নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন তামাম দুনিয়ার মানুষ বিনা বিচারে মেরে ফেললেও নিজের দেশের নাগরিকের ব্যাপারে এমনটা তারা কখনই করে না। অফিশিয়াল ভাবে কোন মার্কিন নাগরিককে কখনই বিনা বিচারে মেরে ফেলা হয় না। যুক্তিরাষ্ট্রের সাংবিধান অধিকার আইন হচ্ছে যদি একজন মার্কিন নাগরিক হয় তাহলে সে যত ঘৃণ্য অপরাধই করুক না কেন, সে ট্রায়ালের সুযোগ পাবে । বিনা বিচারে তাকে মেরে ফেলা হবে না । কিন্তু এমন একজন মার্কিন নাগরিক ছিল যাকে বিনা বিচারে হত্যা করার জন্য স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ওবামা অনুমূতি পত্রে সাক্ষর করেছিলেন । তার নাম আনোয়ার আল আওলাকি । আওলাকি প্রথম মার্কিন নাগরিক যাকে ড্রোক স্ট্রাইকের মাধ্যমে মার্কিন সরকার হত্যা করে ২০১১ সালে।
আনোয়ার আল আওলাকির জন্ম ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ম্যাক্সিকো স্টেটে । তার বাবা নাসের আল আওলাকি পড়াশোনার জন্য ১৯৫৭ সাল হতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলো । জন্মযুত্রে আনোয়ার আল আওলাকির বাবা মা দুজনেই ইয়েমেনের অধিবাসী । জন্মের পর প্রথম সাত বছর সে আমেরিকাতেই বড় হয় । তারপর ১৯৭৮ সালে পুরো পরিবার ইয়েমেন ফিরে আসে । সেখানে ১১ বছর থাকার পরে আনোয়ার আল আওলাকি ১৯৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসে । ১০৯৪ সালে সে সিলিভ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে কলোরডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে । ১৯৯৩ সালে কিছু দিনের জন্য সে আফগানিস্তানে ভ্রমন করে। সেখানে তখন মুজাহিদরা সোভিয়েতদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। সেখানকার মানুষের দুঃখ কষ্ট আর দারিদ্র আওলাকিকে শোকাহত করে । ফিরে এসে সে ধর্মের প্রতি একটা আগ্রহবোধ করা শুরু করে। আনোয়ার পরে দি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হলেও সেটা শেষ করতে পারেন নি ।
শুরুর দিকে আওলাকি উগ্রপন্থার বিরোধী ছিলেন। আনোয়ার আল আওলাকি আমেরিকায় জন্ম নেওয়া একজন মানুষ । সে গনতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন । তার বিশ্বাস ছিল মুসলমানদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে গনতান্ত্রিক পন্থার বিকল্প নেই । পড়াশোনা এবং চাকরির পাশাপাশি আওলাকি মসজিদে ইমামতি করতো । তার আশে পাশে মুলসমানদের উপর প্রভাব বেশ ভাল ছিল । বিশেষ করে তার ইংরেজি উচ্চারাণ আধুনিক এবং তরুন মসলমানদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে । নাইন ইলেভেনের হামলার পরে আনোয়ার আওলাকি প্রথম মার্কিনিদের নজরে আসেন । তিনি ছিলেন একই সাথে আদর্শ মুসলিম নেতা এবং সেই সাথে উগ্র সন্ত্রাসবাদের বিরোধী। তিনি মসজিদে খুদবায় এই হামলার বিরোধিতা এবং সমালোচনা করতো সব সময় । তার বক্তব্য ছিল যে কোন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী কার্জক্রম সত্ত্বেও আমেরিকায় কোন নিরীহ মার্কিনীকে হত্যা করার কোন অধিকার কোন মুসলমানের নেই ।
এই সময়ে তিনি মার্কিনী এবং মুসলমান সম্ভাব্য যোগসুত্র হিসাবেই কাজ করতে শুরু করে । তিনি সেই সময়ে মুসলমানদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিল । এমন কি আওলাকিকে সেই সময়ে মুসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরকার সম্পর্ক উন্নয়নের আলোচনার জন্য একবার পেন্টগনে ডাকও দেওয়া হয় । তবে ধীরে ধীরে মার্কিনীদের মুসলিম বিদ্বেশের কারণে আওলাকির এই গনতান্ত্রানিক মনভাব পরিবর্তিত হতে শুরু করে । এফবিআই আওলাকি বেশ কয়েকবার তুলে নিয়ে যায়, বিভিন্ন কারণে । বিশেষ করে তাকে তার মসজিদে আসা মুসলমানদের উপর স্পাইগিরি করতে চাপ দিতে থাকে বারবার।
