নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিরি রেইসের ম্যাপ কি এলিয়েন বা প্রাচীন কোন উন্নত সভ্যতার ইঙ্গিত দেয়?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৩



ব্লগার শেরজা তপনের সম্প্রতিক অনুবাদ পোস্ট গুলো পড়ে থাকলে জানতে পারবেন যে বইয়ের লেখক দাবী করছেন যে মানুষের পূর্বপুরুষ আসলে এই গ্রহের না বরং অন্য কোন গ্রহ থেকে এসেছিলো । এলিস সিলভারের মত চিন্তা করার মানুষ কেবল বর্তমান সময়েই না অনেক আগেও ছিল । এই রকম একজন সুইচ লেখক এরিক ফন দানিকেন । তিনিও কাছাকাছি রকমের দাবি করেছেন । সিলভার ভেতরে গোটা মানব জাতিকেই ধরেছেন অন্য গ্রহের, দানিকেনের দাবী হচ্ছে মানব জাতি নয়, মানব জাতি যাদের উপাসনা করে তারা আসলে এসেছিলো অন্য গ্রহ থেকে । এই নিয়ে লেখক দানিকেন একটি বই লেখেন । বইটির নাম Erinnerungen an die Zukunft: Ungelöste Rätsel der Vergangenheit। ইংরেজি নাম Chariots of the Gods? Unsolved Mysteries of the Past. বইটা ১৯৬৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় জার্মানিতে এবং পরবর্তিতে মোট ৩৭ টি ভাষায় অনুদিত হয় !
এই বইয়ে এলিয়েন কিংবা ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমাণ নয় বরং লেখক কেবল কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন । যেমন শুরুতেই বলেছেন আমাদের পৃথিবীর আবহাওয়া প্রাণের অস্তিত্ব থাকার জন্য অনুকুল । সূর্যয়ের মত এই রকম নক্ষত্রের কত যে আছে তার কোন হিসাব নেই । তাহলে সেই সব নক্ষত্রের চারিদিকে ঘুর্নায়মান কোন একটা গ্রহ কি থাকা খুব অসম্ভব যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে?



আমার আজকের এই পোস্ট সেই সমস্ত প্রশ্ন বিপরীতে একটা রহস্য নিয়ে । রহস্যের ব্যাখ্যা অনেক আছে । এলিয়েন কিংবা ভিন গ্রহের প্রাণীরা এই পৃথিবীতে এসেছিলো কিনা সেই টুকুও এক পাশে সরিয়ে রাখলেও বইটাতে যতগুলো রহস্যের কথা বলা আছে সেই সম্পর্কেও জানাটা একটা মজার ব্যাপার হবে । তেমন একটা রহস্য হচ্ছে পিরি রেইসের ম্যাপ । কলাম্বাস আমেরিকা আবিস্কারের মাত্র ২০ বছরের মধ্য, কোন প্রকার আধুনিক যন্ত্রপাতি ও গননা যন্ত্র ছাড়া পিরি রেইস কিভাবে এতো নিখুত ভাবে একটা ম্যাপ আঁকতে সক্ষম হয়েছিলো সেটা একটা বিরাট রহস্য। এই ম্যাপের সব থেকে বড় রহস্য হচ্ছে ম্যাপে এন্টার্কটিকার আস্তিত্ব দেখা গিয়েছিলো । এই ম্যাপটা আঁকা হয়েছিলো এন্টার্কটিকা আবিস্কারেরও প্রায় ৩০০ বছর আগে । এবং সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে ম্যাপে যে এন্টার্কটিকাকে দেখানো হয়েছে সেটা ছিল বরফ ছাড়া । অর্থাৎ পিরি কেবল মাত্র মাটির এরিয়া টুকু তার ম্যাপে দেখিয়েছিলেন ।

পিরি রেইসের আসল নাম আহমেদ মুহিদ্দীন পিরি । তিনি আনুমানিক ১৪৬৫ সালের দিকে ইস্তানবুলের গ্যালিপোলিতে জন্মগ্রহন করেন । ১৬ বছর থেকে সে তার চাচা কামাল রেইসের সাথে সমুদ্র যাত্রা শুরু করেন । চাচা কামাল(কিমাল) রেইস তখন অটোমান সেনাতে নাবিক হিসাবে কর্মরত । চাচার সাথে নাবিক হিসাব কাজ শুরু করেন, তারপর যোগদান করেন অটোমান নৈসেনাতে। চাচার সাথে অনেক যুদ্ধেই তিনি অংশ গ্রহন করে। চাচার মৃত্যুর পরে তিনি রেইস নামেই পরিচিত হন বেশি। পিরি অটোমান সম্রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ এডমিরাল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন । তার কর্ম জীবনের প্রায় পুরোটাই সে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ান এবং সেই জ্ঞান তিনি কাজে লাগান নানান মাত্রচিত্র আঁকার কাজে । (পিরি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন) তেমনই একটা ম্যাপ নিয়ে আজকের আলোচনা ।

১৯২৯ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলের তোপকালী প্রাসাদের গুদাম ঘর থেকে হরিণের চামড়ার উপরে অঙ্কিতো একটা ম্যাপ উদ্ধার করা হয় । ম্যাপটির অর্ধেকের বেশির ই ছিড়ে গিয়েছে । তবে যেই অংশ টুকু রয়েছে তাতে বিস্ময়ের শেষ ছিল না । পরীক্ষা করে দেখা যায় ম্যাপটি একেছেন অটোমান এডমিরাল পিরি রেইস, হিজরি সন ৯১৯, (১৫১৩/১৪ খ্রিস্টাব্দে)। ম্যাপ পরীক্ষা করে বিস্ময়ের কারণ হচ্ছে যে সময়ে ম্যাপটা আঁকা হয়েছিল এবং ম্যাপের ভেতরে যতটা নিখুত ভাবে কিছু পৃথিবীর কিছু অংশ অঙ্কিত হয়েছে, তারও অনেক বছর পরে মানুষ সেই জাগয়া গুলো আবিস্কার করেছে ।

