আরেকটা নিচে । উৎস একই স্থান । আমরা আবার ট্রলারে রওয়ানা দিয়ে দিলাম ।
যাওয়ার পথের দৃশ্য ।
মোটামুটি ঘন্টা দেড়েক জার্নি করে পৌছালাম আসল জায়গায় । এরপর পায়ে হাটা পথে । আমরা সবাই হাটা শুরু করলাম। বান্দরবানে যে কঠিন পথ আমি পাড়ি দিয়েছি তার তুলনাতে এই পাহাড়ে ওঠানামাটা আসলে একেবারে দুধভাত বলা যায় ! তবে যারা প্রথমবার তাদের জন্য একটু কষ্টেরই হবে ।
আমরা প্রথমে পৌছালাম ন কাটা ছড়িতে । ছবিতে আসলে এই সৌন্দর্য্য কোন ভাবেই বোঝা যাবে না । দেখতে হবে সরাসরি । তাহলেই আসল সৌন্দর্য্য বোঝা যাবে । তবুও দিলাম কয়েকটা ছবি ।

ন কাটা ছড়ি


ন কাটা থেকে আমার গন্তব্য এবার মুপ্পাছড়ার দিকে । যাওয়ার পথে আরও একটা ঝর্না পড়লো !

এই যাত্রা পথে বেশ মজা হয়েছিলো । আমাদের গ্রুপের এক অংশ আগেই রওয়ানা দিয়েছিল । আমরা ইচ্ছে করেই পেছনে ছিলাম। হাটা দিলাম কিছু সময় পরে । তবে যে বাঁকে যাওয়ার কথা ছিল সেদিকে না গিয়ে অন্য দিকে হাটা দিলাম । পথ ভুল হল । আবার ফিরে এসে অন্য আরেক দিকে যাওয়া শুরু করলাম । কিছুদুর গিয়ে সেটাও দেখলাম ভুল । এরপর তিনবারের বার সঠিক পথটা খুজে পেলাম । এই পথটা একেবারেই পাথুরে ছিল । ঝর্ণার ঝিরি পথ দিয়েই আমরা গিয়ে হাজির হলাম মুপ্পাছড়াতে । তবে এটাতে পানির পরিমান একটু কম ছিল । যদিও আমার কাছে এটাও দেখতে চমৎকার লাগছিলো । ছবিতে মনে হবে যে একদম পানি কম কিন্তু বাস্তবে সেখানে হাজির থাকলে ঝর্ণাটার সৌন্দর্য আরও ভাল ভাবে উপভোগ করা যাবে !
ছবি দেখে অনেকে হতাশ হতে পারেন তবে বিশ্বাস করুন যে বাস্তবে এটা অনেক বেশি সুন্দর !

তারপর ফেরার পালা । একই পথে ধরে আবারও আমরা ফিরে এলাম । একই ভাবে ট্রলারে করে হাজির হলাম আবারও বিলাইছড়ির সেই রিসোর্টে । তখন প্রায় চারটা বেজে গেছে । গোসল সেরে খাওয়া দাওয়া করতে করতে সাড়ে ৫টা বেজে গেল । সন্ধ্যার পরে আমরা বাজার ঘুরে দেখলাম । বিলাইছড়িতে বলতে গেলে সব কিছু রয়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটা দেখতে বেশ সুন্দর । থানাটা আরও বেশি সুন্দর । একেবারে বিশাল বিল্ডিং ।

পরদিন খুব ভোরে আমরা রওয়ানা দিলাম । আজকে আমাদের গন্তব্য হচ্ছে ধুপপানি ঝর্ণা । মূলত এটাই হচ্ছে ট্যুরের আসল গন্তব্য । ছয়টার আগে আর্মি অনুমতি দেয় না যেতে । ক্যাম্পেই অপেক্ষা করতে হল কিছু সময় । ছয়টা বাজলো তারপর আমাদের যাত্রা শুরু হল । স্রোতের বিপরীতে আমাদের ট্রলার চলছিলো । তাই যেতে সময় লাগছিলো বেশ খানিকটা । সাড়ে নয়টার সময় দ্বিতীয় আর্মি ক্যাম্পে আমরা এন্ট্রি করলাম । তারপর আরও মিনিট বিশেষ ।
ট্রলারে যাওয়ার পথে ।

