নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য বিলিয়ন ডলার স্পাইঃ রাশিয়াতে সিআইএর সব থেকে দামী স্পাইয়ের গল্প

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫২



স্নায়ু যুদ্ধের সময়কার কথা । সেই সময়ে রাশিয়াতে আমেরিকান গোয়েন্দাগিরি বেশ কঠিন একটা সময় পার করছেন । কেজিবির কড়া নজড়দারীতে আমেরিকা কিছুতেই সুবিধা করে উঠতে পারছিলো না । ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি মাসের কথা । সিআইএর মস্কো স্টেশন চীপ রবার্ট ফুলটন একটি ফুয়েল স্টেশনে গাড়িতে তেল ভরছিলেন । তেল ভরা শেষ হলে যখন ফুলটন চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে যাচ্ছে তখনই একজন রাশান তার সামনে এসে তার সাথে কয়েকটা কথা বলতে চাইলো । ফুলটনের তখন কিছু শোনার সময় ছিল না । এই কথা রাশান লোকটিকে বলতেই সে আর কোন কথা না বলে গাড়ির সিটের উপরে একটি খাম রেখে চলে গেল ।

কনস্যুলে ফিরে এসে ফুলটন খামটি খুলে দেখলেন । সেখানে লেখা রয়েছে যে লোকটি আমেরিকার কর্তপক্ষের সাথে গোপন বিষয় নিয়ে আলাপ করতে চান । পরে কিভাবে তার সাথে দেখা করতে হবে সেই ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া ছিল খামে । মস্কো চিফের মনে আশার আলো দেখা দিল । এই জনই সম্ভবত সিআইএর পরবর্তি স্পাই হতে চলেছে এমন একটা সম্ভবনা দেখা দিল । কিন্তু তখনও ফুলটনের ধারণা ছিল না যে এই লোকই হতে চলেছে সিআইএর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একজন স্পাই যাকে মানুষ পরবর্তীতে দ্য বিলিয়ন ডলার স্পাই হিসাবেই চিনবে ।

আগেই বলেছি সেই স্নায়ু যুদ্ধের সময়ে আমেরিকা বেশ কঠিন পরিস্থির সম্মুখিন হচ্ছিলো রাশিয়াতে । পুরো পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে সিআইএ মাত্র দুইজন স্পাই সেট করতে পেরেছিলো । কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়েছিলো ঐদুজন নিজ থেকে সিআইএর সাথে যোগাযোগ করেছিলো বলে । কিন্তু তারা পরবর্তিতে তারা ধরা পড়ে যাওয়ার পরে সিআইএ পরবর্তিতে বিপাকেই পড়ে । একজন স্পাইকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় অন্যজন স্রেফ গায়েব হয়ে যায় ।

ফুলটন যদিও প্রথমবারেই রাশান লোকটির সাথে যোগাযোগ করে নি । কারণ এটা কেজিবির পাতানো একটা ফাঁদ হতে পারে । যদিও সে নিজের আমেরিকান হেড অফিসে ব্যাপারটি ঠিকই অবহিত করেছিলো । তারাও বলেছিলো যে অপেক্ষা করতে । এরপর লোকটি আরও কয়েকবার যোগাযোগ করে । প্রথম কয়েকবার নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখলেও একটা সময় নিজের আসল পরিচয় সিআইএর কাছে তুলে ধরে । ফুলটন নিজেও খোজ খবর নিয়ে এক সময়ে নিশ্চিত হয় যে এই লোকটি কেজিবির কোন লোক নয় । লোকটির নাম এডলফ তোলকাচভ । স্পাই জগতে সে সি কে স্ফিয়ার নামে পরিচিত ।