আওলাকি এই কাজ করতে অস্বীকার করলে তাকে গ্রেফতারের ভয় দেখাতে শুরু করে । তাকে নানান সুতোই গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালায় মার্কিন সরকার । এক সময়ে আওলাকি বুঝতে পারে যে আমেরিকা তার জন্য আর নিরাপদ নয় । সে আমেরিকা ছেড়ে ইংল্যান্ড পাড়ি জমায় ২০০২ সালে । ২০০৩ সালে আমেরিকা যখন ইরাকে হামলা চালায় তখন আওলাকি আমেরিকাকে মুলসমানদের প্রধান শত্রু হিসাবে ঘোষণা করে । এই সময় তার লেকচার গুলোতে আমেরিকার ব্যাপারে মনভাব ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত হয় এবং আওলাকি আমেরিকার কট্টর সমালোচনা করতে শুরু করে । এই সময়ে সকল ধরনের মুসলমানদের ভেতরে আওলাকির লেকচার খুব বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করা শুরু করে ।
২০০৪ সালে আওলাকি ইংল্যান্ড থেকে ইয়েমেন গিয়ে হাজির হয় । সানার ইমান ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা শুরু করেন । এই সময়ে সে আমেরিকার সমালোচনা করে লেকচার দিতে শুরু করে এবং ইন্টারনেটের কল্যানে এই লেকচার গুলো পুরো বিশ্বের কাছে পৌছে যেতে শুরু করে । এবং এটাই আমেরিকার মাথা ব্যাথার প্রধান কারণ করে দাড়ায় কারণ এই লেকচার গুলোতে আমেরিকার বিরুদ্ধে পুরো মুসলমান গোষ্ঠিকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছিলো ধীরে ধীরে । বিশেষ করে ২০০৫ সালে লন্ডন হামলাকারীদের কাছ থেকে আওলাকির সিডি পাওয়া যাওয়ার পরে মার্কিন সরকার আরও নড়েচড়ে বসে । ২০০৬ সালে ইয়েমেনে আওলাকিকে গ্রেফতার করা হয় । মূলত আমেরিকার চাপের কারণেই ইয়েমেন সরকার এমনটা করতে বাধ্য হয় । এবং কোন প্রকার বিচারের সম্মুখীন না করেই তাকে আটক রাখা হয় । ইয়েমেন সরকারের কাছে মার্কিন সরকারের দাবী ছিল যাতে আওলাকিকে অন্তত ৪/৫ বছর জেলে আটকে রাখা হয় যাতে বিশ্ব তার কথা ভুলে যায় । কিন্তু আওলাকির গোত্র প্রধানের চাপের মুখে ১৮ মাস পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ।
মুক্তির পরে আওলাকী নিজের নামে একটা ওয়েবসাইট খোলে এবং সরাসরি তার বক্তব্য প্রচার করতে শুরু করে । তবে সে ঠিকই বুঝতে পারছিল যে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হবে । তাকে সর্বক্ষণিক নজরদারীর ভেতরে রাখা হয়েছিলো । ২০০৯ সালে আওলাকী পুরো আত্মগোপনে চলে যায় ।
এবং এই সময়ের পরে আওলাকি সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । এই সময়ে তার ভিডিওতে বন্দুক সমেত অবস্থায় বক্তব্য দিতে দেখা যায় । আমেরিকা আরও ব্যাপাক ভাবে তার খোজ শুরু করেন এবং হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে । ঠিক এই সময়ে তাদের কাছে একটা সুযোগ চলে আসে ।
আওলাকি দীর্ঘদিন নিজের পরিবার থেকে দুরে আত্মগোপনে ছিল । তার দুই বউ আগে থেকেই ছিল যাদেরকে সে নিরাপত্তার কারণে সাথে করে নিয়ে আসে নি । কিন্তু পুরুষ মানুষ বলে কথা । এই তথ্য জানার পরে আমি খানিকটা হেসেছিলাম । মানে হচ্ছে সিআইএ তাকে হত্যার জন্য খুজে বেড়াচ্ছে সে জীবন নিয়ে পালাচ্ছে তারপরেও এই সময়ে তার বউ লাগবেই !
