নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমিকার বাসায় প্রথম দাওয়াতের গল্প

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৪



অনলাইনে পরিচিত মানুষদের কাছে আমার সম্পর্কে একটা মিথ হচ্ছে, আমার বুঝি অনেক গুলো প্রেমিকা । এতো এতো প্রেমের গল্প লেখার জন্য এমনটা অনেকের মনে হয়েছে । অনেকে এখনও ভাবে নিশি নামের আমার প্রেমিকা ছিল । আগে গল্পে নিশি নামটা বেশি ব্যবহার করতাম । এই প্রেমিকা মিথটা আমি ইচ্ছে করেই খোলাসা করি নি । মানুষ ভাবতে পছন্দ করে আর বাঙালী তো এই সব বিষয় পেলে নিজের মত করে কত কিছু যুক্ত করে ভাবতে পছন্দ করে । ভাবুক, কল্পনা করে নিক নিজের মত । এতে যদি তারা আনন্দ পায়, পাক । যাই হোক নিজের প্রেম কাহিনী নিয়ে কয়েকটা পোস্ট লিখেছি । সেই ছোট্ট বেলার স্কুলে থাকা কালীন প্রেম কাহিনী । এমনই একটা পোস্টে একজন কমেন্ট করলেন যে ''আপনার এতো গুলো প্রেমিকা, কোন প্রেমিকার কথা বলছেন'' । এই কথা টুকু মনে হয় পরিস্কার করা দরকার । এই প্রেমিকা কথন সিরিজ নিয়ে যতগুলো পোস্ট লিখেছি তার সব গুলোই এখনও আমার একেবারে প্রথম জীবনের প্রথম প্রেমিকাকে নিয়ে লেখা । যখন স্কুলে পড়তাম তখনকার গল্প । যাই হোক আজকের গল্প শুরু করা যাক ।

গত পোস্টে লিখেছিলাম আমার প্রথম ডেটিংয়ে যাওয়ার গল্প । আজকের পোস্ট টা হচ্ছে প্রেমিকার বাসায় দাওয়াত খাওয়ার গল্প । তাও স্বয়ং প্রেমিকার মায়ের দেওয়া দাওয়াত । আমাদের সময়ে তো আর এখনকার মত এতো মোবাইল ফেসবুক হোয়াটসএপ ছিল না । আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি । আমরাা দুজনেই একে অন্যকে অনেক চিঠি লিখতাম । চিঠির সব থেকে বড় সমস্যাটা ছিল তার কাছে চিঠি পৌছানো এবং হাতে পৌছানোর পরে চিঠি লুকিয়ে রাখা । প্রিয় মানুষের প্রতিটা চিঠিই কী আপন আর প্রিয় একট বস্তু সেটা বোধকরি কাউকে আলাদা ভাবে বলে দিতে হবে না । তাই সেগুলো নিজের কাছে রাখা, সংরক্ষণ করার একটা স্পৃহা সবার মাঝেই থাকতো । এখনকার দিনে যারা প্রেম ভালবাসা করে তারা এই টুকু বুঝতে পারবে যে ইনবক্সের সব কিছু মুছে ফেললেও প্রিয় মানুষের কাছ থেকে আসা মেসেজ গুলো ডিলিট করা যায় না । ঘুরে ফিরে বারবার সেগুলো পড়তে ইচ্ছে করে । চিঠির ব্যাপারটা তেমন ছিল বরং তার আবেদন ছিল আরও বেশি ।