ফুলটন হেড অফিসের সবুজ সংকেত পেয়েই এডলফ তোলকাচভের সাথে যোগাযোগ করে । অনেক লুকোচুরির পরে প্রায় দুই বছর পরে সরাসরি এডলফ তোলকাচভের সাথে সিআইএর সরাসরি মিটিং হয় । প্রথম মিটিংয়েই সিআইএ বুঝতে পারে যে তাদের হাতে এক রত্ন লেগেছে । প্রথম দিনেই এডলফ তোলকাচভ এতো এতো তথ্য সিআইএর হাতে তুলে দেয় যে সিআইএ এটা মোটেও আশা করে নি । তাদের ভাষ্যমতে প্রশিক্ষণ দিয়েই যদি তারা কোন স্পাইকে রাশিয়াতে সেট করতো তাহলেও এতো তথ্য যোগার করা সম্ভব হত না । এরপর এডলফ তোলকাচভের সাথে সিআইএর নিয়মিত যোগাযোহ হতে থাকে এবং সব চেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মিটিং গুলো হতে থাকে কেবিজির নাকের ডগাতেই। পরের ছয় বছর ধরে এডলফ তোলকাচভ আর সিআইএর ভেতরে তথ্য আদান প্রদান চলতে থাকে। যদিও অর্থ দিয়ে এই তথ্যের পরিমাপ করা সম্ভব হয় না তারপরেও এক হিসাব মতে দেখা গেছে এই ছয় বছরে এডলফ তোলকাচভ যে তথ্য আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছিলো তার আর্থিক মূল প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার । প্রথম দুই বছরে তোলকাচভ যে তথ্য দিয়েছিলো সেটা পরিমান ছিল প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে এডলফ তোলকাচভ আসলে কেন এমন করেছিলো? কেন নিজেদের দেশের সাথে সে বিট্রে করলো? কী ছিল সেই কারণ? টাকা একটা কারণ হতে পারে কিন্তু রাশিয়াতে সে যেখানে কাজ করতো এবং যে পেশায় সে নিয়জিত ছিল তাতে সে বেশ ভাল এবং সুখের জীবন যাপনই করতো । নিশ্চিত জীবন সরকার ফ্ল্যাট চাকরি সবই ছিল । তারপরেও সে সিআইএর সাথে হাত মিলিয়ে নিজ দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে ।

এডলফ তোলকাচভ ইউক্রেন থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাশ করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি মস্কোতে সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যোগদান করেন । এটি ছিল সোভিয়েত ইউনিউনের প্রথম রাডার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান । ধীরে ধীরে এডলফ তোলকাচভ নিজের দক্ষতা এবং কাজ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের উপরের পদ গুলতে উঠতে শুরু করেন এবং এক সময়ে শীর্ষপদে অধিষ্ঠিত হন। এখানেই তার দেখা হয় নাতাশা কাজমিনের সাথে । এবং নাতাশার সাথে এক সময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তোলকাচভ । এবং বলা যায় এটাই ছিল নিজ দেশের প্রতি বিট্রে করার প্রথম পদক্ষেপ ।

নাতাশার মা ততকালীন স্ট্যালিন সরকারের অধিনে কাজ করতেন । ১৯৩৭ সালে সোভিয়েট সিক্রেট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন । তার অপরাধ ছিল যে সে ডেনমার্কে গিয়ে তার ব্যবসায়ি বাবার সাথে দেখা করেছিলেন । নাতাশার বাবাকে নাতাশার মায়ের সাথে বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে বলা হয় কিন্তু সেটাতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে ১০ বছরের জন্য জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আর নাতাশার মাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গুলি করে মারা হয় । সেই সোভিয়েত আমলে পুজিবাজী যে কোন রাষ্ট্রের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখাই ভয়ংকর অপরাধ হিসাবে দেখা হত । সেই সময়ে নাতাশার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর । ছোট বেলা থেকে তার জীবন কাটে এতিমখানাতে ।

নাতাশার বাবার সাথে যখন আবারও তার দেখা হয় তখন তার বয়স ১৬ বছর । জীবনের শেষ দিন গুলো নাতাশাকে শুনিয়েছিলো তার পরিবারের করুণ ইতিহাস । নাতাশার ভেতরে এই ক্ষোভ ছিল তীব্র । তবে তার পক্ষে আসলে কোন কিছুই করার ছিল না । কিন্তু এডলফ তোলকাচভের সাথে বিয়ের পর যখন এডলভ সব কিছু জানতে পারে তখন নাতাশার ক্ষোভ এডলফ তোলকাচভের ভেতরে সঞ্চালিত হয় । এবং এডলফ তোলকাচভের অনেক কিছুই করার ছিল । এবং এই কাজ সে করতে পারে নিজের ডেস্কে বসেই । তার কাছে সোভিয়েত সরকারের টপ সিক্রেট ক্লিয়ারেন্স ছিল । এমন সব তথ্য তার হাতের নাগালেই ছিল যা যদি দেশের শত্রুর হাতে পড়ে তাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে । এই চিন্তা থেকেই সে আমেরিকার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে শুরু করে এবং এবং সফলও হয় । সিআইএর সব থেকে ব্যয় বহুল স্পাইয়ে পরিনত হয় সে ।