এরপর ঘাটে ট্রলার থামলো । আমাদের আবারও যাত্রা শুরু । মূলত ঘাট থেকে ধর্ণাতে যেতে আড়াই থেকে তিন ঘন্টার মত সময় লাগে ! ঘাট থেকে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত এক ঘন্টার সমতল ভূমির হাটা এবং সেখান থেকে পাহাড়ে ওঠা আরও দেড় থেকে দুই ঘন্টার পথ । কিন্তু আমাদের এই সমতল ভূমিতে হাটাটা বেশ ঝামেলার হয়ে গিয়েছিলো । গতদিন রাতে বৃষ্টি হয়েছিলো । তাই পথ ছিল কাদায় পরিপূর্ন । যে সে কাদা না, ভয়ংকর কাদা । এই পথ টুকু আসলেই খুব বিরক্তিকর ছিল । আমি দুইবার আছাড় খেয়ে পড়ে গেলাম । একবার তো একেবারে কাদার ভেতরে । সারা শরীর কাদায় মাখামাখি !

তবে পাহাড়ে ওঠার পর থেকে অবশ্য আর কাদা ছিল না । এই যাওয়ার পথটা পরিশ্রমের ছিল কিন্তু সেই সাথে উপভোগের । পাহাড়ে আমার হাটতে সব সময় ভাল লাগে । মাঝে কিছুটা পথ ছিল ঝিরির মধ্য দিয়ে । সেটাও চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা ।
এই যে রাস্তা নেমে গেছে নিচে !
ঐ দেখা যায় একটা পাড়াতে যাওয়ার পথে ।
এরপরে আমরা পৌছালাম ধুপপানি ধর্ণাতে । সত্যি বলতে কি জাদিপাই ঝর্ণার পরে এতো চমৎকার একটা ঝর্ণা দেখতে পেলাম । এই সৌন্দর্য্য আসলে কোন ভাবেই ভাষার প্রকাশ করা সম্ভব না । এমন কি এটা ছবিতেও দেখে বোঝা সম্ভব না । যারা সেখানে গিয়ে নিজ চোখে দেখেছে কেবল তারা বুঝতে পারবে । পানির যে কী তীব্র একটা শক্তি এই ঝর্ণার সামনে গেলে সেটা বুঝা যাবে আরও ভাল করে ।
ধুপপানি ঝর্ণা


অনেকটা সময় এখানে কাটিয়ে আবারও আমরা ফেরার পথ ধরলাম ! ঘাটে ফিরে এসে আগে দুপুরের খাওয়া সেরে নিলাম । যাওয়ার সময়ই বলে গিয়েছিলাম খাবারের কথা । উপজাতিরা এখানে আমাদের জন্য রান্না করে নিয়ে এসেছিলো । ট্রলারে বসে খাওয়া শেষ করলাম । তারপর আবারও সেই ট্রলার জার্নি !
ফেরার পথে ।

এখানে পানি কিছুটা শান্ত ।

ঐ যে আমাদের ফিরে যাওয়ার পথে ।

রিসোর্টে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে গেল । আমরা আবার ফ্রেশ হয়ে রওয়ানা দিলাম বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে । সন্ধ্যা সাতটার আগে আবার আর্মি ক্যাম্পে এন্টি করতে হবে । নয়তো আবার ওরা যেতে দিবে না !