নিজেদের চিঠি আমরা লুকিয়ে রাখতাম । তবে একদিন না একদিন ধরা পড়তেই হত । সেই সময় চলেও এল । একদিন সে চিঠি দিয়ে জানালো যে তার চিঠি তার মায়ের হাতে পড়েছে । এখানে বলে রাখি যে তাদের বাসায় সে তার ছোট বোন আর মা থাকতো । তার বাবা থাকতো দেশের বাইরে । তাদের সাথে তাদের এক মামাও থাকতো । তার মা ই হচ্ছে সংসারের প্রধান । আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে কিছু বলেছে কিনা । সে জানালো যে কিছুই বলেনি । এমন একটা ভাব করে আছে যেন কিছুই হয় নি । আমার ভয় ছিল যে হয়তো গায়ে হাত তুলবে । জানেনই তো সেই সময়ে প্রেম ভালোবাসা ছিল অমার্জনীয় অপরাধের সামিল । তবে তেমন কিছুই হল না । সপ্তাহখানেক পরেই সে খবর পাঠালো যে আমাকে তার আম্মাজান দেখা করতে বলেছে । স্কুলের পরে আমি যেন তাদের বাসায় গিয়ে হাজির হই । স্কুলে গিয়ে সুযোগ মত তার জিজ্ঞেস করে নিলাম যে বাসার পরিস্থিতি কেমন । সে জানালো যে ভয় না পেতে । আমার ব্যাপারে সে সব কিছু বলেছে । আমি কোথায় থাকি কি কেমন ছাত্র আমার বাসায় কোথায় এই সব আর । এবং তার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছে সে অখুশি নন । আমাকে সে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে বলল তার মায়ের সাথে । ব্যস আর কিছু না । যতই বলুক ভয় না পেতে, সেই সময়ে বয়স আর কতই ছিল । প্রেমিকার বাসায় গিয়ে তার ফ্যামিলির সাথে কথা বলাটা খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল না ।

স্কুলের কাছেই তাদের বাসা ছিল । স্কুল ছুটির পরে আস্তে ধীরে গিয়ে হাজির হলাম তাদের বাসায় । গেট সেই খুলে দিল । আমাকে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসালো । তারপর আমাকে একা রেখে ভেতরে চলে গেল । আমি চুপচাপ কিছু সময় বসে রইলাম । তারপরেই প্রেমিকার মা এসে হাজির হলেন । খুব ভদ্র ভাবে উঠে দাড়ালাম । এবং সালাম দিলাম । ইচ্ছে ছিল উঠে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করি । তাতে হয়তো তার মন আরও একটু গলে যায় । তবে সেটা করলাম না । আমাকে বসতে বললেন তিনি । আমি আবার বসে পড়লাম । আমি খাটের উপরে বসেছিলাম । তিনি এসে বসলেন সোফার উপরে । আমার থেকে একটু দুরে ।

প্রথমে আমার খোজ খবর তিনি লাগলেন । কোথায় থাকি, আমরা কয় ভাইবোন এবং বাবা কী করে এই সব । আমার ক্লাস পরীক্ষার রেজাল্টের কথাও জানতে চাইলেন । এরপর আসলেন আসলো আসল কথা । তবে তিনি আমাদের বকলেন না কিংবা কোন তিরস্কারও করলেন না । জানালেন যে তার মেয়ের মন মানসিকতা ইদানীং একেবারে বদলে গেছে । একদম তার পড়ায় মন নেই । এমনটা হলে তিনি কিভাবে তার স্বামীর কাছে জবাব দিবেন, এই সব । তারপর বললেন যে আমরা যা করছি সেটা এখন আপাতত বন্ধ করে দিতে ভবিষ্যতে তিনি নিজে এই ব্যাপারটা দেখবেন । এখন যেন আমরা কেবল পড়াশুনা করি । আমি কেবল মাথা কাত করে সব কিছুতে সম্মতি দিয়ে গেলাম । আমার হাতের উপর তখন একটা মশা বসেছিলো । হুল ফুটিয়ে দিচ্ছিল । এই দৃশ্যটা আমার এখনও খুব ভাল করে মনে আছে । অন্য দিকে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন । আমি না পাড়ছি মশাটাকে মারতে না পারছি কিছু করতে । মশা বাবাজি আরাম করে রক্ত খেয়ে চলেছে । আরেকটা ব্যাপারও মনে আছে যে তিনি এতো নরম আর আস্তে আস্তে কথা বলছিলেন যে খাটের উপরে বসে আমি আমি তার কয়েকটা কথা ঠিক মত যেন শুনতেই পাই নি। মনে মনে খুব ইচ্ছে করছিলো যে বলি আন্টি একটু জোরে কথা বলেন প্লিজ আমি আপনার কথা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারছি না ।

