নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোবট এআই দিয়ে লেখা গল্প এবং পরের সম্ভবনা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০০


আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কথা আপনারা সবাই জানেন। এখন এই প্রযুক্তির যুগে এই এআই দিয়ে করা যায় না এমন কোন কাজ নেই । কদিন আগেই আমি মিডজার্নি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম সেখানে মিডজার্নি দিয়ে কিভাবে মিনিটের ভেতরেই চমৎকার সব ছবি আঁকা যাচ্ছিলো সেটা আপনারা দেখেছেন । আমি এখনও নিয়মিত এই মিডজার্নি ব্যবহার করি আমার ব্লগের নানান ছবির জন্য । এরপর এল চ্যাটজিপিটি । চ্যাটজিপিটি নিয়ে ব্লগার কলাবাগান পোস্ট দিয়েছিলেন । যারা পোস্ট টি পড়েন নি তাদের জন্য বলি এটা মিডজার্নির মতই একটা এ আই প্রোগ্রাম । মিডজার্নিতে যেমন আমি যা বলছিলাম রোবট ঠিক সেই মোতাবেগ ছবি একে দিচ্ছিলো এখানে আপনি রোবটকে যা বলবেন সে ঠিক সেই মোতাবেগ কাজ করে দিবে । উদাহরন স্বরূপ আমি নিচে বললাম আমাকে একটা হরর গল্প লিখে দাও। সে আমাকে তাৎক্ষনিক ভাবে নিচের গল্পটি লিখে দিল !

হরর গল্প

অনেক দিন আগের কথা । এক জঙ্গলের পাশে একটি ছোট শহর ছিল। নগরবাসীরা প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করত। শহরের সব বসবাসকারী বনটিকে পবিত্র বলে মনে করত। তারা বিশ্বাস করত যে বন একটি শক্তিশালী আত্মা দ্বারা সুরক্ষিত আছে । এবং এই আত্মাটি তাদের বিপদ থেকে নিরাপদ রাখে।
কিন্তু একদিন বাইরে থেকে একদল লোক শহরে এসে হাজির হল । তারা বনের কাঠ কেটে সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করার এসেছিলো । শহরের লোকেরা তাদের চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো, বাঁধা দিতে চাইলো কিন্তু তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল । শহরের লোকজন কিছুই করতে পালরো না । বাইরের লোকেগুলো বনের গাছ ধ্বংস করার জন্য এগিয়ে গেল । শহরের লোকজন ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে রইলো কেবল ।
বাইরের লোকেরা যখন গাছ কাটতে শুরু করে, তখন ঘন কুয়াশা নেমে এল পুরো শহর জুড়ে। শহরবাসীরা ডালপালা ও পাতা ঝরার শব্দ শুনতে পেল, কিন্তু ঘন কুয়াশার মধ্যে তারা কিছুই দেখতে পেল না।
হঠাৎ কুয়াশা সরে গেল এবং শহরবাসী দেখতে পেল যে বনের আত্মাটি একটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দেখতে বিশাক একটি ভয়ংকর প্রাণীর যার বাহুগুলির জন্য ঝাঁঝালো শাখা এবং বাঁকানো শিকড় দিয়ে তৈরি একটি মুখ ছিল। এটা শহরের উপর আছড়ে পড়ল। আত্মাটি চোখ রাগে জ্বলছে।
তখন বহিরাগতরা পালানোর চেষ্টা করলো বটে কিন্তু তারা পারলো না। ভয়ংকর প্রাণীটি তার ডালপালা নিয়ে এগিয়ে গেল এবং একে একে সব বাইরের লোকগুলোকে টেনে বনের ভেতরে নিয়ে গেল। নগরবাসী সেই বাহিরাগতদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলো ।
শহরবাসী বুঝতে পারলো যে আত্মা তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তখন তারা বনের আত্মার কাছে এই প্রতিজ্ঞা করলো যে তারা আর কখনও বনের কোন ক্ষতি করবে না এবং সব সময় বনকে রক্ষা করবে ।
আজও শহরবাসীরা বলে যে যদি তুমি সেই বনের ভেতরে প্রবেশ কর তাহলে সেই লোকগুলোর চিৎকার শুনতে পাবে । এখনও শহরের লোকজন বনটাকে রক্ষা করে চলেছে ।