এই ছবিটা রিসোর্টের ব্যালকোনি থেকে তোলা । দুরে সূর্য ডুবে যাচ্ছে । কী অদ্ভুত এক মায়াময় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছিলো ।


সাড়ে আটটার দিকে আমরা আবার কাপ্তাই এসে পৌছালাম । একই হোটেলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সাড়ে নয়টার বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম । ঝর্ণা ভ্রমনের শেষ এখানেই । আবার হয়তো সামনে অন্য কোথাও যাওয়া হবে । কবে যাওয়া হবে কে জানে ! ততদিন আবারও এই সিমেন্টের জঙ্গলে পড়ে থাকতে হবে ....

সব গুলো ছবি আমার কমদামী মোবাইলে তোলা ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপাতত ছবিগুলো দেখলাম। নয়নাভিরাম ।
পোস্ট পড়ছি ...

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১০

অপু তানভীর বলেছেন: বান্ধুপির আইফোনে বেশ কিছু ভাল ছবি উঠেছে । ওর কাছ থেকে নিয়ে কিছু ছবি পোস্ট দিবো নে পরে । আপাতত আমার কমদামী ছবি দেখে নিন !

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। ছবিগুলিও সুন্দর। এটাই মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হ্রদ। রাঙ্গামাটি কাপ্তাই নিয়ে অনেক এলাকা পর্যন্ত এই হ্রদ বিস্তৃত। বহু আগে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে এই অঞ্চল পানিতে ডুবে গিয়েছিল বহু আগে। উপজাতিগুলি এই কারণে তখন থেকেই বাঙ্গালীদের উপর ক্ষিপ্ত।

জায়গাটার নাম কেন বিলাইছড়ি এটাই তো বললেন না। আমার মনে হয় ছড়ি হাতে কোন বিড়াল এখানে ঘুরে বেড়াতো তাই এমন নাম রাখা হয়েছে। অনেক অদ্ভুত নাম আমাদের দেশে আছে। ব্লগার কলাবাগান এই ব্যাপারে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। ওখানে একটা জায়গার নাম ছিল কুত্তামারা। নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। এছাড়া আছে, ভেড়ামারা, ছাগলনাইয়া, গাইবান্ধা, ঘোড়াশাল, বাঘেরহাট ( বাগেরহাট), হিরনপয়েন্ট, বান্দরবান ইত্যাদি।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা এই হ্রদের কারণে অনেক এলাকা ডুবে গিয়েছিলো । এই কারণে একটা রাগ রয়ে গেছে ওদের মনে তবে সেটা ওরা কখনই প্রকাশ করে না । বাঙালিদের সাথে ওদের আচরন অনেক আন্তরিক !

বিলাইছড়ি নামটার আসলে উদ্দেশ্য যে কি সেটা আমরা নিজেও জানতে পারি নি । তবে ছড়ি শব্দটা দিয়ে ঝর্ণা বুঝায় । অনেক ঝর্ণা রয়েছে এই করণে এমন নাম হতে পারে । আমি আর এষা (যে দুজন গিয়েছিল আমার সাথে তাদের একজন) পুরো এলাকা জুড়ে বিড়াল খুজে বেড়িয়েছি । ভেবেছি যে হয়তো এখানে অনেক বিড়াল ছিল আগে তাই নাম হয়েছে বিলাইছড়ি । কিন্তু দুঃখের ব্যাপার যে সেখানে বিড়াল দেখি নি বললেই চলে । সব মিলিয়ে তিনটা বিড়াল চোখে পড়েছে । এর থেকে গরু ছাগল বেশি সেখানে !

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ব্যালকোনি থেকে তোলা ছবিটা সত্যি অদ্ভুত সুন্দর হয়েছে।লেখা পড়ে মনে হল জার্নিটা এতটা সহজ ছিলনা।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি ভ্রমন ব্লগ।ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: ব্যালকোনির ছবিটার থেকেও আসলে বাস্তবে দেখতে আরও অনেক অনেক বেশি সুন্দর । প্রথম দিন এবং দ্বিতীয়দিন এই দৃশ্য চোখের সামনে ছিল । বুঝতে পারছেন কেমন ছিল মনভাব !