এডলফ তোলকাচভের কাছে টপ ক্লিয়ারেন্স ছিল । সে প্রতিদিন অফিস থেকে দুপুরে নিজের বাসায় চলে যেতে পারতেন । এবং এই সময়ে তাকে কোন প্রকার চেকিংয়ের সম্মুখীন হতে হত না । তিনি নিজের কোর্টের ভেতরে করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যেতেন নিজের ফ্লাটে । সেখানে কাগজ পত্রের ছবি তুলে আবার অফিসে ফিরে এসে কাগজ গুলো নিজের স্থানে রেখে দিতো কারো কিছু বুঝে ওঠার আগেই । এভাবেই সে একের পর এক সুক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিতে শুরু করে সিআইএর হাতে ।

এই সেই এপার্টমেন্ট বিল্ডিং

এডলফ তোলকাচভ ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সিআইএর হয়ে কাজ করে । এই সময়ে অনেক গোপনীয় তথ্য সে তুলে দেয় সিআইএর হাতে তুলে দেয় । এসব তথ্য থেকে আমেরিকা বুঝতে পারে সোভিয়েত ইউনিয়ন তখনও বিমান ও রাডার প্রযুক্তিতে বেশ পিছিয়ে রয়েছে । সোভিয়েত রাডার গুলো তখনও নিচ থেকে ওড়া প্লেন ধরতে পারে না । এটা আমেরিকা জন্য নতুন খবর ছিল । এই তথ্য আমেরিকাতে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

সেই সময়ে আরব দেশ গুলো সোভিয়েত প্রযুক্তি ব্যবহার করতো । ফলে আমেরিকার মিত্র দেশ ইসরায়েল খুব সহজেই আরব দেশ গুলোর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো । কারণ তারা জানতো যে সোভিয়েত রাডার নিচু দিয়ে ওড়া প্লেন সনাক্ত করতে পারে না ।

১৯৮৩ সালের পর কেজিবির মনে সন্দেহ হতে শুরু করে যে কেউ একজন গোপনে তাদের তথ্য সিআইএর কাছে সরবারহ করছে । ডিপার্টমেন্টে তদন্ত শুরু হয় । তবে শেষ পর্যন্ত এডলফ তোলকাচভ ধরা পড়ে না । নাতাশার এর মাঝে একদিন জেনে ফেলে সব কিছু । যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতো সেই ক্যামেরা নাতাশার হাতে পড়ে যায় এবং তোলকাচভকে এসব থেকে বের করে আসতে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেয় । নাতাশা দেশ প্রেমিক ছিল না । তবে তার নিজের পরিবারের সাথে যা হয়েছে সেই ভয়ে সে নিজের স্বামীকে এসব থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। তোলকাচভ যদিও বলে যে বেরিয়ে আসবে তবে সে এসবের থেকে বের হতে সে পারে নি । তবে সাবধান হয়ে গিয়েছিলো বেশ । তোলকাচভের মনে একটা ভয় এসে জড় হয় । সে অনেক কাগজ পত্র পুড়িয়ে ফেলে । সিআইএর দেওয়া যন্ত্রপাতি ফেলে দেয় দুরের রাস্তার ডাস্টবিনে । এমন কি তোলকাচভ সিআইএর কাছ থেকে পটাশিয়াম সায়ানাইট আনিয়ে নেয় যাতে ধরে পরলে সময় মত তা খেয়ে ফেলতে পারে ।

১৯৮৫ সালে এডলফ তোলকাচভ কেজিবির হাতে ধরা পড়ে । একটা ভিডিও পেলাম ইউটিউবে যেখানে সম্ভবত এই গ্রেফতার রয়েছে । যদিও শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না । আপনারা দেখতে পারেন ।


তোলকাচভ কিভাবে ধরা পড়েছিলো সেই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায় না । অনেকের মতে একজন প্রাক্তন সিআইএ অফিসার এডলফ তোলকাচভের পরিচয় ফাঁস করে দিয়েছিলো । ১৯৮৬ সালে এডলফ তোলকাচভের ফাঁসি কার্যকর করা হয় । সেই সাথে সমাপ্ত হয় সিআইএর ইতিহাসের সব থেকে ব্যয়বহুল আর অন্যতম সফল স্পাইয়ের গল্প ।


