নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিজিক একটা বড় ব্যাপার ...

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৪



আমার বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রতিদিনই বেশ রাত হয় । কলাবাগান মিরপুররোড দিয়ে সোজা এসে ২৭ নম্বরের আগে একটা গলি রাস্তায় ঢুকে পড়ি । এই রাস্তায় একটা ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান আছে । আমি যখন এই রাস্তার সামনে দিয়ে যাই তখন এই দোকানটা বন্ধ হব হব করে প্রতিদিনই । দেখা হয় হয়তো এক কিংবা দুই পিচ বার্গার সামনের তাকে পড়ে রয়েছে । কয়েকদিন আগের ঘটনা । বাসায় ফিরছি । আমার চোখ গেল দোকানে দিকে । দেখলাম সেখানে একটা বার্গার রয়েছে । তবে ততক্ষণে আমি দোকানটা পার হয়ে গেছি । মনের ভেতরে হঠাৎ মনে হল যে বার্গারটা খাই । কিন্তু কেন জানি সাইকেল ঘুরিয়ে আর সেখানে যেতে ইচ্ছে করলো না । আমি বাসায় চলে এলাম । মনে মনে ঠিক করলাম যে যে কোন ভাবেই হোক, কাল আমি বার্গার খাবো । আগে থেকেই মনস্থির করা । তাই সোজা দোকানের সামনে সাইকেল থামাবো । বার্গার কিনবো তারপর খাবো ।
পরদিন দোকানের সামনে দাড়িয়ে দেখি সেখানে কোন বার্গার নেই । সব শেষ ।
ঠিক করলাম যে পরের দিন অবশ্যই খাবো । কিন্তু পরের দিন গিয়ে দেখি পুরো দোকানটাই বন্ধ গেছে । আমার মনের ভেতরে তখন এমন একটা ভাব যে যে কোন ভাবে আমাকে বার্গার খেতে হবেই । মনে মনে ঠিক করেই নিলাম কাল আগে আগে বের হব। এখানে আসবো তারপর খাবো ।

পরেরদিন আমার প্রাক্তন স্টুডেন্ট ফোন দিয়ে বলল তাদের বাসা থেকে । সে ছুটিতে খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছে । আমিও ভাবলাম যে অনেকদিন দেখা হয় না। যাই ঘুরে আসি । ওদের বাসায় গেলাম । কিছু সময় গল্প হল এবং তারইকিছু সময় এসে হাজির হলা বার্গার ! বলল, স্যার আমার পক্ষ থেকে আজকে আপনাকে বার্গার ট্রিট । আমি গত তিন ধরে বার্গার খাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু খেতে পারছি না ।আর আজকে বার্গার এসে হাজির হল ।

ঐদিন যখন একই রাস্তা দিয়ে যাই, সেদিক ঠিকই দোকান খোলা ছিল, ছিল বার্গারও কিন্তু বার্গার আর আমার খেতে ইচ্ছে করে নি ।

ঠিক এমন ঘটনা আমার সাথে আরও অনেক ঘটেছে । বিশ্ব বিদ্যালয় জীবনে একদিন দুপুরে নিচে নামছি, নিচের ফ্লোরের বাসায় সেদিন রান্না করেছে পোলাও । সেই সুবাস এসে লাগলো নাকে । বাসার পৌলাও আর দোকানের পোলাওয়ের ভেতরে একটা পার্থক্য রয়েছে । সুগন্ধে আলাদা একটা পার্থক্য আছে । ব্যাপার টা এমন যে আমি চাইলেই বিরিয়ানীর দোকান থেকে মোরগ পোলাও খেতে পারি । নিয়মিতই খাই আমি কিন্তু বাসার রান্না করা পোলাও তখন পাওয়ার কোন উপায় ছিল না । যদিও পোলাও রান্না করতে পারি আমি তবে কেন জানি ঝামেলা নিতে ইচ্ছে হল না । ঠিক করলাম যে রাতে টিউশনি থেকে ফেরার পথে নুর বিরিয়ানী থেকে খাওয়া যাবে মোরগ পোলাও । স্টুডেন্টকে পড়িয়ে বের হব তখন আন্টি বলল, তানভীর আজকে পোলাও রান্না করেছি, খেয়ে যাও । আমি খানিকটা অবাক না হয়ে পারলাম না ।