পিরি রেইসের মানচিত্রের সব টুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি । অর্ধেকের বেশি অংশ হারিয়ে গিয়েছে । বাকি যে অংশ টুকু পাওয়া গিয়েছে তাতে আফ্রিকা মহাদেশ, উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশ এবং ইউরোপের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে । কিন্তু সব থেকে বিস্ময়কর হচ্ছে মানচিত্রে এন্টার্কটিকা মহাদেশের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া গেছে । এখানে বলে রাখা ভাল যে এন্টার্কটিকা মহাদেশটি ১৮২০ সালে আবিস্কৃত হয় । এই সময়ের আগের আঁকা কোন মানচিত্রে এন্টার্কটিকার কথা খুজে পাওয়া যায় না । তাহলে ১৫১৩ সালে অঙ্কিত একটা মানচিত্রে কিভাবে এন্টার্কটিকার অস্তিত্ব পাওয়া গেল ! আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে এন্টার্কটিকা মহাদেশের যে আকৃতি পিরি তার মানচিত্রে একেছেন সেই এন্টার্কটিকা মহাদেশটি বরফে ঢাকা ছিল না । একেবারে নিখুঁত ভাবে কেবল ল্যান্ড এরিয়া টুকু পিরি একেছিলেন ! এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে । এই সঠিক অবস্থান সম্পর্কে লেখক গ্রাহাম হ্যানকক বলেন "এন্টার্কটিকার অবস্থান সঠিক ভাবে দেখানোর চেয়েও বড় ধাঁধা হল বরফের আস্তরণ ছাড়া মহাদেশটির উত্তর প্রান্তের উপকূল সঠিক ভাবে দেখানো। মনে রাখতে হবে গত ছয় হাজার বছরে ধরে এন্টার্কটিকার উত্তর ভাগের তটরেখাকে কখনই বরফহীন দেখা যায় নি।''



এবার একটু চিন্তা করে দেখুন সেই সময়ে একজন অটোমান এডমিরাল কিভাবে এন্টার্কটিকা মহাদেশের খোজ পেলেন এবং বরফ ছাড়া এলাকাকে সুক্ষ ভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হলেন? এটার ব্যাখ্যার ব্যাপারে এরিক ফন দানিকেন তাই বইতে একটা হাইপিথেসিস দিয়েছেন । সেটার ব্যাপারে পরে আসছি । আগে ম্যাপ সম্পর্কে আরও কিছু বলা যাক । এই ম্যাপের গায়েই পিরি নানান রকম তথ্য উল্লেখ করেছেন । কোন স্থানে কী আছে, কোন ধরনের প্রাণী পাওয়া যায়, আবহাওয়া কেমন ইত্যাদি । এছাড়া তিনি এও লিখেছেন যে এই ম্যাপটা তৈরিতে তিনি মোটামুটি ২০টি মানচিত্র ও নোটপত্রের সাহায্য নিয়েছেন । এর ভেতরে পর্তুগিজদের তৈরি ভারত-চীনের চারটি মানচিত্র ছিল। আরবদের তৈরি ভারতবর্ষের একটা মানচিত্র ছিল, কলাম্বাসের তৈরি একটি মানচিত্র । এখানে আরও একটা কথা বলে রাখা ভাল যে কলাম্বাস মাত্র বিশ বছর আগে ইউরোপ থেকে ভুলক্রমে আমেরিকা আবিস্কার করেন এবং তার তৈরি কোন ম্যাপই উদ্ধার করা যায় নি আর । কালের বিবর্তনে সব হারিয়ে গেছে । তবে পিরির নোট থেকে এটা জানা যায় যে কলাম্বাসের একটি মানচিত্র তার কাছে ছিল । তার ম্যাপ লিস্টে আলেকজান্ডারের সময় কালে তৈরিকৃত ম্যাপের কথাও উল্লেখ রয়েছে । ধারণা করা হয় যে যেহেতু পিরি অটোমান এডমিরাল ছিলেন তাই তার কাছে রাজ্যের দুর্লভ পান্ডুলিপি থাকা মোটেই অসম্ভব কিছু ছিল না । আমরা সবাই জানি যে এক সময় বর্তমান তুরস্ক ইস্তানবুল জ্ঞানবিজ্ঞানের গুরুত্বপুর্ণ স্থান ছিল ।

এই মানচিত্রে দেখানো পাহাড় পর্বত গিরিখাতের উচু নিচু অংশ গুলো সুক্ষ এবং প্রায় নির্ভুল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা ঐ সময়ে সমসাময়িক অন্য কোন মাত্রচিত্র শিল্পীর দ্বারা সম্ভব হয় নি । পিরি নিজেই মানচিত্রের একপাশে লিখেছেন এই মানচিত্রের মত আর কোন মানচিত্র অন্য কারো কাছে নেই । এছাড়া মানচিত্রে প্রতিটি মহাদেশের পাশে সংক্ষিপ্ত ভাবে সেই মহাদেশ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে । আরবি হরফে তুর্কি ভাষাতে এই সমস্ত বর্ণনা সেই মহাদেশ সম্পর্কে পিরি নিজের মত করে সেই এলাকা সম্পর্কে লিখেছেন । আফ্রিকা এবং আমেরিকা মহাদেশের চিত্র আঁকা হয়েছে প্রায় নির্ভুল ভাবে।