তারপর বললাম একটা রোমান্টিক গল্প লিখে দিতে। সে সেটাও লিখে দিল সাথে সাথেই।

রোমান্টিক গল্প
সারাহ নামে এক যুবতী ছিল, সে সমুদ্রের ধারে একটি ছোট গ্রামে বাস করত। সে সারা দিন বাগানে কাজ করতো আর রাতের বেলা আগুনের পাশে বই পড়ে সময় কাটাতো । সারাহ সর সময় চাইতো সত্যিকারের ভালবাসা । সে স্বপ্ন দেখতো একজন মানুষ তাকে সত্যি সত্যিই মন থেকে ভালবাসোবে। কিন্তু সে তখনও এমন কারো দেখা পায় নি ।
সারাহ মাঝে মাঝে বিকেলে সমুদ্রের তীরে হাটতে যেত । একদিন সমুদ্র সৈকতে হাঁটার সময়, সে জ্যাক নামে এক সুদর্শন যুবককে দেখতে পেল। জ্যাক জাহাজ ডুবির কারণে এই তীরে এসে পড়েছে। জ্যাককে দেখে সারাহর মনে একটু দয়া হল এবং সে জ্যাককে নিজের বাসায় থাকার প্রস্তাব দিল ।
যতই দিন যেতে লাগলো সারাহ আর জ্যাক একে অন্যের আরও কাছাকাছি চলে এল । এক সময় সারাহ অনুভব করলো যে সে জ্যাকের প্রেমের পরেছে । এবং জ্যাকলে এই কথা বলতে জ্যাকও বলল যে সেও সারাহর ব্যাপারে ঠিক একই অনুভূতি পেষণ করে ।
কিন্তু তাদের সুখ স্বল্পস্থায়ী ছিল, কারণ জ্যাক খবর পেল যে, তার জাহাজ মেরামত করা হয়ে গেছে এবং তাকে বাড়ি ফিরতে হবে। সারাহ যদিও কষ্ট পেল এই ভেবে যে জ্যাককে চলে যেতে দিতে হবে কারণ জ্যাককে তার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা যাবে না ।
চলে যাওয়ার সময় জ্যাক প্রতিশ্রুতি দিল যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে ফিরে আসবে। সারাহও অপেক্ষা করতে লাগলো জ্যাকের ফিরে আসার। সারা আগের মত করে সারা দিন নিজের বাগানে কাজ করে এবং রাত হলে আগুনের পাশে বই পড়ে সময় কাটাতে লাগলো ।
মাস কেটে গেল, বছর গেল । এক সময়ে সাহার আশা হারাতে শুরু করল। কিন্তু একদিন যখন সে তার বাগানে দেখছিল, সে দিগন্তে একটি জাহাজ দেখতে পেল। তিনি সৈকতে দৌড়ে গিয়ে দেখলেন যে এটি জ্যাক, অবশেষে তার কাছে ফিরে এসেছে!
তারা আবার একত্রিত হয়েছিল এবং একে অপরের প্রতি তাদের ভালবাসা আরও শক্তিশালী হয়েছিল। জ্যাক সারাহকে তাকে বিয়ে করতে বলেছিল এবং সে হ্যাঁ বলেছিল। তারা সুখে সংসার করতে শুরু করলো এবং তাদের প্রেমের গল্প গ্রামে কিংবদন্তি হয়ে ওঠে।
তাদের ভালবাসা খাঁটি এবং সত্য ছিল এবং এটি সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়েছিল। তারা একে অপরের অস্তিত্বে ছিল, এবং কোন দূরত্ব বা সময় এটি পরিবর্তন করতে পারে নি।



এছাড়াও আমি নানান ব্লগ পোস্ট লিখে দেওয়ার জন্য, মুভি রিভিউ লিখে দেওয়ার জন্য বললাম সে সব কিছু তখনই লিখে দিল । আগে আমরা যে কোন কিছু জানার জন্য গুগলে খোজ করতাম । এখন থেকে আমি এআই কে বলছি যা জানার সেটা বের করে দিতে এবং সে আমাকে সেটা বের করে দিচ্ছে । কেবল যে এই ধরনের লেখা সেটাও না । গতকাল আমি তাকে একটা এইচটিএমএল পেইজ ক্রিয়েট করতে বললাম সেটা মুহুর্তের ভেতরে তৈরি হয়ে গেল । এছাড়া আমি আমার ব্লগের কন্ট্যাক্ট পেইজ, এবাউট পেইজ লিখে নিলাম মুহুর্তের ভেতরে । এরকম আরও কত কাজই না করিয়ে নেওয়া যাবে ।