এই রকম ঘটনা অনেকবারই ঘটেছে । আরেকটা মজার ঘটনা বলি । তখন আমি নিজের শহরে থাকি । সবে মাত্র প্রেম শুরু হয়েছে । প্রেম শুরু হলেই প্রেমিকারা নানান ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে । এমনই একটা নিষেধাজ্ঞা জারি হল আমার উপরেও । বাইরের চটপটি খাওয়া যাবে না । আমি বললাম ঠিক আছে খাবো না, তাহলে তুমি রান্না করে খাওয়াও। সে তখন বলে কিভাবে দিবো, কোন উপায় নেই । কিন্তু আমার মনে তখন তার হাতের চটপটি খাওয়ার জন্য মন উতলা হয়েছে । যে কোন ভাবে চটপটি খেতে হবেই । কয়েক দিনের চেষ্টাতেও কিছু হল না । তার বাসায় বেশ কড়াকড়ি । তাদের চোখ এড়িয়ে আমাকে আসলে চটপটি পৌছানোর কোন উপায় নেই । কিন্তু সেই চটপটি একদিন ঠিকঠিক আমার বাসায় হাজির হল । তার চাচাতো বোন লতায় পাতায় কিভাবে জানি আমার ছোট খালার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় হয় । ছোট খালার শ্বশুর বাড়ি আমাদের গ্রামে । একদিন সন্ধ্যা বলে ছোট খালা দেখি হটপটে করে চটপটি নিয়ে হাজির আমাদের বাসায় । সে জানালো তার ওমুক আত্মীয় নাকি এই চটপটি বানিয়ে তাদের বাসায় দিয়ে গেছে । এবং পরে আরও জানাগেল যে এই চটপটি যে বানিয়েছে সে হচ্ছে ওমুকের ওমুক হয় । আমি চোখ বড় বড় করে শুনছি । কারছ ঐ ওমুকের ওমুকটা হচ্ছে আমার তৎকালীন প্রেমিকা । কিভাবে কিভাবে এই চটপটি এসে হাজির হল আমাদের বাসায় । পরে যখন তাকে ঘটনা বলি তখন সে নিজেও বেশ অবাক হয়েছিলো । কারণ তার নিজেও কোন ধারণা ছিল না যে এই চটপটি এতো হাত ঘুরে আমার কাছে পৌছাবে !

রিজিক ব্যাপারটা আমি সব সময় খুব বিশ্বাস করি । যার কপালে যে জিনিস লেখা থাকবে সেটা তার কাছে পৌছাবেই । আমার কাছেই এমন অনেকবার এমন এমন জায়গা থেকে খাওয়া পৌছিয়েছে যা আমার কোন ভাবেই খাওয়ার কথা ছিল না ঠিক একই ভাবে যার কপালে যা নেই সে শত চেষ্টা করেও সেটা খেতে পারবে না ।

যাইহোক গতকাল মহাখালির দিকে যাচ্ছি । মহাখালি ডিওএএইচের কাছে আসতে, ফ্লাই ওভারের মুখ থেকে নাকে এমন চমৎকার একটা বিরিয়ানীর গন্ধ লাগলো যে বলা বোঝাতে পারবো না । রাওয়া ব্যাকারী পর্যন্ত এই গন্ধে যেন পুরো এলাকাটাকে সুরভিত করে রেখেছে । আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে তাকিয়ে উৎস খুজতে লাগলাম কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না । আশে পাশে কোন বিরিয়ানীর দোকান নেই । আর এই গন্ধ ঠিক বিরিয়ানীর দোকান থেকে আসা না । মনে হল যে বিয়ে বাড়ি কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠানের জন্য এই বিরিয়ানী রান্না হচ্ছে । রাতের খাবার নুর বিরিয়ানী থেকে খেলাম তবুও মন থেকে সেই সুগন্ধ গেল না । এখন দেখা যাক ঐ বিরিয়ানী আমার কপালে লেখা থাকে কিনা !