মানচিত্রে গ্রীনল্যান্ডে আকৃতিটাকে গবেষকরা ভুল উপস্থাপন ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে পিরি অঙ্কিত রেখা বরাবরই গ্রীনল্যান্ডের আসল ভুখন্ড । প্রশ্ন হচ্ছে বরফের নিচে শুয়ে থাকা আসল ভূখন্ডের ম্যাপ পিরি কিভাবে আঁকলো ? একই প্রশ্ন জাগে এন্টার্কটিকার বেলাতেও । কিভাবে এতো কোটি কোট টন বরফের নিচে চাপা থাকা ভুখন্ডের সঠিক চিত্র পিরি আঁকতে সক্ষম হল ? এমন কি পিরির ম্যাপে দক্ষিন মেরুর যে পর্বত মালা অঙ্কিত হয়েছে তা ১৯৫২ সালের আগে আবিস্কৃত হয় নি । এই পর্বত মালা শতশত বছর ধরেই বরফের নিচে চাপা পড়ে ছিল । বর্তমানে প্রতিধ্বনির সাহায্যে তার চিত্র আকা হয়েছে । এখন প্রশ্ন হচ্ছে পিরি কিভাবে এই পর্বত আঁকতে সক্ষম হল?

ওয়েল, এখানেই আমাদের এরিক দানিকেনের থিউরি চলে আসে ! এতো সময় পর্যন্ত আপনারা যারা পড়েছেন, কনস্পেরেসি ভাবনা যারা ভাবতে চান না, আর না পড়লেও চলবে। তারা এটা কেবল ভেবে নিতে পারেন যে প্রাচীন কালের মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে ছিলেন অনেক বেশি । এই রকম আরও অনেক অনেক উদাহরন আমরা দেখতে পারি যাতে দেখা যায় কোন উন্নত সভ্যাতা তখন ছিল ।

এবার আসি আমাদের এরিক সাহেবের কথায় । তিনি একটা ব্যাপার তাই বইতে লিখেছেন যা সত্যিই মনে প্রশ্ন জাগে । আমাদের হাতে এখন স্যাটেলাইটের মত প্রযুক্ত রয়েছে । এখন এই স্যাটেলাইট থেকেই ছবি তোলা যায় । এরিক লিখেছে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি আর পিরি রেইসের আকা ম্যাপ যদি আমরা পাশা পাশি রাখি তাহলে দেখা যাবে যে দুটো ছবির ভেতরে একটা আশ্চর্য মিল রয়েছে । যেন মনে হবে পিরির মানচিত্রটি এই কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা অথবা এমন কোন ছবি দেখে আঁকা যা উপর থেকে তোলা হয়েছিল । তিনি ধারণা করেন যে পিরির হাতে এমনই কিছু ছবি এসেছিলো যা দেখে তিনি এই মানচিত্র এতো সুক্ষভাবে আঁকতে পেরেছিলেন । এবং সেই ছবি গুলো আকাশ থেকে তোলা হয়েছিলো অনেক অনেক বছর আগে যখন এন্টার্কটিকা বরফ নয়, বরং ভুখন্ড ছিল । সেই সময়ের কোন ছবি কি পিরির হাতে এসেছিলো? নয়তো সে কিাভবে এতো সুক্ষ ভাবে এইমানচিত্র আকতে পারলো ?

আমি আসলে কিছুই বলছি না । কিছু বিশ্বাসও করছি না । হয়তো এমন হতে পারে পিরি রেইস কেবল প্রাচীন নথি পত্র ম্যাপ থেকেই এই মানচিত্র আঁকতে সক্ষম হয়েছিলেন এতো নির্ভুল ভাবে। অথবা সত্যিই তার কাছে এমন কিছু ছবি এসেছিলো?

পিরি রেইসের ম্যাপ সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না । বইটা পড়তে গিয়ে এই পিরি সম্পর্কে জানতে পারি এবং ইন্টারেনেট থেকে আরও কিছু পড়া শুনা করে বাকি তথ্য সংগ্রহ করে পোস্টটা লেখা । এছাড়া পিরি রেইস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচে দেওয়া তথ্য সুত্র গুলো পড়তে পারেন । ইউটিউব ভিডিওটা দেখতে পারেন । ওটা বেশ চমৎকার ভাবে বানানো হয়েছে । সামনে আরও কয়েকটি রহস্যের কথা বলা আছে বইতে । সেগুলো পড়ে যদি মনে হয় লেখার মত সেটা নিয়েও আরও কয়েকটা পোস্ট লেখা যাবে !

আজকে এই পর্যন্তই


তথ্য সুত্র
The Piri-Resi Map
Piri Reis map of Antarctica - Antarctica ice free
Piri Reis map
Piri Reiser Map
পিরি রেইসের মানচিত্র: অজানা ইতিহাসের এক টুকরো দলিল

ইউটিউব ভিডিও
Map of Piri Reis -Labid Rahat


ছবি
source 00
source
source 2

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বাহ্ । যাক এইসব নিয়ে বাংলায় লিখালিখি হওয়া জরুরি । জ্ঞানের প্রায় সব স্তর নিয়ে বাংলায় লিখালিখি আবশ্যক এতে করে বাংলাই সমৃদ্ধ হবে ।

ধন্যবাদ আপনাকে !!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাতে লেখালেখি হয় বেশ । খুজে খুজে পড়তে হবে ! সামুতে আগে ইমন জুবায়ের লিখতেন, পরে শের শায়েরী লিখেছেন বেশ কিছু । তাদের মত করে চমৎকার করে কেউ লিখতে পারে না !