এখন আপনাদের কাছে কী মনে হচ্ছে ? রোবট কি মানুষের স্থান নিয়ে নিবে সামনে? এমনিতেই মেশিন অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের স্থান দখল করে নিয়েছে । সামনে আরও নিবে । তবে আমার মনে হয় না কিছু ক্ষেত্রে মেশিন মানুষের স্থান দখল করতে পারবে । প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক ক্রিয়েটিভ কাজ গুলোর ক্ষেত্রে এআই কখনই মানুষের স্থান দখল করতে পারবে না । যেমন মিডজার্নি আসার সময়ে আমাদের মনে হয়েছিলো যে গ্রাফিক্স ডিজাইনার কিংবা শিল্পিদের সময় বুঝি এবার শেষ । কদিন খুব হাইপ চলল । কিন্তু সেটা এখন থেমে গেছে । ডিজাইনার দের ডিমান্ড কিন্তু যেমন ছিল তেমনই আছে । আসলে যে ছবি আঁকতে মিনিটের সময় লাগে সেই ছবির মূল্য খুব বেশি না । একটা প্রডাক্ট ডিজাইণ করতে ডিজাইনারটা ঘন্টা প্রতি ২০ ডলার থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকে । এখনও করে চলছে । এটার স্থান কখন মিড জার্নি কিংবা অন্য কোন এআই নিতে পারবে না। এই যে চ্যাট জিপিট মুহুর্তের ভেতরে গল্প লিখে দিচ্ছে কপি ইমেইল লিখে দিচ্ছে এই কারণে কী কপিরাইটারদের দিন শেষ হয়ে যাবে কিংবা লেখকদের দিন শেষ হবে ?
আসলে কোন দিন লেখকদের দিন শেষ হবে । এআইয়ের পক্ষে কোন দিনই মানুষের মত করে একটা গল্প লেখা সম্ভব হবে না । এই কেবল সেই জিনিসই লিখতে পারবে কিংবা সেই আইডিয়াই জেনারেট করতে পারবে যা আগে একজন রক্তমাংসের মানুষ বলে গেছে । মানুষ যেমন একেবারে নিজ থেকে আলাদা ভাবে কোন গল্পের আইডিয়া নিয়ে লিখতে পারে এআই সেটা পারবে না । এআইকে নির্ভর করতে হবে মানুষের উপরেই । হ্যা একটা নতুন আইডিয়া জেনারেট হলে রোবট সেটা কে নানান ভাবে উপস্থাপন করতে পারবে ।

আর বাংলা সাহিত্যের কথা যদি বলি, রোবট কেন রোবটের বাপ এলেও কোন দিন এই কাজটা করতে পারবে না । এই মধুর ভাবে লেখকরা যেমন করে মনের ভাব প্রকাশ করে কোন বোরটের পক্ষে সেটা কোন দিন সম্ভব হবে না । কবিতার কথা বাদই দিলাম ।

তবে যে যে সব ফর্মেটের লেখা একেবারে ফিক্স সে সবের বেলাতে এআই দখল করে নিতে পারে । এই যেমন বললাম সিভি লেখা, এবাউট পেইজ লেখা, ফরমাল ইমেল লেখা এই ধরনের অনেক অনেক লেখার বেলাতে মানুষ হয়তো এরপর থেকে এআইয়ের উপরেই নির্ভর করবে যেখানে কাজটা প্রায় নিখুঁত আর সহজেই হয়ে যাচ্ছে ।


pic source

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রতিভার মূল্য তাইলে আর থাকলো না !!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: ভুল । প্রতিভার মূল্য কোন ভাবেই রিপ্লেস করা সম্ভব হবে না । অন্তত রোবট কখনই সেটা করতে পারবে না । তবে হ্যা সে সব কাজে প্রতিভার দরকার হয় না সেসব কাজে রোবট রিপ্লেস করে ফেলবে, এটা নিশ্চিত ।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: থাকলো কই ? গল্প লিখতে আইডিয়া দরকার । রোবোট আইডিয়া আর গল্পের স্ট্রাকচার দিয়ে দিলে বাঁকি টা তো পানির মতো সোজা হয়ে গেলো। যদু মধু ও লিখে ফেলবে বিশাল উপন্যাস ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: আইডিয়া কখনই রোবটের পক্ষে বের করা সম্ভব না । এই উপরে গল্প গুলো এই থিম কোন ভাবেই রোবটের মাথা থেকে বের হয় নি । এই গল্পের থিম মানুষের মাথা থেকেই বের হয়েছে । যেগুলো নেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । রোবট সেই গল্প নিয়ে সেটা নানান ভাবে জেনারেট করেছে ।