pic source

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: মহাখালীর যেখানে বিরিয়ানির সুবাসে চারিদিক মোহাচ্ছন্ন করে রাখে(আব্বাস গার্ডেন থেকে শুরু করে রাওয়া ক্লাবের প্রথম গেইট পর্যন্ত) সেই এলাকার পাশেই আমার অফিস... উঁচু বাউন্ডারির ভেতর রাওয়া ক্লাবের এবং রাওয়া কনভেনশন সেন্টারের কিচেন....

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: রান্না তাহে রাওয়া কনভেবশন সেন্টারের কিচেনে হয়ে থাকবে । যেহেতু শনিবার ছিল যে কোন অনুষ্ঠান হয়ে থাকতে পারে ! বিরিয়ানির সুন্ধ সত্যিই চমৎকার ছিল ।

আপনার অফি ঐখানে জেনে ভাল লাগলো। আমি প্রতিদিনই যাই ডিওএএইচে !

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: অন্তত রিজিকের ব্যাপারে আমি সব সময় এই বক্তব্যটাই বিশ্বাস করতে চাই ।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
মনে প্রাণে বিশ্বাস করি রিজিকের মালিক আল্লাহ এবং এটাই চিরন্তন সত্য কথা ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: সকল বিশ্বাসীরাই এটা বিশ্বাস করে সব সময় !

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
-রিজিককে শুধু খাবারের মধ্যে আটকে ফেলাটা ঠিক হচ্ছে না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই রিজিক শুধু খাদ্যের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয় । তবে এখানে কেবল আমার ব্যক্তিগত কয়েকটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছি মাত্র যা খাদ্য সম্পর্কৃত ।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাগুলো পড়ে ভালো লাগলো ।

রিজিক ব্যাপারটার আওতা অনেক বড় দস্যু ভাইয়ের সাথে আমি একমত।

আবার এখানে রিজিক ব্যাপারটাকে একদম ভাগ্যের ফল বলে মনে করাটাও ঠিক না । তবে তো রিজিক অনুসন্ধান করতে হত না । আমার কপালে যে রিজিক আছে আমার কাছে আসত , আমাকে এত পরিশ্রম করতে হত না । রিজিক ব্যাপারটাকে আমরা যেভাবে ছোট্ট গণ্ডিতে দেখছি হয়তো এর পরিধি এত ব্যাপক যে আমাদের এই রিজিককে নিয়ে বিস্তর পরিধি নিয়ে চিন্তা করতে হবে !!

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: রিজিক কেবল খাদ্যের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয় এটা আমি জানি । এখানে আমি সে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছি তা কেবল খাদ্য সম্পর্কৃত এবং এটা পুরোটাই ভাগ্যের সাথেই জড়িত ।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সাধারণত সকাল দশটা থেকে দুইটা পর্যন্ত অফিসে থাকি....ফোন দিয়ে চলে এসো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: আরে আমি যাই প্রতিদিন বিকেল বেলা । সকাল কিংবা দুপুরের দিকে গেলে নক দিয়ে যাওয়া যাবে একদিন ।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে। আমিও বিশ্বাস করি যে রিজিক নির্ধারিত তা ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিবর্তন করা যায় না

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আমার মনে অনেক রকম চিন্তা ভাবনা আসে তবে রিজিকের ব্যাপারে আমার সব সময়ই মনে হয় যে এটা ভাগ্যের একটা ব্যাপার ।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