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: রহস্য ও অনুসন্ধিৎসা মানুষকে ভালই টানে!

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: পিরি রাইসের ম্যাপটা আমাকে বেশ চমৎকৃত করেছে । গতদুই দিনে যা পেয়েছি সব কিছু পড়ে ফেলেছি এটা নিয়ে ।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৯

আরইউ বলেছেন:



লেখাটা ভালো লেগেছে, অপু। বেশ ঝরঝরে লেখা।

এই ম্যাপ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিলনা। আপনার লেখা থেকেই জানলাম। আপনার পোস্টে দেয়া উইকিপিডিয়ার আর্টিকেলটা পড়লাম। ওটা বেশ বিস্তারিত এবং অনেক রহস্যের উত্তর ঐ আর্টিকেলেই পেলাম।

বড় দাগে আমি যা বুঝলামঃ

ম্যাপটাকে আসলে যতখানি এক্যুরেট বলা হচ্ছে আসলে ম্যাপটা ততটা এক্যুরেট নয়। এন্টার্কটিকা আবিষ্কার হয়নি মানে এই নয় যে এন্টার্কটিকা সম্পর্কে আগের মানুষরা জানতো না। হতে পারে কেউ জানতো, তারা ম্যাপ তৈরী করেছিল; হয়ত সেই ম্যাপ গোপন রাখা হয়েছিল আর কোনভাবে সেই ম্যাপ ওনার হাতে এসে এসেছিল। উনি নিজেই বলেছেন ম্যাপ তৈরীতে বিভিন্ন সোর্সের সাহায্য নেয়া হয়েছে তাই আমরা ধরে নিতে পারি কোন একটা সোর্স ম্যাপে এনার্কটিক কোস্টলাইন ছিল তা উনি ওনার ম্যাপে ইনক্লুড করেছেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি বলতে যদি এই এন্টার্কটিকার ব্যাপারটা যদি ম্যাপে না থাকতো তাহলে এটা নিয়ে এতো আলোচনা হওয়ার কথা হয়তো ছিল না । এখানে আগ্রহ জন্মানোর কারণ হচ্ছে পিরি যে এন্টার্কটিকার ম্যাপ একেছে সেটা কেবল মাত্র এন্টার্কটিকার মাটির এরিয়া, বরফ এরিয়ার নয় ! এবং এই এরিয়াটা প্রায় একুরেট ভাবেই আঁকা হয়েছে !

এবার আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন একজন টার্কিস এডমিরাল কিভাবে বরফের নিচে থাকা সেই এরিয়াটা সঠিক ভাবে আকতে পারলো । সম সাময়িক অন্য কোন নাবিক নথিতেই কিন্তু এই এন্টার্কটিকার খোজ পাওয়া যায় না । প্রশ্নটা হচ্ছে সেই নথি বা সোর্স টা আসলে কিসের ? কে দিলো? এটাই হচ্ছে রহস্য !

আরেকটা আর্টিকেল পড়ছিলাম আজকে দুপুরে । সেখানে আরও একটু বিষদ ভাবে ব্যাখ্যা করা আছে । সেটা যোগ করতে চাইলাম কিন্তু সামু বারবার বলছে ঐ লিংক এড করা যাবে না । তাই যোগ করতে পারলাম না ।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: একটি অজানা মানচিত্রের বিষয়ে জানলাম। ধন্যবাদ।

তবে এটা যে উনার আবিস্কার নয় সেটা উনি উনার মানচিত্রের টিকায় পরিস্কার ইঙ্গিত দিয়ে দিছেন! যাই হোক, আশা করি, আপনি পরবর্তী পোস্টে এ নিয়ে নতুন কিছু লিখবেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: উনি নিজের মানচিত্রের সোর্সের কথা উল্লেখ করেছেন । প্রায় ২০ টি সোর্স থেকে তিনি একেছেন তবে এখানে ৫/৬টির মত সোর্সের কথা তিনি গোপন রেখেছেন ।
আসলে সোর্স উল্লেখ করলেও এখানে একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে । সেই সোর্সরাই বা কিভাবে এই এন্টার্কটিকার সঠিক হিসাবটা বের করতে পারলো? মনে রাখতে হবে যে এন্টার্কটিকা আবিস্কারই হয়েছে ১৮২০ সালের দিকে । এর আগে এই মহাদেশের কথা কিন্তু অন্য কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না ।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আপনার পোস্ট পড়েই মন্তব্য করেছি, সেখানে আপনি আপনার প্রকাশ সৌন্দর্যের সাহায্যে এন্টার্কটিকা কখন আবিস্কার হয়েছে তা তুলে ধরেছেন। তাছাড়া আপনি সহ সকলেই জানেন, এবং আপনার পোস্টেও আপনি বলেছেন পূর্ববর্তী মানুষজন আধিক জ্ঞানী ছিলেন। এটা পরিস্কার একটা বাস্তব সত্য।