পাহাড়ে ওঠা আমার জন্য খুব একটা কষ্টকর না । আগে অনেকবারই গিয়েছি আমি । এই জার্নির সব থেকে বিরক্তকর অংশ ছিল সমতলের ঐ কাদা পূর্ণ রাস্তাটা ! ঐ টুকু বাদ দিয়ে ভ্রমন চমৎকার ছিল খুব !

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


উপজাতিদের রান্না কেমন, কি রান্না করেছিলো ওরা? যারা রান্না করেছিলো, তারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিলো? আপনার পেট খারাপ ছিলো, আমার কেমন্ট দেখে যেন কোন ধরণের দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই আশা করছি।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। আর সুন্দর ছবি। ছেলেদের কত স্বাধীনতা ইচ্ছে হলেই দুনিয়া ঘুরে আসতে পারে। ভ্রমণ পিপাসু হওয়া সত্ত্বেও, এই পর্যন্ত সমুদ্র ঝর্না কিছুই দেখা হয়নি। নিজের এলাকা মাধবকুন্ডতেও যাইনি। :(

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ভ্রমণ দেখানোর জন্য

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: এখানে ছেলেদের স্বাধীনতা ব্যাপার না কিন্তু । চাইলেই আপনি যেতে পারবেন । যদি সত্যিই আপনার যাওয়ার ইচ্ছে থাকে । আমার সাথে আমার দুই বান্ধবী ছিল । গ্রুপে আরও কয়েকজন মেয়ে ছিল আমাদের সাথে । বিবাহিত অবিবাহিত সব ! আপনি কেবল বের হয়ে যান দেখবেন ঠিক ঠিক চলে যেতে পারবেন !

আজই বের হয়ে যান দেখি । ভয় পেলেই ভয় !

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমার দুর্ভাগ্য এই তিনটে ঝর্নার নাম আমি কখনো শুনিনি পর্যন্ত! বছর দশেক আগে হলে অবশ্যি যেতাম-পুলাপান নিয়ে যাওয়া মুশকিল!
বন্ধুদের সাথে গেলে? আপনি বুঝবেন কি -বিয়েতো করেন নাই :)
আছাড় খেলেন ক্যামনে- বাশের লাঠি সাথে ছিল না?
সবগুলোই ঝর্না চমৎকার- শেষেরটাতো দুর্দান্ত!
ভাল লাগল ছবি আর ভ্রমন কাহিণী

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: ধুপপানির কথা শোনেন নাই? দেশের সব থেকে বড় যে কয়টা ঝর্ণা আছে তার ভেতরে জাদিপাই একটা আরেকটা হচ্ছে এই ধুপপানি ! এই দুটোর নাম তো শোনার কথা !
পুলাপাইন নিয়ে কেন যেতে হবে ! দুই দিনের মামলা । বৃহস্পতিবার যাবেন রবিবার সকালে চলে আসবেন।

আছাড় খেয়েছি আসলে কাদামাটিতে । ওখানে বাশের লাঠি থেকেও লাভ হয় নি ।

দেরী না করে একদিন প্লান করে ঘুরে আসুন । দেখবেন ভাল লাগবে !

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

জুন বলেছেন: আমি অনেক অনেক ঝর্না দেখেছি বাংলাদেশের কিন্ত আপনার বর্নিত অসাধারণ এই ঝর্নাদুটো দেখা হয় নি। আসলে ইদানীং দুর্গম পথ পাড়ি দিতে ভয় হয়। তবে গ্রুপে গেলে অনেক মজার, ভয়ও থাকে না। ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।
আমাদের ভিয়েতনাম আর ইন্দোনেশিয়ার বরবদুর ভ্রমণের দুটো প্ল্যানই বাতিল হলো এই করোনায়।
অনেক ভালো লাগা রইলো অপু।