আওলাকি তার এক বিশ্বাসী পুরানো বন্ধু আবু ওসামা আল ডেনমার্কির সাথে যোগাযোগ করে এবং তাকে নিজের তৃতীয় বিয়ের ইচ্ছের কথা জানায় । তবে সেই সাথে শর্ত দেয় যে এমন একজন মেয়ে দরকার যে সম্প্রতি ইসলামে কনভার্ট হয়েছে, ইউরোপীয় হতে হবে এবং চুল হতে হবে সোনালী । এমন একজন যে কিনা তার সাথে পাহাড়ে পর্বতে নিরাপত্তাহীনতার ভেতরেও থাকতে রাজি হবে । এমন একজনকে ওসামা ঠিকই খুজে বের করে । তার নাম ইরিনা হোরাক । মুসলমান ধর্মে পরিবর্তিত হয়ে তার নাম হয় আমিনা , ওসামা তাকে আওলাকির সাথে দেখা করিয়ে দেয় বিশেষ এনক্রিপ্টেড ভিডিও ম্যাসেজের মাধ্যমে ।
তবে আওলাকি কিংবা আমিনা দুজনের কেউ যা জানতো না তা যে এই আবু ওসামা মুলত সিআইএর হয়ে কাজ করছিলো । সিআইএ পরিকল্পনা করলো করে আমিনার যাওয়ার সময় তার সাথে যে ব্যাগটা দেওয়া হবে তার ভেতরে একটা বিশেষ ট্রাকিং ডিভাইস দিয়ে দেওয়া হবে এবং এই ট্রাকিংয়ের মাধ্যমেই আওলাকীর উপরে ড্রোন হামলা করা হবে ।
পরিকল্পনা মোতাবেগ সব কিছু করা হয় । আমিনাকে ট্রাকিং ডিভাইসওয়ালা স্যুটকেস দেওয়া হয় । আমিনা পৌছেও যায় আওলাকির সাথে কিন্তু তাদের এই পরিশ্রম কাজে আসে না । কারণ আমিনাকে সানার হোটেল আওলাকির কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সাথের সকল কিছু সেখানেই রেখে আসা হয় । এমন কি সে স্যুটকেজটাও । সিআইএর পরিকল্পনা ছিল স্যুটকেসে ট্রাকিং ডিভাইস সেট করে ড্রোন হামলা করে হত্যা করবে । কিন্তু তার বদলে সিআইএ নিজের ঘাটের টাকা পয়সা খরচ করে আওলাকীর জন্য তৃতীয় বউয়ের ব্যবস্থা করে দিল ।
তবে এক সময়ে মার্কিন সরকার ঠিকই তাদের পরিকল্পনায় সফল কাম হয়ে যায় । ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইয়েমের উত্তর পশ্চিমে আল জাওফ প্রদশের একটি বাড়ির উপর মার্কিন ড্রোন নজর রাখছিলো । তাদের কাছে খবর ছিল যে এই বাড়িতেই লুকিয়ে আছে আওলাকী সহ আলকায়দায় আরো কয়েকজন শীর্ষনেতা । সকাল দশটার দিকে কয়েকটা জিপ গাড়ি বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় । এই গাড়ি লক্ষ্য করেই ড্রোন হামলা করা হয় পরপর দুইটি । প্রথমটি গড়িগুলোকে ধ্বংশ করে, দ্বিতীয়টি নিশ্চিত করতে যে কেউ যাতে জীবিত না থাকে । হামলায় লাশ গুলোর অবস্থা এমন হয়েছিলো যে সেগুলোকে চেনার উপায় ছিল না । তবে একটা লাশের পাসে একটা বিশাল আকৃতির ছুরির বাট দেখা যায় । এই ছুরিটি অতি পরিচিত ছিল সবার কাছে । কারণ তার প্রতিটি ভিডিওতেই আওলাকীর সাথে এই ছুরিটিকে দেখা যেত ।
এভাবেই মার্কিন সরকার প্রথমবারের মত তাদের দেশ জন্ম নেওয়া একজন মার্কিন নাগরিককে বিনা বিচারে হত্যা করে ।
তথ্যসুত্র
Anwar al Awlaki
আনোয়ার আল-আওলাকি
বই- স্পাই স্টোরিজ (মোজাম্মেজ হোসেন ত্বোহা)
pic source
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না । অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বেলাতে তারা কেমন মনভাব পেষণ করে । তবে নিজ দেশের যে কোন নাগরিককে এর আগে এভাবে বিনা বিচারে ওরা হত্যা করে নি । আওলাকিই প্রথম ব্যক্তি যাকে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ওবামা হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলো ।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লোমহর্ষক ঘটনা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৪