জ্ঞানের নেশা মানুষকে অসম্ভব রকমের শক্তি দান করে। তার সাথে যদি সেই শক্তি প্রয়োগের সুযোগ থাকে তবে তো আর কথাই নেই। যেহেতু হাজি আহম্মাদ মুহাম্মদ পিরি একজন এডমিরাল ছিলেন, সেহেতু উনি উনার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে উনার হাতে পাওয়া সকল তথ্যাদির সাহায্যে এন্টার্কটিকায় ভ্রমণ করা অসম্ভব নয়। তাছাড়া, তখন সেখানটা বরফ ঢাকা নাও তো থাকতে পারে। যাই হোক, সেটা উনার মাধ্যমে হোক, বা অন্য কারো মাধ্যমে প্রকাশিত হোক, তাদের কাছে আসার পর সেটা অপ্রকাশিত থাকার কারণটা অবশ্যই অবাক করার মত!
ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: এখানেই আসলে একটা রহস্য রয়ে যায় ঐ সময়ে আসলে কেমন জ্ঞান ছিল ! আমরা সব সময় বিশ্বাস করি যে আমাদের কাছে আমাদের পূর্ববর্তি মানুষের কাছ থেকে বেশি জ্ঞান রয়েছে কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের সামনে এমন কিছু চলে আসে তখন আমাদের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে আসলেই কি আমাদের আধুনিক টেকলজি আছে নাকি তাদের কাছে ছিল!
এই ম্যাপটা হয়তো তেমনই একটা কিছু !
এখানে যে প্রশ্নটা সব থেকে বেশি মাথায় ঘুরছে সেটা হচ্ছে সেই সময়ে সমসময়িক কিংবা আগের কোন নাবিক মানচিত্রকরের লেখা বা কাজে এই এন্টার্কটিকার কথা খুজেই পাওয়া যায় না । তাহলে তার কাছে যে তথ্য এল সেটা আসলে কোথা থেকেই এল !
এটাই হচ্ছে আসল রহস্য!

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০১

আরইউ বলেছেন:



আপনাকে একটা জার্নাল আর্টিকেলের লিংক দিচ্ছি। লেখক ম্যাকিনটশ ম্যাপ নটিকাল চার্ট এসব বিষয়ে একজন স্পেশালিস্ট এবং সায়েন্টিফিক গবেষণা ভিত্তিক আর তাই ওনার বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। জার্নাল আর্টিকেলের ১৩৭ নং পেজের শেষ প্যারাটার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেবেন।

Several popular writers, such as Charles Hapgood (1904– 1982),18 Erich von Däniken,19 Graham Hancock,20 and Gavin Menzies,21 have claimed that the southern coastline drawn on the Piri Reis map is an accurate depiction of Antarctica under the ice, but there appears to be little basis for such assertions, beyond the fact that the Piri Reis map illustrates a land located south of the Atlantic Ocean, and Antarctica also is located south of the Atlantic Ocean. Their claim that the coastline drawn on the Piri Reis map is an accurate depiction of Antarctica is mistaken. It is a pseudo- mystery. The coastline drawn on the Piri Reis map is not an accurate depiction of Antarctica. There is no mystery to explain.

জার্নাল আর্টিকেলঃ Gregory C. McIntosh, “The Piri Reis Map of 1513 is Important Because ...,” in Uluslararası Piri Reis ve Türk Denizcilik Tarihi Sempozyumu: 500 yılın ardından Piri Reis ve eserleri bildiriler, 26-29 Eylül 2013, ed. Osman Gümüşçü, 6 vols. (Ankara: Türk Tarih Kurumu, 2014), 1:133-144, 333-337.
ISBN-10: 9751629101; ISBN-13: 978-9751629104

ওনার এ বিষয়ে ২৪৭ পাতার আস্ত একটা বই আছে The Piri Reis Map of 1513. বইটা আমি পড়বো।

পোস্টের জন্য আবারও ধন্যবাদ, অপু। আপনার পোস্টের জন্যই এসব বিষয় জানা হলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০২

অপু তানভীর বলেছেন: বইটা আমিও নামালাম । পড়ে শেষ করবো আশা করি । আমার কাছে পিরি ম্যাপটা ইন্টারেস্টিং মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে সমসাময়িক আরও অনেকের ম্যাপ আমি খুজে দেখলাম, এই সময়ের আগে পরে আরও কিছু ম্যাপও দেখলাম, সত্যি বলতে কি পিরির এই ম্যাপের ধারে কাছেও নেই ওগুলো ! এতো চমৎকার ভাবে আর কেউ আঁকতে পারে নি ।

এরিকের আরেকটা কথায় বেশ চমৎকৃত হতে হয়েছে । সেটা হচ্ছে ম্যাপটা দেখতে অনেকটা স্যাটেলাইট ইমেজের মত । মনে হবে যেন উপর থেকে তোলা ছবি । অথবা এমন ছবি দেখে আঁকা যা উপর থেকে তোলা হয়েছে । পিরির এই ম্যাপে কায়রোকে বেজ করে ম্যাপ আকা হয়েছে এমন একটা কথা উল্লেখ আছে !

আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । বুদ্ধুমান মানুষের মন্তব্য এই জন্য গুরুত্বপূর্ন । মন্তব্যের সাথে অনেক কিছুই যুক্ত থাকে ।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৩

আরইউ বলেছেন:




* লেখক ম্যাকিনটশ ম্যাপ নটিকাল চার্ট এসব বিষয়ে একজন স্পেশালিস্ট এবং ওনার সায়েন্টিফিক গবেষণা ভিত্তিক বক্তব্য তাই গুরুত্বপূর্ণ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: দেখা যাক বইটা পড়ে । পড়ে শেষ করে ফেলবো আশা করি ।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: পড়তে ভালোলাগল কঠিন বিষয়টা সহজ করে লেখা।
কিন্তু শেষে রহস্যই রয়ে গেলো। পিরি কি ভাবে এই মানচিত্র আঁকল সেই যুগে নিখুঁত ভাবে। তবে পিরি যাদের ম্যাপের সাহায্য নিয়েছিলেন তারা অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন পিরির কাজ। তাদের জ্ঞান আরো বেশি। তারা কি ভাবে পেয়ে ছিল ভৌগলিক অবস্থানের খবর। আবার যারা আধা ছিঁড়ে যাওয়া মানচিত্র যত্ন করে তার ভিতরের খবর বের করার চেষ্টা করেছেন তাদেরও দিতে হয় কৃতিত্ব।
আমরা এত সহজে এখন সব কিছু পাই। আগে ছিল সব কিছুই কঠিন সাধ্যসাধনার বিষয়।
রহস্যময় পৃথিবী এবং জীবনের খবর অনেকে বের করার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন এখনও।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: প্রাচীন এই ব্যাপার গুলোর আসলে এই একটা ব্যাপার । নানান মুনী নানান গবেষক নানান ভাবে ব্যাখ্যা করে গেছেন । কোনটাই আসলে একেবারে সুনির্দিষ্ট ভাবে বলার উপায় নেই । আমরা পড়তে পারি আর একটা গ্রহনযোগ্য নিজেদের মনমত ব্যাখ্যা খুজে নিতে পারি ।