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২০

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশের সব থেকে বড় দুইটা ঝর্ণার একটা হচ্ছে জাদিপাই অন্যটা হচ্ছে এই ধুপপানি । জাদিপাইয়ে এখন আর অনুমুতি দেওয়া হয় না । গেলে যেতে হয় লুকিয়ে । আমি গিয়েছিলাম ২০১৪ সালে । ১৬এর পরে বন্ধ সেটা । আর ধুপপানিতে এখন প্রচুর মানুষ যায় । কেবল যে ইয়াংরা যাচ্ছে না তাও কিন্তু না । আমাদের সাথে মাঝ বয়সী এবং কী খানিকটা বৃদ্ধ বয়সের লোকও ছিল ।

এই ছবি গুলোর থেকেও বাস্তবে এই সৌন্দর্য আরও অনেক অনেক বেশি । একবার প্লান করে বের হয়ে যান । কষ্ট একটু হবে তবে যখন ঝর্ণার সৌন্দর্য্য দেখবেন সব কিছু ভুলে যাবেন !

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




রাঙামাটি খুবই সুন্দর ।
তানভীর সাথে একমত, ছবির ভালোলাগা আর সামনে থেকে ফিল করা অনেক ডিফারেন্ট ।
মনে পড়ে শুভলঙের জার্নিটা অসাধারণ ছিলো ।
দুপাশের পাহাড় আর সবুজ পানি অদ্ভুত ভালোলাগা ।

উপজাতীয়রা কি রান্না করেছিলো, কি খায় ওরা ?
জায়গাগুলো চমৎকার, কটেজের ব্যালকনি ভিউটা ভালো লেগেছে ।



৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: দুপাশে পাহাড় নিয়ে মাঝের পথ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ভেতরে যে আনন্দ রয়েছে তা সত্যিই অসাধারন । তবে এবারের ট্যুরে এই ব্যাপারটা কম ছিল । তার চেয়ে এবার ট্রলার জার্নি হয়েছে বেশি ।

এই পাহাড়ের সৌন্দর্য্য কোন ভাবেই বর্ণনা করে কিংবা ছবি ভিভিও দেখিয়ে বোঝানো সম্ভব না । এটা কেবল নিজ চোখ দিয়ে দেখতে হবে । নয়তো হবে না ।

পাহাড়িরা নিজেদের ভেতরে যাই খাক না কেন যখন আমাদের জন্য রান্না করে তখন সেগুলো কমন খাবারই হয়ে থাকে । এই যেমন ভাত ডাল আলুভর্তা মুরগি । বাঁশ দিয়ে ওরা এক ধরনের তরকারী রান্না করে । সেটা বেশ চমৎকার !

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পেট খারাপ নিয়া ভ্রমনে বাইর হইলেন কোন সাহসে? পথে যদি ভালো-মন্দ কিছু হয়ে যেতো? :P

ফেসবুকের কয়েকটা ভালো ট্যুর গ্রুপের লিঙ্ক দিয়েন তো! কখন কি কামে লাগে ঠিক নাই। দেশটা বহুদিন কায়দামতোন দেখি না। সময় সুযোগ পাইলে কামে লাগামু। যাওয়া-আসার হাটা পথে জোক কেমন দেখলেন? এরা কামড়া-কামড়িতে সুবিধা করতে পারে?
আমি রাঙ্গামাটিতে বেশ কয়বার গেছি। তবে বান্দরবান যাওয়া হয় নাই কখনও।

একটা কথা ঠিক কইছেন। এইসব দৃশ্য সামনা-সামনি যতো সুন্দর, ছবিতে তার কিয়দংশও আসে না। কমদামী মোবাইলের ছবি চমৎকার হইছে। আমারটা পাইলে আরো সুন্দর ফটো খিচতে পারতেন। :-B

৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে আমার পেট খারাপ সেই পেট খারাপ না । আমার খাবার খাদ্য খুব হিসাব করে খেতে হয় । ট্যুরে গেলে এই খাবার দাবারের হিসাব থাকে না । তখন ঝামেলা হয় !