একটা শেষ কথা বলে শেষ করি । আমার একটা ফেসবুক পেইজ আছে । সেখানে আমার প্রতিটা পোস্ট এই দেড় হাজার থেকে তিন হাজার রিচ হয় । এমন কি ব্লগ লিংক শেয়ার দিলেও সেটা অন্তত এক হাজার রিচ পৌছায় । গতকাল এই পোস্টের প্রথম কিছু অংশ লিখে আমি সেখানে পোস্ট দিয়েছিলাম । কত রিচ হয়েছিল জানেন? মাত্র ১৫২ । এতো কম রিচ আগে কোন দিন হয় নি । ফেসবুক নির্দিষ্ট কিছু শব্দের বিপরীতে পোস্টের রিচ একদম কমিয়ে দেয় । আগে কেবল ভাবতাম ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রেই বুঝি এমন হয় এখন দেখি বাংলা শব্দের ক্ষেত্রেও এমন হয় । তাহলে বুঝুন যে কিভাবে আর কত উপায়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করা হয় ।




বই - স্পাই স্টোরিজ, লেখক মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা
CIA office
Adolf Tolkachev
True Spies: The Billion Dollar Spy

ছবি সুত্র

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ফেসবুক আপনার মতো অনেকেরই রিচ অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দিয়েছে। জুকার আসলে কি চাইছে বুঝতে পারছি না।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: আগের থেকে রিচ কম আসে সেটা তো জানি । কিন্তু কিছু স্পেফিক পোস্টের জন্য আলাদা ভাবে এই রিচ কমে যায় অস্বাভাবিক ভাবে । যেমন ঐ পোস্টে আগের পোস্টের রিচ ছিল প্রায় দুই হাজার । পরেরটা রিচ ছিল আড়াই হাজারের উপরে । অথচ মাঝেরটা রিচ মাত্র দেড়শ । ভাবুন একবার !

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কেজিবির বর্তমান অবস্থা কি? বর্তমানে এ সংস্থা কি আছে নাকি বিলুপ্ত করা হয়ছে অথবা নতুন নামকরণ করা হয়েছে?

দিন দিন ফেসবুক কমার্শিয়াল হয়ে যাচ্ছে, আপনি যদি আপনার পেজ থেকে টাকা খারচ না করেন তাহলে দিন দিন ওরা আপনার পেজের রিচ এতটাই কমিয়ে দিবে যে আপনি টাকা খরচ করতে বাধ্য হবেন। আর আপনি যাতে বিরক্ত হয়ে পুরোপুরি ফেসবুক ছেড়ে না দেন সে জন্য ওরা আপনার সাথে মেন্টাল গেম খেলবে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: কেজিবি মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের সিক্রেক সার্ভিস ছিল যা তার সাথে ডিসলভ করে দেওয়া হয় । যদিও অনেকের ধারণা যে নতুন নামে এজেন্টরা এখনও তাদের কার্জক্রম চালু রেখেছে ।

না আমি সেটা বলি নি । আগের থেকে ফেসবুকের রিচ কম সেটা আমি জানি । কিন্তু কিছু শব্দের জন্য এটা একেবারে কমে যায় ।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট । সুন্দর ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: সিআইয়ের গোপন কাহিনী ফাঁস করে দিতে চাইছেন আর ফেসবুক সেটা ছেড়ে দেবে তাই হয় না কি?
কিছুদিন আগেই ঠিক এর উলটো একটা কাহিনী পড়েছিলাম যে ছিল কেজিবির এজেন্ট সিআইয়ের গোপন কাহিনী ফাঁস করে দিয়েছিল। মেয়েটার নাম মনে নেই এখন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: এই গল্প তো আর এখন গোপন কিছু না । স্বয়ং সিআইএর অফিস ওয়েবসাইটেই রয়েছে এই গল্প । আসলে কিছু কিছু শব্দ সেন্সরকরা ! সেই কারণেই হয়তো এটার রিচ কমে গেছে ।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ফেসবুকে আমারও একটা পেজ আছে....পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথেই ফেসবুক কতৃপক্ষ পোস্ট বুস্ট করার জন্য দিনের পর দিন নোটিশ দেয়....আমি বুস্ট করিনা বলে ৩/৪ জনের বেশী পাঠক আমার লেখা দেখতে পায়না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: আগের থেকে অনেক অনেক রিচ কমে গেছে । আপনার পেইজের মোট লাইকের মাত্র শতাংশের কাছে এখন আপনার পোস্ট যাবে অর্গানিক ভাবে ।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪০