সেই সময়ে অন্য সব ম্যাপ গুলো খেয়াল করে দেখা যায় যে পিরি ম্যাপ ছিল অন্য সবার থেকে উন্নত !

এই ম্যাপ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে । কয়েকটা বই পর্যন্ত লেখা হয়েছে কেবল এই আধখানা ম্যাপের উপরে ভিত্তি করে !

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো উপস্থাপনা হয়েছে। সহজ সরল সুন্দর উপস্থাপনা হয়েছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য !

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: পিরি রেইসের ম্যাপ সম্পর্কে আমার অতি অল্প ধারনা ছিল।
এখন বিস্তারিত জানলাম।
আপনার হাতে যতই রেফারেন্স থাকুক- একটা নিখুঁত ম্যাপ আঁকা যে কত কঠিনতম অধ্যাবসয়ের বিষয় সেটা বুঝতে খুব বেশী জ্ঞানী হতে হয়না।
আজ অব্দি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এমন কিছু জিনিস আবিস্কার বা উদ্ধার করেছেন যা তখনকার মানুষতো বটেই এখনকার মানুষেরও জ্ঞান গম্যির বাইরে! আমাদের চারপাশে প্রচুর রহস্য ছড়িয়ে আছে। ধার্মিকেরা এসব বিষয়ে সহজেই উত্তর দিয়ে দেয়; এইসকল জ্বীনের কাজ। ব্যাস হয়ে গেল! আর কোন পরিক্ষা নিরীক্ষা দরকার নেই।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা লেগে থাকা এর পেছনে- স্যালুট সেই সব বিজ্ঞানীদের যারা আমাদের সামনে আসল সত্যটা উপস্থাপন করেন।
কোন একদিন হয়তো এর উত্তর পাব- সেদিন হয়তো বা নিশ্চিত আমরা মুজতবা আলীর কথায়; গ্রহ নক্ষত্রে ভ্রমণ করে বেড়াব!

এবার অনুবাদ নিয়ে বলতে হয়; চমৎকার সহজিয়া ভাষায় সরল অনুবাদ! এলিস সাহেবের বইটা আপনি অনুবাদ করলে ভাল হোত।
এরকম আরো কিছু লিখা আপনার কাছ থেকে আশা করছি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

অপু তানভীর বলেছেন: এই কথাটা সত্য বলেছেন, আপনার কাছে যতই রেফারেন্স থাকুক না কেন এই ভাবে চমৎকার একটা ম্যাপ আঁকাটা সত্যিই কঠিন একটা ব্যাপার । পিরি সাহেবের ম্যাপ যখন প্রথম আবিস্কৃত হয়েছিলো তখন সত্যিই বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো । এই এক আধখানা ম্যাপ নিয়ে কত গবেষণা হয়েছে তার কোন ঠিক নেই ।

এমন কত নিদর্ষন যে আছে তার কোন ব্যাখ্যা নেই আমাদের কাছে । আমরা কেবল অনুমান করতে পারি কিন্তু একেবারে একুরেট ভাবে ফল নির্নয় করা এখন আমাদের কাছে অসম্ভব !

দেখা যাক বইতে আরও সামনে কী কী পাওয়া যায় । আশা করি আরও লেখা হবে । আপনিও আপনার অনুবাদ চালিয়ে যান ! কোন নাক উচু কারো বক্তব্য কানে নিবেন না।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: একদম সহজ সরল ভাষায় চমৎকার এবং সাবলীল উপস্থাপন, ভালো লেগেছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ !

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইমন জুবায়ের ভাই আমাদের মাঝে নেই, শের শায়েরি কিছুটা ব্যস্ত। তবে এটুকু ও সত্যি কারো জন্যে কিছু থেমে থাকে না । আপনাদের লেখালিখি ভালো লাগছে। পোষ্ট শেষ হবার পর যেটুকু ধারনা করেছিলাম, আরইউ সেটুকু বলে ফেলেছেন। এখন এক লাইন লিখলে ও পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পাঠানো সম্ভব আর পিরি রেইসদের সমস্ত জীবনের সাধনা গুদাম ঘরে ছেড়া কাটা অবস্থায় পরে থাকে। পিরি রেইস এর হাতে ও নিশ্চয়ই এমন পূর্ববর্তীদের সাধনা পত্র হস্তগত হয়েছিলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: এইখানেই আসলে এরিক সাহেব জোর দিয়েছেন । তিনি মনে করেন যে কেবল ম্যাপই নয় তার হাতে আরও কিছু এসেছিলো যার সাহায্যে এমন ম্যাপ তখন আঁকা সম্ভব হয়েছিলো । বেশ কয়েকটি ম্যাপের সোর্সের কথা তিনি গোপনও রেখেছেন ।

আসলে সেই সত্যটা কী আমরা হয়তো কোন দিন জানতে পারবো না । আবার হয়তো কোন দিন কোন ভাবে বের হয়ে আসবে সত্য !