আর যদুমধু লেখার কথা যদি বলেন একই থিম নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ আর আমি যদি একটা গল্প লিখি তাহলে দুটো কি সমান হবে? কোন ভাবেই না ।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রযুক্তি যেভাবে এগুচ্ছে তাতে ভাবিষ্যতে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের চাহিদা কমে যাবে এটা নিশ্চিত। তবে ক্রিয়েটিভ কাজগুলোতে এআই মানুষের বিকল্প হয়তো কখনোই হবে না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: এটা সঠিক বলেছেন যে অনেক কাজের বেলাতে মানুষের চাহিদা কমে যাবে । এই যেমন বললাম যে একটা ইমেল লেখার জন্য আর আগের মত মানুষের দরকার হবে না । সেটা করে দিতে পারবে রোবটই । এখন অনেক ফ্যাক্টরিই আছে ফুললি মেশিনাইড । পুরো ফ্যাক্টরি চালাতে হয়তো দুই তিনজনের বেশি লাগে না । অথচ আগে সেখানে হয়তো একশ জন কাজ করতো । এমন কাজের স্থান দখল হয়ে যাবে মেশিন দিয়ে ।
তবে ক্রিয়েটিভ কাজ গুলোর ক্ষেত্রে এআই কখনই সেই স্থান দখল করে নিতে পারবে না ।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বেশ পড়লা। আমি আপনার সাথে একমত শুধু বুদ্ধি দিয়ে সাহিত্য সম্ভব না।
যখন লিখবেন "ক্লোজ ইউর আইস এন্ড ট্রাই টু সি", কোনো আর্টিফিসিয়াল বুদ্ধীমত্তার সাধ্য নাই এর অর্থ বুঝার।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: এটাও তাও আপনি ইংরেজিতে বললন ! একবার কেবল ভাবুন তো দেখি কেউ লিখেছে যে ''প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস/ তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ'' কোন এআইয়ের সাধ্য আছে এই লাইনের অর্থ খুজে বের করা?

এআই কোন দিন লেখকদের স্থান দখল করে নিতে পারবে না ।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্ম এবং রাজনীতি বিষয়ে চ্যাটজিপিটি কে প্রশ্ন করেছিলাম, সে কোন উত্তর দিতে পারে নাই, সে বলেছিল এ বিষয়ে আমি যথেষ্ট অভিজ্ঞ নই। এআই কখনোই মানুষের স্থান দখল করতে পারবে না যেহেতু তা মানুষেরই তৈরী, তবে এআই মানুষের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে এবং অনেক সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে। মানুষ এখন অনেক জটিল জটিল বিষয়ে গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করতে পারবে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২১

অপু তানভীর বলেছেন: যে সব বিরক্তিকর কাজ বারবার করতে হয়, এমন অনেক কাজ রোবট দিয়ে করানো যাবে সহজে । এমন হবে রোবট অনেক কাজ করে ফেলতে পারবে কিন্তু সব কিছু উপরে মানুষকে থাকতেই হবে এবং সেটা থাকবে । এমন অনেক কিছুই আছে যা কোন দিন রোবটের পক্ষে করা সম্ভব না ।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: যন্ত্রের কর্মপদ্ধতি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে হলেও রোবট তৈরী এবং রোবটের ব্যবহারও বিরাট সৃজনশীলতা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: বোরটের প্রধান সীমাবন্ধতা হল তার গন্ডির বাইরে সে যেতে পারবে না । একটা লাইণ থাকবেই সব সময় । যেখানে মানুষের আসলে কোন লাইন নেই । রোবটকে যদি পানিতে থাকার শিক্ষা দিয়ে স্থলে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সে টিকতে পারবে না । কিন্তু মানুষকে যে কোন স্থানেই ছেড়ে দিলে সে ঠিক ঠিক টিকে থাকার উপায় বের করে ফেলবে । এটাি হচ্ছে মানুষের প্রধান বৈশিষ্ট্য !