লিযেন বলেছেন: হমম তথ্যবহুল পোষ্ট।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৩

সোহানী বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: এরকম একটা পজিশনে থেকে কেজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে এত বছর ধরে সে কেমনে স্পাইগিরি করল সেটা একটা প্রশ্ন??
আমার মতে অসম্ভব!
না কি এটা কেজিবির একটা রিভার্স গেম ছিল? তার প্রয়োজন শেষ হবার পরেই তাকে সরিয়ে দিয়েছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: সিআইএও এমনটাই ভেবেছিলো হয়তো এটা কেজিবির একটা রিভার্স গেম । কিন্তু সেটা হয় নি । কারণ এডলভের দেওয়া তথ্যের ফল কিন্তু সেই সময়ে আমেরিকা পেয়েছে ঠিকই ।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রশ্ন
১। সে কিভাবে সি আই এ স্টেশন চীফকে চিনল?
২। তার মত দায়িত্বশীল একজন লোক নিশ্চয়ই রাত দিন ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াবে না। সে কিভাবে জানল সি আই এ স্টেশন চীফ
ওইখানে আসবে তখন ( ভেবে দেখুন একটা ফুয়েল স্টেশন- ভেরি আন ন্যাচারাল। কোন রেস্টুরেন্ট হলেও কথা ছিল)?
৩। সি আই এ ইগ্নোর করার পরেও দিনের পর দিন সে কিভাবে যোগাযোগ রাখল?
৪। এমন গুরুত্বপূর্ণ নথি কখনোই কেউ বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না আমি ড্যাম শিওর! যারা বলেছে কেজিবিকে তারা চিনতে ভুল করেছে।
৫। যে সহধর্মিনীর জন্য সে এত বড় ঝুঁকি নিল সেই মহিলা কিছুই জানল না - বিষয়টা আজব নয় কি?
৬। ধরা পড়ার সময়ে সে কেন পটাশিয়াম সায়ানায়েড খায়নি?

আরো অনেক প্রশ্ন আছে। এই সব গোয়ান্দাদের সত্য ঘটনা কোনদিনই আমরা জানব না- এত সহজ নয় জানা। সব বানোয়াট কাহিনী। অবশ্য এখানে আপনার কোন দায় নেই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার প্রতিটি প্রশ্নেরই যুতসই ব্যাখ্যা আছে । তবে প্রথমে এডলভ কোন ভাবেই চিনতো না কে স্টেশন চীফ । সে কেবল আমেরিকান নম্বর প্লেট যুক্ত গাড়ির খোজ করছিলো। তার লক্ষ্য ছিল যাতে কোন আমেরিকানের কাছে সে চিঠিটা ধরিয়ে দিবে । এবং ভাগ্যক্রমে সেটা ফুলটনের কাছে গিয়ে পৌছায় । এটাকে আপনি কাকতালীয় বলবেন নাকি ভাগ্য বলবেন ।
আর প্রথম চিঠিতেই এডলভ পরে কিভাবে সে কোথায় চিঠি রাখবে সেটাই বলে দিতো । হ্যা আমেরিকানদের উপর নজর রাখতো কেজিবি কিন্তু তখন এডলভ কিন্তু একজন রাশিয়ান নাগরিক । কেজিবি তাকে সন্দেহ করে নি । সিআইএর লোকজন তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ কিন্তু করে নি । কিন্তু তার রেখে যাওয়া চিঠি ঠিকই নিয়ে এসেছে ।

এডলভ তখনও কিন্তু জানতো না তার যোগাযোগ সরাসরি সিআইএর সাথেই যোগাযোগ করছে । সে কেবল কোন আমেরিকানের সাথে যোগাযোগ করছে সে কিনা সিআইএর কাছে তার চিঠি পৌছে দিতে পারে । হ্যা দুই বছর সে চেষ্টা করে গেছে । এডলভ নিজেই সিআইএকে বলেছিলো যে যেইবার সিআইএ যোগাযোগ করে যদি সেবার যোগাযোগ না করতো তাহলে সে হতাশ হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো ।