এরপর শেষ কথা হিসাবে সে বলল যে আমাদের মাঝে যে চিঠি আদান প্রদান হয়েছে সেটা যেন আমি তাকে ফেরৎ দিয়ে যাই । এসব প্রমান যদি বাইরে প্রকাশ পায় তাহলে তার মেয়ের বদনাম হবে । আমার চিঠি গুলোও চাইলে আমি ফেরৎ নিয়ে যেতে পারি । ঠিক হল যে আমি যেন আবারও আসি তাদের বাসায় চিঠি গুলো নিয়ে । এরপর সে আমাকে বসতে বলে উঠে চলে গেল ।

একটু পরে দেখি প্রেমিকা ট্রে হাতে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো । সেখানে কয়েকটা বিস্কিট চানাচুর আর এক ধরনের পিঠা ছিল । পিঠা মুখে দিয়ে দেখি মিষ্টি কম হয়েছে । কম মিষ্টির কোন কিছু আমার ঠিক পছন্দ না । তবুও প্রেমিকার বাড়ির জিনিস বসে কথা । সে আমার সামনেই বসে রইলো । টুকটাক কথা বলছিল । তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি অনুভব করলাম যে সে বেশ আনন্দিত । তার চোখে মুখে কোন ভয়ের ছাপ ছিল না ।

পরদিন প্রাইভেট টিউশনীতে গিয়ে সে সবার আগে আমাকে পাকড়াও করলো এবং কি কি তার মা জানতে চেয়েছে সেটা খুটিয়ে খুটিয়ে জানতে জানতে চাইলো । আমি বললাম সব । আমাকে বলল যে আমি যেন তার দেওয়া কিছু চিঠি নিয়ে আসি । তবে কয়েকটা চিঠির কথা স্পেসিফিক ভাবে ভাবে জানিয়ে দিল যে ঐ গুলো যেন কোন ভাবেই না দেই । আমি এমনিতেও দিতাম না সেগুলো । সবার শেষে আমি বললাম যে কালকে যে পিঠা খেতে দিয়েছিলে সেটাতে মিষ্টি হয় নি একদম । সে কেবল হাসলো এই কথা শুনে ।

এর দুদিন পরে শুক্রবার ছিল । আমি কিছু চিঠি পত্র নিয়ে আবারও হাজির হলাম প্রেমিকার বসায় । আজকেও প্রেমিকাই দরজা খুলে দিল । ঘরে বসার কিছু সময় পরেই প্রেমিকার মা এলেন । অল্প কয়েকটা কথা বললেন । তারপর আমার কাছ থেকে চিঠি গুলো নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন । এরপর সে এল আবারও হাতে ট্রে নিয়ে । এবার ট্রের উপরে জিনিস পত্র গুলো দেখে বেশ খুশিই হলাম । সেখানে সেদিন চার রকমের মিষ্টি ছিল । আরও নানান খাবার । আমার দিকে তাকিয়ে বলল, সব খেয়ে তারপর যাবা ।

চিঠি গুলো হাত ছাড়া হওয়ার কারণে একটু মন খারাপ লাগছিলো বটে তবে আনন্দও লাগছিলো । আমার বাসাতে আগে থেকেই জানতো । এখন তার বাসায় জেনে গেল । এবং পরিস্থিতি পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছিলো যে সামনে আর খুব একটা সমস্যা হবে না । এরপর প্রেমিকার সাহস বেশ বেড়ে গিয়েছিলো । আগের মত আর এতো লুকোছাপা ছিল না আমাদের মাঝে । সেটা অন্য কোন দিন বলবো । আজ এই পর্যন্তই ....