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব কঠিন একটা বিষয় খুব সুন্দর সাবলীলভাবে তুলে ধরেছো। +

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: পড়তে ভাল লাগাই মুল কথা !

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০০

বিটপি বলেছেন: অটোমানদের মধ্যে কোন কলোনাইজেশনের মানসিকতা ছিলনা, তাই তাদের এ্যডমিরালরা ভূমধ্য সাগরের বাইরে যায়নি। জিব্রাল্টারে তখন পর্তুগিজ জলদস্যুদের উৎপাত মারাত্মক রকমের ছিল বলে কেবল ব্রিটিশ নৌযান ছাড়া আর কেউ সেই পথে যেতও না। তাহলে একজন অটোমান এ্যডমিরাল কিভাবে এক কিছু জানল? সে কি আটলান্টিকে বেরোতে পেরেছিল?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: যেহেতু উনি একজন এডমিরাল ছিলেন তাই তাই ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী সহ রাজ্যের রেয়ার পান্ডিলিপিতে তার এক্সেস থাকাটা অস্বাভাবিক না ! সেখান থেকেই আঁকা সম্ভব তবে বড় যে প্রশ্নটা হচ্ছে সেই সময় কিংবা তার আগেও ইউরিপীয় কিংবা সম সাময়িক কোন ম্যাপেই এই এন্টার্কটিকার সন্ধান পাওয়া যায় নি । তাহলে পিরি কিভাবে এটা আঁকতে সক্ষম হল ! ?

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বিস্ময়। অতীতের অনেক কিছুই অবিশ্বাস্য কিন্তু মিছা না।

লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,




সহজ আর ঝরঝরে লেখা।
আপনার আলোচ্য ম্যাপটির বাইরে্ও পীরি রইসের আরো দু'টি ম্যাপ আছে, ভূমধ্য সাগর আর মরুসাগরীয় অঞ্চলের। তা্ও
কিন্তু নিখুঁত।

সেই ৭৩/৭৪ সালে ফন দানিকেনের চার খন্ডের " গ্রহান্তরের আগন্তুক" পড়েছিলুম। দানিকেন সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে পীরি রইস থেকে পিরিমিড, নাজকা লা্‌ইন, দক্ষিন লিমার লাল পাহাগের গায়ে আঁকা ৮২০ ফুট উচ্চতার ত্রিশূল, ইনকা সভ্যতা ইত্যাদি সব রহস্যময়তাকে তুলে ধরে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এসবই হয়তো ভীন গ্রহবাসীদের কাজ কিম্বা তাদের প্রভাবে এবং নির্দেশে মানুষেরই সৃষ্টি।
ওল্ড টেষ্টামেন্টে্ও কিন্তু আকাশ থেকে নেমে আসা মানুষদের স্বচক্ষে দেখার কথা "ইজকিয়েল"এর বর্ণনায় আছে। দানিকেন সেদিক্ও ইঙ্গিত করেছেন। অনেক পৌরানিক পুথি-পুস্তকে্ও যে আকাশ থেকে নেমে আসা সব অদ্ভুত যানের কথা বলা হয়েছে, সেসব বিশ্লেষণ করে তিনি গ্রহান্তরের আগন্তুকদের কথাই তুলে এনেছেন। এমন কি আদম(আঃ) এর পদচিহ্ণ খুঁজতে শ্রীলঙ্কা এসেছিলেন তিনি কারন শ্রীলঙ্কাতে্ই নাকি একটি পদচিহ্ণ রয়েছে যা আদম(আঃ) এর বলে ধারনা আছে অনেক মানুষের। এর সূত্র ধরে দানিকেন কাশ্মীরে্ও গিয়েছিলেন কিন্তু তেমন কোন পায়ের চিহ্ণ তিনি খুঁজে পান নি সেখানে। তার বইয়ের শেষ খন্ডে তিনি লিখেছিলেন -- এ যাত্রায় আমি তেমন কিছু পাইনি বটে তবে আমি হতাশ নই। আবার ফিরে আসবো এর জন্যে। ( এসেছিলেন কিনা জানিনে! )
এসব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দানিকেন একটি মূল্যবান কথা বলেছেন - " কল্পনা করতে গেলে্ও কিছু বাস্তবভিত্তির প্রয়োজন হয়ই।"

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: ২৮ সালের দিকে আরেকটা ম্যাপ আঁকার কথা উল্লেখ আছে । সেটাও অনেকটাই নিখুঁত !

একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেন পিরি রেইসের ম্যাপ আঁকার ভেতরে কিছুটা রহস্য রয়েছে সেটা আপনিও স্বীকার করে নিবেন । আমার নিজের কাছেও এই ব্যাপার টা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে । ঐ সময়ে কোন প্রকার আধুনিক জিনিস পত্র ছাড়া এমন একটা একটা মানচিত্র আঁকাটা আসলেই কিন্তু চারটিখানিক করা না।

আমি তো শুরুতেই বলেছি যে দানিকেন কোন প্রমান দেন নাই, কেবল সে প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্ন গুলো নতুন চিন্তা উদ্ভর করেছে । ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে কিংবা যাচ্ছে না কিন্তু যদি প্রশ্নই না আসে তাহলে আমরা কিভাবে এই ব্যাখ্যা নিয়ে মাথা ঘামাতাম !

নাজকা লাইন নিয়ে এরপর লিখতে যাচ্ছিলাম দেখি আপনার একটা চমৎকার পোস্ট রয়েচে নাজকা নিয়ে । তাই ওটা আপাতত বাদ । পরের টা নিয়ে পড়াশোনা চলছে । সেটা নিয়ে দেখা যাক কি লেখা যায় !