নাতাশার কাছে কেন ধরা পড়ে নি সেটাও একটা কারণ রয়েছে । নাতাশা এবং তাদের ছেলের হাইট ছিল কম । আর এডলফ এই ক্যামেরা রান্নাঘরের সিলিংয়ের নিচের এক মাচার মত জায়গা ছিল যেখানে অপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রাখা হত । সেখানেই ক্যামেরা রাখতেন তিনি । তাই স্ত্রীর হাতে ধরা পরার সম্ভবনা ছিল কম । তবে একদিন তাড়াহুড়ায় ক্যামেরাটা ড্রায়ারে রেখে যান । সেখানেই ধরা পড়েন স্ত্রীর কাছে ।

এডলভের টপ ক্রিয়ারেন্স ছিল । এবং টাই কেজিবির সব থেকে বড় লুপহোল ছিল । তাকে কোনপ্রকার চেকিং করা হত না ।

হ্যা আপনি সত্যি বলছেন যে এই সব বানোয়াট কাহিনী হতে পারে কিন্তু পৃথিবীর কোন গোয়েন্দা সংস্থাই কিন্তু শতভাগ ফুলপ্রুফ নয় । এডলভের আগে আরও দুইজন স্পাই সিআইএর হয়ে কাজ করতো । পরেও করেছে । ইসারায়েলি তৎকালীন সময়ে কিভাবে আরব রাষ্ট্র গুলোর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলো সেটাও কিন্তু একটা বড় প্রমান যে এডলভ তথ্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১১

শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত ফের মন্তব্যে আসতে হোল বলে।
ভেবে দেখুন ফুলটন সি আই এর মস্কোস্থ স্টেশন চিফ। অফিসের বাইরে তার প্রতিটা পদক্ষেপ নজরদারিতে থাকবার কথা নয় কি? কেজিবি নিজের ঘর সামলাতে পারছে না এটা বড়ই হাস্যকর! এগুলো কেজিবিকে নেহায়েত বিলো স্টান্ডার্ড গোয়ান্দা সংস্থা (আমাদের টাইপের) প্রমানের ব্যর্থ চেষ্টা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: উপরের আরেকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে ভুলে গেছি । এডলভ অবশ্যই ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ায় নি । পুরো দুই বছরে সে ৫/৬ বার নির্দেশ মত যোগাযোগ করেছে । একজন মানুষ গুরুত্বপূর্ন পদে যতই থাকুক স্বাভাবিক হাটাচলা সে করতেই পারে । মর্নিং ওয়াক করতে পারে । দুই বছরে ৫/৬বার এই একটা খাম কোন ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া কী খুব অসম্ভব একটা কাজ?

নজরদারিতে তো ছিলই । কিন্তু তারপরেও কিন্ত গোয়েন্দা কার্যক্রম ঠিকই চলেছে । এটাই নিয়েও একটা চমৎকার ঘটনা রয়েছে যা কোন মুভির ঘটনার থেকে কম নয়। সেটাও আমি ভেবেছিলাম লিখবো । মাঝে ১৯৮৩ সালের দিকে পরপর ৫টা মিটিং সিডিউল মিস করে এডলফ । সেই সময়ে সিআইএ ভেবেছিলো হয়তো এডলফ ধরা পড়ে গেছে । শেষ মিটিংটা মিস করার কোন উপায় ছিল না । কিন্তু কিভাবে তারা যোগাযোগ করবে । কেজিবি সব সময় চোখ রাখছে । কিন্তু তারপরেও ঠিকই কেজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে এডলফের সাথে যোগাযোগ করে । নিচে দেখুন একটা পডকাস্ট দেওয়া আছে । ইউটিউব লিংক । ওটা শুনতে পারেন । অনেক কিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে ।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অজানা ইতিহাস জানলাম।++++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: সাথেই থাকুন । আরও অনেক কিছু জানবেন আশা করি ।

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব মজা লাগে আমার এমন এডভেঞ্চারাস গল্প শুনতে।
দারুণ !

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: আমি নিজেও এই ধরনের পোস্ট গুলো পড়ে মজা পাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.