এই সিরিজের আরও কিছু ঘটনা পড়তে চাইলে ..
আমার প্রথম ডেটিং এর গল্প
কোন মেয়ের কাছ থেকে প্রথম প্রেমপত্র পাওয়ার গল্প
জন্মদিনের স্মৃতিঃ প্রেমিকার দেওয়া প্রথম উপহার
স্পেশাল পহেলা বৈশাখ, আমার প্রথম প্রেম যেভাবে শুরু হয়েছিলো
ভ্যালেন্টাইনসঃ আমার দুঃখ ভর্তি প্রেমের সত্যি গল্প


Photo by photo nic on Unsplash

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেম আর যুদ্ধে সব কিছু করা জায়েজ। জয়ী হওয়াটাই বড় কথা। আপনি বলতেন যে আনটি আপনার মেয়ে তো তার হৃদয়টাও আমার কাছে রেখে গেছে, ওটাও কি ফেরত দিতে হবে!!! :)

আপনার প্রেমিকার মায়ের উপরের খুপরি খালি ছিল। উনি ওনার অজান্তেই আপনাদের প্রেমকে বৈধতা এবং প্রেম করাকে সহজ করে দিয়েছিলেন। চিঠির যুগে না হয় চিঠি ফেরত নিয়েছিলেন। এই ফেইসবুক, মেসসেঞ্জারের যুগে উনি কি ফেরত চাইতেন এটা আমার জানতে ইচ্ছে করে। আপনি প্রেমিকার মাকে প্রস্তাব দিতে পারতেন যে আনটি আমি আগেরগুলি দিয়ে গেলাম আর সারা মাসে যা চিঠি আপনার মেয়ের কাছ থেকে সামনের দিনগুলিতে পাবো মাস শেষে আপনাকে আবার কড়ায় গণ্ডায় হিসাব করে ফেরত দিয়ে যাবো। আপনার কোন টেনশন করতে হবে না।

দেবার সময় ফটোকপি রাখসেন তো!!!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: চিঠির পরিমান ছিল অনেক । অনেক বলতে অনেক । এতো গুলো চিঠির ফটোকপি করার মত টাকা তখন আমার কাছে ছিল না । এর আগে যে চিঠিটার ফটোকপি করে রেখেছিলাম সেটার কারণ ছিল ভিন্ন । এই খানে সেই কারণ ছিল না ।

এই যুগে হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না । এখনকার বাবা মায়েরা অনেকটাই ফ্লেক্সিবল । একটু পড়ালেখা জানা বাবা মা হলেই তারা এটাকে এলাউ করে কিংবা ইন্টারফিয়ার করে না । পড়াশুনাটা ঠিক রাখলেই হয় !

এখনকার যুগে এমন হলে সে যে কি ফেরৎ দিতে বলতো কে জানে ?

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২

নীল-দর্পণ বলেছেন: বাহ অন্যরকম দাওয়াত আর অন্যরকম আপ্যায়ন! প্রেমিকার বড় ভাই থাকলে বুঝা যেতো আপ্যায়নটা কেমন হতো। ;)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ ! সেই ভয় আসলে খুব একটা ছিল না । কারণ আমরা স্থানীয় ছিলাম আর তারা ভাড়াটিয়া । তাই মারধোর খাওয়ার সম্ভবনা ছিল কম !

আমি আসলেই আপ্যায়নটা এমন হবে আশা করি নি । বিশেষ করে পরের দিনের টা !

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

সোহান সিদ্দিকী বলেছেন: বর্তমানের বাস্তবতা কি?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: এটা সেই স্কুল জীবনের কথা । সেটা শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই সময়েই । নিচের লিংক গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন যে কেমন ছিল সেই সময়টা !

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার কোন গল্পই প্রেমের গল্প হয়নি, প্রেম নিয়ে আপনার মানবিক কোন ধারণাই নেই; প্রেম সম্পর্কে আপনার কোন অনুভবতা আপনার কোন পোষ্টে আমি দেখিনি।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

সোহান সিদ্দিকী বলেছেন: সব গল্পই পড়েছি... আমার মন্তব্যও আছে তবে ছদ্দনাম দিয়ে। ৫ বছর পর এই আইডিতে ফিরলাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: সব গল্প পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো ।
নিক একটা ব্যবহার করলেই হল !
ভাল থাকুন সব সময় !