অপু তানভীর বলেছেন: তা তো একটু বটেই ।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬
নতুন বলেছেন: কিন্তু পুরুষ মানুষ বলে কথা । এই তথ্য জানার পরে আমি খানিকটা হেসেছিলাম । মানে হচ্ছে সিআইএ তাকে হত্যার জন্য খুজে বেড়াচ্ছে সে জীবন নিয়ে পালাচ্ছে তারপরেও এই সময়ে তার বউ লাগবেই !
আওলাকি তার এক বিশ্বাসী পুরানো বন্ধু আবু ওসামা আল ডেনমার্কির সাথে যোগাযোগ করে এবং তাকে নিজের তৃতীয় বিয়ের ইচ্ছের কথা জানায় । তবে সেই সাথে শর্ত দেয় যে এমন একজন মেয়ে দরকার যে সম্প্রতি ইসলামে কনভার্ট হয়েছে, ইউরোপীয় হতে হবে এবং চুল হতে হবে সোনালী । এমন একজন যে কিনা তার সাথে পাহাড়ে পর্বতে নিরাপত্তাহীনতার ভেতরেও থাকতে রাজি হবে । এমন একজনকে ওসামা ঠিকই খুজে বের করে । তার মান ইরিনা হোরাক । মুসলমান ধর্মে পরিবর্তিত হয়ে তার নাম হয় আমিনা , ওসামা তাকে আওলাকীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় বিশেষ এনক্রিপ্টেস মেসেজের মাধ্যমে ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন:
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আম্রিকান সরকার চাইলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এই তামাম দুনিয়াটা এখন তো ওদেরই। কথায় আছে না, ''কৃষ্ণ করলে লীলা খেলা, আমরা করলে দোষ''!!!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তারা আসলেই যা ইচ্ছে তাই করতে পারে । এই ক্ষমতার সমতার জন্যই রাশিয়া চীনের উত্থানের প্রয়োজন আরও প্রবল ভাবে যাতে করে আমেরিকা যা ইচ্ছে তাই না করতে পারে।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
নতুন বলেছেন: ২০০৯ সালে আওলাকী পুরো আত্মগোপনে চলে যায় ।
এবং এই সময়ের পরে আওলাকি সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । এই সময়ে তার ভিডিওতে বন্দুক সমেত অবস্থায় বক্তব্য দিতে দেখা যায় । আমেরিকা আরও ব্যাপাক ভাবে তার খোজ শুরু করেন এবং হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে । ঠিক এই সময়ে তাদের কাছে একটা সুযোগ চলে আসে ।
উনি যদি যুদ্ধ ঘোষনা দিয়ে থাকেন তবে তো আদালতের সমন করে ডাকলে নিজে এসে বিচারে এসলাসে দাড়াবেন না।
তাই উনার জন্য নাগরিক/বিনাবিচারে হত্যা এটা প্রযোজ্য না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে যুদ্ধ ঘোষনা বলতে আমি বলতে চেয়েছি যে উনি তখন সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছিলো তাকে ইসলামের শত্রু বলে ঘোষণা করেছিলো । আমাদের দেশেও কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে ঠিক একই মনভাবের লোকজন অনেক রয়েছে ।
ওবামা মূলত তার সরাসরি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আগে তার মৃত্যু পরোয়ানাতে সই করে দিয়েছিল । এতো কিছুর পরেও আওলাকিকে এভাবে বিনাবিচারে হত্যা করা আমেরিকান সংবিধান পরিপন্থি ।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