পাহাড়ি রাস্তায় বৃষ্টি হলে জোক তো থাকবেই । এইতো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । তবে এইবার জোকের দেখা পাই নি । আমাদের গ্রুপের একজনের পায়ে ধরে ছিল একটু । এই যা । বান্দরবানে আছে সেই জোক । যতবার বর্ষায় গেছি ততবার ধরেছে । যডিও জোকে আমার ভয় নেই খুব একটা । আমার বান্ধুপি আবার খুব জোকে ভয় ।

টুয়েলভ ম্যাক্স প্রো বান্ধুপির আছে । সেই ক্যামেরাতে তোলা হয়েছে বেশ কিছু ছবি । দাড়ান ওর কাছ থেকে নিয়ে নি কিছু ছবি । আরেকটা ছবি ব্লগ দেওয়া যাবে ।

অনেক গুলো গ্রুপ আছে । টিজিবি, ট্যুরবাজ, হিট দ্য ট্রেইল । তবে আমি যে গ্রুপের সাথে যাই সব সময় সেটার নাম ট্যুরন্ত ট্রাভেলার্স এই গ্রুপের সাথে আমার চেনাজানা খুবই ভাল । গেলে কইয়েন । আমার নাম কইলে আলাদা খাতির পাইবেন !

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বিয়ে করেন না, কোন মেয়েকে বান্ধবী বলছেন? আপনি কি সামাজিক অপধাধ করে চলেছেন?

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

ইসিয়াক বলেছেন: খাওয়া দাওয়ার ছবি দুটো একটা দিতেন আমরা নয়ন সার্থক করতাম :(


আপনাদের এই ভ্রমণে চলার পথে কোন বন্য প্রাণী বা সচারাচর দেখা পাওয়া দুষ্কর এমন কোন পাখির দেখা পেয়েছিলেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: খাওয়া দাওয়ার ছবি আসলে তেমন কিছুই দেওয়ার মত ছিল না । কারণ খাদ্য গুলো সব পরিচিত খাবারই ছিল । পাহাড়িরা রান্না করলেও রান্নার আইটেম গুলো সব সুপরিচিত । ভাত, আলু ভর্তা, মুরগি, ডাল এই সব ।

আমি যতবার পাহাড়ে গিয়েছি দুস্কর কোন পাখিই চোখে পড়ে নি । এমন কি গভীর পাহাড়ের ভেতরেও না । ডাক শোনা যায় কিন্তু দেখা যায় না ।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ আমার এক পরিচিত নার্স জব করে।

যাওয়ার জন্য প্রায় বলে, সময় করতে পারি না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: সময় আর সুযোগ হলে অবশ্যই যাবেন । দেখবেন যাওয়াটা বৃথা যাবে না ।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

সোহানী বলেছেন: দারুন একটা সফর দিলা এবার। কমদামী ক্যামেরায় যদি এমন দূর্দান্ত ছবি আসছে তাহলে দামী ল্যান্সওয়ালা ক্যামারাতো তোমারে শুধু সামু না ইর্ন্টান্যাশানাল পুরস্কার এনে দিবে............।

জীবনের ছোট্ট একটা সময় কাপ্তাই/রাঙ্গামাটি/কক্সবাজার ছিলাম। কিন্তু তখন এতই ছোট ছিলাম যে এত কিছু দেখার সুযোগ ছিল না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি সব সময় কম দামী মোবাইলই ব্যবহার করি । আমার এতো দামী মোবাইলের ফ্যাসিনেশন নাই । আসলে আমার দামী মোবাইল কেনার টেকাটুকা নাই ।


কিছুটা সময় যে থেকেছেন তাহলে বলতেই হবে সে খুব চমৎকার সময় কেটেছে । সময় সুযোগ হলে আবারও ঘুরে আসবেন । ভাল লাগবে বেশ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.