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার তো ভদ্র মহিলাকে বেশ বুদ্ধিমতী মনে হলো। আপনার ভাবগতিক নিশ্চয়ই সুবিধার ছিল না। হয়তো উনার সন্দেহ হয়েছিল, মেয়ে আবার পালিয়ে গিয়ে বিয়ে না করে বসে, সেইজন্য মেনে নেয়ার ভান করে ব্যাপারটাকে ট্যাকল দিয়েছিলেন। আবার কায়দা করে চিঠিগুলোও ফেরত নিয়েছেন।

বেড়া লাগানোর জন্য কামলা খুজতে লোক পাঠাইছেন নাকি? :P

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনের ধারণা আসলে ভুল । আমি অতি ভালা পুলা ছিলাম । বিয়ের কথা যে বললেন এটা আমি করি নি কিংবা করার সম্ভবনাও ছিল না কিন্তু আমার প্রেমিকা নিজ থেকে খুব ট্রিকস খাটিয়েছিল বিয়ের ব্যাপারে । এই ব্যাপার নিয়ে আরেকটা পোস্ট আসবে পরে । সেই সময় জানতে পারবেন আশা করি । তবে হ্যা চিঠিগুলো সে বুদ্ধি করেই নিয়েছিল । সেই সময়ে চিঠি মানে হচ্ছে একটা ডকুউমেন্ট । প্রমান তিনি রাখতে চান নি । মেয়ের বদনাম হওয়ার ভয়ে ।

বেড়া লাগাবো খুব জলদি । আজ কালের ভেতরেই ....

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনের ধারণা আসলে ভুল । আমি অতি ভালা পুলা ছিলাম । B-) :P =p~

বেড়া লাগাইতে দেরী হইলে গাছপালাতে মুখ লাগায়া আর ল্যাদায়া সর্বনাশ কইরা দিবো। :-B

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: ঘটনা কিন্তু মিথ্যা না । আমার স্কুল এবং এলাকাতে আমি আসলেই ভালা পুলা হিসাবেই পরিচিত :D

বেড়া লাগাইলেই কি বদল ঠিক হবে ? বেড়া লাগাইলে দেখবেন এর ওর বাগানে গিয়ে আমার বাগানের গাছের বদনাম করে বেড়াবে । এখনই দেখেন সেই কাজ করে যাচ্ছে !

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

জুন বলেছেন: স্কুলে থাকতেই যদি এই অবস্থা তাহলে পরবর্তী জমানায় কি হতে পারে ভেবে আমি চিন্তিত B-) বাসার সামনে লাইন পড়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই =p~
+

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: আরে না না । পরবর্তি জামানাতে আমি আসলে একদমই লাজুক স্বভাবের ছিলাম । মেয়েদের ব্যাপারে আমি সব সময়ই লাজুক । ইভেন এখনও তাই । পরবর্তিতে আর এমন কিছু হয় নি আর কি ! লাইন টাইন হয় নাই :D

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম কি না কি খাইলেন :) তবে মাইর খাবেননা যে সেটা নিশ্চিত ছিলাম

নিশ্চিতভাবে বুদ্ধিমতি মা! প্রেমে লুকোচুরি বা গোপন করার মত ব্যাপার না থাকলে প্রেমটা পানসে হয়ে যায় নাকি ভ্রাতা?
আমার ধারনা তার মায়ের জীবনেও এমন কিছু ঘটেছিল।
কদ্দিন টিকে ছিল আপনাদের সেই স্কুল প্রেম??