রেজাউল৮৮ বলেছেন: আমেরিকার শুদু প্রসাশন খ্রাপ এমন না। আজকে তো শুনলাম লোক গুলানও চ্রম খ্রাপ। গলু ম্যানহাটানে ভিক্ষা করতে যেয়ে দেখেছে সাদারা কোন ভিক্ষা দিচ্ছে না। কি জে কষ্ট
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে মানুষজন খারাপ না । চেহারা আচরণ একটা বড় ব্যাপার । অনেক মানুষ চেহারা আচরণ দেখলেই বুঝতে পারে যে কে ভাল আর কে খারাপ । এই জন্য আসলে গলুকে ভিক্ষা দিচ্ছে না । তবে এটা একটা কষ্টের ব্যাপারই বটে !
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
অধীতি বলেছেন: ক্ষমতা আসল সত্য। ক্ষমতাবানের পতন হলেও ভুক্তভোগীর লাভ হয়না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: যার হাতে ক্ষমতা সে আসলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে ।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: রাষ্টের স্বেচ্ছাচারিতায় একজন ধর্মপ্রাণ ও দেশ প্রেমিক মানুষ দেশদ্রোহীতে রুপান্তরিত হয়েছেন।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: অন্তত আওলাকির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটাই হয়েছে । সত্যিই যদি সেই সময়ে তার প্রতি এই রকম বিরূপ ভাবে ব্যবহার মার্কিন প্রশাসন না করতো, তাহলে আওলাকি তৈরি হত ?
আমার মনে হয় না ।
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লাদেন, জাওহারী আওলাকিরা কোন ইসলাম কায়েম করতে চায় বুঝি না।
ভিন দেশী জংলিদের নিয়ে একে ফরটিসেভেন হাতে নিয়ে চলাফেরা করে কোন মতের ইসলাম কায়েম করতে চায়?
আমার মতে যে কোন মতালম্বি ইসলাম পালন ও প্রচারের জন্য আমেরিকাই শ্রেষ্ঠ যায়গা।
কায়রো লাহোর তেহরান বা রিয়াদের চেয়ে ১০০ গুন বেশী ধর্মিয় স্বাধীনতা নিউইয়র্ক লসএঞ্জেলস ওয়াশিংটনে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: যে কোন ধর্ম প্রচারের জন্য পশ্চিমা বিশ্ব নিঃসন্দেহে সব থেকে ভাল জায়গা । আমেরিকা থেকে ইউরোপ বেশি উপযুক্ত । এশিয়ার অঞ্চলের মানুষজন নিজেদের ধর্মের প্রচারের জন্য যা করে সেই একই কাজ যদি অন্য ধর্মের মানুষরা করে তাহলে সেটা তারা সহ্য করতে পারে না ।
তবে এতো কিছুর পরেও যে আমেরিকানদের ভেতরে যে ইসলামফোবিয়া আছে সেটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই । এই ইসলামফোবিয়াই কিন্তু অনেক পেছনের কারণ ।
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা লাদেন, জাওহারী আওলাকিদের মত মানবতা বিরোধী জংলিদের বিনাবিচারে হত্যা করে কোন অপরাধ করে নি।
আমেরিকা বোমা মারলে বহু নিরিহ মারা যায়।
তাই অনেক ব্যায়বহুল ড্রন মারফত উচ্চ প্রযুক্তির সিলেক্টিভ ছোট একুরেট মিসাইল ব্যাবহার করতে বাধ্য হচ্ছিল। তাই সন্ত্রসি বাড়ির কোন সদস্যকে আহত না করেও মূল টার্গেটকে খতম করা সম্ভব হচ্ছিল।
তবে সন্ত্রসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিনিরা একদম শুন্য হাতে ফিরেনি।
জঙ্গি-সন্ত্রাসিদের মহাগুরু লাদেন ও আবুবকর বাগদাদি পরে কিছুদিন আগে জাওহারীর নামও মুছে ফেলেছে। আওলাকির নাম এই প্রথম শুনলাম।
এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে উচ্চ নজরদারি উচ্চ প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমেরিকা ও সভ্য দেশগুলো বর্তমানে প্রায় সম্পুর্ন নিরাপদ।
আমেরিকান পরামর্শে ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিমান ছিনতাই ১০০% বন্ধ হয়েছে।
বর্তমানে নিশ্চিন্তে বিমানে উঠতে পারি কোন ভয় লাগে না।
আইডি বার্থসার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট তাৎক্ষনিক ভেরিফাই সম্ভব হওয়াতে চিহ্নিত জঙ্গি-সন্ত্রাসিদের বিমানে উঠা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।
আমেরিকায় যে কেউ যত ইচ্ছা অস্ত্র কিনতে পারলেও চিহ্নিত ধর্মিয় সন্ত্রসিরা অস্ত্র কিনতে পারে না। গাড়ী ভাড়া করতে পারে না
ট্রেনে বাসে বোমা হামলা, স্টেসনে নাশকতা বর্তমানে প্রায় সম্পুর্ন বন্ধ।
বড়ধরনের গাড়ীবোমা হামলা সব দেশেই বন্ধ হয়েছে। তবে পাকিস্তান আফগানিস্তানের মসজিদ বাদে।
ভেরিফায়েবল আইডি ফিঙ্গারপৃন্ট কারনে জঙ্গি-সন্ত্রাসিরা গাড়ি কিনতে বা গাড়ি ভাড়াও পাচ্ছেনা।
এখন জংলিরা কি আর করবে, অন্যের গাড়ী চুরি করে খালি গাড়ী নিয়ে রাস্তায় ফুটপাতে মানুষ চাপা দেয়।
বর্তমান উচ্চ টেকনলজিতে সেটাও বন্ধ হচ্ছে, ২০১০ মডেল পরবর্তি গাড়ীগুলো উচ্চপ্রযুক্তির। ডুব্লিকেট চাবি বানিয়ে বা ইগনিশানের তার জোড়া দিয়েও দিয়ে স্টার্ট করা যায় না, চাবি কেড়ে নিয়েও বেশীদুর যেতে পারে না, ৫ মিনিট পরই জিপিএস মারফত স্টপ।
এখন অবস্য একাই ছুরি নিয়ে দৌরাদৌড়ি করে কিছু একটা করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিদেশে আমেরিকান অভিযানে ও উন্নত উচ্চ প্রযুক্তি সহযোগে বিভিন্ন পদক্ষেপে মেইনল্যান্ড আমেরিকা সহ সারা পৃথিবী বর্তমানে বহিরাগত জঙ্গি-সন্ত্রাসিদের হাত থেকে সম্পুর্ন নিরাপদ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে সঠিক বেঠিকের কথা আমি বলি নি এখানে । কোন টা সঠিক কোন টা বেঠিক ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে সব কিছু বদেল যায় । সেসব নিয়ে বলতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে ।
জঙ্গী কিংবা সন্ত্রাসী হামলায় মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা অনেক ঘটে । কিন্তু মার্কিন সরকার নিজেদের একজন নাগরিককে পরিকল্পিত ভাবে খুজে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আওলাকিই প্রথম ব্যক্তি ছিল । এর দুই বছর পরে আওলাকির ১১ বছরের ছেলেকে একই ভাবে হত্যা করা হয় । পরে ২০১৭ সালে আওলাকির মেয়েও হত্যা করা হয় ।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাষ্ট্র দ্রোহী হিসাবে আওলাকিকে হত্যা করা হয়েছে। এটাকে দোষের কাজ বলা যায় না। প্রত্যেক রাষ্ট্রের নিজস্ব নিরাপত্তার অধিকার আছে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২০
অপু তানভীর বলেছেন: ব্যাপারটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন । আমেরিকাতে একজন যত ভয়ানক অপরাধই করুক না কেন তাকে ট্রায়ালের সুযোগ দেওয়া হয় । আওলাকির ব্যাপারে সে সব করা হয় নি । আমাদের দেশে এসব স্বাভাবিক হতে পারে সেই দেশে এটা অস্বাভাবিক । ব্যাপারটা বুঝেছেন কি?