কামাল৮০ বলেছেন: রিকিকের মালিক আল্লাহ।তাই গরিবরা না খেয়ে থাকে।ধনীরা খেতে না পেরে খাবার ফেলে দেয়।
আপনার জীবনের হাজার হাজার ঘটনার মধ্যে যেটা ব্যতিক্রম সেটাই মনে রেখেছেন এবং অন্য ঘটনার সাথে সংমিশ্রণ করে একটা অর্থ দাঁড় করিয়েছেন।সবাই এমনটা করে।
সবটা পড়ি নাই।যতটুকু পড়েছি ততটুকুর মন্তব্য করেছি।আবার বলবেন যে না পড়েই মন্তব্য করেছি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: আগেই বলেছি সব পোস্ট না পড়ে মন্তব্য কারী কেমন হয় । তাই এটা নিয়ে আপনার সাথে আর কথা না বলি !

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৮

কামাল৮০ বলেছেন: লেখলাম রিজিক হয়ে গেলো রিকিক।হয়তো আল্লাহ আমার জন্য কোন রিজিক রাখে নাই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: সবার কপালে সব থাকে না ।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পুরো লিখাটা পড়া হয় নি তবে টাইটেল দেখে দ্বিমত পোষণ করার ধৃষ্টতা দেখানোর ইচ্ছে হলো না। এক জীবনে বহুবার ঐ শিরোনামের সত্যতা খুঁজে পেয়েছি। মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সকলকে ভালো রাখুন এটাই চাওয়া। ধন্যবাদ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০

অপু তানভীর বলেছেন: এই সম্পর্কৃত কয়েকটা অভিজ্ঞতা আমার লেখা । এই ব্যাপারে আমার আরও অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে ।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

নতুন বলেছেন: দরিদ্র মানুষের রিজিক কম থাকে কেন?

উন্নত বিশ্বের দেশের মানুষের রিজিক সব সময় কম কেন? যেখানে মুসলমানেরা দোয়া দুরুদ পড়ে কিন্তু বিধর্মীরা কিছুই করে না?

অনিশ্চয়তা এই সব ধারনাকে জিইয়ে রেখেছে। আমরা জানিনা ভবিষ্যতে কি হবে তাই এমন সব ধারনায় মানুষ বিশ্বাস করে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: ধনী গরীবের ব্যাপারটা কেন বললেন বুজলাম না । দেখেন, আমার পকেটে টাকা ছিল বার্গার খাওয়ার । কিন্তু টাকা থাকা স্বত্ত্বেও আমি দুইদিন ঐ দোকান থেকে বার্গার কিনে খেতে পারি নি । এখানে ধনী গরীবের ব্যাপারটা আসছে কই থেকে? আমার সাথে এমন ঘটনা অনেক অনেক বার হয়েছে আমি একটা জিনিস খেতে চেয়েছি পরিশ্রমও করেছি সেটার জন্য কিন্তু সেটা খেতে পারি নি । দেখবেন অনেক বড়লোক আছে নিজেদের পছন্দের খাবার খেতে পারে না ।

চটপটির ব্যাপারটাই যদি ধরি হাজার খরচ করেও তখন এই চটপটি ব্যবস্থা করার উপায় ছিল না ! কোন ভাবেই তবুও এসে হাজির হয়েছে !