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: না, মাইর খাওয়ার সম্ভবনা তখনও ছিল না । তবে মনের ভেতরে একটা চাপা নার্ভাসনেস তো ছিলই । বুঝেন তখন আমি মাত্র ক্লাস টেনে পড়ি । প্রেমিকার মায়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি ! অবশ্য এখন হলেও খানিকটা নার্ভাসই থাকতাম ।

নাহ, আমাদের প্রেম অবশ্য পানসে হয়ে যায় নি । আরও যে কত রকম প্যারা ছিল সেখানে । তার চেহারা মাশাল্লাহ চমৎকার ছিল । এলাকার আরও অনেকেই তাকে পছন্দ করতো । তাদের ভেতরে একজন আবার ছিল খানিকটা গু্ডা গোছের। এমন এক পর্যায় এসেছিলো যে আমার বন্ধুরা আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলো যাতে আমি একা একা স্কুল এলাকাতে নাসি । সব সময় কাউকে যেন সাথে রাখি । তাহলে বুঝেন অবস্থা !

তার মায়ের জীবনে কিছু ঘটেছিলো কিনা জানি না । আমাদের সম্পর্ক টিকেছিলো প্রায় দশ মাসের মত । পহেলা বৈশাখে শুরু পরের ভ্যালেন্টাইন আসার আগেই শেষ ।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৫

জিকোব্লগ বলেছেন:



এই পোস্টে একজন ইডিয়ট ব্লগের নেশায়
উহার নিজের বউ বাচ্চার-ই খবর নিতে পারে না ,
আবার অন্যকে এসেছে প্রেম বিয়ে বোঝাতে।

ইডিয়টের ধারণা উহা ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ জ্ঞানী নাই।
উহার নিজের প্রতি নিজের ধারণায় বলে, উহা একটা ইডিয়ট।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: এইখানেই মানুষ আর বলদের পার্থক্য । বলদ কি মানুষের মত আচরন করবে নাকি করতে পারে ! তাতে নিয়ে আর এতো ভেবে লাভ নেই । আমি ভেবেছিলাম আসলে মন্তব্যের জবাব না দিলে, যাদের ভেতরে নূন্যতম আত্মসম্মানবোধ আছে তারা আর ঘুরে এসে মন্তব্য করে না । কিন্তু আমার ধারণায় ভুল ছিল ।

যাই হোক পোস্টে বেড়া দিয়েছি । এরপর থেকে পোস্ট আর দুর্গন্ধ করতে পারবে না সে !

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৮

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: ইমেইল মেসেঞ্জারের যুগে চিঠি দিয়ে প্রেম সে আর আজকাল ছেলেমেয়রা কি বুঝবে?

তবে আমরা ছিলাম সেই জাঁতি যখন চিঠি এবং ইমেইল মেসেঞ্জারের মিলনমেলা চলছিলো।

আমারও মনে পড়ে গেলো চিঠি। মেসেঞ্জার বা চ্যাটরুমের মহা মিলনমেলায় এক কাহিনী।

লিখে ফেলবো কাল পরশু।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: চিঠির যুগের সাথে আসলে কোন কিছুর তূলনা হয় না । আমার চিঠির যুগের অভিজ্ঞতা আছে, তেমনি মেসেঞ্জার হোয়াটসএপের অভিজ্ঞতাও আছে । চিঠির যুগের মত চমৎকার একটা সময় আর কিছুতেই হয় না ।

আপনার অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন । কয়েকদিন ধরে আপনার লেখা গুলো পড়ছি । চমৎকার লাগছে ।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



আপনার বেড়া দেওয়াতে ইডিয়ট কাঁন্নাকাটি শুরু করছে।
ইডিয়টের কথা, সে অন্যের পোস্ট দুর্গন্ধ করতে পারবে,
কিন্তু তার পোস্ট কেউ দুর্গন্ধ করতে পারবে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: কান্নাকাটি যে করবে সেটা আগে থেকেই জানতাম । এই সব প্রেডিক্টেবল ।
তার পোস্টে দুর্গন্ধ ছড়ানোর দরকার আছে কি? সেখান থেকে সব সময় তাই কি বের হয় না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.