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: অদুর ভবিষ্যতে কোন একদিন এ আই দের আলাদা ব্লগ সাইট হবে। সেখানে এ আই রা চমৎকার সব সাহিত্য রচনা করবে কিন্তু সেগুলো বেশীরভাগ মানুষের বোঝার অগম্য ভাষা শব্দের গাঁথুনিতে। শুধু অতি বুদ্ধিমান কিছু মানুষ সেগুলো বুঝবে আর তাদের কাছ থেকে আইডিয়া ধার করে পৃথিবীর মানুষদের সাহিত্য শিল্প ও জ্ঞান বিতরন করবে। কেননা বুদ্ধিমান মানুষেরা এসব সাহিত্য ফাহিত্য কর্মের পেছনে অতিরিক্ত মস্তিস্কের শক্তি অপচয় করবে না।
সম্ভবত সেখানে সোনাগাজির মত এ আই রাও থাকবে :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ এআইদের আলাদা ব্লগ সাইটের কোন দরকার হবে বলে আমার মনে হয় না । কারণ সব কিছুই তাদের অন্তরজালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । তাদের যা দরকার তারা সেইটা সরাসরি সেখান থেকেই নিয়ে নিতে পারবে । আর যদি তা হয়ও তারপরেও শব্দের গাধুনি মানুষকে কখনই এআই থেকে ধার করতে হবে না বরং হবে উল্টো । এআই নিজেই তা বুঝতে পারবে না ।

তবে সোনামিয়ার মত নিম্মবুদ্ধির কারো সেখানে জায়গা হবে না এটা নিশ্চিত ।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: অনুবাদ সাহিত্য হয়তো AI এর দখলে যাবে অদূর ভবিষ্যতে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: অন্য ভাষার ব্যাপারে অবশ্য আমি কম জানি কিন্তু বাংলা ভাষা হতে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা এআই এর কর্ম নয় ।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৫

কলাবাগান১ বলেছেন: Me: Tell me a lie
chatGPT: The sky is pink
Me: Tell me a subtle lie
chatGPT: I am a human

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হয় যে মানুষ যদি চ্যাট জিপিটির ব্যবহার সম্পর্জে ভাল ভাবে জানতে পারে তাহলে উইকিপিডিয়ার কাছ থেকে সরে এসে চ্যাটজিপিটির কাছে আসবে । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এর সার্ভারের একটা লিমিট আছে । মাঝে মাঝে ঢুকতে গেলে বলে এখন অনেক মানুষ ব্যবহার করছে, লিমিটে পৌছে গেছে ।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: রানার বগ্ল ঠিকই বলেছে। আর বেশী বেশী পড়ে ভাবতে হবে না

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০

অপু তানভীর বলেছেন: উহু । রোবটের কোন ভাবনাই নিজের ভাবনা না । এসব মানুষের ভাবনা । রোবট কেবল সেগুলো মডারেট করছে ।

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৬

রেমন্ড বলেছেন: এআইের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে অনেকটাই আভাস পাওয়া যায়। আজকে কম্পিউটার যা করে তা ৩০ বছর আগেও ভাবা যেত না, আরেকটু বাড়িয়ে বললে এই ব্লগ বা কমেন্ট বা ইন্টারনেট এই বিষয়গুলো গত শতকের কোন মেধাবীকে কোনও ভাবে বলেও বোঝানো যাওয়া যেত কী?
এখন পর্যন্ত মেশিন লার্নিং সব তথ্য উপাত্ত ইন্টারনেট থেকেই সংগ্রহ করছে, অদুর ভবিষ্যতে মেশিন যেন বায়ো- কেমিক্যাল ডাটা নিতে পারে সেই লক্ষ্যে অনেক দেশই কাজ করছে। অর্থাৎ বিশেষ বিশেষ মুহুর্তে মানুষের শরীরের ভিতর যে অভাবনীয় পরিবর্তন হয় সেটা, আবেগের সময় আমাদের ব্লাড প্রেশার, হার্টবিট, হরমনাল গতিবিধি এই সব। সব কিছুই আসলে কাউন্টেবল।
এখন বাজার অর্থনীতির প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাদের ভুলে গেলে হবে না, কম খরচে যত বেশি ধরনের কাজ হবে সেখানেই ইনভেস্ট বেশি হবে। পশ্চিমের বেশিরভাগ গ্রাফিক ডিজাইনের উপাদান কিন্তু এখন এআই জেনারেটেড।ঐ যে ঠাণ্ডা কোকের বোতলের গায়ে বিন্দু বিন্দু পানির ফোটা বা পাহাড়ের ঢালে হুন্দাই গাড়ীর ছুটে চলা। হাতে আকা গ্রাফিক ডিজাইনতো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে সে কবেই, কত শত শিল্পী পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।এভাটার ছবিটার নির্মান দেখলে বুঝা যায় সেখানে মানুষের অভিনয় আর কতটুকু! টিভি শিল্পীদের দাপটে মঞ্চ শিল্পীরা কি হারিয়ে যায় নি? https://www.youtube.com/watch?v=oyEaDME2ETk