১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫০

নিমো বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন:দানিকেন সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে পীরি রইস থেকে পিরিমিড, নাজকা লা্‌ইন, দক্ষিন লিমার লাল পাহাগের গায়ে আঁকা ৮২০ ফুট উচ্চতার ত্রিশূল, ইনকা সভ্যতা ইত্যাদি সব রহস্যময়তাকে তুলে ধরে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এসবই হয়তো ভীন গ্রহবাসীদের কাজ কিম্বা তাদের প্রভাবে এবং নির্দেশে মানুষেরই সৃষ্টি।শ্রীলঙ্কা এসেছিলেন তিনি কারন শ্রীলঙ্কাতে্ই নাকি একটি পদচিহ্ণ রয়েছে যা আদম(আঃ) এর বলে ধারনা আছে অনেক মানুষের। এর সূত্র ধরে দানিকেন কাশ্মীরে্ও
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন দানিকেন যে সব জায়গা নিয়ে কথা বলেছেন এগুলো সাদা বা পশ্চিমারা বানায় নি বা সেখানে তাদের উপস্থিতিও নাই। বোধকরি যারা সাদা না বা পশ্চিমা নয় তারা এত উন্নত কিছু বানাতে পারে এতে উনার সমস্যা আছে! ব্যাস সহজ সমাধান সব এলিয়েনে বানিয়েছে। পিরামিড বানানোর অত্যন্ত গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা বর্তমানে আছে। যেগুলো নেই সেগুলোও পাওয়া যাবে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: এটা অবশ্য অনেক আগে থেকেই চলে আসছে । এমন একটা ভাবনা প্রতিষ্ঠা হয়ে আছে অনেক আগে থেকে ।

তবে পুরো বইতে আসলে আরও অনেক কিছু সম্পর্কেই বলা আছে, মানে প্রশ্ন করা আছে যা সহজ স্বাভাবিক চোখে আমাদের কাছে রহস্যময় মনে হবে । এরিক দনিকেন সাহেব কোন বিজ্ঞানীর চোখে নয় বরং সাধারণ মানুষের চোখে দেখার চেষ্টা করেছেন । আমার মত অনেক সাধারণ মানুষ কিন্তু এই তথ্য গুলো নিয়ে চিন্তা করবে যে এটা কিভাব হল সেই সময়কার টেকনোলজি নিয়ে !

দেখা যাক কতদুর আমার ধৈর্য থাকে পরের পোস্ট গুলো নিয়ে লেখার !

১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন:



@ নিমো
যতো সহজেই সরলীকরণ করেছেন, ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়।
সাদা না বা পশ্চিমা নয় বলে দানিকেন সহজ সমাধান "এলিয়েনে বানিয়েছে" বলে দায় সেরেছেন তা কিন্তু নয়। ইনকা সভ্যতার মানুষ কিন্তু সাদা বা পশ্চিমা নয়, দক্ষিণ আমেরিকার একটি প্রাচীন সভ্যতা। ধারণা করা হয় ইনকা সভ্যতার মানুষ, আমেরিকার অন্যান্য জাতির লোকদের মতই, এরা এশিয়া থেকে বেরিয়ে বেরিং প্রণালী পার হয়ে আমেরিকা মহাদেশে পা রেখেছিল। ১১০০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এদের একটি দল দক্ষিণ আমেরিকার অন্দিজ পর্বতমালার পেরুর উচ্চভূমির দিকে চলে আসে। এই পেরু সভ্যতার ইতিহাস কিন্তু দশ হাযার বছর আগের। শত শত বছর আগে কিন্তু সাদারা ছিলোনা । আমেরিকাতে ছিলো রেড-ইন্ডিয়ানেরা।
পেরু-ইনকার মানুষজন সাদা্ও নয় এমনকি আমেরিকান্ও নয়। কিন্তু এদের বানানো রহস্যময় জিনিষগুলির রহস্য আজ্ও উদ্ঘাটিত হয়নি। এতে বরং আমাদের মতো "নন-সাদা" মানুষদের খুশি জবার কথা কারন সাদারা এমন সব রহস্য ঘেরা জিনিশ বানাতে পারেনাি। ;)
দানিকেন একটা সম্ভাবনার কথা বলেছেন মাত্র। এর বেশি কিছু নয়।
আর ফন দানিকেন সাদা হলে্ও কিন্তু আমেরিকান নন, তিনি সুইজাল্যান্ডের মানুষ।

"পিরামিড বানানোর অত্যন্ত গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা বর্তমানে আছে। যেগুলো নেই সেগুলোও পাওয়া যাবে।" হয়তো পা্ওয়া যাবে কিন্তু বর্তমানের গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যাগুলি্ও কিন্তু তর্ক সাপেক্ষ। মীমাংসিত নয়। যেমন ইষ্টার দ্বীপের ১৮টন ওজনের পাথরের মূর্তিগুলির রহস্য আজ্ও ভেদ করা যায়নি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: দনিকেন বই লিখেছেন সেই সত্তরের দশকে । সেই সময়ে কিন্তু এই প্রশ্ন গুলো দারুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো নিঃসন্দেহ ! সেই সময়েই কিন্তু এমন ভাবে ভাবতে পারাটাও বিশাল একটা ব্যাপার । তার সেই প্রশ্ন গুলোর অনেক ব্যাখ্যা এখন পাওয়া গেছে কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে এখনও তর্ক রয়ে গেছে !

কোন কিছুর ''ব্যাখ্যা'' এবং ''গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা'' এই দুইটা টার্মের ভেতরে কিন্তু পার্থক্য রয়েছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.