১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
নতুন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা লাদেন, জাওহারী আওলাকিদের মত মানবতা বিরোধী জংলিদের বিনাবিচারে হত্যা করে কোন অপরাধ করে নি।
লাদেন/ জাওহারীরা এতো টাকা কোথায় পায়?
নিজের খেয়ে আমেরিকায় বোমা মারার কাজ এরা করতে যায় কেন?
আর সব মিলিয়ে ৯/১১ এর ঘটনায় আমেরিকার ক্ষতির চেয়ে লাভই হয়েছে বেশি.....
লাদেন সিআইএ র লোক সম্ভবত তার মিশন শেষ হয়ে যাবার পরে তার মৃত্যুর নাটক শেষ করে তাকে অবসর ভাতা দিচ্ছে আমেরিকা।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আর সব মিলিয়ে ৯/১১ এর ঘটনায় আমেরিকার ক্ষতির চেয়ে লাভই হয়েছে বেশি.....
সত্যিই তাই
১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
নতুন বলেছেন: যে কোন কিছুর মুল কারন খুজতে আমি টাকার উতস খুজি।
আমেরিকা যেতে এতো ঝামেলা সেখানে মানুষ পাঠিয়ে বোমা পাঠিয়ে এতো কিছু করতে কত টাকার দরকার?????
যে জিহাদী ৩য় বিয়ের জন্য সুন্দরী, ইউরোপিয়ান খোজে তিনি কত বড় ধর্মিক সেটা বোঝা যায়!!!
এতো দিন জিহাদীরা আমেরিকার সত্রু ছিলো। এখন মুসলমানেরা আমেরিকার বন্ধু হবে। কারন কি?
কারন চীন এখন বড় সমস্যা তাই চীনের মোকাবেলায় মুসলমানদের আমেরিকা পাশে রাখবে, এখন আর ৯/১১ এর মতন হামলা হবে না। আর আমেরিকাও ইরাক/আফগানের মতন আক্রমন করবেনা।
০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমেরিকার বেলাতে টাকা ছাড়াও আরেকটা জিনিস খোজা উচিৎ। সেটা হচ্ছে এই ঘটনার ফলে আমেরিকার প্রভাব বিশ্বের উপরে আরো কতটা পড়বে বাড়বে । এইঘটনার উপরে আমেরিকার কতখানি লাভ হয়েছে সেটা তো আর বলে দেওয়ার কোন দরকার নেই।
১৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৩৩
কোলড বলেছেন: It was a dangerous precedent where a citizen was killed without a due process. I voted against that bastard just because of this single reason.
০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: এটা সত্যিই খুব ভয়ংকর একটা ব্যাপার !
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অমানবিকতা এবং হত্যার ইতিহাসে মার্কিনীদের হত্যার ইতিহাস অনেক অনেক পুরনো এবং দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর! অন্যদিকে মানবিকতার ইতিহাসেও মার্কিনীদের ইতিহাস অনন্য।