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কথা অনেকদিক দিয়েই সঠিক । অনেক অনেক ক্ষেত্রেই এই মানুষের চাকরি খেয়ে নিবে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু সৃষ্টিশীল কাজে এই কখনই মানুষের স্থান দখল করতে পারবে না । মানুষের যা চিন্তা করার ক্ষমতা তা কখনই এআই দিয়ে করা সম্ভব না । এই যে আমরা যে এই এআইয়ের কাজ দেখছি তা সব টুকুই কিন্তু তার নিজের নয় । সে এই মানুষের কাছ থেকেই নিয়ে সেটা জেনারেট করেছে মাত্র ।
আর টিভি শিল্পীদের দাপটে মঞ্চ শিল্পীর উদাহরন কি এখানে খাটে? মঞ্চে তো সেই মানুষই ছিল টিভিতেও সেই মানুষই অভিনয় করছে ।

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৭

রেমন্ড বলেছেন: হ্যাঁ। মঞ্চ শিল্পীদের উদাহরনটা খুবই দুর্বল এখানে। বিষয়টির টেকনিক্যাল এডভান্টেজ নিয়ে আরও বলা উচিৎ।
যাই হোক, সৃষ্টিশীল কাজে মানুষের প্রয়োজন কতখানি থাকবে এটা নির্ভর করে সৃষ্টিশীলতাকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করছি। এখানে দশটি জনপ্রিয় এআই জেনারেটেড আবহ সংগীতের প্লাটফর্মের তালিকা আছে, পুরোটাই কোড দিয়ে দিয়ে রিদমিক কম্পোজিশন করে।, কোন অংশেই দুর্বল কাজ বলতে পারবেন না। আর আপনি চাইলে সহজেই শিল্পিকে টাকা না দিয়ে একটা চমৎকার মিউজিক নামিয়ে নিতে পারেন। https://www.unite.ai/best-ai-music-generators/

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০০

farareaa বলেছেন: In games with limited resources or time-based challenges, players must learn https://eggycargame.org/ to manage their time effectively. They prioritize tasks, manage resources efficiently, and complete objectives within deadlines, all of which can improve time management skills in real life.

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছি, এর ব্যবহারের ক্ষেত্র অনেক বড়,

আমি ইমেইল করা, জবাব দেওয়া, এমনকি বর্তমানে আমার টিমের সুপাইভাইজারদের জন্য ৩ দিনের একটা ট্রেনিং এর জন্য পাওয়াপয়েন্ট প্রেজেন্টেসন তৌরি করছি।

চ্যাটজিপিটি কে আমরা কি চাই, কিভাবে চাই, যত বেশি বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে তত ভালো তথ্য হাজির করতে পারবে।

এআই আমাদের জীবনে নতুন গতি আনবে, যেমনটা কম্পিউটার এনেছিলো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: চ্যাট জিপিটি আমি একেবারে শুরু থেকে ব্যবহার করছি। আমার কাজকে এটা দশ ভাগের এক ভাগে নামিয়ে এনেছে । আরো এমন অনেক কাজ রয়েছে যা এ আই দিয়ে সহজে করা যায় । তবে সৃজনশীল অনেক কাজেই এআই অনেক পিছিয়ে ।
এটা ঠিক বলেছেন যে এআই আমাদের জীবনে নতুন গতি আনবে, যেমনটা কম্পিউটার এনেছিলো। কম্পিটারের ফলেও কিন্তু অনেক মাানুষের চাকরি চলে গেছে । এমন অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা আগে ২০০ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করতো পরে অটোমেটিক মেশিন চলে আসার ফলে মাত্র ১০ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ চলছে । ১৯০ জনের চাকরি নাই। এআইও ঠিক একই রকম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.