দোয়া পড়লে রিজিক বাড়ে কিংবা দোয়া না পড়লে না খেয়ে মরবে এমন মতবাদে অবশ্য আমি বিশ্বাসী নই ।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

নতুন বলেছেন: আপনি অন্য বাড়ীর অনেক খাবার খেয়েছেন যেটা অনেক দুরের কেউ বানিয়েছে।

সেটা আপনার মনে নেই কারন সেটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

আমরা আমাদের দৈনন্দিন অনেক কিছুই ঘটে সেটার উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রন কম সেটাই আমরা অদৃস্টের লখন বলে মেনে নেই।

ধনী গরীবের কথা আনলাম কারন আমাদের দেশের দরিদ্ররা প্রতিবছর দরিদ্রই থাকে, উন্নত দেশের মানুষের রিজিকে বরাদ্দ বেশি থাকে। সৃস্টিকতা এমনটা কেন করবেন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

অপু তানভীর বলেছেন: স্বাভাবিক ভাবে এটাই চিন্তা করুন । আমরা নিজেরা বাজারে যাই রান্না করি খাই । নিজেদের পরিশ্রম করে নিজেরা খাই । সব সময় কেবল এটাই হওয়ার কথা ছিল । যার জন্য আমরা পরিশ্রম করবো তা পাবোই, যার জন্য পরিশ্রম করবো তা পাবো না । কিন্তু সব সময় কি এমনটাই হয়?
হয় না ।
এটাকে কেউ বলছে কপালের লিখন কেউ বলছে ভাগ্য আবার কেউ কিছুই বলছে না । তবে কিছু কিন্তু ঠিকই রয়েছে । এই যে আপনিই বললেন ঘটনার উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রনে কম থাকে । কেন এমন হবে? লজিক্যালি তো আপনি যেমন কাজ করবেন তেমনই ফল পাওয়ার কথা । কিন্তু সব সময়ই কি এমন হয় ? হয় না ! এই ফল পাওয়ার ভেতরে অন্য একটা ফ্যাক্টর কাজ করে । এটাকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন নামে ডাকছে !

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

নতুন বলেছেন: এই যে আপনিই বললেন ঘটনার উপরে আমাদের নিয়ন্ত্রনে কম থাকে । কেন এমন হবে? লজিক্যালি তো আপনি যেমন কাজ করবেন তেমনই ফল পাওয়ার কথা । কিন্তু সব সময়ই কি এমন হয় ? হয় না ! এই ফল পাওয়ার ভেতরে অন্য একটা ফ্যাক্টর কাজ করে । এটাকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন নামে ডাকছে !

আমাদের চারিপাশের অনেক জিনিস আমাদের জীবনের উপরে প্রভাব ফেলে, যেমন আপনি ইন্টারভিউতে যাচ্ছেন, প্রস্তুতি ৯৯% কিন্তু পথে কলার খোশায় পা পছলে ইন্টারউভতে যেতে পারলেন না। ( ঐ কলা দুরের বাগানে কয়েক মাস আগে কেউ গাছটি বপন করেছিলো, কয়েক দিন আগে বাজারে বিক্রি হয়েছিলে, সকালেই দোকান থেকে একজন কিনে পথে খেতে খেতে খোশাটা ফেলে দিয়েছিলো.... এমন অনেক ঘটনার পরেই এটা ঐখানে এসেছিলো.... ) তাই অনেক সময় অন্য আরেকজনের অঙ্জতার ফলে আমাদের ইফোড ফেল হয়।

তাই আমরা সব সময় চেস্টা করেও আসানুরুপ ফল পাইনা।

আবার পেনিসিলিন আবিস্কারের ঘটনাও এমনই একটা ঘটনা যেটা বিশ্বের মানুষের জন্য কতই না বড় একটা উপকারী জিনিস।

এই রকমের ঘটনা যখন ঘটে তখন মানুষ কপালের লিখনের উপরে দোষ চাপিয়ে শান্তনা খুজে পায়, সেটা থেকেই এই ট্রেডিসনের উত্তপত্তি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০১

অপু তানভীর বলেছেন: ঐ যে বললাম এই ফ্যাক্টর যা আমাদের কাজ কর্মকে প্রভাবিত করে যার উপরে আমার নিয়ন্ত্রন থাকে না সেটাকে নানান মানুষ নানান নামে ডাকে । আপনি এক নামে ডাকছেন আমি ডাকছি আরেক নামে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.